মেয়েকে যখন কুরআনের গল্পগুলো বলি, প্রায়ই মনে হয় যে ভবিষ্যতের কথা তো জানিনা, কিন্তু এদের বর্তমানটা দেখলে অবাক লাগে। ও এবং ওর মত আরও অনেকে বড় হচ্ছে মাথাটা রূপকথা দিয়ে ভর্তি না করে!! সুবহানআল্লাহ!
পড়ার অভ্যাস আজীবন ছিল, তাই ছোট বয়সটায় হাতের কাছে পাওয়া কোনও রূপকথার বই পড়া বাদ দিইনি। ঠাকুমার ঝুলি, ইউক্রেনের বই, রুশ বই, অমুক দেশের রূপকথা আর তমুক দেশের রূপকথা আর ফেইরি টেলস তো আছেই। আর বড় হতে হতে আরও কত কি!!
তাই আমি জানি, রূপকথা হল রূপকথাই। বাস্তব কোনদিন ওর ধারে কাছেও যায়না। বরং ওসব শিখিয়ে দেয় জীবনের অন্য এক লক্ষ্য আর উদ্দেশ্য-- "এই পৃথিবীতে চিরসুখে বসবাস করা" যা কখনও সম্ভব না। প্রায়ই যখন নিজেকে দেখি, অন্যকে দেখি, জীবনে এটা সেটা নিজেদের মনমত না হয়াতে হতাশ হতে, অথবা শুনি কেউ রেজাল্ট খারাপ করে আত্মহত্যা করছে অথবা প্রেমে বিফল হয়ে, অথবা জীবনের জটিল পর্বগুলোতে দিশেহারা হচ্ছে, তখন মনে পড়ে আমাদের থেকে এর চেয়ে ভালো আর কী হবে, আমরা হচ্ছি "রূপকথা জেনারেশান"!!!
এই বাচ্চাগুলি আল্লাহর অশেষ রহমতে জানেনা এখনো যে একা একা গভীর রাতে বেড়িয়ে ফিরলেও রাজকুমার আসে বাঁচাতে (বাস্তবে রাজকুমারের হাত থেকে বাঁচানোটা আরেক দুশ্চিন্তা!) এরা এখনো জানেনা যে সাতটা বামুন লোকের সাথে নিশ্চিন্তে(!!!)এক বাসায় থাকা যায়। শুনতে খারাপ লাগছে, তাই না? কি জানি! যখন পড়েছি, কার্টুন দেখেছি তখন তো খারাপ লাগতো না, মনে হত ওটাই লাইফ!!!
এবং আমার একান্ত নিজের একটি ধারণা যে এই বাচ্চাকালের আজগুবি গল্পগুলো টিনেজ বয়সে মারাত্মক প্রভাব ফেলে!! কল্পনার জগতের ভিত্তিই যে রূপকথা!!
যাই হোক, পাঁচ বছর বয়সে আমাদের তো কেউ কুরআনের গল্প বলেনি-- কুরআন যেহেতু গিলাফে ভরে শেলফে রাখার জিনিস(!!!) তাই! মেয়েকে বলতে গিয়ে নিজেও জানছি। সুবহানআল্লাহ, এত চমৎকার বাস্তব সব কাহিনী থাকতে কী প্রয়োজন বাচ্চাদের মাথায় গারবেজ ঢুকানোর???
একটা বাচ্চা জেনে বড় হতে পারে যে তাঁর জীবনের উদ্দেশ্য চিরসুখীই হওয়া, কিন্তু আখিরাতে যেখানে তা আসলেই সম্ভব!! জেনে বড় হতে পারে যে তার এমন আশ্রয় আছে যিনি ইব্রাহীম (আ) কে আগুন থেকে বাঁচাতে পারেন, হারানো ইউসুফকে (আ) তাঁর বাবার কাছে ফিরিয়ে দিতে পারেন। যিনি আমাদের কথা শুনতে পান, কেউ আমাদের জন্য না থাকলেও তিনি থাকেন!! জেনে বড় হতে পারে জীবনটা সিনেমা না, এতে কষ্ট আছে, বিপদ আছে, না পাওয়া আছে-- কারণ জীবনটা সামান্য একটু সময় মাত্র। চিরসুখী হওয়ার জন্য যথেষ্ট বড় না!!
আপনি ধার্মিক না?? সমস্যা নেই! তবু বাচ্চাদের কুরআনের গল্প, ইসলামের গল্পগুলো বলুন। অন্তত মস্ত ফাঁকিকে সত্যি বলে জেনে বড় হবে না ইনশাআল্লাহ!
ইংরেজি শেখানো দরকার? ইংরেজিতে চমৎকার বই পাওয়া যায় ইসলামের বিভিন্ন ঘটনার বর্ণনা সহ, ছবি সহ!! ইন্টারনেটে অনেক কিছু পাওয়া যায়!!!
ওরা বড় হয়ে কী হবে সেতো আল্লাহই ভালো জানেন। আমাদের কাজ চেষ্টা করা আর দোয়া করা!! আর ওদের মাথায় আকাশ কুসুম কল্পনা ঠেসে দিয়ে বাস্তব থেকে দূরে নিয়ে এক অদ্ভুত অসুস্থতায় যদি বড় করি, তার হিসাব কিন্তু আমাদেরই দিতে হবে!! দুনিয়াতে এবং আখিরাতে! আল্লাহ যেন সেই ভয়াবহ কষ্ট থেকে আমাদের বাঁচিয়ে রাখেন, আমাদের সন্তানদেরও! আমীন!
Courtesy - Nayla Nuzhat
পড়ার অভ্যাস আজীবন ছিল, তাই ছোট বয়সটায় হাতের কাছে পাওয়া কোনও রূপকথার বই পড়া বাদ দিইনি। ঠাকুমার ঝুলি, ইউক্রেনের বই, রুশ বই, অমুক দেশের রূপকথা আর তমুক দেশের রূপকথা আর ফেইরি টেলস তো আছেই। আর বড় হতে হতে আরও কত কি!!
তাই আমি জানি, রূপকথা হল রূপকথাই। বাস্তব কোনদিন ওর ধারে কাছেও যায়না। বরং ওসব শিখিয়ে দেয় জীবনের অন্য এক লক্ষ্য আর উদ্দেশ্য-- "এই পৃথিবীতে চিরসুখে বসবাস করা" যা কখনও সম্ভব না। প্রায়ই যখন নিজেকে দেখি, অন্যকে দেখি, জীবনে এটা সেটা নিজেদের মনমত না হয়াতে হতাশ হতে, অথবা শুনি কেউ রেজাল্ট খারাপ করে আত্মহত্যা করছে অথবা প্রেমে বিফল হয়ে, অথবা জীবনের জটিল পর্বগুলোতে দিশেহারা হচ্ছে, তখন মনে পড়ে আমাদের থেকে এর চেয়ে ভালো আর কী হবে, আমরা হচ্ছি "রূপকথা জেনারেশান"!!!
এই বাচ্চাগুলি আল্লাহর অশেষ রহমতে জানেনা এখনো যে একা একা গভীর রাতে বেড়িয়ে ফিরলেও রাজকুমার আসে বাঁচাতে (বাস্তবে রাজকুমারের হাত থেকে বাঁচানোটা আরেক দুশ্চিন্তা!) এরা এখনো জানেনা যে সাতটা বামুন লোকের সাথে নিশ্চিন্তে(!!!)এক বাসায় থাকা যায়। শুনতে খারাপ লাগছে, তাই না? কি জানি! যখন পড়েছি, কার্টুন দেখেছি তখন তো খারাপ লাগতো না, মনে হত ওটাই লাইফ!!!
এবং আমার একান্ত নিজের একটি ধারণা যে এই বাচ্চাকালের আজগুবি গল্পগুলো টিনেজ বয়সে মারাত্মক প্রভাব ফেলে!! কল্পনার জগতের ভিত্তিই যে রূপকথা!!
যাই হোক, পাঁচ বছর বয়সে আমাদের তো কেউ কুরআনের গল্প বলেনি-- কুরআন যেহেতু গিলাফে ভরে শেলফে রাখার জিনিস(!!!) তাই! মেয়েকে বলতে গিয়ে নিজেও জানছি। সুবহানআল্লাহ, এত চমৎকার বাস্তব সব কাহিনী থাকতে কী প্রয়োজন বাচ্চাদের মাথায় গারবেজ ঢুকানোর???
একটা বাচ্চা জেনে বড় হতে পারে যে তাঁর জীবনের উদ্দেশ্য চিরসুখীই হওয়া, কিন্তু আখিরাতে যেখানে তা আসলেই সম্ভব!! জেনে বড় হতে পারে যে তার এমন আশ্রয় আছে যিনি ইব্রাহীম (আ) কে আগুন থেকে বাঁচাতে পারেন, হারানো ইউসুফকে (আ) তাঁর বাবার কাছে ফিরিয়ে দিতে পারেন। যিনি আমাদের কথা শুনতে পান, কেউ আমাদের জন্য না থাকলেও তিনি থাকেন!! জেনে বড় হতে পারে জীবনটা সিনেমা না, এতে কষ্ট আছে, বিপদ আছে, না পাওয়া আছে-- কারণ জীবনটা সামান্য একটু সময় মাত্র। চিরসুখী হওয়ার জন্য যথেষ্ট বড় না!!
আপনি ধার্মিক না?? সমস্যা নেই! তবু বাচ্চাদের কুরআনের গল্প, ইসলামের গল্পগুলো বলুন। অন্তত মস্ত ফাঁকিকে সত্যি বলে জেনে বড় হবে না ইনশাআল্লাহ!
ইংরেজি শেখানো দরকার? ইংরেজিতে চমৎকার বই পাওয়া যায় ইসলামের বিভিন্ন ঘটনার বর্ণনা সহ, ছবি সহ!! ইন্টারনেটে অনেক কিছু পাওয়া যায়!!!
ওরা বড় হয়ে কী হবে সেতো আল্লাহই ভালো জানেন। আমাদের কাজ চেষ্টা করা আর দোয়া করা!! আর ওদের মাথায় আকাশ কুসুম কল্পনা ঠেসে দিয়ে বাস্তব থেকে দূরে নিয়ে এক অদ্ভুত অসুস্থতায় যদি বড় করি, তার হিসাব কিন্তু আমাদেরই দিতে হবে!! দুনিয়াতে এবং আখিরাতে! আল্লাহ যেন সেই ভয়াবহ কষ্ট থেকে আমাদের বাঁচিয়ে রাখেন, আমাদের সন্তানদেরও! আমীন!
Courtesy - Nayla Nuzhat
No comments:
Post a Comment