প্রায় সাত বছর আগের কথা। এক বাচ্চাকে পড়াতাম। বাচ্চার মা মানুষ হিসেবে সহজসরল ভালোই ছিলেন কিন্তু লাইফস্টাইল ছিল অতিমাত্রায় টিভিসিরিয়ালকেন্দ্রিক। স্টার প্লাসের প্রতিটি সিরিয়াল দেখতেন। সেটা নিয়ে আবার অন্যদের সাথে আলোচনা করতেন এবং পরবর্তী পর্বে কি ঘটতে পারে তা অনুমান করার চেষ্টা করতেন। একেবারে বাজে মানের কাপড়ও খুব আগ্রহ নিয়ে পরতেন যদি সেটা কোন সিরিয়ালের নায়িকার পরনে দেখতেন। সংসারের সব কাজই করতেন। কিন্তু মনে হত তিনি ওই সংসারের না, স্টার প্লাসের পরিবারের সদস্য।
একদিন আমাকে তার এ্যাক্সিডেন্ট এর কাহিনী শোনাচ্ছিলেন। তার রিকশার চাকা খুলে গিয়েছিল রাস্তায়। তিনি তারপরও রিকশায় বসা। সবার চিৎকারে পরে নেমে আসেন। তার ভাষ্যমতে, "আমি ভেবেছিলাম, নাটকে যেমন এ্যাক্সিডেন্ট হলে স্লো মোশনে নায়িকাটা পড়ে যায়, আমিও সেভাবে রিকশা থেকে পড়ে যাব!!!"
এইরকম বায়াসড মহিলা অনেক আছে। বাচ্চাদের স্কুলে যেসব মহিলা বসে আড্ডা দেন, অনেকেই এধরণের। কোন ভাবি আজ কোন সিরিয়ালের নায়িকার ড্রেসটা ম্যানেজ করল, কোন পার্লারে ফেসিয়াল করল, কে কোন রেসিপি শিখল- অতিমাত্রায় মেয়েলী আলাপ যাকে বলে। আর এই সার্কেলের খাতির থাকে উপরে উপরে। ভিতরে চলে জোর প্রতিযোগিতা। কে বেশি সুন্দর, কার বরের পয়সা বেশি, কার বাচ্চার রেজাল্ট ভাল, সব নিয়ে প্রতিযোগিতা আর হিংসা। চাহিদাও থাকে আকাশছোঁয়া। ভুক্তভোগী হয় বেচারা স্বামী আর সন্তান। স্বামীর প্রতি একের পর এক আবদার- অমুক ড্রেস নতুন এসেছে, আমাকে নিতেই হবে, তমুক ভাবীর হাজব্যান্ড কত্ত ভাল, তোমার মত কিপটা না! বাচ্চা একটু এদিক ওদিক করলে, নাজিফা তো এত পেয়েছে, তুমি এত খারাপ করলে কেন! ও তো অনেক খায়, তুমি খাওনা কেন!
Race, Race, Race . . . .
সারাক্ষন প্রতিযোগিতা, কি পেলাম না তার হিসাব কষে কষ্ট পাওয়া, অস্থির জীবনযাপন, হতাশা অথচ ওপর দিয়ে বেশ ফিটফাট।
এই লাইফস্টাইল খুব মারাত্মক। সংসারে কোন বন্ধন থাকেনা। থাকার জন্য থাকা। একই ছাদের নিচে দেহের ব্যবধান হয়ত দুই হাত, মনের ব্যবধান থাকে যোজন যোজন।
collected from sister
ফারিজা বিনতে বুলবুল
একদিন আমাকে তার এ্যাক্সিডেন্ট এর কাহিনী শোনাচ্ছিলেন। তার রিকশার চাকা খুলে গিয়েছিল রাস্তায়। তিনি তারপরও রিকশায় বসা। সবার চিৎকারে পরে নেমে আসেন। তার ভাষ্যমতে, "আমি ভেবেছিলাম, নাটকে যেমন এ্যাক্সিডেন্ট হলে স্লো মোশনে নায়িকাটা পড়ে যায়, আমিও সেভাবে রিকশা থেকে পড়ে যাব!!!"
এইরকম বায়াসড মহিলা অনেক আছে। বাচ্চাদের স্কুলে যেসব মহিলা বসে আড্ডা দেন, অনেকেই এধরণের। কোন ভাবি আজ কোন সিরিয়ালের নায়িকার ড্রেসটা ম্যানেজ করল, কোন পার্লারে ফেসিয়াল করল, কে কোন রেসিপি শিখল- অতিমাত্রায় মেয়েলী আলাপ যাকে বলে। আর এই সার্কেলের খাতির থাকে উপরে উপরে। ভিতরে চলে জোর প্রতিযোগিতা। কে বেশি সুন্দর, কার বরের পয়সা বেশি, কার বাচ্চার রেজাল্ট ভাল, সব নিয়ে প্রতিযোগিতা আর হিংসা। চাহিদাও থাকে আকাশছোঁয়া। ভুক্তভোগী হয় বেচারা স্বামী আর সন্তান। স্বামীর প্রতি একের পর এক আবদার- অমুক ড্রেস নতুন এসেছে, আমাকে নিতেই হবে, তমুক ভাবীর হাজব্যান্ড কত্ত ভাল, তোমার মত কিপটা না! বাচ্চা একটু এদিক ওদিক করলে, নাজিফা তো এত পেয়েছে, তুমি এত খারাপ করলে কেন! ও তো অনেক খায়, তুমি খাওনা কেন!
Race, Race, Race . . . .
সারাক্ষন প্রতিযোগিতা, কি পেলাম না তার হিসাব কষে কষ্ট পাওয়া, অস্থির জীবনযাপন, হতাশা অথচ ওপর দিয়ে বেশ ফিটফাট।
এই লাইফস্টাইল খুব মারাত্মক। সংসারে কোন বন্ধন থাকেনা। থাকার জন্য থাকা। একই ছাদের নিচে দেহের ব্যবধান হয়ত দুই হাত, মনের ব্যবধান থাকে যোজন যোজন।
collected from sister
ফারিজা বিনতে বুলবুল
No comments:
Post a Comment