বাত্বিল কখনো নিজের কথায় অটল থাকতে পারে না। ইসলামের বিরুদ্ধে সেক্যুলারিস্টদের প্রাথমিক পর্যায়ের অভিযোগ একরকম। প্রথমত এরা দেখে প্রবৃত্তির অনুসরণের ক্ষেত্রে এটা একটা বাধা। তাই তত্ত্ব খাড়া করায় যে আসলে সমাজের নিচু শ্রেণীকে শোষণ করতে উঁচু শ্রেণীর লোকেরা ধর্ম তৈরি করে।
এটা বুঝতে পেরে তারা স্ট্র্যাটেজি পাল্টায়। তারা দেখে যেসবের লোভ করা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়, সেগুলো মৃত্যুর পর বহুগুণে জান্নাতে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়। তখন এরা ধরে "আরে তোমরাই না বলেছিলে লোভ না করতে? তোমরাই তো বেহেসতের লোভে এসব করো।" ৭০টা হুর আর শরাবান তহুরার চিরাচরিত অস্ত্র দুটা তো আছেই।
আচ্ছা যারা পরকালের অস্তিত্বেই বিশ্বাসী না, তাদের এই অভিযোগের validity কী? বেঁচে থাকতে একটা মানুষ দাঁতে দাঁত চেপে ছিল, এদিক সেদিক তাকাতে পারেনাই, কয়েদী বা মুসাফিরের মত বেঁচেছে; সে মরে গিয়ে এই সব শৃঙ্খল মুক্ত হয়ে enjoy করছে-এখানে সমস্যাটা কোন জায়গায়? তোমার যদি জান্নাতে গিয়ে ৭০টা বিয়া করতে রুচিতে বাঁধে, তুমি না-ই করলা। দুনিয়াতে ব্যক্তিস্বাধীনতার ছবক দেয়া তুমি জান্নাতে গিয়ে অন্যের অধিকার নিয়া কথা বলার কে?
তারপরও খটকা লাগলে ক্বুর'আন খুলে দেখাতে হবে যে পার্থিব আরাম আয়েশের সাথে জান্নাতের কয়েকটা মৌলিক পার্থক্য আছে। এখানকার মজা হলো অশ্লীল কৌতুক, মিথ্যা কথা, মস্তিষ্ক বিগড়ানো মদ আর ক্লান্তিকর সহবাস। অথচ
"সেখানে তাদের প্রার্থনা হলো 'সুবহানআল্লাহ।' আর তাদের শুভেচ্ছা 'সালাম' এবং প্রার্থনার সমাপ্তি হবে 'আলহামদুলিল্লাহি রব্বিল আ'লামীন' বলে।"[১০:১০]
"সেখানে তারা কোনো বাজে কথা ও মিথ্যা শুনবে না।"[৭৮:৩৫]
"তাদেরকে ঘুরেফিরে পরিবেশন করা হবে স্বচ্ছ পানপাত্র। সুশুভ্র, যা পানকারীদের জন্য সুস্বাদু। তাতে মাথা ব্যথার উপাদান নেই এবং তারা মাতালও হবে না।"[৩৭:৪৫-৪৭]
"সেখানে তাদেরকে কোনো ক্লান্তি স্পর্শ করবে না এবং তাদেরকে সেখান থেকে বেরও করা হবে না।"[১৫:৪৮]
তর্ককারীদের সব কথার জবাবই আছে। তবে এ জন্য ক্বুর'আনের সাথে সম্পর্ক বাড়াতে হবে নইলে আমরাই তাদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে পড়বো।
"হে আমাদের প্রতিপালক! সরল পথ প্রদর্শনের পর আমাদের অন্তরকে সত্যলংঘনে প্রবৃত্ত করো না এবং তোমার পক্ষ থেকে আমাদের অনুগ্রহ কর। নিশ্চয় তুমি সবকিছুর দাতা।"[৩:৮]
Collected From
Brother
Niloy Arman
এটা বুঝতে পেরে তারা স্ট্র্যাটেজি পাল্টায়। তারা দেখে যেসবের লোভ করা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়, সেগুলো মৃত্যুর পর বহুগুণে জান্নাতে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়। তখন এরা ধরে "আরে তোমরাই না বলেছিলে লোভ না করতে? তোমরাই তো বেহেসতের লোভে এসব করো।" ৭০টা হুর আর শরাবান তহুরার চিরাচরিত অস্ত্র দুটা তো আছেই।
আচ্ছা যারা পরকালের অস্তিত্বেই বিশ্বাসী না, তাদের এই অভিযোগের validity কী? বেঁচে থাকতে একটা মানুষ দাঁতে দাঁত চেপে ছিল, এদিক সেদিক তাকাতে পারেনাই, কয়েদী বা মুসাফিরের মত বেঁচেছে; সে মরে গিয়ে এই সব শৃঙ্খল মুক্ত হয়ে enjoy করছে-এখানে সমস্যাটা কোন জায়গায়? তোমার যদি জান্নাতে গিয়ে ৭০টা বিয়া করতে রুচিতে বাঁধে, তুমি না-ই করলা। দুনিয়াতে ব্যক্তিস্বাধীনতার ছবক দেয়া তুমি জান্নাতে গিয়ে অন্যের অধিকার নিয়া কথা বলার কে?
তারপরও খটকা লাগলে ক্বুর'আন খুলে দেখাতে হবে যে পার্থিব আরাম আয়েশের সাথে জান্নাতের কয়েকটা মৌলিক পার্থক্য আছে। এখানকার মজা হলো অশ্লীল কৌতুক, মিথ্যা কথা, মস্তিষ্ক বিগড়ানো মদ আর ক্লান্তিকর সহবাস। অথচ
"সেখানে তাদের প্রার্থনা হলো 'সুবহানআল্লাহ।' আর তাদের শুভেচ্ছা 'সালাম' এবং প্রার্থনার সমাপ্তি হবে 'আলহামদুলিল্লাহি রব্বিল আ'লামীন' বলে।"[১০:১০]
"সেখানে তারা কোনো বাজে কথা ও মিথ্যা শুনবে না।"[৭৮:৩৫]
"তাদেরকে ঘুরেফিরে পরিবেশন করা হবে স্বচ্ছ পানপাত্র। সুশুভ্র, যা পানকারীদের জন্য সুস্বাদু। তাতে মাথা ব্যথার উপাদান নেই এবং তারা মাতালও হবে না।"[৩৭:৪৫-৪৭]
"সেখানে তাদেরকে কোনো ক্লান্তি স্পর্শ করবে না এবং তাদেরকে সেখান থেকে বেরও করা হবে না।"[১৫:৪৮]
তর্ককারীদের সব কথার জবাবই আছে। তবে এ জন্য ক্বুর'আনের সাথে সম্পর্ক বাড়াতে হবে নইলে আমরাই তাদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে পড়বো।
"হে আমাদের প্রতিপালক! সরল পথ প্রদর্শনের পর আমাদের অন্তরকে সত্যলংঘনে প্রবৃত্ত করো না এবং তোমার পক্ষ থেকে আমাদের অনুগ্রহ কর। নিশ্চয় তুমি সবকিছুর দাতা।"[৩:৮]
Collected From
Brother
Niloy Arman
No comments:
Post a Comment