দুইদিক থেকে দুইজন মেয়ে শক্ত করে হিসানকে ধরে রেখেছে। আর আম্মু চেষ্টা করছেন ওর শক্ত করে বন্ধ করে রাখা মুখটি খোলার জন্য। অনেক কসরতের পর হাল ছেড়ে দিয়ে হিসান যেই মাত্র মুখটি হা করেছে, অমনি সাদা এপ্রোন পরা এক মহিলা এসে সেই ভয়ঙ্কর তিতা ক্যাপসুলটি ওর মুখে ঢুকিয়ে দিল। একি যেই সেই তিতা, উফ! ও কোনরকমে সেই জিনিসটা গিলে দেয়াল কাঁপানো কান্না শুরু করল। আম্মু তাড়াতাড়ি তাকে নিয়ে বাসার পথ ধরলেন। হিসান জানে গালি দেয়া খুব খারাপ একটা কাজ, নয়তো এতক্ষণে সে সেখানকার সবার চৌদ্দ গোষ্ঠী উদ্ধার করে ছাড়তো। আর আম্মুর উপর যে রাগ হল তা বলার মত না। আম্মু আমাকে এক ফোঁটাও ভালোবাসেনা। তিনি সত্যিই আমাকে ভালবাসলে কি সেই ভয়ঙ্কর জায়গায় নিয়ে যেতে পারতেন! কেউ কাউকে ভালবাসলে কি তাকে ওই যমের তিতা ক্যাপসুল খাওয়াতে পারে! হিসান আম্মুর উপর রাগ করে সারাদিন গাল ফুলিয়ে হপ করে বসে থাকল।
আজ হিসান বড় হয়েছে। একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি দ্বীনের বুঝও এসেছে। তার সেই ক্যাপসুল খাওয়ার ইতিহাস মনে পড়লে আজো হাসি পায়। সে এখন বুঝে কোন মা-ই তার সন্তানের অমঙ্গলের জন্য কিছু করেনা। তাকে সেই সংক্ষিপ্ত সময়ে কষ্ট দেয়ার পেছনে এক দীর্ঘমেয়াদী বড় কল্যাণের উদ্দেশ্য ছিল। সে হসপিটাল থেকে ফিরছে, তার ব্লাড টেস্টে এক বড় অসুখ ধরা পড়েছে। কিন্তু এ নিয়ে তার কোন দুঃখ নেই, মহান রবের প্রতি কোন অভিযোগও নেই । অন্যান্য স্বল্পবুদ্ধির মানুষের মত সে বলবেনা, "তিনি রহমানুর রহীম হলে কেন আমাদের এই বিপদে ফেললেন? কেন আমাদের দুঃখ-কষ্টের ভেতর নিক্ষেপ করলেন?" কারণ সে জানে এইসব মানুষ ঠিক তেমন আচরণ করছে, যেমন সে করেছিল ক্যাপসুল খাওয়ার সময়। অথচ মহান রবের দয়া এত বিশাল যে মায়ের দয়ার সাথে তার তুলনা করাও বোকামীর পরিচয়। হয়তোবা এর মাধ্যমেই তাদের রব তাদের বৃহত্তর কোন কল্যাণের পথ দেখাবেন। মুসা (আঃ)র মা কি ভেবেছিলেন তার কয়েকদিন বয়সের শিশুকে নিজের কাছে রাখার পরিবর্তে উত্তাল নীল নদের পানিতে ফেলে দেয়ার পরিণাম কি চমৎকার হতে পারে। হতে পারে আপাতদৃষ্টিতে কোন জিনিস আমাদের অপছন্দনীয়, অথচ সেটাই আমাদের জন্য উত্তম। হিসান তার প্রিয় আয়াহটি তিলাওয়াত করতে করতে বাসার পথ ধরলো,
"ওয়ামাই ইয়াতাওয়াক্কাল আ'লাল্লহি ফাহুয়া হা'সবুহ" [৬৫:৩]
"যে ব্যক্তি আল্লাহর উপর ভরসা করে তার জন্য তিনিই যথেষ্ট'
Collected from brother
MuhammadSajid karim
আজ হিসান বড় হয়েছে। একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি দ্বীনের বুঝও এসেছে। তার সেই ক্যাপসুল খাওয়ার ইতিহাস মনে পড়লে আজো হাসি পায়। সে এখন বুঝে কোন মা-ই তার সন্তানের অমঙ্গলের জন্য কিছু করেনা। তাকে সেই সংক্ষিপ্ত সময়ে কষ্ট দেয়ার পেছনে এক দীর্ঘমেয়াদী বড় কল্যাণের উদ্দেশ্য ছিল। সে হসপিটাল থেকে ফিরছে, তার ব্লাড টেস্টে এক বড় অসুখ ধরা পড়েছে। কিন্তু এ নিয়ে তার কোন দুঃখ নেই, মহান রবের প্রতি কোন অভিযোগও নেই । অন্যান্য স্বল্পবুদ্ধির মানুষের মত সে বলবেনা, "তিনি রহমানুর রহীম হলে কেন আমাদের এই বিপদে ফেললেন? কেন আমাদের দুঃখ-কষ্টের ভেতর নিক্ষেপ করলেন?" কারণ সে জানে এইসব মানুষ ঠিক তেমন আচরণ করছে, যেমন সে করেছিল ক্যাপসুল খাওয়ার সময়। অথচ মহান রবের দয়া এত বিশাল যে মায়ের দয়ার সাথে তার তুলনা করাও বোকামীর পরিচয়। হয়তোবা এর মাধ্যমেই তাদের রব তাদের বৃহত্তর কোন কল্যাণের পথ দেখাবেন। মুসা (আঃ)র মা কি ভেবেছিলেন তার কয়েকদিন বয়সের শিশুকে নিজের কাছে রাখার পরিবর্তে উত্তাল নীল নদের পানিতে ফেলে দেয়ার পরিণাম কি চমৎকার হতে পারে। হতে পারে আপাতদৃষ্টিতে কোন জিনিস আমাদের অপছন্দনীয়, অথচ সেটাই আমাদের জন্য উত্তম। হিসান তার প্রিয় আয়াহটি তিলাওয়াত করতে করতে বাসার পথ ধরলো,
"ওয়ামাই ইয়াতাওয়াক্কাল আ'লাল্লহি ফাহুয়া হা'সবুহ" [৬৫:৩]
"যে ব্যক্তি আল্লাহর উপর ভরসা করে তার জন্য তিনিই যথেষ্ট'
Collected from brother
MuhammadSajid karim
No comments:
Post a Comment