"আমি কবে বড় হবো?"
"কেন? বড় হলে কী হবে??"
"সাজুগুজু করবো।"
কথাটা চাইলে এখানেই শেষ করে দেয়া যায়। পাঁচ বছরের বাচ্চার বলা কথা, বাড়িয়ে লাভ?! কিন্তু, এই কথাচ্ছলে যদি ওকে আরও দুইটা বিষয় শিখিয়ে দেয়া যায়, হয়ত কথাগুলো মনের মাঝে দৃঢ় হয়ে বসবে। ইনশাআল্লাহ।
এক্ষেত্রে বাচ্চাকে বলা যায় "এটা কেমন কথা!" বা "এমন ভাবতে নেই।" তাহলে এরপরের বার হয়ত আর নিজের মনের ভাবনাটা বলবে না খুলে। কিন্তু যেই দুইটা বিষয় ওকে আমি বুঝাতে চাইছি, সেগুলো তো অনেক সিরিয়াস বিষয়-- ওকে শোনাবো কিভাবে?? তখন জিজ্ঞেস করলাম, আমাদের কে বানিয়েছেন? বলল, আল্লাহ! কেন বানিয়েছেন? এখানে কিন্তু চুপ করে গেল। এই কেন তার জানা নেই। তবে কেবল বড় হয়ে "সাজুগুজু" করার জন্য বানিয়েছেন সেটাও মনেহয় ভাবতে পারলো না।
তখন তাকে বললাম, বড় হলে সাজতে তো পারবেই ইনশাআল্লাহ, তবে মুসলিমের জীবনে সাজা ছাড়াও আরও অনেক কাজ আছে, তাই না? নামায পড়া, রোজা রাখা, হিফজ করা, আল্লাহর কথা শোনা, অন্যকে বলা, বড়দের হেল্প করা... ছোটদের খেয়াল রাখা... আল্লাহ আমাদের বানিয়েছেন আল্লাহর ইবাদত করার জন্য। এর ফাঁকে ফাঁকে ইনশাআল্লাহ সাজবে, ছবি আঁকবে, যা কিছু আল্লাহ করতে পারমিশান দিয়েছেন সবই করবে!
বুঝলো। কিন্তু আরেকটা বিষয় যে বাকি? আচ্ছা মা, সাজগোজ কিভাবে করবা? "লিপ্সটিক, নেল পালিশ, ক্লিপ দিয়ে সাজবো। গুটায় গুটায় (বেণী) চুল বাঁধবো!" সেজে কি বাইরে যাবা? "বাইরের মানুষের সামনে কি সাজতে হয় যে সেজে বাইরে যাবো??" বোকার মত প্রশ্ন করার কারণে ধমক খেয়ে আর কথা বাড়ালাম না!
এই যে কথোপকথন, এখানে এমন কিছু আসেনি যা বলতে আমার বিশেষ কোনও জ্ঞান থাকার প্রয়োজন ছিল। এমন কোনও বিষয় উঠে আসেনি যার জন্য আলাদা করে মেয়ের ক্লাস নিতে হবে। আলাদা করে বলার চেয়ে বেশী কাজে দেয় খেলাচ্ছলে বা গল্প কথার মাধ্যমে কিছু বললে। তাহলে এমন ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশী কোন জিনিসটার প্রয়োজন??
বাবা মায়ের সময়ের। তাঁদের মনোযোগের। এবং অনেক বেশী communication এর! বুঝতে হবে। সময় সবসময়ই অমূল্য। কিন্তু সন্তানকে দেয়া বাবা মায়ের সময়, মনোযোগ এসবকে অমূল্য বললেও কম বলা হবে!!
-- নায়লা নুযহাত
"কেন? বড় হলে কী হবে??"
"সাজুগুজু করবো।"
কথাটা চাইলে এখানেই শেষ করে দেয়া যায়। পাঁচ বছরের বাচ্চার বলা কথা, বাড়িয়ে লাভ?! কিন্তু, এই কথাচ্ছলে যদি ওকে আরও দুইটা বিষয় শিখিয়ে দেয়া যায়, হয়ত কথাগুলো মনের মাঝে দৃঢ় হয়ে বসবে। ইনশাআল্লাহ।
এক্ষেত্রে বাচ্চাকে বলা যায় "এটা কেমন কথা!" বা "এমন ভাবতে নেই।" তাহলে এরপরের বার হয়ত আর নিজের মনের ভাবনাটা বলবে না খুলে। কিন্তু যেই দুইটা বিষয় ওকে আমি বুঝাতে চাইছি, সেগুলো তো অনেক সিরিয়াস বিষয়-- ওকে শোনাবো কিভাবে?? তখন জিজ্ঞেস করলাম, আমাদের কে বানিয়েছেন? বলল, আল্লাহ! কেন বানিয়েছেন? এখানে কিন্তু চুপ করে গেল। এই কেন তার জানা নেই। তবে কেবল বড় হয়ে "সাজুগুজু" করার জন্য বানিয়েছেন সেটাও মনেহয় ভাবতে পারলো না।
তখন তাকে বললাম, বড় হলে সাজতে তো পারবেই ইনশাআল্লাহ, তবে মুসলিমের জীবনে সাজা ছাড়াও আরও অনেক কাজ আছে, তাই না? নামায পড়া, রোজা রাখা, হিফজ করা, আল্লাহর কথা শোনা, অন্যকে বলা, বড়দের হেল্প করা... ছোটদের খেয়াল রাখা... আল্লাহ আমাদের বানিয়েছেন আল্লাহর ইবাদত করার জন্য। এর ফাঁকে ফাঁকে ইনশাআল্লাহ সাজবে, ছবি আঁকবে, যা কিছু আল্লাহ করতে পারমিশান দিয়েছেন সবই করবে!
বুঝলো। কিন্তু আরেকটা বিষয় যে বাকি? আচ্ছা মা, সাজগোজ কিভাবে করবা? "লিপ্সটিক, নেল পালিশ, ক্লিপ দিয়ে সাজবো। গুটায় গুটায় (বেণী) চুল বাঁধবো!" সেজে কি বাইরে যাবা? "বাইরের মানুষের সামনে কি সাজতে হয় যে সেজে বাইরে যাবো??" বোকার মত প্রশ্ন করার কারণে ধমক খেয়ে আর কথা বাড়ালাম না!
এই যে কথোপকথন, এখানে এমন কিছু আসেনি যা বলতে আমার বিশেষ কোনও জ্ঞান থাকার প্রয়োজন ছিল। এমন কোনও বিষয় উঠে আসেনি যার জন্য আলাদা করে মেয়ের ক্লাস নিতে হবে। আলাদা করে বলার চেয়ে বেশী কাজে দেয় খেলাচ্ছলে বা গল্প কথার মাধ্যমে কিছু বললে। তাহলে এমন ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশী কোন জিনিসটার প্রয়োজন??
বাবা মায়ের সময়ের। তাঁদের মনোযোগের। এবং অনেক বেশী communication এর! বুঝতে হবে। সময় সবসময়ই অমূল্য। কিন্তু সন্তানকে দেয়া বাবা মায়ের সময়, মনোযোগ এসবকে অমূল্য বললেও কম বলা হবে!!
-- নায়লা নুযহাত
No comments:
Post a Comment