রাস্তার এখানে সেখানে বিভিন্ন খাবারের দোকান দেখা যায়। কেউ বিক্রি করে পুরি-সিঙ্গারা, কেউ ভাত-তেহারী-কাচ্চি প্রভৃতি।
কাল এমনই এক দোকানে বসে দেখছিলাম দোকানের লোকগুলো কত কসরত-কায়দা করে খাবার তৈরি করে। এরপর সেই খাবার বেচে টাকা নেয়। এটাই তাদের কাজ। এটাই তাদের পেশা।
মনে হল আমার মা, আমার বোনও বাড়িতে খাবার রান্না করেন। মা আমাদের জন্য, বোন তার বাড়িতে স্বামীর জন্য। তবে রোকেয়া প্রাচীদের ভাষায় আমার মা-বোনদের এই খাবার তৈরি কোন "কাজ" নয়, এটা হল "ঘরে বসে থাকা।"
দর্জিরা রাস্তার মোড়ে বসে কাপড় সেলাই করলে কাজ, এই সেলাইয়ের কাজ মা-বোনেরা ঘরে করলে নাকি "চার দেয়ালের বন্দীত্ব", যা জাফর ইকবালদের আফগানিস্তানের স্মরণ করিয়ে দেয়। উনারা ফাঁক পেলেই বুলি ছাড়েন।
কেন? কারণ বাইরে কাজ করে পয়সা পাওয়া যায়, ঘরে করলে পাওয়া যায় না। পয়সা না পেলে "কাজ" হয় না, হয় "ঘরে আটকে থাকা।" টাকা ছাড়া অন্য কোন উদ্দেশ্যে মানুষ শ্রম দিতে পারে, একথা মস্তিষ্কে ধারনের ক্ষমতা প্রগতিশীলদের নেই।
আমরা মুসলিমদের সবচেয়ে বড় গর্বের জায়গাটা হল, আমরা এক আল্লাহ্কে ইলাহ মানি। আর কারো গোলামি করি না। টাকার গোলামি করি না। লোকের দেখনদারিত্বের গোলামি করি না। আমাদের মা-বোনেরা দায়িত্বের কথা ভেবে কাজ করেন। তাঁরা জানেন বাইরের মানুষ অপেক্ষা ঘরের মানুষ তাঁদের সেবার বেশি হকদার। তাঁরা কাজ করেন হক্ব পূরণে। নিঃস্বার্থভাবে। সুশীলরা তা মেনে নিতে পারে না। আল্লাহভীরু মুসলিমাহদের দর্শন যে তাদের বস্তুবাদী চিন্তাধারার পশ্চাদ্দেশ্যে চপেটাঘাত করে !
নারী স্বাধীনতার স্বরূপ আমরা জানি। হিজাব পরিহিতা নারী দেখলে জাফর ইকবালদের হৃদয়ের হাহাকারের উৎস আমরা বুঝি। মারিয়া শারাপোভাদের জনপ্রিয়তার মূলে খেলা না অন্য কিছু-তাও আমরা জানি। ফিমেল প্লেয়ারদের পোশাকের দৈর্ঘ্য কেন ছেলেদের চেয়ে কম হবে-এই প্রশ্ন করে আমরা মৌলবাদী বনি। মোবাইল অপারেটরের হেল্পলাইনে কেন ফিমেল কণ্ঠ দিতে হয়-আমরা বুঝি। নারীকণ্ঠকে পুঁজি করে ফিমেল নিউজ প্রেজেন্টারের আধিক্যের হেতু বোঝা যায় বেশ, তাদের পোশাক কী হবে, সেটাও ঠিক করে দেয় চ্যনেলের পুরুষ ম্যানেজার। এটাই নাকি নারীর স্বাধীনতা।
ধিক সেই সুশীলদের, যারা আমাদের সম্মানিত নারীদের আল্লাহ্র গোলাম থেকে টাকার গোলাম বানিয়ে ছেড়েছে। তবে সত্যিকারের মু'মিন নারীরা চিরকালই তাদের চেতনায় মুগুড়ের আঘাত হেনে আসছেন। স্যালুট টু দেম। আল্লাহু আকবার।
কাল এমনই এক দোকানে বসে দেখছিলাম দোকানের লোকগুলো কত কসরত-কায়দা করে খাবার তৈরি করে। এরপর সেই খাবার বেচে টাকা নেয়। এটাই তাদের কাজ। এটাই তাদের পেশা।
মনে হল আমার মা, আমার বোনও বাড়িতে খাবার রান্না করেন। মা আমাদের জন্য, বোন তার বাড়িতে স্বামীর জন্য। তবে রোকেয়া প্রাচীদের ভাষায় আমার মা-বোনদের এই খাবার তৈরি কোন "কাজ" নয়, এটা হল "ঘরে বসে থাকা।"
দর্জিরা রাস্তার মোড়ে বসে কাপড় সেলাই করলে কাজ, এই সেলাইয়ের কাজ মা-বোনেরা ঘরে করলে নাকি "চার দেয়ালের বন্দীত্ব", যা জাফর ইকবালদের আফগানিস্তানের স্মরণ করিয়ে দেয়। উনারা ফাঁক পেলেই বুলি ছাড়েন।
কেন? কারণ বাইরে কাজ করে পয়সা পাওয়া যায়, ঘরে করলে পাওয়া যায় না। পয়সা না পেলে "কাজ" হয় না, হয় "ঘরে আটকে থাকা।" টাকা ছাড়া অন্য কোন উদ্দেশ্যে মানুষ শ্রম দিতে পারে, একথা মস্তিষ্কে ধারনের ক্ষমতা প্রগতিশীলদের নেই।
আমরা মুসলিমদের সবচেয়ে বড় গর্বের জায়গাটা হল, আমরা এক আল্লাহ্কে ইলাহ মানি। আর কারো গোলামি করি না। টাকার গোলামি করি না। লোকের দেখনদারিত্বের গোলামি করি না। আমাদের মা-বোনেরা দায়িত্বের কথা ভেবে কাজ করেন। তাঁরা জানেন বাইরের মানুষ অপেক্ষা ঘরের মানুষ তাঁদের সেবার বেশি হকদার। তাঁরা কাজ করেন হক্ব পূরণে। নিঃস্বার্থভাবে। সুশীলরা তা মেনে নিতে পারে না। আল্লাহভীরু মুসলিমাহদের দর্শন যে তাদের বস্তুবাদী চিন্তাধারার পশ্চাদ্দেশ্যে চপেটাঘাত করে !
নারী স্বাধীনতার স্বরূপ আমরা জানি। হিজাব পরিহিতা নারী দেখলে জাফর ইকবালদের হৃদয়ের হাহাকারের উৎস আমরা বুঝি। মারিয়া শারাপোভাদের জনপ্রিয়তার মূলে খেলা না অন্য কিছু-তাও আমরা জানি। ফিমেল প্লেয়ারদের পোশাকের দৈর্ঘ্য কেন ছেলেদের চেয়ে কম হবে-এই প্রশ্ন করে আমরা মৌলবাদী বনি। মোবাইল অপারেটরের হেল্পলাইনে কেন ফিমেল কণ্ঠ দিতে হয়-আমরা বুঝি। নারীকণ্ঠকে পুঁজি করে ফিমেল নিউজ প্রেজেন্টারের আধিক্যের হেতু বোঝা যায় বেশ, তাদের পোশাক কী হবে, সেটাও ঠিক করে দেয় চ্যনেলের পুরুষ ম্যানেজার। এটাই নাকি নারীর স্বাধীনতা।
ধিক সেই সুশীলদের, যারা আমাদের সম্মানিত নারীদের আল্লাহ্র গোলাম থেকে টাকার গোলাম বানিয়ে ছেড়েছে। তবে সত্যিকারের মু'মিন নারীরা চিরকালই তাদের চেতনায় মুগুড়ের আঘাত হেনে আসছেন। স্যালুট টু দেম। আল্লাহু আকবার।
-- জুবায়ের হোসেইন
No comments:
Post a Comment