এক ঝাঁক অনুপ্রেরণা

আমার খুব পছন্দের এক ঝাঁক অনুপ্রেরনামূলক, উদ্দীপনামূলক লেখার সমাহার এই লেখা। যারা নিজেদের উন্নত করতে চান, জানতে চান সেরা মানুষেরা কীভাবে ভাবতেন, যারা পার্থিব সফলতা অর্জন করতে চান, তার কোনভাবেই এই লেখাটা মিস করবেন না। তারা আসলে সেরা জায়গায় জন্মগ্রহণ করেননি, তারা আসলে অনেক অর্থ, ক্ষমতা আর শক্তি ছিলনা। তারা আমাদের মতন একই কাজ ভিন্নভাবে করতেন, তাদের চিন্তাটাই ছিল অন্যরকম। সেটাই আমরা জানতে পারবো লেখাগুলো পড়লে।

আমি অনেকদিন ধরে, অনেক পত্রিকা থেকে নিয়ে, কিছু লেখা সংকলিত ও পরিমার্জিত করে এখানে জমা করেছি। আমার মৌলিক অনুবাদ এখানে নেই, একটাই লেখা আমার নিজের, বাকিগুলো সংগ্রহ।

এই লেখাটা আমার প্রিয় ভাইবোনদের জন্য উৎসর্গীকৃত, যারা আমাকে ফেলে যায়নি যদিও আমি তাদের অনেক কষ্ট দিয়েছিলাম অনেক সময়ে।

 জীবনে ভাল থাকার জন্য যা করতে হবে 

জীবন কতনা অদ্ভূত! কখনও কতইনা সুন্দর আর আনন্দময়, আর কখনও কত কষ্টকর! আমাদের জীবনটাই যে এমন! কেউ তো জানিনা আমার যতি চিহ্ন কোথায়… কী নিয়ে দুঃখ করবো আমি? আজ হয়ত আমি অনেক সুখী, যদি আজই চলে যেতে হয় এই জগত ছেড়ে, তবে আমি কি প্রস্তুত যাওয়ার জন্য? আমি যতটুকু সুখে আছি, অনেকেই তো তার চাইতে খারাপ আছেন, তাইনা?জীবনটাই তো এমন! অনেক পাওয়া আর না পাওয়া দিয়ে ঘেরা… অনেক তৃপ্তি আর অতৃপ্তি মাখানো… তাকে তো আপন করে নিলে চলেনা! তাকে সাথে করে চলতে হতে হয়। ..... [বিস্তারিত পড়ুন]


শতাব্দীর সেরা সফলদের সেরা আলোচনাগুলোঃ

১)স্বপ্নপূরণের পথে :: এ পি জে আবদুল কালাম 
পৃথিবীতে কেউ শ্রেষ্ঠ হয়ে জন্মগ্রহণ করে না। এটা একটা প্রক্রিয়া, যার মধ্য দিয়ে একজন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কিংবা একটা জাতি নিজের সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করে। সফলদের একটা স্বপ্ন থাকে। সেই স্বপ্নের পেছনেই তারা ছোটে। আগে থেকেই তারা প্রস্তুত থাকে যেকোনো ঝুঁকি মোকাবিলা করার জন্য। ব্যর্থ হলে তারা ভেঙে পড়ে না। বরং নতুন উদ্যমে কাজ করে যায়। নিজের সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে সংগ্রাম চালিয়ে যায়। তারা কারও সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে না। কিন্তু তারা নিজেদের সঙ্গেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। গতকাল যতটা কাজ করেছে আজ তার চেয়ে বেশি কাজ করে। আর প্রতিজ্ঞা করে, আজ যা কাজ করেছে তার চেয়ে বেশি কাজ করবে আগামীকাল। তুমিও তা-ই করো। এভাবেই শ্রেষ্ঠত্ব আসে। এভাবেই স্বপ্ন হয় সত্যি। .....[বিস্তারিত পড়ুন]

২) তোমরা কি জানো স্বপ্নের শুরুটা কোথায় :: চেতন ভাগত
সবার জীবনের একই স্বপ্ন, সফল হওয়া। আর সফলতা হলো প্রদীপের শিখার মতো। প্রদীপ জ্বালাতে তুমি কী করো? প্রথমত, প্রদীপে তেল দাও, যেন জ্বলার জন্য যথেষ্ট জ্বালানি সে পায়। পাশাপাশি কিছু একটা দিয়ে প্রদীপটা আড়ালে রাখো, যেন তা ঝড়-বাতাসের আঘাতে দপ করে নিভে না যায়। সফল হওয়ার স্বপ্নটাও ঠিক সে রকমই। প্রথমত চাই প্রবল ইচ্ছাশক্তি, যার ওপর ভর করে তুমি সফলতার দিকে এগোবে। দ্বিতীয়ত, স্বপ্নটাকে আগলে রাখা চাই। স্বপ্নকে আঁকড়ে ধরে রাখতে হয়, যেন তা কোনোভাবেই ভেঙে না যায়। ..... [বিস্তারিত পড়ুন]

৩)ক্ষুধার্ত থেকো বোকা থেকো - স্টিভ জবস
তোমাকে অবশ্যই তোমার ভালোবাসার কাজটি খুঁজে পেতে হবে, ঠিক যেভাবে তুমি তোমার ভালোবাসার মানুষটিকে খুঁজে বের করো। তোমার জীবনের একটা বিরাট অংশজুড়ে থাকবে তোমার কাজ, তাই জীবন নিয়ে সত্যিকারের সন্তুষ্ট হওয়ার একমাত্র উপায় হচ্ছে এমন কাজ করা, যে কাজ সম্পর্কে তোমার ধারণা, এটা একটা অসাধারণ কাজ। আর কোনো কাজ তখনই অসাধারণ মনে হবে, যখন তুমি তোমার কাজটিকে ভালোবাসবে। যদি এখনো তোমার ভালোবাসার কাজ খুঁজে না পাও, তাহলে খুঁজতে থাকো। অন্য কোথাও স্থায়ী হয়ে যেয়ো না। তোমার মনই তোমাকে বলে দেবে, যখন তুমি তোমার ভালোবাসার কাজটি খুঁজে পাবে। যেকোনো ভালো সম্পর্কের মতোই, তোমার কাজটি যতই তুমি করতে থাকবে, সময় যাবে, ততই ভালো লাগবে। সুতরাং খুঁজতে থাকো, যতক্ষণ না ভালোবাসার কাজটি পাচ্ছ। অন্য কোনোখানে নিজেকে স্থায়ী করে ফেলো না। ..... [বিস্তারিত পড়ুন]

৪) স্বপ্ন কখনো হারায় না :: ল্যারি পেইজ 
আমার যখন ২৩ বছর বয়স, তখন এ রকম স্বপ্ন আমি দেখেছিলাম। হঠাৎ করে যখন আমি জেগে উঠলাম, ‘তখন চিন্তা করছিলাম, আমরা কি পুরো একটি ওয়েব পেজ ডাউনলোড করতে পারি শুধু এর লিংকটা দিয়ে?’ তখনই আমি একটি কলম ও খাতা নিয়ে লেখা শুরু করে দিলাম। মাঝেমধ্যে এভাবে স্বপ্ন দেখা বন্ধ করে জেগে উঠতে হয়। আমি মধ্যরাত পর্যন্ত সময় ব্যয় করেছি চিন্তাভাবনা করতে। আমি আমার উপদেষ্টার সঙ্গে কথা বলেছি ব্যাপারটি নিয়ে। তিনি আমাকে উৎসাহ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘তুমি চালিয়ে যাও, তুমি পারবে।’ কখনো চিন্তা ছিল না আমরা একটি ‘সার্চ ইঞ্জিন’ তৈরি করতে পারব। কিন্তু আমাদের চেষ্টা দিয়ে সফল হলাম। এভাবেই গুগলের জন্ম। যখন আমি মিশিগানে ছিলাম, তখন চিন্তা করতাম, কীভাবে স্বপ্নকে বাস্তবে আনা যায়। আমি বিভিন্ন কর্মশালায় গিয়ে নিজেকেই নিজে অনুপ্রাণিত করেছি। আমি মনে করি, স্বপ্ন কখনো হারায় না। সাময়িকভাবে লুকিয়ে থাকে মাত্র। যদি আমরা কঠোর পরিশ্রম করতে পারি, আর সেই পরিশ্রম যদি কোনো লক্ষ্য ঠিক রেখে করা যায়, তবে সমাধান আসবেই আসবে। ..... [বিস্তারিত পড়ুন]

৫)আমি এক স্বপ্ন দেখি :: মার্টিন লুথার কিং এর ঐতিহাসিক ভাষণ 
বন্ধুরা, আজ আমি আপনাদের বলছি, বর্তমানের প্রতিকূলতা ও বাধা সত্ত্বেও আমি আজও স্বপ্ন দেখি। আমার এই স্বপ্নের শেকড় পোঁতা আমেরিকান স্বপ্নের গভীরে। ...
আমি স্বপ্ন দেখি, একদিন এই জাতি জাগবে এবং বাঁচিয়ে রাখবে এই বিশ্বাস: ‘আমরা এই সত্যকে স্বতঃসিদ্ধভাবে গ্রহণ করছি: সব মানুষ সমান।’
আমি স্বপ্ন দেখি, একদিন জর্জিয়ার লাল পাহাড়ে সাবেক দাস আর সাবেক দাসমালিকের সন্তানেরা ভ্রাতৃত্বের এক টেবিলে বসতে সক্ষম হবে।
আমি স্বপ্ন দেখি, একদিন মরুময় মিসিসিপি রাজ্য, অবিচার আর নিপীড়নের উত্তাপে দম বন্ধ করা মিসিসিপি হয়ে উঠবে মুক্তি আর সুবিচারের মরূদ্যান। ..... [বিস্তারিত পড়ুন]

৬)জীবনটাকে নিতে হবে হালকাভাবে - জেরি ইয়াং 
আজ থেকে তোমাদের নতুন জীবনের পথে যাত্রা শুরু হচ্ছে। সামনের জীবনটা অনেক সুন্দর। কিন্তু তোমাদের মনে নিশ্চয় অনেক জিজ্ঞাসা আর সংশয় রয়েছে। জীবনটা কী, সেটা জানার চেষ্টা রয়েছে। তাহলে তোমাদের বিখ্যাত মনীষী রালফ ওয়ালডো এমারসনের একটা কথা শোনাই, ‘জীবন হলো অনেকগুলো শিক্ষণীয় বিষয়ের সমন্বয়, যে বিষয়গুলো জানতে পুরো জীবন পার করতে হবে।’
তাহলে আর ভাবনা কিসের! জীবন তো অনেক বড়! তোমার দায়িত্ব হলো এই জীবনের অচেনা-অজানা পথে হেঁটে যাওয়া। ভাবনামুক্ত থাকো, শিখতে থাকো, জানতে থাকো। তবে জীবনের এ যাত্রায় তোমার কাছের মানুষদের কথা কখনো ভুলে যেয়ো না। কারণ, তারা জানে তুমি কে, তুমি কী করতে পারো। তুমি তাদের কাছে অনেক কিছু। জীবনের পথে যাদের পাশে পেয়েছ তাদের কখনো ভুলে যেয়ো না। ..... [বিস্তারিত পড়ুন]

৭)সফল হবার ইচ্ছাটা থাকা চাই - জে কে রাওলিং 
একসময় আমার জীবনটা অন্ধকারে ছিল। আমার কোনো ধারণা ছিল না, কী হচ্ছে বা কী হতে যাচ্ছে। আমার ধারণা ছিল না, এই অন্ধকারের খালটি কত বিস্তৃত হবে। তবে কেন জানি মনে হতো, একটি দিক থেকে হয়তো আলো আসবে।

আমি নিজের ওপর বিশ্বাসের জোরটাকে বাড়িয়ে দিয়েছিলাম। আমি আমাকে বোঝাতে চাইতাম, আমি কী। তার পর থেকে আমি সরাসরি আমার শক্তি বা সামর্থ্যকে ব্যবহার করেছি কোনো কাজের ভালো একটা ইতি টানতে। আমি বিশ্বাস করতাম, আমি যেকোনোভাবেই সফল হব। আমার সাফল্য কখনোই কোনো নির্দিষ্ট একটা পথ বেয়ে আসেনি। আমি বিশ্বাস করতাম, আমি সত্যিকার অর্থেই আমার সঙ্গে আছি। আমি নিজেকে মুক্ত করেছিলাম। কারণ আমার ছিল নিজেকে চেনার বিশাল এক ক্ষমতা। আমি বিশ্বাস করতাম আমাকে। আমি আমার নিম্নবিত্ত মা-বাবার মেয়ে ছিলাম। আমার একটি পুরোনো টাইপ রাইটার ছিল এবং এর সঙ্গে ছিল বড় একটা স্বপ্ন। এ বাস্তবতাই আমাকে নতুন করে, সক্ষম করে গড়ে তুলেছে। ..... [বিস্তারিত পড়ুন]

৮)  পরিশ্রম করলেই কেবল ভাগ্য সহায় হয় - জেমস ক্যামেরন 
শিক্ষাজীবনে খারাপ নই, ছাত্র হিসেবে ভালোই ছিলাম। কারণ পুরোটাই ছিল জানার প্রতি আমার সহজাত তীব্র আকর্ষণ। আমি কাউকেই খুশি করার জন্য পড়িনি। কখনো প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক পড়াশোনাও হয়নি যে কাউকে টপকে ভালো করতে হবে। আমি জানতে চাইতাম, শিখতে চাইতাম—বিজ্ঞান, ইতিহাস, গণিত সবকিছু। অবসর সময়ে শহরের পাঠাগারগুলোয় সময় কেটে যেত আমার। অনেক সায়েন্স ফিকশন পড়েছি, যা বাস্তবতা ও কল্পনার মাঝের রেখাকে ধীরে ধীরে অস্পষ্ট করে তুলেছে। বই আর লেখকদের অভিনব জগৎ আমাকে অদ্ভুতভাবে টানত। আর্থার ক্লার্ক, জন ভগ্ট, হার্লান এলিসন, ল্যারি নিভেন সবাই আমাকে প্রভাবিত করেছেন। ..... [বিস্তারিত পড়ুন]

৯)  মুচি থেকে প্রেসিডেন্ট - লুলা ডি সিলভা 
জন্ম ১৯৪৫ সালে। বয়সের ঘর থেকে মুছে গেছে তাঁর ৬৪টি বছর। কিন্তু মুছে যায়নি শৈশব-কৈশোরের কষ্টের স্মৃতিগুলো। তিনি প্রথম পড়তে শেখেন ১০ বছর বয়সে। এরপর চতুর্থ শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করার সুযোগ পেয়েছেন তিনি। সাত বছর বয়সে বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করেন। এরপর সংসারের আয়রোজগারের দায়িত্ব পড়ে তাঁর ওপর। বন্ধুরা যখন স্কুলে, ১৪ বছরের কিশোর লুলা দা সিলভা তখন রাস্তার মোড়ে বসে আছে রং-পলিশ নিয়ে। কী কাজ তাঁর? পথচারীর জুতা পলিশ। আজকের ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা দা সিলভা সেদিন ছিলেন রাস্তার মুচি! কিন্তু এই কাজে কত আর আসে? তাতে তো আর সংসার চলে না। কাজ নিলেন লেদ ফ্যাক্টরিতে। একদিন কাজ করতে গিয়ে তাঁর বাঁ হাতের কড়ে আঙুলের অর্ধেকাংশ কেটে গেল। কাটা আঙুল নিয়ে দৌড়ে গেলেন আশপাশের হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসার জন্য। ঝরঝর করে রক্ত ঝরছে। কিন্তু সামান্য শ্রমিকের কথা কে শোনে! বিনা পয়সায় তো আর চিকিৎসা হয় না! এই ঘটনা তাঁকে প্রচণ্ড রকম নাড়া দেয়। তাঁর ইচ্ছে হলো, শ্রমিকদের নিয়ে একটা সংঘ গড়ে তুলবেন। এই ইচ্ছেটাই শেষে জেদে পরিণত হয়, যখন বিনা চিকিৎসায় মারা গেলেন তাঁর স্ত্রী মারিয়া। এরপর বড় ভাইয়ের প্রেরণায় উদ্বুদ্ধ হয়ে রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন তিনি। .... [বিস্তারিত পড়ুন]

আপনাদের ব্যক্তি জীবনের উত্তরোত্তর সাফল্য ও সমৃদ্ধি কামনা করি। মহান আল্লাহ তা'আলা যেন আমাদেরকে আর আমাদের চারপাশের মানূষদেকে নিয়ে আরো সুন্দর জীবন যাপনের সুযোগ দেন।

বিয়ে নিয়ে আলাপ

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ "সমগ্র পৃথিবীটাই সম্পদে পরিপূর্ণ। এর মধ্যে কল্যাণকর ও উত্তম সম্পদ হল চরিত্রবান নেককার স্ত্রী।" মুসলিম]
* * * * * * *
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ "যে ব্যক্তির চরিত্র এবং ব্যবহার সবচেয়ে উত্তম ঈমানের দিক থেকে সে-ই পরিপূর্ণ মুমিন। তোমাদের মধ্যে সেইসব লোক সবচেয়ে ভালো যারা তাদের স্ত্রীদের জন্য ভালো।" [তিরমিযি]
* * * * * * *
কোন শরীয়াত সম্মত কারণ বা প্রয়োজন ছাড়া পুরুষ লোকদের নিকট কোন নারীর শারীরিক সৌন্দর্যের বর্ণনা দেয়া নিষেধ। তবে বিবাহ-শাদী বা এ জাতীয় কোন প্রয়োজনে শারীরিক গঠন-প্রকৃতির বর্ণনা দেয়া জায়েজ।

আব্দুল্লাহ ইবনে মাস'উদ (রাদিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,"কোন নারী যেন তার অনাবৃত শরীর অন্য কোন নারীর অনাবৃত শরীরের সাথে না লাগায় এবং সে যেন তার (অপর নারীর) শারীরিক সৌন্দর্য নিজের স্বামীর নিকট এমনভাবে বর্ণনা না করে, যেন সে তাকে সচক্ষে দেখছে।" [বুখারী ও মুসলিম]
# রিয়াদুস সলিহীন: ১৭৪২
* * * * * * *

আবু হুরাইরা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, "আল্লাহ সেই ব্যক্তির প্রতি সদয় হোন, যে রাতে ঘুম থেকে জেগে উঠে তাহাজ্জুদের নামায পড়ে এবং তার স্ত্রীকেও জাগায়, আর স্ত্রী যদি উঠতে দ্বিধা করে তাহলে তার মুখে পানি ছিটিয়ে দেয়। আল্লাহ সেই মহিলার প্রতি সদয় হোন, যে রাতে ঘুম থেকে উঠে তাহাজ্জুদের নামায পড়ে এবং নিজের স্বামীকেও জাগায়, আর স্বামী উঠতে দ্বিধা করলে তার মুখে পানি ছিটিয়ে দেয়।"# রিয়াদুস সলিহীন : ১১৮৩
[ইমাম আবু দাউদ সহীহ সনদে এ হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন] 
* * * * * * *

"আমার কাছ থেকে মেয়েদের সাথে সদ্ব্যবহার করার শিক্ষা গ্রহণ কর। কেননা নারী জাতিকে পাঁজরের বাঁকা হাড় থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে। পাঁজরের হাড়গুলোর মধ্যে ওপরের হাড়টা সর্বাপেক্ষা বাঁকা। অতএব তুমি যদি সোজা করতে যাও, তবে ভেঙ্গে ফেলার সম্ভাবনা রয়েছে। আর যদি ফেলে রাখ তবে বাঁকা হতেই থাকবে। অতএব, নারীদের সাথে ভালো ব্যবহার কর। " [বুখারী ও মুসলিম]
* * * * * * *

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ
"চারটি বিষয়কে সামনে রেখে মেয়েদেরকে বিয়ে করা যেতে পারেঃ তার ধন সম্পদ, তার বংশমর্যাদা, তার রূপ-সৌন্দর্য ও তার ধর্মপরায়নতা। এক্ষেত্রে ধর্মপরায়ন স্ত্রী লাভে বিজয়ী হও, তোমার হাত কল্যাণে ভরে যাবে।"[বুখারী ও মুসলিম]

* * * * * * *
হযরত মু'আবিয়া ইবন হাইদাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
"আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমাদের কোন ব্যক্তির ওপর তার স্ত্রীর কি অধিকার রয়েছে?
তিনি বললেনঃ তুমি যখন আহার কর তাকেও আহার করাও, তুমি যখন পরিধান কর, তাকেও পরিধান করাও, কখনও চেহারা বা মুখমন্ডলে প্রহার করো না, কখনো অশ্লীল ভাষায় গালি দিয়ো না এবং ঘরের মধ্যে ছাড়া তার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ো না।" [আবু দাউদ]
#রিয়াদুস সালেহীন – ২৭৫

* * * * * * *
আল্লাহ বলছেনঃ"আর এক নিদর্শন এই যে, তিনি তোমাদের জন্যে তোমাদের মধ্য থেকে তোমাদের সংগিনীদের সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা তাদের কাছে শান্তিতে থাক এবং তিনি তোমাদের মধ্যে পারস্পরিক সম্প্রীতি ও দয়া সৃষ্টি করেছেন। নিশ্চয় এতে চিন্তাশীল লোকদের জন্যে নিদর্শনাবলী রয়েছে"। [সূরা আর-রুমঃ ২১]

* * * * * * *
আল্লাহ বলেছেনঃ
"…নির্লজ্জতার কাছেও যেয়ো না, প্রকাশ্য হোক কিংবা অপ্রকাশ্য…" -- [সূরা আনআম - ১৫১]
"যারা পছন্দ করে যে, ঈমানদারদের মধ্যে ব্যভিচার প্রসার লাভ করুক, তাদের জন্যে ইহাকাল ও পরকালে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি রয়েছে…" -- [আন নূর :১৯]
"মুমিনদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি নত রাখে এবং তাদের যৌনাঙ্গর হেফাযত করে। এতে তাদের জন্য খুব পবিত্রতা আছে… " — [সূরা আন নূর :৩০]

* * * * * * *
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ
"কোন মুসলমান পুরুষ যেন কোন মুসলমান মহিলার প্রতি হিংষা-বিদ্বেষ ও শত্রুতা পোষণ না করে, কেননা তার কোন একটি দিক তার কাছে খারাপ লাগলেও অন্য একটি দিক তার পছন্দ হবে। অথবা তিনি (নবী) অনুরূপ কথা বলেছেন।" [মুসলিম]

* * * * * * *
মুসলিম ভাইয়েরা, একটু খেয়াল করে দেখি --
"মুমিনদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি নত রাখে এবং তাদের যৌনাঙ্গের হেফাজত করে। এতে তাদের জন্য খুব পবিত্রতা আছে। নিশ্চয় তারা যা করে আল্লাহ তা অবহিত আছেন।" [সূরা নুর, আয়াত :৩০]

রাসূলুল্লাহ (সা) বলেন, আল্লাহ বলেছেনঃ
দৃষ্টিপাত শয়তানের একটি শর। যে ব্যক্তি মনের চাহিদা সত্ত্বেও দৃষ্টি ফিরিয়ে নেয়, আমি তার পরিবর্তে তাকে সুদৃঢ় ঈমান দান করবো, যার মিষ্টতা সে অন্তরে অনুভব করবে। [তাবরানী]

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ
"যার চরিত্র যত সুন্দর এবং নিজ পরিবারের সাথে যার ব্যবহার যত নম্র ও কোমল, তার ঈমান ততই পূর্ণাঙ্গ এবং পরিপক্ক।" [তিরমিজী, হাকেম]

* * * * *
  "আমার স্ত্রীর জন্য আমি নিজেকে সুন্দর করে প্রস্তুত করতে ভালোবাসি ঠিক যেমনটা ভালোবাসি আমার স্ত্রী আমার জন্য সুন্দর হয়ে সাজলে।" — আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাদিয়াল্লাহু আনহু)
* * * * * * *

"সবচেয়ে সুখী ব্যক্তিই সেই যাকে আল্লাহ তা'আলা একজন পূণ্যবতী স্ত্রী দান করেছেন।" 
— আলী ইবনে আবু তালিব (রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু)
* * * * * * *

"বিবাহিত দম্পতিরা তাদের আনন্দ, কল্যাণ খুঁজে পায় তাদের সন্তানদের মাঝে, সন্তানদের গড়ে তোলা ও তাদের সাথে মধুর সম্পর্ক বজায় রাখার মাঝে। স্বামী-স্ত্রী দু'জনের মাঝে যে ভালোবাসা এবং রাহমাহ (দয়াশীলতা) বিরাজ করে তা সাধারণত আর কোথাও পাওয়া যায় না।" -- শাইখ আবদুর-রহমান আস-সা'দী 

* * * * * * *
"দ্বীনদার স্বামী-স্ত্রী পরস্পরকে তাদের দ্বীনকে মজবুত রাখার জন্য সহায়তা করে, সমর্থন করে এবং উপদেশ প্রদান করে যা তাদেরকে আল্লাহর আদেশ মেনে চলতে এবং পাপকাজ থেকে দূরে থাকতে সাহায্য করে।" -- ড. বিলাল ফিলিপস 
* * * * * * *
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ  "সমগ্র পৃথিবীটাই সম্পদে পরিপূর্ণ। এর মধ্যে কল্যাণকর ও উত্তম সম্পদ হল চরিত্রবান নেককার স্ত্রী।" [মুসলিম]     

* * * * * * *
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ  "যে ব্যক্তির চরিত্র এবং ব্যবহার সবচেয়ে উত্তম ঈমানের দিক থেকে সে-ই পরিপূর্ণ মুমিন। তোমাদের মধ্যে সেইসব লোক সবচেয়ে ভালো যারা তাদের স্ত্রীদের জন্য ভালো।" [তিরমিযি]

* * * * * * *
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ  "যার চরিত্র যত সুন্দর এবং নিজ পরিবারের সাথে যার ব্যবহার যত নম্র ও কোমল, তার ঈমান ততই পূর্ণাঙ্গ এবং পরিপক্ক।" [তিরমিজী, হাকেম]

 * * * * * * *
"যখন আমি বিয়ে এবং সন্তানলাভের মাহাত্ম্য সম্পর্কে শিখেছিলাম, আমি গোটা কুরআন পাঠ করে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলার কাছে দু'আ করেছিলাম যেন তিনি আমাকে দশটি সন্তান দান করেন। তিনি আমার দু'আ কবুল করেছিলেন এবং আমাকে পাঁচটি ছেলে এবং পাঁচটি কন্যা সন্তান দিয়েছিলেন।"      – ইবনে আল-জাওযি (রাহিমাহুল্লাহ)     [সিয়ার আল-আলাম আন-নুবালা, ২১/৩৭৫]

 * * * * * * *
"সে (পুরুষ লোকটি) যদি সুখী জীবন যাপন করতে চায়, তাকে প্রশস্ত হৃদয় নিয়ে ঘরে ফিরতে হবে এবং তার স্ত্রী ও সন্তানদের সাথে সামর্থ্যের সর্বোচ্চ উত্তম আচরণ করতে হবে।"      – শাইখ মুহাম্মাদ বিন সালিহ আল-উসাইমিন    [ফাতওয়া উলামা আল-বালাদ আল-হারাম, পৃ ৬৫৬]

* * * * * * *
 "আমি এমন অবিবাহিতদের কথা জানি যারা বিবাহিতদের হিংসা করেন কেননা তারা মনে করেন বিয়ে যেন কোন এক রূপকথার গল্প, আবার এমন বিবাহিতদের কথা জানি যারা অবিবাহিতদের হিংসা করেন কেননা তারা এখন উপলব্ধি করছেন বিয়ে কোন রূপকথার গল্প নয়।"      – ইমাম ওমর সুলাইমান 

* * * * * * *
"সন্তানদের জন্য বিয়েকে সহজ করে দেয়া আমাদের জন্য ইবাদাত স্বরূপ। আর তাদের জন্য বিয়েকে কঠিন করে ফেলা একটি পাপ, যা অন্যান্য আরো অনেক পাপের জন্ম দেয়।"      – মুফতি ইসমাইল মেঙ্ক 
  * * * * * * *
 হযরত ফাতিমা (রাদিয়াল্লাহু আনহা) বলেনঃ      "সেই নারীগণ সর্বোত্তম যারা পুরুষদের দেখে না এবং পুরুষরা যাদের দেখতে পায় না।"      [আহকাম আন-নিসা, পৃ ২১৯]

 * * * * * * *
"যদি হৃদয়কে আঘাত পাওয়া থেকে রক্ষা করতে চান, তাহলে যা হারিয়ে যায় তার সাথে বন্ধন তৈরি করা থেকে বিরত থাকুন।"      – উস্তাদা ইয়াসমিন মোগাহেদ 

* * * *
মদীনার এক পল্লী। তখন রাত।

খলীফা উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু নাগরিকদের অবস্থা জানার জন্য মদীনার রাস্তায় ঘুরছিলেন। হঠাৎ এক বাড়িতে এক বৃদ্ধা ও তার কন্যার কথোপকথন শুনে দাঁড়ালেন। কান পাতলেন তিনি।

বৃদ্ধা মেয়েকে বলছেন, "মা, দুধে পানি মিশিয়ে বিক্রি করলে হয়না? তাহলে আমাদের অবস্থা আরো সচ্ছল হয়"।
কন্যা তার উত্তরে বললো, "তা কি করে হয়, মা। খলীফার হুকুম, কেউ দুধে পানি মিশাতে পারবে না"।
বৃদ্ধা বলল,"হোক না খলীফার আদেশ, কেউ তো আর দেখছে না"।
কন্যা প্রতিবাদ করে বলল,"না মা তা হয়না। প্রত্যেক বিশ্বাসী মুসলমানের কর্তব্য খলীফার আদেশ মেনে চলা। খলীফা না দেখতে পান, কিন্তু আল্লাহ তো সর্বব্যাপী, তার চোখে ধুলো দেব কি করে?"

খলীফা উমার (রা) দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সব কথা শুনলেন। তারপর বাড়িতে ফিরে এলেন। তিনি ঘটনাটা ভুলতে পারলেন না। ভাবলেন, অজানা ঐ মেয়েটিকে কি পুরষ্কার দেয়া যায়। অনেক ভেবে একটা সিদ্ধান্ত নিলেন।

পরদিন দরবারে এসে খলীফা সেই অজানা মেয়েটিকে ডাকলেন। ডাক পেয়ে মা ও মেয়ে ভীতত্রস্ত কম্পিত পদে খলীফার দরবারে উপস্থিত হল।

তারা উপস্থিত হলে খলীফা তার পুত্রদের ডাকলেন। পুত্রদের নিকট গত রাতের সমস্ত বিবরণ দিয়ে তিনি তাদের আহবান করে বললেন, "কে রাযী হবে এই কন্যাকে গ্রহণ করতে? এর চেয়ে উপযুক্ত কন্যা আমি আর খুঁজে পাইনি।"

পুত্রদের একজন তৎক্ষণাৎ রাযী হলো। কন্যাও সম্মতি দিল। খলীফার ছেলের সাথে বিয়ে হয়ে গেলো মেয়েটির।

[মূলঃ আমরা সেই সে জাতি -- আবুল আসাদ]

* *  * *
বিলাল রাদিয়াল্লাহু আনহু এর ভাই আবু রুয়াইহা আশিয়ানি।

ইয়েমেনি এক পরিবারে সেই ভাই বিয়ে করার ইচ্ছা করলেন। তিনি ধরলেন তার ভাই বিলাল রাদিয়াল্লাহু আনহুকে তার বিয়ের পয়গাম পৌছাবার জন্য।

ভাইয়ের অনুরোধে রাজী হলেন বিলাল রাদিয়াল্লাহু আনহু। তিনি ভাইয়ের বিয়ের পয়গাম নিয়ে গেলেন সেই ইয়েমেনি পরিবারে। তিনি গিয়ে বললেন, আমি বিলাল বিন রাবাহ, আবু রুয়াইহা আমার ভাই। তার ধর্ম ও চরিত্র দুইই খারাপ। আপনাদের ইচ্ছা হয় তারঁ সাথে আত্মীয়তা করুন, না হয় করবেন না।

বিলাল (রা) ভাইয়ের পয়গাম নিয়ে গিয়েও ভাইয়ের দোষ গোপন করলেন না। অথচ কথাবার্তার মাধ্যম বা মধ্যস্থতাকারী হিসেবে এই দোষগুলো প্রকাশ করা তার জন্য স্বাভাবিক ছিল না।

বিলাল (রা)-এর এই স্পষ্টবাদিতা ও সততায় মুগ্ধ হল কনেপক্ষ। তারা বলল, এরকম একজন সত্যবাদী লোক তাদের মেয়ের বিয়ের পয়গাম এনেছে, এটা তাদের জন্য সৌভাগ্য, গৌরবের বিষয়। তারা বিয়ের প্রস্তাবে রাজি হয়ে গেল।

[মূল : আমরা সেই সে জাতি - আবুল আসাদ]

* * * *

হযরত উসমান (রা) এর শাসনকাল । নীল ভূমধ্যসাগর তীরের তারাবেলাস নগরী । পরাক্রমশালী রাজা জার্জিসের প্রধান নগরী এটা । এই পরাক্রমশালী রাজা ১ লক্ষ ২০ হাজার সৈন্য নিয়ে আবদুল্লাহ ইবন সা'দের নেতৃত্বাধীন মুসলিম বাহিনীর অগ্রাভিযানের পথ রোধ করে দাঁড়ালেন । স্বয়ং রাজা জার্জিস তার বাহিনীর পরিচালনা করছেন । পাশে রয়েছে তার মেয়ে । অপরূপ সুন্দরী তার সে মেয়ে ।

যুদ্ধ শুরু হল । জার্জিস মনে করেছিলেন তার দুর্ধর্ষ বাহিনী এবার মুসলিম বাহিনীকে উচিত শিক্ষা দেবে। কিন্তু তা হল না । মুসলিম বাহিনীর পাল্টা আঘাতে জার্জিস বাহিনীর ব্যুহ ভেঙ্গে পড়ল । উপায়ান্তর না দেখে তিনি সেনা ও সেনানীদের উৎসাহিত করার জন্য ঘোষণা করলেন, "যে বীর পুরুষ মুসলিম সেনাপতি আবদুল্লাহর ছিন্ন শির এনে দিতে পারবে, আমার কুমারী কন্যাকে তার হাতে সমর্পণ করবো ।"
জার্জিসের এই ঘোষণা তার সেনাবাহিনীর মধ্যে উৎসাহের এক তড়িৎ প্রবাহ সৃষ্টি করল । তাদের আক্রমণ ও সমাবেশে নতুন উদ্যোগ ও নতুন প্রাণাবেগ পরিলক্ষিত হলো । জার্জিসের সুন্দরী কন্যা লাভের উদগ্র কামনায় তারা যেন মরিয়া হয়ে উঠল। তাদের উন্মাদ আক্রমণে মুসলিম রক্ষা ব্যুহে ফাটল দেখা দিল । মহানবীর শ্রেষ্ঠ সাহাবাদের একজন- হযরত যুবাইর (রা)ও সে যুদ্ধে শরীক ছিলেন । তিনি সেনাপতি সা'দকে পরামর্শ দিলেন, "আপনিও ঘোষণা করুন, যে তারাবেলাসের শাসনকর্তা জার্জিসের ছিন্নমুন্ড এনে দিতে পারবে, তাকে সুন্দরী জার্জিস দুহিতাসহ এক হাজার দিনার বখশিশ দেয়া হবে ।" যুবাইরের পরামর্শ অনুসারে সেনাপতি সা'দ এই কথাই ঘোষণা করে দিলেন ।

তারাবেলাসের প্রান্তরে ঘোরতর যুদ্ধ সংঘটিত হলো । যুদ্ধে জার্জিস পরাজিত হলেন । তার কর্তিত শিরসহ জার্জিস কন্যাকে বন্দী করে মুসলিম শিবিরে নিয়ে আসা হলো । কিন্তু এই অসীম সাহসিকতার কাজ কে করলো? এই বীরত্বের কাজ কার দ্বারা সাধিত হলো? যুদ্ধের পর মুসলিম শিবিরে সভা আহূত হলো । হাজির করা হলো জার্জিস-দুহিতাকে । সেনাপতি সা'দ জিজ্ঞেস করলেন, "আপনাদের মধ্যে যিনি জার্জিসকে নিহত করেছেন, তিনি আসুন । আমার প্রতিশ্রুত উপহার তাঁর হাতে তুলে দিচ্ছি ।"

কিন্তু গোটা মুসলিম বাহিনী নীরব নিস্তব্ধ । কেউ কথা বললো না, কেউ দাবী নিয়ে এগুলোনা । সেনাপতি সা'দ বারবার আহ্বান জানিয়েও ব্যর্থ হলেন। এই অভূতপূর্ব ব্যাপার দেখে বিস্ময়ে হতবাক হলেন জার্জিস দুহিতা । তিনি দেখতে পাচ্ছেন তার পিতৃহন্তাকে । কিন্তু তিনি দাবী নিয়ে আসছেন না কেন? টাকার লোভ, সুন্দরী কুমারীর মোহ তিনি উপেক্ষা করছেন? এত বড় স্বার্থকে উপেক্ষা করতে পারে জগতের ইতিহাসে এমন জিতেন্দ্রীয় যোদ্ধা-জাতির নাম তো কখনও শুনেননি তিনি । পিতৃহত্যার প্রতি তার যে ক্রোধ ও ঘৃণা ছিল, তা যেন মুহূর্তে কোথায় অন্তর্হিত হয়ে গেল । অপরিচিত এক অনুরাগ এসে সেখানে স্থান করে নিল ।

অবশেষে সেনাপতির আদেশে জার্জিস দুহিতাই যুবাইরকে দেখিয়ে দিলেন । বললেন, "ইনিই আমার পিতৃহন্তা, ইনিই আপনার জিজ্ঞাসিত মহান বীর পুরুষ ।" সেনাপতি সা'দ যুবাইরকে অনুরোধ করলেন তাঁর ঘোষিত উপহার গ্রহণ করার জন্য ।

যুবাইর উঠে দাঁড়িয়ে অবনত মস্তকে বললেন, "জাগতিক কোন লাভের আশায় আমি যুদ্ধ করিনি । যদি কোন পুরষ্কার আমার প্রাপ্য হয় তাহলে আমাকে পুরষ্কৃত করার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট ।"

[মূল : আমরা সেই সে জাতি – আবুল আসাদ]

কিছু ইসলামি সাহিত্যের ইবুক লিঙ্ক

হেজাজের তুফান এনায়েতুল্লাহ আলতামাশ
http://www.pdf-archive.com/2014/02/18/hejajer-tufun-1-subahesadiq-wordpress-com/preview/page/5/

লৌহ মানব নসীম হিজাযী
http://www.pdf-archive.com/2014/09/07/louho-manob/preview/page/7/

আরব দুহিতা
http://www.pdf-archive.com/2013/12/08/arab-duhita-subahesadiq-wordpress-com/preview/page/2/
সুখময় জীবনের সন্ধানে - শাইখ আল আরিফি copy1
সুখময় জীবনের সন্ধানে - শাইখ আল আরিফি copy2 http://www.mediafire.com/download/iyxe1lbg2tf2hcw/Sukhmoy+Jiboner+Shondhane.pdf

ইউসুফ বিন তাশফিন http://www.mediafire.com/?aw5io4ddj31id1l

ভারত যখন ভাংলো http://www.mediafire.com/?kii4ciztkdebvyd

খুন রাঙ্গা পথ http://www.mediafire.com/?0wc8o4vlijqf1be

মুহম্মদ ইবন কাসিম http://www.mediafire.com/?2jimpl7p392k

মানুষ ও দেবতা http://www.mediafire.com/?g8lnl7l0j2occ0c

কিং সায়মনের রাজত্ব http://www.mediafire.com/?g8lnl7l0j2occ0c

​​বিয়ের জন্য একটা মেয়ের সচরাচর কেমন ছেলে খোঁজ করা উচিত?

​​বিয়ের জন্য একটা মেয়ের সচরাচর কেমন ছেলে খোঁজ করা উচিত?

১) এমন একজন যে আল্লাহর কথা স্মরণ রাখে ও জবাবদিহিতার ভয় করে। সেক্ষেত্রে সে কখনো আপনার প্রতি অত্যাচার করবে না।
২)  যে উদার ও দানশীল এবং সচরাচর বদরাগী নয়, যে আপনার জন্য খরচ করতে কার্পণ্য করবে না।
৩) এমন একজন যে ভালোবাসতে জানে তাহলে সে আপনি যেমনটা আকাঙ্ক্ষা করেন তেমনটি আপনার জন্য করতে পারবে।
৪) যে লক্ষ্য অর্জনে দৃঢ় থাকে তাহলে আপনি তার সাথে একসাথে জান্নাতের লক্ষ্যে কাজ করতে পারবেন।
৫) আপনি তার যোগ্য কিনা সেই ব্যাপারটি অবশ্যই লক্ষ্য রাখবেন।

[মূল : নাভেইদ আজিজ]

ম্যাজিস্ট্রেটের প্রেম বিদ্বেষ

সপ্তাহ খানেক আগের ঘটনা। একটা কাজে বনানী যাওয়া দরকার ছিল।যেহেতু হরতাল ছিল, গাড়ি বের না করে বাসেই যাওয়া মনঃস্থির করলাম। বাসে উঠে পিছন দিকের একটি সিট খালি আছে দেখতে পেয়ে সেদিকে এগুলাম। যেতে যেতে আমার সিটের ঠিক আগের সিটেই একটা ছেলে ও একটা মেয়েকে দেখে চোখ আটকে গেল। কারন ছিল তাদের অস্বাভাবিক কার্যকলাপ। অসম্ভব দৃষ্টিকটু ছিলো ব্যাপারটি। সিটে বসতে বসতে খেয়াল করলাম বাসের কন্ডাক্টার লোকটি ঘৃণার ও হতাশার দৃষ্টি নিয়ে একবার তাদের দিকে তাকাচ্ছে, একবার আমার দিকে। যেন বলতে চাইছে, "দেখসেন মামা, বাসের মধ্যে এগুলান কি শুরু করসে?"

প্রচন্ড জোরে ধমক দিয়ে উঠলাম, "এই ছেলে! সোজা হয়ে বসো। ওর পিছন থেকে হাত সরাও এখনই। পাবলিক বাসে এসব কি শুরু করসো অসভ্য কোথাকার!" সাথে সাথে কাজ হলো, ছেলেটি হাত সরিয়ে সোজা হয়ে বসলো। আর মেয়েটি ভালো সাজার জন্য আশপাশের সবাইকে শুনিয়ে ক্ষীণ সরে দুই একবার ছেলেটিকে বলল, "তোমাকে না আগেই মানা করসিলাম। ম্যা ম্যা।" আসলে ঢঙ, পুরাই শয়তান একটা। পরবর্তি স্টপেজ আসার সাথে সাথে দুজন বাস থেকে পালিয়ে বাঁচল।

বছর খানেক আগের কথা, গ্রামে বেড়াতে গিয়ে গ্রামের কিছু ভাই ও সমবয়সীদের সাথে ঘুরে বেড়াচ্ছিলাম। গুটি কয়েক দোকান নিয়ে করা গ্রামের বাজারে বসে চা খাচ্ছি। পাশের আরেকটি দোকানের সামনে মুরুব্বী গোছের কিছু লোক চা খাচ্ছে ও গল্প করছে। এমন সময় খেয়াল করলাম একটি ছেলে সাইকেল নিয়ে বাজার অতিক্রম করার সময় মুরুব্বিদের দোকানের সামনে আসতেই সাইকেল থেকে নেমে হেঁটে হেঁটে দোকান পার হল,তারপর আবার সাইকেলে ঊঠে সেটি চালিয়ে চলে গেলো। আমি সেদিন ভীষণ অবাক হয়েছিলাম। পরে জানতে পেরেছিলাম যে এটিই নিয়ম। গ্রামের প্রতিটি ছেলেই মুরুব্বীদের শ্রদ্ধা-সন্মান প্রদর্শন করে এমনটি করে থাকে। আরো অবাক হয়েছিলাম এক গ্রাম থেকে আরেক গ্রামে মহিলাদের যাতায়াত দেখে। তারা এমনিতেই বোরখা পরতেন। তারপরও যাতায়াতের সময় পুরো রিকশা বাড়তি একটা চাদরে সামনে থেকে ঢেকে রাখতেন। ঢাকা তথা শহরে এতটা আদব-লেহাজ ও সভ্যতা না দেখলেও প্রকাশ্যে পুরোদস্তর নোংরামিও অতটা দেখিনি হাতেগোনা কিছু ব্যাতিক্রম ছাড়া, তাও একটি নির্দিষ্ট মহলের মধ্যে। এই অল্প কিছুদিনে কি এমন হলো যে দৃশ্যপট পুরোপুরি বদলে গেলো? শুধু শহরে না, গ্রামেও। গ্রাম থেকে আসা অনেকের সাথে এসব বিষয়ে কথা হলে তারাই সাক্ষ্য দেয় যে তাদের মতে গ্রামের অবস্থা এখন শহরের চেয়েও খারাপ। আল্লাহ্‌ ভালো জানেন।

উপরোল্লিখিত কিছুদিন আগের বাসের ঘটনা ও বেশ আগেকার গ্রামের ঘটনা দুটোই ভুলে গিয়েছিলাম। মনে পড়ার কারন সাম্প্রতিক একটি ঘটনা। বগুড়ার একজন ম্যাজিস্ট্রেট কয়েকদিন আগে একটি পার্কে যুবক যুবতীদের অবাধে প্রেম ও অনৈতিক কর্মকান্ডে লিপ্ত হওয়ার জন্য আটক ও জরিমানা করেন। যেখানে এই ম্যাজিস্ট্রেটকে জাতীয়ভাবে সাধুবাদ জানানো উচিৎ সেখানে দেখা যাচ্ছে এক শ্রেনির মানুষরূপী শয়তান এই ভদ্রলোককে দোষারোপ করছে, গালমন্দ করছে, এমনকি এই ব্যবস্থা নেয়ার অপরাধে উল্টো তার বিচার দাবী করছে! প্রেম করা কি অপরাধ? সরকার কি প্রেম করা নিষিদ্ধ করেছে? দেশ কি তালিবান আইএসদের দখলে চলে গেলো? আরো কত কি!

একটা জাতিকে নষ্ট করতে খুব বেশি কিছু লাগে না। একজন হুমায়ুন আহমেদ, একজন জেমস, একজন জাফর ইকবাল – এমন কিছু লোকই যথেষ্ট। ও হ্যাঁ, সাথে আরো কিছু লাগে। লাগে চেতনা আর ফালতু আবেগ।

শেষ করছি সালাউদ্দিন আইয়ুবি (রাহ:) এর একটি উক্তি দিয়ে, "একটা জাতিকে যদি তুমি যুদ্ধ ছাড়াই ধ্বংস করতে চাও, তবে তার যুবসমাজে জেনা-ব্যাভিচার আর উলঙ্গপনার বিস্তার ঘটাও।

-- লিখেছেন: Asif Ishtiak

কেমন ছিলেন মুহাম্মাদ (সা) ?

কেমন ছিলেন মুহাম্মাদ ? (সল্লাল্লহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম)

তাঁর জীবনের দিকে তাকালে সবচাইতে বেশি যে বিষয়টা আমাকে আলোড়িত করে, তা এই না যে তিনি শৈশব থেকে আম্রত্যু কোন সুখ উপভোগ করেননি । বরং এই ভেবে আশ্চর্য হই যে, তাঁর জীবনের সবচাইতে সুখের মুহূর্তগুলোর পরেই তাঁকে স্পর্শ করেছে মর্মান্তিক কষ্ট ।

বদরের অভাবনীয় বিজয় যখন মুসলিম শিবিরে ছড়িয়ে দিল আনন্দের শিহরণ; সূরা আল আনফালের আয়াত নাযিল হবার পর, মনে হচ্ছিল, পৃথিবীর আর কোন দুঃখ কিংবা পঙ্কিলতা, তাওহীদের পতাকায় ঐক্যবদ্ধ মুসলিম বাহিনিকে কোনদিন স্পর্শ করতে পারবেনা । তিনি বাড়ি ফিরে দেখলেন, যে অসুস্থ মেয়ে রুকাইয়া আর নেই । বদরের আনন্দ তিনি উপভোগ করতে পারলেন না ।

উহুদে হামজাকে হারালেন । খন্দকের পর যয়নাব বিনতে জাহাশকে বিয়ে করবার জন্য প্রস্তুতি নিতে হল । হারালেন আনসারদের অবিসংবাদিত নেতা, কিংবদন্তি সা'দ বিন মু'আযকে ।

খাইবারের পর দারিদ্র্য ঘুচে গেল এতদিনের । আবিসিনিয়া থেকে প্রায় এক দশক পর ফিরে আসলেন চাচাতো ভাই জা'ফর বিন আবি তলিব । উনি বললেন, "আজ আমি বুঝতে পারছিনা যে কোনটিতে বেশি আনন্দিত হব ? খাইবারের বিজয়ে না জাফরকে ফিরে পেয়ে ।" আনন্দের অতিশায্যে চুমু খেলেন জা'ফরকে । কিন্তু জা'ফরও বেশিদিন বাঁচলেন না আর ।

সবশেষে নিজ মাত্রিভূমিতে ফিরে যাবার অধিকার ফিরে পেলেন । কিন্তু মক্কা বিজয়ের পর তাঁর নিজেরই বিদায় নেবার সময় এসে গেল । মৃত্যুসংবাদ পেলেন, "ফাসাব্বিহ বিহামদি রব্বিকা ওয়াসতাগফিরহু, ইন্নাহূ কানা তাওওয়াবা ।"

মদীনার একটা ঘটনা দিয়ে শেষ করি । সম্ভবত কোন এক দুপুরে শুয়ে ছিলেন তাঁর চিরপরিচিত চাটাইয়ের বিছানায় । তাঁর শরীরে, খেজুরের কিছু অসভ্য চাটাই, গভীর করে দাগ বসিয়ে দিচ্ছিল । এক সাহাবী তাঁর এই কষ্ট আবেগ সংবরণ করতে পারলেন না ।
নিশ্চয়ই রোম আর পারস্যের সম্রাটদের জন্য ছিল এই দুনিয়ার মসনদ । তাঁর জন্য তাঁর প্রতিপালক পুরোটাই তুলে রেখেছেন;
আমরা তাঁর সাথে দেখা হবার আশা রাখি ... ... ...
আমীন । ওয়া আখ্রি দাওয়ানা, আনিলহামদুলিল্লাহি রব্বিল 'আলামীন ।

==> Salman Saeed

বালিকাবধূ শব্দটা শুনলেই চোখ কপালে উঠে যায়

বালিকাবধূ শব্দটা শুনলেই চোখ কপালে, ক্যামেরা চোখে, হাত পত্রিকার কলামে এবং মুখে ফ্যানা উঠে যায়।


বালিকাবন্ধু শুনলে ভালোবাসা, ফাগুন, ফুল, হৃদয়, গোলাপ, 'কাছে আসার গল্প'--- বিবিধ আবেগে প্রচার যন্ত্র সাপ্লুত হয়ে পড়ে।


প্রথমক্ষেত্রে অন্তত দুজন মানুষকে সাক্ষী রেখে মেয়ের দায়িত্ব বাবার কাছ বুঝে নেওয়া হয়। ভালোবাসার ক্ষেত্রে আল্লাহর বিধিটা এমনই। ভালোলাগালাগির সাথে কর্তব্যবোধকে জুড়ে দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় ক্ষেত্রে বিকিকিনির মেলা। ভালোবাসার মত একান্ত অদৃশ্য আন্তরিক ব্যাপারটাকে নানারকম প্রাইস ট্যাগ লাগাতে পেরে শয়তানের খুশির সীমা থাকে না। শয়তানের সাফল্য এখানেই। সারা জীবনের সম্পর্কটাকে এক রাতে আবদ্ধ করাতে। মানবিক প্রেমকে কামজ স্বার্থপরতাতে পরিণত করাতে। আমরা সজ্ঞানে শয়তানের দাবা বোর্ডের গুটি হতে অস্বীকার করলাম। যেই আল্লাহ ছাড়া ইবাদাত পাওয়ার যোগ্য অন্য কোনো সত্তা নেই, আমরা সেই আল্লাহর দিকে মুখ ফেরালাম।

-- Sharif Abu Hayat Opu

স্বামী কেমন করে সংসার চালাবে?

একজন 'আলিমের বক্তব্য শুনছিলাম। পরিবারের ভিতরে পারস্পরিক সম্পর্কগুলো মজবুত রাখতে হবে কীভাবে তা নিয়ে কথা বলছিলেন। এক পর্যায়ে তিনি বললেন, 'ইবাদাহ দিয়ে পরিবারের বন্ধন দৃঢ় হয় না, বন্ধন দৃঢ় হয় আখলাক দিয়ে। এরপর বাখ্যা করলেন বিষয়টা। আমি তাঁর কথাগুলো কাছাকাছি নিজের ভাষায় বলছি-

পরিবারের ভিত্তি হবে 'ইবাদাহ কিন্তু সেই পরিবার সাজাতে হবে আখলাক দিয়ে। ফরয-ওয়াজিব অন্তত আদায় করে এমন কাউকেইতো পছন্দ করতে হবে জীবনসঙ্গী হিসেবে। কিন্তু আদর্শ পরিবার গড়ে তুলতে হলে শুধু সালাত-সিয়াম-তাহাজ্জুদগুজার হওয়াই যথেষ্ট নয়। একারণেই অনেক প্র্যাক্টিসিং মুসলিম পরিবারেও অশান্তি লেগেই থাকে। অথচ সেখানে সালাত-সিয়াম-দারসের কমতি হয়না কখনো। তাহলে সমস্যাটা কোথায়? এই বিষয়ে রাসূল(সা) তাঁর গৃহাভ্যন্তরে কেমন ছিলেন সেদিকে তাকানোই যথেষ্ট।

ঘটনা-১:
একবার ইথিওপিয়া থেকে কিছু লোক এসে মাসজিদ আন নববীতে তরবারি খেলা দেখাচ্ছিল। আয়েশা (রা) রাসূল(সা) কে বললেন তিনি খেলা দেখতে চান। এমন অবস্থায় আমরা হলে কী বলতাম? "হ্যাঁ!! উম্মাহর এই অবস্থা আর তুমি চাও খেলা দেখতে!! ছি! যাও যাও কুরআন পড়...তাফসীর পড়..." অথচ রাসূল(সা) আয়েশাকে নিয়ে গেলেন এবং তাঁকে আড়াল করে সামনে দাঁড়িয়ে গেলেন। আয়েশা (রা) রাসূলুল্লাহর পিছনে দাঁড়িয়ে খেলা দেখতে লাগলেন। এত দীর্ঘ সময় তিনি খেলা দেখলেন যে, রাসূলুল্লাহ (সা) বারবার এক পা থেকে আরেক পায়ে ভর দিয়ে দাঁড়াচ্ছিলেন। তিনি আয়েশা(রা)কে জিজ্ঞেস করলেন যে তাঁর দেখা শেষ হয়েছে কিনা। আয়েশা বললেন তিনি আরো দেখতে চান। কোন আপত্তি না করে রাসূল(সা) সেভাবেই দাঁড়িয়ে থাকলেন। দীর্ঘক্ষণ পর আয়েশা(রা) নিজেই ক্লান্ত হয়ে বললেন যথেষ্ট হয়েছে। এরপর রাসূল(সা) তাঁকে বাসায় নিয়ে আসলেন।

ঘটনা-২:
রাসূল(সা) তাঁর দুই নাতী হাসান আর হোসেনকে নিয়ে ঘোড়া ঘোড়া (আমাদের দেশীয় ভাষায়) খেলছেন। মানে, চার হাত-পায়ে ভর দিয়ে ঘোড়া সেজেছেন আর হাসান-হোসেনকে পিঠে বসিয়ে সারা ঘর চক্কর দিচ্ছেন। এ অবস্থায় এক সাহাবী ঘরে ঢুকে এই দৃশ্য দেখে মজা করে বললেন, "বাহ! সাওয়ারীটাতো খুব সুন্দর।" রাসূল(সা) মজা করে উত্তর দিলেন, "সাওয়ার যারা হয়েছে তারাওতো সুন্দর।" [অথবা এমনটিই বলেছেন, এর কিছু কম বা বেশি]

ঘটনা-৩:
একদিন সালাতের মধ্যে রাসূল (সা) সিজদায় গেছেন এমন অবস্থায় হাসান এসে তাঁর পিঠে উঠে বসল খেলার জন্য। একবার হাসান বসেন, আরেকবার হোসেন। রাসূল(সা) কী করেছিলেন ? যতক্ষণ না তাদের খেলা শেষ হয় ততক্ষণ সিজদাহ থেকে মাথা ওঠাননি। এমনকি তাদেরকে নেমে যাওয়ার জন্য ইঙ্গিতও করেননি। আর এখন মাসজিদে বাচ্চা ছেলেদের সাথে আমরা এবং অনেক হুজুররাও এমন আচরণ করেন যেন বাচ্চাদের কারণে তাদের সালাতটাই নষ্ট হয়ে গেছে। এতে মাসুম বাচ্চাদের মনে দাড়ি-টুপিওয়ালাদের সম্পর্কেই একটা ভীতিকর ধারণা তৈরী হয়। অথচ আমাদের দ্বীন পুরো উল্টোটাই শেখায়।

ঘটনা-৪:
আয়েশা(রা)তখন ছোট। রাসূল(সা) কোন এক সফর থেকে ফিরছিলেন। সাথে ছিলেন আয়েশা। তিনি সাহাবীদেরকে বললেন সামনে এগিয়ে যেতে। তাঁরা চোখের আড়াল হলে রাসূল(সা) আয়েশাকে দৌড় প্রতিযোগীতায় আহ্বান করলেন। আয়েশা জিতে গেলেন সেইবার। এর কয়েকবছর পর একই সিনারিও। আবার রাসূল(সা) আয়েশাকে দৌড় প্রতিযোগীতায় আহ্বান করলেন। এবার রাসূল(সা) জিতে গিয়ে মজা করে বললেন, "এইটা আগেরটার শোধ।" [অথবা এমনটিই বলেছেন]

উপরের ঘটনাগুলোর কোনটাই 'ইবাদাহ-র সাথে জড়িত নয়। ইবাদাহ অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ তবে পরিবারে শান্তি আর আনন্দের জন্যও আমাদের রাসূল(সা) এর দুনিয়াবী আচরণগুলোর দিকে তাকাতে হবে। তিনি কেমন স্বামী ছিলেন, কেমন নানা ছিলেন, কেমন শ্বশুর ছিলেন, কেমন পিতা ছিলেন এগুলো না জেনে সারা দিনরাত শুধু দারস করলেই পরিবারে শান্তি আসবে না। আল্লাহু আ'লাম।

collected from
brother
Kabir Anwar

নারীর চাকুরি নাকি সংসার? এই বিতর্কের অবসান ঘটান

আমার মা একজন গৃহিণী। আমার ২১ বছরের জীবনে খুব কমই তাঁকে বিশ্রামরত অবস্থায় দেখেছি। সেই ভোরবেলা থেকে তাঁর সংগ্রাম শুরু হয়, যা গভীররাতে গিয়ে থামে। আমাদের চার ভাইবোনকে বলতে গেলে তিনি একা হাতে মানুষ করেছেন। বাবা অফিস করতেন, আর বাসায় বিশ্রাম করতেন। ছেলেমেয়ের পড়াশোনা এবং অন্যান্য বিষয়াদি সম্পর্কে তিনি খুব বেশি ওয়াকিবহাল ছিলেন না। এ ব্যাপারে বলতে গেলে পুরো দায়িত্বই ছিল মায়ের উপর। আমি জোর গলায় বলতে পারি সন্তানদের প্রতি তিনি যতটা কেয়ার নিয়েছেন এবং সময় দিয়েছেন খুব কম মা ই এতটা শ্রম দিতে পারেন।

প্রায় সারাটা জীবন তিনি সংসারের পেছনে এতটা শ্রম দেওয়ার পরও রোকেয়া প্রাচীদের ভাষায় তিনি কোন কাজ করেননি, 'ঘরে বসে ছিলেন'। কেন? কারণ তাঁর শ্রমের বিনিময়রূপ তিনি কোন অর্থ পান নি। কর্পোরেট দুনিয়া আমাদের আজ শেখায়, সেটাই হল "কাজ" যার দ্বারা অর্থ উপার্জন করা যাবে। কাজেই নারীদের "ঘরে বসে থাকা" দূর করতে তারা শেখালো পুরুষের মত মেয়েরাও বাইরে কাজ না করলে তাদের মর্যাদা নেই। তাই আমার মা'র সারাজীবনের পরিশ্রম এদের কাছে মূল্যহীন, কিন্তু যে নারীরা পণ্যের মডেল হয়ে দুটো টাকার বিনিময়ে শরীর দেখায়, তারা "কর্মজীবী" নারী !! একজন নারী নিজ সংসারের দায়িত্ব পালন করলে সেটা 'শ্রম' না, কিন্তু অন্যের বাড়িতে ক'টা টাকার বিনিময়ে কাজ করে বাড়ির মালিকের গালি শুনলে সেটা হয় "শ্রম" !!

সমাজের ভারসাম্য সেইদিন নষ্ট হয়েছে, যেদিন মেয়েদের মাথায় ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে যে পুরুষের সঙ্গে তার সম্পর্ক সহযোগিতার নয়, প্রতিযোগিতার। মেয়েদের শেখানো হল তাদের "পুরুষ" হওয়ার চেষ্টা করতে হবে, নইলে কোন দাম নেই। নারীর সম্মান "নারীত্বে" নয়, "পুরুষত্বে", পুরুষের অনুকরণ করার মধ্যেই নারীর সম্মান। পুরুষের সাথে প্রতিযোগিতা না করলে নাকি সমাজে টেকা যাবে না। সেই প্রতিযোগিতার নাম দিয়ে মেয়েদের রাস্তায় নামিয়ে পণ্য বানানো হল। বিজ্ঞাপনের মডেল বানিয়ে ভোগের বিপনন হল। পুরুষের শেভিং ক্রিমের বিজ্ঞাপনে অপ্রাসঙ্গিকভাবে স্বল্পবসনা নারীর উপস্থিতি কীভাবে নারীর সম্মান বৃদ্ধি করে, আমার মাথায় ঢুকে না। তীব্র শীতের মধ্যেও পুরুষের চোখে কমনীয় হতে কাপড় না খুললে নারীরা যেখানে দাম পায় না, সেই পাশ্চাত্য সমাজ যখন মেয়েদের অধিকার আর মর্যাদার মাপকাঠি নির্ধারণ করে দেয়, তখন এমনটা হওয়াই স্বাভাবিক। মুখে 'আত্মনির্ভরশীলতার' বুলি ফুটিয়ে পুরুষের "কামনা পূরণের ম্যাটেরিয়াল" হিসেবে ধরিয়ে দিয়ে এরা নিজেদের ব্যবসার মূলধন যোগাড়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে।

ইসলাম নারীদের মর্যাদা নির্ধারণ করেছে স্ত্রীত্বে, মাতৃত্বে; পুরুষের অনুকরণ করার মধ্যে নয়। ইসলামে নারী ও পুরুষ পরস্পরের পরিপূরক, প্রতিযোগী নয়। একে অন্যের উপর নির্ভরশীল। দুজনের ক্ষেত্র পৃথক, সম্মানের মানদণ্ডটাও পৃথক। সমানাধিকারের নামে নারী-পুরুষ উভয়কে অপমান করার প্রথার এখানে জায়গা নেই।

ইসলাম নারীদের হিজাব পালন করে হালাল রুজি অনুসন্ধানে বাধা দেয় না। কিন্তু ইসলাম নারীবাদীদের মত কখনোই বলে না, বাইরে কাজ করার মধ্যেই মেয়েদের সম্মান নিহিত। ইসলামে সর্বোচ্চ সম্মানিত চারজন নারীর কেউই ব্যবসা বা আউটডোর ওয়ার্কের জন্য এ মর্যাদা পান নি, বরং একজন মা হিসেবে, স্ত্রী হিসেবে বা কন্যা হিসেবে পূর্ণরূপে দায়িত্ব পালনেই এ সম্মানের অধিকারিণী হয়েছেন।

সমাজে পুরুষ আর নারীর রোলের তুলনাটা Nazmus Sakib ভাই চমৎকারভাবে তুলে ধরেছেন ফুটবল দলের মাধ্যমে। একটা ফুটবল দলে গোলকিপার, ডিফেন্ডার, স্ট্রাইকার সবাই থাকে এবং সবার আলাদা আলাদা দায়িত্ব আছে। এখন আপনি বলতে পারবেন না কার কাজটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ, আর কারটা কম। এখন আপনি গোলকিপারকে স্ট্রাইকারের জায়গায় বসিয়ে স্ট্রাইকারকে গোলকিপিং করতে দিয়ে কি জেতার আশা করতে পারেন? কিংবা স্ট্রাইকার যদি বলে-"আমাকে গোলকিপিং করতে না দিয়ে আমার অধিকার ক্ষুণ্ণ করা হয়েছে" তাহলে কি যুক্তসংগত দাবি হবে? তেমনি নারী-পুরুষের স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য থাকা সত্ত্বেও তাদের সকল দিক থেকে "সমান" বানানোর প্রচেষ্টা কি সমর্থনযোগ্য? এতে কি উভয়কেই অসম্মান করা হচ্ছে না?

একজন মা তার সন্তানকে একজন আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার মাধ্যমে আল্লাহ্‌র কাছে যে সম্মানের অধিকারিণী হন, বাইরে চাকরি করে কস্মিনকালেও সেটা পাবেন না। আবার বাইরে কাজে বেশি সময় দেওয়ায় যদি সন্তান তার হক্ব থেকে বঞ্চিত হয়, তবে তাকে জবাবদিহি করতে হবে আল্লাহ্‌র দরবারে। বাইরে কাজ করতে নিষেধ নেই বটে, কিন্তু সেটার প্রতিই বেশি জোর দেওয়ায় যে আমাদের সমাজের কত নারী নিজ পরিবারের প্রতি দায়িত্বে অবহেলা করে গুনাহগার হচ্ছেন, তা আমরা হিসাব করে দেখছি কি?

অনেকে আপত্তি জানিয়ে বলবেন, কিন্তু এমন অনেক ক্ষেত্র আছে, যেখানে মেয়েদের কাজ করা আবশ্যক। যেমন গাইনির ডাক্তার, নার্স, শিক্ষকতা ইত্যাদি।

কথাটা অবশ্যই সত্য এবং আমি তা বিশ্বাসও করি। আমি এক্ষেত্রেও ফুটবলের উদাহরণটা টানব। একজন ডিফেন্ডারের প্রধান কাজ গোল বাঁচানো এবং স্ট্রাইকারের কাজ গোল দেওয়া, তার মানে কি এমন যে স্ট্রাইকার গোল সেভ করতে বা ডিফেন্ডার গোল দিতে পারবেন না? বরং অনেকসময় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় যে এটাই আবশ্যক হয়ে পড়ে। যেমন একজন ডিফেন্ডার যদি প্রতিপক্ষের গোলমুখে বল পেয়ে যান, তখন কি তিনি স্ট্রাইকারকে বল দেওয়ার অপেক্ষা করবেন? তাহলে তো গোল মিস হয়ে যাবে। আবার একজন স্ট্রাইকার যদি নিজের দলের ডি বক্সে থাকেন আর তখন প্রতিপক্ষ আক্রমণ করে, তিনি কি সেভ করার চেষ্টা করবেন না? বরং সেটা না করলেই বিপদ। কিংবদন্তি ডিফেন্ডার রবার্তো কার্লোস বেশকিছু গোল করেছেন আবার মেসিও অনেক সেভ করেছে। তারমানে কিন্তু এই না যে আমরা কার্লোসকে গোল করা বা মেসিকে গোল সেভের জন্য মনে রাখব।

তেমনি অনেক পেশায় নারীদের অংশগ্রহণ আবশ্যক বটে, কিন্তু তার মানে এই না যে ঐসকল পেশাই নারীদের প্রকৃত মর্যাদার জায়গা। আসলে সেক্যুলার সমাজ পরিবারের প্রতি নারীদের পবিত্র দায়িত্ব পালনকে কোন কাজ হিসেবে গণ্য করে না, নারীরা যেন তাদের কথামত চলে এই আশায়। নারীদেরকে পুরুষের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে উপস্থাপন করে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করে নিচ্ছে, আর আমরাও নিজেদের বিবেক-বুদ্ধিকে কাফিরদের কাছে বন্ধক রেখে মেয়েদের সম্মান দেওয়ার নামে নারী-ব্যবসায়ীদের হাতের পুতুল করে ছেড়ে দিচ্ছি।

আল্লাহ্‌ আমাদের মাফ করুন এবং নিজ নিজ সম্মানের প্রকৃত ক্ষেত্র উপলব্ধির সামর্থ্য দান করুন

collected from
brother
Jubaer Hossain

আমাদের সময়ের সাপেক্ষে 'তাওবাহ' এর ক্ষেত্রে কিছু নসিহা

বনি ইসরাইলের ১০০জন হত্যাকারী ব্যক্তির তাওবাহ এবং সেই আলোকে আমাদের সময়ের সাপেক্ষে 'তাওবাহ' এর ক্ষেত্রে কিছু নসিহাঃ

বনি ইসরাইলের একজন লোক ছিল যে ৯৯ টি মানুষকে হত্যা করেছিল। সে তওবা করার চিন্তাভাবনা করছিল। তাই সে একজন আবিদের কাছে গেল। [আবিদ ও আলেম এর মধ্যে পার্থক্য আছে]

সেই লোকটি এই আবিদকে বলল, "আমি ৯৯ টা মানুষকে হত্যা করেছি। আল্লাহ কি আমাকে ক্ষমা করবেন?"

আবিদ যখন এটা শুনলেন তখন বললেন যে, "তুমি ৯৯ টা লোককে খুন করেছ! আল্লাহ সুবহানাহুওয়া তা'য়ালা কিছুতেই তোমাকে ক্ষমা করবেন না‍!।" এই কথা শুনে সেই লোকটা উক্ত আবিদ ব্যক্তিকে খুন করে ফেলল! এরপরও সে তওবা করার জন্য উঠেপড়ে লাগলো। তার অন্তরের ভিতর কিছু অংশ হলেও ভাল ছিল। সুতরাং এ সময়ে সে খোঁজ করলো যে কাকে জিজ্ঞাসা করা যায়, সে জানতে পারলো এক আলেম এর কথা। সে সেই আলেমের কাছে গেল এবং বললো, "আমি ১০০ টা মানুষকে হত্যা করেছি। আল্লাহ কি আমাকে ক্ষমা করবেন?"

উক্ত আলেম তাকে বললেন, "হ্যাঁ, তোমার আশা আছে! তুমি যদি তওবা কর তাহলে আল্লাহ তা গ্রহণ করবেন যদিওবা তুমি ১০০ টি লোককে হত্যা করেছ। যদি আল্লাহ তোমার জন্য তওবার দরজা খুলে রাখেন তবে কে তোমাকে তা থেকে প্রতিরোধ করবে?"

কিন্তু আলেমের ফতোয়া এখানেই শেষ হয় নি।তিনি আরও বলেন, "তোমাকে এই শহর ছেড়ে অন্য জায়গায় চলে যেতে হবে। এইটা হল খারাপ একটা শহর, আমি চাই যে তুমি এই শহর ছেড়ে অন্য শহরে যাও যেখানে এমন সব লোকেরা রয়েছে যারা আল্লাহর ইবাদত করে ফলে তুমি তাদের সাথে ইবাদত করতে পারবে।"

হাদীসটি আরোও দীর্ঘ। আমি মূলত ফোকাস করতে চাচ্ছি উক্ত আলিমের ফাতাওয়ার দিকে। উনি বলেছিলেন- 'তুমি এই শহর ছেড়ে অন্য শহরে চলে যাও'

আমার মূল ফোকাসটা এখানেই। ইসলামের প্রতি আগ্রহী হবার পর একজন মুসলিম সর্বপ্রথম ভাবতে থাকে, সে কিভাবে পাপ কাজ থেকে বিরত থাকতে পারে। কটু হলেও সত্য আমাদের অনেক পাপই সমাজ, পরিবেশ ও বন্ধুদের সাথে সম্পর্কিত। একজন চাইলেও সে তার চিরচেনা পরিবেশের বিরুদ্ধে যেতে পারে না। অন্তঃত প্রথম দিকে তার মধ্যে সেই পরিমাণ ঈমানী শক্তি থাকে না।

তাওবাহ করতে চান? প্রথমেই আপনার বন্ধুজগত থেকে দূরে সরে যান। নিয়মিত নামায পড়ুন। সম্ভব হলে নিজের ঘর পরিবর্তন করুন। রুমের কনফিগারেশন চেঞ্জ করুন। ইস্তেগফার পড়ুন। ইসলামি বই নিয়মিত পড়ুন। যাই-ই পড়বেন সেটা বোঝার ও নিজের জীবনে আপ্লাই করার চেষ্টা করুন। সুন্নাহ এর প্রতি নজর দিন। প্রথম দিকে বেশ কষ্ট হবে। অনেকে ব্যংগ করবে। একসময় সব সহনীয় পর্যায়ে চলে আসবে। কিছুদিনের জন্য বন্ধুহারা হয়ে পড়তে পারেন, তবে আল্লাহ ভবিষ্যতে আপনাকে আরোও উত্তম বন্ধুত্ব দান করবেন ইন-শা-আল্লাহ।

রাগকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করুন। নিজের পাপের কথা চিন্তা করে লজ্জিত হোন। আল্লাহ'র কাছে ক্ষমা চান। এক্সট্রা নামায পড়ুন (নফল) এবং নামায দীর্ঘ করুন (অন্তঃত সিজদাহ)। গলার স্বর নিচু রাখুন। নম্রতা ও বিনয়ের পথে ধাবিত হোন। অশ্লীল শব্দ ব্যবহার এবং অন্যকে কথার দ্বারা আঘাত করা থেকে বিরত থাকুন। পরিবারের সাথে সময় কাটান, পারিবারিক সম্পর্কের উন্নতি ঘটান, ছোট ভাই-বোনের সাথে মজা করুন, বাবা-মা'র ত্যাগের কথা চিন্তা করুন। মৃত্যুকে স্মরণ করুন। এমনভাবে বাচুন যেন আজই আপনার শেষ দিন।

[নিজের এক্সপেরিয়েন্স থেকে কিছু নাসিহা। একজন ভাইও উপকৃত হলে সেটাই হবে লিখাটির সার্থকতা]

Written by: Muhammad Makamam Mahmud

তারা হয় কখনো পুরুষদের বুঝার চেষ্টা করেনি কিংবা জীবনে সত্যিকার পুরুষের কখনো দেখা পায় নি

আমি দেখেছি সেই বৃদ্ধ লোকটাকে যে তার জ্ঞানহীন স্ত্রীকে হাসপাতালে নিয়ে এসেছে তড়িঘড়ি করে... পরীক্ষা করে যখন জানালাম উনি আর বেঁচে নাই, সেই বৃদ্ধ লোকটির বুক চাপড়িয়ে হু হু করে কান্না এখনো কানে বাজছে...

আমি দেখেছি সেই লোকটাকে যে তার স্ত্রীকে মোটরসাইকেলে করে নিয়ে যাওয়ার সময় ঝাঁকুনি লেগে স্ত্রী পড়ে যায়... হাসপাতালে আনার পর দেখা যায় তিনি মৃত। এরপর লোকটি পুরো দুই দিন বাকরুদ্ধ হয়ে ছিল...

আমি দেখেছি সেই খেটেখাওয়া লোকটাকে... নিজে দুপুরে না খেয়ে সারাদিনের উপার্জনের টাকা দিয়ে তার স্ত্রীর জন্য কেনাকাটা করতে...

আমি দেখেছি সেই ছেলেটাকে যে তার তরুণী স্ত্রীকে হাসপাতালে তড়িঘড়ি করে নিয়ে এসেছে শুধুমাত্র কুকুর তার পায়ে একটু শুঁকেছে বলে...

আমি দেখেছি সেই অসুস্থ লোকটাকে... টাকার অভাবে নিজের ওষুধ না কিনে শুধু স্ত্রীর জন্য ওষুধ কিনতে...

আমি দেখেছি সেই দিন মজুরকে যাকে একবার এক প্যাকেট বিস্কুট দিয়েছিলাম খেতে... সে তার ব্যাগে ঢুকিয়ে হাসিমুখে বলে, আমার বউ-ছেলে খাবে এটা।

এরাই সত্যিকার পুরুষ... আর পৃথিবীর বেশিরভাগ পুরুষই এমন।

এরপরেও যারা বলে "পুরুষ জাতই খারাপ", তারা হয় কখনো পুরুষদের বুঝার চেষ্টা করেনি কিংবা জীবনে সত্যিকার পুরুষের কখনো দেখা পায় নি। তারা যাদের দেখেছে তারা ছিল কাপুরুষ..

-- Dr Taraki Hasan Mehedi

পর্ন দেখা যে খারাপ তা পাড় পর্ন আসক্তও স্বীকার করে

পর্ন দেখা যে খারাপ তা পাড় পর্ন আসক্তও স্বীকার করে। সেজন্য সেও সেটা দেখে লুকিয়ে লুকিয়ে, পরিবারের দশজনকে সামনে বসিয়ে দেখে না। আর মা-বোনেরা, ক্ষেত্রবিশেষে বাবারাও জি বাংলায় যে উলুধ্বনি শোনেন আর মূর্তিপূজা দেখেন, সেটা হয় টিভিরুমে পায়ের ওপর পা তুলে রসিয়ে রসিয়ে। পরিবারের সবাইকে নিয়ে যেন আল্লাহ্‌র সাথে ব্লাসফেমি উপভোগ করা হয়।

পর্নমুভিতে যা পাপ করা হয় তার চেয়ে শির্ক যে বেশি ভয়াবহ তা কি আমরা বুঝি? মা-বোনদের এটা বুঝিয়ে বলি?

মেয়ে বয়ফ্রেন্ডের সাথে হোটেলে রাত কাটিয়েছে জানতে পারলে রাগ করে সেই মেয়েকে বাসা থেকে বের হয়ে যেতে বলবে, এমন বাবার সংখ্যা সমাজে নেহাত কম নেই। তাদের অনেকেই হয়তো দাড়িওয়ালা; মাসজিদের সামনের কাতারে সালাত আদায় করেন। এই বাবাই হয়তো ব্যাঙ্কের সুদ খাচ্ছে। একটাকা সুদ খাওয়া ছত্রিশবার জেনার চাইতে বেশি পাপ। বাপ কি বোঝে সে মেয়ের চেয়ে কত বড় অপরাধী?

শয়তান আমাদের পাপের অনুভূতি ভোঁতা করে দেয় এভাবেই। কোনটা বড় পাপ, এসব ভুলিয়ে রাখে। সুদের সর্বনিম্নস্তরের পাপ মায়ের সাথে জেনার তুল্য। আর শির্কের উল্লেখে আল্লাহ্‌ বলেছেন যেন আকাশ ফেটে পড়তে চায়, জমিন বিদীর্ণ হয়ে যেতে চায়, পাহাড় চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যেতে চায়।

মূর্তিপূজা উপভোগকারী আর ব্যাঙ্কের সুদ নেওয়া মা-বাবারা সন্তানকে কী নৈতিকতা শেখাবেন? সমাজের অধঃপতনে আক্ষেপ করার আগে মা-বাবারা যেন এগুলো ভাবেন।

Collected From
Brother
Jubaer Hossain

Anal sex or sodomy : আপনার ছেলে সন্তানটির নিরাপত্তা

গতকাল ফরেনসিক মেডিসিন ডিপার্টমেন্ট এ গিয়ে এক অদ্ভুত অভিজ্ঞতা অর্জন করলাম । কফিল স্যারের অধীনে আসা একটি কেস দেখে মনে হলো সবার সচেতনতার জন্য শেয়ার করা উচিত্‍ তাই শেয়ার করলাম ।

দিনাজপুরের একটি ঘটনা । মনির নামের একটি ছেলে পার্শ্ববর্তী একজন প্রভাবশালী লোকের দ্বারা বিকৃত যৌনতার শিকার হয় । মনিরের চিত্‍কার চেঁচামেচীতে পাশের মাঠে খেলাধুলারত কিছু ছেলে তাকে উদ্ধার করে । দিনাজপুর মেডিকেলের ফরেনসিক ডিপার্টমেন্ট কোন SODOMY হয় নাই বলে রিপোর্ট করে রিপোর্ট সন্দেহজনক হওয়ার তাকে রংপুর মেডিকেলে রেফার্ড করা হয় । কিন্তু বিভিন্ন জটিলতায় রংপুরে আসতে ৫ দিন দেরী হয় । তাই তার ফরেনসিক ইনভেস্টিগেশন করে শিওর কোন সাইন সিমটম পাওয়া না গেলেও ANAL CANAL এর চারিদিকে এব্রাশন দেখে কিছুদিন আগে যে বিকৃত যৌনতার শিকার হয়েছিল বুঝা যায় ।

পরীক্ষা শেষে ভাবলাম মনিরের সাথে কথা বলব । তাই তাকে কিছু কথা জিজ্ঞাসা করতে গিয়ে দেখলাম সে আমাকে ভয় করছে এমনকি আমাকে দেখে ভয়ে কাঁপছে । বুঝলাম সে ফোবিয়াতে ভুগছে কাউকেই বিশ্বাস করতে পারতেছে না ।

তারপর স্যার যা বললেন তা ভয়ানক ব্যাপার । আমাদের বাড়িতে অনেক সময় আত্মীয় স্বজন বেড়াতে আসলে তাকে সাধারনত ছোট ছেলের বা ভাইয়ের রূমে থাকতে দেই । মেয়েদের নিরাপত্তার ব্যাপারে অনেক চিন্তিত হলেও ছেলেদের নিয়ে আমরা কোন চিন্তা করিনা । কিন্তু আমাদের বুঝা উচিত্‍ সমাজ দ্রুত চেন্জ হয়ে যাচ্ছে মানুষ এখন রেডিওতে খবর গান শোনেনা অনেকই ইন্টার্নেট এ ছোট ছেলে বা মেয়েদের সাথে যুবা পুরুষদের পর্ণো দেখে অভ্যস্থ তাই আপনার ছোট ছেলে বা মেয়েটির সাথে থাকা আপনার বন্ধু বা আত্মীয়ের মনে পশুত্ব জেগে ওঠা খুব স্বাভাবিক । যদিও মেনে নিতে কষ্ট হয় তবুও এটা আপনাকে মেনে নিতেই হবে কারণ এধরণের অনেক ঘটনাই আমাদের পেডিয়াট্রিক ডাক্তারদের কাছে আসে ।

এই যে এত কম বয়সে আপনার ছেলে বা ভাই পূথিবীর একটি নিষ্ঠুর রূপের মুখোমুখি হলো এর ফল হবে খুবই মারাত্মক । সব মানুষকেই সে ভয় করতে শুরু করবে মনে করবে সবাই নিষ্ঠুর তারপর আপনার চোখের সামনেই সে হারিয়ে যেতে থাকবে ধীরে ধীরে । কখনোও যদি OVERCOME করতে পারে তবে সে হয়ে উঠতে পারে হিংস্র বখাটে একটি ছেলে এমনকি কাউকেই খুন করতে দ্বিধা করবে না আপনার সেই আদরের ছোট ভাই বা ছেলেটি ।

তাই সময় এসেছে সচেতন হওয়ার আপনার মেয়েটিকে নিয়ে যতটা ভাবেন ঠিক ততটাই ভাবুন আপনার পরিবারকে মাতিয়ে রাখা ছোট ছেলেটির নিরাপত্তা সম্পর্কে

Written by
Dr Mobashwer Ahmed Noman

ধাক্কা

আমরা প্র্যাক্টিকাল লাইফে 'ধাক্কা' জিনিসটাকে খুব ভালোভাবে নিতে পারি না। যে কোন লক্ষ্যে পৌঁছাতে গিয়ে যখন পদে পদে ধাক্কা খেতে হয়, তখন হতাশা আমাদের আষ্টেপৃষ্ঠে চেপে ধরে। অনেক ক্ষেত্রে ধাক্কার বল এতই প্রবল হয়, যে তা লক্ষ্য থেকে সরিয়ে বহু দূরে গিয়ে নিক্ষেপ করে আমাদের।

তবে এই ধাক্কার মাঝেও রয়েছে কল্যাণ। অনেক দ্বীনী ভাই দেখেছি, যারা জীবনে নানা ক্ষেত্রে প্রকান্ড একটা শক খেয়ে জীবনকে চিনেছেন। বুঝেছেন জীবনের সত্যিকারের অর্থ। চিনেছেন তার রব্ব কে।

ক্রিকেটার আশরাফুল ম্যাচ গড়াপেটা কেলেঙ্কারিতে পড়ে গোটা জাতির সামনে কেঁদেছিলেন। এখন গ্ল্যামারাস খেলা থেকে বহু দূরে তিনি। শুনেছি নামায কালাম পড়ছেন। দাড়ি রেখেছেন।

একসময়কার বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান আফতাব আহমেদ। আইসিএলে গিয়ে ক্যারিয়ারের ১২ টা বাজিয়ে এখন নিতান্তই একজন ফ্যামিলি ম্যান। প্রায়ই দেখা হয় পাড়ার মাসজিদে। বেশ কিছুদিন নিয়মিত মাসজিদে আসছেন। মুখে ঘন দাড়ির আস্তরণ দেখে জিজ্ঞেস করলাম, "রেখে দিবেন নাকি?", সন্তুষ্টির হাসি মুখে ঝুলিয়ে জবাব দিলেন "ইনশাআল্লাহ"।

কিছু কিছু ধাক্কা, আল্লাহর নিয়ামত সহ আসে। আমরা অনুধাবন করি তো?

--- Nazmus Sakib

আমরা সবাই আসলে অকৃতজ্ঞ

১) মেয়েটি তার ওয়্যারড্রোব খুলল; দুই ডজনের অধিক পোশাক লাল, হলুদ, কমলা, পিঙ্কসহ আরো হরেক রং সেখানে ঝুলছে। দ্রুত এক নজর দেখে নিয়ে সপাটে দরজা লাগিয়ে দিল।

"মা আমার পার্টিতে পরার মত কিছুই নেই, কতদিন ধরে বলছি শপিংয়ে চল, তুমি তো আমার কথা শোনই না, এখন আমি কি পরে যাব?"

২) ছেলেটি চতুর্থ বারের মত ফ্রিজে কিছু খুঁজছিল; পিৎজা, চকলেট, আইসক্রিম, ফল-মুল আর জুস থরে থরে সাজানো রয়েছে। সে হতাশ হয়ে ফ্রিজের দরজা বন্ধ করল আর রান্নাঘর ছাড়তে ছাড়তে বলছিল, " এখানে খাওয়ার মত তেমন কিছুই নাই, চল কোন ক্যাফেতে যাই আর ভাল-মন্দ কিছু খাই।"

৩) সে নিত্যদিনের মত বিষণ্ণতা আর ভয় নিয়ে ঘুম থেকে জেগে উঠল; যা প্রতিদিন সকালের রোজনামচা। সুইসাইডের প্রবণতা তার মাথায় আবার চড়তে শুরু করেছে। তার বিয়ে হয়েছে এক সুদর্শন পুরুষের সাথে, রয়েছে দুটো ফুটফুটে বাচ্চা, বাড়ি আর গাড়ি; একজন নারী যার স্বপ্ন বুনে তার সবি। আপাতদৃষ্টিতে, জীবন খুবই পারফেক্ট মনে হলেও কিসের যেন শুন্যতা। কেন জানি সে তার স্বপ্নের পুরুষের সন্ধান পায় নি।

৪) সতের বছরের টিনএজার ছেলেটির আই-ফোন, কোর আই-৭ ডেল, ১০০০ ডলার পকেটমানি পাওয়া সত্ত্বেও তার মতে জীবন খুবি ম্যাড়ম্যাড়ে। সে কিছুতেই টেক্সটে মনোযোগ দিতে পারছে না। সে বই নিক্ষেপ করার মত করে বন্ধ করল আর ভাবছে, "আমার বন্ধুর জাগুয়ার (গাড়ির ব্রান্ড) থাকতে পারলে, আমার কেন থাকবে না?"

এই দৃশ্যপটগুলো কি পরিচিত ঠেকছে?

অকৃতজ্ঞতাবোধের স্বভাব। আমাদের বেড়ে উঠার প্রক্রিয়ায় উথপ্রোতভাবে যেন জড়িয়ে আছে অকৃতজ্ঞতা আর আল্লাহ্‌র অসংখ্য নিয়ামতের প্রতি অন্ধত্ব! আমরা আমাদের সর্বশক্তি ব্যয় করি আমাদের জীবনে কি নেই তারই সালতামামিতে। এটা খুবই বিদ্রূপাত্মক, এই হাপিত্যেশ আমাদের কেবলি কষ্ট বাড়ায়।

এই সকল নেতিবাচক চিন্তা আমাদের হতাশার কৃষ্ণগহ্বরে পরিণত করে। তাই আমাদের উচিত আমাদের চিন্তা-চেতনাকে সতর্কতা আর সজ্ঞানের সহিত দিকনির্দেশনা দেয়া।

ইতিবাচক চিন্তাকে এর সমাধান হিসেবে আধুনিক মনস্তত্ত্ববিদরা সাম্প্রতিককালে প্রাকৃতিক নিয়ম হিসেবে উদ্ভাবন করতে সক্ষম হলেও কুরআন এই সমস্যার স্বরূপ আর সমাধান দিয়েছে ১৪০০ বছর আগেই:

"এবং যে আমার স্মরণ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে, তার জীবিকা সংকীর্ণ হবে এবং আমি তাকে কেয়ামতের দিন অন্ধ অবস্থায় উত্থিত করব।" [সুরা ত্ব-হাঃ ১২৪]

"যখন তোমাদের পালনকর্তা ঘোষণা করলেন যে, যদি কৃতজ্ঞতা স্বীকার কর, তবে তোমাদেরকে আরও দেব এবং যদি অকৃতজ্ঞ হও তবে নিশ্চয়ই আমার শাস্তি হবে কঠোর।" [সুরা ইব্রাহীম: ০৭]

Collected From
Brother
Sayyid Mahmud Gaznabi