প্রেম করে বিয়ে করা দম্পতির স্বামী বা স্ত্রীকে মাঝে প্রায়ই অভিযোগ করতে শোনা যায়

প্রেম করে বিয়ে করা দম্পতির স্বামী বা স্ত্রীকে মাঝে প্রায়ই অভিযোগ করতে শোনা যায়, বিয়ের আগে অপরজনকে একরকম দেখেছে, এখন দেখছে আরেকরকম। বিয়ের আগে সে কত ভালো ছিল, অথচ বিয়ের পরই যেন তার আচরণ বদলে গেছে!

আসলে কী হয়েছে জানেন? বিয়ের আগে যখন তারা হারাম সম্পর্কে লিপ্ত ছিল তখন শয়তান সুযোগটা নিয়েছে। সে তাদেরকে একে অপরের জন্য আকর্ষণীয় করে তুলেছে। এরপর যখন বিয়ে হল তখন শয়তান সরে গেল আর তারা দুজনের প্রকৃত রূপ উন্মোচিত হয়ে গেল। এবারে শয়তান আবার এল এবং এখন পরস্পরের মধ্যে বৈরীভাব সৃষ্টি করে তাদের বিচ্ছেদ ঘটানোর চেষ্টা করতে লাগল।

মানুষ হারাম সম্পর্কের মাধ্যমে সুখ খোঁজার চেষ্টা করে। এটা কত বড় নির্বুদ্ধিতা যে, সুখ দেওয়ার যিনি মালিক, তাঁকে অসন্তুষ্ট করে আমরা সুখী হবার চেষ্টা করি!!

--- মুফতী ইসমাঈল ইবন মূসা মেঙ্ক

সহজ সরল মনের লাল শাড়ি পড়া নববধূরা আজ এতটা কঠিন মনের কি করে হয়ে গেল?

সহজ সরল মনের লাল শাড়ি পড়া নববধূরা আজ এতটা কঠিন মনের কি করে হয়ে গেল?

স্বামী স্ত্রীর সম্পর্কতো জান্নাতি সম্পর্ক,এই কথাটি কত জন স্বামী বুঝতে পারে?যেখানে ঘৃণা,লোভ,চাওয়া পাওয়ার হিসাব করাটা বোকামি ছাড়া কিছুই না।

আর একটি মেয়ে সেতো কত আশা কত স্বপ্ন নিয়ে বিয়ের দিন মেহেদি দিয়ে হাত রঙিন করে,বিয়ের সাজে সজ্জিত হয় বুকের মাঝে এক বুক আশা নিয়ে স্বামীর সাথে জীবন সাজাবে বলে।

বাসরঘরে সে অপেক্ষা করে কখন তার প্রাণ প্রিয় স্বামী তার জীবনের সকল দায়িত্ব গুলো বুঝে নিবে।

দুজনের গভীর ভালবাসার বন্ধনকে আরো মজবুত করে তুলতে কোল জুড়ে আসে ফুটফুটে সন্তান।কত স্বপ্ন আর আশা নিয়ে থাকে একজন বধূ,বাবা মায়ের ভালবাসা দিয়ে তার সন্তানটিকে বড় করে তুলবে।পিতৃত্বেরস্নেহে তার সন্তানটি মানুষের মত মানুষ হবে।আদর্শ সন্তান হবে।

একজন নারী তার স্বামীর সহযোগীতা ও ভালবাসা ছাড়া এত বড় দায়িত্ব,সন্তান প্রতিপালন কিভাবে করবে?

কারণ একটি মেয়ে তারতো ইতিপূর্বে কোন অভিজ্ঞতা থাকেনা সংসার,সন্তান লালন পালন নিঁখুত ভাবে আন্জাম দেওয়ার।সেখানে যদি একজন স্বামী তার স্ত্রীকে সাহায্য করে তখন তার জন্য কত সহজ হয় সকল দায়িত্ব ও কর্তব্যকে সুন্দর ভাবে পালন করার।

কিন্তু কতজন স্বামী সাংসারিক কাজে,সংসার লালন পালনের কাজে ভালবাসার আড়াল দিয়ে স্ত্রীর দিকে সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দেয়?

একজন নারী সারাদিন সংসারের কাজ কর্ম নিয়ে ব্যস্ত থাকে।সন্তানকে কষ্ট করে লালন পালন করে,তারপরেও একটু ভুল হলেই বকা শুনতে হয়,গালি শুনতে হয়,তখন স্ত্রীর মনে অনেক কষ্ট লাগে ,যা স্বামীরা মূল্য ই দেয়না।

মনের অজান্তেই সেই স্ত্রীর চোখ বেয়ে অশ্রু ঝড়ে পড়ে।

স্ত্রীর সাথে বন্ধুর মত আচরণ করা উচিত্।তাকে বুঝতে দেওয়া দরকার তুমি আমার বন্ধু।তোমার শত ভুল হোক তবুও তুমি আমার,আমার ভালবাসা,আমার স্ত্রী।

বাহিরে বন্ধুদের সাথে যে ভালো ব্যবহারটুকু করা হয়,যে সময়টুকু কাটানো হয় হাসি খুশীতে,তার থেকে একটু ভালো ব্যবহার কি স্ত্রীর সাথে করা যায়না? স্ত্রী কি বন্ধু বান্ধবের চেয়ে অতি মূল্যবান না?

যে স্ত্রী স্বারা দিন প্রচেষ্টা চালিয়ে যান তার স্বামীকে সন্তুষ্ট করার,বন্ধু বান্ধবের চেয়ে সময় কাটানোর চেয়ে মূল্যবান একটু সময় কি হাসিমুখে স্ত্রীর সাথে কাটানো যায়না?

একজন স্ত্রী চান তার স্বামী হোক আদর্শবান ও দায়িত্বশীল।যিনিকখনো কঠোর হবেন,কখনো দয়ালু হবেন,আবার কখনো হবেন অনেক ভালবাসার কেউ।স্ত্রী চায় তার স্বামী হবে রাসূল সাঃ এর আদর্শে আদর্শিত একজন সুপুরুষ।এতটুকু চাওয়া কি খুব বেশি কিছু?

স্বামী যদি উত্তম আদর্শে আদর্শিত না হয় তাহলে কি করে সে সন্তানকে শিখাবে কি করে উত্তম আদর্শের হওয়া যায়?

একজন নেককার সন্তানের জন্য রাসূল সাঃ এর আদর্শে জীবন সাজানো স্বামীর কাছে স্ত্রীর এই দাবিটুকু করা কি অন্যায়?

যদি এতটুকু দাবি মেনে নেওয়া না যায় তাহলে দুজনে মিলে জান্নাতের পথে পাড়ি দেওয়া কি করে সম্ভব?

আল্লাহ সারা জাহানের সকল মুসলিম পরিবারকে রাসূল সাঃ এর দেখানো সুন্নতি পথ অনুযায়ী চলে,সকল দাম্পত্ব পরিবারকে সুখি করুন।আমীন।

--- মাবরুরার আম্মু

যে মেয়েটিকে আশা করছেন তার জন্য নিজেকে পিউর করেছেন কি?

আমার এক বন্ধু একবার ঢাকায় আসলো। আমার হলে এসে আমার সাথে দেখা করল। জানালো তার এক আত্মীয় ঢাকা ভার্সিটির টিচার। আমাদের হলের পাশে টিচার্স কোয়ার্টারে থাকে। এই সেই কথা বলতে বলতে বলল, তার ঐ আত্মীয়ের নাকি একটা মেয়ে আছে খুব ভালো। বেশ ইসলামী মাইন্ডের, পর্দা করে। তার নাকি ওকে বিয়ে করার ইচ্ছে।

মেয়ে পর্দা করে, ইসলামী মাইন্ডের, মেয়ে এই, মেয়ে সেই...... জিজ্ঞেস করলাম, what about you??আজ নামাজ পরেছিস? না!

তুই তো জীবনটাই কাটিয়ে দিলি মেয়েদের পেছনে ঘুরে ঘুরে! এখন ফোন চেক করলে গোটা পঞ্চাশেক মেয়ের ফোন নাম্বার পাওয়াযাবে। ইসলাম তো প্র্যাকটিস করিস না!

আমি তো জানি তুই কেমন।
আর সেই তুই বিয়ের জন্য খুঁজছিস একটি সতী, ভালো, পর্দাশীল, ইসলামী মাইন্ডের মেয়ে......

রাস্তার ফকির থেকে কোট টাই এর সাহেব সবারই চানাচুরের প্লেট থেকে বাদাম খাওয়ার স্বভাব। সবাই নিজের জন্য ভালো, উত্তম বিষয়টা চায়।
কিন্তু একটিবারও চিন্তা করেনা সে ওটা deserve করে কিনা!

সারাজীবন মেয়েদের পেছনে ঘুরে ঘুরে, গার্লফ্রেন্ডের পর গার্লফ্রেন্ড মেইনটেইন করে, অন্ধকার ঝোপ ঝাড়ের যাবতীয় সুযোগ কাজে লাগিয়ে, নিজের ক্যারেক্টার ঠিক না রেখে বিয়ে করার সময় ঠিকই খুজবে ভদ্র, নম্র, পর্দাশীল, নামাজ দোয়া পড়া, কোনদিন ছেলেদের সাথে মিশেইনি এমন সৎ মেয়ে!!

যোগ্যটা বিষয়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ এজন্যই যে এটা অর্জন করতে হয়! প্রেম প্রেম খেলা করে বেড়ানোর জন্য হাতের কাছে যা পাওয়া যায় সেটাই কাজে লাগাতে পারে কিন্তু বিয়ে করতে গেলে পিউর জিনিস লাগবে??

যে মেয়েটিকে আশা করছেন তার জন্য নিজেকে পিউর করেছেন কি?? ভালো মানুষসাজতে ১২ টাকা লাগে। ৭ টাকার আতর, পাঁচ টাকার টুপি।

কিন্তু সত্যিকারের ভালো মানুষ হতে এক টাকাও লাগেনা। মনের পরিশিদ্ধি, চিন্তার পবিত্রতা, আল্লাহ্‌র প্রতি সততা, তাকওয়া, ইখলাস এসবের পেছনে কাড়ি কাড়ি টাকা খরচ করা লাগেনা।

বিয়ের মত একটি বিষয়ে সততার পরিচয় দেওয়া উচিত। পাশের মানুষটিকে পিউর হিসেবে পেতে গেলে আগে মানুষটির পাশে নিজেকে পিউর হিসেবে উপস্থাপন জরুরী!

সরবত মিষ্টি হয় চিনির গুণে। কিন্তু চিনির সাথে বালি মিশিয়ে দিলে সেই সরবতটাই খাওয়া যায়না। নিজের মনে ধূলা বালির আবর্জনা রেখে যত চিনিই ঢালেন না কেন কোনদিন সরবত বানাতে পারবেন না। বিষয়টা মাথায় রাখা জরুরী, খুবই জরুরী!

-- অবুঝ বালক

যদি কোন ছেলের সামনে অন্য কোন ছেলে তার বোনকে দেখে

যদি কোন ছেলের সামনে অন্য কোন ছেলে তার বোনকে দেখে বলে,

"wow! beautiful,
babe, so hot"

কোন সন্দেহ নেই সেই ছেলে তেলে বেগুনে জ্বলে উঠবে মন্তব্যকারী ছেলেটির প্রতি। তোরএত বড় স্পর্ধা আমার বোনের দিক তাকাস!!

কিন্তু ইসলাম যখন সেই বোনের ভাইটিকে বলে,"অন্যের বোনের দিক তাকাবেনা, কোন বাজে মন্তব্য করবেনা।"

তখন সেই ভাইটিই বলে ওঠে,
oh! no ইসলাম আসলেই মধ্যযুগীয়।
একজন মেয়ে সমাজে নিজেকে আধুনিক প্রমাণ করতেকত কঠিন কঠিন পরীক্ষাই না দেন। প্রথাগত পোশাক বাদ দিয়ে জিন্স, টিশার্ট বা আটসাট পোশাকে চলাফেরা করেন। বয় ফ্রেন্ড ধরেন, পার্কে ডেটিং দেন।

বয়ফ্রেন্ডের কাছেও দিতে হয় ভালবাসার চরম পরীক্ষা। বয় ফ্রেন্ডের আবদার মত রুম ডেটিং এরআশা পুরণ করেন।

কিন্তু বয়ফ্রেন্ড যখন তাকে
abuse করার পর রাস্তায় ছুড়ে
ফেলে তখন সেই নারী হয়ে ওঠেন পুরুষ বিদ্বেশী। ছেলে জাত খারাপ,কেউ ভালনা সব পুরুষের উপর তার পিএইচডি করা হয়ে গেছে ইত্যাদি ইত্যাদি।

কিন্তু ইসলাম যখন সেই নারীকে
বলে, "হিজাব পালন কর, নিজের সন্মান অচেনা পুরুষের কাছে বিলিয়ে দিওনা, নিজেকে পণ্যে পরিণত করনা নিজের দৃষ্টি ও লজ্জাস্হানের হেফাজত কর"

তখন সেই নারীই ক্ষিপ্ত হয়ে বলে ওঠে,

Oh! no Why Is Islam Stuck
In The Dark Ages...?

মধ্যযুগীয়...
সেক্যুলার সমাজ নারীকে শেখায় তুমি পুরুষের সমান। পুরুষ তোমার প্রতিপক্ষ, পুরুষকে ল্যাংমেরেই তোমাকে সমাজে টিকে থাকতে হবে, একা চলা শিখতে হবে।

কিন্তু মেয়েটি যখন সেটা বিশ্বাসকরে রাস্তায় বেরহয় তখন সে বুঝে ফেলে রাস্তায় সে একা কত অসহায়!!!

--- নাবিলা আক্তার মুনা

প্রযুক্তির কল্যাণে অনেক ইবাদতই এখন সহজ হয়ে গেছে

প্রযুক্তির কল্যাণে অনেক ইবাদতই এখন সহজ হয়ে গেছে। হজ্জ করতে আগে মাসের পর মাস জাহাজে কষ্টকর ভ্রমণ করতে হত, এরপর মক্কা পৌঁছে হজ্জ আদায় করে আবার মাসের পর মাস ভ্রমণ শেষে ফিরে আসতে হত। সময়মত নামাযের জন্য ওঠা এক সময় কঠিন ছিল। সূর্য ওঠা ও অস্ত যাওয়া - দ্বিপ্রহর ও ছায়া - এসব দেখে আন্দাজ করে নামায আদায় করতে হত। এখন ঘড়ি আছে, আছে অ্যালার্ম, রিমাইন্ডার, আজানের সফটওয়্যার ও অ্যাপ - আরো কত কী!

নারীর পর্দা করাও এক সময় কঠিন ছিল। বাড়ীগুলোর ফুটো দিয়ে ভেতরটা দেখা যেত (ফুটো দিয়ে দেখার শাস্তির বিষয়ে হাদীসও আছে)। পালকি বা বিশেষ বাহন ছাড়া যাতায়াতের সময় পর্দা রক্ষা করা কঠিন ছিল। এখন ইট-দালানের বাড়ি আছে; কালো গ্লাসের গাড়ীতে পর্দাসহ ভালোভাবে যাতায়াত সম্ভব।

ঠিক তেমনি, নারীর জন্য পর্দার ভেতরে থেকে ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা এক সময় কঠিন ছিল। কাউকে প্রতিনিধি বানানো ছাড়া সরাসরি ব্যবসায় অংশ নিয়ে পর্দা মেইন্টেইন করা প্রায় অসম্ভব ছিল।

এখন প্রযুক্তি এসেছে, বিশ্বটা হাতের মুঠোয় চলে এসেছে। অনলাইনে ব্যবসা পরিচালনার সুযোগ এসেছে। নানা আইডিয়া নিয়ে নানা বিষয়ে ই-কমার্স করতে পারেন আমাদের মা-বোনরা। তাছাড়া ফ্রিল্যান্সিং তো আছেই। নানা কাজ শিখে নিয়ে ঘরে বসেই আয় করতে পারেন অনেক। এতে পর্দা রক্ষা করেই কর্মসংস্থান সম্ভব। শুধু প্রয়োজন নিয়ত/সদিচ্ছা ও চমৎকার আইডিয়া।

আফসোস! এত সহজ হওয়া সত্ত্বেও এখন বরং আমাদের নামায বেশি কাযা হয়, হজ্জ আদায়ের সময়ই হয় না, পর্দা বেশি লঙ্ঘন হয়। নেয়ামতগুলোকে আমরা সঠিকভাবে মূল্যায়ন করি না। তাই সমাজে সমস্যা লেগেই থাকে, একের পর এক।

আল্লাহ তায়ালার ব্যবস্থাপনাকে পরিবর্তন করতে আসলে 'শান্তি' শব্দের শুরুতে 'অ' লাগিয়েই বসে থাকতে হবে। 'অ' আর কখনো মোছা যাবে না। রাসূলের স. সতর্কবাণীটি আমাদের সবসময় মনে রাখা দরকার।

রাসূলুল্লাহ স. বলেন, "তোমাদেরকে পাঁচটি বিষয়ে পরীক্ষা করা হবে। আমি আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি যেন তোমাদের জীবদ্দশায় তা না হয়।

১. কোনো সমাজে যখন অশ্লীলতা ছড়িয়ে যায়, এমনকি তারা তা প্রকাশ্যে করতে থাকে, তখন তাদের মাঝে নানা রোগ-প্লেগ ছড়িয়ে যাবে, যা তাদের পূর্বসূরিদের মাঝে ছিল না।

২. যখন তারা ওজনে-মাপে কম দিবে, তখন সেখানে দুর্ভিক্ষ, দুর্দশা ও শাসকের অত্যাচার ছেয়ে যাবে।

৩. যখন তারা তাদের সম্পদের যাকাত দিতে অস্বীকৃতি জানাবে, তখন তাদের ওপর থেকে বৃষ্টিকে উঠিয়ে নেয়া হবে। পশুগুলো যদি না থাকত, তাহলে বৃষ্টিই হত না।

৪. যখন তারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের স. সাথে কৃত অঙ্গীকার ভঙ্গ করবে, তখন আল্লাহ তায়ালা তাদের ওপর শত্রুকে ক্ষমতাবান করে দিবেন, ফলে তারা (শত্রুরা) তাদের কর্তৃত্বাধীন কিছু বিষয় নিয়ে যাবে।

৫. আর যখন তাদের নেতৃবৃন্দ আল্লাহর কিতাব অনুসারে শাসন করবে না এবং আল্লাহর নাজিলকৃত কিতাব থেকে কল্যাণ অন্বেষণ করবে না, তখন আল্লাহ তায়ালা তাদের মধ্যে পরস্পর ঝগড়া-বিবাদ লাগিয়ে দিবেন।"
[ইবনে মাজাহ: ৪১৫৫]

Collected From
Brother
Yousuf Sultan

টাইট ফিট ড্রেস পরে মাথায় পট্টি বাঁধার নাম ‪‎হিজাব‬ না

টাইট ফিট ড্রেস পরে মাথায় পট্টি বাঁধার নাম ‪‎হিজাব‬ না, মাথায় পট্টি বেঁধে বয়ফ্রেন্ডের হাত ধরে ঘুরাঘুরি করা, ইটিশপিটিশ করার নাম হিজাব না, মাথায় পট্টি বেঁধে ধার্মিক সেজে ফেসবুকে প্রোফাইল পিক দিয়ে লাইক পাওয়ার জন্য নিজেকে শো অফ করার নাম হিজাব না।

কাকে ধোঁকা দিচ্ছেন? আল্লাহকে? নিজেকে? নাকি পুরো মুসলিম উম্মাহকে???? প্রশ্ন থাকলো!

হিজাব হলো বাহ্যিক পর্দা যা পালন করা ফরজ এবং যার বিধান স্বয়ং মহান আল্লাহ্‌ দিয়েছেন। এবং যেভাবে দিয়েছেন ওইভাবেই আদায় করতে হবে। (দেখুন সূরা নূর,সূরা আহযাব)

নিজের খেয়াল খুশিমতো, লোকদেখানোর জন্য, কমপ্লিমেন্ট পাওয়ার জন্য, প্রেম পিরীতিকে হালাল করার জন্য মাথায় পট্টি বেঁধে হিজাবের কোন দরকার নেই।

আপনার এইসব ফাইজলামি মার্কা হিজাবি লুক আমাদের সত্যিকারের হিজাবি বোনদেরকে অপমানিত করে। আপনাদের মতো ফাজিলদের জন্য যারা মহান আল্লাহ্‌র হুকুম পালনের জন্য হিজাব পালন করে তাদেরকেও লোকজন বাঁকা চোখে দেখে।

সত্যিকারের পর্দানশিনদের দেখলে লোকজন মনে মনে বলে "বোরকা তো পরছে কিন্তু বোরকার তলে না জানি কি হয়"।

অতএব হিজাব করুন মহান আল্লাহ্‌র হুকুম পালনের জন্য, ফাইজলামি করার জন্য করলে হিজাবটা খুলে রেখেই ফাইজলামি করুন.......

~ Sabet Bin Mukter

গার্লফ্রেন্ড!! উফফফফফ!


গার্লফ্রেন্ড!! উফফফফফ! এক বিশাল দীর্ঘশ্বাসের নাম। আমার বন্ধুদের যারা এই বিষয়টা জোগাড় করতে পেরেছে তারা তো আছেই কিন্তু যারা জোগাড় করতে পারেনি তাদের অবস্থা দেখে আমি শুধু ভাবি, এরা মনে করে জীবনে এরা কিছুই করতে পারলনা। একটা গার্লফ্রেন্ড জোগাড় করতে পারল না, একটা মেয়ে পটাতে পারলনা! ইশ! কি আফসোস তাদের!

আমি মুখে দাঁড়ি, টাথনুর উপর প্যান্ট, মেয়ে দেখলেই দৃষ্টি নামিয়ে নেওয়া, সহজ সরল হুজুর ছেলেটার কথা বলছি। টগবগে যৌবনের বাঁধ ভাঙা জোয়ারে যে সংযমের কাঁটাতার দিয়েছে তাঁর কথা বলছি। তেলতেইল্লা বদনের আধুনিকার শরীর থেকে যে নিজেকে আল্লাহ্‌র জন্য হেফাজত করেছে আমি সেই ছেলেটার কথা বলছি। ভাই আমি আপনাকেই বলছি। হতাশ হবেন না। 'I don't have a girlfriend' এটা হয়ত অনেকের কাছে আঙ্গুর ফল টকের মত। কিন্তু একজন মুসলিমের কাছে এটা ধৈর্য আর ঈমানের রসদ। পৃথিবীর কোন না কোন প্রান্তে কেউ একজন আপনার জন্য অপেক্ষা করছে। কেউ না কেউ একজন আপনার মতই আল্লাহ্‌র কাছে তাঁর সঙ্গীর জন্য দোয়া করে। কেউ না কেউ একজন আপনার জন্যই সবকিছু থেকে নিজেকে হেফাজত করে।

আর যদি এই পৃথিবীর হিসেব না মিলে তাহলে আপনাকে সেই জান্নাতের কথা স্মরণ করিয়ে দিতে চাই যেখানে থাকবে চোখধাঁধানো বাগান, ঝর্ণাধারা, অদ্ভুত সুন্দর আকাশ। আপনি হেঁটে যাবেন আর আপনার সাথে হেঁটে যাওয়ার জন্য জান্নাতের রমণীরা বায়না ধরবে। আপনার হাতে হাত রাখতে, আপনার কাঁধে মাথা রেখে জোছনা দেখতে তারা প্রতিযোগিতা করবে। ক্লাসের সুন্দরী যে মেয়েগুলো আপনাকে খ্যাঁত বলে পাত্তাই দিত না তাদের চেয়ে এরা অনেক বেশী চক্ষুশীতলকারিণী। রাস্তার ধারে, অন্ধকার কফি শপে, রিকশা সিএনজিতে প্রেম প্রেম খেলা করে বেড়ানো যে তরুণদের দেখে আপনার হতাশ লাগতো তাদের চেয়ে আপনার ভালো লাগা সেদিন বহুগুণ হবে। প্রশান্তির মাত্রা হবে অকল্পনীয়। একবার ভেবে দেখেছেন? স্বপ্ন দেখেছেন কখনো এভাবে?

[প্রেম নয়, বিয়ে করুনঃ আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করুন]

শফি হুজুরের তেঁতুল নিয়ে ক্ষেপে ওঠা কিছু লম্পট ভন্ডের গল্প

শফি হুজুর "তেঁতুল" শব্দ উচ্চারণ করেছেন। এখানে কনটেক্সট হল, একজন অশীতিপর বৃদ্ধ তার গ্রাম্য ওয়াজে একটা বিশেষ অডিয়েন্সকে সামনে রেখে কথা বলেছেন।

এ ধরনের শব্দচয়ন সমর্থনযোগ্য না। যারা তার এ শব্দচয়ন নিয়ে নিন্দা জানান এবং বলেন যে এতে নারীর প্রতি তার যে দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ পেয়েছে এটা নিন্দনীয়, আমি তাদের সাথে পুরোপুরি সহমত পোষণ করি।

এরকম কয়েকজনকে আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনি যারা শফি হুজুরের সমালোচনার মাধ্যমে নারী অধিকার রক্ষা করতে বদ্ধপরিকর। তবে এখানে একটা ছোট সমস্যা হল তারা ইউরোপে সামারের যে কোন একদিনে নারীদের প্রতি যে সম্মান দেখান (যেভাবে তাকান আর যেসব মন্তব্য করেন ), সেটা দশ হাজার শফি হুজুর যদি প্রাণপন সারা জীবনও চেষ্টা করেন তাও দেখাতে পারবেন না।

এছাড়াও কার কম্পিউটারের কোন ফোল্ডারে কি আছে সেটা ত তিনি আর আল্লাহই জানেন। নিজের চেহারাটা আয়নায় এত কুৎসিত কেন ?

-- জাহিদুল ইসলাম রাজন

ছেলেটা আত্মহত্যা করলো

…..বাসে যাচ্ছি,পাশের সিটে দু'জন প্রায় আমারই বয়সী ছেলে বসা। একজন কাদছে আর মাঝে মাঝে বিড়বিড় করে কিছু একটা বলছে তার পাশের ছেলেটিকে।ব্যপার বোঝার জন্য কান খাড়া করে গভীর মনযোগ দিয়ে কথা বোঝার চেষ্টা চালালাম।রহস্য উদঘাটন হল কিছুক্ষনের মধ্যেই। তার কোন এক বন্ধু আত্মহত্যা করেছে কোন এক মেয়ের কারনে। কিছুক্ষনের মাঝে আরও জানা গেল মেয়ের চরিত্রও নাকি বিশেষ সুবিধার না! ঝামেলা আছে চরিত্রে। যাই হোক, সেদিনের পর থেকে আমার মাথায় বেশ কিছু ব্যপার ছুটোছুটি করছে।মৃত ব্যক্তির সাথে কথা বলার সুযোগ থাকলে তাদের ব্যপারগুলো জিজ্ঞেস করে দেখা যেত,
আচ্ছা ভাই,আপনার কি মনে পড়ে? আপনার বাবা প্রতিদিন সকাল ৮ টায় বাড়ি থেকে বের হয়ে রাত ১০ টায় বাসে ঝুলে ঘামে ভেজা চপচপা একটা শার্ট গায়ে দিয়ে ফিরতেন?কোন ঈদে কি দেখেছেন আপনার বাবা নিজেই জামা-কাপড় কিনে বসে আছেন,আপনাদের জন্য কিছু নেই? আপনার মাকে কি কখনো দেখেছিলেন আপনার পরিক্ষার আগের রাতে অযথা গভীর উদ্বেগ নিয়ে আপনার পড়ার টেবিলের সামনে বসে থাকতে,আর কিছুক্ষন পর পর জিজ্ঞেস করতে, কলম-এডমিট কার্ড সবকিছু নিয়েছিস তো ঠিকমত ?
যখন আপনি বিছানায় মুত্র বিসর্জন করতেন তখন আপনার ভেজা কাথাটা এই পৃথিবীর অন্য কোন মানুষ কি কোনদিন পেচিয়ে শুয়ে ছিল?শুনুন ভাই,এই যে আপনার এক ফুট উচ্চতার শরীরটা আজ ৬ ফুটের কাছাকাছি চলে এসেছে। শরীরে বইছে ৫ লিটার রক্ত, সেটা কিন্তু আপনার চেস্টায় তৈরি হয়নি।আপনার বাবা-মায়ের দিন রাত ঘাম ঝড়ানো পরিশ্রম আর আপনার সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছায়ই সেটা তৈরি হয়েছে।সুতরাং, আপনি যে আত্মহত্যা করলেন,আপনার বাবা-মার অনুমতি নেয়া হয়েছে ?
এই শরীরটাতে আপনার চাইতে বেশি অধিকার তাদের।শরীরের প্রতিটি রক্তকনা আপনার বাবার কেনা টাকার ভাত খেয়ে তৈরি হয়েছে। সুতরাং, আপনার শরীরটাতে একটা আচড় দেবার আগে আপনার বাবা-মায়ের কাছে একটিবার জিজ্ঞেস করে দেখুন বাবা আমি আমার হাতটা একটু কাটব তুমি কি রাজি?অনুমতি নিয়ে এরপর কাজে ঝাপিয়ে পড়লে ভালো হয়।
যে নারীর জন্য আপনি আজ মারা গেলেন সে নারীকে শুধু মাত্র একটি রাত আপনার পেশাব করা কাথা দিয়ে দেখতেন, তিনি সেটা জড়িয়ে ধরে ঘুমুতে পারেন কিনা।তাহলেই হয়তো বুঝতে পারতেন আপনাকে যে নারী জন্ম দিয়েছেন তার এবং আপনি যে নারীকে ভালবাসেন বলে দাবি করছেন তার ভালবাসার মধ্যকার পার্থক্য। যে মানুষ নিজের বাবা-মাকে ভালবাসতে পারেনি,তার বাবা মায়ের ভালবাসা বুঝতে পারেনি সে কোনদিন কোন,অবস্থাতেই অন্য কাউকে ভালবাসতে পারেনা।এটা কোনভাবেই ভালবাসা নয়।

বছর ২ পরিচিত একটি মেয়ের জন্য আপনার ২৫ বছরের পরিচিত মা- বাবাকে কষ্ট দিতে পারেন আবার বলেন আমি মহান প্রেমিক ? ভালবেসে দুনিয়া উলটাইয়া ফেলাইসি? শুনে রাখুন আপনি একজন ব্যর্থ মানুষ এই পৃথিবীতেও যেমনি ব্যর্থ, পরের জীবনেও তেমনি ব্যর্থ।ব্যর্থ!ব্যর্থ !ব্যর্থ! আপনি একজন Coward ছাড়া আর কিছুই না। :@

-- আরমান ইবনে সোলায়মান

পথে-ঘাটে কিছু হিজাবী বোনদের দেখি

​​
পথে-ঘাটে কিছু হিজাবী বোনদের দেখি , যারা মা' শা আল্লাহ কমপ্লিট হিজাব করেন । নিকাবও পড়েন । কিন্তু চোখ দুটো খুব আকর্ষণীয় করে সাজাতে ভুলেন না...

আপু , একবার ভেবে দেখেছেন?... আমাদের চারপাশে অনেকেই হিজাবের আবশ্যকতা বুঝে না , অনেকে বুঝেও পাত্তা দেয় না , অনেকে হিজাব করতে চেয়েও নফসের সাথে যুদ্ধ করে পেরে ওঠে না । আল্লাহর অশেষ মেহেরবাণী যে , তিনি আপনাকে এই ফারদ টি বুঝার তাওফিক্ব দিয়েছেন , আপনার জন্য সহজ করে দিয়েছেন এটার উপর অবিচল থাকতে। যার ফলে এখন অবধি আপনার হিজাব করা সম্ভব হচ্ছে । কিন্তু শয়তানের বিরুদ্ধে সেই দুর্গের প্রাচীরে শয়তান কে আসার জন্য ছুট্টো একটা ফুটো কেন করে দিচ্ছেন ???

এই ফুটোটাই শয়তানের সুড়ঙ্গপথ হয়ে যাবে । আর এতেই সে সব সংযমকে বরবাদ করে দিবে । শয়তানের চক্রান্ত থেকে আমরা কখনোই নিরাপদ নই । তাই শয়তান কে আর সুযোগ না দেই । হিজাব করার তাওফিক্ব আল্লাহ সুবহানুতা'আলা যখন তার এই বান্দাদের দিয়েছেন-ই তখন আর চোখ দুটো সাজিয়ে নিজেরা জাহান্নামের পথে পা না বাড়াই , মানুষকে আর ফ্রি ফ্রি বিনোদন দিয়ে না বেড়াই ।

-- সাইয়েদা মুবাশশিরাহ

ইন্দ্রিয়ের সাধনা বলে কালচারের কেন্দ্র নারী

"নারী" ইস্যুটি দূর অতীত থেকেই খুবই ক্রিটিক্যাল। ইন্দ্রিয়পূজারী সমাজ ব্যবস্থা তথা আধুনিক কালচারের অন্যতম বিনোদনের টুল নারী। কয়েকদিন আগে মোতাহার হোসেন চৌধুরীর একটা বই পড়ছিলাম। অত্যন্ত গর্ব ও আনন্দের সাথে তিনি লিখলেন-

"ইন্দ্রিয়ের সাধনা বলে কালচারের কেন্দ্র নারী"

সত্যটা স্বীকার করে নেয়ার জন্য তার ধন্যবাদ প্রাপ্য। আমাদের সমাজের ছুপা নাস্তিক,চেতনা ধারীরা সে কথাও স্বীকার করতে চায় না। নারী স্বাধীনতা,আর নারী অধিকারের এম্বাসেডর হিসেবে নিজেদের জাহিরে ব্যস্ত এসকল ধান্দাবাজরা নারীদেরকে তাদের স্বীয় ধান্দাসাধনে ব্যবহার করছে।

পুরুষালী কাজকর্মকে স্বাধীনতা ও যোগ্যতার স্ট্যান্ডার্ড বানালো কে? আধুনিকতার স্ট্যান্ডার্ড হিসেবে পুরুষদের কাজগুলোকেই কেন নিতে হবে? জনৈক বাম রাজনীতির সাথে যুক্ত এক আপুকে দেখতাম বব কাট দিয়ে ঘুরছে। রজনীগন্ধা গোলাপের মত হতে গেলে ইনডিরেক্টলি গোলাপকে শ্রেষ্ঠত্ব দেয়া হয় না? রজনীগন্ধার স্বাতন্ত্র আর থাকলো কই? বাইরের কাজকরাকেই যদি প্রকৃত স্বাধীনতা আর এবসোলিউট কন্ট্রিবিঊশান হিসেবে দেখা হয় আমার আম্মা যে সারাজীবন সংসারে কাজ করে গেলেন, আমাদের মানুষ করলেন সবই 'জিরো'?

এবারের ওইমেন্স ডে'র থিম "Equality for Women is Progress for All"

ইসলামে Equality শব্দটার পরিবর্তে আরেকটা শব্দ ইউজ করে যার ভাবার্থ অনেক ডীপ। সেটা হল "ইনসাফ", যা্র অর্থ করলে "জাস্টিস" বলা যায়।

ইসলাম আজাইরা ইকুয়েলিটি আইডিডেন্টিকেলিটিতে বিশ্বাসী নয় বরং ইনসাফে বিশ্বাসী যা মূলত "Rights" & "Responsiblity" দুটোর মধ্যে প্রপার ইন্টিগ্রেশান করে।

বিঃদ্রঃ RIP Women's day... প্রতিটি দিনই হোক সকল জীবের জন্য ইনসাফ প্রতিষ্ঠার দিন।

-- মুজাহিদ রাসেল

যেই ধরনের কাপড় শুধুমাত্র যৌন-কর্মীদেরকে পড়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যেত

​​
আজ থেকে ২০ বছর আগে যেই ধরনের কাপড় শুধুমাত্র যৌন-কর্মীদেরকে রাতের বেলায় পড়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যেত (যেমন: বাংলাদেশে ওড়না ছাড়া কামিজ; বিদেশে: শুধুই টাইট্‌স), যেন তারা খদ্দের ধরতে পারে, আজকে সেই একই পোশাক পড়ে ভদ্রঘরের মেয়েরা দিনে-রাতে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আজকাল মেয়েদের কাপড় দেখে বোঝা মুশকিল সে কোনো যৌন কর্মী, নাকি কোনো ভদ্র ঘরের মেয়ে — সবারই পোশাক এক রকম। মিডিয়া এবং সংস্কৃতি খুব ধীরে ধীরে আমাদেরকে প্রতিক্রিয়াহীন, অনুভূতিহীন, ভোঁতা করে দিয়েছে। আজকাল মেয়েদেরকে এই সব পোশাক পড়তে দেখলে আমরা, "আস্তাগফিরুল্লাহ! ছি! ছি! এইটা কী পড়ে আছো?" বলে আঁতকে উঠি না।

যার ফলাফল: মেয়েদের কাপড় আস্তে আস্তে আরও টাইট, আরও স্বচ্ছ আরও ছোট হতেই থাকে। এভাবে আমাদের অন্তর কঠিন হতে হতে, একসময় পাথর হয়ে যায়, লজ্জা-হায়া সব লোপ পায়।

[Collected]

বউ বকাবকি করলো যখন

​​
এক ভাই তার বন্ধুর জন্য দোয়া করছিলেন যেন সে একটা বউ খুঁজে পায়, এটা শুনতে পেয়ে সেই ভাইয়ের স্ত্রী তাকে তুমুল বকাবকি করলো...

স্বামী : আরে দেখো তো অবস্থা, ও তো এখনো অবিবাহিত!!

স্ত্রী : কিন্তু তুমি কি জানো না যে কেউ অন্যদের জন্য দু'আ করলে ফেরেশতারা বলেন "আমিন এবং তোমার জন্যেও অনুরূপ" !!

[collected]

মুসলিম ভাইবোনদের প্রতি অনুরোধ

"বাংলাদেশে ইয়াং যে ছেলেমেয়েরা ইসলাম নিয়ে ইদানিং পড়াশোনা করছে (তাদের জেনরেল স্টাডির পাশাপাশি) তাদের মাঝে একটা ট্রেন্ড আমাকে ভাবিয়ে তুলছে।

ইসলামি পড়াশোনার পেছনে যতটা ইসলামের সেবা করার ইচ্ছা রয়েছে, মনে হচ্ছে যেন অনেকেই ইদানিংকার মুসলিম স্টুডেন্ট অফ নলেজদের (বিশেষ করে ওয়েস্টার্ন স্টু অ ন যারা আছেন) খ্যাতি এবং গ্ল্যামারের দিকে বেশি নজর দিচ্ছে। কীভাবে একজন জনপ্রিয় লেকচারার হওয়া যায়, কীভাবে কিছু চটকদার আর্টিক্‌ল লেখা যায় এবং এমনকী কীভাবে কিছু চিজী স্ট্যাটাস দেয়া যায় সেসবের দিকে লক্ষ্য বেশি থাকছে অনেকেরই। তাদের কাজকর্ম এবং কথাবার্তা শুনলে বোঝা যায় যে কীভাবে ইসলামিক স্টারডমে পৌঁছনো যায় সেদিকে তাদের নজর বেশি। তাদের কয়েকটি কাজ থেকে এটি সহজেই অনুধাবন করা যায়।

তারা কোনও হার্ডওয়ার্ক করে না। ইসলামিক স্টাডিকে সিরিয়াসলি নেয়ার জন্য যে ধরণের সময় এবং ইন্টেলেকচুয়াল কমিটমেন্ট তাদের থাকা দরকার এবং দেয়া দরকার সেটা তাদের নেই। তারা মুখে ইসলাম নিয়ে প্রচুর কথা বললেও সময় নষ্ট করে বহু আজে বাজে কাজে। এমনটি বলছি না যে তাদের কোনও অবসর কাজ থাকতে পারবে না। কিন্তু সেটাও সিস্টেমেটিক এবং গোল ওরিয়েন্টেড হওয়া দরকার, সেটার পেছনেও প্ল্যান থাকা দরকার। আজে বাজে নভেলস পড়ে তারা টাইম নষ্ট করে। ক্রমাগত ফেসবুকে মিনিংলেস পার্টিসিপেশন থাকে তাদের। যে ছেলে/ মেয়ে অন্যের স্ট্যাটাসে অযথা নিডলেস কমেন্ট করে নিজের সময় নষ্ট করে, সে যতই ইসলামিক কথা বলুক না কেন, সে স্টুডেন্ট অফ নলেজ কখনই হতে পারবে না। পিরিয়ড।

আজকের পৃথিবীতে একজন প্রকৃত স্টুডেন্ট অফ নলেজের প্রচুর কাজ এবং দায়িত্ব। বহু পদক্ষেপ তাকে নিতে হবে যাতে রয়েছে প্রচুর কাজ এবং পড়াশোনা। এধরণের বেশিরভাগ কাজই তাকে একাই করতে হবে, কারও সাহায্য ও প্রশংসা তার মিলবে না, সেদিকে তার লক্ষ্য থাকলেও চলবে না। তাকে একজন ভিশনারি হতে হবে। সে কী করছে কেন করছে তার পূর্ণ জবাবদিহিতা নিজের কাছে থাকতে হবে। কোন বইটি তার এখন পড়া দরকার, কোন লেকচারটি তার শোনা দরকার - এর পেছনে থাকতে হবে টোটাল প্ল্যানিং, ভিশন এবং এক্সিকিউশান। তাকে তালিকা তৈরি করতে হবে একজন পূর্ণাঙ্গ স্টুডেন্ট হওয়ার জন্য তাকে কী কী করতে হবে? কবে সে আরবি শিখবে এবং শিখে শেষ করবে। আরবি শেখার সময় তাকে অন্যান্য অদরকারী ইসলামিক লেকচার বা বই পড়া বন্ধ রাখতে হবে যাতে আরবি শেখা ডিলেইড না হয়। বোকার মত কেউ একটা কিছু শেয়ার দিলেই সেটা দেখা, কেউ কোনও বইয়ের কথা বললেই সেটা পড়তে শুরু করে দেয় যে ছেলে বা মেয়ে তাকে দিয়ে কিচ্ছু হবে না। আরবি শেখা শেষ করে তাকে 'আকীদা, ফিক্‌হ, তাফসীর এবং উসূল শাস্ত্রের যে ভালো বইগুলো আছে সেগুলো পড়তে হবে। প্রতিটি শাস্ত্রে প্রাথমিক ভাবে আমাদের অন্তত ১০টি ভালো আরবি বই পড়া দরকার, তাহলে আমরা অ্যাট লিস্ট বলার মুখ রাখব যে আমরা স্টুডেন্ট হওয়া শুরু করেছি। গেট ইট স্ট্রেইট, বাংলা বা ইংলিশে পড়ে আর যাই হোক কোনওদিনও স্টুডেন্ট অফ নলেজ হওয়া যাবে না। যে বাংলা বা ইংলিশে ইসলাম নিয়ে পড়াশোনা করে তাকে স্টুডেন্ট অফ নলেজ কখনও বলা উচিতও নয়।

আমরা এমন এক সময়ে বাস করছি যখন ইসলামিক অ্যাকাডেমিক এফোর্টকে সামনে নিয়ে আসতে হলে আমাদের পলিম্যাথ স্কলার দরকার। আমাদের কেবল ক্লাসিকাল ইসলামিক ফিক্‌হ থাকলেই চলছে না, বরং বর্তমান সময়কে বুঝতে এবং এসময়ে ইসলাম ও মুসলিমদের রেলেভেন্ট করে তোলার জন্য একাধিক সেক্যুলার সায়েন্সে ওয়ার্কিং নলেজ ক্রিয়েট করতে হবে। এদের মধ্যে থাকবে সোশোলজি, পলিটিকাল সায়েন্স, সায়কোলজি, একনমিক্স এবং হিস্ট্রি। We need brilliant student, visionary, planner, social entrepreneur all in one. পুরো পৃথিবী এখন যে ব্যাটল জোনে আছে সেটা ইন্টেলেকচুয়াল। অন্য সব ব্যাটলই এখন সেকেন্ডারি, এমনকি মিলিটারি ব্যাটলও। একমাত্র মূর্খ, পাগল অথবা অপদার্থ ব্যক্তিই সেটা অস্বীকার করবে।

সন্দেহ নেই যে সবাইকে স্কলার হতে হবে না। কিন্তু যারা হওয়ার ইচ্ছা পোষণ করছে কিন্তু ক্রমাগত সময় নষ্ট করছে কোনও রকম প্ল্যানিং ছাড়া তাদের জন্য এই রিমাইন্ডার। প্রতিটা ছেলেমেয়েই ইসলামের জন্য একটা অ্যাসেট হতে পারে যদি তারা নিজেদের ঠিকমতো তৈরি করে। এজন্য কষ্ট করতে হবে, স্যাক্রিফাইস করতে হবে, পারসিভিয়ার করতে হবে। যারা জনপ্রিয়তার পেছনে ছুটবে তারা জনপ্রিয়তা পেতেও পারে নাও পেতে পারে। ইদার কেস দে উইল লুজ। আজ হোক বা কাল হোক তারা ঠিকই অনুধাবন করবে যে তারা আসলে ভুল জিনিসের পেছনে ছুটেছে। আত্মপ্রতারণার চেয়ে বড় প্রতারণা আর হতে পারে না।

আমার মুসলিম ভাইবোনদের প্রতি অনুরোধ সময়কে ধরুন। একটি প্ল্যান তৈরি করুন যে ইসলামের জন্য কী অবদান আপনি রাখতে চান। এরপর সেটা স্লোলি অ্যান্ড সিউরলি এক্সিকিউট করুন। আল্লাহ্‌ আমাদের তৌফিক দিন।"

-- আসিফ সিবগাত ভাই

কিছু মানুষ কিছুতেই বুঝবে না

​​
কিছু মানুষ কিছুতেই বুঝবে না কেন ১৪০০ বছর আগে মারা যাওয়া একজন মানুষের দাম আমাদের কাছে কী। তিনি যখন জীবিত ছিলেন তখন তার চারপাশের মানুষেরা তার গায়ে কাঁটা বিধতে দেওয়ার চেয়ে নিজেদের জীবন দিতে বেশি পছন্দ করতেন। এটা কথার কথা ছিলো না, অনেকে তা জীবন দিয়ে প্রমাণও করেছেন। আজো এই পৃথিবীতে অন্তত এক কোটি মানুষ পাওয়া যাবে যারা এই মানুষটির অনুসরণ করতে গিয়ে দরকার হলে হাসিমুখে বুলেটের সামনে দাঁড়াবে। তার সম্মানকে নিজেদের জীবনের চেয়ে বেশি দাম দেবে।

কিছু মানুষ কখনই বুঝতে চাইবে না এই মানুষটা কী ভালোবাসার বাঁধনে পুরো মুসলিম জাতিকে বেঁধে গিয়েছেন। এ ভালোবাসা অন্ধ ভালোবাসা নয়। এ ভালোবাসার ভিত্তি আলো--যে যত বেশি জানবে সে তত বেশি ভালোবাসবে।

মুহাম্মাদ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের কাছে কী এটা যে আমার বুকের ভেতরের তুফানটা তার বুকের ভেতরে অনুভব করতে পারবে না--সে বুঝবে না।

-- শরীফ আবু হায়াত অপু