একই হাসপাতালে দুইজন ব্যাক্তি ছিল পাশাপাশি বিছানায়। দুইজনই কঠিন রোগে আক্রান্ত। একজন প্রতিদিন ১ ঘন্টার জন্যে উঠে বসতো তাঁর ফুসফুসের পানি বের হয়ে যাবার জন্যে। রূমটির একমাত্র জানালা ছিল তার বিছানার পাশেই। অন্য ব্যক্তিকে সারাদিনই কাটাতে হত বিছানায় শুয়ে। দুইজনেই ঘন্টার পর ঘন্টা কথা বলত। তারা তাদের স্ত্রী-পরিবার নিয়ে কথা বলতো, চাকরী বাকরী, সামরিক বাহিনীতে তাদের কাজ, ছুটি কাটানোর স্থান ইত্যাদি নিয়ে তারা কথা বলতো।
প্রতিদিন বিকেলে যখন জানালার পাশের বেডের ব্যক্তিটি উঠে বসতো, সে অন্যজনকে জানালার বাইরে যা যা দেখতে পেত তা তা বর্ণনা করতো। অন্য বেডের ব্যক্তি শুধু এই একটি ঘন্টার জন্যেই বাঁচতে লাগলো যে একটি ঘন্টায় তার জীবনটা বিস্তৃত হয়ে যেতো আর বাইরের জগতের রঙ আর সজীবতায় মুখর হয়ে উঠতো। জানালাটা দিয়ে একটা বিশাল উদ্যান দেখা যেতো, যাতে একটা নিটোল দীঘি ছিল। সেই দীঘিতে হাসেরা খেলা করতো আর বাচ্চারা খেলনা নৌকা ভাসিয়ে দিত। অনেক দূরে চোখ পাতলে শহরের আকাশের একটা চমৎকার নীল দৃশ্য দেখা যেত।
যখন জানালার পাশের ব্যক্তিটি এইসব অসাধারণ বর্ণনা দিত, রূমের অন্য পাশের ব্যক্তিটি চোখ বুজে এইসব দৃশ্য তার মনের আকাশে কল্পনা করতো। মনের চোখ দিয়ে দেখতো। এক উষ্ণ বিকেলে জানালার পাশের ব্যক্তিটি একটি প্যারেড যাবার বর্ণনা করলো। যদিও অন্য ব্যক্তিটি ব্যান্ড শুনতে পেতনা, তবুও জানালার পাশের ব্যাক্তিটির অপূর্ব বর্ণনার কারণে সে মনের চোখ দিয়ে সব দেখার চেষ্টা করতো। দিন গেল, সপ্তা গেল, মাস গেল। একদিন সকালে যখন নার্স যখন তাদের গোসলের পানি দিতে এলো, সে জানালার পাশের ব্যক্তিটির নিথর দেহ পরে থাকতে দেখলো। শান্তির ঘুমের মাঝেই সে চিরশান্তির জগতে চলে গেল। নার্স চটজলদি হাসপাতালের কর্মীদের ডেকে মৃতদেহ সরিয়ে ফেলল।
যখন সঠিক সময় এল, অন্য ব্যাক্তিটি নার্সের কাছে জানতে চাইলো তার বেড জানালার পাশের দেয়া যায় কিনা। নার্স খুশিমনেই তাকে জানালার পাশে সরিয়ে দিল আর তার সকল সুবিধা নিশ্চিত করে তাকে একা রেখে চলে গেল। ধীরে ধীরে, কষ্ট করে, সে নিজের কনুই এ ভর দিয়ে বাস্তব জগতে প্রথম দৃষ্টি ফেলতে উঠে বসলো। চিন্তিত, উত্তেজিত ব্যক্তিটি ধীরে ধীরে জানালার বাইরে চোখ রাখলো।
সে একটা সাদামাটা দেয়াল ছাড়া কিছুই দেখতে পেল না। সে নার্সকে ডেকে জিজ্ঞাসা করল এমন কি কারণ হতে পারে, যার জন্যে তার অসুস্থ রূমমেট ব্যক্তিটি এমন অদ্ভুত সুন্দর শৈল্পিক কাল্পনিক উপায়ে বাইরে জগতকে বর্ণনা করত? নার্স বলল, সে ছিল অন্ধ। হয়তো সে তোমাকে উৎসাহিত করতে চেয়েছিল।
শিক্ষাঃ নিজের সীমাবদ্ধতা, দুঃখ কষ্ট থাকা স্বত্বেও অন্যকে খুশি করার মাঝে একটা অসম্ভব আনন্দ কাজ করে। দুঃখ বাটলে তা অর্ধেক হয়ে যায় আর সুখ বাটলে তা হয়ে যায় দ্বিগুণ। আপনি যদি ধনী হতে চান, আপনার শুধু সেইসব সম্পদ গুনতে থাকুন যা টাকা দিয়ে কেনা সম্ভব নয়।
Yesterday is history
Tomorrow is a mystery Today is a gift.
That's why we call it 'Present'
[Collected and translated from the page The Idealist]
প্রতিদিন বিকেলে যখন জানালার পাশের বেডের ব্যক্তিটি উঠে বসতো, সে অন্যজনকে জানালার বাইরে যা যা দেখতে পেত তা তা বর্ণনা করতো। অন্য বেডের ব্যক্তি শুধু এই একটি ঘন্টার জন্যেই বাঁচতে লাগলো যে একটি ঘন্টায় তার জীবনটা বিস্তৃত হয়ে যেতো আর বাইরের জগতের রঙ আর সজীবতায় মুখর হয়ে উঠতো। জানালাটা দিয়ে একটা বিশাল উদ্যান দেখা যেতো, যাতে একটা নিটোল দীঘি ছিল। সেই দীঘিতে হাসেরা খেলা করতো আর বাচ্চারা খেলনা নৌকা ভাসিয়ে দিত। অনেক দূরে চোখ পাতলে শহরের আকাশের একটা চমৎকার নীল দৃশ্য দেখা যেত।
যখন জানালার পাশের ব্যক্তিটি এইসব অসাধারণ বর্ণনা দিত, রূমের অন্য পাশের ব্যক্তিটি চোখ বুজে এইসব দৃশ্য তার মনের আকাশে কল্পনা করতো। মনের চোখ দিয়ে দেখতো। এক উষ্ণ বিকেলে জানালার পাশের ব্যক্তিটি একটি প্যারেড যাবার বর্ণনা করলো। যদিও অন্য ব্যক্তিটি ব্যান্ড শুনতে পেতনা, তবুও জানালার পাশের ব্যাক্তিটির অপূর্ব বর্ণনার কারণে সে মনের চোখ দিয়ে সব দেখার চেষ্টা করতো। দিন গেল, সপ্তা গেল, মাস গেল। একদিন সকালে যখন নার্স যখন তাদের গোসলের পানি দিতে এলো, সে জানালার পাশের ব্যক্তিটির নিথর দেহ পরে থাকতে দেখলো। শান্তির ঘুমের মাঝেই সে চিরশান্তির জগতে চলে গেল। নার্স চটজলদি হাসপাতালের কর্মীদের ডেকে মৃতদেহ সরিয়ে ফেলল।
যখন সঠিক সময় এল, অন্য ব্যাক্তিটি নার্সের কাছে জানতে চাইলো তার বেড জানালার পাশের দেয়া যায় কিনা। নার্স খুশিমনেই তাকে জানালার পাশে সরিয়ে দিল আর তার সকল সুবিধা নিশ্চিত করে তাকে একা রেখে চলে গেল। ধীরে ধীরে, কষ্ট করে, সে নিজের কনুই এ ভর দিয়ে বাস্তব জগতে প্রথম দৃষ্টি ফেলতে উঠে বসলো। চিন্তিত, উত্তেজিত ব্যক্তিটি ধীরে ধীরে জানালার বাইরে চোখ রাখলো।
সে একটা সাদামাটা দেয়াল ছাড়া কিছুই দেখতে পেল না। সে নার্সকে ডেকে জিজ্ঞাসা করল এমন কি কারণ হতে পারে, যার জন্যে তার অসুস্থ রূমমেট ব্যক্তিটি এমন অদ্ভুত সুন্দর শৈল্পিক কাল্পনিক উপায়ে বাইরে জগতকে বর্ণনা করত? নার্স বলল, সে ছিল অন্ধ। হয়তো সে তোমাকে উৎসাহিত করতে চেয়েছিল।
শিক্ষাঃ নিজের সীমাবদ্ধতা, দুঃখ কষ্ট থাকা স্বত্বেও অন্যকে খুশি করার মাঝে একটা অসম্ভব আনন্দ কাজ করে। দুঃখ বাটলে তা অর্ধেক হয়ে যায় আর সুখ বাটলে তা হয়ে যায় দ্বিগুণ। আপনি যদি ধনী হতে চান, আপনার শুধু সেইসব সম্পদ গুনতে থাকুন যা টাকা দিয়ে কেনা সম্ভব নয়।
Yesterday is history
Tomorrow is a mystery Today is a gift.
That's why we call it 'Present'
[Collected and translated from the page The Idealist]
translated by : Nazmus Sakib
No comments:
Post a Comment