অমুক ভাইয়ের সাথে সারাদিন স্কাইপি করমু.......
একটা সিম ফোনের নেট প্যাকের অ্যাড একটা সমাজের পুরা চিত্রটাই আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়। লাল ড্রেস পড়া গ্রাম্য স্কুল/ কলেজ ছাত্রীর কাছ থেকে কি আপনি এমন উত্তর আশা করবেন , যে তাকে ফ্রি নেট সার্ভিস দিলে বা বোনাস দিলেই সে সারাদিন স্কাইপি করবে কোন এক ছেলের সাথে?
এই যায়গাটায় ঠিক নিজের ছোট বোনকে কল্পনা করুন তো! মেনে নিতে পারবেন কি?
অথচ , বিজ্ঞাপনে এমন একটি ডায়ালগের মাধ্যমে কি একটা পজিটিভ আইডিয়া সৃষ্টি করা হল অমুক ভাইয়ের সাথে সারাদিন ভিডিও চ্যাট বা কথোপকথনকে!
বাবা মার সামনে উঠতি বয়সী মেয়েটা যখন এই বিজ্ঞাপন দেখে তখন আলাদা একটা অনুমতি, বা মানসিক ইতিবাচক অবস্থাই তৈরি হয় টিন এজদের জন্য, এটা অস্বীকারের কোন উপায় নেই।
যেন এটা কতো দারুণ একটা জিনিষ! অথচ , আপনার সন্তান, মেয়ে বা বোনের সারাদিন স্কাইপি চ্যাটকে আপনি কিন্তু অবক্ষয় হিসেবেই দেখবেন।
পারতপক্ষে কখনো করতেই দিবেন না, দেখলে ২ /৪ টা চড় থাপ্পড় ও দিতেই পারেন।
কিন্তু সিম কোম্পানিগুলো এটাকে অবক্ষয় ভাবছে না। কারন , কেউ সারাদিন স্কাইপি করলে তারাই লালে লাল হয়ে যাবে। প্রেম ভালোবাসার প্যাকজে না থাকলে ওদের পেট চলবে না। কারন , নেট কানেকশনের বড় ভোক্তা যুব সমাজ। আর যুব সমাজের কাছে প্রেম এক মরন ব্যাধি।
ইন্টারনেটের ব্যবহারটা আকাজে যতো কম করা যায় ততোই ভালো । দুঃখের ব্যাপার হল - শুধু সামাজিক যোগাযোগ , আড্ডাবাজিই আমরা শিখেছি ইন্টারনেটে। যেখানে অনেক গঠনমূলক কাজ ও এখানে করা যেতো। আর এখানে সার্চ দিলেই যা ইচ্ছা তাই পাওয়া যায়। কুড়িতেই পচন ধরানো খুব সহজ ইন্টারনেটের মাধ্যমে যে কোন সমাজে।
একজন কলেজ ছাত্রীর জীবন সম্পর্কে কীইবা ধারনা হয়?
কতোটুকুই বা ভালো মন্দ বুঝতে পারে নিজের। আমি তো দেখি ভার্সিটিতে পড়া উচ্চ শিক্ষিত মেয়েরাও অনেক সময় অনেক বাস্তবসম্মত সিদ্ধান্ত নিতে পারেনা, বারবার হোঁচট খায়। আর আবেগজনিত ব্যাপারে হোঁচট বা ধোঁকা খাওয়া যে কোন বয়সের জন্যই একটা স্বাভাবিক বাস্তবতা। আর ঐ কলেজ ছাত্রীরই বা কি লাভ হয়! সারাদিন স্কাইপি করে। ফ্রিতে একটা ছেলেকে বিনোদন দেওয়া ছাড়া! আর এরাই সামনের জীবনে কিছুই করতে পারেনা। দিন ফুরালে ঐ অমুক ভাই ও আর পাশে থাকেনা।
আমাদের দেশটাও পাশের দেশ ভারতের পদাঙ্ক অনুসরণ করছে দিন দিন । কয়দিন আগে একটা রিয়্যালিটি শোতে দেখেছিলাম মুম্বাইয়ের এক মেয়ের করুণ কাহিনী। সারাদিন স্কাইপিতে ভিডিও কল করতো, তাতেই সব উজার করে দিতো প্রেমিককে। কয়দিন পর তার সেই স্কাইপি ভিডিওগুলো নেটের যত্রতত্র পাওয়া যেতে শুরু করলো। এরপর প্রেমিকের প্রতারণার কথা বিশ্বকে জানাতে টিভি চ্যানেলের শরণাপন্ন হতে হল তাকে ।
আসলে মানুষ যা করে তারই ফলাফল পায় । আমরা চাইনা এইসব বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর ফ্রি আর বোনাসের চক্করে আমাদের ছোট ভাই বোনরা বলির পাঠা হোক।
সব ফ্রি জিনিষই কিন্তু ভালো না। কি ফ্রি দিয়ে আপনার থেকে ওরা কি নিয়ে যাচ্ছে তা আপনি টের ও পাবেন না। মাগ্না পেলে নাকি বাঙ্গালী আলকাতরা ও গায়ে মেখে নেয়, কিন্তু একবার ভাবুন! আলকাতরা মাখা আপনাকে আয়নায় কিম্ভুতই দেখাবে। এমন ফ্রি কিছু নাইবা নিলেন যাতে নিজের জীবন ক্যারিয়ার আর গড়ে ওঠার মূল্যবান সময়গুলো আরেকজনকে বিনোদিত করে স্কাইপিতেই শেষ হয়ে যায়
একটা সিম ফোনের নেট প্যাকের অ্যাড একটা সমাজের পুরা চিত্রটাই আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়। লাল ড্রেস পড়া গ্রাম্য স্কুল/ কলেজ ছাত্রীর কাছ থেকে কি আপনি এমন উত্তর আশা করবেন , যে তাকে ফ্রি নেট সার্ভিস দিলে বা বোনাস দিলেই সে সারাদিন স্কাইপি করবে কোন এক ছেলের সাথে?
এই যায়গাটায় ঠিক নিজের ছোট বোনকে কল্পনা করুন তো! মেনে নিতে পারবেন কি?
অথচ , বিজ্ঞাপনে এমন একটি ডায়ালগের মাধ্যমে কি একটা পজিটিভ আইডিয়া সৃষ্টি করা হল অমুক ভাইয়ের সাথে সারাদিন ভিডিও চ্যাট বা কথোপকথনকে!
বাবা মার সামনে উঠতি বয়সী মেয়েটা যখন এই বিজ্ঞাপন দেখে তখন আলাদা একটা অনুমতি, বা মানসিক ইতিবাচক অবস্থাই তৈরি হয় টিন এজদের জন্য, এটা অস্বীকারের কোন উপায় নেই।
যেন এটা কতো দারুণ একটা জিনিষ! অথচ , আপনার সন্তান, মেয়ে বা বোনের সারাদিন স্কাইপি চ্যাটকে আপনি কিন্তু অবক্ষয় হিসেবেই দেখবেন।
পারতপক্ষে কখনো করতেই দিবেন না, দেখলে ২ /৪ টা চড় থাপ্পড় ও দিতেই পারেন।
কিন্তু সিম কোম্পানিগুলো এটাকে অবক্ষয় ভাবছে না। কারন , কেউ সারাদিন স্কাইপি করলে তারাই লালে লাল হয়ে যাবে। প্রেম ভালোবাসার প্যাকজে না থাকলে ওদের পেট চলবে না। কারন , নেট কানেকশনের বড় ভোক্তা যুব সমাজ। আর যুব সমাজের কাছে প্রেম এক মরন ব্যাধি।
ইন্টারনেটের ব্যবহারটা আকাজে যতো কম করা যায় ততোই ভালো । দুঃখের ব্যাপার হল - শুধু সামাজিক যোগাযোগ , আড্ডাবাজিই আমরা শিখেছি ইন্টারনেটে। যেখানে অনেক গঠনমূলক কাজ ও এখানে করা যেতো। আর এখানে সার্চ দিলেই যা ইচ্ছা তাই পাওয়া যায়। কুড়িতেই পচন ধরানো খুব সহজ ইন্টারনেটের মাধ্যমে যে কোন সমাজে।
একজন কলেজ ছাত্রীর জীবন সম্পর্কে কীইবা ধারনা হয়?
কতোটুকুই বা ভালো মন্দ বুঝতে পারে নিজের। আমি তো দেখি ভার্সিটিতে পড়া উচ্চ শিক্ষিত মেয়েরাও অনেক সময় অনেক বাস্তবসম্মত সিদ্ধান্ত নিতে পারেনা, বারবার হোঁচট খায়। আর আবেগজনিত ব্যাপারে হোঁচট বা ধোঁকা খাওয়া যে কোন বয়সের জন্যই একটা স্বাভাবিক বাস্তবতা। আর ঐ কলেজ ছাত্রীরই বা কি লাভ হয়! সারাদিন স্কাইপি করে। ফ্রিতে একটা ছেলেকে বিনোদন দেওয়া ছাড়া! আর এরাই সামনের জীবনে কিছুই করতে পারেনা। দিন ফুরালে ঐ অমুক ভাই ও আর পাশে থাকেনা।
আমাদের দেশটাও পাশের দেশ ভারতের পদাঙ্ক অনুসরণ করছে দিন দিন । কয়দিন আগে একটা রিয়্যালিটি শোতে দেখেছিলাম মুম্বাইয়ের এক মেয়ের করুণ কাহিনী। সারাদিন স্কাইপিতে ভিডিও কল করতো, তাতেই সব উজার করে দিতো প্রেমিককে। কয়দিন পর তার সেই স্কাইপি ভিডিওগুলো নেটের যত্রতত্র পাওয়া যেতে শুরু করলো। এরপর প্রেমিকের প্রতারণার কথা বিশ্বকে জানাতে টিভি চ্যানেলের শরণাপন্ন হতে হল তাকে ।
আসলে মানুষ যা করে তারই ফলাফল পায় । আমরা চাইনা এইসব বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর ফ্রি আর বোনাসের চক্করে আমাদের ছোট ভাই বোনরা বলির পাঠা হোক।
সব ফ্রি জিনিষই কিন্তু ভালো না। কি ফ্রি দিয়ে আপনার থেকে ওরা কি নিয়ে যাচ্ছে তা আপনি টের ও পাবেন না। মাগ্না পেলে নাকি বাঙ্গালী আলকাতরা ও গায়ে মেখে নেয়, কিন্তু একবার ভাবুন! আলকাতরা মাখা আপনাকে আয়নায় কিম্ভুতই দেখাবে। এমন ফ্রি কিছু নাইবা নিলেন যাতে নিজের জীবন ক্যারিয়ার আর গড়ে ওঠার মূল্যবান সময়গুলো আরেকজনকে বিনোদিত করে স্কাইপিতেই শেষ হয়ে যায়
-- সাফওয়ানা জেরিন
No comments:
Post a Comment