একটা মোবাইল ফোন কোম্পানীর বিজ্ঞাপনে দেখলাম এক ছেলে এক "সুন্দরী" মেয়ের পিছে ঘুরছে তাকে মনের কথা বলতে। আবার অন্য এক "অসুন্দরী" মেয়ে ঘুরছে সেই ছেলের পেছনে। তো ছেলে যখন "সুন্দরী" মেয়েকে ফোনের কলার টিউনের মাধ্যমে মনের কথা বলে দিল, তখন সব ঠিক ছিল। বিপত্তি হল শেষ দৃশ্যে, যেখানে "অসুন্দরী" মেয়েটি তার মনের কথা বলতে আসে ছেলেটিকে। "অসুন্দরী" মেয়েটি ছেলেটিকে পছন্দ করে, এটি জানতে পেরে ছেলেটি এমন একটা Look দেয়, যেন এর চাইতে ভয়াবহ কিছু তার সাথে আর ঘটতে পারেনা।
আপাত দৃষ্টিতে মজার বিজ্ঞাপন মনে হলেও খুব সূক্ষ্ম উপায়ে এতে Racism এর বীজ বোনা হচ্ছে, যা একটু মাথা খাটালেই বোঝা যায়। অর্থাৎ সুন্দরী, স্লিম, ধবধবে সাদা চামড়ার মেয়ে না হলে তোমার কোন "বেইল" নাই। তুমি সব 'হ্যান্দচাম' ছেলের কাছে "পেইন" হয়েই থাকবে। তুমি কিছুটা খাটো হলে, মোটা হলে, নাকের ডগায় মোটা ফ্রেমের চশমা বসালে, চামড়া কৃষ্ণ হলে তুমি গ্যাছো। এই ইহধামে তোমার আর কোন জায়গা নেই।
এইসব বন্ধু,আড্ডা,গানের ফেরিওয়ালা ফোন কোম্পানীগুলোসহ প্রায় সকল প্রকার কর্পোরেট হাউজগুলো বিজ্ঞাপনের নামে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে প্রথমত হারাম সম্পর্কের বীজ বুনছে, তার উপর উস্কে দিচ্ছে বর্ণপ্রথা। চামড়া ঢলে পড়লে, চুলে তেল না দিলে স্বামীর কাছে দাম নাই। চামড়া দিয়ে টিউবলাইটের আলো বের না হলে বিয়ের বাজার, চাকরী বাজারে দাম নাই - ইত্যাদি নানা প্রকার 'আদর্শ নারী'র ক্রাইটেরিয়া চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে এইসব বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে।
মার্কেটিং নিয়ে পড়াশোনা করে একটা ধারণা লাভ করেছি, যে Advertising is all about playing with the emotions of the customer. একদম সোজা হিসাব। তত্ত্বীয় কথা সব বই এর পাতায়। বাস্তবতা এটাই। আপনি যত বেশি ভোক্তাদের আবেগ আর হুজুগ নিয়ে নাড়া দিতে পারবেন, আপনার পণ্যের প্রচার তত বেশি হবে। Business Ethics বলে একটা subject আছে ব্যবসায় শিক্ষায়। আজ পর্যন্ত তা ঐ একাডেমিক কোর্স হিসেবেই দেখে আসছি। কোনদিন বাস্তব প্রয়োগ দেখিনি।
পুঁজিবাদী সমাজ ব্যবস্থায় নারীর পণ্যায়ন যারা করে, তারাই আবার নারীর অধিকার, নারীর এই, নারীর সেই নিয়ে গলা ফাটায়। ব্যাবসা। সবই ব্যাবসা।
- Nazmus Sakib
আপাত দৃষ্টিতে মজার বিজ্ঞাপন মনে হলেও খুব সূক্ষ্ম উপায়ে এতে Racism এর বীজ বোনা হচ্ছে, যা একটু মাথা খাটালেই বোঝা যায়। অর্থাৎ সুন্দরী, স্লিম, ধবধবে সাদা চামড়ার মেয়ে না হলে তোমার কোন "বেইল" নাই। তুমি সব 'হ্যান্দচাম' ছেলের কাছে "পেইন" হয়েই থাকবে। তুমি কিছুটা খাটো হলে, মোটা হলে, নাকের ডগায় মোটা ফ্রেমের চশমা বসালে, চামড়া কৃষ্ণ হলে তুমি গ্যাছো। এই ইহধামে তোমার আর কোন জায়গা নেই।
এইসব বন্ধু,আড্ডা,গানের ফেরিওয়ালা ফোন কোম্পানীগুলোসহ প্রায় সকল প্রকার কর্পোরেট হাউজগুলো বিজ্ঞাপনের নামে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে প্রথমত হারাম সম্পর্কের বীজ বুনছে, তার উপর উস্কে দিচ্ছে বর্ণপ্রথা। চামড়া ঢলে পড়লে, চুলে তেল না দিলে স্বামীর কাছে দাম নাই। চামড়া দিয়ে টিউবলাইটের আলো বের না হলে বিয়ের বাজার, চাকরী বাজারে দাম নাই - ইত্যাদি নানা প্রকার 'আদর্শ নারী'র ক্রাইটেরিয়া চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে এইসব বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে।
মার্কেটিং নিয়ে পড়াশোনা করে একটা ধারণা লাভ করেছি, যে Advertising is all about playing with the emotions of the customer. একদম সোজা হিসাব। তত্ত্বীয় কথা সব বই এর পাতায়। বাস্তবতা এটাই। আপনি যত বেশি ভোক্তাদের আবেগ আর হুজুগ নিয়ে নাড়া দিতে পারবেন, আপনার পণ্যের প্রচার তত বেশি হবে। Business Ethics বলে একটা subject আছে ব্যবসায় শিক্ষায়। আজ পর্যন্ত তা ঐ একাডেমিক কোর্স হিসেবেই দেখে আসছি। কোনদিন বাস্তব প্রয়োগ দেখিনি।
পুঁজিবাদী সমাজ ব্যবস্থায় নারীর পণ্যায়ন যারা করে, তারাই আবার নারীর অধিকার, নারীর এই, নারীর সেই নিয়ে গলা ফাটায়। ব্যাবসা। সবই ব্যাবসা।
- Nazmus Sakib
No comments:
Post a Comment