শাশুড়ি এবং শ্বশুর বাড়ি

​​
এটা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই যে, সাধারনত মেয়েরা সবচেয়ে বেশী যে বিষয়ে গীবত করে সেটা হল শাশুড়ি এবং শ্বশুর বাড়ি। এটা যে শুধু উপমহাদেশের মেয়েদের মধ্যে বেশী তা কিন্তু নয়; বরং এটি একটি গ্লোবাল ব্যপার। কিছু কিছু মেয়ে তো রীতিমত 'mother-in-law phobia' তে ভুগে এবং তার এই ফোবিয়াকে আরও বাড়িয়ে দেয় তার আশেপাশের লোকজন। এর ফলে কোন রকম কারন ছাড়াই তারা বিয়ের পরের দিন থেকেই তার স্বামীর বাড়ির সবাইকে এবং বিশেষ করে শাশুড়িকে তার প্রতিপক্ষ মনে করে।

যে কথাটা নিজের মা বললে সে মোটেই আমলে আনতো না, সেই একই কথা শাশুড়ি বললে সে আকাশ-পাতাল এক করে ফেলে। যদি আপনার শাশুড়ির কথায় আপনি দুঃখ পান তাহলে তার সাথে ভদ্রভাবে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করুন, তাকে আপনার কষ্টটি খুলে বলুন। তাকে প্রতিপক্ষ মনে না করে বরং নিজের মায়ের মত মনে করুন। তার সাথে সুখদুঃখের কথা বলুন। দেখবেন, সে আপনার সবচেয়ে ভালো বন্ধু হয়ে যাবে। বাইরের লোকের কাছে উনার গীবত করে কেন নিজের পাপের বোঝা বাড়াচ্ছেন? আপনি যেভাবে আপনার শাশুড়ি এবং শ্বশুর বাড়ি সম্পর্কে নেতিবাচক কথা বলে বেড়ান ঠিক সেইভাবে কি নিজের মা বা বোনের কথা আপনার বান্ধবীকে বা প্রতিবেশীকে বলেন?

আপনাকে সবসময় মনে রাখতে হবে যে আজ আপনি যে স্বামীকে নিয়ে গর্বিত তার জন্মদাত্রী হচ্ছেন আপনার শাশুড়ি। আপনার স্বামীর যতগুলো ভালো গুন রয়েছে, তার হাতেখড়ি হয়েছে এই মায়ের হাতে। আজ আপনি ডাক্তার/ ইঞ্জিনিয়ার/ ব্যারিস্টার/ বিসিএস ক্যাডার/ লইয়ার/প্রফেসার/ ইউনিভার্সিটি গ্র্যাজুয়েট/ ব্যবসায়ী এর স্ত্রী হিসাবে যে আর্থিক ও সামাজিক মর্যাদা ভোগ করছেন, তার পেছনে রয়েছে এই মায়ের অনেক নির্ঘুম রাত, বহু ত্যাগ-তিতিক্ষা, অনেক স্বপ্ন। আপনি যদি মা হন, তাহলে আপনার সন্তান দূরে সরে গেলে বা চোখের আড়াল হলে আপনার বুকের ভেতর যেমন দলা পাকিয়ে কষ্টভাব হয়, উনিও ঠিক তেমনি বোধ করেন যখন আপনার কূটচালের ফলে উনার ছেলে দূরে চলে যায়। আর আপনি যদি মুসলিম হন তাহলে আপনাকে বুঝতে হবে "your husband's Jannah lies under her feet, not your feet"! So stay in your limit!!

-- সিফাত মাহজাবিন

এই সমাজ শিক্ষা দেয় যে নারীরা হলো সুলভ্য পণ্য

কিছু দিন আগে চিন্তা করছিলাম, মরুচারী অসভ্য একটা জনগোষ্ঠী হঠাৎ কিভাবে ঝড়ের বেগে সমস্ত পৃথিবীর প্রতিটি কোনায় কম্পন তুলেছিল, কিভাবে তারা করতে পেরেছিল অর্ধ পৃথিবীকে সাথে নিয়ে অখণ্ড সালতানাতের স্বপ্নের বাস্তবায়ন করতে, কিভাবে তারা তৈরি করেছিল নতুন একটা ওয়ার্ল্ড অর্ডার, বদলে দিয়েছিল মানুষের চিন্তার ডাইনামিক্স!!

অনেক অনেক অনেক কারণ খুঁজে পাওয়া যেতে পারে। নারীদের প্রাপ্য যথাযথ সম্মান দেয়াও সেগুলোর একটা কারণ। কিন্তু আমাদের প্রচলিত সমাজ ব্যবস্থা কখনোই সেটা নিশ্চিত করতে পারবে না। কারণ এই সমাজ নারীদেরই শিক্ষা দেয় যে নারীরা হলো সুলভ্য পণ্য।

-- নাজিম উদ্দিন রাহী

পাড়ার হ্যাংলা পাতলা ছেলেটিকে জিমে দৌড়াতে হয়

পাড়ার হ্যাংলা পাতলা ছেলেটিকে জিমে দৌড়াতে হয় Six-pack abs এর আশায়, চুল কাটাতে হয় Sparrow tail রেখে, জিন্স torn না হলে ইজ্জত থাকে না, aviator সানগ্লাসটা না পড়লেও ঝুলিয়ে রাখতে হয়;

এভাবেই peer pressure এর মাধ্যমে, মিডিয়ার সর্বগ্রাসী বিপণনে আর পারিপার্শ্বিকতার চাপে গড়ে বস্তুবাদীদের lifestyle আর সাথে সাথে প্রবৃত্তিপূজার লিবারেলিজমের creed ও ঝেঁকে বসে ওই ছোট কাধে।

culture confusion এ বেড়ে উঠা এ প্রজন্মই ধীরে ধীরে সরতে থাকে মা-বাবা আর সমাজের শেখানো 'cultural assaulted' Islam এর গন্ডি থেকে।

আর মানবতাবাদী pied piper দের খপ্পরে পড়ে ছেলেরা হয় হালের ফ্যাশন pretending Atheist আর মেয়েরা হয় Feminist।

- Sayyid Mahmud Gaznabi

dampotto : দাম্পত্য ও বিয়ে নিয়ে পড়াশোনা দরকার নেই?

​আমাদের সমাজে, আমাদের অনেকের মাঝে সাধারণভাবে ভুল ধারণা প্রচলিত আছে, তার একটি হলো,
১) "বিয়ের প্রস্তুতি হিসেবে পড়াশোনা বা জ্ঞানার্জন ও চিন্তাভাবনার তেমন কিছু নেই, সময় হলেই সব এমনিতেই হয়ে যাবে।"

অপর একটি ভুল ধারণা,
২) "দাম্পত্য জীবন নিয়ে তেমন পড়াশোনা বা অন্য কোন জ্ঞানার্জনের দরকার নেই, এমনিতেই সব হয়ে যাবে।"

এই চিন্তাগুলো সঠিক নয়, বরং উচ্চমাত্রার অকার্যকর সেই বিষয়ে স্কলারদের কেউই সম্ভবত অমত করেননি কখনো; কেননা এই বিষয়গুলো জীবনের সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়সমূহের একটি। গাড়ি কেনার আগে, ফ্ল্যাট কেনার আগে, ড্রাইভিং শেখার আগে, ভার্সিটিতে ভর্তি হবার আগে কত খোঁজখবর আর প্রস্তুতি আমরা নিয়ে থাকি; অথচ জীবন আমাদের যে সংসার ঘিরে থাকে নিত্য -- তাকে নিয়ে শেখার কিছু নেই তা কতই না অবান্তর চিন্তা!!

আমাদের সবারই কিছু সম্পদ আছে নিজেদের মাঝে, আছে কিছু দুর্বলতাও -- সবকিছু মিলেই আমরা। নিজেদেরকে আমরা জ্ঞানার্জনের মাধ্যমে আরো ভালো করে উন্নত করতে পারি মানসিকভাবে -- নিজেদের চিন্তাগুলোকে, আচার-আচরণগুলোকে মার্জিত, সুন্দর করে পরিস্ফূটনের ব্যবস্থা করতে পারি। একটু খেয়াল করলে দু'জনের মতবিরোধ হতে পারে সহনশীল মতপার্থক্য, একটু সচেতন হলেই দু'জনের ভিন্নতা হতে পারে অপরজনকে ভালোবাসার নতুন একটি মওকা।

পানি যতই পরিষ্কার থাকুক, একটি পাত্রে বদ্ধ রেখে দিলে তা বছরখানেক পরে অপরিষ্কার হয়ে যায়, তাতে নানান জীবাণু হাজির হয়। কিন্তু বহমান নদীতে কিছু ময়লা থাকলেও তা জমে থাকে না, স্রোতের সাথে সরে যায় দূরে। জীবনের সাথেও এর মিল রয়েছে, দাম্পত্য জীবনে এবং ব্যক্তি জীবনে আমাদের মনের চিন্তা ও জ্ঞান যত বেশিই থাকুক, তাকে বদ্ধ করে রাখলে তা ভালো ফল বয়ে আনে না আমাদের জন্য। দরকার লেগে থাকা, প্রতিদিনই একটু একটু করে হলেও নিজেকে উন্নত করা।

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা আমাদের সবাইকে সরল-সঠিক পথে চলার তাওফিক দিন। আল্লাহ আমাদেরকে উত্তম জ্ঞান দান করুন যা আমাদের দুনিয়া এবং আখিরাতের জন্য কল্যাণকর। আল্লাহ আমাদের এমন জ্ঞান থেকে বিরত থাকার তাওফিক দিন যা দুনিয়া ও আখিরাতের জন্য অর্থহীন ও অকল্যাণকর।

পরপুরুষকে ভাই, বেগানা নারীকে বোন বানানোর ভয়ংকর কালচার

​পরপুরুষকে ভাই, বেগানা নারীকে বোন বানানোর ভয়ংকর সংস্কৃতি

হারামকে লাইসেন্স দেয়ার জন্য মানুষের বাচ্চার মাথায় চালাকির অন্ত নেই! আল্লাহ বললেন, বেগানা নারী ও পরপুরুষের থেকে দূরে থাকতে। কিন্তু মানুষ শয়তানের থেকে (কু)বুদ্ধি নিয়ে বেগানা নারীকে বানায় "বোন", পরপুরুষকে বানায় "ভাই"। স্কুল-কলেজ-ইউনিভার্সিটির সেই ঐতিহ্যের কথা নিশ্চয়ই সবার জানা আছে! "অমুক তো আমার ছেলে লাগে", "তমুক আমার মেয়ে হয়"। বাবা, দাদা, মা, নানী আরও কতপদের ডাক শুনলাম, ডেকে কি করা হয় তাও দেখলাম! এও হয়েছে বাবা ডাকা ছেলের সাথেই শেষমেষ প্রেম করে বিয়ে। তাই বলি কি, এইসব ডাকে সম্মান নেই, ক্ষুধার্ত নোংরা মনের লোভাতুর হাতছানি আছে মাত্র। শব্দের আড়ালে সেই লোভকে ধামাচাপা দিলেই মনটা পরিষ্কার হয়ে যায় না।

-- আনিকা ওয়ারদা তুবা

আমি কবে বড় হবো?

"আমি কবে বড় হবো?"

"কেন? বড় হলে কী হবে??"

"সাজুগুজু করবো।"

কথাটা চাইলে এখানেই শেষ করে দেয়া যায়। পাঁচ বছরের বাচ্চার বলা কথা, বাড়িয়ে লাভ?! কিন্তু, এই কথাচ্ছলে যদি ওকে আরও দুইটা বিষয় শিখিয়ে দেয়া যায়, হয়ত কথাগুলো মনের মাঝে দৃঢ় হয়ে বসবে। ইনশাআল্লাহ।

এক্ষেত্রে বাচ্চাকে বলা যায় "এটা কেমন কথা!" বা "এমন ভাবতে নেই।" তাহলে এরপরের বার হয়ত আর নিজের মনের ভাবনাটা বলবে না খুলে। কিন্তু যেই দুইটা বিষয় ওকে আমি বুঝাতে চাইছি, সেগুলো তো অনেক সিরিয়াস বিষয়-- ওকে শোনাবো কিভাবে?? তখন জিজ্ঞেস করলাম, আমাদের কে বানিয়েছেন? বলল, আল্লাহ! কেন বানিয়েছেন? এখানে কিন্তু চুপ করে গেল। এই কেন তার জানা নেই। তবে কেবল বড় হয়ে "সাজুগুজু" করার জন্য বানিয়েছেন সেটাও মনেহয় ভাবতে পারলো না।

তখন তাকে বললাম, বড় হলে সাজতে তো পারবেই ইনশাআল্লাহ, তবে মুসলিমের জীবনে সাজা ছাড়াও আরও অনেক কাজ আছে, তাই না? নামায পড়া, রোজা রাখা, হিফজ করা, আল্লাহর কথা শোনা, অন্যকে বলা, বড়দের হেল্প করা... ছোটদের খেয়াল রাখা... আল্লাহ আমাদের বানিয়েছেন আল্লাহর ইবাদত করার জন্য। এর ফাঁকে ফাঁকে ইনশাআল্লাহ সাজবে, ছবি আঁকবে, যা কিছু আল্লাহ করতে পারমিশান দিয়েছেন সবই করবে!

বুঝলো। কিন্তু আরেকটা বিষয় যে বাকি? আচ্ছা মা, সাজগোজ কিভাবে করবা? "লিপ্সটিক, নেল পালিশ, ক্লিপ দিয়ে সাজবো। গুটায় গুটায় (বেণী) চুল বাঁধবো!" সেজে কি বাইরে যাবা? "বাইরের মানুষের সামনে কি সাজতে হয় যে সেজে বাইরে যাবো??" বোকার মত প্রশ্ন করার কারণে ধমক খেয়ে আর কথা বাড়ালাম না!

এই যে কথোপকথন, এখানে এমন কিছু আসেনি যা বলতে আমার বিশেষ কোনও জ্ঞান থাকার প্রয়োজন ছিল। এমন কোনও বিষয় উঠে আসেনি যার জন্য আলাদা করে মেয়ের ক্লাস নিতে হবে। আলাদা করে বলার চেয়ে বেশী কাজে দেয় খেলাচ্ছলে বা গল্প কথার মাধ্যমে কিছু বললে। তাহলে এমন ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশী কোন জিনিসটার প্রয়োজন??

বাবা মায়ের সময়ের। তাঁদের মনোযোগের। এবং অনেক বেশী communication এর! বুঝতে হবে। সময় সবসময়ই অমূল্য। কিন্তু সন্তানকে দেয়া বাবা মায়ের সময়, মনোযোগ এসবকে অমূল্য বললেও কম বলা হবে!!

-- নায়লা নুযহাত

আজকে রাতেও স্টার প্লাসে

আজকে রাতেও স্টার প্লাসে 'ইস পেয়ার কো কিয়া নাম দু' নাটকটা প্রচারিত হবে। হয়তোবা খুব গুরুত্বপূর্ণ পর্ব আছে আজকে; টনটনে উত্তেজনা অথবা অন্তরঙ্গতার!

কিন্তু সে মেয়েটার কাছে তার কি মূল্য আছে যে আজকে সড়ক দুর্ঘটনায় চাপা পড়ে মারা গেল? সে হতে পারে গতকালের পর্বটা দেখেছে, হয়তোবা আজকের পর্বও দেখার অপেক্ষায় অধীর ছিল। এই সময়গুলো তার জবাবদিহিতার বোঝা ভারী করা ছাড়া আর কোন কাজে আসবে কি?

আজকের পর্বটা তিনি দেখতে পাবেননা। কিন্তু তার বয়সী হাজার হাজার মেয়ে দেখবে। তারাও চিন্তা করবে কুরআন পড়া, ধর্মকর্ম করা যাবে শেষ বয়সে গিয়ে। এখনই যে আমার শেষ বয়স না তার নিশ্চয়তা কোথা থেকে পাচ্ছি আমরা?

লেখাটা একটু কঠোর শোনায়। মানুষ মারা যাবার এভাবে বলাটা ঠিক কি? কিন্তু আমরা তো শিক্ষা নিইনা। তার পরিচিত বান্ধবীরা হয়তো আজকের পর্ব দেখবেনা, কিন্তু এক সপ্তাহ পর? কত মা আশা করে ছিলেন ঝিলিক তার মায়ের কাছে ফিরে যাবে। এখনও ঝিলিক তার মায়ের কাছে যায়নি, মা নাটকটাও স্টার জলসায় শেষ হয়নি। উপরন্তু দর্শক অসংখ্য মা রঙিন ধাঁধাময় এই দুনিয়া থেকে বিদায় নিতে বাধ্য হয়েছেন। লাক্স সুন্দরী রাহার দুর্গন্ধময় লাশ থেকে কি আমরা আদৌ কোন শিক্ষা পেয়েছি?

-- সাজিদ করিম

dampotto : উত্তম স্ত্রীর গুণাবলী

​​জীবনসঙ্গিনী একজন পুরুষের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। উত্তম স্ত্রী যিনি জীবনে পান, তিনি একজন ভাগ্যবান পুরুষ। ​তেমনি একজন স্ত্রীর কাছে যিনি ভালো স্বামী তিনিই প্রকৃত উত্তম চরিত্রের মানুষ। ​একজন সফল ব্যক্তির পাশে থাকেন তার সুযোগ্য সহযোদ্ধা, সহযাত্রী, বন্ধু হিসেবে তার স্ত্রী।  সৎ এবং চরিত্রবান স্ত্রী একজন পুরুষের জন্য এই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সম্পদ।​ ​একজন অসাধারণ জীবনসঙ্গিনীর অনেক উত্তম গুণাবলী হতে পারে, তার মধ্যে কয়েকটি হলো --​
​​
১) স্বামী বাইরে থেকে ফিরলে সম্ভব হলে দরজাটা নিজেই খুলে দেন, একটি হাসি উপহার দিয়ে দু'জনের মাঝে শান্তিময় পরিবেশ সৃষ্টির জন্য আল্লাহর কাছে দু'আ চেয়ে তাকে বলেন, "আসসালামু আলাইকুম।"

২) তার জীবনসঙ্গী কাজ শেষে বাসায় ফেরার পর তাকে ফ্রেশ হয়ে নিতে প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো এগিয়ে দিন। একটু কষ্ট করে তার জন্য সময়মত খাবারটি পরিবেশন করেন। সুসংবাদটি তাড়াতাড়ি জানান এবং খারাপ সংবাদ থাকলে একটু সময় নিয়ে তারপর বলেন।

৩) স্বামীর নির্দেশনাগুলো শোনেন এবং সাধ্যমত চেষ্টা করেন যেন তাকে সন্তুষ্ট রাখা যায়। ​কোন বিষয় নিয়ে স্বামীকে কখনো চাপে রাখেন না বরং তার মনে শান্তি দেয়ার চেষ্টা করেন।

৪) যদি তার​ জীবনসঙ্গী মানুষটা ​​কখনো তাকে কষ্ট বা আঘাত দিয়ে ফেলে, তিনি নিজেকে শান্ত রাখেন। খেপে যান না কেননা তিনি ধরেই নেন হয়ত তাকে ইচ্ছাকৃতভাবে কষ্ট দিতে চাননি, অসতর্কতায় এমনটি হয়ে গেছে।

৫) জীব​ন​সঙ্গী​র ছোট ছোট ভুলগুলো তিনি এড়িয়ে যান এবং তার ভালো কাজগুলোকে উৎসাহিত করেন। তার পরিশ্রমের কাজগুলোর ব্যাপারে প্রশংসা করেন।

৬) নিজেকে পরিপাটি ও সুন্দর করে উপস্থাপন করেন স্বামীর সামনে​ যা তিনি অন্য কারো সামনে, কারো জন্য করেন না​। সম্ভব হলে সুগন্ধি ব্যবহার করেন।

৭) সৌহার্দ্যপূর্ণ ভালোবাসার গলায় জীবনসঙ্গীর সাথে কথা বলেন। এই কোমল সুরে তিনি অন্য কোন পুরুষের সাথে কখনো কথা বলেন না। যাদের বিয়ে করা নিষিদ্ধ নয় এমন পুরুষদের সাথে যথাসম্ভব কোমলতাহীন কন্ঠে এবং সাধ্যমতন সংক্ষিপ্তভাবে কথা বলাই ইসলামের শিক্ষা।

৮) তার স্বামীর আয় থেকে অতিরিক্ত ব্যয় করেন না, অবর্তমানে তিনি তার সংসারের সবকিছু এমনভাবে দেখভাল করেন যেন স্বামীর অপছন্দের কিছু না ঘটে।

৯) জীবনসঙ্গী যখন খারাপ সময়ের মধ্য দিয়ে যায়, তিনি তার পাশে থাকেন​, ধৈর্যধারণ আর সদুপদেশ দিয়ে তাকে ধীরস্থির হয়ে সময় কাটিয়ে ওঠার পথে সাহায্য করেন​।

১০) স্বামী তার প্রতি সঠিক আচরণ না করলেও ধৈর্য ধরেন, চেষ্টা করেন তাকে উত্তম উপায়ে তার প্রত্যুত্তর দিতে।

১১) শালীনতা রেখে উত্তম পোশাক পরেন যাতে কেননা পোশাকে রুচিবোধ ফুটে ওঠে। ঈমানের সাথে লজ্জার সম্পর্ক খুবই গভীর। যিনি যত বেশি ঈমানের অধিকারী/অধিকারিণী তার লজ্জাবোধ তত বেশি। একজন উত্তম মুসলিমাহ এসব বিষয়ে সচেতন দৃষ্টি রাখেন।

১২) সন্তানদের ইসলামিক জ্ঞানে বড় করে তুলতে সামর্থ্যের সর্বোচ্চটুকু করেন। নিজেও আন্তরিকভাবে ইসলাম সম্পর্কে শেখেন এবং স্বামী-স্ত্রী দু'জনে মিলে জীবনে ইসলামকে মেনে চলেন। বাবা-মায়ের আচরণ সন্তানদের প্রভাবিত করে, তাই বাবা-মায়েরা নিজেরাও সচেতন থাকেন নিজেদের ব্যক্তিগত চরিত্র, স্বভাব এবং আচরণ নিয়ে।

♥ উত্তম স্বামীর গুণাবলী নিয়ে আমাদের পূর্বেকার পোস্টখানি : https://www.facebook.com/dampotto.life/posts/686711571347968

ধরেন আপনার পরিচিত কেউ মারা গেলো

একটা জিনিস আপাত দৃষ্টিতে খুব নিরীহ মনে হতে পারে.........

যারা এটার বিরুদ্ধে কথা বলে তাদেরটা বাড়াবাড়ি লাগতে পারে, কিন্তু সত্যি হচ্ছে কিছু কিছু জিনিস আপনার অবচেতন মনে কখন কোন দিক দিয়ে প্রবেশ করেছে আপনি হয়ত টেরও পান নি.........এবং কখন সেই বিশ্বাসের উপর আমল করা শুরু করে দিয়েছেন তাও জানেন না! এটাও জানেন না যে সেই কাজের পারলৌকিক পরিণতি কতটা ভয়ংকর হতে পারে! আমি হিন্দী সিরিয়ালের কথা বলছি.........

ধরেন, আপনার পরিচিত কেউ মারা গেলো। আপনি সিরিয়ালে দেখেছেন স্বামী মারা গেলে হিন্দু নারীর শাখা খুলে নেয়া ও সিঁদুর মুছে দেয়া অত্যন্ত রোমান্টিক একটা দৃশ্য। মহিলা চিৎকার করে বিলাপ করে কাঁদতে থাকবে, অন্যরা জোর করে তার শাখা ভেঙ্গে দিবে। একটা পর্ব হবে শুধু এই ঘটনার উপরে। আপনার চোখে পানি এসে যাবে, কারণ ঘটনাটা খুবই দুঃখের! আপনার একবারো মনে হবে না যে এভাবে বিলাপ করে কাঁদা ইসলামের নিষেধ এবং মহিলার সাথে যেটা করা হচ্ছে এটা অত্যন্ত অমানবিক ও নিষ্ঠুর কাজ। আপনি ভুলে যাবেন যে ইসলামে 'বিবাহিত' বা 'বিধবার' বিশেষ কোনো চিহ্ন নেই। কেউ মারা গেলে আমরা স্মরণ করি যে আমরা আল্লাহর কাছ থেকে এসেছি, আল্লাহর কাছেই ফিরে যাবো। যে অলরেডি চলে গেছে, আমাদের তখন তার জন্য দুআ করতে ব্যস্ত থাকার সময়। কিন্তু আপনি যে হিন্দী সিরিয়াল দেখে অভ্যস্ত! তাই আপনি করলেন কী, এটার একটা মডিফাইড ভার্সন তৈরি করলেন। কী সেটা? আপনি ভদ্রমহিলা, যার স্বামী মারা গেছে, তার গয়না খুলে নেয়া শুরু করলেন!তাকে সাদা না হোক, হাল্কা রং এর শাড়ি পরার জন্য চাপাচাপি করতে লাগ্লেন............

আপনি ভুলে গেলেন যে এভাবে শয়তান আপনাকে আসল কাজটা থেকে ভুলিয়ে রাখছে। কী সেটা? দুআ করার কাজটা এবং নিজের অনুরূপ পরিণতি মনে করে জীবনটাকে সংশোধন করার প্রচেষ্টা.........

[collected from : sister Hamida Mubasshera]

dampotto : ইগো অপমান এবং সংসার টিকে থাকা


এক দম্পতিকে জিজ্ঞাসা করা হলো তারা কীভাবে একসাথে ৬০ বছর কাটিয়েছিলেন। তারা উত্তর দিয়েছিলেন,

আমরা যে সময়টাতে জন্মেছিলাম তখন কোন কিছুতে সমস্যা দেখা দিলে তার মেরামত করে সারিয়ে নিতাম, ছুঁড়ে ফেলে দিতাম না।

* * *

আপনার স্বামী বা স্ত্রী হয়ত আপনার সাথে এমন কথা বলেছেন কিংবা আচরণ করেছেন যা আপনার বেশ গায়ে লেগেছে, তবু যখন আপনি রাগ দেখিয়ে, জেদ প্রকাশ করে তাকে পালটা আহত করছেন না -- এর অনেকগুলো কারণের একটি হলো, আপনাদের সম্পর্কটাকে আপনি আপনার অহং বা ইগোর চাইতে উপরে স্থান দিচ্ছেন।

অভিজ্ঞরা বলেন, বেশিরভাগ দাম্পত্য সম্পর্কের ফাটল দেখা দেয় মূলত সূক্ষ্ম কিছু অমিল আর ঘটনাকে কেন্দ্রে করে যা বিবর্ধিত হতে হতে ভয়াবহ আকার ধারণ করে যার একটি প্রধান কারণ অহংবোধ বা ইগো।

সমাধানের আগ্রহ নয়, দু'জনার সম্পর্কটাকে বড় করে দেখা নয় বরং যখন নিজেকেই বেশি বড় করে দেখা হয়, তখন সম্পর্কে বিষ ঢুকে পড়ে। অহংবোধ স্বামী-স্ত্রীর মাঝে সমস্যাগুলোর সমাধানের আগ্রহটুকুও নষ্ট করে ফেলে। আল্লাহ (সুবহানাহু ওয়া তা'আলা) আমাদেরকে অহংবোধ থেকে মুক্তি দিন, জীবনসঙ্গীর প্রতি আন্তরিকভাবে কর্তব্য করে যাওয়া, দু'জনে মিলে সংসারটিকে সুন্দর করে গড়ে তোলার ও নিজেদের মাঝে সহমর্মিতা গড়ে তোলার তাওফিক দিন।

* * *

অন্যদের সামনে স্ত্রীকে বা স্বামীকে অপমান করবেন না। তার অসম্মান হয় এমন কথা সবার সামনে বলবেন না। মনে রাখবেন, তিনি আপনার দ্বীনকে পূর্ণ করেছেন। তিনি আপনার সংসারের সহযোগী, সহযাত্রী, বন্ধু। তার অসম্মান হলে বা সম্মানহানি হলে সেই কালিমা আপনার গায়েও এসে লাগবে।

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) স্ত্রীদের প্রতি ভালো ব্যবহার করতে নির্দেশ দিয়েছেন, যেন তাদের প্রতি আমরা হিংষা-বিদ্বেষ ও শত্রুতা পোষণ না করি তা শিখিয়েছেন।

যে সমাজে সারাক্ষণ মানুষকে সুড়সুড়ি দেওয়া হয়।

যে সমাজে নাটক-ছিনেমা, গল্প-উপন্যাসে, রেডিও-টিভি-বিলবোর্ডের বিজ্ঞাপনে সারাক্ষণ মানুষকে সুড়সুড়ি দেওয়া হয়। যে সমাজে পর্ণছবি বাজারের আলু-পটলের মতো বিক্রি হয়; যে সমাজে অনলাইনে নোংরামী মাত্র একটি ক্লিকের মধ্যে সহজলভ্য করে দেওয়া হয়। অন্য দিকে সহজাত চাহিদা পুরণের বৈধ পথ বন্দ করে দেওয়া হয়, সেখানে পরিস্থিতি কেমন রুপ ধারণ করতে পারে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। যারা এখনও টের পাননি, একটু অপেক্ষা করুন। আমাকে আর বুঝিয়ে দিতে হবে না। আপনিই টের পাবেন হাড়ে হাড়ে। আপনার কলিজার টুকরা কন্যা, প্রাণপ্রিয় ছেলেই আপনাকে প্র্যাকটিক্যাল করিয়ে দেবে।

সত্যিই ভাবনার বিষয়! যেখানে ১৮ বছর বয়সে একজন মানুষ সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনার মতো জনগুরুত্বপুর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেওয়ার জন্য ভোট দেওয়ার উপযুক্ত হয়; সেখানে তাকে বিয়ের মতো একটা একান্ত ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে বলা হয় 'তুমি অনুপযুক্ত'। বিচিত্র! সত্যিই বিচিত্র!!

বিয়ে-শাদী দেরিতে হওয়ার কারণে মানুষের মধ্যে বাস্তববাদিতা, দায়িত্বশীলতা ও পরিপক্কতারও মারাত্মক অভাব পরিলক্ষিত হয়। এই ছ্যাবলামোর প্রভাব সমাজ জীবনেও প্রতিফলিত হয়। এমন দৃশ্য আপনাদের চারপাশে অহরহ দেখে থাকবেন যে, ২৫-২৬ বছরের এক শক্ত সামর্থ্য যুবক বাপের হোটেলে খায় আর আড্ডাবাজি করে বেড়ায়। সমাজে কোনো অবদান তো রাখেই না, কারো দায়িত্ব তো নেয়ার মুরোদই নাই; বরং সে নিজেই সমাজের জন্য একটা বোঝা, একটা অভিশাপ।

রেস্পন্সিবিলিটি ছেলেদেরকে 'পুরুষ' বানায়। শুধু প্যান্ট পরা অর্থে পুরুষ নয়, বাস্তব অর্থে। তার চিন্তা-চেতনায় ও আচার আচরণেও তা ফুটে ওঠে । কথায়ও বলে, A man is not MAN until he takes the responsibilities of others. পুরুষ ততোক্ষণ পর্যন্ত পুরুষ হয় না, যতোক্ষন সে অন্যের দায়িত্ব ঘাড়ে না নেয়। আর এটা যতো তাড়াতাড়ি হবে, সমাজ জীবনেও ততো তাড়াতাড়ি দায়িত্বশীলতার প্রভাব পড়বে।

details : http://www.shomokalin.com/article/early-marriage

নিজেকে বিরত রাখছে শত পাপের কাজ থেকে

​​
যে যুবক আল্লাহ্‌ তা'আলার ভয়ে নিজেকে বিরত রাখছে শত পাপের কাজ থেকে আর নিজেকে সাজিয়েছে নবী (সা) এর সুন্নতের সাজে, সে যুবক পারত নিজের যৌবনে উন্মত্ততাকে কাজে লাগিয়ে নানা পাপে লিপ্ত হতে, সে পারত নারীদের সাথে অবৈধ প্রেমের স্রোতে ভেসে যেতে, সে পারত দুনিয়ার নানা পাপের রূপ-গন্ধ-স্বাদ অনুভব করতে; কিন্তু কে তাকে বিরত রাখছে এসব থেকে!?
তা একমাত্র আল্লাহ্‌ তা'আলার ভয়!!

আবার যে তরুনী, যে যুবতী পারত নিজের যৌবনের অহংকারে ডুবে যেতে, নানা পাপের কাজে নিজে ভেসে যেতে সাথে সাথে শত শত জনকে ভাসিয়ে নিতে; নিজ যৌবনের রংকে প্রকাশ করে দর্শকের চোখকে তাতিয়ে দিতে; সে কেন নিজেকে ঢেকে রেখেছে পর্দার বিধানে, কেন সে নিজেকে দূরে সরিয়ে রেখেছে পাপময় রঙ্গিন দুনিয়ের মৌজ-মাস্তি থেকে? কেউ কি তাকে বাধ্য করেছে!? না, সে তা একমাত্র করছে আল্লাহ্‌ তা'আলার ভয়ে, তাঁর প্রেমের মোহে!!

যখন অন্য যুবক-যুবতীদের রাত কাটছে নানা পাপ আর অশ্লীলতার কাজে, তখন এসব যুবক-যবতীদের অনেকে লোকচক্ষুর অন্তরালে দাঁড়িয়ে যাচ্ছে মহা-প্রভুর সামনে, তার জায়নামাজ ভিজে যাচ্ছে আল্লাহ তা'আলার ভয়ে চোখ থেকে নির্গত অশ্রুর বন্যাতে!!

যে আল্লাহ্‌ তা'আলার ভয়ে এইসব যুবক-যুবতীরা, যৌবনের অবৈধ উচ্ছ্বাস থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখছে, যৌবনের চোখ-ধাঁধানো ক্ষণস্থায়ী আহ্বান থেকে মুখ ফিরিয়ে রাখছে, জীবনের সবচেয়ে উশৃঙ্খল সময়টাকে শৃঙ্খলতায় আটকে রাখছে,জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান সময়টাকে যখন অন্য যুবক-যুবতীরা বেপরোয়াভাবে উপভোগ করছে, শত ইচ্ছা থাকা সত্তেও তখন আল্লাহ্‌র ভয়ে সেই যুবক-যুবতীরা নিজেদেরকে সংযত রাখছে; দয়াময় সে আল্লাহ্‌ কি বিচার দিবসের দিন তাদের এই ত্যাগ-তিতিক্ষাকে ভুলে যাবেন!? কখনোই না!! দুনিয়ার জীবনের ক্ষণস্থায়ী যৌবনকালকে যারা সংযত রেখেছে, আখেরাতে তারা এমন যৌবন লাভ করবে যার কোন লয়-ক্ষয় নেই।

যেসব উপহাসকারী, ব্যঙ্গকারীরা এইসব যুবক-যুবতীদেরকে জঙ্গী-নিনজা বলে উপহাস করত, ব্যাক-ডেটেড বলে অবজ্ঞার দৃষ্টিতে দেখত, আখেরাতে সেইসব যুবক-যুবতীদের আপডেটেড জীবন দেখে অবজ্ঞাকারীরা হতচকিত হয়ে যাবে! আল্লাহ্‌ তা'আলার আরশের ছায়ার নীচে সেসব যুবক-যুবতীদের দেখে উপহাশকারীরা করুণ চোখে চেয়ে থাকবে; জান্নাতের উচ্চাশনে সেসব যুবক-যুবতীদের অধিষ্ঠিত দেখে তারা বেদনার অশ্রু ঝরাতে থাকবে, আর শত-কোটি আফসোস করে বলতে থাকবে- "আহ! আমরাও যদি হতাম এই সৌভাগ্যবান যুবক-যুবতীদের মতো।"

আল্লাহ্‌ তা'আলা সকল যুবক-যুবতীদের তাঁর রঙ্গে রঙিন হওয়ার তাওফীক দান করুন, তাদের সকলকে আল্লাহ্‌ তা'লার হাবীবের সাজে সাজার সদিচ্ছা দান করুন।

হে আল্লাহ্‌! আমাদেরকে এমন যুবক-যুবতী হওয়ার তাওফীক দান করুন যাদেরকে আপনি ভালোবাসেন, তারাও আপনাকে ভালোবাসে এবং নিজেদের যৌবনকালকে সকল অনাচার থেকে হেফাজত করে।

(Collected)

এক আত্মীয়া বললেন ওনার মেয়ের জন্য পাত্র দেখতে

​​
আমার এক আত্মীয়া বললেন ওনার মেয়ের জন্য পাত্র দেখতে। বললেন, "তোমার মত পাত্র চাই, তবে দাড়ি থাকতে পারবেনা, আর এত নামায কালাম না করলেও হবে। তবে ধার্মিক হতে হবে!"

আমি বললাম, "জি আন্টি, অনেক ভাল পাত্র আছে হাতে, দাঁড়িও নেই, নামাজ কালাম পড়েনা, তবে অনেক ধার্মিক। ছেলের নাম নারায়ণ চক্রবর্তী। কথা বলব নাকি।"

উনি চোখ গরম করে বললেন, "কি বেয়াদব ছেলেরে বাবা, ফাইযলামি কর আমার সাথে?"

আমি বললাম, "ফাইযলামি তো আপনি করলেন আমার সাথে, আর সবসময়ই করে আসছেন ইসলাম 'ধর্ম' নিয়ে।"

আন্টি বললেন, "যাও লাগবেনা দেখা পাত্র। দরকার নাই তোমার মত হুজুর।"

আমি বললাম "হুজুরদেরও মনে হয় খুব দরকার নাই আপনাদের মেয়েদের।"

-- আবু মুয়াজ

​হতাশা : যীনাত

​​
​হতাশা [গল্প]

দুপুর দুটো। কড়া রোদ। মেয়েটা ওভারব্রীজ দিয়ে যাচ্ছে। সে আজ খুব ক্লান্ত। সকাল থেকে খাওয়া হয়নি। টাকাও নেই কাছে। তার ওপর ক্লাসমেটের বাবার জন্য ফান্ড রেইজ করতেও পরিশ্রম গেছে আজ। শুধু তাই না। মেডিকেল বলে কথা। ভর্তি হতে না হতেই এত্তোগুলো পড়া ! হঠাৎ , ভিক্ষুক ছেলেটা পা জড়িয়ে ধরল। - ধরো না ভাই, নাই আমার কাছে।

আরেকবার মেয়েটা ওভারব্রীজের ওপর। একদম বাচ্চা একটা মেয়ে পা ধরতে গেল – এই, পা ধরবে না। আমি ও মানুষ, তুমিও মানুষ। দুজনই আল্লাহর বান্দা, বুচ্ছ? নাও।

দশটাকার নোটটা ধরিয়ে আবার হাঁটতে লাগল ও। শীতের শুরু। আবহাওয়া ভাল। মনটাও ভাল। আজ প্রফ ছিল। খুব ভাল হয়েছে। ওর জীবনে এরচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আর কি আছে ! সামনে থার্ড ইয়ার, আরও অনেক পরিশ্রম করা দরকার। - সব আল্লাহর ইচ্ছা।

তীব্র শীত পড়েছে। নিঃশ্বাস নেয়াও কষ্টকর। সন্ধ্যা হয়ে গেছে। ক্লান্ত শরীরে দ্রুত হাঁটতেও পারছে না মেয়েটা। - আবার ওভারব্রীজে উঠতে হবে? ঝামেলা !

ব্রীজের কোণায় অন্ধকারে দাঁড়িয়ে আছে ভিক্ষুক একটি ছেলে। দুর থেকে মেয়েটাকে চোখে পড়ল তার। হাতে দামী ফোনটা আলগা করে ধরা। কাছে আসতেই মেয়েটার চেহারা চিনতে পারল সে। আর তারপর, হাতের চাকুটা লুকিয়ে ফেলল।

ওভারব্রীজে ওঠার ঝামেলা টেরও পেলনা মেয়েটা। চিন্তার বোঝা মাথায় করে সবগুলো সিঁড়ি কখন পার করেছে জানে না ও। কোন ভিক্ষুককে তার চোখে পড়েনি।
আজ চারপাশ চুপচাপ। সবকিছু খালি খালি। হরতাল না অবরোধ কি যেন ছিল।
সামনে বাড়ির গেট। ঘরে ঢুকেও হরতাল নাহয় অবরোধ একটা কিছু থাকবেই। জীবন যন্ত্রণা। আর পড়াশুনা করবে না ও। - ডাক্তার হয়েই বা কি?

যে স্রষ্টার ওপর এতোদিন ভর করেছে ও , সেই স্রষ্টা তাকে ভুলে গেছে। আজ এটুক ও নিশ্চিত।

-- যীনাত আক্তার

খালি মিলাদ শেষে তবারক মিলে

আমাদের সমাজে যারা মুরব্বী আছেন তাদের মধ্যে যারা মাদ্রাসা শিক্ষিত তাদের মাঝে আদব কায়দার গুরুত্ব আকাশ চুম্বি। তারা মাঝে মাঝে এমন বিহেভ করেন যে মনে হয় বেয়াদবিটা শিরকের চাইতেও বড় গুনাহ। মুরব্বীদের সম্মানের গুরুত্ব এতটাই অধিক বর্ণনা এবং সেটা এতই উচ্চ পর্যায়ে নিয়ে আসেন যে মনে হয় মুরব্বীরা খোদার আসন পেয়ে গেছেন। (নাউজুবিল্লাহ)

পরিচিত এক ছেলে বিয়ে করেছে। তার বাবা হলেন মস্ত বড় হুজুর। বাবা বিয়েতে রাজি ছিলেন না, শেষ পর্যন্ত ছেলের সাথে না পেরে উঠে বিয়ে দিতে বাধ্য হলেন। কিন্তু বিয়ের পরে মেয়েকে তুলে আনলেন না। কুটুম বাড়ির সাথে একফোটাও সৌজন্যতা করলেন না। পরে ছেলে একদিন তার বউকে নিয়ে ঘরে উঠলো, কিন্তু মাওলানা শশুর মশাই মেয়েটার সাথে কথাই বললেন না। দিন গড়াচ্ছে কিন্তু মাওলানার গোয়ার্তুমি যাচ্ছে না। উনার একটাই অভিযোগ, ছেলে বেয়াদব, বাপের কথা শুনেনি।

অথচ এই মাওলানা সাহেব ভালো করেই জানেন যে ছেলেদের বিয়ে করতে বাপের থেকে ছাড় পত্র নিতে হয় না। তার পরেও তিনি কতো কুরআন হাদিস ঝেড়ে বলেন "বদ দোয়ার চোটে এই পোলা জাহান্নামে যাবে" ওনার এই ফতোয়ায় আমার বেশ সন্দেহ হয়!

তিনি আমার উস্তাদ, ক্লাস ফাইভ পর্যন্ত উনার আন্ডারে পড়েছি। আমি নিজ কানে বহুবার শুনেছি তিনি বলতেন "চরিত্র রক্ষার্থে যে বিয়ে করলো আল্লাহ তার সহায় হয়ে যান"...

মিলেনা, কিছুই মিলে না। খালি মিলাদ শেষে তবারক মিলে।

--- তারিক ভাই

dampotto : যে ৮ টি বিষয় আপনার দাম্পত্য জীবনকে অশান্তিময়, দুর্বল এবং অকার্যকর করতে থাকে

যে ৮ টি বিষয় আপনার দাম্পত্য জীবনকে অশান্তিময়, দুর্বল এবং অকার্যকর করতে থাকে--


১) খারাপ ব্যবহার করা : তাকে এমন কিছু নিয়ে ঠাট্টা করা যাতে সে আঘাতপ্রাপ্ত হয়। এমন ধমক দেয়া যা অন্যদের সামনে তার অসম্মান হয়ে যায়। তাকে অপমান করা আপনার প্রতি তার শ্রদ্ধাবোধকে কমিয়ে দিবে।

২) উপেক্ষা করা : তার পছন্দ, ভালোলাগা কিংবা তার কথাবার্তাকে গোণায় না ধরা বা পাত্তা না দেয়া। হয়ত সে সালাম দিয়েছেন আপনাকে, আপনি উত্তর দিলেন না। বেশ কিছুদিন যাবৎ খুব আগ্রহ নিয়ে হয়ত সে কিছু বলছে কিন্তু আপনি বিশেষ কারণ ছাড়াই তার কথার পাত্তা দিচ্ছেন না।

৩) মিথ্যা বলা : দুষ্টামি করেও মিথ্যা বলা সঠিক নয়। আল্লাহ মিথ্যাকে নিষিদ্ধ করেছেন। আল্লাহ আমাদেরকে শয়তানের এই ওয়াসওয়াসা থেকে রক্ষা করুন।

৪) কথা দিয়ে কথা না রাখা : কথা দিয়ে কথা রাখা বা ওয়াদা রক্ষা করা একজন মু'মিনের বৈশিষ্ট্য। বিষয়টি দাম্পত্য সম্পর্কের ক্ষেত্রেও খুব গুরুত্বপূর্ণ।

৫) এড়িয়ে চলা : অনেকদিন পর দেখা হলে বন্ধুদেরকে বা ভাইদের আমরা জড়িয়ে ধরি, কোলাকুলি করি। আপনার স্ত্রীকে জড়িয়ে ধরতে পারেন না? পারবেন, অস্বস্তি লাগলেও তা ভেঙ্গে ফেলুন। ভালোবাসার প্রকাশ থাকা খুবই প্রয়োজন।

৬) সন্দেহ ও গীবত করা : কখনো সন্দেহ করতে যাবেন না। সন্দেহ সম্পর্ককে ধ্বংস করে। আপনার জীবনসঙ্গী আপনার খুব কাছের মানুষ এটা সত্যি। কিন্তু খুঁতখুঁত করে যদি তার বিষয়ে অনেক ঘাঁটাঘাঁটি করেন, আপনি নিঃসন্দেহে হতাশ হবেন। মানুষ কখনো নিখুঁত নয়। আর মনে রাখবেন, প্রত্যেকে তার নিজ নিজ হিসাব দিবে। তাই সন্দেহ দূর করুন। স্বামী বা স্ত্রী একে অপরের চাদরস্বরূপ, ছোট-খাটো ভুলত্রুটি বা সীমাবদ্ধতা নিয়ে অন্যদের কাছে বলে বেড়াবেন না, গীবত করবেন না।

কুরআনুল কারীমে আল্লাহ বলেছেন :

"হে মুমিনগণ, তোমরা অনেক ধারণা থেকে বেঁচে থাক। নিশ্চয় কতক ধারণা গোনাহ। এবং গোপনীয় বিষয় সন্ধান করো না। তোমাদের কেউ যেন কারও পশ্চাতে নিন্দা না করে। তোমাদের কেউ কি তারা মৃত ভ্রাতার মাংস ভক্ষণ করা পছন্দ করবে? বস্তুতঃ তোমরা তো একে ঘৃণাই কর। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তওবা কবুলকারী, পরম দয়ালু।" -- [আল হুজুরাত, ৪৯ : ১২]

৭) খুব বেশি ব্যস্ততা : অপরজনের জন্য কিছু সময় রাখবেন। পারস্পরিক কথাবার্তা আর সময়গুলো সম্পর্ককে প্রগাঢ় করে। তার প্রতি আপনার কর্তব্য রয়েছে, আপনার কিছু দায়িত্ব রয়েছে। কিছুটা সময় তিনি পাওয়ার অধিকার রাখেন। এই বিষয়টি খেয়াল রাখুন।

৮) নামাজ এবং অন্যান্য ইবাদাত না করা : যে ব্যক্তি আল্লাহর ইবাদাত না করে, নামাজ না পড়ে এবং আল্লাহর নির্দেশিত পথে না চলে, আল্লাহ তার প্রতি সন্তুষ্ট নন। নিয়মিত নামাজ না পড়া, অশ্লীল কাজ, হারাম উপার্জনগুলো থেকে সরে না আসার কারণে অনেক সংসার ভেঙ্গে গেছে। আল্লাহর প্রতি কর্তব্য পালনে অলসতা-উপেক্ষা করার কারণে মুসলিম সংসারে অত্যন্ত দ্রুত ভাঙ্গন ধরে যায়।

আল্লাহ আমাদেরকে ভুলত্রুটি ক্ষমা করুন এবং আমাদের সরল সঠিক পথে পরিচালিত করুন। আমাদের পরিবারগুলোতে রাহমাত এবং বারাকাহ দান করুন।

বন্ধু আমাকে তার জন্য পাত্রী খুঁজে দেবার জন্য অনুরোধ করল

আমার এখানকার এক বিত্তশালী বন্ধু আমাকে তার জন্য পাত্রী খুঁজে দেবার জন্য অনুরোধ করল। পাত্রীকে হতে হবে 'সৎ লোকের কন্যা।'

আমি এক জায়গায় কথা বলা শুরু করলাম। মেয়ের বাবা মরক্কোর অধিবাসী। দীর্ঘদিন যাবত প্যারিসে বসবাস করছেন। মেয়ের বাবা-মার পাত্র সম্পর্কে কোন আপত্তি নেই। তারা বললেনঃ মেয়ের সাথে পরামর্শ করে জানাবেন।

এরপর উভয়পক্ষ ছেলে-মেয়ের উভয়ের সাক্ষাতের দিনক্ষণ ঠিক করল। নির্দিষ্ট দিনে আমরা একসাথে মিলিত হলাম। ছেলে-মেয়েকে একটু দূরে রেখে মেয়ের বাবা-মা, আমার স্ত্রী ও আমি কথা বলতে লাগলাম। দূর থেকে দৃষ্টি দিয়ে দেখলাম মেয়েটি একটি কাগজ বের করছে। আশ্চর্য হয়ে মেয়ের মাকে বললামঃ ওটা কি?

তিনি জানালেনঃ মেয়ে পাত্রের সার্বিক জীবন সম্পর্কে জানার জন্য কিছু প্রশ্নপত্র তৈ্রী করেছে। এর উত্তরের আলোকেই সে তার জীবনসঙ্গী নির্বাচন করবে। প্রশ্নের অধিকাংশই ফ্রেঞ্চ ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে। আমার বন্ধু এই ভাষা বেশি জানত না। তাই সাহায্য করার জন্য আমাকে কাছে ডাকলো।

তিন পৃষ্ঠার প্রশ্নপত্র। প্রথম পৃষ্ঠায় তার ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে-নাম, পিতার নাম, ঠিকানা, উচ্চতা, ওজন, শিক্ষা, ব্যবসা, মাসিক উপার্জন, সম্পত্তি ইত্যাদি।

দ্বিতীয় পৃষ্ঠায় মূল প্রশ্ন।সেখানে ছিলঃ-

- ইসলাম ও ধর্মের সাথে আপনার কেমন সম্পর্ক রয়েছে?
- ৫ ওয়াক্ত নামায পড়েন?
- ইসলামের জন্য কত সময় ব্যয় করেন?
- কুরআন কতটুকু মুখস্ত?প্রতিদিন কতটুকু তেলাওয়াত করেন?
- কত হাদিস মুখস্ত?হাদিসের কোন কিতাব পড়েন?
- স্বামী-স্ত্রীর অধিকার সম্পর্কে এক পৃষ্ঠা লিখুন।
- ছেলে সন্তানের প্রতি বেশি আগ্রহ নাকি মেয়ে সন্তান?
- বিয়ের পর যে সন্তান জন্ম নেবে তার কি নাম রাখতে আগ্রহী?
- জীবন-সঙ্গিনীর কি গুণ দেখতে আপনি আগ্রহী?

প্রশ্নগুলি পড়ছিলাম আর মনে মনে ভাবছিলাম,এমন অনৈসলামিক পরিবেশেও ইসলামের প্রতি কি সীমাহীন ভালোবাসা!এ প্রশ্নপত্র মূলত একজন ব্যক্তির পূর্ণাংগ জীবন ও চিন্তা-ভাবনা সম্পর্কে অবগত হওয়া।

আমি জিজ্ঞাসা করলামঃ 'শেষ পর্যন্ত বিয়েটা হয়েছিল?'

আমের ভাই বললেনঃ 'না। যদিও আমার বন্ধু সব প্রশ্নের উত্তর দেবার চেষ্টা করেছে। কিন্তু মেয়ে সন্তুষ্ট হয়নি। সে বলেছে, আমার স্বামীকে হতে হবে প্রভুর প্রতি নিষ্ঠাবান। যে নিজ স্রষ্টার প্রতি শোকরগুজার না, কাল সে আমার সাথে কি ব্যবহার করবে?'

আমি ভাবছিলাম আমাদের সন্তানরা যদি ভবিষ্যতের সিদ্ধান্তের ব্যাপারে স্বামীর দ্বীনদারী সম্পর্কে জেনে নেয় তবে ভবিষ্যত জীবন নিঃসন্দেহে সুখময় কাটবে।

Collected..

প্রেম পিরীতির গ্যাড়াকলে

জনৈক বৎস প্রেম পিরীতির গ্যাড়াকলে পড়িয়া বিরক্তির সহিত কহিল,

প্রেম একখানা স্বর্গীয় বস্তু ...
যারা স্বর্গ থেকে নামিয়া আসে ...

এবং আমাদিগকে সরাসরি নরকের দিকে ঠেলিয়া নিয়া যায়।

- নাজমুস সাকিব

* * *

অন্য নারী গায়ের ওপর ঢলে না পড়লে শেভিং ব্লেড কেনা সার্থক হয়না [নারীর সংখ্যা একাধিক হতে পারে, আর একাধিক বিয়ে করলেই যত সমস্যা!]

অপবিত্র মুখভঙ্গি না করলে খাবার জিনিসের মজার প্রমাণ মেলেনা [এই নোংরা অ্যাড বাচ্চারাও দেখছে]

গায়ের রঙ ফর্সা না হলে মেয়ের বিয়ে হয়না [বাহ, আর কোন গুণের প্রয়োজন নেই, গায়ের চামড়া ঘষে একপরত তুলে ফেললেই বিয়ে সুনিশ্চিত],

পাউডারের সুবাসে অন্য পুরুষকে বিমোহিত করতে না পারলে চাকরী মেলেনা [তাহলে পাউডার লাগালেই হয়, লেখাপড়া করে মেধা, টাকাপয়সা আর সময় নষ্ট করার দরকার কি?

এবং সবচেয়ে মজার ব্যাপার ত্রিশ সেকেন্ডের একখানা অ্যাডের শেষে একখানা টুথপেস্টকে কেন্দ্র করে দাদি নানি থেকে রাস্তার লোক পর্যন্ত সব নাচতে থাকে।

সুখী সম্বৃদ্ধ বাংলাদেশের সার্থক চিত্র!

* * *

মান্না দে সাহেবের গান শুনেছিলাম কোন এক সময়ে ...

"যদি কাগজে লিখ নাম, কাগজ ছিড়ে যাবে।
পাথরে লিখ নাম, পাথর ক্ষয়ে যাবে।
হৃদয়ে লিখ নাম, ও নাম রয়ে যাবে। হুম..."

কাগজ-পাথরের বিষয় দুটি পরিষ্কার। কিন্তু হৃদয়ের বিষয়টি আজকাল আর তেমন নয়। এখন অধিকাংশ বালক-বালিকার হৃদয় খুললে দেখা যাবে, কত নাম যে তাতে লেখা হয়েছে, কত নাম যে সেখান থেকে মুছে গেছে!! একমাত্র কাবিননামায় রেজিষ্ট্রি করা যে নামটি লেখা হয়েছে, সেটাই শুধু রয়ে যায় ...

সেজন্যই আমরা বলি -- প্রেম নয়, বিয়ে করুনঃ আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করুন

[সংগৃহীত এবং পরিমার্জিত]

dampotto : বাইরে ঘুরে আসা

ভাই, আপনার স্ত্রী কিন্তু আপনার সাথে ঘুরতে পছন্দ করেন। হয়ত অনেকদিনের সংসার, অনেক কাজ, অনেক ঘটনা আর অনেক টানাপোড়েনে খেয়ালই নেই এসব ভাবার। কিন্তু নিজেদের এই সম্পর্কটা ফুলে পানি দিয়ে তাজা করে রাখার মতন একটু জিইয়ে রাখতে হয়। অনেক কিছুর মাঝেও একটু সময় করে নিন, দু'জনে মিলে একটু বের হোন। সম্ভব হলে সন্তানদের থেকে অন্তত ঘন্টাখানেক হলেও দু'জনে বাইরে ঘুরে আসুন। অন্তত রিক্সায় করে কোথাও গিয়ে আবার ফেরত আসুন। দু'জনের সম্পর্কের জন্য সেটা ভালো হবে দেখবেন ইনশা আল্লাহ... 

কুরআন হাদীসে কোথায় লেখা আছে অসভ্য আরব জাতির মত পর্দা করতে হবে?

প্রায় অর্ধনগ্ন এক মহিলা বললেন, "কুরআন হাদীসে কোথায় লেখা আছে অসভ্য আরব জাতির মত পর্দা করতে হবে?" 

উত্তরঃ কুরআন হাদীসে কোথায় লেখা আছে আপনার মত অর্ধ নগ্ন থাকতে হবে? আগে নিজের সাইকেলের চাক্কা লাগান। তারপর আমাদের মার্সিডীয এর টায়ার নিয়ে ভ্যাটভ্যাট করবেন। ওকে? 

-- নাজমুস সাকিব

* * * *

এক ব্যক্তি তার স্ত্রীকে বলছে,
"অ্যাই শোনো, তুমি কি আমাকে স্বপ্নে দেখো?"
স্ত্রী : নাহ।
স্বামী : কেন?
স্ত্রী : কারণ আমি ঘুমানোর আগে আয়াতুল কুরসি পড়ে ঘুমাই।

:P :P


dampotto : সম্পর্ক ও তর্ক

যারা নিজেদের সম্পর্ক ভেঙ্গেচুরে হলেও তর্কে জিততে চায় তারাই সবচাইতে বোকা ও অপরিণত মানুষ।

যারা তর্কে হেরে হলেও নিজেদের সম্পর্ককে উপরে তুলে রাখে তারাই বুদ্ধিসম্পন্ন ও পরিণত মানুষ।

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা আমাদের এমন জীবনসঙ্গী/জীবনসঙ্গিনী দান করুন যারা আমাদের চোখের জন্য শীতলতাকারী হবে, আমাদের প্রশান্তি আনয়নকারী হবে। আমিন।

https://www.facebook.com/dampotto.life

dampotto : শেয়ারিং

জীবনের অনেক বিষয়েই জীবনসঙ্গী বা জীবনসঙ্গিনীর উপরে নির্ভর করা, তার সাথে শেয়ার করার ব্যাপারটা ভালো, সেটাই স্বাভাবিক। যখন আপনি আঘাতগ্রস্ত, আপনার হৃদয় ভারাক্রান্ত, আপনি একটু দ্বিধায় আছেন, বিপদে আছেন -- আপনার জীবনসঙ্গীর কাছে কথাগুলো খুলে বলা আপনার ভারকে হালকা করবে, এটাও ঠিক। কিন্তু সত্যি কথা হলো, সমস্ত ক্ষত, ব্যথা, বিপদ, যন্ত্রণা, অসহায়ত্ব, অশান্তি থেকে মানুষকে মুক্ত করার একমাত্র ক্ষমতা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলার হাতেই। জীবনসঙ্গী আপনার সাথে থাকবেন, আপনাকে এগিয়ে যেতে প্রেরণা দিতে পারবেন, আপনার ভালোর জন্য প্রাণভরা চাইতে পারবেন ঠিকই -- কিন্তু কল্যাণ ঘটানোর, উন্নতি আর মুক্তি দেওয়ার মালিক একমাত্র আমাদের রব, আমাদের মালিক আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা... 

সেনাপতি কুতাইবাকে চেনো?

তাজিকিস্তানের এক ছাত্রের সাথে কথা বলছিলাম। তাকে দেখে সোনালী অনেক ইতিহাস মনে পড়ে গেল। সেনানায়ক কুতাইবা বুখারা, সমরখন্দ বিজয় করে ঘোড়া ছুটিয়ে ছিলেন এই জমিনের উপর দিয়ে। কাশগড়ও মুসলিমদের হয়েছিল তার নেতৃত্বে। তার ঘোড়ার সেই ঠক ঠক শব্দ কি আজও প্রতিধ্বনিত হয় মধ্য এশিয়ার পাহাড়ে পাহাড়ে?

"সেনাপতি কুতাইবাকে চেনো?'' অনেক আগ্রহ নিয়ে জিজ্ঞাসা করলাম।

সে মনে হয় প্রথমবার এ নাম শুনলো। উল্টা আমাকেই জিজ্ঞাসা করল, ''কে কুতাইবা?''

হতাশ হয়ে মাথা নিচু করে বসে থাকলাম। আত্মপরিচয়হীনতার অন্ধকারে আরও কতদিন থাকবে এই উম্মাহ? এবার সে আমাকে জিজ্ঞাসা করল, শেকার খানকে (শাহরুখ খান) চেন?

দীর্ঘশ্বাস ফেলে মাথা নাড়ালাম। আমাদের আসল নায়ক কুতাইবা, মুহাম্মদ বিন কাসিম, তারিক বিন যিয়াদদের না চিনলেও তো সমস্যা নাই; কিন্তু শাহরুখ খান, সালমান খানদের না চিনলে কিভাবে হয়?

-- সাজিদ করিম (ইরান থেকে)

dampotto : স্ত্রীর কাছে স্বামীরা যেসব গুণাবলীর কারণে ভালো হয়

আমরা জানি,আমাদের মাঝে সে ব্যক্তি ভালো যে তার স্ত্রীর কাছে ভালো। একজন পুরুষ ভালো জীবনসঙ্গী হিসেবে তার স্ত্রীর কাছে ভালো স্বামী হতে পারেন নানান উপায়ে। স্ত্রীর কাছে স্বামীরা যেসব গুণাবলীর কারণে ভালো হয় তার মাঝে উল্লেখযোগ্য কিছু গুণ হলো -- 

১) স্ত্রীর প্রতি তিনি সুন্দর ব্যবহার করেন। উত্তম শব্দ ব্যবহার করে কথা বলেন। তার প্রতি তিনি নম্র ও দয়ার্দ্র থাকেন। 

২) জীবনসঙ্গিনীর অধিকারের বিষয়গুলো তিনি অবহেলা করেন না, তা পরিপূর্ণভাবে পূরণ করতে চেষ্টা করেন।

৩) বাইরে নানান কাজে থাকলেও অন্য কোন মহিলার ব্যাপারে তিনি আগ্রহী হন না। দৃষ্টিকে সংযত রাখেন, হৃদয়েকেও অত্যন্ত সচেতনভাবে সতর্ক রাখেন।
 
৪) নিজে ইসলাম শিখেন নিয়মিত, স্ত্রীকে নিয়ে শিখেন এবং তাকে উৎসাহিত করেন। দু'জনে মিলে ইসলামকে পালনের চেষ্টা করেন।

৫) জীবনসঙ্গিনী যখন খারাপ সময়ের মধ্য দিয়ে যায়, তিনি শক্ত অবলম্বন হয়ে তার পাশে থাকেন।

৬) যদি তার স্ত্রী কখনো তাকে কষ্ট বা আঘাত দিয়ে ফেলে, তিনি নিজেকে শান্ত রাখেন। খেপে যান না কেননা তিনি ধরেই নেন স্ত্রী হয়ত তাকে ইচ্ছাকৃতভাবে কষ্ট দিতে চাননি, অসতর্কতায় এমনটি হয়ে গেছে।
 
৭) জীবনসঙ্গিনীর ছোট ছোট ভুলগুলো তিনি এড়িয়ে যান এবং তার ভালো কাজগুলোকে উৎসাহিত করেন। তার পরিশ্রমের কাজগুলোর ব্যাপারে প্রশংসা করেন। 

৮) ঘরের কাজগুলোতে স্ত্রীকে সাধ্যমতন সাহায্য করেন। তার জন্য কাজ ফেলে রেখে দেন না।

৯) সন্তানদেরকে ইসলামিক জ্ঞানে এবং আচরণে বড় করার ব্যাপারে সচেতন থাকেন। সন্তানদের ইসলামিকভাবে বড় করা নিয়ে চিন্তাভাবনা করে আলাপ করে স্ত্রীর সাথে। বাবা-মায়ের আচরণ সন্তানদের প্রভাবিত করে, তাই বাবা-মায়েরা নিজেরাও সচেতন থাকেন নিজেদের ব্যক্তিগত চরিত্র, স্বভাব এবং আচরণ নিয়ে।

১০) কোন কারণে মনোমালিন্য হলেও ঘরের বাইরে কখনো দু'জনে আলাদা হন না, স্ত্রী বাইরে যাবার প্রয়োজন হলে সবসময় তাকে সঙ্গ দেন। মাঝে-মাঝেই দু'জনে মিলে ঘুরতে যান যেন স্ত্রী কিছুটা সময় তার সঙ্গ পেয়ে আনন্দিত হয় যা তাদের সম্পর্ককে প্রগাঢ় করবে।

dampotto : দ্বীনের অর্ধেক

আপনার জীবনসঙ্গী কিন্তু একজন পূর্ণাঙ্গ মানুষ নন, সেটা আশা করাও উচিৎ নয়। কল্পনার নায়ক বা নায়িকা যাকে অনেক মানুষ গড়ে তোলে ছোটবেলা থেকে, তার সাথে বাস্তব কখনো মিল হয় না। আপনার স্বামী বা স্ত্রী একজন মানুষ, যিনি তার দ্বীনকে পরিপূর্ণ করেছেন আপনার সাথে বন্ধন গড়ে। আপনি তার পোশাকের মতন, তিনিও আপনার জন্য তেমন। দু'জনের বন্ধন একে অপরের পরিপূরক হবার মাঝে। কিন্তু কখনো ভাববেন না তিনি হবেন 'পরম ও পরিপূর্ণ'। 

মানুষটার কথা শুনুন মন দিয়ে। আপনার সাথে দেখা হবার আগে তার একটা জীবন ছিলো -- আপনার মতই যুদ্ধ করে বেড়ে ওঠা, অনেক অনুভূতির, অনেক স্পর্শকাতরতার, অনেক তিক্ত আর মধুর স্মৃতিভরা। তার জীবনটাকে শ্রদ্ধা করুন। শ্রদ্ধা ও সম্মান পাওয়ার শর্তও পৃথিবীতে তেমনি -- আগে নিজেকে করতে হয়। আপনার জীবনসঙ্গী/জীবনসঙ্গিনী আপনার কারণে, আপনার অস্তিত্বের অনুপ্রেরণায় জগতের আর সব অশ্লীলতা থেকে সরে আছেন, থাকবেন -- তার প্রতি কোমল হওয়াও প্রয়োজন। 

আমাদের ভালোবাসাগুলো কিন্তু টেলিভিশনের পর্দায় দেখা বিশাল বিশাল বিষয়ের মাঝে নয়, বরং জীবনের নিত্যদিনের ছোট্ট ছোট্ট হাসির মাঝে, ভালোবাসার দু'টি বাক্যের মাঝে, অন্যের জন্য মন-শরীর-হৃদয় দিয়ে করা কাজগুলোর মাঝে জড়িয়ে থাকে। ভালোবাসুন, ভালোবাসাও কিন্তু এই জীবনযুদ্ধের প্রাত্যহিক কষ্টগুলোরই একটা অংশ। 

# অনুপ্রেরণা : Half of Your Faith : Tariq Ramadan :: http://tariqramadan.com/english/2005/08/22/half-of-your-faith/

অনেককেই বলতে শুনি, দোস্ত পর্ণ ছাড়তে পারিনা

অনেককেই বলতে শুনি, দোস্ত পর্ণ ছাড়তে পারিনা, সিগারেট ছাড়তে পারিনা, মিউসিক-মুভি ছাড়তে পারিনা, আর গার্লফ্রেন্ড তো ছাড়ার প্রশ্নই আসেনা। এগুলা লাইফের অংশ হয়ে গেছে। নামায পড়তে পারিনা, মন থেকে আসেনা।

এমন কিছু মানুষই আমার জীবনের একটা বিশাল অংশ জুড়ে আছে। তাদের প্রতিনিয়ত নিরীক্ষা করি, বুঝতে চেষ্টা করি। তাদের কারোরই চেষ্টার অভাব নেই। বদ অভ্যাস আর অশ্লীলতা ত্যাগের সদিচ্ছা সবারই আছে। তবুও কেন জানি তারা পেরে ওঠেনা। কিছু একটা তাদের বাধা দিচ্ছে। তাদের পেছন থেকে আগলে রাখছে।

ঠিক এর উল্টোটাও জীবনে দেখেছি। জীবনে এমন কিছু মানুষের সাথে মিশেছি, যাদের জীবনের একটা সময় কেটেছে অকল্পনীয় জাহিলিয়াতে। কাউকে দেখে মনে হয়েছিল এই অন্ধত্বের জীবন, এই অশ্লীলতার জীবন, এই বদ অভ্যাসের জীবন থেকে মনে হয় তারা কোনদিনই বের হয়ে আসতে পারবেনা। কিন্তু কোন এক অদ্ভুত কারণে আজ তারা তাদের অতীতের সম্পূর্ণ বিপরীত। সেটা ছিল ইসলাম। সত্যিকার ইসলাম। এই ইসলাম নবম-দশম শ্রেণীর ইসলাম শিক্ষা বই এর পাতায় আটকে পড়া ইসলাম নয়। এ ইসলাম মানুষকে সকল প্রকার প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য দাসত্ব থেকে মুক্তিদানকারী ইসলাম। এটা সেই ইসলাম, যার কারণে একসময়ের "MUSIC IS MY LIFE" টিশার্ট ধারী ছেলেটি এক নিশ্বাসে পিসির ৩০ জিবি মিউসিক ডিলিট করে দেয়। এটা সেই ইসলাম যার শিক্ষায় রাতদিন অশালীন ভিডিও দেখার নেশাগ্রস্থ ছেলেটি রাস্তায় মেয়ে দেখলে চোখ নামিয়ে ফেলে। এটা সেই ইসলাম, যার স্পর্শে মুভি-হোলিক ছেলেটির এক্সটারনাল হার্ডডিস্ক মুভির বদলে ইসলামিক লেকচারে ভরে যায়। এটা সেই ইসলাম, যা সিগারেটের নেশায় বুঁদ হওয়া ছেলেটিকে কিংবা মদের বোতলে ডুবে থাকা মানুষটিকে হঠাৎ তা ঘৃণা করতে শেখায়। একেবারে মন থেকে ঘৃণা।

মাঝে মাঝে প্রশ্ন জাগে, কেন প্রথম শ্রেণীর মানুষগুলো চাইলেও পারছেনা তাদের অন্ধকার বন্দী জীবন থেকে মুক্ত হতে? আর কেনই বা দ্বিতীয় শ্রেণীর মানুষগুলো চুম্বকের এক মেরু থেকে হঠাৎ-ই বিপরীত মেরুতে অবস্থান নিতে সক্ষম হচ্ছেন? কিভাবে? কারা তাদের ব্রেইন ওয়াশ করছে? কোন নেতা? কোন ভাই? কোন দল? কোন সন্ত্রাসী সংগঠন?

নাহ। কোনটাই নয়। এই ব্রেইন ওয়াশার হল আল-কুরআন। যার অপর নাম আল-ফুরকান। অর্থাৎ পার্থক্যকারী। সুবহান আল্লাহ্‌। সত্যিই এই দুটি শ্রেণীর জীবন দর্শনের পার্থক্য করে দিচ্ছে আল-ফুরকান। এই কুরআন এর মাধ্যমেই মানুষের সাথে আল্লাহ্‌র সম্পর্ক দৃঢ় হয়, শক্ত বন্ধন রচিত হয়। মানুষের অন্তরে এই সত্য পাকাপোক্তভাবে প্রতিষ্ঠা করে দেয়, যে দাসত্ব করতে হবে কেবল আল্লাহ্‌র। নিজের সমাজ, নিজের আশপাশ, নিজের নফস, নিজের ইচ্ছা, অমুক তারকা, তমুক ভাই এর নয়। কেবল মাত্র আল্লাহ্‌র। এইভাবেই মেলে মুক্তি। মানুষের জীবন পালটে দেবার সবচে কার্যকর উপায় হল আল ইসলাম। বাকিসব আইওয়াশ। তাতে একজনের দাসত্ব ছেড়ে অন্য আরেকজনের দাসত্বই করা হয়। আল্লাহ্‌র নয়।

আল কুরআন। পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ব্রেইন ওয়াশিং টুল। এর দ্বারা ব্রেইন ওয়াশড হওয়াতে আমি সন্তুষ্ট।

[collected]

কল্যাণকর ও উত্তম সম্পদ হল চরিত্রবান নেককার স্ত্রী।

সম্পদ কি তা কি সবাই বুঝি? পুরুষেরা অনেক সময় সম্পদ অর্জনের জন্য এখানে-ওখানে খুঁজে অস্থির হয়ে যায়, নিজ ঘরের ব্যাপারে উদাসীন হয়ে পড়ে। টাকা-কড়িই কি কেবল সম্পদ? সেই সাথে বাড়ি-ঘর আর জমি-জমা-গাড়ি? শুধু অর্থসম্পদ কি আপনাদের সন্তানদের সুসন্তান করে গড়ে তুলতে পারবে? সন্তানেরা কার তত্ত্বাবধানে আর যত্নে বড় হয়, তা ভেবেছেন?

হে ভাই, জীবনসঙ্গিনীর ব্যাপারে ভেবে দেখেছেন? একটা পরিবারে একজন নারী হলেন সংসারের স্থপতি, তার হাতের নিবিড় পরিচর্যায় বড় হয় আপনাদের সন্তানেরা, যখন আপনি জীবিকার কাজে বাইরে ব্যস্ত থাকেন তিনি আগলে রাখেন সংসারটিকে। তিনি আপনার চিন্তাগুলোর প্রভাবক -- ভালো চিন্তা হোক, ভুল চিন্তা হোক, দুনিয়াবী চিন্তা হোক, আখিরাতের চিন্তা হোক। 

অল্প সম্পদকেও অনেক বেশি সম্পদ মনে হতে পারে যখন একজন ভাইয়ের জীবনসঙ্গিনী তার যা আছে সেগুলোতেই সন্তুষ্ট থেকে তাকে আল্লাহর উপরে ভরসা করে অর্থ উপার্জনের জন্য সাধ্যমতন চেষ্টাটুকু করতে উৎসাহ দিবেন। তখনই আপনার সবকিছু সুন্দর হবে, ছোট্ট ঘরটিকেও বড় মনে হবে, কষ্টের জীবনটিকেও আল্লাহর দেয়া পরীক্ষা হিসেবে সহনীয় আর কল্যাণকর হিসেবে খুঁজে পাবেন যখন দ্বীনদার স্ত্রী আপনার সঙ্গী হবেন এবং আপনিও যখন দ্বীনদার স্বামী হিসেবে তার যোগ্য জীবনসঙ্গী হবেন। 

প্রকৃত সম্পদ কী তা বুঝে নিতে তাই ভুল করবেন না যেন কখনো!! রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ

♥"সমগ্র পৃথিবীটাই সম্পদে পরিপূর্ণ। এর মধ্যে কল্যাণকর ও উত্তম সম্পদ হল চরিত্রবান নেককার স্ত্রী।"♥
[মুসলিম]

পাত্র-পাত্রী কেমন হওয়া উচিৎ?

​​বিয়ের পাত্র নির্বাচনের ব্যাপারে দরিদ্র পাত্র ধনী পাত্র অপেক্ষা উত্তম যদি সে সৎ এবং নামাজী হয়। কেননা যে আল্লাহকে ভয় করবে সে আপনাকে ভালোবেসে না হোক আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য হলেও আপনাকে ঠকাতে পারবেনা। ভেবে দেখুন যদি আপনার স্বামী আপনাকে বাড়ী গাড়ী সম্পদে ভাসিয়ে রেখে অন্যত্র প্রেম করে বেড়ায়, আপনি কি সুখী হবেন? অথচ অনেক দরিদ্র পরিবারেও দেখবেন বাজার থেকে বড় মাছ এনে স্বামী স্ত্রী মিলে যখন গল্প করতে করতে কাটেন সেখানে প্রেমের উৎসব বয়ে যায়।

টাকাপয়সা দিয়ে সুখ কেনা যায়না। কারণ চাকরী পরিবর্তন করা যায় কিন্তু চরিত্র পরিবর্তন করা যায়না। একজন ভালো স্বামী আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য স্ত্রীকে সে সকল সুযোগ সুবিধা দেবে যা সে নিজের জন্য পছন্দ করে- শ্বশুরবাড়ীর সাথে, স্ত্রীর বন্ধুবান্ধবের সাথে সদ্ভাব বজায় রাখবে যাতে স্ত্রী খুশী থাকে।সে কখনোই স্ত্রীর সাথে দুর্ব্যবহার করবেনা যেহেতু সে জানে এর জন্য তাকে আল্লাহর কাছে জবাবদিহি করতে হবে।

আজকাল দেখা যায় পাত্র পেঁচার মত হলেও পাত্রী চাই ফর্সা, সুন্দরী, লম্বা, স্বাস্থ্যবতী, শিক্ষিতা, নব্যরুচিশীলা, বড়লোকের কন্যা। কোথাও চরিত্রের বা স্বভাবের ব্যাপারটি গুরুত্ব পায়না। অসংখ্যবার দেখেছি রীতিমত চারিত্রিক সমস্যাগ্রস্ত মেয়েদের হটকেকের মত বিকিয়ে যেতে অথচ বুদ্ধিমতি, সচ্চরিত্র, সুন্দর স্বভাবসম্পন্না মেয়েদের বিয়ে হয়না। অনেক শিক্ষিত এবং বুদ্ধিমান ভাইকে জিজ্ঞেস করেছি,

"আচ্ছা, আপনারা শুধু চেহারা দেখে এমন মেয়ে কি করে বিয়ে করেন যাদের এতটুকু বুদ্ধি বা ম্যাচুরিটি নেই যে আপনি দু'ছত্র কবিতা বললে সে তা উপলব্ধি করতে পারে?"

অনেকে এড়িয়ে গিয়েছেন, আবার অনেকে সততার সাথে উত্তর দিয়েছেন, "এদের সহজে ডমিনেট করা যায় যা বুদ্ধিমতি মেয়েদের করা যায়না" একটি বিয়ের উদ্দেশ্য কি বন্ধুত্ব হওয়া উচিত না স্বৈরাচার, তা আপনাদের বিবেচনায় ছেড়ে দিলাম। তবে যার সাথে মনের কথা শেয়ার করা যায়না, যে আপনার সুবিধা অসুবিধা বোঝার মত বিবেকবুদ্ধি রাখেনা তার চেহারা দেখে সব কষ্ট ভুলে থাকা যায় কি'না এটা গবেষণা করার মত বিষয়।

copied from--
প্যাকেট না প্রোডাক্ট : রেহনুমা বিনত আনিস

বিয়ের পাত্র পাত্রী খোঁজা

বয়সের একটা নির্দিষ্ট পর্যায়ে অবিবাহিত মেয়েয়া ঘটক আন্টিদের নিজস্ব ভাগ্নিতে পরিণত হয়,নিজের অজান্তেই...... বিষয়টা এমন যেনো ,দুনিয়াতে কোন খারাপ ছেলে নেই,সব্বাই ভাল ছেলে!!!!!!!! আর ভাল ছেলেদের "অন এন্ড অনলি" বৈশিষ্ট্য হচ্ছে,"বাড়ি আর গাড়ি"। তাহলেই "নো চিন্তা নো টেনশান,পাইসো জীবনে দারুন এক খান পোলা"!!! তারপর নামের সাথে ইউএসএ জুড়ে দেওয়া গেলে তো কথাই নাই!!!

আন্টি থামেন!

আমি অলরেডি কনফিউজড যে আসলে বিয়ে কার সাথে???"বাড়ি আর গাড়ি"/ইউ এস এ /"দারুন এক খান পোলা"???

যাই হোক,আমার অত ভাল ছেলে দরকার নাই,পিপাসায় পানি লাগে,সফট ড্রিঙ্কস নয়.....

আবার কিছু অদ্ভুত অভিভাবক আছেন,মেয়েকে এমনই অপদার্থ বানিয়েছে যে এক কাপ চা বানাতে গেলে গরম পানি করে দিলেও তাতে টি ব্যাগ দুবাতে গিয়ে আঙ্গুল পুড়িয়ে ফেলে!!!এনারা আবার সুন্দরের পুজারী! এনারা খুঁজেন ,গ্রাম থেকে আসা কোন বেকার ছেলে!!! জব দেওয়া শুরু করে যাবতীয় জিনিসপত্র দিবে মেয়ের অভিভাবক,শুধু ছেলেটাকে হতে হবে বিক্রি......

ছেলেরা যদি একবারও বুঝতো যে এটা নিজেকে+নিজের ফ্যামিলিকে সারাজীবনের কতটা ছোট করা তাহলে ভুলেও এই ওয়েতে হাঁটত না।

কষ্ট করে মানুষ হন , যোগ্য হন,অর্জন করে নিত শিখুনএতদূর তো নিজের যোগ্যতায়ই এসেছেন, বাকীটাও পারবেন নিশ্চয় ...

collected from
A Sister

https://www.facebook.com/earlymcpage

dampotto : কোমল ব্যবহার

জীবনসঙ্গীর সাথে সুন্দর ব্যবহার করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চিন্তা করুন, তিনি প্রতিদিন আপনার জন্য কত কিছু করছেন যা হয়ত সবই তার দায়িত্ব নয়। আপনার প্রতি ভালোবাসা থেকেই তিনি শ্রম দিচ্ছেন, আপনার সন্তান ও আপনার আব্বা-আম্মার প্রতি ভালোবাসা ও কর্তব্য পালন করছেন। এই মানুষটা অবশ্যই আপনার সুন্দর ব্যবহার পাওয়ার দাবী রাখেন। রাগ হলে সংযত করে ফেলুন, বিরক্ত হলে তার সুন্দর গুণগুলোর কথা ভাবুন, এরপর আন্তরিকভাবে তাকে বলুন কেমন করলে আপনাদের সংসারটা আরো সুন্দর হবে। 

আমাদের ঈমানকে পূর্ণাঙ্গ করতে নম্র ও কোমল ব্যবহার থাকা অপরিহার্য এবং অত্যাবশ্যকীয়। পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর চরিত্রের মানুষটি এরকম সুন্দর বিষয়ই জানিয়ে গেছেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ

♥ "যার চরিত্র যত সুন্দর এবং নিজ পরিবারের সাথে যার ব্যবহার যত নম্র ও কোমল, তার ঈমান ততই পূর্ণাঙ্গ এবং পরিপক্ক।" ♥ 
[তিরমিজী, হাকেম] 

​কোন মেয়ের প্রেমে পড়ে তাকে ইনবক্সে যন্ত্রণা

​বিবাহিত এক ভাই বাইরে গেলেই স্ত্রীর হাত ধরে হাঁটেন। তার স্ত্রী মনে করেন হাজব্যান্ড কতই না রোমান্টিক।

ভাইয়ের ভাষ্য হচ্ছে, আমি তার হাত ধরে থাকি যেন সে যেখানে সেখানে শপিং-এর জন্য দৌড়াতে না পারে। . . 

[সংগৃহীত]



​​
কোন মেয়ের "প্রেমে" (আল্লাহ মাফ করুন) পড়ে তাকে ইনবক্সে আর ফোনে যন্ত্রণা দেওয়ার চেয়ে বন্ধুবান্ধব আর পরিবারের সবাইকে বিয়ের কথা বলে যন্ত্রণা দিয়ে উদ্ধার করে ফেলা অনেক বেশি উত্তম। 

আমাদের মান সম্মান ও ইজ্জত আল্লাহর হাতে। আর, পাপাচারের মাধ্যমে ইজ্জত বাড়ে না, কমে। আল্লাহর আদেশের খেলাপ করলে ইজ্জত ধ্বংস হয়। 

প্রিয় মুসলিম ভাই ও মুসলিমাহ বোন, বিবাহপূর্ব অবৈধ সম্পর্ক প্রেম থেকে দূরে থাকুন। বিয়ের নিয়াত করুন। আল্লাহর কাছে দু'আ করুন। 



--- সাফওয়ান​


* * * *

নিজের দেশ ছেড়ে অন্য এক দেশের নাগরিকত্ব নিয়ে সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাস করা শুরু করে আবার নিজের দেশ কে ভালোবাসলে ওটাকে কি পরকিয়া দেশপ্রেম বলে ?

-- মাশুক রহমান

dampotto : সত্য কথা বলা

আপনার জীবনসঙ্গী/জীবনসঙ্গিনীকে কোন সত্য কথা বলা যদি অস্বস্তিকর হয়েও থাকে, তবু মিথ্যা বলার চেয়ে তা উত্তম। একটা কথা ভেবে দেখুন, আমাদের সম্পর্কগুলোর মূলে কিন্তু বিশ্বস্ততা আর পারস্পারিক শ্রদ্ধাবোধ। আপনার স্বামী বা স্ত্রী যদি আপনার সাথে সত্য বলেন সবসময়, আপনার প্রতি বিশ্বস্ত থাকেন -- আপনাদের সম্পর্কে চিড় ধরবে না ইনশাআল্লাহ, শয়তান আপনাদের মনে সহজে সন্দেহ সৃষ্টি করতে পারবে না।

মিথ্যা বলা একটি পাপ, আর প্রতিটি পাপ আরো অনেকগুলো পাপের জন্ম দেয়। এভাবে একটা মিথ্যা কথা আমাদেরকে আল্লাহর কাছ থেকে দূরে সরিয়ে দেয়, জীবনসঙ্গী তো বটেই। আসুন, একটু অস্বস্তি, বিব্রতবোধ হলেও সত্য বলা থেকে আমরা পিছপা না হই। আল্লাহ আমাদের পরিবারগুলোর মাঝে রাহমাত দান করুন।

আসলে আমাদের অভিভাবকরা কতটুকু ম্যাচিউরড?

আব্বু আম্মুর কাছে বিয়ের কথাটা বলা মহা অপরাধ কিন্তু গার্ল ফ্রেন্ডদের (এখন আর সিঙ্গুলার নাম্বারে চলে না) নিয়া মানসিক থেকে শারীরিক রিলেশনে জড়িয়ে মৌজ করে ধরা খেলে তখন ছেলের মা-বাবা ছেলে কে রক্ষা করার জন্য উঠে পড়ে লাগেন আর মেয়ের মা বাবা মেয়ের রেপুটেশন রক্ষার জন্য উঠে পড়ে লাগেন। এক পর্যায়ে মামলা হামলায় পর্যন্ত গড়ায় ব্যাপারটা। দুই পক্ষের অভিভাবকদেরই একটাই অজুহাত, তাদের সন্তান বয়সে ছোট, না বুঝে এসব করে ফেলেছে, অপর পক্ষের লোকেরা তাকে ফাঁদে ফেলেছে। 

কিন্তু কথা হল, ছেলে মেয়ে কে দেখে ফিদা হয়ে গেছে, একে অপরকে কাছে পাবার জন্য যে কৌশল গুলো তারা অবলম্বন করেছে সেগুলো কোনটাই অবুঝ সন্তানের পক্ষে সম্ভব না। শারীরিক সম্পর্ক গড়ার আগে একে অপরকে নিভৃতে কাছে পাওয়ার যে তুমুল বাসনা, সেই বাসনা থেকে যে সুযোগ তৈরি করার ফন্দি ফিকির এবং কাছে পাওয়ার পর তাদের যে পশু সুলভ প্রবৃত্তির তুমুল লালসা এবং সেটাকে কর্মে পরিণত করার যে তৃপ্তিদায়ক সফলতা এগুলো কি প্রমাণ করে যে তাদের সন্তানরা অবুঝ, বয়সে ছোট এবং না বুঝেই এসব করে ফেলেছে? এগুলো কি অবুঝের লক্ষণ নাকি বুঝদার ব্যক্তির লক্ষণ? 

এগুলো ভাবার পরে আমার সন্দেহ জাগে যে "আসলে আমাদের অভিভাবকরা কতটুকু ম্যাচিউরড?" 

Early Marriage Campaign : https://www.facebook.com/earlymcpage

dampotto : কোমলতা

দাম্পত্য জীবনে ভালোবাসার প্রকৃত পরিচয় ব্যবহারে। আপনার জীবনসঙ্গীর প্রতি আপনি কতটা কোমল, মিষ্টভাষী -- তার মাঝে আপনার চরিত্রের সৌন্দর্য ফুটে উঠবে। দেখবেন, আপনার সঙ্গী/সঙ্গিনী আপনার কোমল কন্ঠের ভাষাটাই বেশি ভালবাসেন। রাগ দেখাবেন না, রূঢ় ভাষা সংযত করুন -- এগুলো সম্পর্ককে ধ্বংস করে। আন্তরিকভাবে এই চেষ্টা করা উচিত। একদিনে হয়ত পারা যায় না, কিন্তু এই ইচ্ছেটা আপনার আচরণগুলোকে সৌন্দর্যময় করতে পারে, ধীরে ধীরে আপনার ব্যবহার সুন্দর হয়ে উঠবে ইনশা আল্লাহ। কোমল আর বিনয়ী মানুষকে কেউ ভালো না বেসে পারে না। আপনার ভালোবাসার প্রকাশটাই আপনাকে ভালোবাসা এনে দিবে। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা কোমলচিত্ত, তিনি সবকিছুতে কোমলতাকে পছন্দ করেন।

https://www.facebook.com/dampotto.life

নিখুঁত পাত্র-পাত্রী

স্বামী একরাশ উৎসাহ নিয়ে বললোঃ "জানো বউ, এক বড় ভাইকে চিনি, উনার মাত্র দুইটা জামা, উনার স্ত্রীও দুই-তিনটা কাপড় পরেন। সাহাবীরা (রা) অনেক সিম্পলভাবে জীবন কাটাতেন, তাই আমাদেরও উচিত এই ভাইদের মত সহজ-সরলভাবে চলার চেষ্টা করা। এসো, আমরা ঠিক করি যে আগামী ৬ মাস কোন কাপড় কিনবো না।"

স্ত্রীঃ "৬ মাস? আচ্ছা ঠিক আছে, আসলেও আমাদের চেষ্টা করা উচিত। উনারা মুসলিমদের জন্য উত্তম দৃষ্টন্ত স্থাপন করছেন। আর আমাদের আলমারি ভর্তি কাপড়চোপড়। আগামী ছয় মাস আমরা কোন কাপড় কিনবো না ইনশা আল্লাহ। এখন থেকে একটা বোরকা পরবো।"

ছোট্ট একটা বিষয়, কিন্তু দেখুন, দুজনেই নিজের জীবনে রাসূলুল্লাহ (সা) এর একটি সুন্নাহ পালনের সিদ্ধান্ত নিলো, দু'জনে দু জনার সহযোগিতা করলো, সাহাবীদের ন্যায় জীবনযাপনের জন্য আরেকটি ধাপ এগিয়ে যাওয়ার নিয়্যত করলো।

আজকাল দ্বীনি ভাইবোনেরা নিঁখুত ইসলামি পাত্র কিংবা পাত্রী খোঁজেন। ভুলে যান যে, কেউ-ই নিখুঁত নয়, বরং স্বামী-স্ত্রী দুজনে একসাথে মিলেই ইসলামের আরো কাছাকাছি যাওয়ার সফর শুরু করতে হবে। দুজনে মিলে জান্নাতে যাওয়ার পথকে আরো সুগম করে তুলতে হবে। একজনের মাঝে যখন সততা, ইসলামের প্রতি ভালোবাসা আর মমত্ববোধ থাকে, তাকে বিয়ে করে ফেললে আপনি ঠকে যাবেন না। ইনশা আল্লাহ দু জনে মিলে একসময় বহুদূর এগিয়ে যাবেন। তবে আপনি যদি নিঁখুত পাত্র/পাত্রী খুঁজতে যেয়ে বিবাহ বিলম্ব করতে করতে উল্টো নিজেই ফিতনায় জড়িয়ে যান, তাহলে শেষমেষ আমও যাবে, ছালাও।

fRoM : "প্রেম নয়, বিয়ে করুনঃ আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করুন"

​নিঃস্বার্থ ভালোবাসা। what is love?

​নিঃস্বার্থ ভালোবাসা। what is love?

আবু সালামা তার স্ত্রী উম্মে সালামাকে খুব ভালবাসতেন। তাদের ভালোবাসার গাঢ়তা কল্পিত প্রেমকাহিনীগুলোকেও হার মানায়। আবু সালামা যখন মৃত্যু শয্যায় তখন তাঁর প্রিয়তমা স্ত্রী তাঁর পাশে বসা। উম্মে সালামা তাঁর স্বামীকে সাহস দিয়ে যাচ্ছিলেন। ভালবাসা দিয়ে মৃত্যুকে পরাজিত করা না গেলেও হাসিমুখে আলিঙ্গনের প্রেরণা যোগায়। উম্মে সালামা তাঁর স্বামীকে বললেন,

"আসো, আমরা প্রতিজ্ঞা করি আমাদের মধ্যে কেউ মারা গেলে অপরজন বাকী জীবনটা তাঁর স্মৃতি নিয়েই কাটিয়ে দিব। অন্য কারো জীবন সঙ্গী হবনা"।
[এরকম প্রপোজাল মৃত্যু পথযাত্রী স্বামীর কাছ থেকে আসাই স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু স্বামীর প্রতি প্রবল ভালোবাসা এবং তাকে মৃত্যুকালে কিছুটা স্বস্তির পরশ দেয়ার উদ্দেশ্য উম্মে সালামাই এমন প্রস্তাব দিয়ে বসলেন। সুবহানাল্লাহ!]

আবু সালামাও কম যাননি। তিনি স্ত্রীর এমন প্রস্তাবের প্রত্যুত্তরে বলেছিলেন,

"না। বরং তুমি তোমার জীবনসঙ্গী বেছে নিও এবং আমি দোয়া করি আল্লাহ আমার চেয়েও ভাল কোন জীবনসঙ্গী তোমার জন্য ব্যবস্থা করে দিন".

আল্লাহ সুবহানাহুওয়াতাআলা আবু সালামার দোয়া কবুল করেন। তাঁর মৃত্যুর পর উম্মে সালামা মহানবী (সঃ)কে জীবনসঙ্গী হিসেবে পান।
আল্লাহ তাঁদের উপর সন্তুষ্ট থাকুন।
এটাই কি "নিঃস্বার্থ ভালোবাসা"? What is love?

- মুজাহিদ রাসেল

কাগজে কলমে বিয়ের যে বয়স মাপা হয়

​​
সরকার নির্ধারিত কাগজে কলমে বিয়ের যে বয়স মাপা হয় তার পূর্বেই ছেলে মেয়েরা দৈহিকভাবে বিয়ের যোগ্য হয়ে যায়। মেয়েদের হ্মেত্রে ১৮ আর ছেলেদের হ্মেত্রে ২১ এর পূর্বে বিয়ে করতে বাধা আছে, কিন্তু প্রেম করতে বাধা নেই এমনকি পরিশেষে আরো কিছু ঘটে থাকে উক্ত বয়সের আগেই, কিন্তু জাতি ও রাষ্ট্র মুখে কুলুপ এটেই বসে থাকে! দেখুন সরকার ১৮ বা ২১ এর পূর্বে বাধা আরোপ করেছে এ কথা সত্য, তাই বলে বলেনি যে ১৯ হলে আপনার মেয়েকে বিয়ে দেয়ার কথা ভুলে যান, আর ছেলের বয়স ২২ বা ২৫/২৮ হলেও ঘরে বৌমা আনার উদ্যোগ বন্ধ রাখুন। আমরা শুধু সরকারের নির্ধারিত বয়স নিয়েই অভিযোগ করলাম তা ঠিক হবে কি? 

কয়জন বাবা আছেন এমন যারা সন্তানের মাথায় হাত রেখে সান্তনা দেন যে বাবা আর একটু ধৈর্য্য ধর, নোংরা সমাজের কোন কাদা যেন জান্নাতে যাবার পথে তোমায় পিছলে ফেলে না দেয় সেই জন্য একটু আল্লাহর কাছে দুআ কর। আমরা তোমার দ্বীনের অর্ধেক পূরণে উত্তম সংগী খুজছি! মেয়ের উচ্চ শিহ্মার লহ্ম্যে বাবা মায়ের স্বপ্ন থাকে অনেক, কিন্তু সে দীর্ঘ উচ্চ শিহ্মার পথখানিতে কি আরো একজনকে পবিত্র সংগী বানিয়ে দিয়ে মসৃন/নিরাপদ রাখাটা ভালো নয়? শরীর-মনেরতো একটা চাওয়া আছে নাকি!

page : বিবাহ একটি উত্তম বন্ধুত্ব

dampotto : আপনার জীবনসঙ্গী ঘরে ফিরলে তাকে সুন্দর করে গ্রহণ করুন

হে আমার বিবাহিতা বোন, আপনার জীবনসঙ্গী ঘরে ফিরলে তাকে সুন্দর করে গ্রহণ করুন, অভ্যর্থনা জানান।

অফিসে যাওয়া, স্কুলে যাওয়া, বাইরে ভ্রমণে যাওয়া বা অন্য যা-ই আপনাদের দু'জনকে আলাদা করেছিলো, সেটা শেষ হয়ে যাবার পরে তাকে আন্তরিক ও সুন্দর একটি অভ্যর্থনা দিন যা তার মন ভালো করে দিবে, আপনাদের বন্ধনকে আরো গাঢ় করবে...

- দরজাটা নিজে খুলুন, আপনার মিষ্টি হাসিটি তাকে উপহার দিন।
- দু'জনের মাঝে শান্তিময় পরিবেশ সৃষ্টির জন্য আল্লাহর কাছে দু'আ চেয়ে তাকে বলুন, "আসসালামু আলাইকুম।" 
- সুগন্ধী বা পারফিউম ব্যবহার করে নিজেকে আকর্ষণীয় করে নিতে পারেন।
- আপনার জীবনসঙ্গীকে সুসংবাদটি তাড়াতাড়ি দিন এবং খারাপ সংবাদ থাকলে দেরি করে জানান।
- সৌহার্দপূর্ণ ভালোবাসার গলায় তার সাথে কথা বলুন।
- ফ্রেশ হয়ে নিতে তার প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো এগিয়ে দিন।
- একটু কষ্ট করে তার জন্য সময়মত খাবারটি পরিবেশন করুন।
- আপনাদের দু'জনের আবার দেখা করিয়ে দেয়ায় আল্লাহর কাছে শুকরিয়া করুন দু'জন মিলে, আলহামদুলিল্লাহ। যারা কৃতজ্ঞ হয় আল্লাহর প্রতি, আল্লাহ তাদের প্রতি তার দানকে আরো বাড়িয়ে দেন।

https://www.facebook.com/dampotto.life

দ্বীনদার পাত্রী চাই??

আমাদের সমাজে *ইসলামিক পাত্রপাত্রীদের* বিয়ের আলোচনাগুলো অনেকটাই এরকম -- 
 
#  "দ্বীনদার পাত্রী চাই।"*

*শর্ত প্রযোজ্য [বংশীয়, সুন্দরী,উচ্চ শিক্ষিতা ব্লা ব্লা ব্লা...]

# "দ্বীনদার পাত্র চাই।" *

*শর্ত প্রযোজ্য [high status, high paid job,টাকা,টাকা,টাকা.......টাকা] 

..... সবশেষে দেখা গেল শর্তগুলোই মুখ্য। দ্বীন আছে শুধু ভাতের সাথে আচারের মতন, স্বাদবর্ধক। 

আল্লাহ আমাদের সরল সঠিকপথে পরিচালিত করুন, আমাদের অন্তরকে পরিশুদ্ধ করে দিন এবং তার পছন্দের নিয়মানুযায়ী জীবন পরিচালনার তাওফিক দিন।

আমার ছোট বেলার খেলার সাথী

আমার ছোট বেলার খেলার সাথী ডলি দিদি আজকে পৃথিবী ছেড়ে চলে গেল. দিদির বিয়ে হয়েছিল বেশ কয়েক বছর আগে. সন্তানের মা হতে পারছিলনা. স্বামী শশুর শাশুড়ি সবার একটা গুমোট কষ্ট. কি সব কবিরাজি ঔষধ খাইয়েছিল. শেষমেষ যখন ভয়ানক পেটে ব্যথা শুরু হলো, হাসপাতাল এ নিতেই ডাক্তার অপারেশন করার সিদ্ধান্ত নিলেন. ততক্ষণে বড্ড দেরী হয়ে গেছে. ওর পেটের নারিভুরি সব পচে গ্যাছে!

সারাদিন ডলি দিদির চেহারা চোখের সামনে ঝুলছে.. কেমন একটা মোচড় দেয়া কষ্ট.....

--- শিমু আপু

// আমরা সুবিধাভোগী মানুষেরা ফেসবুকে অনেক চিতকার করি, আমাদের সুশিক্ষিত নারীদের স্বাধীনতা কেবল আমাদের যাচ্ছেতাই বিশৃংখল জীবনের নমুনা হয়ে থাকে। অথচ আমাদের কত কাজ। মানুষের কাছে গিয়ে তাদের সচেতন করার প্রয়োজন। সমাজের পুরুষদের, শাশুড়ি নামক নারীদেরকে আরো বেশি করে সচেতন করা প্রয়োজন কেননা তারাই "নারী"র ভালো থাকা, মন্দ থাকাকে চরমভাবে প্রভাবিত করে। আল্লাহ আমাদের জন্য শান্তিপূর্ণ সমাজ কবুল করুন।

​ আপনার বিয়ে হতে পারে

হে আমার বোন,
​​
আপনার বিয়ে হতে পারে পৃথিবীর
​​সবচেয়ে খারাপ মানুষটির সাথে, যেমন আসিয়ার হয়েছিল ফির'আউনের সাথে- কিন্তু এর ফলে আল্লাহর প্রতি তার বিশ্বস্ততা কিংবা ভালবাসা কোনটির কমতি হয়নি।

আপনার বিয়ে হতে পারে পৃথিবীর
​​
সবচেয়ে ভাল মানুষদের মধ্য থেকে কারো সাথে, যেমন হয়েছিল লুত (আলাইহিস সালাম) কিংবা নূহের (আলাইহিস সালাম) স্ত্রীদের। কিন্তু তাদের স্ত্রী হওয়া তাদেরকে জান্নাতে প্রবেশ করাতে পারেনি।

আপনার কারো সাথে বিয়ে না ও হতে পারে, যেমন হয়েছিল মারিয়াম (আলাইহিস সালাম) এর ক্ষেত্রে কিন্তু আল্লাহ পৃথিবীর যে কোন নারীর চেয়ে উনাকে উচ্চমর্যাদা দিয়েছেন।

মনে রাখবেন আপনার ভালবাসা এবং বিশ্বাসের অধিকার সর্বপ্রথম আল্লাহ্
​ ​
সুবহানাহু ওয়া তা'আলার। তিনিই সমস্ত ক্ষমতার মালিক, সমস্ত চাওয়া পূরণ করার একমাত্র ক্ষমতা কেবল তারই, আমরা সবাই তার এবং তার কাছেই ফিরে যেতে হবে।

জন্মেছ বাঙালি করে, মানুষ করনি

"বন্ধু তোমার পথের সাথীকে চিনে নিও"

হুম চিনে নিতে হবে আপনার জীবন সঙ্গীকে তবে তা "ডেটিং" করে বা "খালওয়া" করে নয়। 

আপনাকে তাঁকে চিনে নিতে হবে বংশ, শিক্ষা ও আমল আখলাকের ভিত্তিতে।

..............


বাংলায় কিছু সার্চ করতে গেলেই চটি সাইট হাজির হয়। কী এক মুসিবত, অফিসের কলিগের উপস্থিত পাশে, সার্চ মারলাম একটা বাক্য দিয়া, ৫-৬ টা সাইট পরেই এইসব হাজির। অথচ বাক্যটা পুরাই নিস্পাপ বাক্য। অনলাইনে বাংলায় সবচাইতে সমৃদ্ধ সাহিত্য হচ্ছে কামাসক্তদের এইসব চটিসাহিত্য। বাংলার অজস্র অক্ষর চাপলে লজ্জায় মারা যাওয়ার অবস্থা হয়, বাক্য না, স্রেফ একটা অক্ষরের সাথে আ-কার, উ-কার দিলেই... 

কবিগুরুরে মিসাই প্রায়ই... 

'জন্মেছ বাঙালি করে, মানুষ করনি...'

....

গরুদরদী যেসব নাস্তিক কুরবানীর পশু জবাইয়ের সমালোচনা করে তাদের কাছে আমার দাবি,

তারা যেন খাওয়ার আগে এবং হাগু করার পর কোনভাবেই সাবান ব্যবহার না করে। কারণ এতে লক্ষ্য লক্ষ্য জীবাণুর মৃত্যু ঘটে, যা খুবই মর্মান্তিক।

-- ওমর ফারুক


ঈদুল আযহার পূর্বে কিছু প্রশ্ন

প্রতি বছর ঈদুল আযহার পূর্বে কিছু প্রশ্ন আশপাশ থেকে ভেসে আসে। সহজ ভাষায় সেরকম দুটো প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছি।

প্রশ্ন ১. কুরবানীর ঈদকে কেন্দ্র করে প্রচুর আর্থিক ক্ষতি হয়। এই টাকাটা অন্য কাজে লাগালে হ্যান হত ত্যান হত ইত্যাদি।

উত্তর: কুরবানীর ঈদকে ঘিরে অনেক বেশি অর্থ সঞ্চালন হয়। যা যে কোনো অর্থ ব্যবস্থার জন্যই হট-কেকের মত। একটি অর্থ ব্যবস্থায় যত বেশি অর্থের আদান-প্রদান হয়, সেটাকে তত শক্তিশালী মনে করা হয়।

কুরবানী ঈদকে টার্গেট করে একদল মানুষ গুরু-মহিষ-উট-ছাগল-ভেড়া-দুম্বা প্রতিপালন করে। ঈদের আগে তারা বিক্রয় করে। অপর দল সেগুলো গরুর হাটে নিয়ে আসে। কখনো বা মালিক নিজেই গরুর হাটে আনেন। পরিবহন শ্রমিক-ব্যবসায়ীরা গরু-ছাগল পরিবহন করেন। (পথিমধ্যেও কিছু মানুষের উপার্জনের ব্যবস্থা হয়, হারাম উপায়ে, ঘুষ হিসেবে।)

একদল লোক হাটের ব্যবস্থা করেন। সেখানে বাঁশ, বিদ্যুৎ, পরিচ্ছন্নতা, নিরাপত্তা ইত্যাদি নিয়ে আরে অনেকের কর্মসংস্থান হয়। গরু-ছাগলের খাবার, দা-বটি-চাটাই -এসব নিয়েও একদল মানুষ ব্যবসা করেন। সবশেষে গরু-ছাগল ক্রয় করেন কুরবানীদাতা।

কুরবানী করার পর চামড়া ছাড়ানো-গোস্ত বানানো ইত্যাদির জন্য একদল মানুষের কর্মসংস্থান হয়। চামড়া আবার চলে যায় গরীবের কাছে। সে আবার বিক্রয় করে ট্যানারির কাছে। ট্যানারি প্রতিষ্ঠান তা পরিশোধন করে বিদেশে এক্সপোর্ট করেন। এত মানুষের আয়-কর্মসংস্থানের পাশাপাশি দেশ উপার্জন করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা। কুরবানীর বর্জ্য অপসারণেও কর্মসংস্থান হয় অনেকের।

এ তো গেল কুরবানীর পশুকে ঘিরে এত কিছু। এছাড়া ঈদের আনন্দকে আরো বাড়িয়ে তুলতে পোশাক-পরিচ্ছদসহ নানা কিছুর ক্রয়-বিক্রয় হয়। নগদ অর্থের বিরাট এ লেনদেন সামাল দিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে নতুন নোট ছাপাতে হয়। ব্যাংকগুলোতে প্রচুর লেনদেন হয়ে থাকে। এক কথায়, এই একটি ইবাদতকে কেন্দ্র করে প্রচুর অর্থের লেনদেন হয়, কর্মসংস্থান হয় লাখো মানুষের।

এছাড়া আর্থিক লেনদেনের উদ্দেশ্য শান্তি। এই দিনকে ঘিরে ধনী-গরীব নির্বিশেষে সবার ঘরে ঘরে আনন্দ বয়ে যায়। সবাই গোশত খেতে পারে।

অন্য ধর্মে লাখ-লাখ টাকার মূর্তি বানিয়ে পুজো দিয়ে তা পানিতে ভাসিয়ে দেয়া হয়। সেটা নিশ্চিতভাবেই আর্থিক ক্ষতি। কারণ, তাতে মূল্যবান একটি জিনিস চূড়ান্ত ব্যবহার ছাড়াই নষ্ট করে দেয়া হয়।

পক্ষান্তরে কুরবানীর মূল উদ্দেশ্য "আল্লাহকে খুশী করা" হওয়া সত্ত্বেও এর গোশত নিজে খাওয়া, গরীব ও আত্মীয়-স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশীকে দেয়ার বিধান রাখা হয়েছে। কাজেই কুরবানীতে কোনো অপচয় নেই। এমনকি এর চামড়া চলে যাচ্ছে গরীবের কাছে, এর দ্বারাও উপকৃত হচ্ছে মানুষ।

প্রশ্ন ২: এতে পশুর অধিকার নষ্ট হয়।

উত্তর: পশুর অধিকার কীভাবে রক্ষা হবে আর কীভাবে তা নষ্ট হবে, তা পশুর স্রষ্টাই ভালো জানেন। মানুষের অধিকার রক্ষা হয় তার ঈমান, সম্মান, সম্পদ, মেধা ও বংশ রক্ষার মাধ্যমে। পক্ষান্তরে পশুর অধিকার রক্ষা হয় তাকে হালালভাবে ব্যবহারের মাধ্যমে। যেসব প্রাণী খাওয়া হালাল, সেগুলো খাওয়ার মাধ্যমেই তার অধিকার নিশ্চিত করা হয়।

উপরন্তু রাসূল স. সকল ক্ষেত্রে ইহসান চর্চা করতে বলেছেন। তিনি বলেন, আল্লাহ সবকিছুতে ইহসান পছন্দ করেন। কাজেই তোমরা যখন যবেহ করবে, সুন্দরভাবে যবেহ করবে। তোমাদের প্রত্যেকে যেন যবেহের পূর্বে ছুরি ধার করে নেয়।

অনুরূপভাবে এক পশুর যবেহের সময় আরেক পশুকে তা দেখানোকে অপছন্দ করা হয়েছে। এসবই পশুর প্রতি সর্বোচ্চ মায়া-মমতা প্রদর্শনের জন্য।

কিন্তু যে জায়গায় পশুর স্রষ্টা স্বয়ং একটি নির্দেশ দিয়েছেন, সেখানে তা লঙ্ঘন করে প্রেম দেখানো মুনাফিকী ও ভেজাল প্রেম, খাঁটি প্রেম নয়।

তাছাড়া যারা পশু প্রেমের কথা বলেন, দেখা যায়, তারা পিজা, কেএফসি, বিরিয়ানি ইত্যাদি খুব পছন্দ করেন। যেগুলোতে যে কোনো প্রাণীর গোশত থাকেই। আবার বিজ্ঞানীদের মতে উদ্ভিদেরও প্রাণ আছে। কাজেই ভেজিটেরিয়ানরাও দায় এড়াতে পারেন না।

সবচেয়ে সম্মানিত প্রাণী, মানুষ, যখন দেদারে প্রাণ দেয়, তখন অবশ্য পশু-প্রেমিকদের প্রেম সুপ্ত থাকতেই বেশি দেখা যায়।

---

শেষকথা, কুরবানী একটি মহান স্মৃতিকে বারবার সামনে নিয়ে আসে। ইবরাহীম ও ইসমাইল আ. এঁর সেই ঘটনার মূল শিক্ষা অদৃশ্য সত্ত্বা আল্লাহর প্রতি অগাধ ঈমান। ঈমান কতটুকু মজবুত হলে অদৃশ্য একজনের নির্দেশ বাস্তবায়নে নিজের সবচেয়ে প্রিয় সন্তানকে (সেসময় একমাত্র সন্তান, যাকে তিনি পেয়েছেন বার্ধক্যে, যৌবনে নয়) ত্যাগ করতে প্রস্তুত হয়েছিলেন!

আল্লাহ তায়ালা আমাদের কাছ থেকে সেই ঈমানটিই চান। কুরবানী কেন করব, এরকম প্রশ্ন ছাড়াই আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে কুরবানী করতে সচেষ্ট হব আমরা। যে কোনো ইবাদতই বিনা প্রশ্নে করব। এটাই ঈমান। তাকওয়া এরই নাম।

আল্লাহ আমাদেরকে তাঁর প্রিয় বান্দাদের কাতারে শামিল করুন। আমীন।

- ইউসুফ সুলতান

আইটেম আর আইটেম

​​
আইটেম আর আইটেম।
এখন আর আইটেম ছাড়া কিছুই জমে না।

এই-তো কিছুদিন আগেও IUT মানে ইসলামিক ভার্সিটিতে NESTLE'র একটা সেমিনার হয়ে গেল। সেখানেও নাকি দুইটা আইটেম ছিল।

তারও কিছুদিন আগে IUT'তে এসে স্বনামধন্য বিড়ি কোম্পানি BAAT সেমিনার করছিল নাকি তিনটা আইটেম দিয়ে। আরো মজার বিষয় হল, মাসটা ছিল রমজান মাস।

সাবান-শ্যাম্পু থেকে ধরে এমনকি চকলেট, চিপস, আইসক্রিমের বিলবোর্ডেও বিশেষভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে এই আইটেমগুলাকে। যদিও শেষোক্ত ৩টা খাবার শিশুরাই সবচেয়ে বেশী পছন্দ করে তবুও এইসব বিজ্ঞাপনে দেদারসে আইটেম ব্যবহার করা হচ্ছে।

একটু-যে নিউজ দেখব সে উপায়ও নেই। মনে হচ্ছে বাংলাদেশে শুদ্ধ বাংলা বলতে পারে এইরকম কোন পুরুষ নেই। যেকোন চ্যানেলে যেকোন সময়ে নিউজ পড়ছে আইটেমগুলা। যদিও BBC, CNN এর মত চ্যানেলগুলো পুরষ দিয়েও নিউজ পড়ায়।

পত্রিকাগুলোরও বেহাল দশা। নকশা, বিনোদন পাতা এইসবের কথা না হয় বাদই দিলাম। এইসব পত্রিকা আইটেম দেখাইয়া ক্রেতা বাড়ায় আবার নারী অধিকারের কথাও বলে। অদ্ভুত!

ফুটবল-ক্রিকেটের মাঠ থেকে ধরে কোচিং সেন্টারের বিজ্ঞাপনে পর্যন্ত আইটেমের ছড়াছড়ি। ফ্লেক্সি লোডের দোকানগুলোতে গেলে মনে হয় আইটেমগুলা ছাড়া কোন পুরুষ মোবাইলে কথা কয় না। পুরুষগুলা পিছনে দাঁড়ায়ে থাকে কখন আইটেমগুলার ফ্লেক্সি শেষ হবে আর তারা ফ্লেক্সি কইরা দিবে।

হায়রে আইটেম!
দুই-চারটা পয়সার জন্য নিজেদেরকে এইভাবে বিক্রি না করলে কি হয় না!!

- ওমর ফারুক

আমার দশ ভরি গোল্ড কেনার সামর্থ্য হবে?

"এক বন্ধুকে একবার বলেছিলাম,....

"ভাই আপনি এত ভালো মানুষ, এত গুরুত্বপূর্ণ একটা পজিশনে চাকরী করেন, অথচ একটা মেয়েকে নিয়ে আপনাকে ঘুরতে দেখেছে অনেকেই। আপনি তাকে বিয়ে করুন বা বিয়ে পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। কিন্তু আপনি যা করছেন তা আপনিও জানেন অন্যায়, কিন্তু তার চেয়েও বড় সমস্যা আপনার মত একজন অসাধারন মানুষ যখন এই কাজটা করছেন তখন অন্যদের আমরা আর কিছু বলতে পারছিনা যাদের বলা প্রয়োজন"।

উনি কিছুক্ষণ কিভাবে বুঝিয়ে বলবেন চিন্তা করলেন। তারপর বললেন,...

"আমাদের বাড়ীতে সব ভাইবোন পালিয়ে বিয়ে করেছে কারণ আমাদের বাবামা ইসলাম সম্পর্কে অজ্ঞ এবং তারা নানাধরনের বাহানা দিয়ে আমাদের সময়মত বিয়ের ব্যাবস্থা করেন না। আমি একটু আধটু ইসলাম বিষয়ে পড়াশোনা করেছি। তাতে লাভ হয়েছে এই যে আমি পালাইনি, বাবামা'র সব আকাঙ্ক্ষা পূরন করেছি, বাড়ী বানিয়ে দিয়েছি, বোনদের বিয়ে দিয়েছি, টাকাপয়সা দিচ্ছি প্রতিমাসে- কিন্তু তারা আমাকে বিয়ে করতে দিতে রাজী নন। যদি বিয়ের পর এভাবে ওদের জন্য খরচ করতে না পারি! আমার চল্লিশ হতে খুব একটা দেরী নেই। আর চল্লিশের পর আমার আর বিয়ে করার প্রয়োজনই নেই। কিন্তু বাবামাকে কে বোঝাবে? আমি এখন আমার 'ভুলের' মাসুল দিচ্ছি। দুনিয়াতেও গুনাহ কামাচ্ছি, আখেরাতেও এর প্রায়শ্চিত্ত করতে হবে।

"এ' তো গেল বাবামা'র কথা। যে মেয়ের আমাকে পছন্দ তাকে বললাম, চল আমরা ছোটখাট করে বিয়ে করে ফেলি। সে তখন বেঁকে বসল। কমপক্ষে দশভরি গহনা আর বড় অনুষ্ঠান না করলে সে বিয়েই করবেনা। আপনি তো গোল্ডের দাম জানেন নিশ্চয়ই। বলেন তো আরো কত বছর চাকরী করলে আমার দশ ভরি গোল্ড কেনার সামর্থ্য হবে?"

ওনাকে বিচার করা আমার উদ্দেশ্য ছিলনা। তাই চুপ করে রইলাম।

Collected From Sister
রেহনুমা বিনত আনিস

বিয়ের কয়েক দিনের মাঝেই খেয়াল করলাম

"বিয়ের কয়েক দিনের মাঝেই খেয়াল করলাম আমার 'স্বামী' বাইরে বের হলেই ফুল কিনে আনে। আজ এত বছরে ও সেই অভ্যাসের নড়চড় হয়নি। আমার প্রবাসী জীবনে তো বটেই। ১ মাসের জন্য বাংলাদেশে গেলেও ও ফুল কিনতে ভুল হয় না ওর।

একদিন কথা প্রসঙ্গে বড় আপু বলেছিলো আমি যে ফুল খুব পছন্দ করি সেটা আপুর কাছ হতে ও শুনেছিলো। গত ২/১ বছর আগের ঘটনা। জরুরী প্রয়োজনে আমার স্বামীকে ২ সপ্তাহের জন্য একাই দেশে যেতে হল। আমার এর আগে কখনো এরকম একা থাকার অভিজ্ঞতা নেই। তাই প্রথম প্রথম খুব ভয় পেলাম। পরে ভয়টা অভিমানে রুপ নিলো। ঠিক করলাম ও জেদ্দায় ফিরলে কথা বলা বন্ধ করে দেব। এয়ারপোর্ট হতে যখন বাসায় ফিরলো আমি দরজা খুলে সালাম দিলাম।

রজনীগন্ধার একঝলক সৌরভ এসে আমার নাকে লাগলো। ফুলপ্রেমী আমার নাক রজনী গন্ধাকে ভুলে যাবে এ হতেই পারে না। কিন্তু ব্যপারখানা কি? হঠাৎ দেখি ও মুচকি হেসে পেছনে লুকিয়ে রাখা হাতটা বের করে আনলো। ওমা প্রায় ৫০টার মত রজনী গন্ধা। অভিমান কি আর থাকে পাঠক বলুন! আমার মেঘ বিদূরিত মুখ লুকাতে গলায় প্রাণপণে গাম্ভীর্য ধরে বললাম- আহা ফুল গুলো তাড়াতাড়ি দাও। বেচারারা এতটা পথ পেরিয়ে এসেছে। নিশ্চয় ওদের পানির তেষ্টা পেয়েছে।"

লিখেছেনঃ নূর আয়েশা সিদ্দিকা

dampotto: আমি তোমাকে ভালোবাসি

অনেক সময় বিয়ের পর থেকে জীবনের নিত্যদিনের নানান টানাপোড়েনের ফলেই হয়ত, কাছাকাছি থেকেও দু'জনের মাঝে যেন বিয়ের সেই প্রথম সময়ের মতন আনন্দের তরঙ্গ খেলে না। দু'জন যেন কিছু দায়িত্বপালন করতেই পাশাপাশি থাকা। আটপৌরে হয়ে যাওয়া এই সম্পর্কটাকে একটু অন্যভাবে দেখাই কল্যাণকর। জীবনসঙ্গীর প্রতি এমন সাদামাটা অনুভূতি তৈরি হওয়া কিন্তু অস্বাভাবিক নয়। নানান কারণে এমনটা হতেই পারে। তবে হ্যাঁ, নিজে থেকে ছোট্ট একটা উদ্যোগ নিতে পারেন। তার জন্য অন্যান্য দিনের চাইতে একটু অন্যরকম কিছু আয়োজন করুন, খুব সামান্য কিছু ভিন্নতা নিয়ে আসুন। হয়ত দু'জনে যখন খেতে বসলেন। অথবা,অন্য একটা সময় সে একটু সচেতন আপনার প্রতি, তখন তাকে বলুন, আপনি তাকে ভালোবাসেন। 

ভালোবাসার কথা জানাতে হয়, সংকোচের কিছু নেই। আপনি কি একটু মুখচোরা স্বভাবের? অথবা অন্তর্মুখী? তাতে কী? ভালোবাসার কথাটা জানিয়ে দিন প্রিয় মানুষটিকে, এমনকি পরিবারের অন্যান্য যাদের ভালোবাসেন তাদেরকেও জানিয়ে দিন। যখন আপনি আপনার জীবনসঙ্গীকে জানাবেন আপনি তাকে ভালোবাসেন, তিনি আরেকটু আত্মবিশ্বাসী হবেন, নিজের আরেকটু যত্ন নিবেন। এই অনুপ্রেরণা তাকে তার ভারগুলো বইতে সাহায্য করবে, আল্লাহর ইবাদাতে মন দিতেও উৎসাহ যোগাবে ইনশা আল্লাহ। অনেকসময় এই ভালোবাসার অনুভূতিটুকুও একটা শক্ত অবলম্বন হয় একটা মনের মাঝে। 

বিষয়টাকে হালকা করে নিবেন না, আপনাকে বা আপনাদের যে অনেক রোমান্টিক হতে হবে -- এটা এমন ব্যাপার নয়। এটা একটা প্রয়োজনীয়তা, আমাদের সবার জন্য। আল্লাহর জন্য যাদের ভালোবাসি আমরা, তাদেরকে জানাতে হয় ভালোবাসার কথা। আল্লাহকে ভালোবাসে যে অন্তর, সেই অন্তরের সেই বিশাল ভালোবাসা থেকেই অন্যদেরকে ভালোবাসা বিলিয়ে দিবো আমরা। যদি অনেকদিন না বলা হয়ে থাকে তবে আজই প্রিয়জনকে বলুন, ধরুন এভাবে বলতে পারেন,  

"একটা কথা শুনো, মন দিয়ে চুপ করে শুনতে হবে। কথাটা হলো.... আমি তোমাকে ভালোবাসি।"

যারা বিয়ে করতে চাইছেন

যারা এই সমাজের অশ্লীলতা আর অন্যায়ের হাতছানি থেকে নিরাপদ থাকতে বিয়ে করতে চাইছেন, নিঃসন্দেহে আলহামদুলিল্লাহ্‌ তা একটি দারুণ নিয়্যাত। কিন্তু মনে রাখতে হবে, জীবনের লক্ষ্য আত্মাকে আল্লাহর দিকে রুজু রাখা, আল্লাহকে সন্তুষ্ট রাখা, তার ইবাদাত করা। সম্ভাব্য জীবনসঙ্গী খুঁজতে অস্থির হয়ে, অশান্তিতে থেকে, হতাশ হওয়া মু'মিনের কাজ নয়। নিঃসন্দেহে আল্লাহ যাকে নির্ধারিত রেখেছেন, তিনিই আপনার জীবনে আসবেন। কিন্তু তার কাছে পৌঁছতে আল্লাহর কাছেই কান্নাকাটি করা উচিত, তার কাছেই নফল ইবাদাতের মাধ্যমে অনাগত জীবনটাকে আরো কল্যাণময় করার জন্য বিনিয়োগ করা উচিত দু'আ। আল্লাহর আরো কাছে যেতে সাদাকাহ করুন। ফেসবুকের প্রোফাইলে, ইনবক্সে, গুগল টকে, ইয়াহু মেসেঞ্জারে জীবনসঙ্গী না খুঁজে তার কাছেই হাত পাতুন, যিনি সকল ক্ষমতার অধিকারী। যিনি এই বিশ্বজগতের প্রতিপালক, সমস্ত দু'আ যিনি শোনেন। যিনি আপনার প্রতিটি দু'আর প্রতিউত্তর দেন। সেই আল্লাহর আরো কাছে যান, তার কাছেই চরিত্রের হিফাজতের জন্য, দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণের জন্য দু'আ করুন। ইনশা আল্লাহ মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা আমাদেরকে কল্যাণ দান করবেন।

-- সাফওয়ান

ফেসবুকে প্রেম করে বিয়ে?

প্রেম-টেম করার সৌভাগ্য/দুর্ভাগ্য হয় নাই কোনদিন। জীবনের শুরু থেকেই আগাগোড়া প্রচন্ড বোরিং কিসিমের আর গোঁড়া টাইপের থাকায় হয়ত কোন মেয়েও কোনদিন আমার কাছে এসে একটা নোটপত্রও চায় নাই, হৃদয়-মনের অন্য কিছু তো দূরে থাক। জীবনের তৃতীয় দশকের শেষদিকে এসে বিয়ে বিলম্বের কারণ হিসেবে মূল হয়ে আছে কন্যা। আমার এক শুভাকাঙ্খী আমাকে বললেন, 'ফেসবুক আইডি' থেকে যেন মেয়ে খুঁজি।

দুঃখের বিষয়, অনলাইন/ফেসবুকে আসার পর থেকে আমি আন্তরিকভাবে এই বিষয়টার বিরোধী ও সমালোচক ছিলাম। আইডির পেছনে ঘুরা মানে নিজের ব্যক্তিত্ব বিসর্জন দিয়ে অন্য কোন এক মেয়ের জীবনকে যন্ত্রণাময় করে দেয়া। কোন বোনের দু'চার কথা ভালো লাগলেও তাদের পেছনে লাগতে চাই নাই, অযথা দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টাও করতে চাই নাই। জীবনটা ফেসবুকের পোস্টের চাইতে শত-কোটিগুণ বড় ব্যাপার। এই প্রোফাইল প্রদর্শনী দেখা আর পোস্ট শেয়ার করার সাথে গোটা জীবন শেয়ার করার বিষয়টার পার্থক্য আকাশ-পাতাল। 

আমার গোঁড়ামি আমাকে ভোগাচ্ছে। বন্ধুরা ফেসবুকে প্রেম করে বউ ঘরে নিয়ে চলে আসছে অনেকেই। সবে তাদের যাত্রা শুরু, কারণ বাবা-মায়েরা খুব বেশি অমত করেন না ইদানিং, ইসলামিক পরিবারে অবশ্য করেন এখনো। তবে, যে জিনিস যত সস্তায় অর্জন হয়, তার ব্যবহারিক অভিজ্ঞতা সুখকর হয় না এটা সবাই জানে।যা হোক, আজকে আমিও একই প্রেসক্রিপশন খাইলাম, হাহাহা। বিবাহের এই বিলম্বে ভালো কিছু হয়ত নাই। তাও, সারাজীবনে সৎভাবে গড়ে ওঠা এই ব্যক্তিগত দর্শনের সাথে কম্প্রোমাইজ করা মানে আমার নিজস্বতাকে ধ্বসিয়ে ফেলা, নিজের ফেলে আসা জীবনের বোধ ও উপলব্ধিকে অস্বীকার করা। পরম করুণাময় আল্লাহর দয়ার উপরে নির্ভর করে শক্ত থাকার প্রত্যয় করছি। 

--- জনৈক অবিবাহিত ভাই 

dampotto : জীবনসঙ্গীর ভুলগুলো

অনেকেই মাঝে মাঝে জীবনসঙ্গীর ভুলগুলো সহ্য করতে গিয়ে বিরক্ত হয়ে যান। 'কেন তার এমন ভুল হবে, কেন যে বুঝে না' -- এরকম প্রশ্ন মনে জেগে ওঠে। একটা কথা কিন্তু মনে রাখতে হবে, কোন মানুষ ' পারফেক্ট' নয় পৃথিবীতে, বিয়ের সময় কেউ আমরা নিখুঁত মানুষকে বিয়ে করিনা। আমরা সবসময় চেষ্টা করি নিজেদের উন্নত করার। স্বামী-স্ত্রী তো একজন আরেকজনের 'চাদর', একে অপরের দ্বীনের অর্ধেক, দ্বীনকে পূর্ণ করতে এই বন্ধন। দু'জন দু'জনের পরিপূরক। তাই, সঙ্গীর জন্য যতই কষ্ট করবেন, ভালোবাসা দেবেন, যত্ন নিবেন -- মূলত আপনি আপনার জন্যই কাজ করছেন, নিজেকেই সাহায্য করছেন। আল্লাহ তো আখিরাতে আমাদের প্রয়োজনের সময়টিতে জীবনে করে যাওয়া প্রতিটি ভালো কাজের বিনিময় দেবেন, আমাদের  সংসারটি হোক তখন মুক্তি পাওয়ার একটি মাধ্যম। আল্লাহ অভাবহীন, দয়াময়, প্রেমময়, ক্ষমাশীল; তার রাহমাতের ঝর্ণাধারা ঝরে পড়ুক আমাদের সংসারগুলোতে... 

যখন কোনও মেয়ের নীরবে অত্যাচার সহ্য করার প্রয়োজন ছিল না

একটা সময়ের কথা মনে পড়ছে, প্রায়ই মনে পড়ে। যখন কোনও মেয়ের নীরবে অত্যাচার সহ্য করার প্রয়োজন ছিল না। মাস্টার্স ডিগ্রী না থাকলেও কোনও বিধবা অথবা ডিভোর্সি মহিলাকে অসহায় হতে হয়নি। স্বামী সন্তানের কাছে সম্মান পাওয়ার জন্য তার সুচরিত্রের অধিকারিণী এবং দ্বীনদার হওয়াই যথেষ্ট ছিল-- পড়ালেখা তাঁরাও জানতেন, কিন্তু সেটা তাদের সম্মানের সিঁড়ি ছিল না যা না থাকলে তাঁরা নিজেদের মুল্যহীন ভাববেন! মেয়ে তো মেয়ে, একটা ছেলেও সে যুগে ডিগ্রীর মাঝে পরম সম্মান হাতড়ে মরেনি, মরতে হয়নি! অথচ তখন যে তাঁরা কেবল শিক্ষিত ছিলেন তাই না, আমাদের কল্পনার বাইরে ছিল তাঁদের বোধ বুদ্ধি, মনের জোর আর পারসোনালিটি!!!এই আলোকিত সময়টা ছিল ১৪০০ বছর আগের সেই যুগে, যেই যুগকে কিনা আজকের মানুষেরা অন্ধকার যুগ বলে। 
আমি মানি পড়ালেখা না জানলে মেয়েরা এসময় অনেক অসহায়। তবে সমাধানটা আমরা ইসলামের ওপর জীবন যাপন করার বদলে খুঁজি হল মাস্টার্স ডিগ্রীর মাঝে আর চাকরির মাঝে। আল্লাহও তাই আজকে আমাদের সম্মানকে সেসবেরই মুখাপেক্ষী করে দিয়েছেন। তাই বাধ্য হয়ে, সব বুঝেও আমাদের বলতে হয় "এই যুগে একটা ডিগ্রী না হলে চলে না।" আসলেও চলে না। এও এক প্রকার শাস্তি। ভুল জায়গায় সম্মান হাতড়ে বেড়ানোর মানসিক যন্ত্রণা। আর শাস্তি অনুভব করতে না পারাটাও আরেক শাস্তি!
-- নায়লা নুযহাত

এইজন্য বড় করি না যে একদিন তারা আমাদের কষ্টের পে ব্যাক করবে

সন্তান আমরা এইজন্য বড় করি না যে একদিন তারা আমাদের কষ্টের পে ব্যাক করবে। ওটা তো একটা হাসির কথা। বাবা মায়ের আজীবনের ত্যাগ স্বীকারের আবার পে ব্যাক হয় নাকি?? পে ব্যাক হয় ক্লান্ত শরীরে অসুস্থ বাচ্চাকে নিয়ে পার করা নির্ঘুম রাতগুলোর? নাকি পে ব্যাক হয় খাওয়ার মাঝখানে সন্তানকে পরিষ্কার করতে হাসিমুখে খাওয়া রেখে উঠে যাওয়ার? নাকি পে ব্যাক হয় সেই দিনগুলোর যখন মা বাবা সন্তানের মুখের দিকে চেয়ে তার অব্যক্ত মনের কথা বুঝে ফেলেন?? হয় না! আমরা তা চাইও না! অবশ্যই আমরা তাদের থেকে ভালো ব্যবহার আশা করি। কিন্তু আমরা জানি, একমাত্র আল্লাহ ভীরুতাই সব সমস্যার সমাধান!তাই মুসলিম হিসেবে আমরা চাই ওরা আল্লাহ ভীরু হয়ে বেড়ে উঠুক। ওরা আল্লাহর পথে থাকুক। সে যদি থাকে, তাহলে আমাদের জন্য কী করলো, সম্মান করবে কিনা, ও নিয়ে ভাবতে হবে না ইনশাআল্লাহ। যে আল্লাহকে ভয় করবে, সে বাবা মাকে সম্মান করতে বাধ্য! আর কেউ যদি অসম্মান করে, তাহলে দুঃসংবাদটা সে অসম্মান করলো এর মাঝে না, সে আল্লাহর নির্ধারিত সীমা লঙ্ঘন করছে তার মাঝে!

মুসলিমদের ব্যাপারটা বুঝতে হবে। তাদের সন্তানেরা তাদের চোখের মণি। তাই তো আগুন থেকে বাঁচাতে যা কিছু করা সম্ভব, সন্তানদের জন্য তারা তাই করবে! আর এই কষ্টের প্রতিদান তারা তাদের চোখের মণিদের কাছে দাবী করে না। আশা করে তাদের রবের কাছে-- যেখানে কোনও খাঁটি ইনভেস্টমেন্টে ক্ষতি হওয়ার কোনও আশঙ্কাই নেই! আশা করে সেই রবের কাছে, এই দুনিয়া এবং আখিরাতের সমস্ত নিয়ন্ত্রণ যার হাতে! সেই রব, যার কাছে রয়েছে মানুষের অন্তরের নিয়ন্ত্রণ, জীবনের নিয়ন্ত্রণ, সম্মানের নিয়ন্ত্রণ। সম্মান দেয়ার মালিক একমাত্র আল্লাহ। সেটা আমাদের খুঁজতেও হবে তাই তাঁরই কাছে!!

আল্লাহ যেন আমাদের সন্তানদের আমাদের জন্য অন্তরের প্রশান্তি করে দেন। তিনি যেন তাঁরই বান্দাদের বড় করতে যেয়ে আমাদের এই কষ্ট স্বীকার কবুল করে নেন। আমাদের সন্তানেরা যেন হয় এই পৃথিবীতে আমাদের জন্য অগ্রীম সুসংবাদ, আর আখিরাতে আমাদের সম্মানের কারণ! আমীন!


-- নায়লা নুজহাত

dampotto : কখনো কখনো একটু অনুপ্রেরণা জীবনটাকে একদম বদলে দেয়


দু'জনের জীবন মানেই নিজ নিজ কাজের ভার বয়ে নেয়া। তাই বলে অনেকদিন হয়ে গেছে, দু'জনকে চিনে গেছি বলে সব সাদামাটা হয়ে যাবে? বলুন তো, কাপড় ক'দিন পরার পর একটু নতুন করে ধুয়ে নিই না আমরা? তাতে সুগন্ধি লাগিয়ে নিই না? সম্পর্কটাকেও মাঝে মাঝে একটু ঝালাই করে নিতে হয়।

আপনার বর তো প্রতিদিন কতকিছুই করেন, কেনাকাটাও করেন। তার আনা যে জিনিসটা ভালো লেগেছে, একটু প্রশংসা করলে কী এমন হয়ে যাবে? আপনার স্ত্রী তো প্রতিদিন রেঁধেই চলেছেন আপনার জন্য। তরকারিটা ভালো লাগলো, স্বাদ করে খেতে খেতে একটু বলুনই না আপনার ভালো লাগার কথাটা...

কখনো কখনো সুন্দর একটু প্রশংসা, একটু অনুপ্রেরণা জীবনটাকে একদম বদলে দেয়, মোড় ঘুরিয়ে দেয় চিন্তার, ভালোলাগা আর ভালোবাসার বন্যা এনে দেয়। দেখবেন, হয়ত আনন্দে তার চোখে পানি এসে যাবে। মুছে দিতে গিয়ে বুঝবেন -- অল্প কিছুর মাঝেই কত আনন্দ মিশে থাকতে পারে... :)

একজন মানুষ কে কখনো তার বাইরের আচরণ দেখে যাচাই করবেন না

একজন ডাক্তার একটি জরুরী সার্জারির জন্য তাড়াহুড়ো করে আর এক ডাক্তারকে হাসপাতালে ডেকে পাঠালো। সে তড়িৎ গতিতে হাসপাতালে পৌঁছে গেলো। হাসপাতালে ঢুকেই সে নিজেকে দ্রুত প্রস্তুত করে নিল সার্জারির জন্য। এরপর সার্জারির ব্লক এ গিয়ে সে দেখল রোগী (একটি ছোট্ট ছেলে)র বাবা ওখানে পায়চারি করছে ডাক্তারের অপেক্ষায়।
ডাক্তার কে দেখামাত্র লোকটি চেঁচিয়ে উঠল- ...আপনার আসতে এত দেরি লাগে?দায়িত্ববোধ বলতে কিছু আছে আপনার? আপনি জানেন আমার ছেলে এখানে কতটা শোচনীয় অবস্থায় আছে ???
ডাক্তার ছোট্ট একটা মুচকি হাসি হেসে বলল- "আমি দুঃখিত, আমি হাসপাতাল এ ছিলাম না, বাসা থেকে তাড়াহুড়ো করে এলাম, তাই খানিক দেরি হল, এখন আপনি যদি একটু শান্ত হন, তবে আমি আমার কাজ টা শুরু করি ?"
লোকটি এবার যেন আরও রেগে গেলো, ঝাঁঝাঁলো স্বরে বলল- "ঠাণ্ডা হব? আপনার সন্তান যদি আজ এখানে থাকতো? আপনার সন্তান যদি জীবন মৃত্যুর মাঝে দাঁড়িয়ে থাকতো, তবে আপনি কি করতেন? শান্ত হয়ে বসে থাকতেন ??"
ডাক্তার আবার হাসলেন আর বললেন "আমি বলব পবিত্র গ্রন্থে বলা হয়েছে যে, মাটি থেকেই আমাদের সৃষ্টি আর মাটিতেই আমরা মিসে যাব ! ডাক্তার কাউকে দীর্ঘ জীবন দান করতে পারেন না। আপনি আপনার সন্তানের জন্য প্রার্থনা করতে থাকুন, আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা টা করব ।"
লোকটি পুনরায় রাগত স্বরে বলল- "যখন আপনার টেনশন না থাকে তখন উপদেশ দেয়া সহজ ই !!"
এরপর ডাক্তার তখন আর কথা না বাড়িয়ে সার্জারির রুম এ চলে গেলো...

২ ঘণ্টার মত লাগলো,

শেষে হাসি মুখে ডাক্তার হাসি মুখে বের হয়ে এলো, "আলহামদুলিল্লাহ অপারেশন সফল।" এরপর লোকটির উত্তরের অপেক্ষা না করেই ডাক্তার আবার বলে উঠলো- "আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে নার্স কে জিজ্ঞেস করুন ", বলে সে চলে গেলো ।
এরপর লোকটি নার্স কে বললেন-"ডাক্তার এত ভাব নেন কেন? তিনি কি আর কিছুক্ষণ এখানে দাঁড়াতে পারতেন না? যাতে আমি ওনাকে আমার সন্তানএর ব্যাপারে কিছু জিজ্ঞেস করতাম ।"
নার্স কান্নায় ভেঙ্গে পড়লেন আর জানালেন-
ডাক্তার এর ছেলে আজ সকালে মারা গেছে রোড এক্সিডেন্ট এ, তিনি আপনার ফোন পেয়ে ওনার ছেলের জানাজা থেকে উঠে এসেছেন, এখন আবার দৌড়ে চলে গেলেন-কবর দিতে।

নৈতিক শিক্ষা :-
একজন মানুষ কে কখনো তার বাইরের আচরণ দেখে যাচাই করবেন না,
কারণ আপনি কখনই জানেন না তিনি কিসের মাঝে আছেন।

কারো বউ নিয়ে আলাপের সময়

মেয়েদের মহলে কারো বউ নিয়ে আলাপের সময় প্রথমেই 'মেয়েটা অত সুন্দর না, কালো' বা এইরকম বহু আলাপ করা হয় প্রায় সময়েই। কেন? কার বউয়ের রং কেমন, তা দিয়া আপনাদের কী? ঐ মেয়ে সাদা ধবধবা হইলেও আপনার কিছু না, অনুজ্জ্বল রঙ হলেও আপনার কিছু না। আপনার সমালোচনা শুনলে মেয়েটা কষ্ট পেত, তাইনা? এই গীবত করবেন না অকারণে, দেখবেন আপনার কল্যাণ হবে, অন্যের উপকার হবে।

[সংগৃহীত]

বিয়ার দাওয়াতে উপহার নিয়ে যেতে কেউ বলে না, কিন্তু ...

"যখন মানুষ মরে যায় তখন এ দুনিয়াতে তার আর কিছুই বাকি থাকে না, শুধু থাকে ইসলামের জন্য তার অন্তরে লুকোনো ভালোবাসা থেকে করা আমলগুলো। আঁধার রাতের আবডালে গুঙিয়ে গুঙিয়ে কাঁদা, আল্লাহর ভয়ে ছোট্ট একটি হারাম ছেড়ে দেয়া, আল্লাহকে খুশি করতে কোন সৎ কাজের জন্য প্রাণপণ প্রচেষ্টা। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কাজ, কিন্তু আল্লাহর চোখে হয়তো অসামান্য! পৃথিবীর মাঝে কেউ কি এগুলোর মূল্য জানে? নাহ্, সেগুলোর কথা শুধু আল্লাহ তা'আলাই জানেন। শেষ পর্যন্ত আল্লাহর সাথেই আমাদের সকল হিসাব, আল্লাহর কাছেই চূড়ান্ত প্রত্যাবর্তন।"

--- একজন মুসলিমাহ বোন

বিয়ার দাওয়াতে উপহার নিয়ে যেতে কেউ বলে না, কিন্তু অনুস্ঠান স্থলে ঢুকতেই টেবিল আর খাতা কলম থাকে।

-- মাজহার ভাই

দপ্তরবিহীন মন্ত্রী থাকিতে পারিলে, চাকুরিবিহীন বেকার জামাই কেন গ্রহণযোগ্য হইবে না?

-- জুবাইর তারিফ

ধর্ষিতাকে যদি উন্নত চিকিৎসার জন্য সিংগাপুর নেওয়া লাগে,ধর্ষককে উন্নত বিচারের জন্য সৌদি আরব নেয়া হবে না কেন?

[সংগৃহীত]


আমি কি বললাম, তার দায়ভার সম্পূর্ণ রূপে আমার। তবে তাতে আপনি কি বুঝলেন, সেটার দায়ভার সম্পূর্ণ রূপে আপনার।

- স্যার ভিকিয মব

আমাদের কবরের উপরেও একদিন ফুটবে সাদা ঘাসফুল, বাসা বাঁধবে একদল তরুণ সৈনিক পিঁপড়ে।

খুব বেশী দূরের গল্প নয়।

--- মহিব উল্লাহ খান