ছেলে মেয়েরা বাচ্চা কিন্তু নোংরামি করছে কীভাবে?

"ছেলের বয়স মাত্র ২৭। এখনই কীসের বিয়ে?" -- আহাহা! মাত্র সাতাশ বছর। ছেলে তো শিশুই। আজকাল তো ছেলেরা বড় থাকে যখন তার বয়স ১৭। ক্লাস ইলেভেন-টুয়েলভে পড়ে, তখন তারা বড় থাকে, ফুটপাথে আর পার্কে কলেজ ড্রেসের মেয়েদের সাথে শরীরের উত্তাপ ভাগাভাগি করে। যে ছেলে এইসব দেখে টেখে আরো ১০ বছর পার করে ফেলসে, সে শিশু না তো কী? সে তো বড়ই হয় নাই। হইলে কি আর এই দশা হইত? খেকজ। এই সমাজ অনেক অনেক শিশুতে ভরে থাকুক।

এখনকার সময়ের প্রবাদ তাই বদলে গেছে :
If money is lost, everything is lost,
If health is lost, something is lost.
IF CHARACTER IS LOST, NOTHING IS LOST.

-- সাফওয়ান

//

আব্বু আম্মুর কাছে বিয়ের কথাটা বলা মহা অপরাধ কিন্তু গার্ল ফ্রেন্ডদের (এখন আর সিঙ্গুলার নাম্বারে চলে না) নিয়া মানসিক থেকে শারীরিক রিলেশনে জড়িয়ে মৌজ করে ধরা খেলে তখন ছেলের মা-বাবা ছেলে কে রক্ষা করার জন্য উঠে পড়ে লাগেন আর মেয়ের মা বাবা মেয়ের রেপুটেশন রক্ষার জন্য উঠে পড়ে লাগেন। এক পর্যায়ে মামলা হামলায় পর্যন্ত গড়ায় ব্যাপারটা। দুই পক্ষের অভিভাবকদেরই একটাই অজুহাত, তাদের সন্তান বয়সে ছোট, না বুঝে এসব করে ফেলেছে, অপর পক্ষের লোকেরা তাকে ফাঁদে ফেলেছে।

কিন্তু কথা হল, ছেলে মেয়ে কে দেখে ফিদা হয়ে গেছে, একে অপরকে কাছে পাবার জন্য যে কৌশল গুলো তারা অবলম্বন করেছে সেগুলো কোনটাই অবুঝ সন্তানের পক্ষে সম্ভব না। শারীরিক সম্পর্ক গড়ার আগে একে অপরকে নিভৃতে কাছে পাওয়ার যে তুমুল বাসনা, সেই বাসনা থেকে যে সুযোগ তৈরি করার ফন্দি ফিকির এবং কাছে পাওয়ার পর তাদের যে পশু সুলভ প্রবৃত্তির তুমুল লালসা এবং সেটাকে কর্মে পরিণত করার যে তৃপ্তিদায়ক সফলতা এগুলো কি প্রমাণ করে যে তাদের সন্তানরা অবুঝ, বয়সে ছোট এবং না বুঝেই এসব করে ফেলেছে? এগুলো কি অবুঝের লক্ষণ নাকি বুঝদার ব্যক্তির লক্ষণ?

এগুলো ভাবার পরে আমার সন্দেহ জাগে যে "আসলে আমাদের অভিভাবকরা কি আদৌও ম্যাচিউরড হতে পেরেছেন এখনও?"


-- সংগৃহীত 

বিয়ের পর কাউকে মানিয়ে ঠিক করা যায় না

দ্বীনের উপরে কায়েম না থাকা একজন মানুষকে বিয়ে করার আগে আপনি যদি ভাবেন বিয়ের পর বুঝিয়ে মানিয়ে ঠিক করে নিব তবে এটা ভাবা ভুল। আপনি যদি ভাবেন স্বামী স্ত্রীর সম্পর্কতো মাটির মত, ইচ্ছে হলেই দাওয়াত দিয়েই সঠিক পথে নিয়ে আসতে পারব। এটা ভাবাও ভুল।আপনি যাকে চাইবেন তাকেই সঠিক পথে আনতে পারবেন না যদি আল্লাহ তাকে হেদায়াতের পথ না দেখান।

অনেকে বলে কৌশল খাটিয়েই তো স্বামী স্ত্রীকে, অথবা স্ত্রী স্বামীকে পথে নিয়ে আসতে পারে। হয়না যত কৌশল অবলম্বন করুক, অনেক কিছুই এত সহজে হয়না। ঐ মানুষটিকে কিভাবে এত সহজে ঐ লেভেল থেকে সরিয়ে নিয়ে আসা যায়,যাকে তার বাবা ইসলামের সাথে পরিচিত করিয়ে দেয়নি? যারা নামকা ওয়াস্তে মুসলিম, আল্লাহর হুকুম পালনের ধারে কাছেও যায়না,তাদেরকে কিভাবে এত সহজে ঠিক করা যায়?

যে বিন্দু পরিমাণ ইসলাম মেনে চলতে চান তাদের প্রতি অনুরোধ নেককার পুরুষ অথবা নারীকে বিয়ে করুন। যাকে বিয়ে করে আপনার আমল অনেক ভালো হবে।অনেক বেশি ইসলামের উপর চলা সহজ হবে। এমন যেন না হয় কাউকে হেদায়াতের সঠিক পথ দেখাতে বিয়ে করে নিজেই অন্ধকারে হারিয়ে যান। [collected]

ইসলামী শিক্ষা না থাকার ফল

বর্তমান সময়ে আপনি যদি একটা বাচ্চাকে ১০ জন সাহাবী বা ইসলামের ১০ জন মনিষীর নাম জিজ্ঞাসা করেন, অধিকাংশ বাচ্চায় পারবে না। কিন্তু তাদের যদি বলা হয় _ ১০ জন বাংলাদেশী বা ভারতীয় পতিতার তথা নায়িকার নাম বলতে তারা গট গট করে বলে দিবে।

আপনি যদি কোন বাচ্চার নিকট ইসলাম ধর্মের আচারগুলো জানতে চান তবে সে হয়তো খুব কষ্ট করে কয়েকটা বলতে পারবে কিন্তু আপনি যদি হিন্দু ধর্মের আচার জানতে চান তবে হিন্দি সিরিয়াল দেখার দরুন সে গড় গড় করে বলে দিবে।

আপনি যদি অ্যাডাল্ট কারো নিকট জানতে চান সে কয়টা ইসলামী পুস্তক পড়েছে তবে খুব কষ্ট করে হয়তো কয়েকটার নাম বলবে, কিন্তু প্রেমের উপন্যাস বা মাসুদ রানা জাতীয় বইয়ের নাম বলতে বললে অনায়াসে বলে দিবে।

আপনি যদি আপনার মেয়ে বা বোনের নাম উম্মে কুলসুম, ফাতিমা বা আয়েশা এগুলো রাখতে চান আপনার পড়শিরা সাথে সাথে কতগুলো ডাক নাম যেমন বেবি, মৃত্তিকা, শিউলি, কণা, পুতুল এই গুলো খুজে বের করবে এবং ভাল নামটি বাদ দিয়ে এই নামগুলো দিয়ে ডাকবে।

একজন মুসলিম হিসেবে উপরোক্ত বিষয়গুলো কতটা লজ্জাজনক তা ভেবে দেখেছেন কখনো??

এগুলো হল ইসলামী শিক্ষা না থাকার ফল।

[collected]

ফেসবুক বচন ২

প্রিয় ভাই, তোমার চোখ দু'টোর নির্লজ্জ অবাধ্য দৃষ্টি আমাদের বোনদেরকে কষ্ট দেয়, বিব্রত করে। হতে পারে সে আমাদেরই কারো মা-বোন, তাইনা? তোমার প্রিয় মানুষটিকে কোন পুরুষ নোংরা দৃষ্টিতে দেখছে -- একথা তুমি ভাবতে পারো? না পারলে বরং নিজেকে সামলে নিয়ো, এতে কল্যাণ আছে। তাছাড়া, আল্লাহ তো চোখকে সংযত করার আদেশ দিয়েছেন। চোখের দৃষ্টি যেন আমাদের জন্য আল্লাহর ভালোবাসা হারানোর কারণ না হয়। তার চাইতে বড় ক্ষতি আর কী হতে পারে? ~ স্বপ্নচারী


//

চারপাশের সম্পর্কগুলো খুব সস্তা হয়ে যাচ্ছে ... দায়িত্ববোধ, আবেগ এগুলোর জায়গা দখল করে নিচ্ছে লুইচ্চামি,টাংকিবাজি,ফস্টিনস্টি আর সস্তা বিনোদন।
তাই স্মার্ট ছেলেমেয়েরা সকালে make up আর বিকালে break up করে।

এরা সম্পর্কটা বানিয়েছে ছেলে-খেলা। এরা তাই আজকে পালন করছে "Propose Day", কালকে আয়োজন করবে, "One night Stand",
হাবীবের ভাষায়, "এসো তবে বৃষ্টি নামাই, সৃষ্টি ছাড়া ভালাবাসায়"।

~ জিম তানভীর


//

আপনি যখন আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য যখন একটা পাপ থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখছেন,অনেক ইচ্ছে সত্বেও যখন চোখকে সংযত করছেন,সে কি আল্লাহ দেখছেন না? যিনি এই বিশ্বজগতের মালিক, যিনি সমস্ত ক্ষমতার অধিকারী, তিনি আপনার এই সমস্ত সংযমের জন্য বিপুল পুরষ্কার দিবেন।

ভেবে দেখুন তো, অতীতে অনেক কষ্ট পেলেও, এখন যদি আপনাকে অনেক বড় পুরষ্কার দেয়া হয়,আপনি আগের কথা ভুলে যাবেন না? তেমনি, আল্লাহ যখন আপনাকে আপনার প্রিয়জনকে মিলিয়ে দেবেন, আপনি হবেন সুখী।



//


চোখ হলো মনের দরজা, চোখ দিয়ে দেখি আর অন্তরে আমরা অনুভব করি, তাকে ধারণ করি। যেই চোখ দিয়ে আপনি অশ্লীল ও নোংরা জিনিস দেখছেন, আপনি কীভাবে আশা করেন সেই অন্তরে আল্লাহ রব্বুল আলামীনকে ধারণ করতে পারবেন। আল্লাহ হলেন মহাপবিত্র, সুন্দর, মহামহিম। -- স্বপ্নচারী

//

আপু, যে ছেলেটা ফোন করে বলে তুমি সুন্দর, তোমার কন্ঠ সুন্দর, হাসলে তোমাকে ভালো লাগে; অথচ সে তোমার বাবার কাছে গিয়ে বলতে চায়না যে তোমাকে বিয়ে করবে, মনে রেখো, সে তোমাকে চায় না, সে চায় তোমার সহজাত সম্পদগুলোকে ভোগ করতে।

তোমার হৃদয় আর তোমার চিন্তাগুলোকে যে পছন্দ করে,সে বাকিটা জীবনের জন্য নিজের আপনজন করে তোমায় বেঁধে রাখতে চাইবে। সমস্ত অধিকার নিয়ে তবেই তোমার যোগ্য মানুষটার কাছে যেয়ো।

উদ্দাম আনন্দে ভাসার আগে একটু ভেবো কিন্তু!

//

আফসোস হয় যখন দেখি কোন মুসলিম পরিবারের কোন মেয়ে বা ছেলে কোন কারণ ছাড়াই নিজেকে তথাকথিত মুক্তমনা বলে দাবী করতে শুরু করে অথচ তার গর্ভধারিণী মা এখনো তার সন্তানের জন্যে জায়নামাজে বসে প্রার্থনায় মশগুল। মুসলিম যুবক যুবতী তোমার জন্যে আফসোস হয় যখন তোমার দেখি তোমার বৃদ্ধ বাবা তোমাকে বিশ্ববিদ্যালয়য়ে পাঠিয়ে তোমার কল্যাণের জন্যে মসজিদে সাজদারত আর এইদিকে তুমি এতোটাই আধুনিক হইছ যে কোরআনের আয়াতগুলো শুনলে তোমার গা জ্বলে, সাম্প্রদায়িক মনে হয়। তোমার নামটাও যে ইসলাম থেকে ধার করে নেয়া এই কথাটাও হয়তো তোমার মনে নেই। সত্যি তোমার জন্যে আফসোস!!!


//

মুসলিম নারী চাঁদের মতো যেনো না হয় যে,
সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করবে এবং প্রশংসা কুড়াবে

মুসলিম নারী হবে সূর্যের মতো যে,
সবার দৃষ্টি স্বতঃস্ফূর্তভাবে আনত করে ফেলবে !

//

ফেসবুকে নন-মাহরাম মেয়েদের প্রোফাইল ঘুরে ঘুরে তাদের ছবি দেখাও কিন্তু বাস্তব জগতে হা করে তাকিয়ে থাকার মতই অননুমোদিত, নিষেধ। খেয়াল করুন ভাইয়েরা, চক্ষু সংযত করুন। মন ও চোখকে পরিচ্ছন্ন রাখুন। আগুণ থেকে দূরে সরে আসুন।

হে আমার বোন - ৩

এক বিয়ে বাড়িতে গিয়েছিলাম। কনে আমার দুঃসম্পর্কের চাচাতো বোন। মেয়েটা হিজাব পরেই বাইরে চলাফেরা করে। কিন্তু বিয়ের সময় এতগুলো মানুষের মাঝে তাকে বসিয়ে রাখা হয়েছে শুধু বিয়ের শাড়ি পরিয়ে। ছেলে মেয়ে সবায় কত আগ্রহ নিয়ে দেখছে। আমিত অবাক।

চাচিকে বললাম- ওকে অন্তত একটা বড় ওড়না দিতে পারতেন।

চাচি বললেন- মা বিয়ের দিন থাকনা

আর কিছু বললাম না। কিন্তু মেয়েকে যখন বিদায় দেই তখনও সে হিজাব ছাড়া। মন খারাপ হয়ে গেল। আবার চাচীকে বললাম তাকে হিজাব পরাতে। চাচী বললেন বিয়ের দিন থাকনা।

পর্দার বিধানে বিয়ের সময়কে পর্দার আওতা মুক্ত রাখা হয়েছে বলেত আমার জানা নাই। কিন্তু প্রায় বিয়ের অনুষ্ঠানে এটা দেখা যায়। আমার মতে বিয়ের দিনই পর্দার দিকে বেশি মনোযোগ দেয়া দরকার। কেননা সেদিন কনে সবার আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে।

-- সুমাইয়া আমিন






**

রবির অ্যাডে দুইটা ক্যারেক্টার দেখলাম । বোকা-সোকা একটা হাজব্যান্ড আর "সিরাম" দজ্জাল একখান বৌ ।হাজব্যান্ড খালি বেশি কথা বলে, বোকা বোকা কাজ করে আর বৌ তার দাঁত-মুখ খিঁচিয়ে একটা জবাব দেয় ! বাংলালিংকের অ্যাডে পাইলাম, নেকু নেকু একটা বৌ চিবিয়ে চিবিয়ে স্বামীর কাছে প্রথমবারের মতো কিছু একটা বায়না ধরছে আর হাজব্যান্ড বেচারা ফাঁপরে পড়ে যাচ্ছে । আবার এদেরই আরেক বিজ্ঞাপনে চিত্রটা এরকম যে, স্ত্রী আসলে স্বামীর চেয়ে আমলকীকেই বেশি প্রেফার করছে । অ্যাটম নামের একটা চ্যুয়িঙ্গাম নতুন আসছে বাজারে, সেখানে দেখলাম বৌটা বাসর রাতেই ছলা-কলার আশ্রয় নিচ্ছে, মিথ্যে বলছে ।

প্যারাশ্যুটের বিজ্ঞাপনে দেখলাম, স্বামী বৌয়ের হাতের রান্না খেয়ে মায়ের রান্নার গুণগান করছে আর স্ত্রী সেটা সহ্যই করতে পারছে না !

উদাহরণ এরকম আরও হাজারটা আছে । আমার প্রশ্ন হচ্ছে, স্ত্রীরা কী এরকম নেতিবাচকই হয় নাকি সবসময় ? না কি হিন্দি সিরিয়ালের আছর পড়েছে আমাদের বিজ্ঞাপনগুলোর উপরে ? কই, আমার মা তো এইরকম না ! বিজ্ঞাপনের আরেকটা শ্রেণীকরণ হওয়া উচিৎ... "Unethical Advertising" !

যার কাজ হল কোন একটা স্পেসিফিক বিষয়কে সমাজের চোখে নেতিবাচক হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা ! বর্তমান বিজ্ঞাপনগুলো সে পথেই যাচ্ছে !

-- নুজহাত ফারহানা

মোবাইল ফোন কোম্পানীর বিজ্ঞাপনে

একটা মোবাইল ফোন কোম্পানীর বিজ্ঞাপনে দেখলাম এক ছেলে এক "সুন্দরী" মেয়ের পিছে ঘুরছে তাকে মনের কথা বলতে। আবার অন্য এক "অসুন্দরী" মেয়ে ঘুরছে সেই ছেলের পেছনে। তো ছেলে যখন "সুন্দরী" মেয়েকে ফোনের কলার টিউনের মাধ্যমে মনের কথা বলে দিল, তখন সব ঠিক ছিল। বিপত্তি হল শেষ দৃশ্যে, যেখানে "অসুন্দরী" মেয়েটি তার মনের কথা বলতে আসে ছেলেটিকে। "অসুন্দরী" মেয়েটি ছেলেটিকে পছন্দ করে, এটি জানতে পেরে ছেলেটি এমন একটা Look দেয়, যেন এর চাইতে ভয়াবহ কিছু তার সাথে আর ঘটতে পারেনা।

আপাত দৃষ্টিতে মজার বিজ্ঞাপন মনে হলেও খুব সূক্ষ্ম উপায়ে এতে Racism এর বীজ বোনা হচ্ছে, যা একটু মাথা খাটালেই বোঝা যায়। অর্থাৎ সুন্দরী, স্লিম, ধবধবে সাদা চামড়ার মেয়ে না হলে তোমার কোন "বেইল" নাই। তুমি সব 'হ্যান্দচাম' ছেলের কাছে "পেইন" হয়েই থাকবে। তুমি কিছুটা খাটো হলে, মোটা হলে, নাকের ডগায় মোটা ফ্রেমের চশমা বসালে, চামড়া কৃষ্ণ হলে তুমি গ্যাছো। এই ইহধামে তোমার আর কোন জায়গা নেই।

এইসব বন্ধু,আড্ডা,গানের ফেরিওয়ালা ফোন কোম্পানীগুলোসহ প্রায় সকল প্রকার কর্পোরেট হাউজগুলো বিজ্ঞাপনের নামে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে প্রথমত হারাম সম্পর্কের বীজ বুনছে, তার উপর উস্কে দিচ্ছে বর্ণপ্রথা। চামড়া ঢলে পড়লে, চুলে তেল না দিলে স্বামীর কাছে দাম নাই। চামড়া দিয়ে টিউবলাইটের আলো বের না হলে বিয়ের বাজার, চাকরী বাজারে দাম নাই - ইত্যাদি নানা প্রকার 'আদর্শ নারী'র ক্রাইটেরিয়া চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে এইসব বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে।

মার্কেটিং নিয়ে পড়াশোনা করে একটা ধারণা লাভ করেছি, যে Advertising is all about playing with the emotions of the customer. একদম সোজা হিসাব। তত্ত্বীয় কথা সব বই এর পাতায়। বাস্তবতা এটাই। আপনি যত বেশি ভোক্তাদের আবেগ আর হুজুগ নিয়ে নাড়া দিতে পারবেন, আপনার পণ্যের প্রচার তত বেশি হবে। Business Ethics বলে একটা subject আছে ব্যবসায় শিক্ষায়। আজ পর্যন্ত তা ঐ একাডেমিক কোর্স হিসেবেই দেখে আসছি। কোনদিন বাস্তব প্রয়োগ দেখিনি।

পুঁজিবাদী সমাজ ব্যবস্থায় নারীর পণ্যায়ন যারা করে, তারাই আবার নারীর অধিকার, নারীর এই, নারীর সেই নিয়ে গলা ফাটায়। ব্যাবসা। সবই ব্যাবসা।

- Nazmus Sakib

ফেসবুক বচন ১

পাপকে ভয় করুন, সে যত অল্পই হোক না কেন।
হতে পারে এই পাপটাই আপনার জাহান্নাম নির্ধারণের শেষ কারণ হয়ে যাবে।
হতে পারে এই পাপটা না থাকলে আপনার জান্নাতের আদেশ আসতো।
//


আমার এক বন্ধু আক্ষেপ করে বলেছিল,--কিছু বুড়া মানুষ এমনে পত্রিকা পড়ে, যেন অহী পড়তেসে ! ছাপার অক্ষরে কোন লেখা যে মিথ্যা, বানোয়াট হতে পারে সেটা বিশ্বাসই করতে চায় না।
-- কৃষক ভাই


//
ইন্টারনেটে যাবতীয় ইনবক্স/চ্যাটবক্স থেকে সাবধান থাকুন। পুরুষ হলে নারীর ব্যাপারে, নারী হলে পুরুষের ব্যাপারে অতিসচতেনভাবে সাবধানী হউন। নিজেকে বিশ্বাস করলেও, শয়তানকে বিশ্বাস করার সুযোগ নাই।
[collected]


ফেসবুকের ইস্যুগুলো ক্ষনস্থায়ী।
আখলাক ও আমলসমূহ দীর্ঘস্থায়ী।
~ আব্দুল্লাহ


হুজুরদের কোন কথা মন মতো না হইলে ব্যস্ত হয়ে যাই "ইসলামে এইটা নাই" প্রমান করার জন্য। অথচ নিজের মন মতো চলা টা যে ইসলামে নাই সেটা চিন্তায় রাখি না।

-- মাজহারুল হায়দার


 //
বেঁচে যখন আছি, ভালো হোক আর খারাপ হোক -- এই সময়টা কেটে যাবে।

যদি আগামীরটা খারাপ হয়, তখন এই ভালোটাতে লাভ হবেনা।
আগামীর সময়টা ভালো হলে, এই খারাপটা প্রভাব ফেলবে না।

পৃথিবীর জীবনে তবে কী লাভ এত হিসেব করে?


 //
 জীবন একটা স্বপ্ন। সেদিনই আপনি জেগে উঠবেন যেদিন মারা যাবেন... 

আপনি যখন ভালোবাসার জন্য আহাজারি করছেন। ডানে-বামে তাকিয়ে দেখেন কেউ খাবারের জন্য কাঁদছে, মরেও যাচ্ছ। আবার অসুস্থতায় ও চিকিৎসাহীনতায় মারা যাচ্ছে।

 //
বাঙালি মুসলমানের মন বড় অদ্ভূত। সে একই সাথে অনেক কিছু চায়।

সে লিবারেলিজম চায় আবার ইসলাম চায়। সূদ চায় আবার ইসলামিক ব্যাংকিং চায়।

ঘুষ চায়, হজ্ব চায়। গীতবিতান, আমপারা, কোরান শরীফ, হারমোনিয়াম সবই তার ড্রইং রুমে চায়।

তরুনী মুখো পাখাওয়ালা বোরাক, কাবা ঘর, তীর বিদ্ধ দুল দুল, শাহরুখ, মাধুরী, সালমান শাহ সব ছবিরই তার কাছে সমান কদর। মক্কা চায়, মুম্বাই ও চায়। পিস টিভি চায়, স্টার প্লাস চায়, এইচবিও চায়।

'দেশি মডেল' 'হটি জোকস' পেইজে লাইক দেয় আবার 'ইসলামিক লাইফ' পেইজে ও লাইক দেয়। ১৮ প্লাস পোস্ট এবং নবীজির স্মৃতি বিজড়িত স্থান সমূহের ছবি সম্বলিত পোস্ট দুটোতেই সমান হুমড়ি খায়। বাঙালি মুসলমানের মন বোঝা সত্যিই কঠিন।

---- অমিয় উজ্জ্বল
  

//
বস্তুজগতের কষ্ট অনেকটা মেহেদীর রঙের মত । কারো হাতে ভীষন গাঢ় , কারো হাতে হালকা । কেউ হয়তো সেই রঙে তেল দিয়ে তাকে আরো গাঢ় করে , কেউ হয়তো বারবার সাবান দিয়ে ধুয়ে রংটাকে হালকা করতে চায় । ব্যক্তিবিশেষে রঙের ধরন যেমনই হোক রং কিন্তু লাগে । সময়ের সাথে রংটা ফিকে হয়,মুছে যায় । আবার কেউ তার ওপরই নতুন মেহেদীর প্রলেপ দিয়ে রংটাকে জিইয়ে রাখে । নির্ভর করে নির্দিষ্ট ব্যক্তিটির ওপর । সে রংটাকে গাঢ় করবে না হালকা । রংকে মুছে যেতে দেবে নাকি নতুন প্রলেপ দেবে । কষ্ট থেকে আনন্দ খুঁজে নেবে নাকি শুধুই কষ্ট পাবে । জীবনকে সাজাবে নাকি ধ্বংস করবে ....

--- ফাতেমাতুজ জোহরা

//
অনেকক্ষেত্রেই একটা দরকারী ও গুরুত্বপুর্ণ কথার চেয়ে আজেবাজে অনেক কথা আমরা পছন্দ করে থাকি। শুধুমাত্র লাইকের সংখ্যার কারনে।

-- মাজহারুল হায়দার


//
আড়ং থেকে ঈদের কাপড় না কিনলে ঠিক ইজ্জত থাকছেনা, পাঞ্জাবি কিনছেন আড়াই হাজার টাকায়, বের হয়ে মার্কেটের সামনেই নাঙ্গা শরীরের শিশুগুলো কারো বিবেকবোধে নাড়াও দেয় না। তারা ভুলেই যান এমন অনেক মানুষ থাকে সমাজে যারা যথেষ্ট কষ্ট করে খাবারের খরচটুকু অর্জন করেন। এই সমাজব্যবস্থা পুঁজিবাদীরা খুব ভালো করেই বদলে দিতে পেরেছে, আদর্শবাদীরা অকর্মণ্য হয়ে বসে বসে মুড়ি খেয়েছে, সন্তানসন্ততিসহ সবকিছুকেই জলাঞ্জলি দিচ্ছে এখন সমাজের কাজ করার ক্ষেত্রে অযোগ্যতা এবং দুরভিসন্ধির অভাবে।

//
মাঝে মাঝে ক্লাস শেষে বিকেলে বাসে দীর্ঘ সময়ের জার্নিতে বসে জীবনটাকে ভাবতে গেলে,পুরো জীবনটাকে বাস জার্ণিই মনে হয়! দীর্ঘ সময় স্টপেজে দাঁড়িয়ে থাকার পর কাংখিত বাস আসলেও অসম্ভব প্রতিযোগীতে করে উঠতে হয়,তারপর আরো কিছুক্ষন কষ্ট করে বসার সীট পেতে হয়,জ্যাম-পথের দীর্ঘতা সব পেরিয়ে গন্তব্যে পৌছাতে হয়!তবে সেটাও নির্ধারিত গন্তব্য না! ঠিক জীবনটাও এভাবেই অনির্ধারিত গন্তব্যের পেছনে দৌড়েই কাটাতে হয়,মিলুক আর না মিলুক,চাওয়া পাওয়ার হিসেব কে দূরে রেখে প্রয়োজনের সাথে ক্ষণিক সুখের সমোঝতা করে একভাবে দিন গুলো কাটিয়ে দিতে হয়। বাস ছুটে চলে,জীবনের সময় গুলোও ছুটে চলে,স্বপ্ন-আকাংখা গুলো ছুটে চলার সাথে দূরে মিলিয়ে যায়,সামনে অপেক্ষায় থাকে শুধু অনির্ধারিত বাস্তবতা আর প্রয়োজন!

~ শুকনো পাতা

হে আমার বোন ২

আমার পাঁচ বছর বয়সী মামাতো বোন প্রশ্ন করেছিল: আচ্ছা আকাশটাকে যে এত সুন্দর করে রং করা হয়েছে, এটা কিভাবে হল? সে যখন রং পেন্সিল দিয়ে রং করে কোথাও কোথাও ফাঁক হয়ে যায়, ইউনিফর্ম হয় না। তাই তার মনে এই প্রশ্ন। আজকের বৃষ্টিধোয়া আকাশ আর উজ্জ্বল সব সবুজ দেখে ওর এই প্রশ্নটা আমারও ভিতরে আসছে। শিল্পীর তুলির নিখুঁত কাজ আমাদের মুগ্ধ করে অথচ নিজেরাই যে আছি সেরা শিল্পীর সের শিল্পকর্মের ক্যানভাসের ভেতরে এটাই ভুলে যাই...
 
-- নুসরাত মাসুমা আক্তার

নারী যখন এয়ার-হোস্টেজ হয়ে বিমানের যাত্রীদের সামনে খাবার পরিবেশন করে, মিষ্টি সুরে কথা বলে, যাত্রীদের কামনার স্বাদ পুরা করে তখন সেটা হয় নারী স্বাধীনতা।

আর সে যখন নিজের ঘরে নিজের জন্য, স্বামী ও সন্তানের জন্য, পিতামাতার জন্য খাবার রান্না করে তখন সেটা হয় "পরাধীনতা"।

এই অদ্ভূত দর্শনের কারণে নারী আজ পণ্যে পরিণত হয়েছে। ব্যবসায়ীদের ব্যবসা বাড়ানোর এক অসাধারণ মাধ্যম এক শ্রেণীর দেহ প্রদর্শনকারী নারী সমাজ।

এই নারীবাদি সমাজে নারীরা যেন পণ্যের মোড়কে পরিণত হয়ে গেছে। পণ্যের বিক্রি বাড়াতে যেমন আকর্ষণীয় মোড়ক ব্যবহার করা হয় তেমনি পাশাপাশি ব্যবহার করা হচ্ছে নারীর আকর্ষণীয় শরীরকে।

তাই এই জগতের শিল্পচর্চার সবচেয়ে বড় অংশটা একটা কেন্দ্রে এসে থমকে দাঁড়িয়েছে আর তা হল "নারীর শরীর"।

নারীর শরীরের উপর গবেষণা চলছে প্রতিনিয়ত, তাকে আরো কত আবেদনময়ী করে তোলা যায়।পরিশেষে এই নারীকে ব্যবহার করে বণিক শ্রেণী হাতিয়ে নিচ্ছে কাড়ি কাড়ি অর্থ।কেউ বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে,কেউ নাটকে,কেউ সিনেমায়--একেকজন একেক কৌশলে।ফলে নারী হারাচ্ছে সম্ভ্রম আর সমাজ হারাচ্ছে ভারসাম্যপূর্ণ যুবসমাজ।পাশাপাশি উপহার হিসেবে সমাজকে দিচ্ছে মাদক, ধর্ষন,হতাশা, আত্মহত্যা ইত্যাদি।

আর ধূর্ত বণিক সমাজ এই দেহ প্রদর্শনীর নাম দিয়েছে "নারী স্বাধীনতা"।
 
-- একজন ভাই


মনপবন প্রবচন

কোন অবিচার হলে যখন মানুষ শক্তিতে পেরে ওঠেনা, সে বলে - উপরে আল্লাহ আছেন তিনি সব দেখছেন, তিনি সব কিছুর বিচার করবেন।
সমস্যাটা হচ্ছে আল্লাহ সবার বিচার করবেন, শুধু আমাদের শত্রুদের না। আমরা যেমন কারো বিপক্ষে আল্লাহর বিচার চাচ্ছি তেমন হয়ত অনেকে আমাদের বিরুদ্ধে আল্লাহর কাছে বিচার দিয়ে রেখেছে। কারো বিচার চাওয়ার আগে নিজের বিচারের ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় করা উচিত।
-- মনপবন
 
## 
কিছু কিছু মানুষ সারা জীবন কাটিয়ে দেন জ্ঞান অন্বেষণের উদ্দেশ্যে। এই পন্ডিত মানুষেরা ইতিহাসের পাতায় জায়গা করে নেন।
মুসলিমরা সারা জীবন কাটিয়ে দেয় জ্ঞান অন্বেষণ করতে করতে। কিন্তু তাদের উদ্দেশ্য ইতিহাসের পাতা না, জান্নাত। আমাদের জন্য জ্ঞান একটা মাধ্যম, উদ্দেশ্য না। আমাদের উদ্দেশ্য আল্লাহর সন্তুষ্টি।
-- মনপবন
 
###
কেউ যদি আল্লাহর রাস্তায় কিছু করতে চান তাহলে কর্তব্য আল্লাহর দ্বীন সম্পর্কে জানা এবং যথাসম্ভব তা জীবনে মানা।
আল্লাহ যখন আমাদের যোগ্য মনে করবেন তখন তিনি অকল্পনীয় উৎস থেকে তার দ্বীনের সেবা করার ব্যবস্থা করে দেবেন। কিন্তু আমরা যদি নিজে নিজেকে যোগ্য ভাবতে থাকি তার মানে আমাদের যোগ্যতা কম, পরিপক্কতা নেই বললেই চলে।
আমাদের নিয়ে আল্লাহর একটা পরিকল্পনা আছে। আমাদের উচিত দাঁতে দাঁত চেপে সেই দায়িত্ব পালনের উপযুক্ত হবার চেষ্টা করা।
-- মনপবন

###

আল্লাহ আল কুরানের দুই জায়গাতে বলেছেন, তোমরা অপচয় করোনা, আল্লাহ অপচয়কারীকে ভালবাসেননা। আমরা আল্লাহর ভালোবাসার থোড়াই কেয়ার করি। নানান জাতের ভালোবাসাতে ভর্তি হয়ে আছে টিভি। আল্লাহর ভালোবাসা না দেখা যায়, না বেচা যায়। এ ভালোবাসা দিয়ে কি করব? আমরা তাই অপচয় করি - যতভাবে সম্ভব করি। যত বেশী সম্ভব করি।
-- মনপবন

###

একজন মু'মিন দাঁতে দাঁতে চেপে সুদিনের স্বপ্নে কাজ করে, ভাল ফল পেলে খুশী হয়ে আলহামদুলিল্লাহ বলে, ব্যর্থ হলে আল্লাহর উপরে ভরসা করে, মনে কষ্ট পেলে ধৈর্য ধরে, চারপাশের মুসলিম ভাইদের উৎসাহে আবার পথ চলতে শুরু করে। আল্লাহ আমাদের যেন এমন একজন মু'মিন হিসেবে কবুল করে নেন। দুনিয়াতে আল্লাহর হিদায়াতের চেয়ে বড় প্রাপ্তি আর কি হতে পারে?
-- মনপবন

##

আমরা আমাদের জন্য বাঁচি না, আল্লাহকে খুশি করার জন্য বাঁচি। তাকে খুশী করার জন্য বাঁচাটা যদি খুব সুখের হত, সুবিধের হত তাহলে পৃথিবীর সব মানুষই সেটা করত। আখিরাতের অনন্ত জীবনের সুখস্বপ্ন দেখার সময় সেই সুখের জন্য এই পার্থিব জীবনে আমরা আসলে কতটুকু ছাড় দিলাম সেটাও ভাবা উচিত।
 -- মনপবন
###

চলে যাওয়া দিনটা অতীত নয় - এটাই আমার ভবিষ্যত
 -- মনপবন

###
একজন পরিণত মানুষ যখন শৈশব-কৈশোরের বহু ঈপ্সিত খেলনাটি হাতে পায়, তখন সে থমকে ভাবে - "এটাই কি চেয়েছিলাম? কি করবো এ দিয়ে?" এ পৃথিবীর কিছুই কখনও মানুষকে পুরোপুরি সুখী করতে পারেনা।
-- মনপবন


###

আমরা অন্যের কর্তব্য আর নিজেদের অধিকার নিয়ে যতটা ব্যস্ত থাকি, নিজের কর্তব্য আর অপরের অধিকার নিয়ে তার অর্ধেক সময় ও প্রচেষ্টা ব্যয় করলে পৃথিবীটা অনেক সুন্দর হত।
-- মনপবন

###

আল্লাহদ্রোহিতাকে যখন মানুষ নেশা বানিয়ে তার পিছনে আল্লাহর দেয়া ইন্দ্রিয় আর সময় ব্যয় করে তখন সেই মানুষদের জন্য আমার আসলেই দুঃখ লাগে, করুণা হয়। এতটা করুণা আমার সেই কুকুরগুলোর জন্যেও হয়না যাদের সিটি কর্পোরেশন মারবে বলে ধরে নিয়ে যায়।
-- মনপবন


###
/ সুজাতাই আজ শুধু সবচেয়ে সুখে আছে,শুনেছি যে লাখপতি স্বামী তার, হীরে আর জহরতে আগা গোড়া মোড়া সে,বাড়ি-গাড়ি সবকিছু দামী তার // - এই গান শুনে যে প্রজন্মটা বড় হয়েছে তাদের কাছে সুখ মানে আত্মার শান্তি না, জাগতিক জৌলুস। "টাকা মানে সুখ" - যার মগজে ঢুকে গেছে তার কাছে নীতিবোধের কোন মূল্য থাকে কি? বন্ধুত্ব নিয়ে রচা এই নিষ্পাপ গান গাওয়া-শোনা মানুষেরা আজ বন্ধুকে বিষ ফুঁটিয়ে জ্যন্ত কবরে পুঁতে কচু গাছ লাগিয়ে দেয়। নমঃষ্কার মান্না দে, নমঃষ্কার হে সেকুলার সমাজ।
-- মনপবন


###
দুটি জিনিসের ব্যাপারে মানুষ ধোঁকায় পড়ে আছে - সুস্থতা ও অবসর। এমন একদিন আসবে যখন অনেক চাইলেও আমরা সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে স্বলাত পড়তে পারবোনা, রুকু করতে পারবোনা, সিজদায় মাটিতে কপাল ছোঁয়াতে পারবোনা। এমন দিন আসবে যখন শতবার পড়লেও ক্বুর'আনের আয়াত মনে গাঁথতে পারবোনা। এমন দিন আসবে যখন হালাল রুযির খোঁজে থাকতে থাকতে আর নফল ইবাদাতের খোঁজও থাকবেনা। এমন দিন আসার আগেই বর্তমান সুস্থতা ও অবসর সময়ের সদ্ব্যবহার করে নেই।
-- মনপবন


###
 আপনি যখন কিছু শিখবেন তা আপনার মাথা থেকে নেমে এসে মনের দরজায় কড়া নাড়বে। আপনি যদি মনের দরজাটা খুলে দেন, চোখ মেলে নতুন অতিথির দিকে তাকান, তার দিকে পায়ে হেটে এগিয়ে যান, তার হাতে হাত মেলান, তার কথা কান দিয়ে শোনেন - তাকে জীবনে বন্ধুভাবে নেন তবেই আপনি প্রকৃত শিক্ষিত হলেন। যদি মনের দরজা বন্ধই থাকে তাহলে আপনি পড়ুয়া হতে পারেন, জ্ঞানী নন; লোকে আপনাকে উচ্চ শিক্ষিত বলতে পারে, কিন্তু আপনি ভাল মানুষ নন।
-- মনপবন


###
আমরা আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই, ধন-সম্পদ চাই। অথচ কেউ যদি আমাদের কাছে সামান্য কিছু টাকাও চায় আমরা মুখ কালো করে ফেলি। আর শেষ কবে অন্যায় আচরণ করা সত্ত্বেও কোন মানুষকে মন থেকে ক্ষমা করে দিয়েছি তা কি মনে করতে পারি? আমরা যা অন্য মানুষকে একটুও দিতে প্রস্তুত না, তা আমরা আল্লাহর কাছে চাই কোন মুখে?
-- মনপবন

###

আমি বিশ্বাস করি এই পৃথিবীতে বিনোদিত হবার জন্য আল্লাহ আমাকে পাঠাননি। বিচার দিবসে যখন মানুষ আল্লাহর কাছে একটু সময় ভিক্ষা করবে তখন যেন আমাকে হা-হুতাশ করতে না হয়। বাংলাদেশের সবাই যদি ক্রিকেট দেখে, খায়, শোনে আর বলে - তবুও আমি স্রোতের বিপরীতে থাকতে চাই। আল্লাহই কি উত্তম সঙ্গী নন?
-- মনপবন

###
কেউ কি চিন্তা করে দেখেছেন প্রাইভেট চ্যানেলগুলো কি বিক্রি করে? এরা আপনাকে বিক্রি করে। আপনি যতক্ষণ টিভিতে চোখ লাগিয়ে বসে থাকেন সেই ক্ষণগুলো এরা লাখ টাকার বিনিময়ে কর্পোরেট জগতের কাছে বিক্রি করে দেয়। মানুষকে একদা শিকলে বেঁধে বিক্রি করা হত, আজ মানসিক দাসত্বের যুগে সে নিজেই নিজেকে নিলামে তোলে!
-- মনপবন


###
অভাবীদের জন্য ভেবে, তাদের জন্য কিছু করে আত্মতৃপ্তি লাভ করার কিছু নেই। বরং কৃতজ্ঞ হওয়া উচিত সেই সত্ত্বার প্রতি যিনি এই শহরের আর কোটি কোটি মানুষদের মত আপনাকে একটি মানবদেহে বন্দী রোবট হওয়া থেকে রক্ষা করেছেন।
-- মনপবন


###
 মানুষকে খুশি করতে আপনি যতই ভাল কাজ করুন মানুষ একদিন ভুলে যাবে। আপনি যতই ভাল কথা বলুন মানুষ আপনাকে ভুল বুঝবে। আপনি আল্লাহকে খুশী করতে অল্প ভাল কাজ করুন, আল্লাহ আপনাকে ভুলেও যাবেননা, ভুলও বুঝবেননা।
-- মনপবন

জন্মোৎসব কখনো আমাকে আনন্দিত করতে পারেনি

জন্মোৎসব কখনো আমাকে আনন্দিত করতে পারেনি।আমার প্রতিটা জন্মদিনে আমি হিসেব করেছি,গড় আয়ু যদি ৫৭ হয় তাহলে আমার হাতে আর হয়ত ৩০-৩২ বছর সময় আছে (যদি স্বাভাবিক মৃত্যু ঘটে) ।

প্রতিটা জন্মদিনে আমার মনে হয়েছে আমার সময় শেষ হয়ে আসছে,আমি বৃদ্ধ হয়ে যাচ্ছি,চুল পেকে যাচ্ছে,আমি হয়ত বিছানায় পড়ে যাব,এক গ্লাস পানির জন্যও হাহাকার করতে হবে অন্যের কাছে ।

ঘন বরষায় আগারগাও সিগন্যালে ছোট্ট কোন বাচ্চা মেয়ে ছুটে আসবে না এক গুচ্ছ কদম হাতে,হাসিমুখে বলবে না,ফুল লইবেন? সারাদিন অফিস শেষে বাসায় ফিরে আর দেখতে পাব না আমার মমতাময়ী মা মসলা কম ভালবাসা বেশি দিয়ে আমার জন্য বিরিয়ানি রান্না করে বসে আছেন। তীব্র জোছনার রাতগুলোতে আমার উদ্দেশ্যহীন যাত্রা আর হবে না।আমার এই ক্ষুদ্র জীবনে কিছু অসাধারন মানুষকে আমি কাছে পেয়েছি,তাদের আর দেখা হবে না,তাদের একটু ছুয়ে দেখা হবে না।
তারা থাকবে,থাকবে বিরিয়ানি,থাকবে জোছনা,তীব্র জোছনা,বরষার দিনগুলোও থাকবে,থাকবে কদম ফুল হাতে বাচ্চা মেয়েটিও ,থাকব না শুধু আমি।এর কোন মানে হয় ?

তবে আমি সম্পূর্ণ একা থাকব এটা ভাবাটা কিঞ্চিৎ ভুল হবে।আমার সাথে থাকবে ঘোর অন্ধকারময় একটি মাটির কক্ষ-আর কিছু লাশখেকো পোকা,যারা আমাকে ক্রমাগত কুটকুট করে খাবে,আমার হাত খাবে আমার পা খাবে,আমার চোখ দুটোও খাবে।কি ভয়াবহ ব্যপার !

আমার জন্মদিনের দিনগুলোতে আমি অস্থিরতা অনুভব করতে থাকি ।ভয়াবহ অস্থিরতা।

-- আরমান বিন সোলায়মান

হে আমার বোন - ১

কারো ঘরে ঢুকার জন্য অনুমতি নেবার চর্চাটা খুব কম জায়গাতেই দেখেছি। এমনকি মা কিংবা বোনের ঘরে ঢুকার জন্য অনুমতি নিতে হয়। এসব আদব কায়দা বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে দিন দিন। অন্যদিকে হাবিজাবি সব স্বাধীনতার কথা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। সবাইকে অনুরোধ করবো যে কারো ঘরেই অনুমতি নিয়ে ঢুকার (এমনকি মা, বোনদের ঘরে) এই চর্চাটা শুরু করতে, দেখবেন মা বোনসহ পরিবারের সবার পর্দা রক্ষা করতে এটা অনেক সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
-- শিমু আপু


 “পর্দা-হিজাব করার মাধ্যমে আমি আমার আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসকে প্রদর্শন করি সকলের সামনে- আমার সৌন্দর্যের থেকেও সুন্দর এটা। মানুষ হিসেবে আমার মূল্য নির্ধারিত হবে আল্লাহর সাথে আমার সম্পর্কের মূল্য দিয়ে, আমার সৌন্দর্য দিয়ে নয়।
 সুতরাং যখন তুমি কোন দেহাবয়ব দেখতে পাওনা, যা দেখতে পাও, সেটা হচ্ছি শুধু আমি; যে আল্লাহর একান্ত অনুগত বান্দা”

  – ইয়াসমিন মোজাহেদ

“আমার প্রিয় বোনেরা, তোমাদের অন্তরের আর বাহিরের সমস্ত সৌন্দর্যই অমূল্য। যে তোমাকে বিয়ে করবে, কেবলমাত্র সেই মানুষটি তোমার এই সৌন্দর্য দেখার অধিকার রাখে। কখনো ভুলে যাবে না, সে যদি তোমাকে বিয়ে না করে, তাহলে সে তোমার যোগ্য নয়।”

– ইয়াসমিন মোজাহেদ

আপনি কখনও কখনও ইচ্ছা হলে কিছু কিছু জায়গায় সুবিধামত মাথায় একটা কাপড় পেচিয়ে বলবেন আমি হিজাব করি, আবার যখন কোন পার্টি কিংবা ধুমধারাক্কা আনন্দ ফুর্তিওয়ালা বিয়ের অনুষ্টান অথবা আরো কিছু কিছু জায়গায় ওড়নাটাও ঠিক মত পড়বেন না, এভাবে করে হিজাব নিয়ে ফাজলামি করার দরকার টা কি শুনি? দয়া করে, যদি হিজাব করতেই চান তো সঠিক পন্থায় করুন। সব সময় সব জায়গায়, হোকনা সেটা কোন জাকজমকপূর্ন অনুষ্টান হিজাব টা ঠিক রাখুন।

আশাকরি অনুরোধটা রাখবেন...

-- শিমু আপু