কেমন ছিলেন মুহাম্মাদ ? (সল্লাল্লহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
তাঁর জীবনের দিকে তাকালে সবচাইতে বেশি যে বিষয়টা আমাকে আলোড়িত করে, তা এই না যে তিনি শৈশব থেকে আম্রত্যু কোন সুখ উপভোগ করেননি । বরং এই ভেবে আশ্চর্য হই যে, তাঁর জীবনের সবচাইতে সুখের মুহূর্তগুলোর পরেই তাঁকে স্পর্শ করেছে মর্মান্তিক কষ্ট ।
বদরের অভাবনীয় বিজয় যখন মুসলিম শিবিরে ছড়িয়ে দিল আনন্দের শিহরণ; সূরা আল আনফালের আয়াত নাযিল হবার পর, মনে হচ্ছিল, পৃথিবীর আর কোন দুঃখ কিংবা পঙ্কিলতা, তাওহীদের পতাকায় ঐক্যবদ্ধ মুসলিম বাহিনিকে কোনদিন স্পর্শ করতে পারবেনা । তিনি বাড়ি ফিরে দেখলেন, যে অসুস্থ মেয়ে রুকাইয়া আর নেই । বদরের আনন্দ তিনি উপভোগ করতে পারলেন না ।
উহুদে হামজাকে হারালেন । খন্দকের পর যয়নাব বিনতে জাহাশকে বিয়ে করবার জন্য প্রস্তুতি নিতে হল । হারালেন আনসারদের অবিসংবাদিত নেতা, কিংবদন্তি সা'দ বিন মু'আযকে ।
খাইবারের পর দারিদ্র্য ঘুচে গেল এতদিনের । আবিসিনিয়া থেকে প্রায় এক দশক পর ফিরে আসলেন চাচাতো ভাই জা'ফর বিন আবি তলিব । উনি বললেন, "আজ আমি বুঝতে পারছিনা যে কোনটিতে বেশি আনন্দিত হব ? খাইবারের বিজয়ে না জাফরকে ফিরে পেয়ে ।" আনন্দের অতিশায্যে চুমু খেলেন জা'ফরকে । কিন্তু জা'ফরও বেশিদিন বাঁচলেন না আর ।
সবশেষে নিজ মাত্রিভূমিতে ফিরে যাবার অধিকার ফিরে পেলেন । কিন্তু মক্কা বিজয়ের পর তাঁর নিজেরই বিদায় নেবার সময় এসে গেল । মৃত্যুসংবাদ পেলেন, "ফাসাব্বিহ বিহামদি রব্বিকা ওয়াসতাগফিরহু, ইন্নাহূ কানা তাওওয়াবা ।"
মদীনার একটা ঘটনা দিয়ে শেষ করি । সম্ভবত কোন এক দুপুরে শুয়ে ছিলেন তাঁর চিরপরিচিত চাটাইয়ের বিছানায় । তাঁর শরীরে, খেজুরের কিছু অসভ্য চাটাই, গভীর করে দাগ বসিয়ে দিচ্ছিল । এক সাহাবী তাঁর এই কষ্ট আবেগ সংবরণ করতে পারলেন না ।
নিশ্চয়ই রোম আর পারস্যের সম্রাটদের জন্য ছিল এই দুনিয়ার মসনদ । তাঁর জন্য তাঁর প্রতিপালক পুরোটাই তুলে রেখেছেন;
আমরা তাঁর সাথে দেখা হবার আশা রাখি ... ... ...
আমীন । ওয়া আখ্রি দাওয়ানা, আনিলহামদুলিল্লাহি রব্বিল 'আলামীন ।
==> Salman Saeed
তাঁর জীবনের দিকে তাকালে সবচাইতে বেশি যে বিষয়টা আমাকে আলোড়িত করে, তা এই না যে তিনি শৈশব থেকে আম্রত্যু কোন সুখ উপভোগ করেননি । বরং এই ভেবে আশ্চর্য হই যে, তাঁর জীবনের সবচাইতে সুখের মুহূর্তগুলোর পরেই তাঁকে স্পর্শ করেছে মর্মান্তিক কষ্ট ।
বদরের অভাবনীয় বিজয় যখন মুসলিম শিবিরে ছড়িয়ে দিল আনন্দের শিহরণ; সূরা আল আনফালের আয়াত নাযিল হবার পর, মনে হচ্ছিল, পৃথিবীর আর কোন দুঃখ কিংবা পঙ্কিলতা, তাওহীদের পতাকায় ঐক্যবদ্ধ মুসলিম বাহিনিকে কোনদিন স্পর্শ করতে পারবেনা । তিনি বাড়ি ফিরে দেখলেন, যে অসুস্থ মেয়ে রুকাইয়া আর নেই । বদরের আনন্দ তিনি উপভোগ করতে পারলেন না ।
উহুদে হামজাকে হারালেন । খন্দকের পর যয়নাব বিনতে জাহাশকে বিয়ে করবার জন্য প্রস্তুতি নিতে হল । হারালেন আনসারদের অবিসংবাদিত নেতা, কিংবদন্তি সা'দ বিন মু'আযকে ।
খাইবারের পর দারিদ্র্য ঘুচে গেল এতদিনের । আবিসিনিয়া থেকে প্রায় এক দশক পর ফিরে আসলেন চাচাতো ভাই জা'ফর বিন আবি তলিব । উনি বললেন, "আজ আমি বুঝতে পারছিনা যে কোনটিতে বেশি আনন্দিত হব ? খাইবারের বিজয়ে না জাফরকে ফিরে পেয়ে ।" আনন্দের অতিশায্যে চুমু খেলেন জা'ফরকে । কিন্তু জা'ফরও বেশিদিন বাঁচলেন না আর ।
সবশেষে নিজ মাত্রিভূমিতে ফিরে যাবার অধিকার ফিরে পেলেন । কিন্তু মক্কা বিজয়ের পর তাঁর নিজেরই বিদায় নেবার সময় এসে গেল । মৃত্যুসংবাদ পেলেন, "ফাসাব্বিহ বিহামদি রব্বিকা ওয়াসতাগফিরহু, ইন্নাহূ কানা তাওওয়াবা ।"
মদীনার একটা ঘটনা দিয়ে শেষ করি । সম্ভবত কোন এক দুপুরে শুয়ে ছিলেন তাঁর চিরপরিচিত চাটাইয়ের বিছানায় । তাঁর শরীরে, খেজুরের কিছু অসভ্য চাটাই, গভীর করে দাগ বসিয়ে দিচ্ছিল । এক সাহাবী তাঁর এই কষ্ট আবেগ সংবরণ করতে পারলেন না ।
নিশ্চয়ই রোম আর পারস্যের সম্রাটদের জন্য ছিল এই দুনিয়ার মসনদ । তাঁর জন্য তাঁর প্রতিপালক পুরোটাই তুলে রেখেছেন;
আমরা তাঁর সাথে দেখা হবার আশা রাখি ... ... ...
আমীন । ওয়া আখ্রি দাওয়ানা, আনিলহামদুলিল্লাহি রব্বিল 'আলামীন ।
==> Salman Saeed
No comments:
Post a Comment