আজকে রাতেও স্টার প্লাসে

আজকে রাতেও স্টার প্লাসে 'ইস পেয়ার কো কিয়া নাম দু' নাটকটা প্রচারিত হবে। হয়তোবা খুব গুরুত্বপূর্ণ পর্ব আছে আজকে; টনটনে উত্তেজনা অথবা অন্তরঙ্গতার!

কিন্তু সে মেয়েটার কাছে তার কি মূল্য আছে যে আজকে সড়ক দুর্ঘটনায় চাপা পড়ে মারা গেল? সে হতে পারে গতকালের পর্বটা দেখেছে, হয়তোবা আজকের পর্বও দেখার অপেক্ষায় অধীর ছিল। এই সময়গুলো তার জবাবদিহিতার বোঝা ভারী করা ছাড়া আর কোন কাজে আসবে কি?

আজকের পর্বটা তিনি দেখতে পাবেননা। কিন্তু তার বয়সী হাজার হাজার মেয়ে দেখবে। তারাও চিন্তা করবে কুরআন পড়া, ধর্মকর্ম করা যাবে শেষ বয়সে গিয়ে। এখনই যে আমার শেষ বয়স না তার নিশ্চয়তা কোথা থেকে পাচ্ছি আমরা?

লেখাটা একটু কঠোর শোনায়। মানুষ মারা যাবার এভাবে বলাটা ঠিক কি? কিন্তু আমরা তো শিক্ষা নিইনা। তার পরিচিত বান্ধবীরা হয়তো আজকের পর্ব দেখবেনা, কিন্তু এক সপ্তাহ পর? কত মা আশা করে ছিলেন ঝিলিক তার মায়ের কাছে ফিরে যাবে। এখনও ঝিলিক তার মায়ের কাছে যায়নি, মা নাটকটাও স্টার জলসায় শেষ হয়নি। উপরন্তু দর্শক অসংখ্য মা রঙিন ধাঁধাময় এই দুনিয়া থেকে বিদায় নিতে বাধ্য হয়েছেন। লাক্স সুন্দরী রাহার দুর্গন্ধময় লাশ থেকে কি আমরা আদৌ কোন শিক্ষা পেয়েছি?

-- সাজিদ করিম

dampotto : উত্তম স্ত্রীর গুণাবলী

​​জীবনসঙ্গিনী একজন পুরুষের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। উত্তম স্ত্রী যিনি জীবনে পান, তিনি একজন ভাগ্যবান পুরুষ। ​তেমনি একজন স্ত্রীর কাছে যিনি ভালো স্বামী তিনিই প্রকৃত উত্তম চরিত্রের মানুষ। ​একজন সফল ব্যক্তির পাশে থাকেন তার সুযোগ্য সহযোদ্ধা, সহযাত্রী, বন্ধু হিসেবে তার স্ত্রী।  সৎ এবং চরিত্রবান স্ত্রী একজন পুরুষের জন্য এই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সম্পদ।​ ​একজন অসাধারণ জীবনসঙ্গিনীর অনেক উত্তম গুণাবলী হতে পারে, তার মধ্যে কয়েকটি হলো --​
​​
১) স্বামী বাইরে থেকে ফিরলে সম্ভব হলে দরজাটা নিজেই খুলে দেন, একটি হাসি উপহার দিয়ে দু'জনের মাঝে শান্তিময় পরিবেশ সৃষ্টির জন্য আল্লাহর কাছে দু'আ চেয়ে তাকে বলেন, "আসসালামু আলাইকুম।"

২) তার জীবনসঙ্গী কাজ শেষে বাসায় ফেরার পর তাকে ফ্রেশ হয়ে নিতে প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো এগিয়ে দিন। একটু কষ্ট করে তার জন্য সময়মত খাবারটি পরিবেশন করেন। সুসংবাদটি তাড়াতাড়ি জানান এবং খারাপ সংবাদ থাকলে একটু সময় নিয়ে তারপর বলেন।

৩) স্বামীর নির্দেশনাগুলো শোনেন এবং সাধ্যমত চেষ্টা করেন যেন তাকে সন্তুষ্ট রাখা যায়। ​কোন বিষয় নিয়ে স্বামীকে কখনো চাপে রাখেন না বরং তার মনে শান্তি দেয়ার চেষ্টা করেন।

৪) যদি তার​ জীবনসঙ্গী মানুষটা ​​কখনো তাকে কষ্ট বা আঘাত দিয়ে ফেলে, তিনি নিজেকে শান্ত রাখেন। খেপে যান না কেননা তিনি ধরেই নেন হয়ত তাকে ইচ্ছাকৃতভাবে কষ্ট দিতে চাননি, অসতর্কতায় এমনটি হয়ে গেছে।

৫) জীব​ন​সঙ্গী​র ছোট ছোট ভুলগুলো তিনি এড়িয়ে যান এবং তার ভালো কাজগুলোকে উৎসাহিত করেন। তার পরিশ্রমের কাজগুলোর ব্যাপারে প্রশংসা করেন।

৬) নিজেকে পরিপাটি ও সুন্দর করে উপস্থাপন করেন স্বামীর সামনে​ যা তিনি অন্য কারো সামনে, কারো জন্য করেন না​। সম্ভব হলে সুগন্ধি ব্যবহার করেন।

৭) সৌহার্দ্যপূর্ণ ভালোবাসার গলায় জীবনসঙ্গীর সাথে কথা বলেন। এই কোমল সুরে তিনি অন্য কোন পুরুষের সাথে কখনো কথা বলেন না। যাদের বিয়ে করা নিষিদ্ধ নয় এমন পুরুষদের সাথে যথাসম্ভব কোমলতাহীন কন্ঠে এবং সাধ্যমতন সংক্ষিপ্তভাবে কথা বলাই ইসলামের শিক্ষা।

৮) তার স্বামীর আয় থেকে অতিরিক্ত ব্যয় করেন না, অবর্তমানে তিনি তার সংসারের সবকিছু এমনভাবে দেখভাল করেন যেন স্বামীর অপছন্দের কিছু না ঘটে।

৯) জীবনসঙ্গী যখন খারাপ সময়ের মধ্য দিয়ে যায়, তিনি তার পাশে থাকেন​, ধৈর্যধারণ আর সদুপদেশ দিয়ে তাকে ধীরস্থির হয়ে সময় কাটিয়ে ওঠার পথে সাহায্য করেন​।

১০) স্বামী তার প্রতি সঠিক আচরণ না করলেও ধৈর্য ধরেন, চেষ্টা করেন তাকে উত্তম উপায়ে তার প্রত্যুত্তর দিতে।

১১) শালীনতা রেখে উত্তম পোশাক পরেন যাতে কেননা পোশাকে রুচিবোধ ফুটে ওঠে। ঈমানের সাথে লজ্জার সম্পর্ক খুবই গভীর। যিনি যত বেশি ঈমানের অধিকারী/অধিকারিণী তার লজ্জাবোধ তত বেশি। একজন উত্তম মুসলিমাহ এসব বিষয়ে সচেতন দৃষ্টি রাখেন।

১২) সন্তানদের ইসলামিক জ্ঞানে বড় করে তুলতে সামর্থ্যের সর্বোচ্চটুকু করেন। নিজেও আন্তরিকভাবে ইসলাম সম্পর্কে শেখেন এবং স্বামী-স্ত্রী দু'জনে মিলে জীবনে ইসলামকে মেনে চলেন। বাবা-মায়ের আচরণ সন্তানদের প্রভাবিত করে, তাই বাবা-মায়েরা নিজেরাও সচেতন থাকেন নিজেদের ব্যক্তিগত চরিত্র, স্বভাব এবং আচরণ নিয়ে।

♥ উত্তম স্বামীর গুণাবলী নিয়ে আমাদের পূর্বেকার পোস্টখানি : https://www.facebook.com/dampotto.life/posts/686711571347968

ধরেন আপনার পরিচিত কেউ মারা গেলো

একটা জিনিস আপাত দৃষ্টিতে খুব নিরীহ মনে হতে পারে.........

যারা এটার বিরুদ্ধে কথা বলে তাদেরটা বাড়াবাড়ি লাগতে পারে, কিন্তু সত্যি হচ্ছে কিছু কিছু জিনিস আপনার অবচেতন মনে কখন কোন দিক দিয়ে প্রবেশ করেছে আপনি হয়ত টেরও পান নি.........এবং কখন সেই বিশ্বাসের উপর আমল করা শুরু করে দিয়েছেন তাও জানেন না! এটাও জানেন না যে সেই কাজের পারলৌকিক পরিণতি কতটা ভয়ংকর হতে পারে! আমি হিন্দী সিরিয়ালের কথা বলছি.........

ধরেন, আপনার পরিচিত কেউ মারা গেলো। আপনি সিরিয়ালে দেখেছেন স্বামী মারা গেলে হিন্দু নারীর শাখা খুলে নেয়া ও সিঁদুর মুছে দেয়া অত্যন্ত রোমান্টিক একটা দৃশ্য। মহিলা চিৎকার করে বিলাপ করে কাঁদতে থাকবে, অন্যরা জোর করে তার শাখা ভেঙ্গে দিবে। একটা পর্ব হবে শুধু এই ঘটনার উপরে। আপনার চোখে পানি এসে যাবে, কারণ ঘটনাটা খুবই দুঃখের! আপনার একবারো মনে হবে না যে এভাবে বিলাপ করে কাঁদা ইসলামের নিষেধ এবং মহিলার সাথে যেটা করা হচ্ছে এটা অত্যন্ত অমানবিক ও নিষ্ঠুর কাজ। আপনি ভুলে যাবেন যে ইসলামে 'বিবাহিত' বা 'বিধবার' বিশেষ কোনো চিহ্ন নেই। কেউ মারা গেলে আমরা স্মরণ করি যে আমরা আল্লাহর কাছ থেকে এসেছি, আল্লাহর কাছেই ফিরে যাবো। যে অলরেডি চলে গেছে, আমাদের তখন তার জন্য দুআ করতে ব্যস্ত থাকার সময়। কিন্তু আপনি যে হিন্দী সিরিয়াল দেখে অভ্যস্ত! তাই আপনি করলেন কী, এটার একটা মডিফাইড ভার্সন তৈরি করলেন। কী সেটা? আপনি ভদ্রমহিলা, যার স্বামী মারা গেছে, তার গয়না খুলে নেয়া শুরু করলেন!তাকে সাদা না হোক, হাল্কা রং এর শাড়ি পরার জন্য চাপাচাপি করতে লাগ্লেন............

আপনি ভুলে গেলেন যে এভাবে শয়তান আপনাকে আসল কাজটা থেকে ভুলিয়ে রাখছে। কী সেটা? দুআ করার কাজটা এবং নিজের অনুরূপ পরিণতি মনে করে জীবনটাকে সংশোধন করার প্রচেষ্টা.........

[collected from : sister Hamida Mubasshera]

dampotto : ইগো অপমান এবং সংসার টিকে থাকা


এক দম্পতিকে জিজ্ঞাসা করা হলো তারা কীভাবে একসাথে ৬০ বছর কাটিয়েছিলেন। তারা উত্তর দিয়েছিলেন,

আমরা যে সময়টাতে জন্মেছিলাম তখন কোন কিছুতে সমস্যা দেখা দিলে তার মেরামত করে সারিয়ে নিতাম, ছুঁড়ে ফেলে দিতাম না।

* * *

আপনার স্বামী বা স্ত্রী হয়ত আপনার সাথে এমন কথা বলেছেন কিংবা আচরণ করেছেন যা আপনার বেশ গায়ে লেগেছে, তবু যখন আপনি রাগ দেখিয়ে, জেদ প্রকাশ করে তাকে পালটা আহত করছেন না -- এর অনেকগুলো কারণের একটি হলো, আপনাদের সম্পর্কটাকে আপনি আপনার অহং বা ইগোর চাইতে উপরে স্থান দিচ্ছেন।

অভিজ্ঞরা বলেন, বেশিরভাগ দাম্পত্য সম্পর্কের ফাটল দেখা দেয় মূলত সূক্ষ্ম কিছু অমিল আর ঘটনাকে কেন্দ্রে করে যা বিবর্ধিত হতে হতে ভয়াবহ আকার ধারণ করে যার একটি প্রধান কারণ অহংবোধ বা ইগো।

সমাধানের আগ্রহ নয়, দু'জনার সম্পর্কটাকে বড় করে দেখা নয় বরং যখন নিজেকেই বেশি বড় করে দেখা হয়, তখন সম্পর্কে বিষ ঢুকে পড়ে। অহংবোধ স্বামী-স্ত্রীর মাঝে সমস্যাগুলোর সমাধানের আগ্রহটুকুও নষ্ট করে ফেলে। আল্লাহ (সুবহানাহু ওয়া তা'আলা) আমাদেরকে অহংবোধ থেকে মুক্তি দিন, জীবনসঙ্গীর প্রতি আন্তরিকভাবে কর্তব্য করে যাওয়া, দু'জনে মিলে সংসারটিকে সুন্দর করে গড়ে তোলার ও নিজেদের মাঝে সহমর্মিতা গড়ে তোলার তাওফিক দিন।

* * *

অন্যদের সামনে স্ত্রীকে বা স্বামীকে অপমান করবেন না। তার অসম্মান হয় এমন কথা সবার সামনে বলবেন না। মনে রাখবেন, তিনি আপনার দ্বীনকে পূর্ণ করেছেন। তিনি আপনার সংসারের সহযোগী, সহযাত্রী, বন্ধু। তার অসম্মান হলে বা সম্মানহানি হলে সেই কালিমা আপনার গায়েও এসে লাগবে।

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) স্ত্রীদের প্রতি ভালো ব্যবহার করতে নির্দেশ দিয়েছেন, যেন তাদের প্রতি আমরা হিংষা-বিদ্বেষ ও শত্রুতা পোষণ না করি তা শিখিয়েছেন।

যে সমাজে সারাক্ষণ মানুষকে সুড়সুড়ি দেওয়া হয়।

যে সমাজে নাটক-ছিনেমা, গল্প-উপন্যাসে, রেডিও-টিভি-বিলবোর্ডের বিজ্ঞাপনে সারাক্ষণ মানুষকে সুড়সুড়ি দেওয়া হয়। যে সমাজে পর্ণছবি বাজারের আলু-পটলের মতো বিক্রি হয়; যে সমাজে অনলাইনে নোংরামী মাত্র একটি ক্লিকের মধ্যে সহজলভ্য করে দেওয়া হয়। অন্য দিকে সহজাত চাহিদা পুরণের বৈধ পথ বন্দ করে দেওয়া হয়, সেখানে পরিস্থিতি কেমন রুপ ধারণ করতে পারে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। যারা এখনও টের পাননি, একটু অপেক্ষা করুন। আমাকে আর বুঝিয়ে দিতে হবে না। আপনিই টের পাবেন হাড়ে হাড়ে। আপনার কলিজার টুকরা কন্যা, প্রাণপ্রিয় ছেলেই আপনাকে প্র্যাকটিক্যাল করিয়ে দেবে।

সত্যিই ভাবনার বিষয়! যেখানে ১৮ বছর বয়সে একজন মানুষ সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনার মতো জনগুরুত্বপুর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেওয়ার জন্য ভোট দেওয়ার উপযুক্ত হয়; সেখানে তাকে বিয়ের মতো একটা একান্ত ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে বলা হয় 'তুমি অনুপযুক্ত'। বিচিত্র! সত্যিই বিচিত্র!!

বিয়ে-শাদী দেরিতে হওয়ার কারণে মানুষের মধ্যে বাস্তববাদিতা, দায়িত্বশীলতা ও পরিপক্কতারও মারাত্মক অভাব পরিলক্ষিত হয়। এই ছ্যাবলামোর প্রভাব সমাজ জীবনেও প্রতিফলিত হয়। এমন দৃশ্য আপনাদের চারপাশে অহরহ দেখে থাকবেন যে, ২৫-২৬ বছরের এক শক্ত সামর্থ্য যুবক বাপের হোটেলে খায় আর আড্ডাবাজি করে বেড়ায়। সমাজে কোনো অবদান তো রাখেই না, কারো দায়িত্ব তো নেয়ার মুরোদই নাই; বরং সে নিজেই সমাজের জন্য একটা বোঝা, একটা অভিশাপ।

রেস্পন্সিবিলিটি ছেলেদেরকে 'পুরুষ' বানায়। শুধু প্যান্ট পরা অর্থে পুরুষ নয়, বাস্তব অর্থে। তার চিন্তা-চেতনায় ও আচার আচরণেও তা ফুটে ওঠে । কথায়ও বলে, A man is not MAN until he takes the responsibilities of others. পুরুষ ততোক্ষণ পর্যন্ত পুরুষ হয় না, যতোক্ষন সে অন্যের দায়িত্ব ঘাড়ে না নেয়। আর এটা যতো তাড়াতাড়ি হবে, সমাজ জীবনেও ততো তাড়াতাড়ি দায়িত্বশীলতার প্রভাব পড়বে।

details : http://www.shomokalin.com/article/early-marriage

নিজেকে বিরত রাখছে শত পাপের কাজ থেকে

​​
যে যুবক আল্লাহ্‌ তা'আলার ভয়ে নিজেকে বিরত রাখছে শত পাপের কাজ থেকে আর নিজেকে সাজিয়েছে নবী (সা) এর সুন্নতের সাজে, সে যুবক পারত নিজের যৌবনে উন্মত্ততাকে কাজে লাগিয়ে নানা পাপে লিপ্ত হতে, সে পারত নারীদের সাথে অবৈধ প্রেমের স্রোতে ভেসে যেতে, সে পারত দুনিয়ার নানা পাপের রূপ-গন্ধ-স্বাদ অনুভব করতে; কিন্তু কে তাকে বিরত রাখছে এসব থেকে!?
তা একমাত্র আল্লাহ্‌ তা'আলার ভয়!!

আবার যে তরুনী, যে যুবতী পারত নিজের যৌবনের অহংকারে ডুবে যেতে, নানা পাপের কাজে নিজে ভেসে যেতে সাথে সাথে শত শত জনকে ভাসিয়ে নিতে; নিজ যৌবনের রংকে প্রকাশ করে দর্শকের চোখকে তাতিয়ে দিতে; সে কেন নিজেকে ঢেকে রেখেছে পর্দার বিধানে, কেন সে নিজেকে দূরে সরিয়ে রেখেছে পাপময় রঙ্গিন দুনিয়ের মৌজ-মাস্তি থেকে? কেউ কি তাকে বাধ্য করেছে!? না, সে তা একমাত্র করছে আল্লাহ্‌ তা'আলার ভয়ে, তাঁর প্রেমের মোহে!!

যখন অন্য যুবক-যুবতীদের রাত কাটছে নানা পাপ আর অশ্লীলতার কাজে, তখন এসব যুবক-যবতীদের অনেকে লোকচক্ষুর অন্তরালে দাঁড়িয়ে যাচ্ছে মহা-প্রভুর সামনে, তার জায়নামাজ ভিজে যাচ্ছে আল্লাহ তা'আলার ভয়ে চোখ থেকে নির্গত অশ্রুর বন্যাতে!!

যে আল্লাহ্‌ তা'আলার ভয়ে এইসব যুবক-যুবতীরা, যৌবনের অবৈধ উচ্ছ্বাস থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখছে, যৌবনের চোখ-ধাঁধানো ক্ষণস্থায়ী আহ্বান থেকে মুখ ফিরিয়ে রাখছে, জীবনের সবচেয়ে উশৃঙ্খল সময়টাকে শৃঙ্খলতায় আটকে রাখছে,জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান সময়টাকে যখন অন্য যুবক-যুবতীরা বেপরোয়াভাবে উপভোগ করছে, শত ইচ্ছা থাকা সত্তেও তখন আল্লাহ্‌র ভয়ে সেই যুবক-যুবতীরা নিজেদেরকে সংযত রাখছে; দয়াময় সে আল্লাহ্‌ কি বিচার দিবসের দিন তাদের এই ত্যাগ-তিতিক্ষাকে ভুলে যাবেন!? কখনোই না!! দুনিয়ার জীবনের ক্ষণস্থায়ী যৌবনকালকে যারা সংযত রেখেছে, আখেরাতে তারা এমন যৌবন লাভ করবে যার কোন লয়-ক্ষয় নেই।

যেসব উপহাসকারী, ব্যঙ্গকারীরা এইসব যুবক-যুবতীদেরকে জঙ্গী-নিনজা বলে উপহাস করত, ব্যাক-ডেটেড বলে অবজ্ঞার দৃষ্টিতে দেখত, আখেরাতে সেইসব যুবক-যুবতীদের আপডেটেড জীবন দেখে অবজ্ঞাকারীরা হতচকিত হয়ে যাবে! আল্লাহ্‌ তা'আলার আরশের ছায়ার নীচে সেসব যুবক-যুবতীদের দেখে উপহাশকারীরা করুণ চোখে চেয়ে থাকবে; জান্নাতের উচ্চাশনে সেসব যুবক-যুবতীদের অধিষ্ঠিত দেখে তারা বেদনার অশ্রু ঝরাতে থাকবে, আর শত-কোটি আফসোস করে বলতে থাকবে- "আহ! আমরাও যদি হতাম এই সৌভাগ্যবান যুবক-যুবতীদের মতো।"

আল্লাহ্‌ তা'আলা সকল যুবক-যুবতীদের তাঁর রঙ্গে রঙিন হওয়ার তাওফীক দান করুন, তাদের সকলকে আল্লাহ্‌ তা'লার হাবীবের সাজে সাজার সদিচ্ছা দান করুন।

হে আল্লাহ্‌! আমাদেরকে এমন যুবক-যুবতী হওয়ার তাওফীক দান করুন যাদেরকে আপনি ভালোবাসেন, তারাও আপনাকে ভালোবাসে এবং নিজেদের যৌবনকালকে সকল অনাচার থেকে হেফাজত করে।

(Collected)

এক আত্মীয়া বললেন ওনার মেয়ের জন্য পাত্র দেখতে

​​
আমার এক আত্মীয়া বললেন ওনার মেয়ের জন্য পাত্র দেখতে। বললেন, "তোমার মত পাত্র চাই, তবে দাড়ি থাকতে পারবেনা, আর এত নামায কালাম না করলেও হবে। তবে ধার্মিক হতে হবে!"

আমি বললাম, "জি আন্টি, অনেক ভাল পাত্র আছে হাতে, দাঁড়িও নেই, নামাজ কালাম পড়েনা, তবে অনেক ধার্মিক। ছেলের নাম নারায়ণ চক্রবর্তী। কথা বলব নাকি।"

উনি চোখ গরম করে বললেন, "কি বেয়াদব ছেলেরে বাবা, ফাইযলামি কর আমার সাথে?"

আমি বললাম, "ফাইযলামি তো আপনি করলেন আমার সাথে, আর সবসময়ই করে আসছেন ইসলাম 'ধর্ম' নিয়ে।"

আন্টি বললেন, "যাও লাগবেনা দেখা পাত্র। দরকার নাই তোমার মত হুজুর।"

আমি বললাম "হুজুরদেরও মনে হয় খুব দরকার নাই আপনাদের মেয়েদের।"

-- আবু মুয়াজ

​হতাশা : যীনাত

​​
​হতাশা [গল্প]

দুপুর দুটো। কড়া রোদ। মেয়েটা ওভারব্রীজ দিয়ে যাচ্ছে। সে আজ খুব ক্লান্ত। সকাল থেকে খাওয়া হয়নি। টাকাও নেই কাছে। তার ওপর ক্লাসমেটের বাবার জন্য ফান্ড রেইজ করতেও পরিশ্রম গেছে আজ। শুধু তাই না। মেডিকেল বলে কথা। ভর্তি হতে না হতেই এত্তোগুলো পড়া ! হঠাৎ , ভিক্ষুক ছেলেটা পা জড়িয়ে ধরল। - ধরো না ভাই, নাই আমার কাছে।

আরেকবার মেয়েটা ওভারব্রীজের ওপর। একদম বাচ্চা একটা মেয়ে পা ধরতে গেল – এই, পা ধরবে না। আমি ও মানুষ, তুমিও মানুষ। দুজনই আল্লাহর বান্দা, বুচ্ছ? নাও।

দশটাকার নোটটা ধরিয়ে আবার হাঁটতে লাগল ও। শীতের শুরু। আবহাওয়া ভাল। মনটাও ভাল। আজ প্রফ ছিল। খুব ভাল হয়েছে। ওর জীবনে এরচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আর কি আছে ! সামনে থার্ড ইয়ার, আরও অনেক পরিশ্রম করা দরকার। - সব আল্লাহর ইচ্ছা।

তীব্র শীত পড়েছে। নিঃশ্বাস নেয়াও কষ্টকর। সন্ধ্যা হয়ে গেছে। ক্লান্ত শরীরে দ্রুত হাঁটতেও পারছে না মেয়েটা। - আবার ওভারব্রীজে উঠতে হবে? ঝামেলা !

ব্রীজের কোণায় অন্ধকারে দাঁড়িয়ে আছে ভিক্ষুক একটি ছেলে। দুর থেকে মেয়েটাকে চোখে পড়ল তার। হাতে দামী ফোনটা আলগা করে ধরা। কাছে আসতেই মেয়েটার চেহারা চিনতে পারল সে। আর তারপর, হাতের চাকুটা লুকিয়ে ফেলল।

ওভারব্রীজে ওঠার ঝামেলা টেরও পেলনা মেয়েটা। চিন্তার বোঝা মাথায় করে সবগুলো সিঁড়ি কখন পার করেছে জানে না ও। কোন ভিক্ষুককে তার চোখে পড়েনি।
আজ চারপাশ চুপচাপ। সবকিছু খালি খালি। হরতাল না অবরোধ কি যেন ছিল।
সামনে বাড়ির গেট। ঘরে ঢুকেও হরতাল নাহয় অবরোধ একটা কিছু থাকবেই। জীবন যন্ত্রণা। আর পড়াশুনা করবে না ও। - ডাক্তার হয়েই বা কি?

যে স্রষ্টার ওপর এতোদিন ভর করেছে ও , সেই স্রষ্টা তাকে ভুলে গেছে। আজ এটুক ও নিশ্চিত।

-- যীনাত আক্তার

খালি মিলাদ শেষে তবারক মিলে

আমাদের সমাজে যারা মুরব্বী আছেন তাদের মধ্যে যারা মাদ্রাসা শিক্ষিত তাদের মাঝে আদব কায়দার গুরুত্ব আকাশ চুম্বি। তারা মাঝে মাঝে এমন বিহেভ করেন যে মনে হয় বেয়াদবিটা শিরকের চাইতেও বড় গুনাহ। মুরব্বীদের সম্মানের গুরুত্ব এতটাই অধিক বর্ণনা এবং সেটা এতই উচ্চ পর্যায়ে নিয়ে আসেন যে মনে হয় মুরব্বীরা খোদার আসন পেয়ে গেছেন। (নাউজুবিল্লাহ)

পরিচিত এক ছেলে বিয়ে করেছে। তার বাবা হলেন মস্ত বড় হুজুর। বাবা বিয়েতে রাজি ছিলেন না, শেষ পর্যন্ত ছেলের সাথে না পেরে উঠে বিয়ে দিতে বাধ্য হলেন। কিন্তু বিয়ের পরে মেয়েকে তুলে আনলেন না। কুটুম বাড়ির সাথে একফোটাও সৌজন্যতা করলেন না। পরে ছেলে একদিন তার বউকে নিয়ে ঘরে উঠলো, কিন্তু মাওলানা শশুর মশাই মেয়েটার সাথে কথাই বললেন না। দিন গড়াচ্ছে কিন্তু মাওলানার গোয়ার্তুমি যাচ্ছে না। উনার একটাই অভিযোগ, ছেলে বেয়াদব, বাপের কথা শুনেনি।

অথচ এই মাওলানা সাহেব ভালো করেই জানেন যে ছেলেদের বিয়ে করতে বাপের থেকে ছাড় পত্র নিতে হয় না। তার পরেও তিনি কতো কুরআন হাদিস ঝেড়ে বলেন "বদ দোয়ার চোটে এই পোলা জাহান্নামে যাবে" ওনার এই ফতোয়ায় আমার বেশ সন্দেহ হয়!

তিনি আমার উস্তাদ, ক্লাস ফাইভ পর্যন্ত উনার আন্ডারে পড়েছি। আমি নিজ কানে বহুবার শুনেছি তিনি বলতেন "চরিত্র রক্ষার্থে যে বিয়ে করলো আল্লাহ তার সহায় হয়ে যান"...

মিলেনা, কিছুই মিলে না। খালি মিলাদ শেষে তবারক মিলে।

--- তারিক ভাই

dampotto : যে ৮ টি বিষয় আপনার দাম্পত্য জীবনকে অশান্তিময়, দুর্বল এবং অকার্যকর করতে থাকে

যে ৮ টি বিষয় আপনার দাম্পত্য জীবনকে অশান্তিময়, দুর্বল এবং অকার্যকর করতে থাকে--


১) খারাপ ব্যবহার করা : তাকে এমন কিছু নিয়ে ঠাট্টা করা যাতে সে আঘাতপ্রাপ্ত হয়। এমন ধমক দেয়া যা অন্যদের সামনে তার অসম্মান হয়ে যায়। তাকে অপমান করা আপনার প্রতি তার শ্রদ্ধাবোধকে কমিয়ে দিবে।

২) উপেক্ষা করা : তার পছন্দ, ভালোলাগা কিংবা তার কথাবার্তাকে গোণায় না ধরা বা পাত্তা না দেয়া। হয়ত সে সালাম দিয়েছেন আপনাকে, আপনি উত্তর দিলেন না। বেশ কিছুদিন যাবৎ খুব আগ্রহ নিয়ে হয়ত সে কিছু বলছে কিন্তু আপনি বিশেষ কারণ ছাড়াই তার কথার পাত্তা দিচ্ছেন না।

৩) মিথ্যা বলা : দুষ্টামি করেও মিথ্যা বলা সঠিক নয়। আল্লাহ মিথ্যাকে নিষিদ্ধ করেছেন। আল্লাহ আমাদেরকে শয়তানের এই ওয়াসওয়াসা থেকে রক্ষা করুন।

৪) কথা দিয়ে কথা না রাখা : কথা দিয়ে কথা রাখা বা ওয়াদা রক্ষা করা একজন মু'মিনের বৈশিষ্ট্য। বিষয়টি দাম্পত্য সম্পর্কের ক্ষেত্রেও খুব গুরুত্বপূর্ণ।

৫) এড়িয়ে চলা : অনেকদিন পর দেখা হলে বন্ধুদেরকে বা ভাইদের আমরা জড়িয়ে ধরি, কোলাকুলি করি। আপনার স্ত্রীকে জড়িয়ে ধরতে পারেন না? পারবেন, অস্বস্তি লাগলেও তা ভেঙ্গে ফেলুন। ভালোবাসার প্রকাশ থাকা খুবই প্রয়োজন।

৬) সন্দেহ ও গীবত করা : কখনো সন্দেহ করতে যাবেন না। সন্দেহ সম্পর্ককে ধ্বংস করে। আপনার জীবনসঙ্গী আপনার খুব কাছের মানুষ এটা সত্যি। কিন্তু খুঁতখুঁত করে যদি তার বিষয়ে অনেক ঘাঁটাঘাঁটি করেন, আপনি নিঃসন্দেহে হতাশ হবেন। মানুষ কখনো নিখুঁত নয়। আর মনে রাখবেন, প্রত্যেকে তার নিজ নিজ হিসাব দিবে। তাই সন্দেহ দূর করুন। স্বামী বা স্ত্রী একে অপরের চাদরস্বরূপ, ছোট-খাটো ভুলত্রুটি বা সীমাবদ্ধতা নিয়ে অন্যদের কাছে বলে বেড়াবেন না, গীবত করবেন না।

কুরআনুল কারীমে আল্লাহ বলেছেন :

"হে মুমিনগণ, তোমরা অনেক ধারণা থেকে বেঁচে থাক। নিশ্চয় কতক ধারণা গোনাহ। এবং গোপনীয় বিষয় সন্ধান করো না। তোমাদের কেউ যেন কারও পশ্চাতে নিন্দা না করে। তোমাদের কেউ কি তারা মৃত ভ্রাতার মাংস ভক্ষণ করা পছন্দ করবে? বস্তুতঃ তোমরা তো একে ঘৃণাই কর। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তওবা কবুলকারী, পরম দয়ালু।" -- [আল হুজুরাত, ৪৯ : ১২]

৭) খুব বেশি ব্যস্ততা : অপরজনের জন্য কিছু সময় রাখবেন। পারস্পরিক কথাবার্তা আর সময়গুলো সম্পর্ককে প্রগাঢ় করে। তার প্রতি আপনার কর্তব্য রয়েছে, আপনার কিছু দায়িত্ব রয়েছে। কিছুটা সময় তিনি পাওয়ার অধিকার রাখেন। এই বিষয়টি খেয়াল রাখুন।

৮) নামাজ এবং অন্যান্য ইবাদাত না করা : যে ব্যক্তি আল্লাহর ইবাদাত না করে, নামাজ না পড়ে এবং আল্লাহর নির্দেশিত পথে না চলে, আল্লাহ তার প্রতি সন্তুষ্ট নন। নিয়মিত নামাজ না পড়া, অশ্লীল কাজ, হারাম উপার্জনগুলো থেকে সরে না আসার কারণে অনেক সংসার ভেঙ্গে গেছে। আল্লাহর প্রতি কর্তব্য পালনে অলসতা-উপেক্ষা করার কারণে মুসলিম সংসারে অত্যন্ত দ্রুত ভাঙ্গন ধরে যায়।

আল্লাহ আমাদেরকে ভুলত্রুটি ক্ষমা করুন এবং আমাদের সরল সঠিক পথে পরিচালিত করুন। আমাদের পরিবারগুলোতে রাহমাত এবং বারাকাহ দান করুন।

বন্ধু আমাকে তার জন্য পাত্রী খুঁজে দেবার জন্য অনুরোধ করল

আমার এখানকার এক বিত্তশালী বন্ধু আমাকে তার জন্য পাত্রী খুঁজে দেবার জন্য অনুরোধ করল। পাত্রীকে হতে হবে 'সৎ লোকের কন্যা।'

আমি এক জায়গায় কথা বলা শুরু করলাম। মেয়ের বাবা মরক্কোর অধিবাসী। দীর্ঘদিন যাবত প্যারিসে বসবাস করছেন। মেয়ের বাবা-মার পাত্র সম্পর্কে কোন আপত্তি নেই। তারা বললেনঃ মেয়ের সাথে পরামর্শ করে জানাবেন।

এরপর উভয়পক্ষ ছেলে-মেয়ের উভয়ের সাক্ষাতের দিনক্ষণ ঠিক করল। নির্দিষ্ট দিনে আমরা একসাথে মিলিত হলাম। ছেলে-মেয়েকে একটু দূরে রেখে মেয়ের বাবা-মা, আমার স্ত্রী ও আমি কথা বলতে লাগলাম। দূর থেকে দৃষ্টি দিয়ে দেখলাম মেয়েটি একটি কাগজ বের করছে। আশ্চর্য হয়ে মেয়ের মাকে বললামঃ ওটা কি?

তিনি জানালেনঃ মেয়ে পাত্রের সার্বিক জীবন সম্পর্কে জানার জন্য কিছু প্রশ্নপত্র তৈ্রী করেছে। এর উত্তরের আলোকেই সে তার জীবনসঙ্গী নির্বাচন করবে। প্রশ্নের অধিকাংশই ফ্রেঞ্চ ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে। আমার বন্ধু এই ভাষা বেশি জানত না। তাই সাহায্য করার জন্য আমাকে কাছে ডাকলো।

তিন পৃষ্ঠার প্রশ্নপত্র। প্রথম পৃষ্ঠায় তার ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে-নাম, পিতার নাম, ঠিকানা, উচ্চতা, ওজন, শিক্ষা, ব্যবসা, মাসিক উপার্জন, সম্পত্তি ইত্যাদি।

দ্বিতীয় পৃষ্ঠায় মূল প্রশ্ন।সেখানে ছিলঃ-

- ইসলাম ও ধর্মের সাথে আপনার কেমন সম্পর্ক রয়েছে?
- ৫ ওয়াক্ত নামায পড়েন?
- ইসলামের জন্য কত সময় ব্যয় করেন?
- কুরআন কতটুকু মুখস্ত?প্রতিদিন কতটুকু তেলাওয়াত করেন?
- কত হাদিস মুখস্ত?হাদিসের কোন কিতাব পড়েন?
- স্বামী-স্ত্রীর অধিকার সম্পর্কে এক পৃষ্ঠা লিখুন।
- ছেলে সন্তানের প্রতি বেশি আগ্রহ নাকি মেয়ে সন্তান?
- বিয়ের পর যে সন্তান জন্ম নেবে তার কি নাম রাখতে আগ্রহী?
- জীবন-সঙ্গিনীর কি গুণ দেখতে আপনি আগ্রহী?

প্রশ্নগুলি পড়ছিলাম আর মনে মনে ভাবছিলাম,এমন অনৈসলামিক পরিবেশেও ইসলামের প্রতি কি সীমাহীন ভালোবাসা!এ প্রশ্নপত্র মূলত একজন ব্যক্তির পূর্ণাংগ জীবন ও চিন্তা-ভাবনা সম্পর্কে অবগত হওয়া।

আমি জিজ্ঞাসা করলামঃ 'শেষ পর্যন্ত বিয়েটা হয়েছিল?'

আমের ভাই বললেনঃ 'না। যদিও আমার বন্ধু সব প্রশ্নের উত্তর দেবার চেষ্টা করেছে। কিন্তু মেয়ে সন্তুষ্ট হয়নি। সে বলেছে, আমার স্বামীকে হতে হবে প্রভুর প্রতি নিষ্ঠাবান। যে নিজ স্রষ্টার প্রতি শোকরগুজার না, কাল সে আমার সাথে কি ব্যবহার করবে?'

আমি ভাবছিলাম আমাদের সন্তানরা যদি ভবিষ্যতের সিদ্ধান্তের ব্যাপারে স্বামীর দ্বীনদারী সম্পর্কে জেনে নেয় তবে ভবিষ্যত জীবন নিঃসন্দেহে সুখময় কাটবে।

Collected..

প্রেম পিরীতির গ্যাড়াকলে

জনৈক বৎস প্রেম পিরীতির গ্যাড়াকলে পড়িয়া বিরক্তির সহিত কহিল,

প্রেম একখানা স্বর্গীয় বস্তু ...
যারা স্বর্গ থেকে নামিয়া আসে ...

এবং আমাদিগকে সরাসরি নরকের দিকে ঠেলিয়া নিয়া যায়।

- নাজমুস সাকিব

* * *

অন্য নারী গায়ের ওপর ঢলে না পড়লে শেভিং ব্লেড কেনা সার্থক হয়না [নারীর সংখ্যা একাধিক হতে পারে, আর একাধিক বিয়ে করলেই যত সমস্যা!]

অপবিত্র মুখভঙ্গি না করলে খাবার জিনিসের মজার প্রমাণ মেলেনা [এই নোংরা অ্যাড বাচ্চারাও দেখছে]

গায়ের রঙ ফর্সা না হলে মেয়ের বিয়ে হয়না [বাহ, আর কোন গুণের প্রয়োজন নেই, গায়ের চামড়া ঘষে একপরত তুলে ফেললেই বিয়ে সুনিশ্চিত],

পাউডারের সুবাসে অন্য পুরুষকে বিমোহিত করতে না পারলে চাকরী মেলেনা [তাহলে পাউডার লাগালেই হয়, লেখাপড়া করে মেধা, টাকাপয়সা আর সময় নষ্ট করার দরকার কি?

এবং সবচেয়ে মজার ব্যাপার ত্রিশ সেকেন্ডের একখানা অ্যাডের শেষে একখানা টুথপেস্টকে কেন্দ্র করে দাদি নানি থেকে রাস্তার লোক পর্যন্ত সব নাচতে থাকে।

সুখী সম্বৃদ্ধ বাংলাদেশের সার্থক চিত্র!

* * *

মান্না দে সাহেবের গান শুনেছিলাম কোন এক সময়ে ...

"যদি কাগজে লিখ নাম, কাগজ ছিড়ে যাবে।
পাথরে লিখ নাম, পাথর ক্ষয়ে যাবে।
হৃদয়ে লিখ নাম, ও নাম রয়ে যাবে। হুম..."

কাগজ-পাথরের বিষয় দুটি পরিষ্কার। কিন্তু হৃদয়ের বিষয়টি আজকাল আর তেমন নয়। এখন অধিকাংশ বালক-বালিকার হৃদয় খুললে দেখা যাবে, কত নাম যে তাতে লেখা হয়েছে, কত নাম যে সেখান থেকে মুছে গেছে!! একমাত্র কাবিননামায় রেজিষ্ট্রি করা যে নামটি লেখা হয়েছে, সেটাই শুধু রয়ে যায় ...

সেজন্যই আমরা বলি -- প্রেম নয়, বিয়ে করুনঃ আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করুন

[সংগৃহীত এবং পরিমার্জিত]

dampotto : বাইরে ঘুরে আসা

ভাই, আপনার স্ত্রী কিন্তু আপনার সাথে ঘুরতে পছন্দ করেন। হয়ত অনেকদিনের সংসার, অনেক কাজ, অনেক ঘটনা আর অনেক টানাপোড়েনে খেয়ালই নেই এসব ভাবার। কিন্তু নিজেদের এই সম্পর্কটা ফুলে পানি দিয়ে তাজা করে রাখার মতন একটু জিইয়ে রাখতে হয়। অনেক কিছুর মাঝেও একটু সময় করে নিন, দু'জনে মিলে একটু বের হোন। সম্ভব হলে সন্তানদের থেকে অন্তত ঘন্টাখানেক হলেও দু'জনে বাইরে ঘুরে আসুন। অন্তত রিক্সায় করে কোথাও গিয়ে আবার ফেরত আসুন। দু'জনের সম্পর্কের জন্য সেটা ভালো হবে দেখবেন ইনশা আল্লাহ... 

কুরআন হাদীসে কোথায় লেখা আছে অসভ্য আরব জাতির মত পর্দা করতে হবে?

প্রায় অর্ধনগ্ন এক মহিলা বললেন, "কুরআন হাদীসে কোথায় লেখা আছে অসভ্য আরব জাতির মত পর্দা করতে হবে?" 

উত্তরঃ কুরআন হাদীসে কোথায় লেখা আছে আপনার মত অর্ধ নগ্ন থাকতে হবে? আগে নিজের সাইকেলের চাক্কা লাগান। তারপর আমাদের মার্সিডীয এর টায়ার নিয়ে ভ্যাটভ্যাট করবেন। ওকে? 

-- নাজমুস সাকিব

* * * *

এক ব্যক্তি তার স্ত্রীকে বলছে,
"অ্যাই শোনো, তুমি কি আমাকে স্বপ্নে দেখো?"
স্ত্রী : নাহ।
স্বামী : কেন?
স্ত্রী : কারণ আমি ঘুমানোর আগে আয়াতুল কুরসি পড়ে ঘুমাই।

:P :P


dampotto : সম্পর্ক ও তর্ক

যারা নিজেদের সম্পর্ক ভেঙ্গেচুরে হলেও তর্কে জিততে চায় তারাই সবচাইতে বোকা ও অপরিণত মানুষ।

যারা তর্কে হেরে হলেও নিজেদের সম্পর্ককে উপরে তুলে রাখে তারাই বুদ্ধিসম্পন্ন ও পরিণত মানুষ।

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা আমাদের এমন জীবনসঙ্গী/জীবনসঙ্গিনী দান করুন যারা আমাদের চোখের জন্য শীতলতাকারী হবে, আমাদের প্রশান্তি আনয়নকারী হবে। আমিন।

https://www.facebook.com/dampotto.life

dampotto : শেয়ারিং

জীবনের অনেক বিষয়েই জীবনসঙ্গী বা জীবনসঙ্গিনীর উপরে নির্ভর করা, তার সাথে শেয়ার করার ব্যাপারটা ভালো, সেটাই স্বাভাবিক। যখন আপনি আঘাতগ্রস্ত, আপনার হৃদয় ভারাক্রান্ত, আপনি একটু দ্বিধায় আছেন, বিপদে আছেন -- আপনার জীবনসঙ্গীর কাছে কথাগুলো খুলে বলা আপনার ভারকে হালকা করবে, এটাও ঠিক। কিন্তু সত্যি কথা হলো, সমস্ত ক্ষত, ব্যথা, বিপদ, যন্ত্রণা, অসহায়ত্ব, অশান্তি থেকে মানুষকে মুক্ত করার একমাত্র ক্ষমতা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলার হাতেই। জীবনসঙ্গী আপনার সাথে থাকবেন, আপনাকে এগিয়ে যেতে প্রেরণা দিতে পারবেন, আপনার ভালোর জন্য প্রাণভরা চাইতে পারবেন ঠিকই -- কিন্তু কল্যাণ ঘটানোর, উন্নতি আর মুক্তি দেওয়ার মালিক একমাত্র আমাদের রব, আমাদের মালিক আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা... 

সেনাপতি কুতাইবাকে চেনো?

তাজিকিস্তানের এক ছাত্রের সাথে কথা বলছিলাম। তাকে দেখে সোনালী অনেক ইতিহাস মনে পড়ে গেল। সেনানায়ক কুতাইবা বুখারা, সমরখন্দ বিজয় করে ঘোড়া ছুটিয়ে ছিলেন এই জমিনের উপর দিয়ে। কাশগড়ও মুসলিমদের হয়েছিল তার নেতৃত্বে। তার ঘোড়ার সেই ঠক ঠক শব্দ কি আজও প্রতিধ্বনিত হয় মধ্য এশিয়ার পাহাড়ে পাহাড়ে?

"সেনাপতি কুতাইবাকে চেনো?'' অনেক আগ্রহ নিয়ে জিজ্ঞাসা করলাম।

সে মনে হয় প্রথমবার এ নাম শুনলো। উল্টা আমাকেই জিজ্ঞাসা করল, ''কে কুতাইবা?''

হতাশ হয়ে মাথা নিচু করে বসে থাকলাম। আত্মপরিচয়হীনতার অন্ধকারে আরও কতদিন থাকবে এই উম্মাহ? এবার সে আমাকে জিজ্ঞাসা করল, শেকার খানকে (শাহরুখ খান) চেন?

দীর্ঘশ্বাস ফেলে মাথা নাড়ালাম। আমাদের আসল নায়ক কুতাইবা, মুহাম্মদ বিন কাসিম, তারিক বিন যিয়াদদের না চিনলেও তো সমস্যা নাই; কিন্তু শাহরুখ খান, সালমান খানদের না চিনলে কিভাবে হয়?

-- সাজিদ করিম (ইরান থেকে)

dampotto : স্ত্রীর কাছে স্বামীরা যেসব গুণাবলীর কারণে ভালো হয়

আমরা জানি,আমাদের মাঝে সে ব্যক্তি ভালো যে তার স্ত্রীর কাছে ভালো। একজন পুরুষ ভালো জীবনসঙ্গী হিসেবে তার স্ত্রীর কাছে ভালো স্বামী হতে পারেন নানান উপায়ে। স্ত্রীর কাছে স্বামীরা যেসব গুণাবলীর কারণে ভালো হয় তার মাঝে উল্লেখযোগ্য কিছু গুণ হলো -- 

১) স্ত্রীর প্রতি তিনি সুন্দর ব্যবহার করেন। উত্তম শব্দ ব্যবহার করে কথা বলেন। তার প্রতি তিনি নম্র ও দয়ার্দ্র থাকেন। 

২) জীবনসঙ্গিনীর অধিকারের বিষয়গুলো তিনি অবহেলা করেন না, তা পরিপূর্ণভাবে পূরণ করতে চেষ্টা করেন।

৩) বাইরে নানান কাজে থাকলেও অন্য কোন মহিলার ব্যাপারে তিনি আগ্রহী হন না। দৃষ্টিকে সংযত রাখেন, হৃদয়েকেও অত্যন্ত সচেতনভাবে সতর্ক রাখেন।
 
৪) নিজে ইসলাম শিখেন নিয়মিত, স্ত্রীকে নিয়ে শিখেন এবং তাকে উৎসাহিত করেন। দু'জনে মিলে ইসলামকে পালনের চেষ্টা করেন।

৫) জীবনসঙ্গিনী যখন খারাপ সময়ের মধ্য দিয়ে যায়, তিনি শক্ত অবলম্বন হয়ে তার পাশে থাকেন।

৬) যদি তার স্ত্রী কখনো তাকে কষ্ট বা আঘাত দিয়ে ফেলে, তিনি নিজেকে শান্ত রাখেন। খেপে যান না কেননা তিনি ধরেই নেন স্ত্রী হয়ত তাকে ইচ্ছাকৃতভাবে কষ্ট দিতে চাননি, অসতর্কতায় এমনটি হয়ে গেছে।
 
৭) জীবনসঙ্গিনীর ছোট ছোট ভুলগুলো তিনি এড়িয়ে যান এবং তার ভালো কাজগুলোকে উৎসাহিত করেন। তার পরিশ্রমের কাজগুলোর ব্যাপারে প্রশংসা করেন। 

৮) ঘরের কাজগুলোতে স্ত্রীকে সাধ্যমতন সাহায্য করেন। তার জন্য কাজ ফেলে রেখে দেন না।

৯) সন্তানদেরকে ইসলামিক জ্ঞানে এবং আচরণে বড় করার ব্যাপারে সচেতন থাকেন। সন্তানদের ইসলামিকভাবে বড় করা নিয়ে চিন্তাভাবনা করে আলাপ করে স্ত্রীর সাথে। বাবা-মায়ের আচরণ সন্তানদের প্রভাবিত করে, তাই বাবা-মায়েরা নিজেরাও সচেতন থাকেন নিজেদের ব্যক্তিগত চরিত্র, স্বভাব এবং আচরণ নিয়ে।

১০) কোন কারণে মনোমালিন্য হলেও ঘরের বাইরে কখনো দু'জনে আলাদা হন না, স্ত্রী বাইরে যাবার প্রয়োজন হলে সবসময় তাকে সঙ্গ দেন। মাঝে-মাঝেই দু'জনে মিলে ঘুরতে যান যেন স্ত্রী কিছুটা সময় তার সঙ্গ পেয়ে আনন্দিত হয় যা তাদের সম্পর্ককে প্রগাঢ় করবে।

dampotto : দ্বীনের অর্ধেক

আপনার জীবনসঙ্গী কিন্তু একজন পূর্ণাঙ্গ মানুষ নন, সেটা আশা করাও উচিৎ নয়। কল্পনার নায়ক বা নায়িকা যাকে অনেক মানুষ গড়ে তোলে ছোটবেলা থেকে, তার সাথে বাস্তব কখনো মিল হয় না। আপনার স্বামী বা স্ত্রী একজন মানুষ, যিনি তার দ্বীনকে পরিপূর্ণ করেছেন আপনার সাথে বন্ধন গড়ে। আপনি তার পোশাকের মতন, তিনিও আপনার জন্য তেমন। দু'জনের বন্ধন একে অপরের পরিপূরক হবার মাঝে। কিন্তু কখনো ভাববেন না তিনি হবেন 'পরম ও পরিপূর্ণ'। 

মানুষটার কথা শুনুন মন দিয়ে। আপনার সাথে দেখা হবার আগে তার একটা জীবন ছিলো -- আপনার মতই যুদ্ধ করে বেড়ে ওঠা, অনেক অনুভূতির, অনেক স্পর্শকাতরতার, অনেক তিক্ত আর মধুর স্মৃতিভরা। তার জীবনটাকে শ্রদ্ধা করুন। শ্রদ্ধা ও সম্মান পাওয়ার শর্তও পৃথিবীতে তেমনি -- আগে নিজেকে করতে হয়। আপনার জীবনসঙ্গী/জীবনসঙ্গিনী আপনার কারণে, আপনার অস্তিত্বের অনুপ্রেরণায় জগতের আর সব অশ্লীলতা থেকে সরে আছেন, থাকবেন -- তার প্রতি কোমল হওয়াও প্রয়োজন। 

আমাদের ভালোবাসাগুলো কিন্তু টেলিভিশনের পর্দায় দেখা বিশাল বিশাল বিষয়ের মাঝে নয়, বরং জীবনের নিত্যদিনের ছোট্ট ছোট্ট হাসির মাঝে, ভালোবাসার দু'টি বাক্যের মাঝে, অন্যের জন্য মন-শরীর-হৃদয় দিয়ে করা কাজগুলোর মাঝে জড়িয়ে থাকে। ভালোবাসুন, ভালোবাসাও কিন্তু এই জীবনযুদ্ধের প্রাত্যহিক কষ্টগুলোরই একটা অংশ। 

# অনুপ্রেরণা : Half of Your Faith : Tariq Ramadan :: http://tariqramadan.com/english/2005/08/22/half-of-your-faith/

অনেককেই বলতে শুনি, দোস্ত পর্ণ ছাড়তে পারিনা

অনেককেই বলতে শুনি, দোস্ত পর্ণ ছাড়তে পারিনা, সিগারেট ছাড়তে পারিনা, মিউসিক-মুভি ছাড়তে পারিনা, আর গার্লফ্রেন্ড তো ছাড়ার প্রশ্নই আসেনা। এগুলা লাইফের অংশ হয়ে গেছে। নামায পড়তে পারিনা, মন থেকে আসেনা।

এমন কিছু মানুষই আমার জীবনের একটা বিশাল অংশ জুড়ে আছে। তাদের প্রতিনিয়ত নিরীক্ষা করি, বুঝতে চেষ্টা করি। তাদের কারোরই চেষ্টার অভাব নেই। বদ অভ্যাস আর অশ্লীলতা ত্যাগের সদিচ্ছা সবারই আছে। তবুও কেন জানি তারা পেরে ওঠেনা। কিছু একটা তাদের বাধা দিচ্ছে। তাদের পেছন থেকে আগলে রাখছে।

ঠিক এর উল্টোটাও জীবনে দেখেছি। জীবনে এমন কিছু মানুষের সাথে মিশেছি, যাদের জীবনের একটা সময় কেটেছে অকল্পনীয় জাহিলিয়াতে। কাউকে দেখে মনে হয়েছিল এই অন্ধত্বের জীবন, এই অশ্লীলতার জীবন, এই বদ অভ্যাসের জীবন থেকে মনে হয় তারা কোনদিনই বের হয়ে আসতে পারবেনা। কিন্তু কোন এক অদ্ভুত কারণে আজ তারা তাদের অতীতের সম্পূর্ণ বিপরীত। সেটা ছিল ইসলাম। সত্যিকার ইসলাম। এই ইসলাম নবম-দশম শ্রেণীর ইসলাম শিক্ষা বই এর পাতায় আটকে পড়া ইসলাম নয়। এ ইসলাম মানুষকে সকল প্রকার প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য দাসত্ব থেকে মুক্তিদানকারী ইসলাম। এটা সেই ইসলাম, যার কারণে একসময়ের "MUSIC IS MY LIFE" টিশার্ট ধারী ছেলেটি এক নিশ্বাসে পিসির ৩০ জিবি মিউসিক ডিলিট করে দেয়। এটা সেই ইসলাম যার শিক্ষায় রাতদিন অশালীন ভিডিও দেখার নেশাগ্রস্থ ছেলেটি রাস্তায় মেয়ে দেখলে চোখ নামিয়ে ফেলে। এটা সেই ইসলাম, যার স্পর্শে মুভি-হোলিক ছেলেটির এক্সটারনাল হার্ডডিস্ক মুভির বদলে ইসলামিক লেকচারে ভরে যায়। এটা সেই ইসলাম, যা সিগারেটের নেশায় বুঁদ হওয়া ছেলেটিকে কিংবা মদের বোতলে ডুবে থাকা মানুষটিকে হঠাৎ তা ঘৃণা করতে শেখায়। একেবারে মন থেকে ঘৃণা।

মাঝে মাঝে প্রশ্ন জাগে, কেন প্রথম শ্রেণীর মানুষগুলো চাইলেও পারছেনা তাদের অন্ধকার বন্দী জীবন থেকে মুক্ত হতে? আর কেনই বা দ্বিতীয় শ্রেণীর মানুষগুলো চুম্বকের এক মেরু থেকে হঠাৎ-ই বিপরীত মেরুতে অবস্থান নিতে সক্ষম হচ্ছেন? কিভাবে? কারা তাদের ব্রেইন ওয়াশ করছে? কোন নেতা? কোন ভাই? কোন দল? কোন সন্ত্রাসী সংগঠন?

নাহ। কোনটাই নয়। এই ব্রেইন ওয়াশার হল আল-কুরআন। যার অপর নাম আল-ফুরকান। অর্থাৎ পার্থক্যকারী। সুবহান আল্লাহ্‌। সত্যিই এই দুটি শ্রেণীর জীবন দর্শনের পার্থক্য করে দিচ্ছে আল-ফুরকান। এই কুরআন এর মাধ্যমেই মানুষের সাথে আল্লাহ্‌র সম্পর্ক দৃঢ় হয়, শক্ত বন্ধন রচিত হয়। মানুষের অন্তরে এই সত্য পাকাপোক্তভাবে প্রতিষ্ঠা করে দেয়, যে দাসত্ব করতে হবে কেবল আল্লাহ্‌র। নিজের সমাজ, নিজের আশপাশ, নিজের নফস, নিজের ইচ্ছা, অমুক তারকা, তমুক ভাই এর নয়। কেবল মাত্র আল্লাহ্‌র। এইভাবেই মেলে মুক্তি। মানুষের জীবন পালটে দেবার সবচে কার্যকর উপায় হল আল ইসলাম। বাকিসব আইওয়াশ। তাতে একজনের দাসত্ব ছেড়ে অন্য আরেকজনের দাসত্বই করা হয়। আল্লাহ্‌র নয়।

আল কুরআন। পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ব্রেইন ওয়াশিং টুল। এর দ্বারা ব্রেইন ওয়াশড হওয়াতে আমি সন্তুষ্ট।

[collected]