কল্যাণকর ও উত্তম সম্পদ হল চরিত্রবান নেককার স্ত্রী।

সম্পদ কি তা কি সবাই বুঝি? পুরুষেরা অনেক সময় সম্পদ অর্জনের জন্য এখানে-ওখানে খুঁজে অস্থির হয়ে যায়, নিজ ঘরের ব্যাপারে উদাসীন হয়ে পড়ে। টাকা-কড়িই কি কেবল সম্পদ? সেই সাথে বাড়ি-ঘর আর জমি-জমা-গাড়ি? শুধু অর্থসম্পদ কি আপনাদের সন্তানদের সুসন্তান করে গড়ে তুলতে পারবে? সন্তানেরা কার তত্ত্বাবধানে আর যত্নে বড় হয়, তা ভেবেছেন?

হে ভাই, জীবনসঙ্গিনীর ব্যাপারে ভেবে দেখেছেন? একটা পরিবারে একজন নারী হলেন সংসারের স্থপতি, তার হাতের নিবিড় পরিচর্যায় বড় হয় আপনাদের সন্তানেরা, যখন আপনি জীবিকার কাজে বাইরে ব্যস্ত থাকেন তিনি আগলে রাখেন সংসারটিকে। তিনি আপনার চিন্তাগুলোর প্রভাবক -- ভালো চিন্তা হোক, ভুল চিন্তা হোক, দুনিয়াবী চিন্তা হোক, আখিরাতের চিন্তা হোক। 

অল্প সম্পদকেও অনেক বেশি সম্পদ মনে হতে পারে যখন একজন ভাইয়ের জীবনসঙ্গিনী তার যা আছে সেগুলোতেই সন্তুষ্ট থেকে তাকে আল্লাহর উপরে ভরসা করে অর্থ উপার্জনের জন্য সাধ্যমতন চেষ্টাটুকু করতে উৎসাহ দিবেন। তখনই আপনার সবকিছু সুন্দর হবে, ছোট্ট ঘরটিকেও বড় মনে হবে, কষ্টের জীবনটিকেও আল্লাহর দেয়া পরীক্ষা হিসেবে সহনীয় আর কল্যাণকর হিসেবে খুঁজে পাবেন যখন দ্বীনদার স্ত্রী আপনার সঙ্গী হবেন এবং আপনিও যখন দ্বীনদার স্বামী হিসেবে তার যোগ্য জীবনসঙ্গী হবেন। 

প্রকৃত সম্পদ কী তা বুঝে নিতে তাই ভুল করবেন না যেন কখনো!! রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ

♥"সমগ্র পৃথিবীটাই সম্পদে পরিপূর্ণ। এর মধ্যে কল্যাণকর ও উত্তম সম্পদ হল চরিত্রবান নেককার স্ত্রী।"♥
[মুসলিম]

পাত্র-পাত্রী কেমন হওয়া উচিৎ?

​​বিয়ের পাত্র নির্বাচনের ব্যাপারে দরিদ্র পাত্র ধনী পাত্র অপেক্ষা উত্তম যদি সে সৎ এবং নামাজী হয়। কেননা যে আল্লাহকে ভয় করবে সে আপনাকে ভালোবেসে না হোক আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য হলেও আপনাকে ঠকাতে পারবেনা। ভেবে দেখুন যদি আপনার স্বামী আপনাকে বাড়ী গাড়ী সম্পদে ভাসিয়ে রেখে অন্যত্র প্রেম করে বেড়ায়, আপনি কি সুখী হবেন? অথচ অনেক দরিদ্র পরিবারেও দেখবেন বাজার থেকে বড় মাছ এনে স্বামী স্ত্রী মিলে যখন গল্প করতে করতে কাটেন সেখানে প্রেমের উৎসব বয়ে যায়।

টাকাপয়সা দিয়ে সুখ কেনা যায়না। কারণ চাকরী পরিবর্তন করা যায় কিন্তু চরিত্র পরিবর্তন করা যায়না। একজন ভালো স্বামী আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য স্ত্রীকে সে সকল সুযোগ সুবিধা দেবে যা সে নিজের জন্য পছন্দ করে- শ্বশুরবাড়ীর সাথে, স্ত্রীর বন্ধুবান্ধবের সাথে সদ্ভাব বজায় রাখবে যাতে স্ত্রী খুশী থাকে।সে কখনোই স্ত্রীর সাথে দুর্ব্যবহার করবেনা যেহেতু সে জানে এর জন্য তাকে আল্লাহর কাছে জবাবদিহি করতে হবে।

আজকাল দেখা যায় পাত্র পেঁচার মত হলেও পাত্রী চাই ফর্সা, সুন্দরী, লম্বা, স্বাস্থ্যবতী, শিক্ষিতা, নব্যরুচিশীলা, বড়লোকের কন্যা। কোথাও চরিত্রের বা স্বভাবের ব্যাপারটি গুরুত্ব পায়না। অসংখ্যবার দেখেছি রীতিমত চারিত্রিক সমস্যাগ্রস্ত মেয়েদের হটকেকের মত বিকিয়ে যেতে অথচ বুদ্ধিমতি, সচ্চরিত্র, সুন্দর স্বভাবসম্পন্না মেয়েদের বিয়ে হয়না। অনেক শিক্ষিত এবং বুদ্ধিমান ভাইকে জিজ্ঞেস করেছি,

"আচ্ছা, আপনারা শুধু চেহারা দেখে এমন মেয়ে কি করে বিয়ে করেন যাদের এতটুকু বুদ্ধি বা ম্যাচুরিটি নেই যে আপনি দু'ছত্র কবিতা বললে সে তা উপলব্ধি করতে পারে?"

অনেকে এড়িয়ে গিয়েছেন, আবার অনেকে সততার সাথে উত্তর দিয়েছেন, "এদের সহজে ডমিনেট করা যায় যা বুদ্ধিমতি মেয়েদের করা যায়না" একটি বিয়ের উদ্দেশ্য কি বন্ধুত্ব হওয়া উচিত না স্বৈরাচার, তা আপনাদের বিবেচনায় ছেড়ে দিলাম। তবে যার সাথে মনের কথা শেয়ার করা যায়না, যে আপনার সুবিধা অসুবিধা বোঝার মত বিবেকবুদ্ধি রাখেনা তার চেহারা দেখে সব কষ্ট ভুলে থাকা যায় কি'না এটা গবেষণা করার মত বিষয়।

copied from--
প্যাকেট না প্রোডাক্ট : রেহনুমা বিনত আনিস

বিয়ের পাত্র পাত্রী খোঁজা

বয়সের একটা নির্দিষ্ট পর্যায়ে অবিবাহিত মেয়েয়া ঘটক আন্টিদের নিজস্ব ভাগ্নিতে পরিণত হয়,নিজের অজান্তেই...... বিষয়টা এমন যেনো ,দুনিয়াতে কোন খারাপ ছেলে নেই,সব্বাই ভাল ছেলে!!!!!!!! আর ভাল ছেলেদের "অন এন্ড অনলি" বৈশিষ্ট্য হচ্ছে,"বাড়ি আর গাড়ি"। তাহলেই "নো চিন্তা নো টেনশান,পাইসো জীবনে দারুন এক খান পোলা"!!! তারপর নামের সাথে ইউএসএ জুড়ে দেওয়া গেলে তো কথাই নাই!!!

আন্টি থামেন!

আমি অলরেডি কনফিউজড যে আসলে বিয়ে কার সাথে???"বাড়ি আর গাড়ি"/ইউ এস এ /"দারুন এক খান পোলা"???

যাই হোক,আমার অত ভাল ছেলে দরকার নাই,পিপাসায় পানি লাগে,সফট ড্রিঙ্কস নয়.....

আবার কিছু অদ্ভুত অভিভাবক আছেন,মেয়েকে এমনই অপদার্থ বানিয়েছে যে এক কাপ চা বানাতে গেলে গরম পানি করে দিলেও তাতে টি ব্যাগ দুবাতে গিয়ে আঙ্গুল পুড়িয়ে ফেলে!!!এনারা আবার সুন্দরের পুজারী! এনারা খুঁজেন ,গ্রাম থেকে আসা কোন বেকার ছেলে!!! জব দেওয়া শুরু করে যাবতীয় জিনিসপত্র দিবে মেয়ের অভিভাবক,শুধু ছেলেটাকে হতে হবে বিক্রি......

ছেলেরা যদি একবারও বুঝতো যে এটা নিজেকে+নিজের ফ্যামিলিকে সারাজীবনের কতটা ছোট করা তাহলে ভুলেও এই ওয়েতে হাঁটত না।

কষ্ট করে মানুষ হন , যোগ্য হন,অর্জন করে নিত শিখুনএতদূর তো নিজের যোগ্যতায়ই এসেছেন, বাকীটাও পারবেন নিশ্চয় ...

collected from
A Sister

https://www.facebook.com/earlymcpage

dampotto : কোমল ব্যবহার

জীবনসঙ্গীর সাথে সুন্দর ব্যবহার করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চিন্তা করুন, তিনি প্রতিদিন আপনার জন্য কত কিছু করছেন যা হয়ত সবই তার দায়িত্ব নয়। আপনার প্রতি ভালোবাসা থেকেই তিনি শ্রম দিচ্ছেন, আপনার সন্তান ও আপনার আব্বা-আম্মার প্রতি ভালোবাসা ও কর্তব্য পালন করছেন। এই মানুষটা অবশ্যই আপনার সুন্দর ব্যবহার পাওয়ার দাবী রাখেন। রাগ হলে সংযত করে ফেলুন, বিরক্ত হলে তার সুন্দর গুণগুলোর কথা ভাবুন, এরপর আন্তরিকভাবে তাকে বলুন কেমন করলে আপনাদের সংসারটা আরো সুন্দর হবে। 

আমাদের ঈমানকে পূর্ণাঙ্গ করতে নম্র ও কোমল ব্যবহার থাকা অপরিহার্য এবং অত্যাবশ্যকীয়। পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর চরিত্রের মানুষটি এরকম সুন্দর বিষয়ই জানিয়ে গেছেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ

♥ "যার চরিত্র যত সুন্দর এবং নিজ পরিবারের সাথে যার ব্যবহার যত নম্র ও কোমল, তার ঈমান ততই পূর্ণাঙ্গ এবং পরিপক্ক।" ♥ 
[তিরমিজী, হাকেম] 

​কোন মেয়ের প্রেমে পড়ে তাকে ইনবক্সে যন্ত্রণা

​বিবাহিত এক ভাই বাইরে গেলেই স্ত্রীর হাত ধরে হাঁটেন। তার স্ত্রী মনে করেন হাজব্যান্ড কতই না রোমান্টিক।

ভাইয়ের ভাষ্য হচ্ছে, আমি তার হাত ধরে থাকি যেন সে যেখানে সেখানে শপিং-এর জন্য দৌড়াতে না পারে। . . 

[সংগৃহীত]



​​
কোন মেয়ের "প্রেমে" (আল্লাহ মাফ করুন) পড়ে তাকে ইনবক্সে আর ফোনে যন্ত্রণা দেওয়ার চেয়ে বন্ধুবান্ধব আর পরিবারের সবাইকে বিয়ের কথা বলে যন্ত্রণা দিয়ে উদ্ধার করে ফেলা অনেক বেশি উত্তম। 

আমাদের মান সম্মান ও ইজ্জত আল্লাহর হাতে। আর, পাপাচারের মাধ্যমে ইজ্জত বাড়ে না, কমে। আল্লাহর আদেশের খেলাপ করলে ইজ্জত ধ্বংস হয়। 

প্রিয় মুসলিম ভাই ও মুসলিমাহ বোন, বিবাহপূর্ব অবৈধ সম্পর্ক প্রেম থেকে দূরে থাকুন। বিয়ের নিয়াত করুন। আল্লাহর কাছে দু'আ করুন। 



--- সাফওয়ান​


* * * *

নিজের দেশ ছেড়ে অন্য এক দেশের নাগরিকত্ব নিয়ে সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাস করা শুরু করে আবার নিজের দেশ কে ভালোবাসলে ওটাকে কি পরকিয়া দেশপ্রেম বলে ?

-- মাশুক রহমান

dampotto : সত্য কথা বলা

আপনার জীবনসঙ্গী/জীবনসঙ্গিনীকে কোন সত্য কথা বলা যদি অস্বস্তিকর হয়েও থাকে, তবু মিথ্যা বলার চেয়ে তা উত্তম। একটা কথা ভেবে দেখুন, আমাদের সম্পর্কগুলোর মূলে কিন্তু বিশ্বস্ততা আর পারস্পারিক শ্রদ্ধাবোধ। আপনার স্বামী বা স্ত্রী যদি আপনার সাথে সত্য বলেন সবসময়, আপনার প্রতি বিশ্বস্ত থাকেন -- আপনাদের সম্পর্কে চিড় ধরবে না ইনশাআল্লাহ, শয়তান আপনাদের মনে সহজে সন্দেহ সৃষ্টি করতে পারবে না।

মিথ্যা বলা একটি পাপ, আর প্রতিটি পাপ আরো অনেকগুলো পাপের জন্ম দেয়। এভাবে একটা মিথ্যা কথা আমাদেরকে আল্লাহর কাছ থেকে দূরে সরিয়ে দেয়, জীবনসঙ্গী তো বটেই। আসুন, একটু অস্বস্তি, বিব্রতবোধ হলেও সত্য বলা থেকে আমরা পিছপা না হই। আল্লাহ আমাদের পরিবারগুলোর মাঝে রাহমাত দান করুন।

আসলে আমাদের অভিভাবকরা কতটুকু ম্যাচিউরড?

আব্বু আম্মুর কাছে বিয়ের কথাটা বলা মহা অপরাধ কিন্তু গার্ল ফ্রেন্ডদের (এখন আর সিঙ্গুলার নাম্বারে চলে না) নিয়া মানসিক থেকে শারীরিক রিলেশনে জড়িয়ে মৌজ করে ধরা খেলে তখন ছেলের মা-বাবা ছেলে কে রক্ষা করার জন্য উঠে পড়ে লাগেন আর মেয়ের মা বাবা মেয়ের রেপুটেশন রক্ষার জন্য উঠে পড়ে লাগেন। এক পর্যায়ে মামলা হামলায় পর্যন্ত গড়ায় ব্যাপারটা। দুই পক্ষের অভিভাবকদেরই একটাই অজুহাত, তাদের সন্তান বয়সে ছোট, না বুঝে এসব করে ফেলেছে, অপর পক্ষের লোকেরা তাকে ফাঁদে ফেলেছে। 

কিন্তু কথা হল, ছেলে মেয়ে কে দেখে ফিদা হয়ে গেছে, একে অপরকে কাছে পাবার জন্য যে কৌশল গুলো তারা অবলম্বন করেছে সেগুলো কোনটাই অবুঝ সন্তানের পক্ষে সম্ভব না। শারীরিক সম্পর্ক গড়ার আগে একে অপরকে নিভৃতে কাছে পাওয়ার যে তুমুল বাসনা, সেই বাসনা থেকে যে সুযোগ তৈরি করার ফন্দি ফিকির এবং কাছে পাওয়ার পর তাদের যে পশু সুলভ প্রবৃত্তির তুমুল লালসা এবং সেটাকে কর্মে পরিণত করার যে তৃপ্তিদায়ক সফলতা এগুলো কি প্রমাণ করে যে তাদের সন্তানরা অবুঝ, বয়সে ছোট এবং না বুঝেই এসব করে ফেলেছে? এগুলো কি অবুঝের লক্ষণ নাকি বুঝদার ব্যক্তির লক্ষণ? 

এগুলো ভাবার পরে আমার সন্দেহ জাগে যে "আসলে আমাদের অভিভাবকরা কতটুকু ম্যাচিউরড?" 

Early Marriage Campaign : https://www.facebook.com/earlymcpage

dampotto : কোমলতা

দাম্পত্য জীবনে ভালোবাসার প্রকৃত পরিচয় ব্যবহারে। আপনার জীবনসঙ্গীর প্রতি আপনি কতটা কোমল, মিষ্টভাষী -- তার মাঝে আপনার চরিত্রের সৌন্দর্য ফুটে উঠবে। দেখবেন, আপনার সঙ্গী/সঙ্গিনী আপনার কোমল কন্ঠের ভাষাটাই বেশি ভালবাসেন। রাগ দেখাবেন না, রূঢ় ভাষা সংযত করুন -- এগুলো সম্পর্ককে ধ্বংস করে। আন্তরিকভাবে এই চেষ্টা করা উচিত। একদিনে হয়ত পারা যায় না, কিন্তু এই ইচ্ছেটা আপনার আচরণগুলোকে সৌন্দর্যময় করতে পারে, ধীরে ধীরে আপনার ব্যবহার সুন্দর হয়ে উঠবে ইনশা আল্লাহ। কোমল আর বিনয়ী মানুষকে কেউ ভালো না বেসে পারে না। আপনার ভালোবাসার প্রকাশটাই আপনাকে ভালোবাসা এনে দিবে। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা কোমলচিত্ত, তিনি সবকিছুতে কোমলতাকে পছন্দ করেন।

https://www.facebook.com/dampotto.life

নিখুঁত পাত্র-পাত্রী

স্বামী একরাশ উৎসাহ নিয়ে বললোঃ "জানো বউ, এক বড় ভাইকে চিনি, উনার মাত্র দুইটা জামা, উনার স্ত্রীও দুই-তিনটা কাপড় পরেন। সাহাবীরা (রা) অনেক সিম্পলভাবে জীবন কাটাতেন, তাই আমাদেরও উচিত এই ভাইদের মত সহজ-সরলভাবে চলার চেষ্টা করা। এসো, আমরা ঠিক করি যে আগামী ৬ মাস কোন কাপড় কিনবো না।"

স্ত্রীঃ "৬ মাস? আচ্ছা ঠিক আছে, আসলেও আমাদের চেষ্টা করা উচিত। উনারা মুসলিমদের জন্য উত্তম দৃষ্টন্ত স্থাপন করছেন। আর আমাদের আলমারি ভর্তি কাপড়চোপড়। আগামী ছয় মাস আমরা কোন কাপড় কিনবো না ইনশা আল্লাহ। এখন থেকে একটা বোরকা পরবো।"

ছোট্ট একটা বিষয়, কিন্তু দেখুন, দুজনেই নিজের জীবনে রাসূলুল্লাহ (সা) এর একটি সুন্নাহ পালনের সিদ্ধান্ত নিলো, দু'জনে দু জনার সহযোগিতা করলো, সাহাবীদের ন্যায় জীবনযাপনের জন্য আরেকটি ধাপ এগিয়ে যাওয়ার নিয়্যত করলো।

আজকাল দ্বীনি ভাইবোনেরা নিঁখুত ইসলামি পাত্র কিংবা পাত্রী খোঁজেন। ভুলে যান যে, কেউ-ই নিখুঁত নয়, বরং স্বামী-স্ত্রী দুজনে একসাথে মিলেই ইসলামের আরো কাছাকাছি যাওয়ার সফর শুরু করতে হবে। দুজনে মিলে জান্নাতে যাওয়ার পথকে আরো সুগম করে তুলতে হবে। একজনের মাঝে যখন সততা, ইসলামের প্রতি ভালোবাসা আর মমত্ববোধ থাকে, তাকে বিয়ে করে ফেললে আপনি ঠকে যাবেন না। ইনশা আল্লাহ দু জনে মিলে একসময় বহুদূর এগিয়ে যাবেন। তবে আপনি যদি নিঁখুত পাত্র/পাত্রী খুঁজতে যেয়ে বিবাহ বিলম্ব করতে করতে উল্টো নিজেই ফিতনায় জড়িয়ে যান, তাহলে শেষমেষ আমও যাবে, ছালাও।

fRoM : "প্রেম নয়, বিয়ে করুনঃ আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করুন"

​নিঃস্বার্থ ভালোবাসা। what is love?

​নিঃস্বার্থ ভালোবাসা। what is love?

আবু সালামা তার স্ত্রী উম্মে সালামাকে খুব ভালবাসতেন। তাদের ভালোবাসার গাঢ়তা কল্পিত প্রেমকাহিনীগুলোকেও হার মানায়। আবু সালামা যখন মৃত্যু শয্যায় তখন তাঁর প্রিয়তমা স্ত্রী তাঁর পাশে বসা। উম্মে সালামা তাঁর স্বামীকে সাহস দিয়ে যাচ্ছিলেন। ভালবাসা দিয়ে মৃত্যুকে পরাজিত করা না গেলেও হাসিমুখে আলিঙ্গনের প্রেরণা যোগায়। উম্মে সালামা তাঁর স্বামীকে বললেন,

"আসো, আমরা প্রতিজ্ঞা করি আমাদের মধ্যে কেউ মারা গেলে অপরজন বাকী জীবনটা তাঁর স্মৃতি নিয়েই কাটিয়ে দিব। অন্য কারো জীবন সঙ্গী হবনা"।
[এরকম প্রপোজাল মৃত্যু পথযাত্রী স্বামীর কাছ থেকে আসাই স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু স্বামীর প্রতি প্রবল ভালোবাসা এবং তাকে মৃত্যুকালে কিছুটা স্বস্তির পরশ দেয়ার উদ্দেশ্য উম্মে সালামাই এমন প্রস্তাব দিয়ে বসলেন। সুবহানাল্লাহ!]

আবু সালামাও কম যাননি। তিনি স্ত্রীর এমন প্রস্তাবের প্রত্যুত্তরে বলেছিলেন,

"না। বরং তুমি তোমার জীবনসঙ্গী বেছে নিও এবং আমি দোয়া করি আল্লাহ আমার চেয়েও ভাল কোন জীবনসঙ্গী তোমার জন্য ব্যবস্থা করে দিন".

আল্লাহ সুবহানাহুওয়াতাআলা আবু সালামার দোয়া কবুল করেন। তাঁর মৃত্যুর পর উম্মে সালামা মহানবী (সঃ)কে জীবনসঙ্গী হিসেবে পান।
আল্লাহ তাঁদের উপর সন্তুষ্ট থাকুন।
এটাই কি "নিঃস্বার্থ ভালোবাসা"? What is love?

- মুজাহিদ রাসেল

কাগজে কলমে বিয়ের যে বয়স মাপা হয়

​​
সরকার নির্ধারিত কাগজে কলমে বিয়ের যে বয়স মাপা হয় তার পূর্বেই ছেলে মেয়েরা দৈহিকভাবে বিয়ের যোগ্য হয়ে যায়। মেয়েদের হ্মেত্রে ১৮ আর ছেলেদের হ্মেত্রে ২১ এর পূর্বে বিয়ে করতে বাধা আছে, কিন্তু প্রেম করতে বাধা নেই এমনকি পরিশেষে আরো কিছু ঘটে থাকে উক্ত বয়সের আগেই, কিন্তু জাতি ও রাষ্ট্র মুখে কুলুপ এটেই বসে থাকে! দেখুন সরকার ১৮ বা ২১ এর পূর্বে বাধা আরোপ করেছে এ কথা সত্য, তাই বলে বলেনি যে ১৯ হলে আপনার মেয়েকে বিয়ে দেয়ার কথা ভুলে যান, আর ছেলের বয়স ২২ বা ২৫/২৮ হলেও ঘরে বৌমা আনার উদ্যোগ বন্ধ রাখুন। আমরা শুধু সরকারের নির্ধারিত বয়স নিয়েই অভিযোগ করলাম তা ঠিক হবে কি? 

কয়জন বাবা আছেন এমন যারা সন্তানের মাথায় হাত রেখে সান্তনা দেন যে বাবা আর একটু ধৈর্য্য ধর, নোংরা সমাজের কোন কাদা যেন জান্নাতে যাবার পথে তোমায় পিছলে ফেলে না দেয় সেই জন্য একটু আল্লাহর কাছে দুআ কর। আমরা তোমার দ্বীনের অর্ধেক পূরণে উত্তম সংগী খুজছি! মেয়ের উচ্চ শিহ্মার লহ্ম্যে বাবা মায়ের স্বপ্ন থাকে অনেক, কিন্তু সে দীর্ঘ উচ্চ শিহ্মার পথখানিতে কি আরো একজনকে পবিত্র সংগী বানিয়ে দিয়ে মসৃন/নিরাপদ রাখাটা ভালো নয়? শরীর-মনেরতো একটা চাওয়া আছে নাকি!

page : বিবাহ একটি উত্তম বন্ধুত্ব

dampotto : আপনার জীবনসঙ্গী ঘরে ফিরলে তাকে সুন্দর করে গ্রহণ করুন

হে আমার বিবাহিতা বোন, আপনার জীবনসঙ্গী ঘরে ফিরলে তাকে সুন্দর করে গ্রহণ করুন, অভ্যর্থনা জানান।

অফিসে যাওয়া, স্কুলে যাওয়া, বাইরে ভ্রমণে যাওয়া বা অন্য যা-ই আপনাদের দু'জনকে আলাদা করেছিলো, সেটা শেষ হয়ে যাবার পরে তাকে আন্তরিক ও সুন্দর একটি অভ্যর্থনা দিন যা তার মন ভালো করে দিবে, আপনাদের বন্ধনকে আরো গাঢ় করবে...

- দরজাটা নিজে খুলুন, আপনার মিষ্টি হাসিটি তাকে উপহার দিন।
- দু'জনের মাঝে শান্তিময় পরিবেশ সৃষ্টির জন্য আল্লাহর কাছে দু'আ চেয়ে তাকে বলুন, "আসসালামু আলাইকুম।" 
- সুগন্ধী বা পারফিউম ব্যবহার করে নিজেকে আকর্ষণীয় করে নিতে পারেন।
- আপনার জীবনসঙ্গীকে সুসংবাদটি তাড়াতাড়ি দিন এবং খারাপ সংবাদ থাকলে দেরি করে জানান।
- সৌহার্দপূর্ণ ভালোবাসার গলায় তার সাথে কথা বলুন।
- ফ্রেশ হয়ে নিতে তার প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো এগিয়ে দিন।
- একটু কষ্ট করে তার জন্য সময়মত খাবারটি পরিবেশন করুন।
- আপনাদের দু'জনের আবার দেখা করিয়ে দেয়ায় আল্লাহর কাছে শুকরিয়া করুন দু'জন মিলে, আলহামদুলিল্লাহ। যারা কৃতজ্ঞ হয় আল্লাহর প্রতি, আল্লাহ তাদের প্রতি তার দানকে আরো বাড়িয়ে দেন।

https://www.facebook.com/dampotto.life

দ্বীনদার পাত্রী চাই??

আমাদের সমাজে *ইসলামিক পাত্রপাত্রীদের* বিয়ের আলোচনাগুলো অনেকটাই এরকম -- 
 
#  "দ্বীনদার পাত্রী চাই।"*

*শর্ত প্রযোজ্য [বংশীয়, সুন্দরী,উচ্চ শিক্ষিতা ব্লা ব্লা ব্লা...]

# "দ্বীনদার পাত্র চাই।" *

*শর্ত প্রযোজ্য [high status, high paid job,টাকা,টাকা,টাকা.......টাকা] 

..... সবশেষে দেখা গেল শর্তগুলোই মুখ্য। দ্বীন আছে শুধু ভাতের সাথে আচারের মতন, স্বাদবর্ধক। 

আল্লাহ আমাদের সরল সঠিকপথে পরিচালিত করুন, আমাদের অন্তরকে পরিশুদ্ধ করে দিন এবং তার পছন্দের নিয়মানুযায়ী জীবন পরিচালনার তাওফিক দিন।

আমার ছোট বেলার খেলার সাথী

আমার ছোট বেলার খেলার সাথী ডলি দিদি আজকে পৃথিবী ছেড়ে চলে গেল. দিদির বিয়ে হয়েছিল বেশ কয়েক বছর আগে. সন্তানের মা হতে পারছিলনা. স্বামী শশুর শাশুড়ি সবার একটা গুমোট কষ্ট. কি সব কবিরাজি ঔষধ খাইয়েছিল. শেষমেষ যখন ভয়ানক পেটে ব্যথা শুরু হলো, হাসপাতাল এ নিতেই ডাক্তার অপারেশন করার সিদ্ধান্ত নিলেন. ততক্ষণে বড্ড দেরী হয়ে গেছে. ওর পেটের নারিভুরি সব পচে গ্যাছে!

সারাদিন ডলি দিদির চেহারা চোখের সামনে ঝুলছে.. কেমন একটা মোচড় দেয়া কষ্ট.....

--- শিমু আপু

// আমরা সুবিধাভোগী মানুষেরা ফেসবুকে অনেক চিতকার করি, আমাদের সুশিক্ষিত নারীদের স্বাধীনতা কেবল আমাদের যাচ্ছেতাই বিশৃংখল জীবনের নমুনা হয়ে থাকে। অথচ আমাদের কত কাজ। মানুষের কাছে গিয়ে তাদের সচেতন করার প্রয়োজন। সমাজের পুরুষদের, শাশুড়ি নামক নারীদেরকে আরো বেশি করে সচেতন করা প্রয়োজন কেননা তারাই "নারী"র ভালো থাকা, মন্দ থাকাকে চরমভাবে প্রভাবিত করে। আল্লাহ আমাদের জন্য শান্তিপূর্ণ সমাজ কবুল করুন।

​ আপনার বিয়ে হতে পারে

হে আমার বোন,
​​
আপনার বিয়ে হতে পারে পৃথিবীর
​​সবচেয়ে খারাপ মানুষটির সাথে, যেমন আসিয়ার হয়েছিল ফির'আউনের সাথে- কিন্তু এর ফলে আল্লাহর প্রতি তার বিশ্বস্ততা কিংবা ভালবাসা কোনটির কমতি হয়নি।

আপনার বিয়ে হতে পারে পৃথিবীর
​​
সবচেয়ে ভাল মানুষদের মধ্য থেকে কারো সাথে, যেমন হয়েছিল লুত (আলাইহিস সালাম) কিংবা নূহের (আলাইহিস সালাম) স্ত্রীদের। কিন্তু তাদের স্ত্রী হওয়া তাদেরকে জান্নাতে প্রবেশ করাতে পারেনি।

আপনার কারো সাথে বিয়ে না ও হতে পারে, যেমন হয়েছিল মারিয়াম (আলাইহিস সালাম) এর ক্ষেত্রে কিন্তু আল্লাহ পৃথিবীর যে কোন নারীর চেয়ে উনাকে উচ্চমর্যাদা দিয়েছেন।

মনে রাখবেন আপনার ভালবাসা এবং বিশ্বাসের অধিকার সর্বপ্রথম আল্লাহ্
​ ​
সুবহানাহু ওয়া তা'আলার। তিনিই সমস্ত ক্ষমতার মালিক, সমস্ত চাওয়া পূরণ করার একমাত্র ক্ষমতা কেবল তারই, আমরা সবাই তার এবং তার কাছেই ফিরে যেতে হবে।

জন্মেছ বাঙালি করে, মানুষ করনি

"বন্ধু তোমার পথের সাথীকে চিনে নিও"

হুম চিনে নিতে হবে আপনার জীবন সঙ্গীকে তবে তা "ডেটিং" করে বা "খালওয়া" করে নয়। 

আপনাকে তাঁকে চিনে নিতে হবে বংশ, শিক্ষা ও আমল আখলাকের ভিত্তিতে।

..............


বাংলায় কিছু সার্চ করতে গেলেই চটি সাইট হাজির হয়। কী এক মুসিবত, অফিসের কলিগের উপস্থিত পাশে, সার্চ মারলাম একটা বাক্য দিয়া, ৫-৬ টা সাইট পরেই এইসব হাজির। অথচ বাক্যটা পুরাই নিস্পাপ বাক্য। অনলাইনে বাংলায় সবচাইতে সমৃদ্ধ সাহিত্য হচ্ছে কামাসক্তদের এইসব চটিসাহিত্য। বাংলার অজস্র অক্ষর চাপলে লজ্জায় মারা যাওয়ার অবস্থা হয়, বাক্য না, স্রেফ একটা অক্ষরের সাথে আ-কার, উ-কার দিলেই... 

কবিগুরুরে মিসাই প্রায়ই... 

'জন্মেছ বাঙালি করে, মানুষ করনি...'

....

গরুদরদী যেসব নাস্তিক কুরবানীর পশু জবাইয়ের সমালোচনা করে তাদের কাছে আমার দাবি,

তারা যেন খাওয়ার আগে এবং হাগু করার পর কোনভাবেই সাবান ব্যবহার না করে। কারণ এতে লক্ষ্য লক্ষ্য জীবাণুর মৃত্যু ঘটে, যা খুবই মর্মান্তিক।

-- ওমর ফারুক


ঈদুল আযহার পূর্বে কিছু প্রশ্ন

প্রতি বছর ঈদুল আযহার পূর্বে কিছু প্রশ্ন আশপাশ থেকে ভেসে আসে। সহজ ভাষায় সেরকম দুটো প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছি।

প্রশ্ন ১. কুরবানীর ঈদকে কেন্দ্র করে প্রচুর আর্থিক ক্ষতি হয়। এই টাকাটা অন্য কাজে লাগালে হ্যান হত ত্যান হত ইত্যাদি।

উত্তর: কুরবানীর ঈদকে ঘিরে অনেক বেশি অর্থ সঞ্চালন হয়। যা যে কোনো অর্থ ব্যবস্থার জন্যই হট-কেকের মত। একটি অর্থ ব্যবস্থায় যত বেশি অর্থের আদান-প্রদান হয়, সেটাকে তত শক্তিশালী মনে করা হয়।

কুরবানী ঈদকে টার্গেট করে একদল মানুষ গুরু-মহিষ-উট-ছাগল-ভেড়া-দুম্বা প্রতিপালন করে। ঈদের আগে তারা বিক্রয় করে। অপর দল সেগুলো গরুর হাটে নিয়ে আসে। কখনো বা মালিক নিজেই গরুর হাটে আনেন। পরিবহন শ্রমিক-ব্যবসায়ীরা গরু-ছাগল পরিবহন করেন। (পথিমধ্যেও কিছু মানুষের উপার্জনের ব্যবস্থা হয়, হারাম উপায়ে, ঘুষ হিসেবে।)

একদল লোক হাটের ব্যবস্থা করেন। সেখানে বাঁশ, বিদ্যুৎ, পরিচ্ছন্নতা, নিরাপত্তা ইত্যাদি নিয়ে আরে অনেকের কর্মসংস্থান হয়। গরু-ছাগলের খাবার, দা-বটি-চাটাই -এসব নিয়েও একদল মানুষ ব্যবসা করেন। সবশেষে গরু-ছাগল ক্রয় করেন কুরবানীদাতা।

কুরবানী করার পর চামড়া ছাড়ানো-গোস্ত বানানো ইত্যাদির জন্য একদল মানুষের কর্মসংস্থান হয়। চামড়া আবার চলে যায় গরীবের কাছে। সে আবার বিক্রয় করে ট্যানারির কাছে। ট্যানারি প্রতিষ্ঠান তা পরিশোধন করে বিদেশে এক্সপোর্ট করেন। এত মানুষের আয়-কর্মসংস্থানের পাশাপাশি দেশ উপার্জন করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা। কুরবানীর বর্জ্য অপসারণেও কর্মসংস্থান হয় অনেকের।

এ তো গেল কুরবানীর পশুকে ঘিরে এত কিছু। এছাড়া ঈদের আনন্দকে আরো বাড়িয়ে তুলতে পোশাক-পরিচ্ছদসহ নানা কিছুর ক্রয়-বিক্রয় হয়। নগদ অর্থের বিরাট এ লেনদেন সামাল দিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে নতুন নোট ছাপাতে হয়। ব্যাংকগুলোতে প্রচুর লেনদেন হয়ে থাকে। এক কথায়, এই একটি ইবাদতকে কেন্দ্র করে প্রচুর অর্থের লেনদেন হয়, কর্মসংস্থান হয় লাখো মানুষের।

এছাড়া আর্থিক লেনদেনের উদ্দেশ্য শান্তি। এই দিনকে ঘিরে ধনী-গরীব নির্বিশেষে সবার ঘরে ঘরে আনন্দ বয়ে যায়। সবাই গোশত খেতে পারে।

অন্য ধর্মে লাখ-লাখ টাকার মূর্তি বানিয়ে পুজো দিয়ে তা পানিতে ভাসিয়ে দেয়া হয়। সেটা নিশ্চিতভাবেই আর্থিক ক্ষতি। কারণ, তাতে মূল্যবান একটি জিনিস চূড়ান্ত ব্যবহার ছাড়াই নষ্ট করে দেয়া হয়।

পক্ষান্তরে কুরবানীর মূল উদ্দেশ্য "আল্লাহকে খুশী করা" হওয়া সত্ত্বেও এর গোশত নিজে খাওয়া, গরীব ও আত্মীয়-স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশীকে দেয়ার বিধান রাখা হয়েছে। কাজেই কুরবানীতে কোনো অপচয় নেই। এমনকি এর চামড়া চলে যাচ্ছে গরীবের কাছে, এর দ্বারাও উপকৃত হচ্ছে মানুষ।

প্রশ্ন ২: এতে পশুর অধিকার নষ্ট হয়।

উত্তর: পশুর অধিকার কীভাবে রক্ষা হবে আর কীভাবে তা নষ্ট হবে, তা পশুর স্রষ্টাই ভালো জানেন। মানুষের অধিকার রক্ষা হয় তার ঈমান, সম্মান, সম্পদ, মেধা ও বংশ রক্ষার মাধ্যমে। পক্ষান্তরে পশুর অধিকার রক্ষা হয় তাকে হালালভাবে ব্যবহারের মাধ্যমে। যেসব প্রাণী খাওয়া হালাল, সেগুলো খাওয়ার মাধ্যমেই তার অধিকার নিশ্চিত করা হয়।

উপরন্তু রাসূল স. সকল ক্ষেত্রে ইহসান চর্চা করতে বলেছেন। তিনি বলেন, আল্লাহ সবকিছুতে ইহসান পছন্দ করেন। কাজেই তোমরা যখন যবেহ করবে, সুন্দরভাবে যবেহ করবে। তোমাদের প্রত্যেকে যেন যবেহের পূর্বে ছুরি ধার করে নেয়।

অনুরূপভাবে এক পশুর যবেহের সময় আরেক পশুকে তা দেখানোকে অপছন্দ করা হয়েছে। এসবই পশুর প্রতি সর্বোচ্চ মায়া-মমতা প্রদর্শনের জন্য।

কিন্তু যে জায়গায় পশুর স্রষ্টা স্বয়ং একটি নির্দেশ দিয়েছেন, সেখানে তা লঙ্ঘন করে প্রেম দেখানো মুনাফিকী ও ভেজাল প্রেম, খাঁটি প্রেম নয়।

তাছাড়া যারা পশু প্রেমের কথা বলেন, দেখা যায়, তারা পিজা, কেএফসি, বিরিয়ানি ইত্যাদি খুব পছন্দ করেন। যেগুলোতে যে কোনো প্রাণীর গোশত থাকেই। আবার বিজ্ঞানীদের মতে উদ্ভিদেরও প্রাণ আছে। কাজেই ভেজিটেরিয়ানরাও দায় এড়াতে পারেন না।

সবচেয়ে সম্মানিত প্রাণী, মানুষ, যখন দেদারে প্রাণ দেয়, তখন অবশ্য পশু-প্রেমিকদের প্রেম সুপ্ত থাকতেই বেশি দেখা যায়।

---

শেষকথা, কুরবানী একটি মহান স্মৃতিকে বারবার সামনে নিয়ে আসে। ইবরাহীম ও ইসমাইল আ. এঁর সেই ঘটনার মূল শিক্ষা অদৃশ্য সত্ত্বা আল্লাহর প্রতি অগাধ ঈমান। ঈমান কতটুকু মজবুত হলে অদৃশ্য একজনের নির্দেশ বাস্তবায়নে নিজের সবচেয়ে প্রিয় সন্তানকে (সেসময় একমাত্র সন্তান, যাকে তিনি পেয়েছেন বার্ধক্যে, যৌবনে নয়) ত্যাগ করতে প্রস্তুত হয়েছিলেন!

আল্লাহ তায়ালা আমাদের কাছ থেকে সেই ঈমানটিই চান। কুরবানী কেন করব, এরকম প্রশ্ন ছাড়াই আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে কুরবানী করতে সচেষ্ট হব আমরা। যে কোনো ইবাদতই বিনা প্রশ্নে করব। এটাই ঈমান। তাকওয়া এরই নাম।

আল্লাহ আমাদেরকে তাঁর প্রিয় বান্দাদের কাতারে শামিল করুন। আমীন।

- ইউসুফ সুলতান

আইটেম আর আইটেম

​​
আইটেম আর আইটেম।
এখন আর আইটেম ছাড়া কিছুই জমে না।

এই-তো কিছুদিন আগেও IUT মানে ইসলামিক ভার্সিটিতে NESTLE'র একটা সেমিনার হয়ে গেল। সেখানেও নাকি দুইটা আইটেম ছিল।

তারও কিছুদিন আগে IUT'তে এসে স্বনামধন্য বিড়ি কোম্পানি BAAT সেমিনার করছিল নাকি তিনটা আইটেম দিয়ে। আরো মজার বিষয় হল, মাসটা ছিল রমজান মাস।

সাবান-শ্যাম্পু থেকে ধরে এমনকি চকলেট, চিপস, আইসক্রিমের বিলবোর্ডেও বিশেষভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে এই আইটেমগুলাকে। যদিও শেষোক্ত ৩টা খাবার শিশুরাই সবচেয়ে বেশী পছন্দ করে তবুও এইসব বিজ্ঞাপনে দেদারসে আইটেম ব্যবহার করা হচ্ছে।

একটু-যে নিউজ দেখব সে উপায়ও নেই। মনে হচ্ছে বাংলাদেশে শুদ্ধ বাংলা বলতে পারে এইরকম কোন পুরুষ নেই। যেকোন চ্যানেলে যেকোন সময়ে নিউজ পড়ছে আইটেমগুলা। যদিও BBC, CNN এর মত চ্যানেলগুলো পুরষ দিয়েও নিউজ পড়ায়।

পত্রিকাগুলোরও বেহাল দশা। নকশা, বিনোদন পাতা এইসবের কথা না হয় বাদই দিলাম। এইসব পত্রিকা আইটেম দেখাইয়া ক্রেতা বাড়ায় আবার নারী অধিকারের কথাও বলে। অদ্ভুত!

ফুটবল-ক্রিকেটের মাঠ থেকে ধরে কোচিং সেন্টারের বিজ্ঞাপনে পর্যন্ত আইটেমের ছড়াছড়ি। ফ্লেক্সি লোডের দোকানগুলোতে গেলে মনে হয় আইটেমগুলা ছাড়া কোন পুরুষ মোবাইলে কথা কয় না। পুরুষগুলা পিছনে দাঁড়ায়ে থাকে কখন আইটেমগুলার ফ্লেক্সি শেষ হবে আর তারা ফ্লেক্সি কইরা দিবে।

হায়রে আইটেম!
দুই-চারটা পয়সার জন্য নিজেদেরকে এইভাবে বিক্রি না করলে কি হয় না!!

- ওমর ফারুক

আমার দশ ভরি গোল্ড কেনার সামর্থ্য হবে?

"এক বন্ধুকে একবার বলেছিলাম,....

"ভাই আপনি এত ভালো মানুষ, এত গুরুত্বপূর্ণ একটা পজিশনে চাকরী করেন, অথচ একটা মেয়েকে নিয়ে আপনাকে ঘুরতে দেখেছে অনেকেই। আপনি তাকে বিয়ে করুন বা বিয়ে পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। কিন্তু আপনি যা করছেন তা আপনিও জানেন অন্যায়, কিন্তু তার চেয়েও বড় সমস্যা আপনার মত একজন অসাধারন মানুষ যখন এই কাজটা করছেন তখন অন্যদের আমরা আর কিছু বলতে পারছিনা যাদের বলা প্রয়োজন"।

উনি কিছুক্ষণ কিভাবে বুঝিয়ে বলবেন চিন্তা করলেন। তারপর বললেন,...

"আমাদের বাড়ীতে সব ভাইবোন পালিয়ে বিয়ে করেছে কারণ আমাদের বাবামা ইসলাম সম্পর্কে অজ্ঞ এবং তারা নানাধরনের বাহানা দিয়ে আমাদের সময়মত বিয়ের ব্যাবস্থা করেন না। আমি একটু আধটু ইসলাম বিষয়ে পড়াশোনা করেছি। তাতে লাভ হয়েছে এই যে আমি পালাইনি, বাবামা'র সব আকাঙ্ক্ষা পূরন করেছি, বাড়ী বানিয়ে দিয়েছি, বোনদের বিয়ে দিয়েছি, টাকাপয়সা দিচ্ছি প্রতিমাসে- কিন্তু তারা আমাকে বিয়ে করতে দিতে রাজী নন। যদি বিয়ের পর এভাবে ওদের জন্য খরচ করতে না পারি! আমার চল্লিশ হতে খুব একটা দেরী নেই। আর চল্লিশের পর আমার আর বিয়ে করার প্রয়োজনই নেই। কিন্তু বাবামাকে কে বোঝাবে? আমি এখন আমার 'ভুলের' মাসুল দিচ্ছি। দুনিয়াতেও গুনাহ কামাচ্ছি, আখেরাতেও এর প্রায়শ্চিত্ত করতে হবে।

"এ' তো গেল বাবামা'র কথা। যে মেয়ের আমাকে পছন্দ তাকে বললাম, চল আমরা ছোটখাট করে বিয়ে করে ফেলি। সে তখন বেঁকে বসল। কমপক্ষে দশভরি গহনা আর বড় অনুষ্ঠান না করলে সে বিয়েই করবেনা। আপনি তো গোল্ডের দাম জানেন নিশ্চয়ই। বলেন তো আরো কত বছর চাকরী করলে আমার দশ ভরি গোল্ড কেনার সামর্থ্য হবে?"

ওনাকে বিচার করা আমার উদ্দেশ্য ছিলনা। তাই চুপ করে রইলাম।

Collected From Sister
রেহনুমা বিনত আনিস

বিয়ের কয়েক দিনের মাঝেই খেয়াল করলাম

"বিয়ের কয়েক দিনের মাঝেই খেয়াল করলাম আমার 'স্বামী' বাইরে বের হলেই ফুল কিনে আনে। আজ এত বছরে ও সেই অভ্যাসের নড়চড় হয়নি। আমার প্রবাসী জীবনে তো বটেই। ১ মাসের জন্য বাংলাদেশে গেলেও ও ফুল কিনতে ভুল হয় না ওর।

একদিন কথা প্রসঙ্গে বড় আপু বলেছিলো আমি যে ফুল খুব পছন্দ করি সেটা আপুর কাছ হতে ও শুনেছিলো। গত ২/১ বছর আগের ঘটনা। জরুরী প্রয়োজনে আমার স্বামীকে ২ সপ্তাহের জন্য একাই দেশে যেতে হল। আমার এর আগে কখনো এরকম একা থাকার অভিজ্ঞতা নেই। তাই প্রথম প্রথম খুব ভয় পেলাম। পরে ভয়টা অভিমানে রুপ নিলো। ঠিক করলাম ও জেদ্দায় ফিরলে কথা বলা বন্ধ করে দেব। এয়ারপোর্ট হতে যখন বাসায় ফিরলো আমি দরজা খুলে সালাম দিলাম।

রজনীগন্ধার একঝলক সৌরভ এসে আমার নাকে লাগলো। ফুলপ্রেমী আমার নাক রজনী গন্ধাকে ভুলে যাবে এ হতেই পারে না। কিন্তু ব্যপারখানা কি? হঠাৎ দেখি ও মুচকি হেসে পেছনে লুকিয়ে রাখা হাতটা বের করে আনলো। ওমা প্রায় ৫০টার মত রজনী গন্ধা। অভিমান কি আর থাকে পাঠক বলুন! আমার মেঘ বিদূরিত মুখ লুকাতে গলায় প্রাণপণে গাম্ভীর্য ধরে বললাম- আহা ফুল গুলো তাড়াতাড়ি দাও। বেচারারা এতটা পথ পেরিয়ে এসেছে। নিশ্চয় ওদের পানির তেষ্টা পেয়েছে।"

লিখেছেনঃ নূর আয়েশা সিদ্দিকা

dampotto: আমি তোমাকে ভালোবাসি

অনেক সময় বিয়ের পর থেকে জীবনের নিত্যদিনের নানান টানাপোড়েনের ফলেই হয়ত, কাছাকাছি থেকেও দু'জনের মাঝে যেন বিয়ের সেই প্রথম সময়ের মতন আনন্দের তরঙ্গ খেলে না। দু'জন যেন কিছু দায়িত্বপালন করতেই পাশাপাশি থাকা। আটপৌরে হয়ে যাওয়া এই সম্পর্কটাকে একটু অন্যভাবে দেখাই কল্যাণকর। জীবনসঙ্গীর প্রতি এমন সাদামাটা অনুভূতি তৈরি হওয়া কিন্তু অস্বাভাবিক নয়। নানান কারণে এমনটা হতেই পারে। তবে হ্যাঁ, নিজে থেকে ছোট্ট একটা উদ্যোগ নিতে পারেন। তার জন্য অন্যান্য দিনের চাইতে একটু অন্যরকম কিছু আয়োজন করুন, খুব সামান্য কিছু ভিন্নতা নিয়ে আসুন। হয়ত দু'জনে যখন খেতে বসলেন। অথবা,অন্য একটা সময় সে একটু সচেতন আপনার প্রতি, তখন তাকে বলুন, আপনি তাকে ভালোবাসেন। 

ভালোবাসার কথা জানাতে হয়, সংকোচের কিছু নেই। আপনি কি একটু মুখচোরা স্বভাবের? অথবা অন্তর্মুখী? তাতে কী? ভালোবাসার কথাটা জানিয়ে দিন প্রিয় মানুষটিকে, এমনকি পরিবারের অন্যান্য যাদের ভালোবাসেন তাদেরকেও জানিয়ে দিন। যখন আপনি আপনার জীবনসঙ্গীকে জানাবেন আপনি তাকে ভালোবাসেন, তিনি আরেকটু আত্মবিশ্বাসী হবেন, নিজের আরেকটু যত্ন নিবেন। এই অনুপ্রেরণা তাকে তার ভারগুলো বইতে সাহায্য করবে, আল্লাহর ইবাদাতে মন দিতেও উৎসাহ যোগাবে ইনশা আল্লাহ। অনেকসময় এই ভালোবাসার অনুভূতিটুকুও একটা শক্ত অবলম্বন হয় একটা মনের মাঝে। 

বিষয়টাকে হালকা করে নিবেন না, আপনাকে বা আপনাদের যে অনেক রোমান্টিক হতে হবে -- এটা এমন ব্যাপার নয়। এটা একটা প্রয়োজনীয়তা, আমাদের সবার জন্য। আল্লাহর জন্য যাদের ভালোবাসি আমরা, তাদেরকে জানাতে হয় ভালোবাসার কথা। আল্লাহকে ভালোবাসে যে অন্তর, সেই অন্তরের সেই বিশাল ভালোবাসা থেকেই অন্যদেরকে ভালোবাসা বিলিয়ে দিবো আমরা। যদি অনেকদিন না বলা হয়ে থাকে তবে আজই প্রিয়জনকে বলুন, ধরুন এভাবে বলতে পারেন,  

"একটা কথা শুনো, মন দিয়ে চুপ করে শুনতে হবে। কথাটা হলো.... আমি তোমাকে ভালোবাসি।"

যারা বিয়ে করতে চাইছেন

যারা এই সমাজের অশ্লীলতা আর অন্যায়ের হাতছানি থেকে নিরাপদ থাকতে বিয়ে করতে চাইছেন, নিঃসন্দেহে আলহামদুলিল্লাহ্‌ তা একটি দারুণ নিয়্যাত। কিন্তু মনে রাখতে হবে, জীবনের লক্ষ্য আত্মাকে আল্লাহর দিকে রুজু রাখা, আল্লাহকে সন্তুষ্ট রাখা, তার ইবাদাত করা। সম্ভাব্য জীবনসঙ্গী খুঁজতে অস্থির হয়ে, অশান্তিতে থেকে, হতাশ হওয়া মু'মিনের কাজ নয়। নিঃসন্দেহে আল্লাহ যাকে নির্ধারিত রেখেছেন, তিনিই আপনার জীবনে আসবেন। কিন্তু তার কাছে পৌঁছতে আল্লাহর কাছেই কান্নাকাটি করা উচিত, তার কাছেই নফল ইবাদাতের মাধ্যমে অনাগত জীবনটাকে আরো কল্যাণময় করার জন্য বিনিয়োগ করা উচিত দু'আ। আল্লাহর আরো কাছে যেতে সাদাকাহ করুন। ফেসবুকের প্রোফাইলে, ইনবক্সে, গুগল টকে, ইয়াহু মেসেঞ্জারে জীবনসঙ্গী না খুঁজে তার কাছেই হাত পাতুন, যিনি সকল ক্ষমতার অধিকারী। যিনি এই বিশ্বজগতের প্রতিপালক, সমস্ত দু'আ যিনি শোনেন। যিনি আপনার প্রতিটি দু'আর প্রতিউত্তর দেন। সেই আল্লাহর আরো কাছে যান, তার কাছেই চরিত্রের হিফাজতের জন্য, দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণের জন্য দু'আ করুন। ইনশা আল্লাহ মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা আমাদেরকে কল্যাণ দান করবেন।

-- সাফওয়ান

ফেসবুকে প্রেম করে বিয়ে?

প্রেম-টেম করার সৌভাগ্য/দুর্ভাগ্য হয় নাই কোনদিন। জীবনের শুরু থেকেই আগাগোড়া প্রচন্ড বোরিং কিসিমের আর গোঁড়া টাইপের থাকায় হয়ত কোন মেয়েও কোনদিন আমার কাছে এসে একটা নোটপত্রও চায় নাই, হৃদয়-মনের অন্য কিছু তো দূরে থাক। জীবনের তৃতীয় দশকের শেষদিকে এসে বিয়ে বিলম্বের কারণ হিসেবে মূল হয়ে আছে কন্যা। আমার এক শুভাকাঙ্খী আমাকে বললেন, 'ফেসবুক আইডি' থেকে যেন মেয়ে খুঁজি।

দুঃখের বিষয়, অনলাইন/ফেসবুকে আসার পর থেকে আমি আন্তরিকভাবে এই বিষয়টার বিরোধী ও সমালোচক ছিলাম। আইডির পেছনে ঘুরা মানে নিজের ব্যক্তিত্ব বিসর্জন দিয়ে অন্য কোন এক মেয়ের জীবনকে যন্ত্রণাময় করে দেয়া। কোন বোনের দু'চার কথা ভালো লাগলেও তাদের পেছনে লাগতে চাই নাই, অযথা দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টাও করতে চাই নাই। জীবনটা ফেসবুকের পোস্টের চাইতে শত-কোটিগুণ বড় ব্যাপার। এই প্রোফাইল প্রদর্শনী দেখা আর পোস্ট শেয়ার করার সাথে গোটা জীবন শেয়ার করার বিষয়টার পার্থক্য আকাশ-পাতাল। 

আমার গোঁড়ামি আমাকে ভোগাচ্ছে। বন্ধুরা ফেসবুকে প্রেম করে বউ ঘরে নিয়ে চলে আসছে অনেকেই। সবে তাদের যাত্রা শুরু, কারণ বাবা-মায়েরা খুব বেশি অমত করেন না ইদানিং, ইসলামিক পরিবারে অবশ্য করেন এখনো। তবে, যে জিনিস যত সস্তায় অর্জন হয়, তার ব্যবহারিক অভিজ্ঞতা সুখকর হয় না এটা সবাই জানে।যা হোক, আজকে আমিও একই প্রেসক্রিপশন খাইলাম, হাহাহা। বিবাহের এই বিলম্বে ভালো কিছু হয়ত নাই। তাও, সারাজীবনে সৎভাবে গড়ে ওঠা এই ব্যক্তিগত দর্শনের সাথে কম্প্রোমাইজ করা মানে আমার নিজস্বতাকে ধ্বসিয়ে ফেলা, নিজের ফেলে আসা জীবনের বোধ ও উপলব্ধিকে অস্বীকার করা। পরম করুণাময় আল্লাহর দয়ার উপরে নির্ভর করে শক্ত থাকার প্রত্যয় করছি। 

--- জনৈক অবিবাহিত ভাই 

dampotto : জীবনসঙ্গীর ভুলগুলো

অনেকেই মাঝে মাঝে জীবনসঙ্গীর ভুলগুলো সহ্য করতে গিয়ে বিরক্ত হয়ে যান। 'কেন তার এমন ভুল হবে, কেন যে বুঝে না' -- এরকম প্রশ্ন মনে জেগে ওঠে। একটা কথা কিন্তু মনে রাখতে হবে, কোন মানুষ ' পারফেক্ট' নয় পৃথিবীতে, বিয়ের সময় কেউ আমরা নিখুঁত মানুষকে বিয়ে করিনা। আমরা সবসময় চেষ্টা করি নিজেদের উন্নত করার। স্বামী-স্ত্রী তো একজন আরেকজনের 'চাদর', একে অপরের দ্বীনের অর্ধেক, দ্বীনকে পূর্ণ করতে এই বন্ধন। দু'জন দু'জনের পরিপূরক। তাই, সঙ্গীর জন্য যতই কষ্ট করবেন, ভালোবাসা দেবেন, যত্ন নিবেন -- মূলত আপনি আপনার জন্যই কাজ করছেন, নিজেকেই সাহায্য করছেন। আল্লাহ তো আখিরাতে আমাদের প্রয়োজনের সময়টিতে জীবনে করে যাওয়া প্রতিটি ভালো কাজের বিনিময় দেবেন, আমাদের  সংসারটি হোক তখন মুক্তি পাওয়ার একটি মাধ্যম। আল্লাহ অভাবহীন, দয়াময়, প্রেমময়, ক্ষমাশীল; তার রাহমাতের ঝর্ণাধারা ঝরে পড়ুক আমাদের সংসারগুলোতে... 

যখন কোনও মেয়ের নীরবে অত্যাচার সহ্য করার প্রয়োজন ছিল না

একটা সময়ের কথা মনে পড়ছে, প্রায়ই মনে পড়ে। যখন কোনও মেয়ের নীরবে অত্যাচার সহ্য করার প্রয়োজন ছিল না। মাস্টার্স ডিগ্রী না থাকলেও কোনও বিধবা অথবা ডিভোর্সি মহিলাকে অসহায় হতে হয়নি। স্বামী সন্তানের কাছে সম্মান পাওয়ার জন্য তার সুচরিত্রের অধিকারিণী এবং দ্বীনদার হওয়াই যথেষ্ট ছিল-- পড়ালেখা তাঁরাও জানতেন, কিন্তু সেটা তাদের সম্মানের সিঁড়ি ছিল না যা না থাকলে তাঁরা নিজেদের মুল্যহীন ভাববেন! মেয়ে তো মেয়ে, একটা ছেলেও সে যুগে ডিগ্রীর মাঝে পরম সম্মান হাতড়ে মরেনি, মরতে হয়নি! অথচ তখন যে তাঁরা কেবল শিক্ষিত ছিলেন তাই না, আমাদের কল্পনার বাইরে ছিল তাঁদের বোধ বুদ্ধি, মনের জোর আর পারসোনালিটি!!!এই আলোকিত সময়টা ছিল ১৪০০ বছর আগের সেই যুগে, যেই যুগকে কিনা আজকের মানুষেরা অন্ধকার যুগ বলে। 
আমি মানি পড়ালেখা না জানলে মেয়েরা এসময় অনেক অসহায়। তবে সমাধানটা আমরা ইসলামের ওপর জীবন যাপন করার বদলে খুঁজি হল মাস্টার্স ডিগ্রীর মাঝে আর চাকরির মাঝে। আল্লাহও তাই আজকে আমাদের সম্মানকে সেসবেরই মুখাপেক্ষী করে দিয়েছেন। তাই বাধ্য হয়ে, সব বুঝেও আমাদের বলতে হয় "এই যুগে একটা ডিগ্রী না হলে চলে না।" আসলেও চলে না। এও এক প্রকার শাস্তি। ভুল জায়গায় সম্মান হাতড়ে বেড়ানোর মানসিক যন্ত্রণা। আর শাস্তি অনুভব করতে না পারাটাও আরেক শাস্তি!
-- নায়লা নুযহাত

এইজন্য বড় করি না যে একদিন তারা আমাদের কষ্টের পে ব্যাক করবে

সন্তান আমরা এইজন্য বড় করি না যে একদিন তারা আমাদের কষ্টের পে ব্যাক করবে। ওটা তো একটা হাসির কথা। বাবা মায়ের আজীবনের ত্যাগ স্বীকারের আবার পে ব্যাক হয় নাকি?? পে ব্যাক হয় ক্লান্ত শরীরে অসুস্থ বাচ্চাকে নিয়ে পার করা নির্ঘুম রাতগুলোর? নাকি পে ব্যাক হয় খাওয়ার মাঝখানে সন্তানকে পরিষ্কার করতে হাসিমুখে খাওয়া রেখে উঠে যাওয়ার? নাকি পে ব্যাক হয় সেই দিনগুলোর যখন মা বাবা সন্তানের মুখের দিকে চেয়ে তার অব্যক্ত মনের কথা বুঝে ফেলেন?? হয় না! আমরা তা চাইও না! অবশ্যই আমরা তাদের থেকে ভালো ব্যবহার আশা করি। কিন্তু আমরা জানি, একমাত্র আল্লাহ ভীরুতাই সব সমস্যার সমাধান!তাই মুসলিম হিসেবে আমরা চাই ওরা আল্লাহ ভীরু হয়ে বেড়ে উঠুক। ওরা আল্লাহর পথে থাকুক। সে যদি থাকে, তাহলে আমাদের জন্য কী করলো, সম্মান করবে কিনা, ও নিয়ে ভাবতে হবে না ইনশাআল্লাহ। যে আল্লাহকে ভয় করবে, সে বাবা মাকে সম্মান করতে বাধ্য! আর কেউ যদি অসম্মান করে, তাহলে দুঃসংবাদটা সে অসম্মান করলো এর মাঝে না, সে আল্লাহর নির্ধারিত সীমা লঙ্ঘন করছে তার মাঝে!

মুসলিমদের ব্যাপারটা বুঝতে হবে। তাদের সন্তানেরা তাদের চোখের মণি। তাই তো আগুন থেকে বাঁচাতে যা কিছু করা সম্ভব, সন্তানদের জন্য তারা তাই করবে! আর এই কষ্টের প্রতিদান তারা তাদের চোখের মণিদের কাছে দাবী করে না। আশা করে তাদের রবের কাছে-- যেখানে কোনও খাঁটি ইনভেস্টমেন্টে ক্ষতি হওয়ার কোনও আশঙ্কাই নেই! আশা করে সেই রবের কাছে, এই দুনিয়া এবং আখিরাতের সমস্ত নিয়ন্ত্রণ যার হাতে! সেই রব, যার কাছে রয়েছে মানুষের অন্তরের নিয়ন্ত্রণ, জীবনের নিয়ন্ত্রণ, সম্মানের নিয়ন্ত্রণ। সম্মান দেয়ার মালিক একমাত্র আল্লাহ। সেটা আমাদের খুঁজতেও হবে তাই তাঁরই কাছে!!

আল্লাহ যেন আমাদের সন্তানদের আমাদের জন্য অন্তরের প্রশান্তি করে দেন। তিনি যেন তাঁরই বান্দাদের বড় করতে যেয়ে আমাদের এই কষ্ট স্বীকার কবুল করে নেন। আমাদের সন্তানেরা যেন হয় এই পৃথিবীতে আমাদের জন্য অগ্রীম সুসংবাদ, আর আখিরাতে আমাদের সম্মানের কারণ! আমীন!


-- নায়লা নুজহাত

dampotto : কখনো কখনো একটু অনুপ্রেরণা জীবনটাকে একদম বদলে দেয়


দু'জনের জীবন মানেই নিজ নিজ কাজের ভার বয়ে নেয়া। তাই বলে অনেকদিন হয়ে গেছে, দু'জনকে চিনে গেছি বলে সব সাদামাটা হয়ে যাবে? বলুন তো, কাপড় ক'দিন পরার পর একটু নতুন করে ধুয়ে নিই না আমরা? তাতে সুগন্ধি লাগিয়ে নিই না? সম্পর্কটাকেও মাঝে মাঝে একটু ঝালাই করে নিতে হয়।

আপনার বর তো প্রতিদিন কতকিছুই করেন, কেনাকাটাও করেন। তার আনা যে জিনিসটা ভালো লেগেছে, একটু প্রশংসা করলে কী এমন হয়ে যাবে? আপনার স্ত্রী তো প্রতিদিন রেঁধেই চলেছেন আপনার জন্য। তরকারিটা ভালো লাগলো, স্বাদ করে খেতে খেতে একটু বলুনই না আপনার ভালো লাগার কথাটা...

কখনো কখনো সুন্দর একটু প্রশংসা, একটু অনুপ্রেরণা জীবনটাকে একদম বদলে দেয়, মোড় ঘুরিয়ে দেয় চিন্তার, ভালোলাগা আর ভালোবাসার বন্যা এনে দেয়। দেখবেন, হয়ত আনন্দে তার চোখে পানি এসে যাবে। মুছে দিতে গিয়ে বুঝবেন -- অল্প কিছুর মাঝেই কত আনন্দ মিশে থাকতে পারে... :)

একজন মানুষ কে কখনো তার বাইরের আচরণ দেখে যাচাই করবেন না

একজন ডাক্তার একটি জরুরী সার্জারির জন্য তাড়াহুড়ো করে আর এক ডাক্তারকে হাসপাতালে ডেকে পাঠালো। সে তড়িৎ গতিতে হাসপাতালে পৌঁছে গেলো। হাসপাতালে ঢুকেই সে নিজেকে দ্রুত প্রস্তুত করে নিল সার্জারির জন্য। এরপর সার্জারির ব্লক এ গিয়ে সে দেখল রোগী (একটি ছোট্ট ছেলে)র বাবা ওখানে পায়চারি করছে ডাক্তারের অপেক্ষায়।
ডাক্তার কে দেখামাত্র লোকটি চেঁচিয়ে উঠল- ...আপনার আসতে এত দেরি লাগে?দায়িত্ববোধ বলতে কিছু আছে আপনার? আপনি জানেন আমার ছেলে এখানে কতটা শোচনীয় অবস্থায় আছে ???
ডাক্তার ছোট্ট একটা মুচকি হাসি হেসে বলল- "আমি দুঃখিত, আমি হাসপাতাল এ ছিলাম না, বাসা থেকে তাড়াহুড়ো করে এলাম, তাই খানিক দেরি হল, এখন আপনি যদি একটু শান্ত হন, তবে আমি আমার কাজ টা শুরু করি ?"
লোকটি এবার যেন আরও রেগে গেলো, ঝাঁঝাঁলো স্বরে বলল- "ঠাণ্ডা হব? আপনার সন্তান যদি আজ এখানে থাকতো? আপনার সন্তান যদি জীবন মৃত্যুর মাঝে দাঁড়িয়ে থাকতো, তবে আপনি কি করতেন? শান্ত হয়ে বসে থাকতেন ??"
ডাক্তার আবার হাসলেন আর বললেন "আমি বলব পবিত্র গ্রন্থে বলা হয়েছে যে, মাটি থেকেই আমাদের সৃষ্টি আর মাটিতেই আমরা মিসে যাব ! ডাক্তার কাউকে দীর্ঘ জীবন দান করতে পারেন না। আপনি আপনার সন্তানের জন্য প্রার্থনা করতে থাকুন, আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা টা করব ।"
লোকটি পুনরায় রাগত স্বরে বলল- "যখন আপনার টেনশন না থাকে তখন উপদেশ দেয়া সহজ ই !!"
এরপর ডাক্তার তখন আর কথা না বাড়িয়ে সার্জারির রুম এ চলে গেলো...

২ ঘণ্টার মত লাগলো,

শেষে হাসি মুখে ডাক্তার হাসি মুখে বের হয়ে এলো, "আলহামদুলিল্লাহ অপারেশন সফল।" এরপর লোকটির উত্তরের অপেক্ষা না করেই ডাক্তার আবার বলে উঠলো- "আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে নার্স কে জিজ্ঞেস করুন ", বলে সে চলে গেলো ।
এরপর লোকটি নার্স কে বললেন-"ডাক্তার এত ভাব নেন কেন? তিনি কি আর কিছুক্ষণ এখানে দাঁড়াতে পারতেন না? যাতে আমি ওনাকে আমার সন্তানএর ব্যাপারে কিছু জিজ্ঞেস করতাম ।"
নার্স কান্নায় ভেঙ্গে পড়লেন আর জানালেন-
ডাক্তার এর ছেলে আজ সকালে মারা গেছে রোড এক্সিডেন্ট এ, তিনি আপনার ফোন পেয়ে ওনার ছেলের জানাজা থেকে উঠে এসেছেন, এখন আবার দৌড়ে চলে গেলেন-কবর দিতে।

নৈতিক শিক্ষা :-
একজন মানুষ কে কখনো তার বাইরের আচরণ দেখে যাচাই করবেন না,
কারণ আপনি কখনই জানেন না তিনি কিসের মাঝে আছেন।

কারো বউ নিয়ে আলাপের সময়

মেয়েদের মহলে কারো বউ নিয়ে আলাপের সময় প্রথমেই 'মেয়েটা অত সুন্দর না, কালো' বা এইরকম বহু আলাপ করা হয় প্রায় সময়েই। কেন? কার বউয়ের রং কেমন, তা দিয়া আপনাদের কী? ঐ মেয়ে সাদা ধবধবা হইলেও আপনার কিছু না, অনুজ্জ্বল রঙ হলেও আপনার কিছু না। আপনার সমালোচনা শুনলে মেয়েটা কষ্ট পেত, তাইনা? এই গীবত করবেন না অকারণে, দেখবেন আপনার কল্যাণ হবে, অন্যের উপকার হবে।

[সংগৃহীত]