কেমন ছিলেন মুহাম্মাদ (সা) ?

কেমন ছিলেন মুহাম্মাদ ? (সল্লাল্লহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম)

তাঁর জীবনের দিকে তাকালে সবচাইতে বেশি যে বিষয়টা আমাকে আলোড়িত করে, তা এই না যে তিনি শৈশব থেকে আম্রত্যু কোন সুখ উপভোগ করেননি । বরং এই ভেবে আশ্চর্য হই যে, তাঁর জীবনের সবচাইতে সুখের মুহূর্তগুলোর পরেই তাঁকে স্পর্শ করেছে মর্মান্তিক কষ্ট ।

বদরের অভাবনীয় বিজয় যখন মুসলিম শিবিরে ছড়িয়ে দিল আনন্দের শিহরণ; সূরা আল আনফালের আয়াত নাযিল হবার পর, মনে হচ্ছিল, পৃথিবীর আর কোন দুঃখ কিংবা পঙ্কিলতা, তাওহীদের পতাকায় ঐক্যবদ্ধ মুসলিম বাহিনিকে কোনদিন স্পর্শ করতে পারবেনা । তিনি বাড়ি ফিরে দেখলেন, যে অসুস্থ মেয়ে রুকাইয়া আর নেই । বদরের আনন্দ তিনি উপভোগ করতে পারলেন না ।

উহুদে হামজাকে হারালেন । খন্দকের পর যয়নাব বিনতে জাহাশকে বিয়ে করবার জন্য প্রস্তুতি নিতে হল । হারালেন আনসারদের অবিসংবাদিত নেতা, কিংবদন্তি সা'দ বিন মু'আযকে ।

খাইবারের পর দারিদ্র্য ঘুচে গেল এতদিনের । আবিসিনিয়া থেকে প্রায় এক দশক পর ফিরে আসলেন চাচাতো ভাই জা'ফর বিন আবি তলিব । উনি বললেন, "আজ আমি বুঝতে পারছিনা যে কোনটিতে বেশি আনন্দিত হব ? খাইবারের বিজয়ে না জাফরকে ফিরে পেয়ে ।" আনন্দের অতিশায্যে চুমু খেলেন জা'ফরকে । কিন্তু জা'ফরও বেশিদিন বাঁচলেন না আর ।

সবশেষে নিজ মাত্রিভূমিতে ফিরে যাবার অধিকার ফিরে পেলেন । কিন্তু মক্কা বিজয়ের পর তাঁর নিজেরই বিদায় নেবার সময় এসে গেল । মৃত্যুসংবাদ পেলেন, "ফাসাব্বিহ বিহামদি রব্বিকা ওয়াসতাগফিরহু, ইন্নাহূ কানা তাওওয়াবা ।"

মদীনার একটা ঘটনা দিয়ে শেষ করি । সম্ভবত কোন এক দুপুরে শুয়ে ছিলেন তাঁর চিরপরিচিত চাটাইয়ের বিছানায় । তাঁর শরীরে, খেজুরের কিছু অসভ্য চাটাই, গভীর করে দাগ বসিয়ে দিচ্ছিল । এক সাহাবী তাঁর এই কষ্ট আবেগ সংবরণ করতে পারলেন না ।
নিশ্চয়ই রোম আর পারস্যের সম্রাটদের জন্য ছিল এই দুনিয়ার মসনদ । তাঁর জন্য তাঁর প্রতিপালক পুরোটাই তুলে রেখেছেন;
আমরা তাঁর সাথে দেখা হবার আশা রাখি ... ... ...
আমীন । ওয়া আখ্রি দাওয়ানা, আনিলহামদুলিল্লাহি রব্বিল 'আলামীন ।

==> Salman Saeed

বালিকাবধূ শব্দটা শুনলেই চোখ কপালে উঠে যায়

বালিকাবধূ শব্দটা শুনলেই চোখ কপালে, ক্যামেরা চোখে, হাত পত্রিকার কলামে এবং মুখে ফ্যানা উঠে যায়।


বালিকাবন্ধু শুনলে ভালোবাসা, ফাগুন, ফুল, হৃদয়, গোলাপ, 'কাছে আসার গল্প'--- বিবিধ আবেগে প্রচার যন্ত্র সাপ্লুত হয়ে পড়ে।


প্রথমক্ষেত্রে অন্তত দুজন মানুষকে সাক্ষী রেখে মেয়ের দায়িত্ব বাবার কাছ বুঝে নেওয়া হয়। ভালোবাসার ক্ষেত্রে আল্লাহর বিধিটা এমনই। ভালোলাগালাগির সাথে কর্তব্যবোধকে জুড়ে দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় ক্ষেত্রে বিকিকিনির মেলা। ভালোবাসার মত একান্ত অদৃশ্য আন্তরিক ব্যাপারটাকে নানারকম প্রাইস ট্যাগ লাগাতে পেরে শয়তানের খুশির সীমা থাকে না। শয়তানের সাফল্য এখানেই। সারা জীবনের সম্পর্কটাকে এক রাতে আবদ্ধ করাতে। মানবিক প্রেমকে কামজ স্বার্থপরতাতে পরিণত করাতে। আমরা সজ্ঞানে শয়তানের দাবা বোর্ডের গুটি হতে অস্বীকার করলাম। যেই আল্লাহ ছাড়া ইবাদাত পাওয়ার যোগ্য অন্য কোনো সত্তা নেই, আমরা সেই আল্লাহর দিকে মুখ ফেরালাম।

-- Sharif Abu Hayat Opu

স্বামী কেমন করে সংসার চালাবে?

একজন 'আলিমের বক্তব্য শুনছিলাম। পরিবারের ভিতরে পারস্পরিক সম্পর্কগুলো মজবুত রাখতে হবে কীভাবে তা নিয়ে কথা বলছিলেন। এক পর্যায়ে তিনি বললেন, 'ইবাদাহ দিয়ে পরিবারের বন্ধন দৃঢ় হয় না, বন্ধন দৃঢ় হয় আখলাক দিয়ে। এরপর বাখ্যা করলেন বিষয়টা। আমি তাঁর কথাগুলো কাছাকাছি নিজের ভাষায় বলছি-

পরিবারের ভিত্তি হবে 'ইবাদাহ কিন্তু সেই পরিবার সাজাতে হবে আখলাক দিয়ে। ফরয-ওয়াজিব অন্তত আদায় করে এমন কাউকেইতো পছন্দ করতে হবে জীবনসঙ্গী হিসেবে। কিন্তু আদর্শ পরিবার গড়ে তুলতে হলে শুধু সালাত-সিয়াম-তাহাজ্জুদগুজার হওয়াই যথেষ্ট নয়। একারণেই অনেক প্র্যাক্টিসিং মুসলিম পরিবারেও অশান্তি লেগেই থাকে। অথচ সেখানে সালাত-সিয়াম-দারসের কমতি হয়না কখনো। তাহলে সমস্যাটা কোথায়? এই বিষয়ে রাসূল(সা) তাঁর গৃহাভ্যন্তরে কেমন ছিলেন সেদিকে তাকানোই যথেষ্ট।

ঘটনা-১:
একবার ইথিওপিয়া থেকে কিছু লোক এসে মাসজিদ আন নববীতে তরবারি খেলা দেখাচ্ছিল। আয়েশা (রা) রাসূল(সা) কে বললেন তিনি খেলা দেখতে চান। এমন অবস্থায় আমরা হলে কী বলতাম? "হ্যাঁ!! উম্মাহর এই অবস্থা আর তুমি চাও খেলা দেখতে!! ছি! যাও যাও কুরআন পড়...তাফসীর পড়..." অথচ রাসূল(সা) আয়েশাকে নিয়ে গেলেন এবং তাঁকে আড়াল করে সামনে দাঁড়িয়ে গেলেন। আয়েশা (রা) রাসূলুল্লাহর পিছনে দাঁড়িয়ে খেলা দেখতে লাগলেন। এত দীর্ঘ সময় তিনি খেলা দেখলেন যে, রাসূলুল্লাহ (সা) বারবার এক পা থেকে আরেক পায়ে ভর দিয়ে দাঁড়াচ্ছিলেন। তিনি আয়েশা(রা)কে জিজ্ঞেস করলেন যে তাঁর দেখা শেষ হয়েছে কিনা। আয়েশা বললেন তিনি আরো দেখতে চান। কোন আপত্তি না করে রাসূল(সা) সেভাবেই দাঁড়িয়ে থাকলেন। দীর্ঘক্ষণ পর আয়েশা(রা) নিজেই ক্লান্ত হয়ে বললেন যথেষ্ট হয়েছে। এরপর রাসূল(সা) তাঁকে বাসায় নিয়ে আসলেন।

ঘটনা-২:
রাসূল(সা) তাঁর দুই নাতী হাসান আর হোসেনকে নিয়ে ঘোড়া ঘোড়া (আমাদের দেশীয় ভাষায়) খেলছেন। মানে, চার হাত-পায়ে ভর দিয়ে ঘোড়া সেজেছেন আর হাসান-হোসেনকে পিঠে বসিয়ে সারা ঘর চক্কর দিচ্ছেন। এ অবস্থায় এক সাহাবী ঘরে ঢুকে এই দৃশ্য দেখে মজা করে বললেন, "বাহ! সাওয়ারীটাতো খুব সুন্দর।" রাসূল(সা) মজা করে উত্তর দিলেন, "সাওয়ার যারা হয়েছে তারাওতো সুন্দর।" [অথবা এমনটিই বলেছেন, এর কিছু কম বা বেশি]

ঘটনা-৩:
একদিন সালাতের মধ্যে রাসূল (সা) সিজদায় গেছেন এমন অবস্থায় হাসান এসে তাঁর পিঠে উঠে বসল খেলার জন্য। একবার হাসান বসেন, আরেকবার হোসেন। রাসূল(সা) কী করেছিলেন ? যতক্ষণ না তাদের খেলা শেষ হয় ততক্ষণ সিজদাহ থেকে মাথা ওঠাননি। এমনকি তাদেরকে নেমে যাওয়ার জন্য ইঙ্গিতও করেননি। আর এখন মাসজিদে বাচ্চা ছেলেদের সাথে আমরা এবং অনেক হুজুররাও এমন আচরণ করেন যেন বাচ্চাদের কারণে তাদের সালাতটাই নষ্ট হয়ে গেছে। এতে মাসুম বাচ্চাদের মনে দাড়ি-টুপিওয়ালাদের সম্পর্কেই একটা ভীতিকর ধারণা তৈরী হয়। অথচ আমাদের দ্বীন পুরো উল্টোটাই শেখায়।

ঘটনা-৪:
আয়েশা(রা)তখন ছোট। রাসূল(সা) কোন এক সফর থেকে ফিরছিলেন। সাথে ছিলেন আয়েশা। তিনি সাহাবীদেরকে বললেন সামনে এগিয়ে যেতে। তাঁরা চোখের আড়াল হলে রাসূল(সা) আয়েশাকে দৌড় প্রতিযোগীতায় আহ্বান করলেন। আয়েশা জিতে গেলেন সেইবার। এর কয়েকবছর পর একই সিনারিও। আবার রাসূল(সা) আয়েশাকে দৌড় প্রতিযোগীতায় আহ্বান করলেন। এবার রাসূল(সা) জিতে গিয়ে মজা করে বললেন, "এইটা আগেরটার শোধ।" [অথবা এমনটিই বলেছেন]

উপরের ঘটনাগুলোর কোনটাই 'ইবাদাহ-র সাথে জড়িত নয়। ইবাদাহ অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ তবে পরিবারে শান্তি আর আনন্দের জন্যও আমাদের রাসূল(সা) এর দুনিয়াবী আচরণগুলোর দিকে তাকাতে হবে। তিনি কেমন স্বামী ছিলেন, কেমন নানা ছিলেন, কেমন শ্বশুর ছিলেন, কেমন পিতা ছিলেন এগুলো না জেনে সারা দিনরাত শুধু দারস করলেই পরিবারে শান্তি আসবে না। আল্লাহু আ'লাম।

collected from
brother
Kabir Anwar

নারীর চাকুরি নাকি সংসার? এই বিতর্কের অবসান ঘটান

আমার মা একজন গৃহিণী। আমার ২১ বছরের জীবনে খুব কমই তাঁকে বিশ্রামরত অবস্থায় দেখেছি। সেই ভোরবেলা থেকে তাঁর সংগ্রাম শুরু হয়, যা গভীররাতে গিয়ে থামে। আমাদের চার ভাইবোনকে বলতে গেলে তিনি একা হাতে মানুষ করেছেন। বাবা অফিস করতেন, আর বাসায় বিশ্রাম করতেন। ছেলেমেয়ের পড়াশোনা এবং অন্যান্য বিষয়াদি সম্পর্কে তিনি খুব বেশি ওয়াকিবহাল ছিলেন না। এ ব্যাপারে বলতে গেলে পুরো দায়িত্বই ছিল মায়ের উপর। আমি জোর গলায় বলতে পারি সন্তানদের প্রতি তিনি যতটা কেয়ার নিয়েছেন এবং সময় দিয়েছেন খুব কম মা ই এতটা শ্রম দিতে পারেন।

প্রায় সারাটা জীবন তিনি সংসারের পেছনে এতটা শ্রম দেওয়ার পরও রোকেয়া প্রাচীদের ভাষায় তিনি কোন কাজ করেননি, 'ঘরে বসে ছিলেন'। কেন? কারণ তাঁর শ্রমের বিনিময়রূপ তিনি কোন অর্থ পান নি। কর্পোরেট দুনিয়া আমাদের আজ শেখায়, সেটাই হল "কাজ" যার দ্বারা অর্থ উপার্জন করা যাবে। কাজেই নারীদের "ঘরে বসে থাকা" দূর করতে তারা শেখালো পুরুষের মত মেয়েরাও বাইরে কাজ না করলে তাদের মর্যাদা নেই। তাই আমার মা'র সারাজীবনের পরিশ্রম এদের কাছে মূল্যহীন, কিন্তু যে নারীরা পণ্যের মডেল হয়ে দুটো টাকার বিনিময়ে শরীর দেখায়, তারা "কর্মজীবী" নারী !! একজন নারী নিজ সংসারের দায়িত্ব পালন করলে সেটা 'শ্রম' না, কিন্তু অন্যের বাড়িতে ক'টা টাকার বিনিময়ে কাজ করে বাড়ির মালিকের গালি শুনলে সেটা হয় "শ্রম" !!

সমাজের ভারসাম্য সেইদিন নষ্ট হয়েছে, যেদিন মেয়েদের মাথায় ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে যে পুরুষের সঙ্গে তার সম্পর্ক সহযোগিতার নয়, প্রতিযোগিতার। মেয়েদের শেখানো হল তাদের "পুরুষ" হওয়ার চেষ্টা করতে হবে, নইলে কোন দাম নেই। নারীর সম্মান "নারীত্বে" নয়, "পুরুষত্বে", পুরুষের অনুকরণ করার মধ্যেই নারীর সম্মান। পুরুষের সাথে প্রতিযোগিতা না করলে নাকি সমাজে টেকা যাবে না। সেই প্রতিযোগিতার নাম দিয়ে মেয়েদের রাস্তায় নামিয়ে পণ্য বানানো হল। বিজ্ঞাপনের মডেল বানিয়ে ভোগের বিপনন হল। পুরুষের শেভিং ক্রিমের বিজ্ঞাপনে অপ্রাসঙ্গিকভাবে স্বল্পবসনা নারীর উপস্থিতি কীভাবে নারীর সম্মান বৃদ্ধি করে, আমার মাথায় ঢুকে না। তীব্র শীতের মধ্যেও পুরুষের চোখে কমনীয় হতে কাপড় না খুললে নারীরা যেখানে দাম পায় না, সেই পাশ্চাত্য সমাজ যখন মেয়েদের অধিকার আর মর্যাদার মাপকাঠি নির্ধারণ করে দেয়, তখন এমনটা হওয়াই স্বাভাবিক। মুখে 'আত্মনির্ভরশীলতার' বুলি ফুটিয়ে পুরুষের "কামনা পূরণের ম্যাটেরিয়াল" হিসেবে ধরিয়ে দিয়ে এরা নিজেদের ব্যবসার মূলধন যোগাড়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে।

ইসলাম নারীদের মর্যাদা নির্ধারণ করেছে স্ত্রীত্বে, মাতৃত্বে; পুরুষের অনুকরণ করার মধ্যে নয়। ইসলামে নারী ও পুরুষ পরস্পরের পরিপূরক, প্রতিযোগী নয়। একে অন্যের উপর নির্ভরশীল। দুজনের ক্ষেত্র পৃথক, সম্মানের মানদণ্ডটাও পৃথক। সমানাধিকারের নামে নারী-পুরুষ উভয়কে অপমান করার প্রথার এখানে জায়গা নেই।

ইসলাম নারীদের হিজাব পালন করে হালাল রুজি অনুসন্ধানে বাধা দেয় না। কিন্তু ইসলাম নারীবাদীদের মত কখনোই বলে না, বাইরে কাজ করার মধ্যেই মেয়েদের সম্মান নিহিত। ইসলামে সর্বোচ্চ সম্মানিত চারজন নারীর কেউই ব্যবসা বা আউটডোর ওয়ার্কের জন্য এ মর্যাদা পান নি, বরং একজন মা হিসেবে, স্ত্রী হিসেবে বা কন্যা হিসেবে পূর্ণরূপে দায়িত্ব পালনেই এ সম্মানের অধিকারিণী হয়েছেন।

সমাজে পুরুষ আর নারীর রোলের তুলনাটা Nazmus Sakib ভাই চমৎকারভাবে তুলে ধরেছেন ফুটবল দলের মাধ্যমে। একটা ফুটবল দলে গোলকিপার, ডিফেন্ডার, স্ট্রাইকার সবাই থাকে এবং সবার আলাদা আলাদা দায়িত্ব আছে। এখন আপনি বলতে পারবেন না কার কাজটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ, আর কারটা কম। এখন আপনি গোলকিপারকে স্ট্রাইকারের জায়গায় বসিয়ে স্ট্রাইকারকে গোলকিপিং করতে দিয়ে কি জেতার আশা করতে পারেন? কিংবা স্ট্রাইকার যদি বলে-"আমাকে গোলকিপিং করতে না দিয়ে আমার অধিকার ক্ষুণ্ণ করা হয়েছে" তাহলে কি যুক্তসংগত দাবি হবে? তেমনি নারী-পুরুষের স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য থাকা সত্ত্বেও তাদের সকল দিক থেকে "সমান" বানানোর প্রচেষ্টা কি সমর্থনযোগ্য? এতে কি উভয়কেই অসম্মান করা হচ্ছে না?

একজন মা তার সন্তানকে একজন আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার মাধ্যমে আল্লাহ্‌র কাছে যে সম্মানের অধিকারিণী হন, বাইরে চাকরি করে কস্মিনকালেও সেটা পাবেন না। আবার বাইরে কাজে বেশি সময় দেওয়ায় যদি সন্তান তার হক্ব থেকে বঞ্চিত হয়, তবে তাকে জবাবদিহি করতে হবে আল্লাহ্‌র দরবারে। বাইরে কাজ করতে নিষেধ নেই বটে, কিন্তু সেটার প্রতিই বেশি জোর দেওয়ায় যে আমাদের সমাজের কত নারী নিজ পরিবারের প্রতি দায়িত্বে অবহেলা করে গুনাহগার হচ্ছেন, তা আমরা হিসাব করে দেখছি কি?

অনেকে আপত্তি জানিয়ে বলবেন, কিন্তু এমন অনেক ক্ষেত্র আছে, যেখানে মেয়েদের কাজ করা আবশ্যক। যেমন গাইনির ডাক্তার, নার্স, শিক্ষকতা ইত্যাদি।

কথাটা অবশ্যই সত্য এবং আমি তা বিশ্বাসও করি। আমি এক্ষেত্রেও ফুটবলের উদাহরণটা টানব। একজন ডিফেন্ডারের প্রধান কাজ গোল বাঁচানো এবং স্ট্রাইকারের কাজ গোল দেওয়া, তার মানে কি এমন যে স্ট্রাইকার গোল সেভ করতে বা ডিফেন্ডার গোল দিতে পারবেন না? বরং অনেকসময় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় যে এটাই আবশ্যক হয়ে পড়ে। যেমন একজন ডিফেন্ডার যদি প্রতিপক্ষের গোলমুখে বল পেয়ে যান, তখন কি তিনি স্ট্রাইকারকে বল দেওয়ার অপেক্ষা করবেন? তাহলে তো গোল মিস হয়ে যাবে। আবার একজন স্ট্রাইকার যদি নিজের দলের ডি বক্সে থাকেন আর তখন প্রতিপক্ষ আক্রমণ করে, তিনি কি সেভ করার চেষ্টা করবেন না? বরং সেটা না করলেই বিপদ। কিংবদন্তি ডিফেন্ডার রবার্তো কার্লোস বেশকিছু গোল করেছেন আবার মেসিও অনেক সেভ করেছে। তারমানে কিন্তু এই না যে আমরা কার্লোসকে গোল করা বা মেসিকে গোল সেভের জন্য মনে রাখব।

তেমনি অনেক পেশায় নারীদের অংশগ্রহণ আবশ্যক বটে, কিন্তু তার মানে এই না যে ঐসকল পেশাই নারীদের প্রকৃত মর্যাদার জায়গা। আসলে সেক্যুলার সমাজ পরিবারের প্রতি নারীদের পবিত্র দায়িত্ব পালনকে কোন কাজ হিসেবে গণ্য করে না, নারীরা যেন তাদের কথামত চলে এই আশায়। নারীদেরকে পুরুষের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে উপস্থাপন করে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করে নিচ্ছে, আর আমরাও নিজেদের বিবেক-বুদ্ধিকে কাফিরদের কাছে বন্ধক রেখে মেয়েদের সম্মান দেওয়ার নামে নারী-ব্যবসায়ীদের হাতের পুতুল করে ছেড়ে দিচ্ছি।

আল্লাহ্‌ আমাদের মাফ করুন এবং নিজ নিজ সম্মানের প্রকৃত ক্ষেত্র উপলব্ধির সামর্থ্য দান করুন

collected from
brother
Jubaer Hossain

আমাদের সময়ের সাপেক্ষে 'তাওবাহ' এর ক্ষেত্রে কিছু নসিহা

বনি ইসরাইলের ১০০জন হত্যাকারী ব্যক্তির তাওবাহ এবং সেই আলোকে আমাদের সময়ের সাপেক্ষে 'তাওবাহ' এর ক্ষেত্রে কিছু নসিহাঃ

বনি ইসরাইলের একজন লোক ছিল যে ৯৯ টি মানুষকে হত্যা করেছিল। সে তওবা করার চিন্তাভাবনা করছিল। তাই সে একজন আবিদের কাছে গেল। [আবিদ ও আলেম এর মধ্যে পার্থক্য আছে]

সেই লোকটি এই আবিদকে বলল, "আমি ৯৯ টা মানুষকে হত্যা করেছি। আল্লাহ কি আমাকে ক্ষমা করবেন?"

আবিদ যখন এটা শুনলেন তখন বললেন যে, "তুমি ৯৯ টা লোককে খুন করেছ! আল্লাহ সুবহানাহুওয়া তা'য়ালা কিছুতেই তোমাকে ক্ষমা করবেন না‍!।" এই কথা শুনে সেই লোকটা উক্ত আবিদ ব্যক্তিকে খুন করে ফেলল! এরপরও সে তওবা করার জন্য উঠেপড়ে লাগলো। তার অন্তরের ভিতর কিছু অংশ হলেও ভাল ছিল। সুতরাং এ সময়ে সে খোঁজ করলো যে কাকে জিজ্ঞাসা করা যায়, সে জানতে পারলো এক আলেম এর কথা। সে সেই আলেমের কাছে গেল এবং বললো, "আমি ১০০ টা মানুষকে হত্যা করেছি। আল্লাহ কি আমাকে ক্ষমা করবেন?"

উক্ত আলেম তাকে বললেন, "হ্যাঁ, তোমার আশা আছে! তুমি যদি তওবা কর তাহলে আল্লাহ তা গ্রহণ করবেন যদিওবা তুমি ১০০ টি লোককে হত্যা করেছ। যদি আল্লাহ তোমার জন্য তওবার দরজা খুলে রাখেন তবে কে তোমাকে তা থেকে প্রতিরোধ করবে?"

কিন্তু আলেমের ফতোয়া এখানেই শেষ হয় নি।তিনি আরও বলেন, "তোমাকে এই শহর ছেড়ে অন্য জায়গায় চলে যেতে হবে। এইটা হল খারাপ একটা শহর, আমি চাই যে তুমি এই শহর ছেড়ে অন্য শহরে যাও যেখানে এমন সব লোকেরা রয়েছে যারা আল্লাহর ইবাদত করে ফলে তুমি তাদের সাথে ইবাদত করতে পারবে।"

হাদীসটি আরোও দীর্ঘ। আমি মূলত ফোকাস করতে চাচ্ছি উক্ত আলিমের ফাতাওয়ার দিকে। উনি বলেছিলেন- 'তুমি এই শহর ছেড়ে অন্য শহরে চলে যাও'

আমার মূল ফোকাসটা এখানেই। ইসলামের প্রতি আগ্রহী হবার পর একজন মুসলিম সর্বপ্রথম ভাবতে থাকে, সে কিভাবে পাপ কাজ থেকে বিরত থাকতে পারে। কটু হলেও সত্য আমাদের অনেক পাপই সমাজ, পরিবেশ ও বন্ধুদের সাথে সম্পর্কিত। একজন চাইলেও সে তার চিরচেনা পরিবেশের বিরুদ্ধে যেতে পারে না। অন্তঃত প্রথম দিকে তার মধ্যে সেই পরিমাণ ঈমানী শক্তি থাকে না।

তাওবাহ করতে চান? প্রথমেই আপনার বন্ধুজগত থেকে দূরে সরে যান। নিয়মিত নামায পড়ুন। সম্ভব হলে নিজের ঘর পরিবর্তন করুন। রুমের কনফিগারেশন চেঞ্জ করুন। ইস্তেগফার পড়ুন। ইসলামি বই নিয়মিত পড়ুন। যাই-ই পড়বেন সেটা বোঝার ও নিজের জীবনে আপ্লাই করার চেষ্টা করুন। সুন্নাহ এর প্রতি নজর দিন। প্রথম দিকে বেশ কষ্ট হবে। অনেকে ব্যংগ করবে। একসময় সব সহনীয় পর্যায়ে চলে আসবে। কিছুদিনের জন্য বন্ধুহারা হয়ে পড়তে পারেন, তবে আল্লাহ ভবিষ্যতে আপনাকে আরোও উত্তম বন্ধুত্ব দান করবেন ইন-শা-আল্লাহ।

রাগকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করুন। নিজের পাপের কথা চিন্তা করে লজ্জিত হোন। আল্লাহ'র কাছে ক্ষমা চান। এক্সট্রা নামায পড়ুন (নফল) এবং নামায দীর্ঘ করুন (অন্তঃত সিজদাহ)। গলার স্বর নিচু রাখুন। নম্রতা ও বিনয়ের পথে ধাবিত হোন। অশ্লীল শব্দ ব্যবহার এবং অন্যকে কথার দ্বারা আঘাত করা থেকে বিরত থাকুন। পরিবারের সাথে সময় কাটান, পারিবারিক সম্পর্কের উন্নতি ঘটান, ছোট ভাই-বোনের সাথে মজা করুন, বাবা-মা'র ত্যাগের কথা চিন্তা করুন। মৃত্যুকে স্মরণ করুন। এমনভাবে বাচুন যেন আজই আপনার শেষ দিন।

[নিজের এক্সপেরিয়েন্স থেকে কিছু নাসিহা। একজন ভাইও উপকৃত হলে সেটাই হবে লিখাটির সার্থকতা]

Written by: Muhammad Makamam Mahmud

তারা হয় কখনো পুরুষদের বুঝার চেষ্টা করেনি কিংবা জীবনে সত্যিকার পুরুষের কখনো দেখা পায় নি

আমি দেখেছি সেই বৃদ্ধ লোকটাকে যে তার জ্ঞানহীন স্ত্রীকে হাসপাতালে নিয়ে এসেছে তড়িঘড়ি করে... পরীক্ষা করে যখন জানালাম উনি আর বেঁচে নাই, সেই বৃদ্ধ লোকটির বুক চাপড়িয়ে হু হু করে কান্না এখনো কানে বাজছে...

আমি দেখেছি সেই লোকটাকে যে তার স্ত্রীকে মোটরসাইকেলে করে নিয়ে যাওয়ার সময় ঝাঁকুনি লেগে স্ত্রী পড়ে যায়... হাসপাতালে আনার পর দেখা যায় তিনি মৃত। এরপর লোকটি পুরো দুই দিন বাকরুদ্ধ হয়ে ছিল...

আমি দেখেছি সেই খেটেখাওয়া লোকটাকে... নিজে দুপুরে না খেয়ে সারাদিনের উপার্জনের টাকা দিয়ে তার স্ত্রীর জন্য কেনাকাটা করতে...

আমি দেখেছি সেই ছেলেটাকে যে তার তরুণী স্ত্রীকে হাসপাতালে তড়িঘড়ি করে নিয়ে এসেছে শুধুমাত্র কুকুর তার পায়ে একটু শুঁকেছে বলে...

আমি দেখেছি সেই অসুস্থ লোকটাকে... টাকার অভাবে নিজের ওষুধ না কিনে শুধু স্ত্রীর জন্য ওষুধ কিনতে...

আমি দেখেছি সেই দিন মজুরকে যাকে একবার এক প্যাকেট বিস্কুট দিয়েছিলাম খেতে... সে তার ব্যাগে ঢুকিয়ে হাসিমুখে বলে, আমার বউ-ছেলে খাবে এটা।

এরাই সত্যিকার পুরুষ... আর পৃথিবীর বেশিরভাগ পুরুষই এমন।

এরপরেও যারা বলে "পুরুষ জাতই খারাপ", তারা হয় কখনো পুরুষদের বুঝার চেষ্টা করেনি কিংবা জীবনে সত্যিকার পুরুষের কখনো দেখা পায় নি। তারা যাদের দেখেছে তারা ছিল কাপুরুষ..

-- Dr Taraki Hasan Mehedi

পর্ন দেখা যে খারাপ তা পাড় পর্ন আসক্তও স্বীকার করে

পর্ন দেখা যে খারাপ তা পাড় পর্ন আসক্তও স্বীকার করে। সেজন্য সেও সেটা দেখে লুকিয়ে লুকিয়ে, পরিবারের দশজনকে সামনে বসিয়ে দেখে না। আর মা-বোনেরা, ক্ষেত্রবিশেষে বাবারাও জি বাংলায় যে উলুধ্বনি শোনেন আর মূর্তিপূজা দেখেন, সেটা হয় টিভিরুমে পায়ের ওপর পা তুলে রসিয়ে রসিয়ে। পরিবারের সবাইকে নিয়ে যেন আল্লাহ্‌র সাথে ব্লাসফেমি উপভোগ করা হয়।

পর্নমুভিতে যা পাপ করা হয় তার চেয়ে শির্ক যে বেশি ভয়াবহ তা কি আমরা বুঝি? মা-বোনদের এটা বুঝিয়ে বলি?

মেয়ে বয়ফ্রেন্ডের সাথে হোটেলে রাত কাটিয়েছে জানতে পারলে রাগ করে সেই মেয়েকে বাসা থেকে বের হয়ে যেতে বলবে, এমন বাবার সংখ্যা সমাজে নেহাত কম নেই। তাদের অনেকেই হয়তো দাড়িওয়ালা; মাসজিদের সামনের কাতারে সালাত আদায় করেন। এই বাবাই হয়তো ব্যাঙ্কের সুদ খাচ্ছে। একটাকা সুদ খাওয়া ছত্রিশবার জেনার চাইতে বেশি পাপ। বাপ কি বোঝে সে মেয়ের চেয়ে কত বড় অপরাধী?

শয়তান আমাদের পাপের অনুভূতি ভোঁতা করে দেয় এভাবেই। কোনটা বড় পাপ, এসব ভুলিয়ে রাখে। সুদের সর্বনিম্নস্তরের পাপ মায়ের সাথে জেনার তুল্য। আর শির্কের উল্লেখে আল্লাহ্‌ বলেছেন যেন আকাশ ফেটে পড়তে চায়, জমিন বিদীর্ণ হয়ে যেতে চায়, পাহাড় চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যেতে চায়।

মূর্তিপূজা উপভোগকারী আর ব্যাঙ্কের সুদ নেওয়া মা-বাবারা সন্তানকে কী নৈতিকতা শেখাবেন? সমাজের অধঃপতনে আক্ষেপ করার আগে মা-বাবারা যেন এগুলো ভাবেন।

Collected From
Brother
Jubaer Hossain

Anal sex or sodomy : আপনার ছেলে সন্তানটির নিরাপত্তা

গতকাল ফরেনসিক মেডিসিন ডিপার্টমেন্ট এ গিয়ে এক অদ্ভুত অভিজ্ঞতা অর্জন করলাম । কফিল স্যারের অধীনে আসা একটি কেস দেখে মনে হলো সবার সচেতনতার জন্য শেয়ার করা উচিত্‍ তাই শেয়ার করলাম ।

দিনাজপুরের একটি ঘটনা । মনির নামের একটি ছেলে পার্শ্ববর্তী একজন প্রভাবশালী লোকের দ্বারা বিকৃত যৌনতার শিকার হয় । মনিরের চিত্‍কার চেঁচামেচীতে পাশের মাঠে খেলাধুলারত কিছু ছেলে তাকে উদ্ধার করে । দিনাজপুর মেডিকেলের ফরেনসিক ডিপার্টমেন্ট কোন SODOMY হয় নাই বলে রিপোর্ট করে রিপোর্ট সন্দেহজনক হওয়ার তাকে রংপুর মেডিকেলে রেফার্ড করা হয় । কিন্তু বিভিন্ন জটিলতায় রংপুরে আসতে ৫ দিন দেরী হয় । তাই তার ফরেনসিক ইনভেস্টিগেশন করে শিওর কোন সাইন সিমটম পাওয়া না গেলেও ANAL CANAL এর চারিদিকে এব্রাশন দেখে কিছুদিন আগে যে বিকৃত যৌনতার শিকার হয়েছিল বুঝা যায় ।

পরীক্ষা শেষে ভাবলাম মনিরের সাথে কথা বলব । তাই তাকে কিছু কথা জিজ্ঞাসা করতে গিয়ে দেখলাম সে আমাকে ভয় করছে এমনকি আমাকে দেখে ভয়ে কাঁপছে । বুঝলাম সে ফোবিয়াতে ভুগছে কাউকেই বিশ্বাস করতে পারতেছে না ।

তারপর স্যার যা বললেন তা ভয়ানক ব্যাপার । আমাদের বাড়িতে অনেক সময় আত্মীয় স্বজন বেড়াতে আসলে তাকে সাধারনত ছোট ছেলের বা ভাইয়ের রূমে থাকতে দেই । মেয়েদের নিরাপত্তার ব্যাপারে অনেক চিন্তিত হলেও ছেলেদের নিয়ে আমরা কোন চিন্তা করিনা । কিন্তু আমাদের বুঝা উচিত্‍ সমাজ দ্রুত চেন্জ হয়ে যাচ্ছে মানুষ এখন রেডিওতে খবর গান শোনেনা অনেকই ইন্টার্নেট এ ছোট ছেলে বা মেয়েদের সাথে যুবা পুরুষদের পর্ণো দেখে অভ্যস্থ তাই আপনার ছোট ছেলে বা মেয়েটির সাথে থাকা আপনার বন্ধু বা আত্মীয়ের মনে পশুত্ব জেগে ওঠা খুব স্বাভাবিক । যদিও মেনে নিতে কষ্ট হয় তবুও এটা আপনাকে মেনে নিতেই হবে কারণ এধরণের অনেক ঘটনাই আমাদের পেডিয়াট্রিক ডাক্তারদের কাছে আসে ।

এই যে এত কম বয়সে আপনার ছেলে বা ভাই পূথিবীর একটি নিষ্ঠুর রূপের মুখোমুখি হলো এর ফল হবে খুবই মারাত্মক । সব মানুষকেই সে ভয় করতে শুরু করবে মনে করবে সবাই নিষ্ঠুর তারপর আপনার চোখের সামনেই সে হারিয়ে যেতে থাকবে ধীরে ধীরে । কখনোও যদি OVERCOME করতে পারে তবে সে হয়ে উঠতে পারে হিংস্র বখাটে একটি ছেলে এমনকি কাউকেই খুন করতে দ্বিধা করবে না আপনার সেই আদরের ছোট ভাই বা ছেলেটি ।

তাই সময় এসেছে সচেতন হওয়ার আপনার মেয়েটিকে নিয়ে যতটা ভাবেন ঠিক ততটাই ভাবুন আপনার পরিবারকে মাতিয়ে রাখা ছোট ছেলেটির নিরাপত্তা সম্পর্কে

Written by
Dr Mobashwer Ahmed Noman