হতাশা [গল্প]
দুপুর দুটো। কড়া রোদ। মেয়েটা ওভারব্রীজ দিয়ে যাচ্ছে। সে আজ খুব ক্লান্ত। সকাল থেকে খাওয়া হয়নি। টাকাও নেই কাছে। তার ওপর ক্লাসমেটের বাবার জন্য ফান্ড রেইজ করতেও পরিশ্রম গেছে আজ। শুধু তাই না। মেডিকেল বলে কথা। ভর্তি হতে না হতেই এত্তোগুলো পড়া ! হঠাৎ , ভিক্ষুক ছেলেটা পা জড়িয়ে ধরল। - ধরো না ভাই, নাই আমার কাছে।
আরেকবার মেয়েটা ওভারব্রীজের ওপর। একদম বাচ্চা একটা মেয়ে পা ধরতে গেল – এই, পা ধরবে না। আমি ও মানুষ, তুমিও মানুষ। দুজনই আল্লাহর বান্দা, বুচ্ছ? নাও।
দশটাকার নোটটা ধরিয়ে আবার হাঁটতে লাগল ও। শীতের শুরু। আবহাওয়া ভাল। মনটাও ভাল। আজ প্রফ ছিল। খুব ভাল হয়েছে। ওর জীবনে এরচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আর কি আছে ! সামনে থার্ড ইয়ার, আরও অনেক পরিশ্রম করা দরকার। - সব আল্লাহর ইচ্ছা।
তীব্র শীত পড়েছে। নিঃশ্বাস নেয়াও কষ্টকর। সন্ধ্যা হয়ে গেছে। ক্লান্ত শরীরে দ্রুত হাঁটতেও পারছে না মেয়েটা। - আবার ওভারব্রীজে উঠতে হবে? ঝামেলা !
ব্রীজের কোণায় অন্ধকারে দাঁড়িয়ে আছে ভিক্ষুক একটি ছেলে। দুর থেকে মেয়েটাকে চোখে পড়ল তার। হাতে দামী ফোনটা আলগা করে ধরা। কাছে আসতেই মেয়েটার চেহারা চিনতে পারল সে। আর তারপর, হাতের চাকুটা লুকিয়ে ফেলল।
ওভারব্রীজে ওঠার ঝামেলা টেরও পেলনা মেয়েটা। চিন্তার বোঝা মাথায় করে সবগুলো সিঁড়ি কখন পার করেছে জানে না ও। কোন ভিক্ষুককে তার চোখে পড়েনি।
আজ চারপাশ চুপচাপ। সবকিছু খালি খালি। হরতাল না অবরোধ কি যেন ছিল।
সামনে বাড়ির গেট। ঘরে ঢুকেও হরতাল নাহয় অবরোধ একটা কিছু থাকবেই। জীবন যন্ত্রণা। আর পড়াশুনা করবে না ও। - ডাক্তার হয়েই বা কি?
যে স্রষ্টার ওপর এতোদিন ভর করেছে ও , সেই স্রষ্টা তাকে ভুলে গেছে। আজ এটুক ও নিশ্চিত।
-- যীনাত আক্তার
দুপুর দুটো। কড়া রোদ। মেয়েটা ওভারব্রীজ দিয়ে যাচ্ছে। সে আজ খুব ক্লান্ত। সকাল থেকে খাওয়া হয়নি। টাকাও নেই কাছে। তার ওপর ক্লাসমেটের বাবার জন্য ফান্ড রেইজ করতেও পরিশ্রম গেছে আজ। শুধু তাই না। মেডিকেল বলে কথা। ভর্তি হতে না হতেই এত্তোগুলো পড়া ! হঠাৎ , ভিক্ষুক ছেলেটা পা জড়িয়ে ধরল। - ধরো না ভাই, নাই আমার কাছে।
আরেকবার মেয়েটা ওভারব্রীজের ওপর। একদম বাচ্চা একটা মেয়ে পা ধরতে গেল – এই, পা ধরবে না। আমি ও মানুষ, তুমিও মানুষ। দুজনই আল্লাহর বান্দা, বুচ্ছ? নাও।
দশটাকার নোটটা ধরিয়ে আবার হাঁটতে লাগল ও। শীতের শুরু। আবহাওয়া ভাল। মনটাও ভাল। আজ প্রফ ছিল। খুব ভাল হয়েছে। ওর জীবনে এরচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আর কি আছে ! সামনে থার্ড ইয়ার, আরও অনেক পরিশ্রম করা দরকার। - সব আল্লাহর ইচ্ছা।
তীব্র শীত পড়েছে। নিঃশ্বাস নেয়াও কষ্টকর। সন্ধ্যা হয়ে গেছে। ক্লান্ত শরীরে দ্রুত হাঁটতেও পারছে না মেয়েটা। - আবার ওভারব্রীজে উঠতে হবে? ঝামেলা !
ব্রীজের কোণায় অন্ধকারে দাঁড়িয়ে আছে ভিক্ষুক একটি ছেলে। দুর থেকে মেয়েটাকে চোখে পড়ল তার। হাতে দামী ফোনটা আলগা করে ধরা। কাছে আসতেই মেয়েটার চেহারা চিনতে পারল সে। আর তারপর, হাতের চাকুটা লুকিয়ে ফেলল।
ওভারব্রীজে ওঠার ঝামেলা টেরও পেলনা মেয়েটা। চিন্তার বোঝা মাথায় করে সবগুলো সিঁড়ি কখন পার করেছে জানে না ও। কোন ভিক্ষুককে তার চোখে পড়েনি।
আজ চারপাশ চুপচাপ। সবকিছু খালি খালি। হরতাল না অবরোধ কি যেন ছিল।
সামনে বাড়ির গেট। ঘরে ঢুকেও হরতাল নাহয় অবরোধ একটা কিছু থাকবেই। জীবন যন্ত্রণা। আর পড়াশুনা করবে না ও। - ডাক্তার হয়েই বা কি?
যে স্রষ্টার ওপর এতোদিন ভর করেছে ও , সেই স্রষ্টা তাকে ভুলে গেছে। আজ এটুক ও নিশ্চিত।
-- যীনাত আক্তার
No comments:
Post a Comment