বর্তমান যুগের কোন একটি অতিদরিদ্র মেয়েকে যদি এ প্রস্তাব দেয়া হয় যে, তাকে একটি সচ্ছল ও ধনাঢ্য জীবন দেয়া হবে, তবে শর্ত হল আখিরাতের জীবনে সে আর কিছুই পাবে না; কী মনে হয়- মেয়েটি তখন কোনটাকে বেছে নিবে? ধনাঢ্য জীবন নাকি আখিরাত?
---
একুশতম পারার শেষ তিন আয়াতে, রাসূল (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর স্ত্রীদেরকে ঠিক এই অফারটিই দেওয়া হয়েছিল। দুনিয়া ও আখেরাতের যে কোন একটিকে বেছে নেয়ার অফার। একদিকে পুরো জীবন রানীর হালে কাটানো, অন্য দিকে দরিদ্রতার মাঝে জীবন কাটিয়ে দিয়ে আখেরাতে প্রতিফল পাবার ওয়াদা।
"হে নবী, আপনার পত্নীগণকে বলুন, তোমরা যদি পার্থিব জীবন ও তার বিলাসিতা কামনা কর, তবে আস, আমি তোমাদের তা ভোগের ব্যবস্থা করে দেই এবং উত্তম পন্থায় তোমাদের বিদায় দেই।
আর যদি তোমরা আল্লাহ, তাঁর রাসূল ও পরকাল কামনা কর, তবে তোমাদের সৎকর্মপরায়ণদের জন্য আল্লাহ মহা পুরস্কার প্রস্তুত করে রেখেছেন।" – সুরা আহযাব, আয়াত ২৮-২৯
আল্লাহ তা'আলার পক্ষ থেকে এ অফার পাওয়ার পর রাসূলের স্ত্রীগণ কি উত্তর দিয়েছিলেন? হাদিসে এর বিস্তারিত বিবরণ এসেছে। সাহিহ বুখারির বর্ণনা অনুযায়ী, এই আয়াত নাযিল হওয়ার পর রাসুল সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্ত্রীদের মধ্যে থেকে সর্বপ্রথম আয়েশা (রা) এর কাছে গেলেন। তাঁকে বললেন, 'তোমাকে একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তুমি তাড়াহুড়ো করো না। তোমার বাবা মার সাথে পরামর্শ করে ধীরে-সুস্থে সিদ্ধান্ত নাও।' এরপর তিনি আয়াত দুটি পড়ে শোনালেন।
আয়াত শেষ হতে বাকি, কিন্তু আয়েশা (রা) এর উত্তর দিতে দেরি হয়নি। তিনি বলে উঠলেন, 'এ ব্যাপারে আমাকে বাবা মার সাথে পরামর্শ করতে হবে? এর কোন প্রয়োজন নেই। আমি তো আল্লাহ ও আল্লাহর রাসূলকেই বেছে নিব।'
এরপর রাসূল (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বাকি স্ত্রীদের কাছেও একই প্রস্তাব রাখলেন। সবাই আয়েশা (রা) এর মতই জবাব দিলেন। দুনিয়া ছেড়ে আখেরাতকে বেছে নিতে তাঁদের বিন্দুমাত্র সময় লাগে নি, ভুগতে হয়নি সামান্য দ্বিধা দ্বন্দ্বে।
----
রক্তে মাংসে গড়া মানুষ ছিলেন তারা। আমরাও সে রক্ত মাংসেরই মানুষ। অথচ তাঁদের সাথে আমাদের কত পার্থক্য!
আমাদেরকে তাঁদের মত এত কঠিন পরীক্ষা দিতে হয় না। দুনিয়া-আখিরাতের যে কোন একটিকে বাছাই করতেও বলা হয় না। বরং দুনিয়া ভোগ করেও আখিরাত অর্জনের সুযোগ রয়েছে আমাদের। টাকা কামাতে, বাড়ি করতে, জমি কিনতে আমাদেরকে নিষেধ করা হয়নি। আমাদেরকে শুধু এতটুকু বলা হয়েছে, দুনিয়ার পেছনে পড়ে আমরা যেন আখেরাতকে ভুলে না যাই। আমরা যেন সতর্ক থাকি, আমাদের একদিন আল্লাহর সামনে দাঁড়াতে হবে।
কিন্তু তারপরও আমরা পারি না। দুনিয়ার মোহ আমাদেরকে বেখবর করে দেয়। আমরা হেরে যাই পরীক্ষায়। আর হেরে গিয়েও আমাদের কোন আফসোস হয়না, হয় না কোন দুঃখ......
Collected From
Brother
Rizwanul Kabir Sanin
---
একুশতম পারার শেষ তিন আয়াতে, রাসূল (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর স্ত্রীদেরকে ঠিক এই অফারটিই দেওয়া হয়েছিল। দুনিয়া ও আখেরাতের যে কোন একটিকে বেছে নেয়ার অফার। একদিকে পুরো জীবন রানীর হালে কাটানো, অন্য দিকে দরিদ্রতার মাঝে জীবন কাটিয়ে দিয়ে আখেরাতে প্রতিফল পাবার ওয়াদা।
"হে নবী, আপনার পত্নীগণকে বলুন, তোমরা যদি পার্থিব জীবন ও তার বিলাসিতা কামনা কর, তবে আস, আমি তোমাদের তা ভোগের ব্যবস্থা করে দেই এবং উত্তম পন্থায় তোমাদের বিদায় দেই।
আর যদি তোমরা আল্লাহ, তাঁর রাসূল ও পরকাল কামনা কর, তবে তোমাদের সৎকর্মপরায়ণদের জন্য আল্লাহ মহা পুরস্কার প্রস্তুত করে রেখেছেন।" – সুরা আহযাব, আয়াত ২৮-২৯
আল্লাহ তা'আলার পক্ষ থেকে এ অফার পাওয়ার পর রাসূলের স্ত্রীগণ কি উত্তর দিয়েছিলেন? হাদিসে এর বিস্তারিত বিবরণ এসেছে। সাহিহ বুখারির বর্ণনা অনুযায়ী, এই আয়াত নাযিল হওয়ার পর রাসুল সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্ত্রীদের মধ্যে থেকে সর্বপ্রথম আয়েশা (রা) এর কাছে গেলেন। তাঁকে বললেন, 'তোমাকে একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তুমি তাড়াহুড়ো করো না। তোমার বাবা মার সাথে পরামর্শ করে ধীরে-সুস্থে সিদ্ধান্ত নাও।' এরপর তিনি আয়াত দুটি পড়ে শোনালেন।
আয়াত শেষ হতে বাকি, কিন্তু আয়েশা (রা) এর উত্তর দিতে দেরি হয়নি। তিনি বলে উঠলেন, 'এ ব্যাপারে আমাকে বাবা মার সাথে পরামর্শ করতে হবে? এর কোন প্রয়োজন নেই। আমি তো আল্লাহ ও আল্লাহর রাসূলকেই বেছে নিব।'
এরপর রাসূল (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বাকি স্ত্রীদের কাছেও একই প্রস্তাব রাখলেন। সবাই আয়েশা (রা) এর মতই জবাব দিলেন। দুনিয়া ছেড়ে আখেরাতকে বেছে নিতে তাঁদের বিন্দুমাত্র সময় লাগে নি, ভুগতে হয়নি সামান্য দ্বিধা দ্বন্দ্বে।
----
রক্তে মাংসে গড়া মানুষ ছিলেন তারা। আমরাও সে রক্ত মাংসেরই মানুষ। অথচ তাঁদের সাথে আমাদের কত পার্থক্য!
আমাদেরকে তাঁদের মত এত কঠিন পরীক্ষা দিতে হয় না। দুনিয়া-আখিরাতের যে কোন একটিকে বাছাই করতেও বলা হয় না। বরং দুনিয়া ভোগ করেও আখিরাত অর্জনের সুযোগ রয়েছে আমাদের। টাকা কামাতে, বাড়ি করতে, জমি কিনতে আমাদেরকে নিষেধ করা হয়নি। আমাদেরকে শুধু এতটুকু বলা হয়েছে, দুনিয়ার পেছনে পড়ে আমরা যেন আখেরাতকে ভুলে না যাই। আমরা যেন সতর্ক থাকি, আমাদের একদিন আল্লাহর সামনে দাঁড়াতে হবে।
কিন্তু তারপরও আমরা পারি না। দুনিয়ার মোহ আমাদেরকে বেখবর করে দেয়। আমরা হেরে যাই পরীক্ষায়। আর হেরে গিয়েও আমাদের কোন আফসোস হয়না, হয় না কোন দুঃখ......
Collected From
Brother
Rizwanul Kabir Sanin
No comments:
Post a Comment