রাসূলুল্লাহর (সা:) অপমান দেখলে সাহাবীদের কেমন লাগতো চিন্তা করুন। কিন্তু তাদের একটা সুবিধা ছিলো, তারা আল্লাহ্র রাসূলকে একদম সামনেই পেতেন। এই অপমানগুলো তিনি হাসিমুখে সহ্য করতেন বললে ভুল হবে, হাসিমুখে সহ্য করার মধ্যেও কোথাও একটা পাত্তা দেয়ার ভাব আছে। আল্লাহ্র রাসূলের মিশন এত বড় এবং তিনি মানুষটা এত বড় যে এসব ছিলো খুবই তুচ্ছ এবং অপাঙ্কতেয়। অপমানের মুখে নির্বিকার থাকার চেয়ে বড় পালটা অপমান আর কিছু নেই। একদল ইহুদি একবার আল্লাহ্র রাসূলকে (সা:) দেখে মুখ কচলিয়ে বললো আসসা-মু 'আলাইকুম। দেখাতে চাচ্ছে যে আসসালামু 'আলাইকুম বলেছে, কিন্তু মাঝখানে লা ফেলে দিয়েছে। সালাম অর্থ শান্তি, সা-ম অর্থ বিষ বা মৃত্যু। এই দেখে 'আইশা (রা:) তেলেবেগুনে জ্বলে উঠলেন। কিন্তু আল্লাহ্র রাসূল (সা:) নির্বিকার ভাবে বললেন: 'ওয়া'আলাইকুম। অর্থাৎ "তোমাদের ওপরও"। লক্ষ্য করুন তিনি আসসালাম বলেননি বা আসসা-ম ও বলেননি। ব্যাপারটা এরকম যে তোমরা আমাকে যা দিলে সেটা তোমাদের জন্যও। আল্লাহ্র নবী (সা:) বাম গালে চড় খেয়ে ডান গাল ফিরিয়েও দিলেন না আবার প্রবল আক্রোশে হামলেও পড়লেন না। তিনি দুটি এক্সট্রিমের মাঝখানে থাকলেন এবং বিজয়ী হয়ে বের হয়ে এলেন। ভাবুন যারা তাকে আসসা-ম বলেছিলো তাদের কেমন লেগেছিলো। যেচে ইট মেরে পাটকেল খেয়ে ফিরে আসতে হোলো। মুহুর্তের ক্ষোভে 'আইশা চেয়েছিলেন আরও কিছু কথা শুনিয়ে দিতে। কিন্তু নবীজী (সা:) তাকে নিরস্ত করলেন: "আমি তো বলেছিই 'ওয়া'আলাইকুম।"
সাহাবীরা একবার এসে বললেন যে "হে আল্লাহ্র রাসূল! আপনি কি পৌত্তলিকদের বিরুদ্ধে দু'আ করবেন না?" নবীজী (সা:) বললেন: "আমাকে মোটেই অভিশাপকারী হিসেবে পাঠানো হয়নি, বরং আমাকে তো পাঠানো হয়েছে রাহ্মাহ্ হিসেবে।" রাহ্মাহ্ - যাকে আমরা রহমত বলি - ক্ষমা, দয়া, করুণা। আজ যখন কোনও স্বল্পবুদ্ধির মানুষ আল্লাহ্র নবীকে অপমান করে, আপনি আমি নবীজীকে (সা:) কল্পনা করতে পারি। আপনি কোনও রাগী চেহারা খুঁজে পাবেন না, একটি সহাস্য, দয়ার্দ্র অথচ নির্বিকার মুখ খুঁজে পাবেন। তিনি তো নাফসি নাফসি-র নবী না যে নিজের চিন্তায় মগ্ন থাকবেন। তিনি হলেন সেই নবী যিনি মৃত্যুমুখেও বলে গেছেন উম্মাতী, উম্মাতী! আমার উম্মাহ্! আমার উম্মাহ্! আল্লাহ্র কাছে যিনি হাবীব তাকে কেউ ডাকাত বললেই কী? তিনি হলেন আল্লাহ্র হাবীব। এভাবেই উম্মাহ্ তাকে চেনে।
এই বিশ্বের সকল উজির নাজির রাজা বাদশাহ বিচার দিবসে তার শরণাপন্ন হবে যখন আর সকল নবী রাসূলরা য়া নাফসি য়া নাফসি বলবে। তার কথায় আল্লাহ 'আয্যা ওয়াজাল্ল্ শুরু করবেন বিচার দিবস। আল-কাউসার তারই, তার জন্যই মাকাম মাহমূদ - জান্নাতের সবচেয়ে প্রশংসিত স্থান। যতবার তার নামে অপমান হবে তারচেয়ে বেশি করে আমরা তার জন্য দুরূদ পড়বো। সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম।
সাহাবীরা একবার এসে বললেন যে "হে আল্লাহ্র রাসূল! আপনি কি পৌত্তলিকদের বিরুদ্ধে দু'আ করবেন না?" নবীজী (সা:) বললেন: "আমাকে মোটেই অভিশাপকারী হিসেবে পাঠানো হয়নি, বরং আমাকে তো পাঠানো হয়েছে রাহ্মাহ্ হিসেবে।" রাহ্মাহ্ - যাকে আমরা রহমত বলি - ক্ষমা, দয়া, করুণা। আজ যখন কোনও স্বল্পবুদ্ধির মানুষ আল্লাহ্র নবীকে অপমান করে, আপনি আমি নবীজীকে (সা:) কল্পনা করতে পারি। আপনি কোনও রাগী চেহারা খুঁজে পাবেন না, একটি সহাস্য, দয়ার্দ্র অথচ নির্বিকার মুখ খুঁজে পাবেন। তিনি তো নাফসি নাফসি-র নবী না যে নিজের চিন্তায় মগ্ন থাকবেন। তিনি হলেন সেই নবী যিনি মৃত্যুমুখেও বলে গেছেন উম্মাতী, উম্মাতী! আমার উম্মাহ্! আমার উম্মাহ্! আল্লাহ্র কাছে যিনি হাবীব তাকে কেউ ডাকাত বললেই কী? তিনি হলেন আল্লাহ্র হাবীব। এভাবেই উম্মাহ্ তাকে চেনে।
এই বিশ্বের সকল উজির নাজির রাজা বাদশাহ বিচার দিবসে তার শরণাপন্ন হবে যখন আর সকল নবী রাসূলরা য়া নাফসি য়া নাফসি বলবে। তার কথায় আল্লাহ 'আয্যা ওয়াজাল্ল্ শুরু করবেন বিচার দিবস। আল-কাউসার তারই, তার জন্যই মাকাম মাহমূদ - জান্নাতের সবচেয়ে প্রশংসিত স্থান। যতবার তার নামে অপমান হবে তারচেয়ে বেশি করে আমরা তার জন্য দুরূদ পড়বো। সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম।
-- আসিফ সিবগাত