তখন আমার সদ্য বিয়ে হয়েছে......গিয়েছি এক পরিচিতের বাসায়, কথায় কথায় ঊনি ঊনার স্বামীর নামে অভিযোগ করছিলেন যে তাকে একটুও টাইম দেয় না......ঊনার কলিগের সাথে তুলনা করে কেঁদেও ফেলেছিলেন কারণ ঊনার কলিগের স্বামী নাকি রান্না করার সময় পিছন থেকে খুঁনসুটি করতে থাকে, নিত্য নতুন ব্যাগ, শাড়ি এগুলো কিনে দেয়......
আমার বিয়ের আগে আমি দাম্পত্য জীবন, সম্পর্ক এগুলোর উপর অনেকগুলো বই পড়েছিলাম, সবগুলোই কোনো না কোনো ইসলামিক স্কলারের লেখা বই। সেসময় অর্জিত জ্ঞান পরে আমাকে দারুণ সাহায্য করেছিলো কারণ আমার সংসার জীবন শুরু হয়েছিল একদম অচেনা, অজানা একটা মানুষের সাথে, তাও আবার বিদেশে......
বিয়ের আগে অর্জিত জ্ঞানের আলোকে আমার ঐ কথাটি শুনে মনে হয়েছিল আসলেই যে ঊনার কলিগের স্বামী এগুলো করে নাকি কাল্পনিক এসব কথা শুনিয়ে অন্যের মাঝে হিংসার উদ্রেক করে ঊনি সুখ খুঁজে পেতে চায় তার কী গ্যারান্টি আছে!
কথাগুলো বললাম কারণ ইদানিং অনেক মানুষের জীবনের এমন অনেক দিক জানতে পারছি যা কী না তারা ফেসবুকে তাদের জীবনকে যেভাবে উপস্থাপন করে তার পুরাই বিপরীত। স্বামীর সাথে মডেলিং স্টাইলে ছবি দেয়া, সুখী সুখী স্ট্যাটাস দেয়া মানুষটি হয়তো আদতে তার স্বামীর হাতে মার খায়, কিংবা পরকীয়ায় লিপ্ত স্বামীকে ঘরমুখো করার আপ্রাণ চেষ্টায় লিপ্ত! আমাদের ভার্চুয়াল আইডেন্টিটিটা কত আয়রনিক, তাই না!
এই যে নিজেকে সুখী হিসেবে তুলে ধরে ভালো থাকার এক আপ্রাণ, তথাপি ব্যর্থ চেষ্টা করে চলেছেন অনেকে নিরন্তর, সেই চেষ্টাটাই হয়ত আবার অসুখী অন্য কারো মাঝে ঈর্ষার উদ্রেক করে, তার জীবনের অপ্রাপ্তিগুলোর হাহাকার আরো বাড়িয়ে দেয়, আমার সেই পরিচিতের মত !
আমরা কবে বুঝবো যে শান্তি কোথায়? মরীচিকার পেছনে ছুটে চলা আর কত দিন?
আল্লাহ্ আমাদের একটা শান্তিময় ঘর দিন, যেখানে হয়তো প্রাচুর্য নেই, তবু দিনের শেষে হা ক্লান্ত হয়ে সেখানেই ফিরে আসতে মন চায়।আমার জন্য হাসিমুখে, সাগ্রহে কেউ অপেক্ষা করে আছে যে!
এমন ঘরের জন্য নিচের দুআটা বারবার পড়া যেতে পারে......
হে আমাদের পালনকর্তা, আমাদের স্ত্রীদের পক্ষ থেকে এবং আমাদের সন্তানের পক্ষ থেকে আমাদের জন্যে চোখের শীতলতা দান কর এবং আমাদেরকে মুত্তাকীদের জন্যে আদর্শস্বরূপ কর। (২৫:৭৪)
-- sister Hamida Mubasshera
আমার বিয়ের আগে আমি দাম্পত্য জীবন, সম্পর্ক এগুলোর উপর অনেকগুলো বই পড়েছিলাম, সবগুলোই কোনো না কোনো ইসলামিক স্কলারের লেখা বই। সেসময় অর্জিত জ্ঞান পরে আমাকে দারুণ সাহায্য করেছিলো কারণ আমার সংসার জীবন শুরু হয়েছিল একদম অচেনা, অজানা একটা মানুষের সাথে, তাও আবার বিদেশে......
বিয়ের আগে অর্জিত জ্ঞানের আলোকে আমার ঐ কথাটি শুনে মনে হয়েছিল আসলেই যে ঊনার কলিগের স্বামী এগুলো করে নাকি কাল্পনিক এসব কথা শুনিয়ে অন্যের মাঝে হিংসার উদ্রেক করে ঊনি সুখ খুঁজে পেতে চায় তার কী গ্যারান্টি আছে!
কথাগুলো বললাম কারণ ইদানিং অনেক মানুষের জীবনের এমন অনেক দিক জানতে পারছি যা কী না তারা ফেসবুকে তাদের জীবনকে যেভাবে উপস্থাপন করে তার পুরাই বিপরীত। স্বামীর সাথে মডেলিং স্টাইলে ছবি দেয়া, সুখী সুখী স্ট্যাটাস দেয়া মানুষটি হয়তো আদতে তার স্বামীর হাতে মার খায়, কিংবা পরকীয়ায় লিপ্ত স্বামীকে ঘরমুখো করার আপ্রাণ চেষ্টায় লিপ্ত! আমাদের ভার্চুয়াল আইডেন্টিটিটা কত আয়রনিক, তাই না!
এই যে নিজেকে সুখী হিসেবে তুলে ধরে ভালো থাকার এক আপ্রাণ, তথাপি ব্যর্থ চেষ্টা করে চলেছেন অনেকে নিরন্তর, সেই চেষ্টাটাই হয়ত আবার অসুখী অন্য কারো মাঝে ঈর্ষার উদ্রেক করে, তার জীবনের অপ্রাপ্তিগুলোর হাহাকার আরো বাড়িয়ে দেয়, আমার সেই পরিচিতের মত !
আমরা কবে বুঝবো যে শান্তি কোথায়? মরীচিকার পেছনে ছুটে চলা আর কত দিন?
আল্লাহ্ আমাদের একটা শান্তিময় ঘর দিন, যেখানে হয়তো প্রাচুর্য নেই, তবু দিনের শেষে হা ক্লান্ত হয়ে সেখানেই ফিরে আসতে মন চায়।আমার জন্য হাসিমুখে, সাগ্রহে কেউ অপেক্ষা করে আছে যে!
এমন ঘরের জন্য নিচের দুআটা বারবার পড়া যেতে পারে......
হে আমাদের পালনকর্তা, আমাদের স্ত্রীদের পক্ষ থেকে এবং আমাদের সন্তানের পক্ষ থেকে আমাদের জন্যে চোখের শীতলতা দান কর এবং আমাদেরকে মুত্তাকীদের জন্যে আদর্শস্বরূপ কর। (২৫:৭৪)
-- sister Hamida Mubasshera
No comments:
Post a Comment