হিন্দুদের দুর্গা পূজায় মুসলিমদের অংশগ্রহণ
যারা ইচ্ছাকৃত ভাবে বুঝেও না বুঝার ভান ধরে বিজাতীয় উৎসবে অংশগ্রহণ করার ব্যাপারে শরীয়তের নির্দেশকে অমান্য করে তাঁরা দ্বীনের প্রত্যেকটা মেজর হুকুম-আহকামের ক্ষেত্রেও এইভাবে ভাবে। যেমন- দাড়ির না রাখা, হিজাবের না পরা, টাখনুর উপর প্যান্ট পরা নিয়ে বলে-- এসবে আমরা খারাপ কিছু দেখিনা, সুদ-ঘুষের মত ব্যাপার গুলোকে এরা নিজেদের মত করে জায়েজ করে নেয়। একই মানুষ গুলোই থার্টি ফার্স্ট নাইট-জন্মদিন পালনসহ বিভিন্ন বিজাতীয় উৎসব পালন করে থাকে বা তাঁদের উৎসবে অংশগ্রহণ করে। এরা দ্বীনের হুকুম গুলোকে ইচ্ছাকৃত ভাবে এভাবে একগুঁয়েমি করে পাশ কেটে যায়।
#দুর্গা পূজা মুসলিমদের কোন ধর্মীয় উৎসব না হওয়া সত্ত্বেও অনেক মুসলিম সেখানে যাওয়ার প্রধান কয়েকটা কারণের উল্লেখযোগ্য কারণ হচ্ছে:
- সেখানে গান-বাজনা-নাচের আয়োজন করা হয়।
- বেপর্দা নারী ও লুল পরুষদের মাঝে অবাধ মেলামেশা উপভোগ করা যায় ।
প্রশ্ন আসতে পারে, হিন্দুরা তাদের দুর্গা উৎসবে শিরক করে কিন্তু আমরা করিনা। আমরা তো শুধু সেখানে যাই কিন্তু তাঁদের মূর্তিকে পূজা করিনা; কারণ, আমরা আল্লাহকে বিশ্বাস করি। অথচ, দুর্গা পূজায় গান-বাজনা-নাচ-মূর্তি পূজা হয়, শিরকপূর্ণ কথা পাঠ করা হয়--এটা জানার পরেও অনেক মুসলিম সেই শিরক পূর্ণ উৎসবে "মজা" নেওয়ার জন্য যায়।
এরা তাঁরাই, যাদের ব্যাপারে আল্লাহ পবিত্র কুরানে বলেছেন,
"অনেক মানুষ আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে, কিন্তু সাথে সাথে শিরকও করে।" [সূরা ইউসুফ-১০৬]
একইভাবে রাসূল(সাঃ) এই জাতীয় মুসলিমদের সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন,
"যে অন্য জাতির সাথে আচার-আচরণে, কৃষ্টি-কালচারে সামঞ্জস্য গ্রহণ করবে সে তাদের দলভূক্ত বিবেচিত হবে।"[সুনানে আবু দাউদ]
একটু ভাবলেই বুঝা যায়, দুর্গা পূজা বা বিজাতীয় যেকোন উৎসবে যাওয়া একজন মুসলিমের জন্য কতোটা ভয়াবহ ব্যাপার! দুর্গা পূজায় যাওয়া শিরক করার মত অপরাধ যা অনেকেরই নিজের অজান্তে ঘটে যাচ্ছে। আমাদের মনে রাখা উচিত, আল্লাহ বান্দার সবকিছু তাঁর (সুবহানাহু ওয়া তা'আলা) ইচ্ছা মাফিক ক্ষমা করবেন (গুনাহ'র পরিমাণ পাহাড়সম হলেও), কিন্তু বান্দার শিরক গুনাহ কখনো ক্ষমা করবেন না। শিরক গুনাহ কারী বিনা হিসাবেই জাহান্নামের যাবে এবং সে অনন্ত কাল সেখানে তাঁদের মত থাকবে। আল্লাহ আমাদের বুঝার তৌফিক দান করুন এবং শিরক থেকে হেফাজত করুন। আমীন।
--brother Mir Sajjad
যারা ইচ্ছাকৃত ভাবে বুঝেও না বুঝার ভান ধরে বিজাতীয় উৎসবে অংশগ্রহণ করার ব্যাপারে শরীয়তের নির্দেশকে অমান্য করে তাঁরা দ্বীনের প্রত্যেকটা মেজর হুকুম-আহকামের ক্ষেত্রেও এইভাবে ভাবে। যেমন- দাড়ির না রাখা, হিজাবের না পরা, টাখনুর উপর প্যান্ট পরা নিয়ে বলে-- এসবে আমরা খারাপ কিছু দেখিনা, সুদ-ঘুষের মত ব্যাপার গুলোকে এরা নিজেদের মত করে জায়েজ করে নেয়। একই মানুষ গুলোই থার্টি ফার্স্ট নাইট-জন্মদিন পালনসহ বিভিন্ন বিজাতীয় উৎসব পালন করে থাকে বা তাঁদের উৎসবে অংশগ্রহণ করে। এরা দ্বীনের হুকুম গুলোকে ইচ্ছাকৃত ভাবে এভাবে একগুঁয়েমি করে পাশ কেটে যায়।
#দুর্গা পূজা মুসলিমদের কোন ধর্মীয় উৎসব না হওয়া সত্ত্বেও অনেক মুসলিম সেখানে যাওয়ার প্রধান কয়েকটা কারণের উল্লেখযোগ্য কারণ হচ্ছে:
- সেখানে গান-বাজনা-নাচের আয়োজন করা হয়।
- বেপর্দা নারী ও লুল পরুষদের মাঝে অবাধ মেলামেশা উপভোগ করা যায় ।
প্রশ্ন আসতে পারে, হিন্দুরা তাদের দুর্গা উৎসবে শিরক করে কিন্তু আমরা করিনা। আমরা তো শুধু সেখানে যাই কিন্তু তাঁদের মূর্তিকে পূজা করিনা; কারণ, আমরা আল্লাহকে বিশ্বাস করি। অথচ, দুর্গা পূজায় গান-বাজনা-নাচ-মূর্তি পূজা হয়, শিরকপূর্ণ কথা পাঠ করা হয়--এটা জানার পরেও অনেক মুসলিম সেই শিরক পূর্ণ উৎসবে "মজা" নেওয়ার জন্য যায়।
এরা তাঁরাই, যাদের ব্যাপারে আল্লাহ পবিত্র কুরানে বলেছেন,
"অনেক মানুষ আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে, কিন্তু সাথে সাথে শিরকও করে।" [সূরা ইউসুফ-১০৬]
একইভাবে রাসূল(সাঃ) এই জাতীয় মুসলিমদের সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন,
"যে অন্য জাতির সাথে আচার-আচরণে, কৃষ্টি-কালচারে সামঞ্জস্য গ্রহণ করবে সে তাদের দলভূক্ত বিবেচিত হবে।"[সুনানে আবু দাউদ]
একটু ভাবলেই বুঝা যায়, দুর্গা পূজা বা বিজাতীয় যেকোন উৎসবে যাওয়া একজন মুসলিমের জন্য কতোটা ভয়াবহ ব্যাপার! দুর্গা পূজায় যাওয়া শিরক করার মত অপরাধ যা অনেকেরই নিজের অজান্তে ঘটে যাচ্ছে। আমাদের মনে রাখা উচিত, আল্লাহ বান্দার সবকিছু তাঁর (সুবহানাহু ওয়া তা'আলা) ইচ্ছা মাফিক ক্ষমা করবেন (গুনাহ'র পরিমাণ পাহাড়সম হলেও), কিন্তু বান্দার শিরক গুনাহ কখনো ক্ষমা করবেন না। শিরক গুনাহ কারী বিনা হিসাবেই জাহান্নামের যাবে এবং সে অনন্ত কাল সেখানে তাঁদের মত থাকবে। আল্লাহ আমাদের বুঝার তৌফিক দান করুন এবং শিরক থেকে হেফাজত করুন। আমীন।
--brother Mir Sajjad
No comments:
Post a Comment