ফেসবুক বচন ১

পাপকে ভয় করুন, সে যত অল্পই হোক না কেন।
হতে পারে এই পাপটাই আপনার জাহান্নাম নির্ধারণের শেষ কারণ হয়ে যাবে।
হতে পারে এই পাপটা না থাকলে আপনার জান্নাতের আদেশ আসতো।
//


আমার এক বন্ধু আক্ষেপ করে বলেছিল,--কিছু বুড়া মানুষ এমনে পত্রিকা পড়ে, যেন অহী পড়তেসে ! ছাপার অক্ষরে কোন লেখা যে মিথ্যা, বানোয়াট হতে পারে সেটা বিশ্বাসই করতে চায় না।
-- কৃষক ভাই


//
ইন্টারনেটে যাবতীয় ইনবক্স/চ্যাটবক্স থেকে সাবধান থাকুন। পুরুষ হলে নারীর ব্যাপারে, নারী হলে পুরুষের ব্যাপারে অতিসচতেনভাবে সাবধানী হউন। নিজেকে বিশ্বাস করলেও, শয়তানকে বিশ্বাস করার সুযোগ নাই।
[collected]


ফেসবুকের ইস্যুগুলো ক্ষনস্থায়ী।
আখলাক ও আমলসমূহ দীর্ঘস্থায়ী।
~ আব্দুল্লাহ


হুজুরদের কোন কথা মন মতো না হইলে ব্যস্ত হয়ে যাই "ইসলামে এইটা নাই" প্রমান করার জন্য। অথচ নিজের মন মতো চলা টা যে ইসলামে নাই সেটা চিন্তায় রাখি না।

-- মাজহারুল হায়দার


 //
বেঁচে যখন আছি, ভালো হোক আর খারাপ হোক -- এই সময়টা কেটে যাবে।

যদি আগামীরটা খারাপ হয়, তখন এই ভালোটাতে লাভ হবেনা।
আগামীর সময়টা ভালো হলে, এই খারাপটা প্রভাব ফেলবে না।

পৃথিবীর জীবনে তবে কী লাভ এত হিসেব করে?


 //
 জীবন একটা স্বপ্ন। সেদিনই আপনি জেগে উঠবেন যেদিন মারা যাবেন... 

আপনি যখন ভালোবাসার জন্য আহাজারি করছেন। ডানে-বামে তাকিয়ে দেখেন কেউ খাবারের জন্য কাঁদছে, মরেও যাচ্ছ। আবার অসুস্থতায় ও চিকিৎসাহীনতায় মারা যাচ্ছে।

 //
বাঙালি মুসলমানের মন বড় অদ্ভূত। সে একই সাথে অনেক কিছু চায়।

সে লিবারেলিজম চায় আবার ইসলাম চায়। সূদ চায় আবার ইসলামিক ব্যাংকিং চায়।

ঘুষ চায়, হজ্ব চায়। গীতবিতান, আমপারা, কোরান শরীফ, হারমোনিয়াম সবই তার ড্রইং রুমে চায়।

তরুনী মুখো পাখাওয়ালা বোরাক, কাবা ঘর, তীর বিদ্ধ দুল দুল, শাহরুখ, মাধুরী, সালমান শাহ সব ছবিরই তার কাছে সমান কদর। মক্কা চায়, মুম্বাই ও চায়। পিস টিভি চায়, স্টার প্লাস চায়, এইচবিও চায়।

'দেশি মডেল' 'হটি জোকস' পেইজে লাইক দেয় আবার 'ইসলামিক লাইফ' পেইজে ও লাইক দেয়। ১৮ প্লাস পোস্ট এবং নবীজির স্মৃতি বিজড়িত স্থান সমূহের ছবি সম্বলিত পোস্ট দুটোতেই সমান হুমড়ি খায়। বাঙালি মুসলমানের মন বোঝা সত্যিই কঠিন।

---- অমিয় উজ্জ্বল
  

//
বস্তুজগতের কষ্ট অনেকটা মেহেদীর রঙের মত । কারো হাতে ভীষন গাঢ় , কারো হাতে হালকা । কেউ হয়তো সেই রঙে তেল দিয়ে তাকে আরো গাঢ় করে , কেউ হয়তো বারবার সাবান দিয়ে ধুয়ে রংটাকে হালকা করতে চায় । ব্যক্তিবিশেষে রঙের ধরন যেমনই হোক রং কিন্তু লাগে । সময়ের সাথে রংটা ফিকে হয়,মুছে যায় । আবার কেউ তার ওপরই নতুন মেহেদীর প্রলেপ দিয়ে রংটাকে জিইয়ে রাখে । নির্ভর করে নির্দিষ্ট ব্যক্তিটির ওপর । সে রংটাকে গাঢ় করবে না হালকা । রংকে মুছে যেতে দেবে নাকি নতুন প্রলেপ দেবে । কষ্ট থেকে আনন্দ খুঁজে নেবে নাকি শুধুই কষ্ট পাবে । জীবনকে সাজাবে নাকি ধ্বংস করবে ....

--- ফাতেমাতুজ জোহরা

//
অনেকক্ষেত্রেই একটা দরকারী ও গুরুত্বপুর্ণ কথার চেয়ে আজেবাজে অনেক কথা আমরা পছন্দ করে থাকি। শুধুমাত্র লাইকের সংখ্যার কারনে।

-- মাজহারুল হায়দার


//
আড়ং থেকে ঈদের কাপড় না কিনলে ঠিক ইজ্জত থাকছেনা, পাঞ্জাবি কিনছেন আড়াই হাজার টাকায়, বের হয়ে মার্কেটের সামনেই নাঙ্গা শরীরের শিশুগুলো কারো বিবেকবোধে নাড়াও দেয় না। তারা ভুলেই যান এমন অনেক মানুষ থাকে সমাজে যারা যথেষ্ট কষ্ট করে খাবারের খরচটুকু অর্জন করেন। এই সমাজব্যবস্থা পুঁজিবাদীরা খুব ভালো করেই বদলে দিতে পেরেছে, আদর্শবাদীরা অকর্মণ্য হয়ে বসে বসে মুড়ি খেয়েছে, সন্তানসন্ততিসহ সবকিছুকেই জলাঞ্জলি দিচ্ছে এখন সমাজের কাজ করার ক্ষেত্রে অযোগ্যতা এবং দুরভিসন্ধির অভাবে।

//
মাঝে মাঝে ক্লাস শেষে বিকেলে বাসে দীর্ঘ সময়ের জার্নিতে বসে জীবনটাকে ভাবতে গেলে,পুরো জীবনটাকে বাস জার্ণিই মনে হয়! দীর্ঘ সময় স্টপেজে দাঁড়িয়ে থাকার পর কাংখিত বাস আসলেও অসম্ভব প্রতিযোগীতে করে উঠতে হয়,তারপর আরো কিছুক্ষন কষ্ট করে বসার সীট পেতে হয়,জ্যাম-পথের দীর্ঘতা সব পেরিয়ে গন্তব্যে পৌছাতে হয়!তবে সেটাও নির্ধারিত গন্তব্য না! ঠিক জীবনটাও এভাবেই অনির্ধারিত গন্তব্যের পেছনে দৌড়েই কাটাতে হয়,মিলুক আর না মিলুক,চাওয়া পাওয়ার হিসেব কে দূরে রেখে প্রয়োজনের সাথে ক্ষণিক সুখের সমোঝতা করে একভাবে দিন গুলো কাটিয়ে দিতে হয়। বাস ছুটে চলে,জীবনের সময় গুলোও ছুটে চলে,স্বপ্ন-আকাংখা গুলো ছুটে চলার সাথে দূরে মিলিয়ে যায়,সামনে অপেক্ষায় থাকে শুধু অনির্ধারিত বাস্তবতা আর প্রয়োজন!

~ শুকনো পাতা

No comments:

Post a Comment