বিয়ে নিয়ে আলাপ
কিছু ইসলামি সাহিত্যের ইবুক লিঙ্ক
http://www.pdf-archive.com/2014/02/18/hejajer-tufun-1-subahesadiq-wordpress-com/preview/page/5/
লৌহ মানব নসীম হিজাযী
http://www.pdf-archive.com/2014/09/07/louho-manob/preview/page/7/
http://www.pdf-archive.com/2013/12/19/khun-ranga-path-subahesadiq-wordpress-com/preview/page/2/
http://www.pdf-archive.com/2013/12/08/arab-duhita-subahesadiq-wordpress-com/preview/page/2/
বিয়ের জন্য একটা মেয়ের সচরাচর কেমন ছেলে খোঁজ করা উচিত?
৩) এমন একজন যে ভালোবাসতে জানে তাহলে সে আপনি যেমনটা আকাঙ্ক্ষা করেন তেমনটি আপনার জন্য করতে পারবে।
৪) যে লক্ষ্য অর্জনে দৃঢ় থাকে তাহলে আপনি তার সাথে একসাথে জান্নাতের লক্ষ্যে কাজ করতে পারবেন।
৫) আপনি তার যোগ্য কিনা সেই ব্যাপারটি অবশ্যই লক্ষ্য রাখবেন।
[মূল : নাভেইদ আজিজ]
ম্যাজিস্ট্রেটের প্রেম বিদ্বেষ
প্রচন্ড জোরে ধমক দিয়ে উঠলাম, "এই ছেলে! সোজা হয়ে বসো। ওর পিছন থেকে হাত সরাও এখনই। পাবলিক বাসে এসব কি শুরু করসো অসভ্য কোথাকার!" সাথে সাথে কাজ হলো, ছেলেটি হাত সরিয়ে সোজা হয়ে বসলো। আর মেয়েটি ভালো সাজার জন্য আশপাশের সবাইকে শুনিয়ে ক্ষীণ সরে দুই একবার ছেলেটিকে বলল, "তোমাকে না আগেই মানা করসিলাম। ম্যা ম্যা।" আসলে ঢঙ, পুরাই শয়তান একটা। পরবর্তি স্টপেজ আসার সাথে সাথে দুজন বাস থেকে পালিয়ে বাঁচল।
বছর খানেক আগের কথা, গ্রামে বেড়াতে গিয়ে গ্রামের কিছু ভাই ও সমবয়সীদের সাথে ঘুরে বেড়াচ্ছিলাম। গুটি কয়েক দোকান নিয়ে করা গ্রামের বাজারে বসে চা খাচ্ছি। পাশের আরেকটি দোকানের সামনে মুরুব্বী গোছের কিছু লোক চা খাচ্ছে ও গল্প করছে। এমন সময় খেয়াল করলাম একটি ছেলে সাইকেল নিয়ে বাজার অতিক্রম করার সময় মুরুব্বিদের দোকানের সামনে আসতেই সাইকেল থেকে নেমে হেঁটে হেঁটে দোকান পার হল,তারপর আবার সাইকেলে ঊঠে সেটি চালিয়ে চলে গেলো। আমি সেদিন ভীষণ অবাক হয়েছিলাম। পরে জানতে পেরেছিলাম যে এটিই নিয়ম। গ্রামের প্রতিটি ছেলেই মুরুব্বীদের শ্রদ্ধা-সন্মান প্রদর্শন করে এমনটি করে থাকে। আরো অবাক হয়েছিলাম এক গ্রাম থেকে আরেক গ্রামে মহিলাদের যাতায়াত দেখে। তারা এমনিতেই বোরখা পরতেন। তারপরও যাতায়াতের সময় পুরো রিকশা বাড়তি একটা চাদরে সামনে থেকে ঢেকে রাখতেন। ঢাকা তথা শহরে এতটা আদব-লেহাজ ও সভ্যতা না দেখলেও প্রকাশ্যে পুরোদস্তর নোংরামিও অতটা দেখিনি হাতেগোনা কিছু ব্যাতিক্রম ছাড়া, তাও একটি নির্দিষ্ট মহলের মধ্যে। এই অল্প কিছুদিনে কি এমন হলো যে দৃশ্যপট পুরোপুরি বদলে গেলো? শুধু শহরে না, গ্রামেও। গ্রাম থেকে আসা অনেকের সাথে এসব বিষয়ে কথা হলে তারাই সাক্ষ্য দেয় যে তাদের মতে গ্রামের অবস্থা এখন শহরের চেয়েও খারাপ। আল্লাহ্ ভালো জানেন।
উপরোল্লিখিত কিছুদিন আগের বাসের ঘটনা ও বেশ আগেকার গ্রামের ঘটনা দুটোই ভুলে গিয়েছিলাম। মনে পড়ার কারন সাম্প্রতিক একটি ঘটনা। বগুড়ার একজন ম্যাজিস্ট্রেট কয়েকদিন আগে একটি পার্কে যুবক যুবতীদের অবাধে প্রেম ও অনৈতিক কর্মকান্ডে লিপ্ত হওয়ার জন্য আটক ও জরিমানা করেন। যেখানে এই ম্যাজিস্ট্রেটকে জাতীয়ভাবে সাধুবাদ জানানো উচিৎ সেখানে দেখা যাচ্ছে এক শ্রেনির মানুষরূপী শয়তান এই ভদ্রলোককে দোষারোপ করছে, গালমন্দ করছে, এমনকি এই ব্যবস্থা নেয়ার অপরাধে উল্টো তার বিচার দাবী করছে! প্রেম করা কি অপরাধ? সরকার কি প্রেম করা নিষিদ্ধ করেছে? দেশ কি তালিবান আইএসদের দখলে চলে গেলো? আরো কত কি!
একটা জাতিকে নষ্ট করতে খুব বেশি কিছু লাগে না। একজন হুমায়ুন আহমেদ, একজন জেমস, একজন জাফর ইকবাল – এমন কিছু লোকই যথেষ্ট। ও হ্যাঁ, সাথে আরো কিছু লাগে। লাগে চেতনা আর ফালতু আবেগ।
শেষ করছি সালাউদ্দিন আইয়ুবি (রাহ:) এর একটি উক্তি দিয়ে, "একটা জাতিকে যদি তুমি যুদ্ধ ছাড়াই ধ্বংস করতে চাও, তবে তার যুবসমাজে জেনা-ব্যাভিচার আর উলঙ্গপনার বিস্তার ঘটাও।
-- লিখেছেন: Asif Ishtiak
কেমন ছিলেন মুহাম্মাদ (সা) ?
তাঁর জীবনের দিকে তাকালে সবচাইতে বেশি যে বিষয়টা আমাকে আলোড়িত করে, তা এই না যে তিনি শৈশব থেকে আম্রত্যু কোন সুখ উপভোগ করেননি । বরং এই ভেবে আশ্চর্য হই যে, তাঁর জীবনের সবচাইতে সুখের মুহূর্তগুলোর পরেই তাঁকে স্পর্শ করেছে মর্মান্তিক কষ্ট ।
বদরের অভাবনীয় বিজয় যখন মুসলিম শিবিরে ছড়িয়ে দিল আনন্দের শিহরণ; সূরা আল আনফালের আয়াত নাযিল হবার পর, মনে হচ্ছিল, পৃথিবীর আর কোন দুঃখ কিংবা পঙ্কিলতা, তাওহীদের পতাকায় ঐক্যবদ্ধ মুসলিম বাহিনিকে কোনদিন স্পর্শ করতে পারবেনা । তিনি বাড়ি ফিরে দেখলেন, যে অসুস্থ মেয়ে রুকাইয়া আর নেই । বদরের আনন্দ তিনি উপভোগ করতে পারলেন না ।
উহুদে হামজাকে হারালেন । খন্দকের পর যয়নাব বিনতে জাহাশকে বিয়ে করবার জন্য প্রস্তুতি নিতে হল । হারালেন আনসারদের অবিসংবাদিত নেতা, কিংবদন্তি সা'দ বিন মু'আযকে ।
খাইবারের পর দারিদ্র্য ঘুচে গেল এতদিনের । আবিসিনিয়া থেকে প্রায় এক দশক পর ফিরে আসলেন চাচাতো ভাই জা'ফর বিন আবি তলিব । উনি বললেন, "আজ আমি বুঝতে পারছিনা যে কোনটিতে বেশি আনন্দিত হব ? খাইবারের বিজয়ে না জাফরকে ফিরে পেয়ে ।" আনন্দের অতিশায্যে চুমু খেলেন জা'ফরকে । কিন্তু জা'ফরও বেশিদিন বাঁচলেন না আর ।
সবশেষে নিজ মাত্রিভূমিতে ফিরে যাবার অধিকার ফিরে পেলেন । কিন্তু মক্কা বিজয়ের পর তাঁর নিজেরই বিদায় নেবার সময় এসে গেল । মৃত্যুসংবাদ পেলেন, "ফাসাব্বিহ বিহামদি রব্বিকা ওয়াসতাগফিরহু, ইন্নাহূ কানা তাওওয়াবা ।"
মদীনার একটা ঘটনা দিয়ে শেষ করি । সম্ভবত কোন এক দুপুরে শুয়ে ছিলেন তাঁর চিরপরিচিত চাটাইয়ের বিছানায় । তাঁর শরীরে, খেজুরের কিছু অসভ্য চাটাই, গভীর করে দাগ বসিয়ে দিচ্ছিল । এক সাহাবী তাঁর এই কষ্ট আবেগ সংবরণ করতে পারলেন না ।
নিশ্চয়ই রোম আর পারস্যের সম্রাটদের জন্য ছিল এই দুনিয়ার মসনদ । তাঁর জন্য তাঁর প্রতিপালক পুরোটাই তুলে রেখেছেন;
আমরা তাঁর সাথে দেখা হবার আশা রাখি ... ... ...
আমীন । ওয়া আখ্রি দাওয়ানা, আনিলহামদুলিল্লাহি রব্বিল 'আলামীন ।
==> Salman Saeed
বালিকাবধূ শব্দটা শুনলেই চোখ কপালে উঠে যায়
বালিকাবধূ শব্দটা শুনলেই চোখ কপালে, ক্যামেরা চোখে, হাত পত্রিকার কলামে এবং মুখে ফ্যানা উঠে যায়।
বালিকাবন্ধু শুনলে ভালোবাসা, ফাগুন, ফুল, হৃদয়, গোলাপ, 'কাছে আসার গল্প'--- বিবিধ আবেগে প্রচার যন্ত্র সাপ্লুত হয়ে পড়ে।
প্রথমক্ষেত্রে অন্তত দুজন মানুষকে সাক্ষী রেখে মেয়ের দায়িত্ব বাবার কাছ বুঝে নেওয়া হয়। ভালোবাসার ক্ষেত্রে আল্লাহর বিধিটা এমনই। ভালোলাগালাগির সাথে কর্তব্যবোধকে জুড়ে দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় ক্ষেত্রে বিকিকিনির মেলা। ভালোবাসার মত একান্ত অদৃশ্য আন্তরিক ব্যাপারটাকে নানারকম প্রাইস ট্যাগ লাগাতে পেরে শয়তানের খুশির সীমা থাকে না। শয়তানের সাফল্য এখানেই। সারা জীবনের সম্পর্কটাকে এক রাতে আবদ্ধ করাতে। মানবিক প্রেমকে কামজ স্বার্থপরতাতে পরিণত করাতে। আমরা সজ্ঞানে শয়তানের দাবা বোর্ডের গুটি হতে অস্বীকার করলাম। যেই আল্লাহ ছাড়া ইবাদাত পাওয়ার যোগ্য অন্য কোনো সত্তা নেই, আমরা সেই আল্লাহর দিকে মুখ ফেরালাম।
-- Sharif Abu Hayat Opu
স্বামী কেমন করে সংসার চালাবে?
পরিবারের ভিত্তি হবে 'ইবাদাহ কিন্তু সেই পরিবার সাজাতে হবে আখলাক দিয়ে। ফরয-ওয়াজিব অন্তত আদায় করে এমন কাউকেইতো পছন্দ করতে হবে জীবনসঙ্গী হিসেবে। কিন্তু আদর্শ পরিবার গড়ে তুলতে হলে শুধু সালাত-সিয়াম-তাহাজ্জুদগুজার হওয়াই যথেষ্ট নয়। একারণেই অনেক প্র্যাক্টিসিং মুসলিম পরিবারেও অশান্তি লেগেই থাকে। অথচ সেখানে সালাত-সিয়াম-দারসের কমতি হয়না কখনো। তাহলে সমস্যাটা কোথায়? এই বিষয়ে রাসূল(সা) তাঁর গৃহাভ্যন্তরে কেমন ছিলেন সেদিকে তাকানোই যথেষ্ট।
ঘটনা-১:
একবার ইথিওপিয়া থেকে কিছু লোক এসে মাসজিদ আন নববীতে তরবারি খেলা দেখাচ্ছিল। আয়েশা (রা) রাসূল(সা) কে বললেন তিনি খেলা দেখতে চান। এমন অবস্থায় আমরা হলে কী বলতাম? "হ্যাঁ!! উম্মাহর এই অবস্থা আর তুমি চাও খেলা দেখতে!! ছি! যাও যাও কুরআন পড়...তাফসীর পড়..." অথচ রাসূল(সা) আয়েশাকে নিয়ে গেলেন এবং তাঁকে আড়াল করে সামনে দাঁড়িয়ে গেলেন। আয়েশা (রা) রাসূলুল্লাহর পিছনে দাঁড়িয়ে খেলা দেখতে লাগলেন। এত দীর্ঘ সময় তিনি খেলা দেখলেন যে, রাসূলুল্লাহ (সা) বারবার এক পা থেকে আরেক পায়ে ভর দিয়ে দাঁড়াচ্ছিলেন। তিনি আয়েশা(রা)কে জিজ্ঞেস করলেন যে তাঁর দেখা শেষ হয়েছে কিনা। আয়েশা বললেন তিনি আরো দেখতে চান। কোন আপত্তি না করে রাসূল(সা) সেভাবেই দাঁড়িয়ে থাকলেন। দীর্ঘক্ষণ পর আয়েশা(রা) নিজেই ক্লান্ত হয়ে বললেন যথেষ্ট হয়েছে। এরপর রাসূল(সা) তাঁকে বাসায় নিয়ে আসলেন।
ঘটনা-২:
রাসূল(সা) তাঁর দুই নাতী হাসান আর হোসেনকে নিয়ে ঘোড়া ঘোড়া (আমাদের দেশীয় ভাষায়) খেলছেন। মানে, চার হাত-পায়ে ভর দিয়ে ঘোড়া সেজেছেন আর হাসান-হোসেনকে পিঠে বসিয়ে সারা ঘর চক্কর দিচ্ছেন। এ অবস্থায় এক সাহাবী ঘরে ঢুকে এই দৃশ্য দেখে মজা করে বললেন, "বাহ! সাওয়ারীটাতো খুব সুন্দর।" রাসূল(সা) মজা করে উত্তর দিলেন, "সাওয়ার যারা হয়েছে তারাওতো সুন্দর।" [অথবা এমনটিই বলেছেন, এর কিছু কম বা বেশি]
ঘটনা-৩:
একদিন সালাতের মধ্যে রাসূল (সা) সিজদায় গেছেন এমন অবস্থায় হাসান এসে তাঁর পিঠে উঠে বসল খেলার জন্য। একবার হাসান বসেন, আরেকবার হোসেন। রাসূল(সা) কী করেছিলেন ? যতক্ষণ না তাদের খেলা শেষ হয় ততক্ষণ সিজদাহ থেকে মাথা ওঠাননি। এমনকি তাদেরকে নেমে যাওয়ার জন্য ইঙ্গিতও করেননি। আর এখন মাসজিদে বাচ্চা ছেলেদের সাথে আমরা এবং অনেক হুজুররাও এমন আচরণ করেন যেন বাচ্চাদের কারণে তাদের সালাতটাই নষ্ট হয়ে গেছে। এতে মাসুম বাচ্চাদের মনে দাড়ি-টুপিওয়ালাদের সম্পর্কেই একটা ভীতিকর ধারণা তৈরী হয়। অথচ আমাদের দ্বীন পুরো উল্টোটাই শেখায়।
ঘটনা-৪:
আয়েশা(রা)তখন ছোট। রাসূল(সা) কোন এক সফর থেকে ফিরছিলেন। সাথে ছিলেন আয়েশা। তিনি সাহাবীদেরকে বললেন সামনে এগিয়ে যেতে। তাঁরা চোখের আড়াল হলে রাসূল(সা) আয়েশাকে দৌড় প্রতিযোগীতায় আহ্বান করলেন। আয়েশা জিতে গেলেন সেইবার। এর কয়েকবছর পর একই সিনারিও। আবার রাসূল(সা) আয়েশাকে দৌড় প্রতিযোগীতায় আহ্বান করলেন। এবার রাসূল(সা) জিতে গিয়ে মজা করে বললেন, "এইটা আগেরটার শোধ।" [অথবা এমনটিই বলেছেন]
উপরের ঘটনাগুলোর কোনটাই 'ইবাদাহ-র সাথে জড়িত নয়। ইবাদাহ অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ তবে পরিবারে শান্তি আর আনন্দের জন্যও আমাদের রাসূল(সা) এর দুনিয়াবী আচরণগুলোর দিকে তাকাতে হবে। তিনি কেমন স্বামী ছিলেন, কেমন নানা ছিলেন, কেমন শ্বশুর ছিলেন, কেমন পিতা ছিলেন এগুলো না জেনে সারা দিনরাত শুধু দারস করলেই পরিবারে শান্তি আসবে না। আল্লাহু আ'লাম।
brother
Kabir Anwar
নারীর চাকুরি নাকি সংসার? এই বিতর্কের অবসান ঘটান
প্রায় সারাটা জীবন তিনি সংসারের পেছনে এতটা শ্রম দেওয়ার পরও রোকেয়া প্রাচীদের ভাষায় তিনি কোন কাজ করেননি, 'ঘরে বসে ছিলেন'। কেন? কারণ তাঁর শ্রমের বিনিময়রূপ তিনি কোন অর্থ পান নি। কর্পোরেট দুনিয়া আমাদের আজ শেখায়, সেটাই হল "কাজ" যার দ্বারা অর্থ উপার্জন করা যাবে। কাজেই নারীদের "ঘরে বসে থাকা" দূর করতে তারা শেখালো পুরুষের মত মেয়েরাও বাইরে কাজ না করলে তাদের মর্যাদা নেই। তাই আমার মা'র সারাজীবনের পরিশ্রম এদের কাছে মূল্যহীন, কিন্তু যে নারীরা পণ্যের মডেল হয়ে দুটো টাকার বিনিময়ে শরীর দেখায়, তারা "কর্মজীবী" নারী !! একজন নারী নিজ সংসারের দায়িত্ব পালন করলে সেটা 'শ্রম' না, কিন্তু অন্যের বাড়িতে ক'টা টাকার বিনিময়ে কাজ করে বাড়ির মালিকের গালি শুনলে সেটা হয় "শ্রম" !!
সমাজের ভারসাম্য সেইদিন নষ্ট হয়েছে, যেদিন মেয়েদের মাথায় ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে যে পুরুষের সঙ্গে তার সম্পর্ক সহযোগিতার নয়, প্রতিযোগিতার। মেয়েদের শেখানো হল তাদের "পুরুষ" হওয়ার চেষ্টা করতে হবে, নইলে কোন দাম নেই। নারীর সম্মান "নারীত্বে" নয়, "পুরুষত্বে", পুরুষের অনুকরণ করার মধ্যেই নারীর সম্মান। পুরুষের সাথে প্রতিযোগিতা না করলে নাকি সমাজে টেকা যাবে না। সেই প্রতিযোগিতার নাম দিয়ে মেয়েদের রাস্তায় নামিয়ে পণ্য বানানো হল। বিজ্ঞাপনের মডেল বানিয়ে ভোগের বিপনন হল। পুরুষের শেভিং ক্রিমের বিজ্ঞাপনে অপ্রাসঙ্গিকভাবে স্বল্পবসনা নারীর উপস্থিতি কীভাবে নারীর সম্মান বৃদ্ধি করে, আমার মাথায় ঢুকে না। তীব্র শীতের মধ্যেও পুরুষের চোখে কমনীয় হতে কাপড় না খুললে নারীরা যেখানে দাম পায় না, সেই পাশ্চাত্য সমাজ যখন মেয়েদের অধিকার আর মর্যাদার মাপকাঠি নির্ধারণ করে দেয়, তখন এমনটা হওয়াই স্বাভাবিক। মুখে 'আত্মনির্ভরশীলতার' বুলি ফুটিয়ে পুরুষের "কামনা পূরণের ম্যাটেরিয়াল" হিসেবে ধরিয়ে দিয়ে এরা নিজেদের ব্যবসার মূলধন যোগাড়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে।
ইসলাম নারীদের মর্যাদা নির্ধারণ করেছে স্ত্রীত্বে, মাতৃত্বে; পুরুষের অনুকরণ করার মধ্যে নয়। ইসলামে নারী ও পুরুষ পরস্পরের পরিপূরক, প্রতিযোগী নয়। একে অন্যের উপর নির্ভরশীল। দুজনের ক্ষেত্র পৃথক, সম্মানের মানদণ্ডটাও পৃথক। সমানাধিকারের নামে নারী-পুরুষ উভয়কে অপমান করার প্রথার এখানে জায়গা নেই।
ইসলাম নারীদের হিজাব পালন করে হালাল রুজি অনুসন্ধানে বাধা দেয় না। কিন্তু ইসলাম নারীবাদীদের মত কখনোই বলে না, বাইরে কাজ করার মধ্যেই মেয়েদের সম্মান নিহিত। ইসলামে সর্বোচ্চ সম্মানিত চারজন নারীর কেউই ব্যবসা বা আউটডোর ওয়ার্কের জন্য এ মর্যাদা পান নি, বরং একজন মা হিসেবে, স্ত্রী হিসেবে বা কন্যা হিসেবে পূর্ণরূপে দায়িত্ব পালনেই এ সম্মানের অধিকারিণী হয়েছেন।
সমাজে পুরুষ আর নারীর রোলের তুলনাটা Nazmus Sakib ভাই চমৎকারভাবে তুলে ধরেছেন ফুটবল দলের মাধ্যমে। একটা ফুটবল দলে গোলকিপার, ডিফেন্ডার, স্ট্রাইকার সবাই থাকে এবং সবার আলাদা আলাদা দায়িত্ব আছে। এখন আপনি বলতে পারবেন না কার কাজটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ, আর কারটা কম। এখন আপনি গোলকিপারকে স্ট্রাইকারের জায়গায় বসিয়ে স্ট্রাইকারকে গোলকিপিং করতে দিয়ে কি জেতার আশা করতে পারেন? কিংবা স্ট্রাইকার যদি বলে-"আমাকে গোলকিপিং করতে না দিয়ে আমার অধিকার ক্ষুণ্ণ করা হয়েছে" তাহলে কি যুক্তসংগত দাবি হবে? তেমনি নারী-পুরুষের স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য থাকা সত্ত্বেও তাদের সকল দিক থেকে "সমান" বানানোর প্রচেষ্টা কি সমর্থনযোগ্য? এতে কি উভয়কেই অসম্মান করা হচ্ছে না?
একজন মা তার সন্তানকে একজন আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার মাধ্যমে আল্লাহ্র কাছে যে সম্মানের অধিকারিণী হন, বাইরে চাকরি করে কস্মিনকালেও সেটা পাবেন না। আবার বাইরে কাজে বেশি সময় দেওয়ায় যদি সন্তান তার হক্ব থেকে বঞ্চিত হয়, তবে তাকে জবাবদিহি করতে হবে আল্লাহ্র দরবারে। বাইরে কাজ করতে নিষেধ নেই বটে, কিন্তু সেটার প্রতিই বেশি জোর দেওয়ায় যে আমাদের সমাজের কত নারী নিজ পরিবারের প্রতি দায়িত্বে অবহেলা করে গুনাহগার হচ্ছেন, তা আমরা হিসাব করে দেখছি কি?
অনেকে আপত্তি জানিয়ে বলবেন, কিন্তু এমন অনেক ক্ষেত্র আছে, যেখানে মেয়েদের কাজ করা আবশ্যক। যেমন গাইনির ডাক্তার, নার্স, শিক্ষকতা ইত্যাদি।
কথাটা অবশ্যই সত্য এবং আমি তা বিশ্বাসও করি। আমি এক্ষেত্রেও ফুটবলের উদাহরণটা টানব। একজন ডিফেন্ডারের প্রধান কাজ গোল বাঁচানো এবং স্ট্রাইকারের কাজ গোল দেওয়া, তার মানে কি এমন যে স্ট্রাইকার গোল সেভ করতে বা ডিফেন্ডার গোল দিতে পারবেন না? বরং অনেকসময় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় যে এটাই আবশ্যক হয়ে পড়ে। যেমন একজন ডিফেন্ডার যদি প্রতিপক্ষের গোলমুখে বল পেয়ে যান, তখন কি তিনি স্ট্রাইকারকে বল দেওয়ার অপেক্ষা করবেন? তাহলে তো গোল মিস হয়ে যাবে। আবার একজন স্ট্রাইকার যদি নিজের দলের ডি বক্সে থাকেন আর তখন প্রতিপক্ষ আক্রমণ করে, তিনি কি সেভ করার চেষ্টা করবেন না? বরং সেটা না করলেই বিপদ। কিংবদন্তি ডিফেন্ডার রবার্তো কার্লোস বেশকিছু গোল করেছেন আবার মেসিও অনেক সেভ করেছে। তারমানে কিন্তু এই না যে আমরা কার্লোসকে গোল করা বা মেসিকে গোল সেভের জন্য মনে রাখব।
তেমনি অনেক পেশায় নারীদের অংশগ্রহণ আবশ্যক বটে, কিন্তু তার মানে এই না যে ঐসকল পেশাই নারীদের প্রকৃত মর্যাদার জায়গা। আসলে সেক্যুলার সমাজ পরিবারের প্রতি নারীদের পবিত্র দায়িত্ব পালনকে কোন কাজ হিসেবে গণ্য করে না, নারীরা যেন তাদের কথামত চলে এই আশায়। নারীদেরকে পুরুষের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে উপস্থাপন করে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করে নিচ্ছে, আর আমরাও নিজেদের বিবেক-বুদ্ধিকে কাফিরদের কাছে বন্ধক রেখে মেয়েদের সম্মান দেওয়ার নামে নারী-ব্যবসায়ীদের হাতের পুতুল করে ছেড়ে দিচ্ছি।
আল্লাহ্ আমাদের মাফ করুন এবং নিজ নিজ সম্মানের প্রকৃত ক্ষেত্র উপলব্ধির সামর্থ্য দান করুন
collected from
brother
Jubaer Hossain
আমাদের সময়ের সাপেক্ষে 'তাওবাহ' এর ক্ষেত্রে কিছু নসিহা
বনি ইসরাইলের একজন লোক ছিল যে ৯৯ টি মানুষকে হত্যা করেছিল। সে তওবা করার চিন্তাভাবনা করছিল। তাই সে একজন আবিদের কাছে গেল। [আবিদ ও আলেম এর মধ্যে পার্থক্য আছে]
সেই লোকটি এই আবিদকে বলল, "আমি ৯৯ টা মানুষকে হত্যা করেছি। আল্লাহ কি আমাকে ক্ষমা করবেন?"
আবিদ যখন এটা শুনলেন তখন বললেন যে, "তুমি ৯৯ টা লোককে খুন করেছ! আল্লাহ সুবহানাহুওয়া তা'য়ালা কিছুতেই তোমাকে ক্ষমা করবেন না!।" এই কথা শুনে সেই লোকটা উক্ত আবিদ ব্যক্তিকে খুন করে ফেলল! এরপরও সে তওবা করার জন্য উঠেপড়ে লাগলো। তার অন্তরের ভিতর কিছু অংশ হলেও ভাল ছিল। সুতরাং এ সময়ে সে খোঁজ করলো যে কাকে জিজ্ঞাসা করা যায়, সে জানতে পারলো এক আলেম এর কথা। সে সেই আলেমের কাছে গেল এবং বললো, "আমি ১০০ টা মানুষকে হত্যা করেছি। আল্লাহ কি আমাকে ক্ষমা করবেন?"
উক্ত আলেম তাকে বললেন, "হ্যাঁ, তোমার আশা আছে! তুমি যদি তওবা কর তাহলে আল্লাহ তা গ্রহণ করবেন যদিওবা তুমি ১০০ টি লোককে হত্যা করেছ। যদি আল্লাহ তোমার জন্য তওবার দরজা খুলে রাখেন তবে কে তোমাকে তা থেকে প্রতিরোধ করবে?"
কিন্তু আলেমের ফতোয়া এখানেই শেষ হয় নি।তিনি আরও বলেন, "তোমাকে এই শহর ছেড়ে অন্য জায়গায় চলে যেতে হবে। এইটা হল খারাপ একটা শহর, আমি চাই যে তুমি এই শহর ছেড়ে অন্য শহরে যাও যেখানে এমন সব লোকেরা রয়েছে যারা আল্লাহর ইবাদত করে ফলে তুমি তাদের সাথে ইবাদত করতে পারবে।"
হাদীসটি আরোও দীর্ঘ। আমি মূলত ফোকাস করতে চাচ্ছি উক্ত আলিমের ফাতাওয়ার দিকে। উনি বলেছিলেন- 'তুমি এই শহর ছেড়ে অন্য শহরে চলে যাও'
আমার মূল ফোকাসটা এখানেই। ইসলামের প্রতি আগ্রহী হবার পর একজন মুসলিম সর্বপ্রথম ভাবতে থাকে, সে কিভাবে পাপ কাজ থেকে বিরত থাকতে পারে। কটু হলেও সত্য আমাদের অনেক পাপই সমাজ, পরিবেশ ও বন্ধুদের সাথে সম্পর্কিত। একজন চাইলেও সে তার চিরচেনা পরিবেশের বিরুদ্ধে যেতে পারে না। অন্তঃত প্রথম দিকে তার মধ্যে সেই পরিমাণ ঈমানী শক্তি থাকে না।
তাওবাহ করতে চান? প্রথমেই আপনার বন্ধুজগত থেকে দূরে সরে যান। নিয়মিত নামায পড়ুন। সম্ভব হলে নিজের ঘর পরিবর্তন করুন। রুমের কনফিগারেশন চেঞ্জ করুন। ইস্তেগফার পড়ুন। ইসলামি বই নিয়মিত পড়ুন। যাই-ই পড়বেন সেটা বোঝার ও নিজের জীবনে আপ্লাই করার চেষ্টা করুন। সুন্নাহ এর প্রতি নজর দিন। প্রথম দিকে বেশ কষ্ট হবে। অনেকে ব্যংগ করবে। একসময় সব সহনীয় পর্যায়ে চলে আসবে। কিছুদিনের জন্য বন্ধুহারা হয়ে পড়তে পারেন, তবে আল্লাহ ভবিষ্যতে আপনাকে আরোও উত্তম বন্ধুত্ব দান করবেন ইন-শা-আল্লাহ।
রাগকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করুন। নিজের পাপের কথা চিন্তা করে লজ্জিত হোন। আল্লাহ'র কাছে ক্ষমা চান। এক্সট্রা নামায পড়ুন (নফল) এবং নামায দীর্ঘ করুন (অন্তঃত সিজদাহ)। গলার স্বর নিচু রাখুন। নম্রতা ও বিনয়ের পথে ধাবিত হোন। অশ্লীল শব্দ ব্যবহার এবং অন্যকে কথার দ্বারা আঘাত করা থেকে বিরত থাকুন। পরিবারের সাথে সময় কাটান, পারিবারিক সম্পর্কের উন্নতি ঘটান, ছোট ভাই-বোনের সাথে মজা করুন, বাবা-মা'র ত্যাগের কথা চিন্তা করুন। মৃত্যুকে স্মরণ করুন। এমনভাবে বাচুন যেন আজই আপনার শেষ দিন।
[নিজের এক্সপেরিয়েন্স থেকে কিছু নাসিহা। একজন ভাইও উপকৃত হলে সেটাই হবে লিখাটির সার্থকতা]
Written by: Muhammad Makamam Mahmud
তারা হয় কখনো পুরুষদের বুঝার চেষ্টা করেনি কিংবা জীবনে সত্যিকার পুরুষের কখনো দেখা পায় নি
আমি দেখেছি সেই লোকটাকে যে তার স্ত্রীকে মোটরসাইকেলে করে নিয়ে যাওয়ার সময় ঝাঁকুনি লেগে স্ত্রী পড়ে যায়... হাসপাতালে আনার পর দেখা যায় তিনি মৃত। এরপর লোকটি পুরো দুই দিন বাকরুদ্ধ হয়ে ছিল...
আমি দেখেছি সেই খেটেখাওয়া লোকটাকে... নিজে দুপুরে না খেয়ে সারাদিনের উপার্জনের টাকা দিয়ে তার স্ত্রীর জন্য কেনাকাটা করতে...
আমি দেখেছি সেই ছেলেটাকে যে তার তরুণী স্ত্রীকে হাসপাতালে তড়িঘড়ি করে নিয়ে এসেছে শুধুমাত্র কুকুর তার পায়ে একটু শুঁকেছে বলে...
আমি দেখেছি সেই অসুস্থ লোকটাকে... টাকার অভাবে নিজের ওষুধ না কিনে শুধু স্ত্রীর জন্য ওষুধ কিনতে...
আমি দেখেছি সেই দিন মজুরকে যাকে একবার এক প্যাকেট বিস্কুট দিয়েছিলাম খেতে... সে তার ব্যাগে ঢুকিয়ে হাসিমুখে বলে, আমার বউ-ছেলে খাবে এটা।
এরাই সত্যিকার পুরুষ... আর পৃথিবীর বেশিরভাগ পুরুষই এমন।
এরপরেও যারা বলে "পুরুষ জাতই খারাপ", তারা হয় কখনো পুরুষদের বুঝার চেষ্টা করেনি কিংবা জীবনে সত্যিকার পুরুষের কখনো দেখা পায় নি। তারা যাদের দেখেছে তারা ছিল কাপুরুষ..
-- Dr Taraki Hasan Mehedi
পর্ন দেখা যে খারাপ তা পাড় পর্ন আসক্তও স্বীকার করে
পর্নমুভিতে যা পাপ করা হয় তার চেয়ে শির্ক যে বেশি ভয়াবহ তা কি আমরা বুঝি? মা-বোনদের এটা বুঝিয়ে বলি?
মেয়ে বয়ফ্রেন্ডের সাথে হোটেলে রাত কাটিয়েছে জানতে পারলে রাগ করে সেই মেয়েকে বাসা থেকে বের হয়ে যেতে বলবে, এমন বাবার সংখ্যা সমাজে নেহাত কম নেই। তাদের অনেকেই হয়তো দাড়িওয়ালা; মাসজিদের সামনের কাতারে সালাত আদায় করেন। এই বাবাই হয়তো ব্যাঙ্কের সুদ খাচ্ছে। একটাকা সুদ খাওয়া ছত্রিশবার জেনার চাইতে বেশি পাপ। বাপ কি বোঝে সে মেয়ের চেয়ে কত বড় অপরাধী?
শয়তান আমাদের পাপের অনুভূতি ভোঁতা করে দেয় এভাবেই। কোনটা বড় পাপ, এসব ভুলিয়ে রাখে। সুদের সর্বনিম্নস্তরের পাপ মায়ের সাথে জেনার তুল্য। আর শির্কের উল্লেখে আল্লাহ্ বলেছেন যেন আকাশ ফেটে পড়তে চায়, জমিন বিদীর্ণ হয়ে যেতে চায়, পাহাড় চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যেতে চায়।
মূর্তিপূজা উপভোগকারী আর ব্যাঙ্কের সুদ নেওয়া মা-বাবারা সন্তানকে কী নৈতিকতা শেখাবেন? সমাজের অধঃপতনে আক্ষেপ করার আগে মা-বাবারা যেন এগুলো ভাবেন।
Collected From
Brother
Jubaer Hossain
Anal sex or sodomy : আপনার ছেলে সন্তানটির নিরাপত্তা
দিনাজপুরের একটি ঘটনা । মনির নামের একটি ছেলে পার্শ্ববর্তী একজন প্রভাবশালী লোকের দ্বারা বিকৃত যৌনতার শিকার হয় । মনিরের চিত্কার চেঁচামেচীতে পাশের মাঠে খেলাধুলারত কিছু ছেলে তাকে উদ্ধার করে । দিনাজপুর মেডিকেলের ফরেনসিক ডিপার্টমেন্ট কোন SODOMY হয় নাই বলে রিপোর্ট করে রিপোর্ট সন্দেহজনক হওয়ার তাকে রংপুর মেডিকেলে রেফার্ড করা হয় । কিন্তু বিভিন্ন জটিলতায় রংপুরে আসতে ৫ দিন দেরী হয় । তাই তার ফরেনসিক ইনভেস্টিগেশন করে শিওর কোন সাইন সিমটম পাওয়া না গেলেও ANAL CANAL এর চারিদিকে এব্রাশন দেখে কিছুদিন আগে যে বিকৃত যৌনতার শিকার হয়েছিল বুঝা যায় ।
পরীক্ষা শেষে ভাবলাম মনিরের সাথে কথা বলব । তাই তাকে কিছু কথা জিজ্ঞাসা করতে গিয়ে দেখলাম সে আমাকে ভয় করছে এমনকি আমাকে দেখে ভয়ে কাঁপছে । বুঝলাম সে ফোবিয়াতে ভুগছে কাউকেই বিশ্বাস করতে পারতেছে না ।
তারপর স্যার যা বললেন তা ভয়ানক ব্যাপার । আমাদের বাড়িতে অনেক সময় আত্মীয় স্বজন বেড়াতে আসলে তাকে সাধারনত ছোট ছেলের বা ভাইয়ের রূমে থাকতে দেই । মেয়েদের নিরাপত্তার ব্যাপারে অনেক চিন্তিত হলেও ছেলেদের নিয়ে আমরা কোন চিন্তা করিনা । কিন্তু আমাদের বুঝা উচিত্ সমাজ দ্রুত চেন্জ হয়ে যাচ্ছে মানুষ এখন রেডিওতে খবর গান শোনেনা অনেকই ইন্টার্নেট এ ছোট ছেলে বা মেয়েদের সাথে যুবা পুরুষদের পর্ণো দেখে অভ্যস্থ তাই আপনার ছোট ছেলে বা মেয়েটির সাথে থাকা আপনার বন্ধু বা আত্মীয়ের মনে পশুত্ব জেগে ওঠা খুব স্বাভাবিক । যদিও মেনে নিতে কষ্ট হয় তবুও এটা আপনাকে মেনে নিতেই হবে কারণ এধরণের অনেক ঘটনাই আমাদের পেডিয়াট্রিক ডাক্তারদের কাছে আসে ।
এই যে এত কম বয়সে আপনার ছেলে বা ভাই পূথিবীর একটি নিষ্ঠুর রূপের মুখোমুখি হলো এর ফল হবে খুবই মারাত্মক । সব মানুষকেই সে ভয় করতে শুরু করবে মনে করবে সবাই নিষ্ঠুর তারপর আপনার চোখের সামনেই সে হারিয়ে যেতে থাকবে ধীরে ধীরে । কখনোও যদি OVERCOME করতে পারে তবে সে হয়ে উঠতে পারে হিংস্র বখাটে একটি ছেলে এমনকি কাউকেই খুন করতে দ্বিধা করবে না আপনার সেই আদরের ছোট ভাই বা ছেলেটি ।
তাই সময় এসেছে সচেতন হওয়ার আপনার মেয়েটিকে নিয়ে যতটা ভাবেন ঠিক ততটাই ভাবুন আপনার পরিবারকে মাতিয়ে রাখা ছোট ছেলেটির নিরাপত্তা সম্পর্কে
Written by
Dr Mobashwer Ahmed Noman
ধাক্কা
তবে এই ধাক্কার মাঝেও রয়েছে কল্যাণ। অনেক দ্বীনী ভাই দেখেছি, যারা জীবনে নানা ক্ষেত্রে প্রকান্ড একটা শক খেয়ে জীবনকে চিনেছেন। বুঝেছেন জীবনের সত্যিকারের অর্থ। চিনেছেন তার রব্ব কে।
ক্রিকেটার আশরাফুল ম্যাচ গড়াপেটা কেলেঙ্কারিতে পড়ে গোটা জাতির সামনে কেঁদেছিলেন। এখন গ্ল্যামারাস খেলা থেকে বহু দূরে তিনি। শুনেছি নামায কালাম পড়ছেন। দাড়ি রেখেছেন।
একসময়কার বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান আফতাব আহমেদ। আইসিএলে গিয়ে ক্যারিয়ারের ১২ টা বাজিয়ে এখন নিতান্তই একজন ফ্যামিলি ম্যান। প্রায়ই দেখা হয় পাড়ার মাসজিদে। বেশ কিছুদিন নিয়মিত মাসজিদে আসছেন। মুখে ঘন দাড়ির আস্তরণ দেখে জিজ্ঞেস করলাম, "রেখে দিবেন নাকি?", সন্তুষ্টির হাসি মুখে ঝুলিয়ে জবাব দিলেন "ইনশাআল্লাহ"।
কিছু কিছু ধাক্কা, আল্লাহর নিয়ামত সহ আসে। আমরা অনুধাবন করি তো?
--- Nazmus Sakib
আমরা সবাই আসলে অকৃতজ্ঞ
"মা আমার পার্টিতে পরার মত কিছুই নেই, কতদিন ধরে বলছি শপিংয়ে চল, তুমি তো আমার কথা শোনই না, এখন আমি কি পরে যাব?"
২) ছেলেটি চতুর্থ বারের মত ফ্রিজে কিছু খুঁজছিল; পিৎজা, চকলেট, আইসক্রিম, ফল-মুল আর জুস থরে থরে সাজানো রয়েছে। সে হতাশ হয়ে ফ্রিজের দরজা বন্ধ করল আর রান্নাঘর ছাড়তে ছাড়তে বলছিল, " এখানে খাওয়ার মত তেমন কিছুই নাই, চল কোন ক্যাফেতে যাই আর ভাল-মন্দ কিছু খাই।"
৩) সে নিত্যদিনের মত বিষণ্ণতা আর ভয় নিয়ে ঘুম থেকে জেগে উঠল; যা প্রতিদিন সকালের রোজনামচা। সুইসাইডের প্রবণতা তার মাথায় আবার চড়তে শুরু করেছে। তার বিয়ে হয়েছে এক সুদর্শন পুরুষের সাথে, রয়েছে দুটো ফুটফুটে বাচ্চা, বাড়ি আর গাড়ি; একজন নারী যার স্বপ্ন বুনে তার সবি। আপাতদৃষ্টিতে, জীবন খুবই পারফেক্ট মনে হলেও কিসের যেন শুন্যতা। কেন জানি সে তার স্বপ্নের পুরুষের সন্ধান পায় নি।
৪) সতের বছরের টিনএজার ছেলেটির আই-ফোন, কোর আই-৭ ডেল, ১০০০ ডলার পকেটমানি পাওয়া সত্ত্বেও তার মতে জীবন খুবি ম্যাড়ম্যাড়ে। সে কিছুতেই টেক্সটে মনোযোগ দিতে পারছে না। সে বই নিক্ষেপ করার মত করে বন্ধ করল আর ভাবছে, "আমার বন্ধুর জাগুয়ার (গাড়ির ব্রান্ড) থাকতে পারলে, আমার কেন থাকবে না?"
এই দৃশ্যপটগুলো কি পরিচিত ঠেকছে?
অকৃতজ্ঞতাবোধের স্বভাব। আমাদের বেড়ে উঠার প্রক্রিয়ায় উথপ্রোতভাবে যেন জড়িয়ে আছে অকৃতজ্ঞতা আর আল্লাহ্র অসংখ্য নিয়ামতের প্রতি অন্ধত্ব! আমরা আমাদের সর্বশক্তি ব্যয় করি আমাদের জীবনে কি নেই তারই সালতামামিতে। এটা খুবই বিদ্রূপাত্মক, এই হাপিত্যেশ আমাদের কেবলি কষ্ট বাড়ায়।
এই সকল নেতিবাচক চিন্তা আমাদের হতাশার কৃষ্ণগহ্বরে পরিণত করে। তাই আমাদের উচিত আমাদের চিন্তা-চেতনাকে সতর্কতা আর সজ্ঞানের সহিত দিকনির্দেশনা দেয়া।
ইতিবাচক চিন্তাকে এর সমাধান হিসেবে আধুনিক মনস্তত্ত্ববিদরা সাম্প্রতিককালে প্রাকৃতিক নিয়ম হিসেবে উদ্ভাবন করতে সক্ষম হলেও কুরআন এই সমস্যার স্বরূপ আর সমাধান দিয়েছে ১৪০০ বছর আগেই:
"এবং যে আমার স্মরণ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে, তার জীবিকা সংকীর্ণ হবে এবং আমি তাকে কেয়ামতের দিন অন্ধ অবস্থায় উত্থিত করব।" [সুরা ত্ব-হাঃ ১২৪]
"যখন তোমাদের পালনকর্তা ঘোষণা করলেন যে, যদি কৃতজ্ঞতা স্বীকার কর, তবে তোমাদেরকে আরও দেব এবং যদি অকৃতজ্ঞ হও তবে নিশ্চয়ই আমার শাস্তি হবে কঠোর।" [সুরা ইব্রাহীম: ০৭]
Collected From
Brother
Sayyid Mahmud Gaznabi
আধুনিকতা ও নষ্টামো কি একই জিনিস? এই লেখাটি না পড়লে মিস করবেন
.
আমি বিষয়টাকে একটু অন্যভাবে দেখি।
আমার মতে, আমরা জাতিগতভাবে যে দুইশ' বছর ওয়েষ্টের গোলাম/দাস ছিলাম, সে দুইশ বছরে আমাদের জাতীয় রক্তে-চিন্তায়-ব্রেনে-শরীরের প্রতিটা সেলের ডিএনএ'র ভিতর দুইশ' বছর আমাদেরকে যারা শাসন করেছে সেই সাহেবদের মত হওয়ার একটা সুপ্ত বাসনা ভীষন শক্তভাবে ঢুকে গেছে।
.
আমরা তাই 'স্বাধীন' হয়েছি ঠিকই, কিন্তু আমাদের মন-মানসিকতা-চিন্তা-ভাবনা এখনো কলোনাইজড।
.
তারই ফসল, সাহেবদের নির্লজ্জ্বতার সাথে প্রতিযোগীতা দিয়ে ডেকচির চে' ঢাকনা গরমের মত সাহেবদেরকে টেক্কা দিয়ে তাদের চে'ও বেশী নির্লজ্জ্ব হওয়ার চেষ্টা!
.
আমাদের কাছে তাই 'মডার্ণ' হওয়ার সংজ্ঞা হলো ওয়েষ্টের কালচার/ড্রেসাপ কে adopt করে নেয়া।
.
উদাহরণ- যখন কোনো মেয়ে খোলা-মেলা কাপড় পড়ে, তখন আমরা বলিনা 'মেয়েটা বেহায়া হয়ে গেছে', উলটা বলি 'বেশী মডার্ণ হয়ে গেছে'!
যখন কেউ ফেইসবুকে নিজেদের অন্তরংগ ছবি দিচ্ছে, আমরা বলিনা 'এ বেয়াদব হয়ে গেছে', উলটা বলি 'আজকালকার ছেলেমেয়েরা বেশী ফাষ্ট হয়ে গেছে'!
.
ফাষ্ট হওয়া, মডার্ণ হওয়া, আধুনিক হওয়ার সংজ্ঞা আমাদের কাছে 'ওয়েষ্টের মত হওয়া'!
(দুঃখজনক হলো, ওয়েষ্টের ভাল জিনিষ না নিয়ে আমরা তাদের খারাপগুলোই নেই আর সেই খারাপ দিকগুলোকেই মডার্ণ/আধুনিক বলি!)
.
ওয়েষ্টের কালচারে লজ্জা-শরমের জায়গা বলতে গেলে নেইই।
মা-বাবা'র সামনেই ছেলে তার গার্লফ্রেন্ডকে চুমু খাচ্ছে, বা মেয়ে তার বয়ফ্রেন্ডের কোলে উঠে যাচ্ছে, কেউ কেয়ার করেনা।
.
দুঃখ লাগে যখন ওয়েষ্টকে ফলো করতে করতে তথাকথিত 'মডার্ণ' হতে গিয়ে আমাদের সমাজের মানুষজনকেও দেখি prototyped আচড়ণ করতে।
আর তাই করতে গিয়ে, ডেকচির চেয়ে ঢাকনা গরমের মত, ওয়েষ্টেও মানুষজনও যা করেনা, এখানে তারা তাও করতে ছাড়েনা!
.
মা-বাবা'র সামনেই নিজের জামাই বা বউ'র সাথে গা ঘেষাঘেষি করে বসে থাকা।
মুরুব্বীদের সামনেই একজন আরেকজনকে জড়ায়ে ধরে ছবি তোলা।
এসব দেখলাম একদম কমন বিষয়!
.
এবার বাংলাদেশে একটা ঘটনা চোখের সামনে দেখে একদম stunned হয়ে গিয়েছিলাম।
ঢাকার বসুন্ধরা মার্কেটে একটা ছেলে একটা মেয়ে মারামারি করছে!
ছেলেটা মেয়েটার হাত মুচড়ে ধরেছে, মেয়েটা বাকী খোলা হাতটা দিয়ে ঠাস করে ছেলেটাকে ভীষন একটা চড় লাগিয়ে দিলো!
আমি হতভম্ব।
জীবনে এরকম প্রকাশ্যে ছেলে-মেয়ের মারামারি দেখিনি, তাড়াতাড়ি থামাতে যাবো ভাবছি, তখন শুনলাম, মেয়েটা বলছে, তোর প্রেমের থোড়াই কেয়ার করি! ছাড় শালা!
আর ছেলেটাও সাথে সাথে চড়া গলায় বললো, তোকে যদি আর কোনোদিন অমুকের সাথে দেখছি, একদম হাত ভেংগে দিবো।
আমি হতভম্ব হয়ে এক্সসেলেটরের নীচে দাঁড়িয়ে আছি।
পিছন থেকে একজন বললেন 'আপু, রাস্তা ছাড়েন। এসব নাটক সস্তা হয়ে গেছে। দেখার কিছু নেই'!
আমি অবাক হয়ে বললাম, তাই বলে ছেলেটা মেয়েটার এভাবে হাত মুচড়ে দেবে?
নির্লিপ্ত কমেন্ট শুনলাম, মেয়েটাও তো ছেলেটাকে চড় মেরেছে!
ভাবলাম, আরে, তাইতো!
এক্সসেলেটর দিয়ে উঠে এসেও কৌতুহলে একটু দূরে দাঁড়িয়ে রইলাম, দেখি এরা কী করে।
ওম্মা, একটু পরেই দেখি আরেক জোড়া ছেলে মেয়ে আসলো।
চারজন মিলে কিছুক্ষন চরম হাউকাউ করলো।
দূর থেকে কথা বুঝতে পারছিলাম না।
মিনিট খানেক পরেই আমাকে অবাক করে দিয়ে চারজন একসাথে এক টেবিলে খেতে বসলো, যেন একটু আগে কিছুই হয়নি!!
পরে কাছের মানুষদের কাছ থেকে জানলাম, এখন এমন মারামারি করাটাই প্রেম!! যারা মারামারি করেনা, তারা আবার কীসের প্রেম করে?
প্রেম এখন ঝাল-মিষ্টি-টক-টক!
.
অবাক হয়ে ভাবছিলাম, ডেকচির চেয়ে আসলেই দেখি ঢাকনা গরম!
অস্ট্রেলিয়ায় প্রকাশ্যে এমন মারামারি করলে আশেপাশের মানুষজন সোজা পুলিশকে ফোন করে দিবে, বলবে একজন আরেকজনকে এবিউজ করছে!
.
ডেকচির চেয়ে ঢাকনা গরমের আরেক নমুনা ইদানিং দেখছি ফেইসবুকে।
নিজেদের অন্তরংগ ছবি আপলোডানো তো আছেই, এসব ছবি, স্ট্যাটাস রোমান্টিকতার সীমানা পেরিয়ে যে vulgar হয়ে যাচ্ছে, অশ্লীল দেখাচ্ছে, তার কারো কোনো হুঁশ নেই।
.
মানুষজনের প্রেম আর ভালবাসা হয়ে গেছে এখন দেখানোর প্রতিযোগীতা।
কে কত দেখাতে পারে!
.
নতুন আরেকটা যে জিনিষটা এবার দেখলাম, তা হলো, একজন আরেকজনকে সবার সামনেই, এমনকি মুরুব্বেদের সামনেও, বে-ই-ই-বী, বাবুসোনা, গুড্ডু সোনা এসব ডাকা!
.
এক পরিচিত মেয়ে অনেকের সামনেই, যেখানে আমিও ছিলাম, তার বয়ফ্রেন্ডকে যখন বাবুসোনা বলছিলো, মেজাজ আর সামলাতে পারলাম না।
বললাম, 'তুমি কি জানো, গ্রাম-গঞ্জে সোনা কাকে বলে?'
মেয়েটা চোখ কুঁচকে জিজ্ঞেস করলো 'কাকে?'
বললাম, ছোট মেয়েদের শরীরের প্রাইভেট পার্টকে গ্রামে আদর করে বাবা-মা বা মুরুব্বীরা সোনা বলে। তোমার বয়ফ্রেন্ড কী তোমার শরীরের প্রাইভেট পার্ট?
এরপর ওখানে কী হয়েছিলো তা আর নাইই বলি।
.
ক'দিন দেশে থেকে যা বুঝেছি, তা হলো, মানুষজনের এ ধরনের ব্যবহার, আচার-আচড়ন মূলতঃ দু'টো কারণের ফসল।
.
এক- কলোনাইজড মন মানসিকতা- যা থেকে এসেছে ওয়েষ্টের লোকজনের চেয়েও বেশী ওয়েষ্টার্ণ হওয়ার চেষ্টা!
আর দুঃখজনক হলো, নতুন জেনারেশনের ছেলেমেয়েরা তাদের আগের জেনারেশনের চেয়ে আরো বেশী কলোনাইজড।
আগের জেনারেশনে তাও কিছুটা হলেও একটা নিজস্ব সেন্স ছিলো, নিজস্ব বোধ ছিলো।
এখনকার ছেলে-মেয়েদেরকে তিনটা 'S' দিয়ে ডিফাইন করা যায়।
Show off
Shallow
Sense-less
এরা না বাংলাদেশী, না বিদেশী! জীবনে বিদেশে না গিয়েও এরা বিদেশীদের চেয়ে দশগুন বেশী বিদেশী!
.
দুই- অজ্ঞতা।
আধুনিকতা কাকে বলে এটাই তেমন কেউ জানেনা!
আধুনিকতার সাথে modesty'র যে অন্তরংগ সম্পর্ক- তার কোনো আইডিয়াই নাই বাংলাদেশীদের সো-কল্ড 'আধুনিকতা'য়।
এরা আধুনিকতা মানেই মনে করে বলিউড আর হলিউডের মুভিতে যা দেখে তা।
অথচ এদের কোনো ধারণাই নাই যে এমনকি খোদ এমেরিকার মেইনস্ট্রীম সোসাইটির সাথে হলিউডে যা দেখায় তার সাথে তেমন কোনো মিলই নেই।
.
একেকটা কালচারের একেক রকম দিক থাকে যেগুলো সে কালচারের সৌন্দর্য্যের মত, সেগুলো তার নিজস্ব unique বৈশিষ্ট।
মানুষ হোক বা কালচার, কেউ যখন নিজস্বতা ছেড়ে দিয়ে হুবুহু অন্যের মত হয়ে যেতে চেষ্টা করে তখন বার বার কেনো যে কাকের ময়ূর-পুচ্ছ লাগিয়ে ময়ূর হতে চেষ্টা করার গল্পের কথা মনে পড়ে যায়!
.
আপনি যখন লজ্জা-শরমকে জলাঞ্জলি দিয়ে অন্যের সামনে আপনার জামাই বা বউ'র সাথে লাগালাগি করছেন,
গা ঘেষাঘেষি করছেন,
জড়ায়ে ধরে খুব রোমান্টিকলি ছবি তোলে ফেইসবুকে দিচ্ছেন,
জ্বী না, আপনি মডার্ণ হননি,
আপনি যা হয়েছেন তার নাম বেহায়া হওয়া।
তার নাম বেলাজ হওয়া।
তার নাম কাকের ময়ূর হতে চেষ্টা করা।
.
কখনো কী ভেবে দেখেছেন, আপনার আমার সবার শরীর একইরকম হওয়ার পরও আমরা কাপড় পড়ি কেনো?
সব মেয়ের শরীরই তো একই, আবার সব ছেলের শরীরইতো একই, তারপরও কেনো আমরা শরীর ঢেকে রাখি?
কারন,
কিছু জিনিষ ঢেকে রাখাতেই সৌন্দর্য্য।
কিছু কিছু ব্যবহার/আচার-আচড়নও তেমন প্রাইভেট রাখাতেই সৌন্দর্য্য।
.
কাকের মত পুচ্ছ-লাগানো কুৎসিত ময়ূর হতে চেষ্টা না করে নিজে একজন আসল ময়ূর হন।
তখন এত কষ্ট করে ফেইসবুকে ছবির পর ছবি দিয়ে, স্ট্যাটাসের পর স্ট্যাটাস দিয়ে আপনাকে বলতে হবেনা দেখো দেখো আমি কত সুন্দর! দেখো দেখো আমরা কত রোমান্টিক!
.
এন্ড বাই দ্য ওয়ে, মানুষ আপনাকে সুন্দর বললো কিনা, মানুষের কাছে আপনি রোমান্টিক কিনা তা প্রমাণ করে কী লাভ শুনি?
যে পরিমাণ effort আপনারা নিজেদেরকে অন্য মানুষের কাছে সুন্দর প্রমাণ করতে, রোমান্টিক প্রমান করতে ব্যয় করেন, তার সিকিভাগও যদি আপনি আর আপনার পার্টনার একজন আরেকজনকে প্রমান করতে ব্যয় করতেন, আপনাদের চে' সুখী আর কেউ হতো না!- এটা আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি
[Collected from sister Farjana, শিরোনাম সম্পাদক কর্তৃক প্রদত্ত]
আমার এক বন্ধুর সংসার ভাংতে চলেছে
... প্রায় দুই বছর চুটিয়ে প্রেম করার পর মাস ছয়েক আগে যখন তারা দুই পরিবারের সম্মতিতে বিয়ে করলো আমরা বেশ এনজয় করেছিলাম । বন্ধুটি ACCA করে বেশ ভালো বেতনেই একটা কর্পোরেট জব করছে । মেয়েটি গ্রাজুয়েশনের শেষ পর্যায়ে ।
দুই পরিবারের আর্থিক-সামাজিক অবস্থান, তাদের উপার্জন মিলিয়ে বেশ স্বাচ্ছন্দে কেটে যাবার কথা । বিয়ের কয়েক মাস পর্যন্ত বেশ আমোদেই কেটেছে ..... কিন্তু ইদানিং নাকি সম্পর্কটা সুতোর উপর ঝুলছে ।
কারণ .......... মেয়েটি 'এ্যাডজাস্ট' করতে পারছেনা !!!!!!!
বন্ধুটি বেশ আক্ষেপ করে বলছিল, 'কোনদিন এই দিনটার কথা কল্পনাও করিনি । প্রেম করার দিনগুলোতে মনে হতো সারাজীবন একে অপরকে সহ্য করবার মত ভালোবাসাটুকু দু'জনার আছে । কিন্তু ... আজ মনে হচ্ছে আসলেই ''প্রেমের বিয়ে বেশিদিন টেকেনা" ..
....'প্রেম'টা যতই গাঢ় হোক না কেন , তাতে একটা ফাঁক সবসময়ই থাকে । সেটা 'দেখনদারী' দিয়ে ঢেকে রাখা হয় । কৃত্রিমতা দিয়ে 'বাস্তবতা' আড়াল করার চেষ্টা ।
মেয়েটা কড়া মেকাপে সদ্য গজিয়ে ওঠা ব্রণগুলো ঢাকে । স্কিনের কালার উজ্জ্বল করে । বেছে বেছে সবচেয়ে ভালো জামাটা গায়ে দিয়ে ডেটিং এ যায় । খাবারে বাছ-বিছার করে... গুছিয়ে কথা বলা.. আসল 'আমি'কে গোপন করে আরেকটা ''আমি''র খোলস !!!
বিয়ের পর খোলস ছাড়া সেই মেয়েটাকে দেখে ছেলেটার মনে 'দ্বিধা' তৈরী হওয়াটা অমূলক নয় ।
বিয়ের আগে ছেলেটি মেয়েটির জন্য দামী গিফট কেনে । দামী রেষ্টুরেন্টের 'দামী বিল'' বেয়ার করে । হাঁটাদুরত্বেও সিএনজি/রিকশা লাগে । রাত জেগে ক্লান্তিহীন ফোনালাপ ... টেক কেয়ার করার পাগলামি ... একনজর দেখার অপেক্ষা .... 'পাগল প্রেমিক' বাস্তবতাকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে যায় ।
বিয়ের পর কোথাও যেতে সিএনজি তো দূর কি বাত পারলে লোকাল বাসই ভরসা । রেষ্টুরেন্টে মাসে একবার যাওয়াটাও বিলাসিতা । ফোনালাপ...টেক কেয়ার ... অপেক্ষা ... ধুর, ওসব তো ছেলেমানুষী !!!
মেয়েটি এই রুক্ষতার আড়ালেই তার 'পাগল প্রেমিকটিকে' হাতরে খুঁজে । ...কেবল দীর্ঘশ্বাস জমে বুক ভরাট হয় ।
'প্রেম'টা ঘাসফুল হয়ে ফোটে ..... ঘাসফড়িং হয়ে উড়ে যায় !!!
(Collected)
১৮ বছরের এক ছেলে "শিশু"
১৮ বছরের এক ছেলে "শিশু" তার আম্মুকে বলছেঃ
ছেলেঃ আম্মু আমার বিয়ে করা প্রয়োজন, আমি বিয়ে করতে চাই।
আম্মুঃ ছিঃ বাবা, এসব কথা বলেনা, তোমার তো এখনো বয়স হয়নি, বিয়ে কেমন করে করবে?
ছেলে তখন একটু মন খারাপ করে বাইরে যাবার জন্য দরজার দিকে গেলো। তখন তার আম্মু ডাক দিল
আম্মুঃ কোথায় যাওয়া হচ্ছে?
ছেলেঃ সোনিয়ার বাসায় যাচ্ছি।
আম্মুঃ কেন সোনিয়ার বাসায় যাচ্ছ?
ছেলেঃ তার সাথে খেলবো।
আম্মুঃ চুপ বেয়াদব ছেলে, সোনিয়ার সাথে কিসের খেলা? লাগবেনা এত খেলা, তোমার বয়স হইসে না?!!
[ সংগৃহীত ]