দ্বীনি বিষয়গুলো অনেক চমৎকার।
ধরুন, আপনি জামায়াতে সালাত আদায়ের নিয়্যতে মসজিদে গেলেন। কিন্তু গিয়ে দেখলেন জামায়াত শেষ হয়ে গিয়েছে। তারপরেও আপনি জামায়াতে সালাত আদায় করার সমান সওয়াব পাবেন শুধু আপনার প্রচেষ্ঠার কারণে।
একইভাবে, আপনি দ্বীনের যে কাজটাই করুন না কেন আপনার নিয়্যত ও প্রচেষ্টার কারণে কিছু না কিছু বিনিময় আল্লাহর কাছে আশা করতে-ই পারেন। এমনকি কাজটা করতে গিয়ে আপনি ব্যর্থ হলেও আজর পাবেন ইনশা-আল্লাহ।
এবার, দুনিয়াবী কাজগুলোর কথা চিন্তা করুন।
দুনিয়াবী কাজের বিনিময় আপনি ঠিক ততটুকু-ই পাবেন যতটুকু আপনি কাজটা করবেন।যেমন ধরুন, আপনি অনেক টাকা খরচ করে একটা ভাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি ফরম কিনলেন। আরো কিছু টাকা খরচ করে গাড়িতে চড়ে ভর্তি পরীক্ষার দিন সেই ভার্সিটিতে গেলেন পরীক্ষা দেওয়ার জন্য। কিন্তু দুর্ভাগ্য, মাঝপথে হয়ত কোন দুর্ঘটনা বা জ্যামের কারণে আপনি সেখানে গিয়ে দেখলেন পরীক্ষার সময় শেষ। এখন আপনার আর করার কিছুই থাকবে না।
আপনার যে টাকা খরচ করলেন, যে পরিশ্রম দিলেন তার সবটুকুই ব্যর্থ। কিছুমাত্র লাভও আপনি তখন পাবেন না।
দ্বীনি আমলগুলোর আরো একটি চমৎকার বিষয় হচ্ছে, এই আমলের বিনিময়গুলো স্বয়ং আল্লাহ-তায়লা সংরক্ষণ করেন। অপরদিকে দুনিয়াবী বদলা যেমন পরীক্ষার সার্টিফিকেটগুলো কিন্তু আপনাকে-ই সংরক্ষণ করতে হবে [এ কথা দ্বারা এটা বুঝানো হচ্ছে না যে, আল্লাহ্র ইচ্ছা ছাড়াই আপনি তা পারবেন]। আর যদি কোন কারণে এই কাগজগুলো কখনো হারিয়ে যায় তবে এক্কেবারে নাস্তানাবুদ অবস্থা।
সর্বোপরি সবচেয়ে বেশী চমৎকার বিষয় হচ্ছে, দ্বীনি কাজের যে পুরষ্কার দেওয়া হবে সেটা হল জান্নাত যার মধ্যে সুখের কোন সীমা-পরিসীমা নেই আর দুনিয়াবী কাজের যে বিনিময় পাওয়া যায় তার সুফল সবক্ষেত্রে পাওয়া যায় না। আর পাওয়া গেলেও তা খুব সামান্য ও ক্ষণস্থায়ী। তাছাড়া এইসমস্ত ডিগ্রী-টাকা-পয়সা-সম্পদ কোনটাই মৃত্যুর পর কাজে আসে না।
সুতরাং,
সুসংবাদ তাদের জন্য যারা দ্বীনকে মানে, আর ক্ষতিগ্রস্থ তারা আল্লাহকে ভুলে দুনিয়ার পিছে ঘুরে।
--- ওমার ফারুক
No comments:
Post a Comment