মেয়েটা এগুলো দেখেই প্রেমে পড়ে গিয়েছিল

ছেলেটার আলুথালু বেশ। উশকো-খুশকো মাথার চুল। বন্য রকমের স্বাধীন। বোহেমিয়ান -- গিটার হাতে আজ কুয়াকাটা তো কাল সিলেট। জীবনটাকে উপভোগ করতে পারে। ....... মেয়েটা এগুলো দেখেই প্রেমে পড়ে গিয়েছিল। অনেক সাধনা, বহু আন্দোলন-কোন্দল-সংঘর্ষ এবং মুক্তিযুদ্ধের পরে বিয়ে করার স্বাধীনতা। অসহ্য লাগে এখন। বুনো জানোয়ার। ছেড়া কাপড় পড়ে বাইরে বের হয়ে যায়। গোসল করে না কতদিন। চুলে তেল-পানি কিচ্ছু নেই। আয় করার নামটি নেই খালি ফূর্তি। সারাদিন আছে বন্ধু-বান্ধবীদের নিয়ে। ........ বিয়ের পরে মেয়েটা ভাবছে। কিছুদিন পরে ভাবনাগুলো শব্দতে রূপান্তর হয়ে দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের সূচনা করে। কোনো এক গুণীজন বলেছিলেন মেয়েরা বিয়ে করে কিছু গুণে আকৃষ্ট হয়ে। বাকি জীবন চলে যায় সেই গুণগুলোকে শুধরে দিতে। আলহামদুলিল্লাহ সেকুলার প্রেম-বিয়ের এই যন্ত্রণা একজন মুসলিমকে সহ্য করতে হয় না। তারা বিয়ে করে দ্বীন দেখে। বাকিটা জীবন তারা দুজনে মিলে চেষ্টা করে কীভাবে একে অপরের দ্বীনকে বাড়িয়ে তুলবে।

--  শরীফ আবু হায়াত অপু

তবু মাথা নোয়াবার নয়

'জ্বলে-পুড়ে মরে ছারখার তবু মাথা নোয়াবার নয়' -- কথাটার সত্যতা সুকান্ত কতটা বুঝেছিলেন জানি না, আমরা বেশ বুঝতে পারছি। গাজাতে নিহতের সংখ্যা হাজার পেরিয়েছে, আহত ৬০০০। এর মধ্যেও গাজাবাসী ঈদ করছে। আল্লাহর দেওয়া আনন্দের দিন কাফেররা ম্লান করবে কীভাবে?

যারা নিহত হয়েছে তাদের জন্য কী ধরণের খাবার অপেক্ষা করছে সেটা আমরা চিন্তাও করতে পারব না। যারা জীবিত, আহত -- তাদের ধৈর্যর জন্য আল্লাহ উপযুক্ত প্রতিদান দেবেন ইন শা আল্লাহ।

যুদ্ধজাহাজ দিয়ে গাজার সমুদ্রসীমা নিয়ন্ত্রণ করা যায়, ট্যাঙ্ক দিয়ে স্থলসীমা টহল দেওয়া যায়, বিশ্বের পরাশক্তিদের নিয়ে একটি জাতির ভূমি ছিনিয়ে নেওয়া যায় কিন্তু একজন মুমিনের হৃদয়?

নাহ সেটা কিছুতেই দখল করা যায় না। যায়নি, যাচ্ছে না, যাবেও না ইন শা আল্লাহ।

-- শরীফ আবু হায়াত অপু

বিয়ে না হলে তাতে কি ?? সে তো আমার বর (Husband)!!

ভার্সিটিতে প্রায় শেষ সেমিস্টার, সামনের মাসেই ফাইনাল পরীক্ষা। কিছুদিন ধরে গত চার বছর এর কিছু অভিজ্ঞতা নিয়ে জল্পনা কল্পনা করছিলাম। সমাজের তুমুল পরিবর্তনের কিছু অবাক করা চিত্র ধরা পড়লো। তার মধ্যে খুব গুরুতর একটা সমস্যা নিয়ে লেখার অভিপ্রায় জাগলো।
আমার ক্যাম্পাস যেহেতু শুধু মেয়েদের, তাই গত চার বছর বেশ স্বাচ্ছন্দে কেটেছে। ভার্সিটিতে মেয়েদের নিয়ে অনেক অনুষ্ঠান, language club, Debate club আয়োজন করতে গিয়ে অনেক অনেক মেয়ের সাথেই সখ্য গড়ে উঠেছে। তাদের মাঝে প্রায় সবাই প্রেমজনিত রোগে ভুগছে, তবে অনেকেই এই বিষ পান করেনি বলে আমার বিশ্বাস।

যাইহোক, প্রেমজনিত রোগে ভুগছেন যারা তাদের কয়েকজনের অদ্ভূত এক জীবনদর্শন আমাকে একই সাথে বিব্রত এবং চিন্তিত করেছে। এসব মেয়েদের মাঝে অনেকের পরিবার থেকেই জানে যে এরা একজন এর সাথে engaged, কিন্তু তবুও বাড়ি থেকে বিয়ের কোন উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে না। কিন্তু এরা ঠিকই কক্সবাজার এ পিকনিক এ যাচ্ছে, অবৈধ মেলামেশা করছে! আবার এসব কিছুও তাদের পরিবার জানছে। আমি খুব কাছের একজনের কাছে জানতে চাইলাম, চার বছর ধরেই তো ভাই একই ভাবে চলছেন, বিয়ে করবেন কবে?? সে উত্তরে বলল, বাবা-মা এখনই রাজি না, অনার্স শেষ করেই বিয়ে দেবেন। আবার প্রশ্ন করলাম, বিয়ে হবে তো? নাকি…? সে বললো আরে বিয়ে তো হয়েই আছে, ও তো আমার বর। শুধু কালেমা পরাটাই বাকি এই আর কি (????)।

আর একজনের সাথে কথায় কথায় বিয়ের প্রসঙ্গ এলো, বলল সে তার খালাতো ভাই এর সাথে প্রেম করছে আজ প্রায় ৩ বছর। ওরা একসাথে বাড়ি যায়, এমনকি ওর পরিবার থেকে কড়া নির্দেশ, ওর সেই খালাতো ভাই ছাড়া যেন একা একা বাড়িতে না যায়। (?????????)

এরকম আরো অনেক মেয়ের কাছ থেকেই একইরকম উত্তর পেলাম, যারা নাকি অনেকদিন ধরেই প্রেমজনিত এই ভয়াবহ সামাজিক ব্যাধিতে আক্রান্ত।

অনেক ভেবে দেখলাম সমাজের এই সমস্যাটাই আমাদের দেশের মূল ভাঙ্গনের জন্য অনেকটাই দায়ী। আগে ছেলে মেয়েদের বিয়ে হত অল্প বয়সেই এবং সংসারের দায়িত্ব ঘারে এসে পড়ায় মানুষের মধ্যে এতো চরম নৈতিক বিপর্যয় ঘটেনি। এখন মেয়েদের তথাকথিত অধিকার প্রতিষ্ঠার নাম করে তাদের নিয়ে ব্যাবসা করা হচ্ছে। আর মা-বাবারাও এসব ফানুসের পেছনে নিজের সন্তানদের ছুটার ব্যবস্থা করে দিচ্ছে। বিয়ের মত বৈধ একটা সামাজিক কাজকে পায়ে দলে অবৈধ যৌন বাসনাকে উস্কে দেয়া হচ্ছে।
লাক্স ফটোজেনিক এ যে মেয়েগুলো অংশ নিচ্ছে, তাদের বাবা মায়ের কাছে খুব জানতে ইচ্ছা করে, তারা কি তাদের সন্তানের শরীর বিক্রি করা টাকা দিয়ে তাদের ভবিষ্যত জীবন কে সাজাতে চান??
যে চ্যানেল আই এই কুকাম সাধন করে যাচ্ছে বছরের পর বছর তাদের বিরুদ্ধে আমাদের সমাজ নীরব কেন??

এবারে একটু গভীরে যাই,

ধরেন একটা মেয়ে আর একটা ছেলে, ২ জনই একি শহরে পড়ালেখা করছে, ২ জনই সেই প্রেমজনিত মহামারি রোগে আক্রান্ত। তারা ২ জনই ২ টা মেসে বা হোস্টেল এ থেকে পড়ালেখা করছে এবং তারা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ যে, একে অপরকে ছাড়া বাঁচবেইনা (প্রলাপ আর কি)। এখন এই দুজন নাদান মানব মানবী কে যদি তাদের পরিবার থেকে বিয়ে দিয়ে দিত, এবং তারা ২ টা ভিন্ন হোস্টেল না থেকে একটা রুমে থাকবে আর পাশাপাশি পড়ালেখা করবে। বাবা মা তারা আলাদা থাকলে যেই টাকা তাদের দিতেন সেই টাকাই পাঠাবেন। এরকম উদাহরণ আমাদের ভার্সিটিতে আমি দেখেছি। আমাদের বিতর্ক ক্লাবের এক মেয়ের কাছে জানতে পারলাম, তাদের পরিবার এ এখনও ছেলেমেয়েদের এভাবেই বিয়ে হচ্ছে। সেই মেয়েও বিবাহিত। তারা ২ জনই আমাদের ভার্সিটিতে পড়ছে। একটা রুম নিয়ে থাকছে। এতে ওদের নৈতিক অবক্ষয়ের একটা পথ বন্ধ হয়েছে। ওদের পরিবারের সবার এভাবেই বিয়ে হয় এবং সবাই উচ্চশিক্ষা নিতে দেশে বিদেশে যাচ্ছে। বিয়ে পড়ালেখায় কোনো প্রতিবন্ধক নয়। এটাকে সমাজ প্রতিবন্ধক হিসেবে উপস্থাপন করে অবৈধ যৌনাতেই বাহবা দিচ্ছে। টেলিভিশন নাটক সিনেমায় এমনভাবে এটাকে দেখানো হচ্ছে যে প্রেমটা যেন ঐশ্বরীক! বিয়ের আর দরকার কি?? তাদের কথা মত, "বিয়ে হয়নি তো কি হয়েছে? সে তো আমার বর"। (!!!!!!!!!!!!!!)

Boyfriend culture এর বেপরোয়া প্রচলন এর ফলে সমাজের কত অঘটন ঘটছে তা নিশ্চয়ই সবাই বুঝেন বোধ করি।

১। অবিশ্বাস (বিয়ের আগে যতটাই বিশ্বাস করছে, বিয়ের পর ঠিক ততটাই অবিশ্বাস)।
২। তালাক।
৩। নারী নির্যাতন।
৪। নৈতিক অবক্ষয়।
৫। অনেক ছেলেমেয়েই একাধিক প্রেম জনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
৬। একে অপরের প্রতি সমাজিক শ্রদ্ধাবোধ এখন বিলুপ্তির পথে (ট্রেনে এক বৃদ্ধকে সিট ছেড়ে দেয়ায় সবার চোখে সেই মানুষটাকে এলিয়েন মনে হয়)।
৭। পারিবারিক অশান্তি।
৮। হতাশা।
৯। নেশা (প্রেমে ছ্যাঁকা খেয়ে নেশা ধরেছে এমন ঘটনা এখন খুব সাধারণ)।
১০। খুন।
১১। পর্ণোগ্রাফি (প্রায়ই ইন্টারনেট এসব ঘটনা প্রকাশ পেয়ে যায়, অপ্রকাশিত ঘটনার কথা বাদই দিলাম, কিন্তু অনেক ঘটছে)।
১২। আত্মহত্যা।
১৩। ধর্ষণ।
১৪। লোভ (আমাদের ভার্সিটির এক মেয়ে সেমিস্টার ফি না দিয়ে তার বয় ফ্রেন্ড কে গিফ্‌ট কিনে দিল, সেমিস্টার ফাইনাল দিলনা। যখন বাবা জানলেন তখন সেই বাবার সে কি করুণ অবস্থা!!)।
১৫। পারিবারিক অশান্তি।

এভাবেই আরো অনেক সামাজিক সমস্যার সৃষ্টিকারী এই মহামারি ব্যাধি আমাদের সমাজকে কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে। আর পাশাপাশি নৈতিক শিক্ষার অভাবে, তাদের মস্তিস্কে গোবর সাপ্লাই করার মত অনেক উপাদান চাকচিক্যময় ভঙ্গিতে উপস্থাপন করছে। আর মিডিয়া এই সমস্যাকে সব থেকে বেশি উসকিয়ে দিচ্ছে। পোষাক সন্ত্রাস মেয়েদের রুচি বিকৃতিতে সব থেকে বেশি তৎপর।

বিদেশী সংস্কৃতির আদলে বাঙ্গালি মেয়েদের ইজ্জত আব্রু নিয়ে যা ইচ্ছে তাই ছিনিমিনি খেলা চলছে, আর আমরা তখন নীরব!!! যারা নিজেদের সমাজের কর্ণধার মনে করেন তাদের তখন ১০০০ ভোল্ট এর বাত্তি দিয়ে সার্চ করলেও খুঁজে পাওয়া যায়না!

কিন্তু এরাই আবার স্বাধীনতা, স্বাধীনতার চেতনা, দেশকে নিয়ে দুশ্চিন্তা(!!) এসব বুলি আওরাতে খুব পটু। যে চ্যানেল আই লাক্স ফটোজেনিক এর মত নোংড়ামি করতে পারে, তারাই আবার 'মাটি ও মানুষ' নিয়ে অনুষ্ঠান করে বাহবা কুড়ায়। আর আমাদের মত আতেলরা দেখেও না দেখার ভান করি। কেউ কেউ বলি, কি হচ্ছে হোক, আমি নিজে ভাল থাকলেই হল। দেশ আর সমাজের জন্য আমাদের তো কোন দায়িত্ববোধ থাকতে নেই(!!)। আমরা শুধু খাব দাব আর কলকলাবো। দেশে একটা দৈত্য এলো, ডিজুস জেনারেশন তৈরি হলো, এরা বেহায়া নাচ গানে মত্ত থাকবে, পার্টি করবে, ক্লাবে নাচবে। মেয়েরা পার্লারে কারি কারি টাকা উড়াবে নিজদেরকে নোংড়ামির জন্য পলিশ করবে আর রাস্তায় তার রুপ দেখে কেউ কমেন্ট করলে সেটা হবে যৌন হয়রানি কিংবা ইভটিজিং(!!)।

ধুর ছাই, এসব ভাবলেই মেজাজ খারাপ হয়ে যাচ্ছে...

................
সাদিয়া শিমু
২৮ জানুয়ারী, ২০১১।

গাজা নিয়ে কত লেখালেখি

গাজা নিয়ে কত লেখালেখি, কত অনুভূতি! আমারও লেখার আছে কিছু, কিন্তু লিখতে পারি না। বুকের গহীন গভীর আর গোপন কষ্টগুলি শেয়ার করা অনেক কঠিন। শুধুই কষ্ট হলেও একটা কথা ছিল। কষ্টের সাথে আছে পাহাড়সম অপমান। ইসরাইলীরা যখন পোকামাকড়ের মত ফিলিস্থিনীদের মারে তার ভেতর শুধু বেপরোয়া পশুশক্তির প্রকাশই নেই, আছে প্রবল অপমানও। যখন খুশী, যেভাবে খুশী মারতে পারি, অপদার্থ আরব/মুসলিম, এ ব্যাপারে তোমাদের কি করার আছে? (আজকাল অবশ্য ফেসবুক আর টুইটারে স্ট্যাটাস দেওয়া যায়)। টার্কিসহ মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য আরব দেশগুলির সম্মিলিত শক্তি ইসরাইলের চেয়ে অনেক বেশি। প্রতি একজন ইহুদীর বিপরীতে আছে শতজন মুসলিম। আরবদের হাতে আছে তেল অস্ত্র। যার একটিবারের ব্যবহারে পশ্চিমা বিশ্ব দিশেহারা হতে পারে। ইতিহাস সাক্ষী। অন্যায় রাষ্ট্র ইসরাইলের টিকে থাকবার কথা নয়। কে টিকিয়ে রেখেছে? যতটুকু আমেরিকা, ততটুকুই ইজিপ্ট এবং সৌদি আরব। কষ্ট, অপমানের সাথে সাথে ঘৃণাও নেহাত কম হয় না। অযোগ্য অপদার্থ একটি উম্মাহর অংশ আমি। অপমান হজম করবার চেষ্টা চালাই শুধু।

-- সালেহ হাসান নকীব

প্রথম আলো ও সেক্যুলার মিডিয়াগুলো আপনাকে যে মিথ্যা জানাতে চায়

প্রথম আলো ও সেক্যুলার মিডিয়াগুলো আপনাকে যা জানাতে চায়ঃ

"পিউ রিসার্চ সেন্টারের জরিপঃ ইসলামি জঙ্গিবাদ নিয়ে উদ্বিগ্ন দেশের ৬৯% মানুষ"
http://epaper.prothom-alo.com/index.php?opt=view&page=1&date=2014-07-03

এবং যা জানাতে চায় নাঃ

৮২% বাংলাদেশী শরিয়া দেশের সর্বোচ্চ আইন হিসেবে চায়ঃ পিউ রিসার্চ সেন্টারের জরিপ '১৩ http://www.pewforum.org/2013/04/30/the-worlds-muslims-religion-politics-society-beliefs-about-sharia/

একই প্রতিষ্ঠানের দুইটি জরিপ। একটি স্থান পেয়েছে প্রথম পাতায়, অন্যটি ছাপানোই হয়নি।