বাংলাদেশে থাকতে মুখে সামান্য দাড়ি থাকলে লোকজন বলত আরে আরে দাঁড়ি কাট। নাইলে মানুষ জঙ্গি বলবে, জামায়াত বলবে, শিবির বলবে। কথাটা একেবারে ভিত্তিহীন না। কিছু বাস্তবতা আছে। ২০১০ সালে তিনজন পাকিস্থানি ছেলেকে জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতার করা হয়। এর মধ্যে আইইউটির একজন ছিল । পরের দিন প্রথম আলো পত্রিকার হেডলাইন- " আরও তিন লস্কর জঙ্গি গ্রেফতার"। এদের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ প্রমাণ হয় নি এবং সে পাকিস্থানি ছেলেকে কিছুদিন পরে ছেড়ে দেয়া হয়েছিল। বলাই বাহুল্য এটা প্রথম আলো ছাপে নাই। সম্ভবত উল্টা হতাশ হইছে। এর কিছুদিন পর এক মুরব্বি একদিন আমাকে ডেকে বললেন, "তোমার একজন কলিগকে নাকি গ্রেফতার করা হয়েছে। তুমিও ত এত ঘন ঘন মসজিদে যাও !" শুনে বেশ কষ্ট পেয়েছিলাম। উনাকে কিছু বলতে ইচ্ছা করে নাই। এক প্রকার ঘৃণা চলে আসছিল উণার প্রতি। এরপরেও আমি উনাকে সব সময় সম্মান করতাম এবং দেখা হলে ভাল আচরণ করতাম। এছাড়া আমি ইসলামি ভাবাপন্ন হয়ে যাচ্ছি, আমার ভবিষ্যৎ খারাপ, ইসলামিক ইয়ুনিভারসিটিতে পড়ি, এখানে থাকলে স্কলারশিপ পাওয়া যায় না এরকম কথা শুনতে শুনতে আমার কানের ছিদ্র বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। মজার ব্যপার হল যারা নিজে কলেজে পাশ করেন নাই তারাও অনেকে আমাকে এগিয়ে এসে এই সদুপদেশ দিতে চেষ্টা করতেন। শুনতাম আর ভাব করতাম- "এখানে ভর্তি হয়ে আসলেই ত বিরাট অন্যায় হয়েছে। এখন আমার কি হবে ! আমাকে বাঁচান প্লীজ। আমি বাঁচতে চাই "।
গত বছরে আমি আমস্টারডাম থেকে বার্সিলোনা যাব। এক মুরব্বি (অবশ্যই মুসলিম) বললেন আমি যেন শেভ না করে কোনভাবেই প্লেন এ না উঠি। আমাকে হেরাস করবে, আটকে রাখবে (যদিও এই ঘটনা যে ঘটে না তা না)। দেশ থেকে আসার সময় আমার ব্যাগে একটা কোরআন আর একটা দোয়ার বই ছিল। এটা কেউ একজন আবিষ্কার করলেন এবং আমার ব্যাগে আরও আনুসঙ্গিক জিনিস পাওয়ার সম্বাবনায় আতঁকে উঠলেন। আইইউটিতে ভর্তি যে একটা ভুল ছিল এটা আবারো জনসমক্ষে প্রমাণিত হল। পুনঃপুনঃ জিজ্ঞাসার সুম্মখীন হয়ে আমি অনেকবার সবাইকে আশ্বস্ত করলাম যে এই একটা কোরআন এবং এই একটাই ছাড়া ব্যাগে আর কিছু নাই। অবেশেষে ব্যাগ হতে কোরআন এবং সে বই নামিয়ে রেখে অবশ্যম্ভাবি জেলের সাজার সম্ভাবনা থেকে মুক্ত হয়ে তবেই বিদেশের পথে যাত্রা করলাম। এগুলো সব বাস্তব উদারহণ।
আমাকে দাঁড়ির সাইজ, নামাজ বা এ রিলেটেড জিনিস নিয়ে গত দুই বছরে কোন নন-মুসলিম প্রশ্ন করে নাই। এমনকি পরিক্ষার মাঝখানে ব্রেক নিয়ে নামাজ পড়েছিলাম একবার (যদিও সেটা আমার জন্য স্পেশাল একজাম ছিল)। আরকবার এক প্রফেসরকে বলেছিলাম- অমুক দিন ঈদ। আমি অমুক দিন পরিক্ষায় আসব না। সে প্রফেসর আমার পরিক্ষার তারিখ পরিবর্তন করলেন। ইসলাম পালনে যে প্রশ্ন অন্য ধর্মের লোকেরা করে না সেটা মুসলমানরা করে। হে গুরু, জামাত/শিবির/সিআইএ/আলকায়েদারা কোথায় থাকে?
বৎস এরা থাকে মুসলিম দেশগুলোতে মুসলিম সরকার এবং মুসলমানদের মনে।
গত বছরে আমি আমস্টারডাম থেকে বার্সিলোনা যাব। এক মুরব্বি (অবশ্যই মুসলিম) বললেন আমি যেন শেভ না করে কোনভাবেই প্লেন এ না উঠি। আমাকে হেরাস করবে, আটকে রাখবে (যদিও এই ঘটনা যে ঘটে না তা না)। দেশ থেকে আসার সময় আমার ব্যাগে একটা কোরআন আর একটা দোয়ার বই ছিল। এটা কেউ একজন আবিষ্কার করলেন এবং আমার ব্যাগে আরও আনুসঙ্গিক জিনিস পাওয়ার সম্বাবনায় আতঁকে উঠলেন। আইইউটিতে ভর্তি যে একটা ভুল ছিল এটা আবারো জনসমক্ষে প্রমাণিত হল। পুনঃপুনঃ জিজ্ঞাসার সুম্মখীন হয়ে আমি অনেকবার সবাইকে আশ্বস্ত করলাম যে এই একটা কোরআন এবং এই একটাই ছাড়া ব্যাগে আর কিছু নাই। অবেশেষে ব্যাগ হতে কোরআন এবং সে বই নামিয়ে রেখে অবশ্যম্ভাবি জেলের সাজার সম্ভাবনা থেকে মুক্ত হয়ে তবেই বিদেশের পথে যাত্রা করলাম। এগুলো সব বাস্তব উদারহণ।
আমাকে দাঁড়ির সাইজ, নামাজ বা এ রিলেটেড জিনিস নিয়ে গত দুই বছরে কোন নন-মুসলিম প্রশ্ন করে নাই। এমনকি পরিক্ষার মাঝখানে ব্রেক নিয়ে নামাজ পড়েছিলাম একবার (যদিও সেটা আমার জন্য স্পেশাল একজাম ছিল)। আরকবার এক প্রফেসরকে বলেছিলাম- অমুক দিন ঈদ। আমি অমুক দিন পরিক্ষায় আসব না। সে প্রফেসর আমার পরিক্ষার তারিখ পরিবর্তন করলেন। ইসলাম পালনে যে প্রশ্ন অন্য ধর্মের লোকেরা করে না সেটা মুসলমানরা করে। হে গুরু, জামাত/শিবির/সিআইএ/আলকায়েদারা কোথায় থাকে?
বৎস এরা থাকে মুসলিম দেশগুলোতে মুসলিম সরকার এবং মুসলমানদের মনে।
-- জাহিদ রাজন
No comments:
Post a Comment