সম্পর্কগুলোর মাঝে ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য কিছু ‘টেকনিক্যাল’ বুদ্ধি বড্ড প্রয়োজন

​​

আমাদের বিয়ের আগে আমার better half এর সাথে আমার শত শত ইমেইল আদান প্রদান হয়েছিল (আমাদের ঘটককে CC তে রেখে) 'compatibility check' করার জন্য। সেখান থেকে ঊনার সম্পর্কে আমার যেসব ধারণা হয়েছিল, বিয়ের পর দেখেছি তার অধিকাংশই ভুল। শুধু একটা ব্যাপারে আমার prediction সঠিক হয়েছিল......

কথা প্রসঙ্গে ঊনি বলেছিলেন যে ঊনার পরিবার ঊনার জন্য একটা বড় প্রায়োরিটি...মালয়শিয়া থেকেও ঊনি ঊনার ছোট বোনের সাথে ঘণ্টা ধরে ফোনে কথা বলেন ওর সব খোঁজ খবর নেয়ার জন্য। তাই তাঁর সম্ভাব্য স্ত্রী তাঁর ফ্যামিলিকে কিভাবে দেখবে এটা তাঁর জন্য খুব বড় একটা কন্সার্ণ। এই কথাটা শুনে আমার মনে হয়েছিল, যে ছেলে তাঁর মা, বোন এদের প্রতি এত কেয়ারিং, সে হয়তো খুব কেয়ারিং হাসব্যাণ্ড হবে......I really needed someone who will be a shelter for me. আমার সেই ধারণাটা ভুল প্রমাণিত হয় নি...

আমরা মেয়েরা অনেকসময়ই চাই যে আমাদের স্বামীরা যেন শুধু 'আমারই' হয়......কিন্তু একটা কথা আমার ইদানিং খুব মনে হয় –যে ছেলে তার জন্মদাত্রী মায়ের প্রতি উদাসীন, তাকে শ্রদ্ধা করে না, সে কিভাবে তার বউ এর ব্যাপারে সত্যিকার অর্থে মনোযোগী হবে?

কিংবা যে মেয়েটা একবার তার পরিবার, সংসার ছেড়ে আসতে পারে, কিভাবে আশা করা যায় যে সে পরের জনের প্রতি Loyal হবে?

ব্যাপারটা যেন সেই মীরজাফরের কাহিনীর মত...ইংরেজরা মীরজাফরকে বিশ্বাস করে নি, কারণ ওরা বুঝেছিল যে একবার বিশ্বাস ঘাতকতা করতে পারে, সে বারবার করতে পারে। বিশ্বাসঘাতকতা, অকৃতজ্ঞতাই তার স্বভাব......

আমি হয়তো 'অতি সরলীকরণ' করে ফেলছি অনেক কিছু...কিন্তু আমি মন থেকে বিশ্বাস করি যে 'মেয়েদের সম্মান' করতে জানা একটা চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য, যা পরিবার থেকে শেখানো উচিৎ। যদি কেউ সেটা অর্জন করতে পারে, তবে সে সবাইকে সম্মান করতে পারবে, হোক সেটা মা, বউ কিংবা বোন...

তবে হ্যাঁ, সম্পর্কগুলোর মাঝে ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য কিছু 'টেকনিক্যাল' বুদ্ধি বড্ড প্রয়োজন।এই বুদ্ধিটার সাথে পড়াশোনার ঘিলুর কোনো সম্পর্ক নেই। অনেক ব্রিলিয়ান্ট (দুনিয়ার চোখে) ছেলেকে দেখেছি এই 'টেকনিক্যাল' বুদ্ধির ভাণ্ডার একদম শূন্য......এগুলোর উপর আমাদের স্কলারদের ক্লাস নেয়া উচিত...তাদের 'টেকনিক' শিখানো উচিৎ।

সমাধান কখনো একটা সম্পর্কের উর্ধ্বে আরেকটাকে স্থান দেয়া না। যে ছেলে তাঁর মাকে সম্মান করতে জানে না, সে বউয়ের প্রতি Loyal হবে এটা আশা করা অনুচিত।তাই কেউ মার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে আমার কাছে এলে সেটা আমি ইতিবাচকভাবে নিবো না, বরং অ্যালার্মড হয়ে যাবো!

-- Hamida Mubasshera

জানু জানো, আমার মা সবসময় আমার সাথে খিটমিট করে

​​বিয়ে জন্য পাত্র/পাত্রী নির্বাচনের সময় মনে রাখবেন এই মেয়ে/ছেলে একদিন আপনার সন্তানের মা/বাবা হবে। মাদার/ফাদার ম্যাটেরিয়াল সেই মেয়ে/ছেলে ভেতর আছে কিনা সেটা দেখা খুবই দরকারি।

যে ছেলে প্রেম করার সময় বলে, "জানু জানো, আমার মা সবসময় আমার সাথে খিটমিট করে, কাউ কাউ করে আমার নাকে আগায় দম নিয়ে আসে"। নিশ্চিত জানুন, এই ছেলে বিয়ের পর তার মা/বোন/চৌদ্দ গুষ্টির কাছে আপনার বদনাম করবে। বাবা-মা তাদের কত স্বপ্ন নিয়ে, বিশ্বাস ও আস্থার সাথে মেয়ে/ছেলেকে পড়তে পাঠায়। যে সব ছেলে/মেয়ে সেই বিশ্বাস নষ্ট করে তারা একসময় পরস্পরের প্রতি বিশ্বাস ও অঙ্গীকার ভঙ্গ করবে, করতে বাধ্য। তাই বিয়ে করার সময় দেখুন মেয়ে/ছেলে তাদের বাবা-মায়ের সাথে কেমন আচরণ করে। কারণ, তার চরিত্রের প্রভাব আপনার সন্তানের উপর পড়বে।

-- Sefat Mahjabeen

একটি অতিদরিদ্র মেয়েকে যদি এ প্রস্তাব দেয়া হয়

বর্তমান যুগের কোন একটি অতিদরিদ্র মেয়েকে যদি এ প্রস্তাব দেয়া হয় যে, তাকে একটি সচ্ছল ও ধনাঢ্য জীবন দেয়া হবে, তবে শর্ত হল আখিরাতের জীবনে সে আর কিছুই পাবে না; কী মনে হয়- মেয়েটি তখন কোনটাকে বেছে নিবে? ধনাঢ্য জীবন নাকি আখিরাত?

---

একুশতম পারার শেষ তিন আয়াতে, রাসূল (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর স্ত্রীদেরকে ঠিক এই অফারটিই দেওয়া হয়েছিল। দুনিয়া ও আখেরাতের যে কোন একটিকে বেছে নেয়ার অফার। একদিকে পুরো জীবন রানীর হালে কাটানো, অন্য দিকে দরিদ্রতার মাঝে জীবন কাটিয়ে দিয়ে আখেরাতে প্রতিফল পাবার ওয়াদা।

"হে নবী, আপনার পত্নীগণকে বলুন, তোমরা যদি পার্থিব জীবন ও তার বিলাসিতা কামনা কর, তবে আস, আমি তোমাদের তা ভোগের ব্যবস্থা করে দেই এবং উত্তম পন্থায় তোমাদের বিদায় দেই।
আর যদি তোমরা আল্লাহ, তাঁর রাসূল ও পরকাল কামনা কর, তবে তোমাদের সৎকর্মপরায়ণদের জন্য আল্লাহ মহা পুরস্কার প্রস্তুত করে রেখেছেন।" – সুরা আহযাব, আয়াত ২৮-২৯

আল্লাহ তা'আলার পক্ষ থেকে এ অফার পাওয়ার পর রাসূলের স্ত্রীগণ কি উত্তর দিয়েছিলেন? হাদিসে এর বিস্তারিত বিবরণ এসেছে। সাহিহ বুখারির বর্ণনা অনুযায়ী, এই আয়াত নাযিল হওয়ার পর রাসুল সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্ত্রীদের মধ্যে থেকে সর্বপ্রথম আয়েশা (রা) এর কাছে গেলেন। তাঁকে বললেন, 'তোমাকে একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তুমি তাড়াহুড়ো করো না। তোমার বাবা মার সাথে পরামর্শ করে ধীরে-সুস্থে সিদ্ধান্ত নাও।' এরপর তিনি আয়াত দুটি পড়ে শোনালেন।

আয়াত শেষ হতে বাকি, কিন্তু আয়েশা (রা) এর উত্তর দিতে দেরি হয়নি। তিনি বলে উঠলেন, 'এ ব্যাপারে আমাকে বাবা মার সাথে পরামর্শ করতে হবে? এর কোন প্রয়োজন নেই। আমি তো আল্লাহ ও আল্লাহর রাসূলকেই বেছে নিব।'

এরপর রাসূল (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বাকি স্ত্রীদের কাছেও একই প্রস্তাব রাখলেন। সবাই আয়েশা (রা) এর মতই জবাব দিলেন। দুনিয়া ছেড়ে আখেরাতকে বেছে নিতে তাঁদের বিন্দুমাত্র সময় লাগে নি, ভুগতে হয়নি সামান্য দ্বিধা দ্বন্দ্বে।

----

রক্তে মাংসে গড়া মানুষ ছিলেন তারা। আমরাও সে রক্ত মাংসেরই মানুষ। অথচ তাঁদের সাথে আমাদের কত পার্থক্য!

আমাদেরকে তাঁদের মত এত কঠিন পরীক্ষা দিতে হয় না। দুনিয়া-আখিরাতের যে কোন একটিকে বাছাই করতেও বলা হয় না। বরং দুনিয়া ভোগ করেও আখিরাত অর্জনের সুযোগ রয়েছে আমাদের। টাকা কামাতে, বাড়ি করতে, জমি কিনতে আমাদেরকে নিষেধ করা হয়নি। আমাদেরকে শুধু এতটুকু বলা হয়েছে, দুনিয়ার পেছনে পড়ে আমরা যেন আখেরাতকে ভুলে না যাই। আমরা যেন সতর্ক থাকি, আমাদের একদিন আল্লাহর সামনে দাঁড়াতে হবে।

কিন্তু তারপরও আমরা পারি না। দুনিয়ার মোহ আমাদেরকে বেখবর করে দেয়। আমরা হেরে যাই পরীক্ষায়। আর হেরে গিয়েও আমাদের কোন আফসোস হয়না, হয় না কোন দুঃখ......

Collected From
Brother
Rizwanul Kabir Sanin

তখন আমার সদ্য বিয়ে হয়েছে

তখন আমার সদ্য বিয়ে হয়েছে......গিয়েছি এক পরিচিতের বাসায়, কথায় কথায় ঊনি ঊনার স্বামীর নামে অভিযোগ করছিলেন যে তাকে একটুও টাইম দেয় না......ঊনার কলিগের সাথে তুলনা করে কেঁদেও ফেলেছিলেন কারণ ঊনার কলিগের স্বামী নাকি রান্না করার সময় পিছন থেকে খুঁনসুটি করতে থাকে, নিত্য নতুন ব্যাগ, শাড়ি এগুলো কিনে দেয়......

আমার বিয়ের আগে আমি দাম্পত্য জীবন, সম্পর্ক এগুলোর উপর অনেকগুলো বই পড়েছিলাম, সবগুলোই কোনো না কোনো ইসলামিক স্কলারের লেখা বই। সেসময় অর্জিত জ্ঞান পরে আমাকে দারুণ সাহায্য করেছিলো কারণ আমার সংসার জীবন শুরু হয়েছিল একদম অচেনা, অজানা একটা মানুষের সাথে, তাও আবার বিদেশে......

বিয়ের আগে অর্জিত জ্ঞানের আলোকে আমার ঐ কথাটি শুনে মনে হয়েছিল আসলেই যে ঊনার কলিগের স্বামী এগুলো করে নাকি কাল্পনিক এসব কথা শুনিয়ে অন্যের মাঝে হিংসার উদ্রেক করে ঊনি সুখ খুঁজে পেতে চায় তার কী গ্যারান্টি আছে!

কথাগুলো বললাম কারণ ইদানিং অনেক মানুষের জীবনের এমন অনেক দিক জানতে পারছি যা কী না তারা ফেসবুকে তাদের জীবনকে যেভাবে উপস্থাপন করে তার পুরাই বিপরীত। স্বামীর সাথে মডেলিং স্টাইলে ছবি দেয়া, সুখী সুখী স্ট্যাটাস দেয়া মানুষটি হয়তো আদতে তার স্বামীর হাতে মার খায়, কিংবা পরকীয়ায় লিপ্ত স্বামীকে ঘরমুখো করার আপ্রাণ চেষ্টায় লিপ্ত! আমাদের ভার্চুয়াল আইডেন্টিটিটা কত আয়রনিক, তাই না!

এই যে নিজেকে সুখী হিসেবে তুলে ধরে ভালো থাকার এক আপ্রাণ, তথাপি ব্যর্থ চেষ্টা করে চলেছেন অনেকে নিরন্তর, সেই চেষ্টাটাই হয়ত আবার অসুখী অন্য কারো মাঝে ঈর্ষার উদ্রেক করে, তার জীবনের অপ্রাপ্তিগুলোর হাহাকার আরো বাড়িয়ে দেয়, আমার সেই পরিচিতের মত !

আমরা কবে বুঝবো যে শান্তি কোথায়? মরীচিকার পেছনে ছুটে চলা আর কত দিন?

আল্লাহ্‌ আমাদের একটা শান্তিময় ঘর দিন, যেখানে হয়তো প্রাচুর্য নেই, তবু দিনের শেষে হা ক্লান্ত হয়ে সেখানেই ফিরে আসতে মন চায়।আমার জন্য হাসিমুখে, সাগ্রহে কেউ অপেক্ষা করে আছে যে!

এমন ঘরের জন্য নিচের দুআটা বারবার পড়া যেতে পারে......

হে আমাদের পালনকর্তা, আমাদের স্ত্রীদের পক্ষ থেকে এবং আমাদের সন্তানের পক্ষ থেকে আমাদের জন্যে চোখের শীতলতা দান কর এবং আমাদেরকে মুত্তাকীদের জন্যে আদর্শস্বরূপ কর। (২৫:৭৪)

-- sister Hamida Mubasshera

কালো মেয়েটির বিয়ে ভেঙে

'কমলালেবুর কোয়া' বিশেষণটা বাংলাদেশি ভালোবাসার উপন্যাসে মেয়েদের ঠোঁটের উপমা হিসেবে পাওয়া যায়। নারীদেহকে পণ্য বানাতে বানাতে একেবারে পচনশীল পণ্য বানিয়ে ফেলা হয়েছে। আরো মোটা দাগে দেখলে খাদ্যবস্তু বানিয়ে ফেলা হয়েছে। এটা নিয়ে নারীবাদীদের তেমন কোন আপত্তি নেই--এতো নিছক সাহিত্য। আমরা মেনে নিলাম।

যখন ঢাকার রাস্তায় লিপস্টিকের বিজ্ঞাপনে বিশাল অধরাষ্ঠ পুরুষ প্রজাতিকে খাদ্যটির স্বরূপ দেখায় তখনও আমরা কোন নারীনেত্রীকে প্রতিবাদ করতে দেখি না। বিশ্বায়নের যুগের বিপণন এমনটি হতেই পারে।

আমাদের কেবলই কষ্ট লাগতে থাকে যখন কালো মেয়েটির বিয়ে ভেঙে যায় কারণ কালো রঙের কমলা হয় না। এক কোষ কমলার স্বপ্ন যখন লাখো যুবক দেখবে তখন সমাজের সম্পর্কগুলোতে চিড় ধরবেই।

Courtesy : Sharif Abu Hayat Opu

মানুষের পার্থিব জীবন একটা ট্রেনের কম্পার্টমেন্টের মতো

মানুষের পার্থিব জীবন একটা ট্রেনের কম্পার্টমেন্টের মতো। দু'জন মানুষের সাথে চেনা-পরিচয় হয়, বন্ধুত্ব হয়, খাবার আদান-প্রদান হয়। আবার যে যার গন্তব্যে পৌছালে ট্রেন থেকে নেমে যায়। নতুন পরিচয় হওয়া মানুষদুটো হাত নেড়ে একে অপরকে বলে -- আবার দেখা হবে।

পৃথিবী এই যাত্রাটার মতোই। ক্ষণিক সময়ের জন্য শত মানুষের সাথে আমাদের বন্ধুত্ব, আত্মীয়তা। মৃত্যু এসে যাওয়া মানে আমাদের গন্তব্যে পৌছে যাওয়া। যে মানুষটি চলে যাচ্ছে তার প্রস্থান, অনুপস্থিতি আমাদের জন্য কষ্টকর কিন্তু সেই মানুষটির জন্য?

একজন মুমিন তো বাঁচে তার রবের সাথে দেখা করার জন্য। মৃত্যুর দিনটা একজন মুমিনের জীবনের সবচেয়ে সুখের দিন, সবচেয়ে আনন্দের দিন। দুনিয়ার পরীক্ষা শেষ হওয়ার দিন। সে পরীক্ষার ফল লাভের দিন।

আমাদের জীবনের শেষ দিনটা যেন জীবনের সবচেয়ে সুখের দিন হয় আল্লাহ আমাদের তেমন কাজ করার তাওফিক দান করুন

-- শরীফ আবু হায়াত অপু

তোমরা যারা হিন্দী সিরিয়ালের ব্যাপারে নাক সিটকাও

তোমরা যারা হিন্দী সিরিয়ালের ব্যাপারে নাক সিটকাও-
সেখানেও কিন্তু মুসলিম বিবাহিতা নারীদের জন্য শিক্ষনীয় বিষয় আছে। জ্বী আছে। (যারা নিয়মিত দেখে তারাও কিন্তু বিষয়টি শিখতে পারেনি)।

হিন্দী সিরিয়ালের মহিলারা সবসময় সেজে গুজে থাকে, তাও ঘরেই। বোকা মেয়েরা এটা করবে বাইরে পরপুরুষের সামনে। আর আমরা (স্মার্ট মুসলিমাহ- রা) এমন সেজে গুজে থাকার চেষ্টা করব ঘরে। Sounds silly? No Mam.

আমাদের স্বামীদের চারপাশে রাস্তা ঘাটে, ব্যানারে, মার্কেটে, দাওয়াতে, টিভিতে যেদিকেই চোখ পরে, তারা দেখেন সেজেগুজে টিপটপ হয়ে ঘুরে বেড়ানো নারীদের। আর ঘরে যখন ফেরেন, দেখেন ঘর্মাক্ত ক্লান্ত, আলুথালু বেশের একমাত্র হালাল বউটিকে। প্লীজ আপুরা, do some justice to them. তুলে রাখা মেকআপ, কাজল ঘরে ব্যবহার করার চেষ্টা কর। হিন্দী সিরিয়ালের নায়িকাদের মত। কোন সমস্যা?

Written by...
Hijabi Muslimah

বিয়েতে আগ্রহীদের জন্য ​গাঁজর থেরাপির গা জ্বালা সাফল্য

​গাঁজর থেরাপির গা জ্বালা সাফল্যঃ

এক ম্যারিজি প্রতিদিন এক বাবা মার কাছে গিয়ে বলত, "তোমাদের কি পোলার বউ দরকার নেই ??"

বাবা মা বার বার "না নেই" বলার পরও সে প্রতিদিন জিজ্ঞেস করত, "কি দরকার নেই ? " বাবা মা প্রতিবার রেগে বলত, "না নেই"।

একদিন ছেলে(নাকি লোক) গিয়ে বরাবরের মত জিজ্ঞেস করল, "কি গো , আমাকে বিয়ে দেওয়ানোর কোন প্ল্যান নেই ?" বাবা মা তাকে রেগে বলল, "আর একবার যদি এই কথা জিজ্ঞেস কর তাহলে ত্যাজ্যপুত্র করে দিবো ।"

এক ঘণ্টা পর ছেলে আবার আসলো। এসে এবার জিজ্ঞেস করল "ত্যাজ্যপুত্র করবা যে, উকিলের কাগজপত্র রেডি আছে?"
বাপ মা বলল, "না নেই"
ছেলে : "তাহলে আমারে বিয়ে করানোর প্ল্যান আছে?"

বাবা মা রাগে দুঃখে রুমে গিয়ে দরজা আটকালো। পরের দিন বাবা উকিলের কাগজ নিয়ে রেডি থাকলো। ছেলে এসে এসে জিজ্ঞেস করল, "প্ল্যান আছে, প্ল্যান ?" এবার রেগে বাপমা ছেলের হাতে ত্যাজ্যের কাগজ ধরায় দিলো।

তারপর ... তারপর ছেলে তার আরেক ম্যারিজি ফ্রেন্ডের বাসায় উঠলো। পরের দিন তার বাবা মা ফোন দিলো, " সোনা মানিক আমার, বাসায় ফিরে আয়, ইসলামে ত ত্যাজ্যপুত্র করার কুনো সিস্টেম ই নাই "…

ছেলে ফোনেই জিজ্ঞেস করলো, "বাসায় যে আসবো, ছেলের বিয়া দেওনের জন্য পাত্রী খুজছো ত ?!?

"অপর প্রান্তের হাত থেকে ফোন পড়ে যাওয়ার শব্দ পাওয়া গেলো। গার্জিয়ান নিজেও পড়ে গেলেন কি না, কে জানে!!

অতঃপর....

কি হল, সে কাহিনী আরেকদিন ইন শা আল্লাহ :)


[collected from facebook]

ম্যারিজিদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ দিক নির্দেশনা : গাজর থেরাপী

**ম্যারিজিদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ দিক নির্দেশনা**

<== গাজর থেরাপী ==>

এক খরগোশ প্রতিদিন এক মুদির দোকানে গিয়ে বলত, "গাজর আছে গাজর??"

দোকানদার বার বার "না নেই" বলার পরও সে প্রতিদিন জিজ্ঞেস করত, "গাজর আছে গাঁজর??"

দোকানদার প্রতিবার রেগে বলত, "না নেই"।

একদিন খরগোশ গিয়ে বরাবরের মত জিজ্ঞেস করল, "গাজর আছে গাজর?"

দোকানদার তাকে রেগে বলল, "আর একবার যদি এই কথা জিজ্ঞেস কর তাহলে হাতুড়ি দিয়ে সব দাঁত ভেঙ্গে দিবো।"

এক ঘণ্টা পর খরগোশ আবার আসলো। এসে এবার জিজ্ঞেস করল "হাতুড়ি আছে?"

দোকানদার বলল, "না নেই"

খরগোশঃ "তাহলে গাজর আছে?"

দোকানদার রাগে দুঃখে দোকান ছেড়ে পালালো।

পরের দিন দোকানদার হাতুড়ি নিয়ে দোকানে গেলো।

খরগোশ এসে জিজ্ঞেস করল, "গাজর আছে গাজর?"

এবার রেগে দোকানদার হাতুড়ি দিয়ে খরগোশের দাঁত ভেঙ্গে ফেলল।

তারপর ...

তারপর খরগোশ গিয়ে পরের দিন মুদির দোকানে গিয়ে জিজ্ঞেস করলো, "গাজরের জুস আছে?!"

দোকানদার অজ্ঞান হয়ে পরে গেল।

----

বাসায় বিয়ের কথা বলেছেন কয়েকদিন, রাজি হচ্ছে না ... বকা দিছে ... হুমকি ধামকি ... ??!!
আপনাকেই খুঁজছে বাংলাদেশ! গাজর থেরাপি প্রয়োগ করুন!

[collected from facebook]

ইয়ে করে বিয়ে, নাকি বিয়ে করে ইয়ে?

ইয়ে করে বিয়ে, নাকি বিয়ে করে ইয়ে?

বিখ্যাত বিজ্ঞানী ড্রোনাচার্য জাফর ইকবাল বলেছিলেন "বিয়ের আগে অন্তত তিন বছর প্রেম করে পরস্পরকে চিনে নেওয়া দরকার।"

প্রেম করে একে-অপরকে কেমন চেনা হয় তা নিয়ে একটি বাস্তব ঘটনা----
"আমার এক বন্ধু ক্লাস টেন থেকে প্রেম করতো। তারা প্রায় প্রতিদিনই দেখা করতো, বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াত। তাদের মধ্যে আন্ডারস্ট্যান্ডিং ছিল চমৎকার। দীর্ঘ ৭ বছর প্রেম করার পর তারা ফ্যামিলির সম্মতিতে বিয়ে করে।

বিয়ের পর কিছুদিন ভালই কাটছিল তাদের সংসার। কিছুদিন যাবার পর শুরু হলো খুঁটিনাটি বিষয়ে মনোমালিন্য ও একে অপরের দোষ ধরা। বিয়ের আগে তারা একে অপরকে যেমন দেখেছিল বিয়ের পর সেই হিসাব মিলছিল না। পরিণতিতে বিয়ের মাত্র দেড় বছর পর তারা ডিভোর্স দেয়। শেষ হয়ে যায় দীর্ঘ ৭বছরের প্রেম।"

আসলে প্রেমের সময়টাতে প্রেমিক-প্রেমিকা নিজেকে সর্বোচ্চ সুন্দরভাবে প্রকাশ করতে চায়। এসময় তারা নিজের নেতিবাচক দিকগুলি যথাসাধ্য গোপন করে। তাদের সময় কাটে ফ্যান্টাসির ভিতর দিয়ে।

বিয়ের পর চাকরি-সংসার নিয়ে ঝামেলার পর আবেগ এমনিতেই কমে যায়। তখন আবেগের চেয়ে বাস্তবতা বড় হয়ে দেখা দেয়। প্রিয়ার চপল চোখের মায়াবী বাঁধন বা প্রেমিকের সর্বগ্রাসী ভালোবাসা তখন ধূসর হয়ে যায়। সংসার জীবনে ভালোবাসার পাশাপাশি পারস্পরিক শ্রদ্ধা, ধৈর্য, দায়িত্ববোধ ও ত্যাগের অনুশীলন দাম্পত্যের বাঁধন অটুট রাখে।

বিবাহ বহির্ভূত অবৈধ সম্পর্কে শয়তান পরস্পরকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করে। জৈবিক মোহে তাদের আসল রূপ ঢাকা পড়ে থাকে। তাই বিয়ের পর সেই বহু চেনা মানুষটিকে অচেনা লাগে। বিয়ের পূর্বে প্রমের সময়টাতে বিপরীত লিঙ্গের প্রতি সহজাত প্রবল আকর্ষণ ও ফ্যান্টাসির ভিতর দিয়ে একে-অপরকে চেনা অসম্ভব।

বিয়ের মাধ্যমে শ্রদ্ধা, দায়িত্ববোধ, ত্যাগ ও পবিত্র প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। দ্বীনদার স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কে আল্লাহর রহমত থাকে। তাদের মাঝে বিলাস থাকেনা, বাহুল্য থাকেনা, কৃত্রিমতা থাকেনা। যেটা থাকে তা হচ্ছে শান্তি।

যদি প্রেম করে বিয়ে করলেই সুখী হওয়া যেত তাহলে পাশ্চাত্যের সংসার তাসের ঘরের মতো ভেঙ্গে যেত না। বরং ইসলাম না মেনে অবৈধ সম্পর্কের কারনে পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে আজ এতো অশান্তি।
তাই অবৈধ প্রেম থেকে দূরে থাকুন, পবিত্র থাকুন, সুখী হোন।

Ahsan Sabbir

মানুষ দুশ্চিন্তাগুলো জমিয়ে রাখে আর কষ্ট পায়

মানুষ দুশ্চিন্তাগুলো জমিয়ে রাখে আর কষ্ট পায়। অথচ সেগুলো আল্লাহর হাতে তুলে দিলে আল্লাহ সুবহানাহু,

১. সেই সমস্যাগুলোর সমাধান করে দেন।

২. দুশ্চিন্তার বদলে প্রশান্তি উপহার দেন।

৩. আল্লাহর কাছে ফিরে আসার কারণে পরকালে পুরষ্কার দেবেন।

মানুষ আসলেই জেনে-শুনে বিষপান করে। সহজটা ছেড়ে কঠিনটা নেয়। সুখ ছেড়ে কষ্ট বেছে নেয়।

Courtesy : Sharif Abu Hayat Opu

বর্তমান সমাজে অহরহ পরকিয়া , ডিভোর্স , দাম্পত্য জীবনে অশান্তির মূল কারণ

বর্তমান সমাজে অহরহ পরকিয়া , ডিভোর্স , দাম্পত্য জীবনে অশান্তির মূল কারণ পরিবারের মধ্যে ইসলাম না থাকা । আর যে পরিবারে ইসলাম থাকবে না সে পরিবারে থাকবেনা আল্লাহ ভীতি এবং নিজ কর্মের জবাবদিহিতা । এতে করে শয়তানের পরিকল্পনা অনুযায়ী যাচ্ছে তাই করে যাওয়া যায় । যার দরুন ঘরে বৌ থাকা সত্তেও পর-নারীর দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ কিছু অনৈসলামিক পুরুষের জন্য মামুলি ব্যাপার।

এভাবে একটা পর্যায়ে ঐ পুরুষরা নিজ বৌয়ের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলে এবং পরকিয়ায় জড়িয়ে যায় , এরপর পারিবারিক অশান্তি, এমনকি ডিভোর্সের মত ঘটনাও ঘটে । আর এটা ঘটে ঐ পুরুষ গুলোর মধ্যে আল্লাহ ভীতি না থাকার কারণে । আল্লাহ ভীতি তো সেটাই যা স্বামী-স্ত্রীর পরস্পর আল্লাহর জন্য নিজেদের চোখ ও অন্তরকে হেফাজত করে এবং আল্লাহর জন্য একে অপরকে গভীর ভাবে ভালবাসে । যে ভালবাসে বিয়ের দিন যেমন থাকে, বিয়ের ৩০ বছর পরেও একই রকম থাকে । আর এটা হচ্ছে আল্লাহর পক্ষ থেকে তাদের জন্য রাহমাত । তারা আল্লাহর জন্য নিজেদের চরিত্র হেফাজত করেছেন বলে আল্লাহ তাদের দু'জনের মধ্যে এমন গভীর ভালবাসা স্থাপন করে দিয়েছেন । ইসলামের বিপরীত স্রোতের মানুষগুলোর জন্য যা শুধু কল্পনা !

আমাদের সমাজে তথাকথিত মা-বাবারা তাদের সন্তানদের বিয়ে দেয়ার সময় তাকওয়া দেখে বিয়ে দিতে চাই না । তারা দেখে ছেলে কত টাকার মালিক , কত উচ্চে তার বংশ , কত গুলো ডিগ্রী আছে ছেলের বাস্কেটে । অথচ , একবারের জন্য ভাবতে চাই না , যে ছেলের কাছে সারা জীবনের জন্য তার মেয়েকে দিচ্ছে , সে ছেলের চরিত্র ঠিক কিনা বা ছেলেটির পরিচালিত জীবনে আল্লাহ ভীরুতা আছে কিনা ! একইভাবে দেখা যায় ছেলেদের ক্ষেত্রে , সুন্দরী বৌয়ের খুঁজে তারা তাকওয়াবান স্ত্রীর কথা ভুলে যায় । একসময় দেখা যায় , সেই সুন্দরী বৌ তাকে ফেলে চলে যায় বা পরকিয়ায় পতিত হয় বা তার নিজের রুপের অহংকারে সংসারে সবসময় অশান্তি লেগেই থাকে ।

অথচ , রাসুল(সাঃ) বলেছেন , দুনিয়ার যত সম্পদ আছে , তার মধ্যে উত্তম সম্পদ হচ্ছে একজন নেককার স্ত্রী ।

আমাদের মা-বাবাদের উচিত তাদের কন্যাদের সু-পাত্রস্থ করতে চাইলে দ্বীনদার, পরহেজগার , তাকওয়াবান যুবকদের সাথে বিয়ে দেয়া । এতে করে কন্যাও সুখী হোল এবং সমাজেও পরকিয়া , ডিভোর্সের মত ঘটনা অনেকাংশে কমে যাবে । এই ব্যাপারে রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নির্দেশনা হল :-
"যার দ্বীনদারী ও আখলাক-চরিত্রে তোমরা সন্তুষ্ট, এমন কেউ প্রস্তাব দিলে তার সাথে তোমরা বিবাহ সম্পন্ন কর । তা না করলে পৃথিবীতে ফিৎনা দেখা দেবে ও ব্যাপক ফ্যাসাদ ছড়িয়ে পড়বে ।"
[তিরমিযী, হাদীস : ১০৮৪]

আল্লাহ আমাদের বুঝার তৌফিক দান করুন । আমীন ।

-- @ page: বিয়ে একটি উত্তম বন্ধুত্ব

বাত্বিল কখনো নিজের কথায় অটল থাকতে পারে না

বাত্বিল কখনো নিজের কথায় অটল থাকতে পারে না। ইসলামের বিরুদ্ধে সেক্যুলারিস্টদের প্রাথমিক পর্যায়ের অভিযোগ একরকম। প্রথমত এরা দেখে প্রবৃত্তির অনুসরণের ক্ষেত্রে এটা একটা বাধা। তাই তত্ত্ব খাড়া করায় যে আসলে সমাজের নিচু শ্রেণীকে শোষণ করতে উঁচু শ্রেণীর লোকেরা ধর্ম তৈরি করে।

এটা বুঝতে পেরে তারা স্ট্র্যাটেজি পাল্টায়। তারা দেখে যেসবের লোভ করা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়, সেগুলো মৃত্যুর পর বহুগুণে জান্নাতে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়। তখন এরা ধরে "আরে তোমরাই না বলেছিলে লোভ না করতে? তোমরাই তো বেহেসতের লোভে এসব করো।" ৭০টা হুর আর শরাবান তহুরার চিরাচরিত অস্ত্র দুটা তো আছেই।

আচ্ছা যারা পরকালের অস্তিত্বেই বিশ্বাসী না, তাদের এই অভিযোগের validity কী? বেঁচে থাকতে একটা মানুষ দাঁতে দাঁত চেপে ছিল, এদিক সেদিক তাকাতে পারেনাই, কয়েদী বা মুসাফিরের মত বেঁচেছে; সে মরে গিয়ে এই সব শৃঙ্খল মুক্ত হয়ে enjoy করছে-এখানে সমস্যাটা কোন জায়গায়? তোমার যদি জান্নাতে গিয়ে ৭০টা বিয়া করতে রুচিতে বাঁধে, তুমি না-ই করলা। দুনিয়াতে ব্যক্তিস্বাধীনতার ছবক দেয়া তুমি জান্নাতে গিয়ে অন্যের অধিকার নিয়া কথা বলার কে?

তারপরও খটকা লাগলে ক্বুর'আন খুলে দেখাতে হবে যে পার্থিব আরাম আয়েশের সাথে জান্নাতের কয়েকটা মৌলিক পার্থক্য আছে। এখানকার মজা হলো অশ্লীল কৌতুক, মিথ্যা কথা, মস্তিষ্ক বিগড়ানো মদ আর ক্লান্তিকর সহবাস। অথচ

"সেখানে তাদের প্রার্থনা হলো 'সুবহানআল্লাহ।' আর তাদের শুভেচ্ছা 'সালাম' এবং প্রার্থনার সমাপ্তি হবে 'আলহামদুলিল্লাহি রব্বিল আ'লামীন' বলে।"[১০:১০]

"সেখানে তারা কোনো বাজে কথা ও মিথ্যা শুনবে না।"[৭৮:৩৫]

"তাদেরকে ঘুরেফিরে পরিবেশন করা হবে স্বচ্ছ পানপাত্র। সুশুভ্র, যা পানকারীদের জন্য সুস্বাদু। তাতে মাথা ব্যথার উপাদান নেই এবং তারা মাতালও হবে না।"[৩৭:৪৫-৪৭]

"সেখানে তাদেরকে কোনো ক্লান্তি স্পর্শ করবে না এবং তাদেরকে সেখান থেকে বেরও করা হবে না।"[১৫:৪৮]

তর্ককারীদের সব কথার জবাবই আছে। তবে এ জন্য ক্বুর'আনের সাথে সম্পর্ক বাড়াতে হবে নইলে আমরাই তাদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে পড়বো।

"হে আমাদের প্রতিপালক! সরল পথ প্রদর্শনের পর আমাদের অন্তরকে সত্যলংঘনে প্রবৃত্ত করো না এবং তোমার পক্ষ থেকে আমাদের অনুগ্রহ কর। নিশ্চয় তুমি সবকিছুর দাতা।"[৩:৮]

Collected From
Brother
Niloy Arman

একি সংকোচ, নাকি অজুহাত !

বেশ কিছু দিন আগের কথা....
খিলগাঁওয়ের এক মসজিদে ইশার নামাজ পড়লাম। নামাজের পর মসজিদের বারান্দায় বয়স্কদের কোরআন শিক্ষা কোর্স চালু করা হয়েছে। সেদিনই ছিল এর প্রথম দিন। যদিও এই কোর্স বয়স্কদের জন্য, আর বয়স্ক বলতে ছোট বাচ্চা ব্যতীত প্রাপ্ত বয়স্ক যে কাউকে বোঝানো হয়, কিন্তু এই কোর্সে কিছু বৃদ্ধ ছাড়া আর কাউকে চোখে পড়লো না। যাই হোক, ক্লাসের শুরুতে যিনি কোরআনে কারিম শেখাবেন অর্থাৎ মুআল্লিমুল কোরআন কিছু কথা বললেন। ১০ মিনিটের এই বক্তব্যের প্রতিটি কথাই ছিল হৃদয়ে দাগ কাটার মত। একেবারে শেষের দিকে তিনি যে কথাটি বলেছেন, তাই শুধু নকল করে দিলাম, ছোট বয়সে যাদের কোরআন শেখার সুযোগ হয়নি, এরকম কাউকে যখন আমি কোরআন শেখার দাওয়াত দেই, তখন এদের অনেকেই একটি উত্তর দেন - "ছোট বেলায় শিখি নি, এখন এত বড় হয়ে শিখতে কেমন যেন সংকোচ হয়" আমি তাদের বলি, ভাই ! ধরুন আপনি কোথাও যাচ্ছেন। পথে আপনার স্যান্ডেল ছিঁড়ে গেল। আপনি তখন কি করবেন? অবশ্যই মুচির কাছে যাবেন। তা এই মুচিরা কোথায় বসে? নিশ্চয়ই বড় কোন শপিং কমপ্লেক্সের এসি কোন দোকানে নয়। বরং দুর্গন্ধযুক্ত ড্রেনের পাশে, ধূলি ধুসরিত রাস্তার পাশে এদের পাওয়া যায়। পদ মর্যাদা সম্মান সবদিক দিয়েই এত বিশাল একজন মানুষ হওয়া সত্ত্বেও একজন সাধারণ মুচির কাছে সামান্য একটি স্যান্ডেল ঠিক করার জন্য আপনি তখন ড্রেনের পাশে দাঁড়াবেন। প্রখর রোদ সহ্য করে তা ঠিক করাবেন। কিন্তু এতে আপনার বিন্দুমাত্র সংকোচ হবে না। অথচ মহান আল্লাহর কালামকে ঠিক করার জন্য, সঠিকভাবে তিলাওয়াতের জন্য যখন অভিজ্ঞ একজন কারী সাহেবের দ্বারস্থ হতে আপনাকে আহবান করা হয়, তখন আপনার এত সঙ্কোচ হয় ??? একি সংকোচ, নাকি অজুহাত !

[collected from facebook]

সরকার বাল্যবিবাহের বয়সসীমা কমিয়েছে

সরকার বাল্যবিবাহের বয়সসীমা কমিয়েছে। এটা অবশ্যই আনন্দের খবর...কিন্তু এটা শুনে আমার প্রথম যেটা মনে হয়েছে সেটা হচ্ছে এটাই মানুষের বানানো আইন আর আল্লাহর বানানো আইনের মাঝে পার্থক্য। মানুষ আইন বানায় Trail and Error পদ্ধতিতে। যতক্ষণ না সে নিজের বানানো আইন প্রয়োগ করছে ও কিছুদিন সময় যাচ্ছে, ততদিন সে বুঝবে না সমস্যাটা কোন জায়গায় ছিলো। তাইতো আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বলতে শুনছি যে বাংলাদেশের আর্থ সামাজিক অবস্থায় এই বয়সটা একটু বেশী ই হয়ে গিয়েছিল......

এই যে বিয়ের বয়সের ক্ষেত্রে 'আর্থ সামাজিক অবস্থা' বিবেচনা করা লাগে, এটা আল্লাহ্‌ সুবহানুওয়াতা'লা তাঁর অসীম প্রজ্ঞা দিয়ে আগে থেকেই জানতেন। সেজন্যই ইসলাম বিয়ের জন্য কোনো বয়স সীমা নির্ধারণ করে দেয় নি। সেই কোন কালে, একদম IOU এর প্রথম সেমিস্টারে 'ফিকহ' এবং শরীয়াহর মাঝে পার্থক্য পড়েছিলাম......সেখানে বলা হয়েছিল ফিকহ হচ্ছে ইসলামী আইন শাস্ত্রের সেই শাখা যাতে সময়, পরিস্থিতি, অঞ্চল এগুলো বিবেচনায় আনা হয় এবং সময়, ব্যক্তি ইত্যাদিভেদে এতে পরিবর্তনের সুযোগ বিদ্যমান। ইসলামকে সকল যুগ এবং সমাজের জন্য উপযোগী করে রাখে ফিকহ। এজন্য ফিকহী আলোচনায় মতভেদেরও সুযোগ আছে। ইসলাম যে একটা গতিশীল জীবন ব্যবস্থা, স্থবির নয়, সেটার প্রমাণ হচ্ছে ফিকহ।যেমনঃ এই বিয়ের বয়সের ব্যাপারটা।

একেকজনের জন্য, একেক দেশের জন্য 'উপযুক্ত' বিয়ের বয়স একেক রকম হতে পারে পক্ষান্তরে শরীয়াহ হচ্ছে ইসলামী আইনের অপরিবর্তনীয় শাখা, যেখানে মতানৈক্যের কোনো অবকাশ নেই। যেমন: বিবাহ বহির্ভূত যে কোনো সম্পর্ক স্থাপনের ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা। এখন প্রশ্ন হচ্ছে ২১ বছর বয়সের আগে হচ্ছিল বলে যেসব বিয়ে আগে আইনের চোখে শাস্তিযোগ্য অপরাধ ছিল, এখন তাদের কী হবে? অপরাধের সংজ্ঞা বোধ করি এভাবেই মানব রচিত আইনে রুপ বদলায় গিরগিটির মত!

বছরের এই শ্রেষ্ঠ দিনগুলোতে তাই আমি অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে সাক্ষ্য দিচ্ছি, নিশ্চয়ই আমি আল্লাহকে আমার রাব, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে রাসূল এবং ইসলামকে দ্বীন হিসেবে পেয়ে সন্তুষ্ট!

collected from
sister হামিদা মুবাশ্বেরা