বিবাহবিচ্ছেদ

আমার তখনো বিয়েই হয়নি, খুব কাছের দুই বন্ধুর বিবাহবিচ্ছেদ হল যখন। আমার বিয়ের বছর না গড়াতেই সে সংখ্যা বাড়ল বহুগুণ। এখনো চারপাশে কেবল ভাংনের গান! থ্রি জি হাতের মুঠোয় নিয়ে, আ্যটোম চিবিয়ে; চাপাবাজির জোর বাড়িয়ে যে বিয়েগুলি হয় এখন, এক সপ্তাহের আলোকছটা কাটতে না কাটতেই তা ডুবে যায় প্রতারণার অন্ধকারে।

ভীট ছোঁয়ানো পা, রিকুভা মাখা চেহারা আর কেলোগস খাওয়া শরীর দেখে অভ্যস্ত যারা ; সুপারফিসিয়ালিটি ছেড়ে ওরা সাবটেন্স বুঝবে, সেই আশা করা বোকামি। ছোটছোট ছেলে মেয়ে যেখানে 'লুংি ড্যান্স' আর 'রাধা' নিয়ে ব্যাস্ত এবং মা-বাবার কাছে সেটাই যখন এ্যাচিভমেন্ট ; সেই সমাজ থেকে কি চাওয়ার থাকতে পারে আমাদের? হিন্দি সিনেমা দেখিয়ে, নকশার সবক দিয়ে যাদের আমরা আস্তে আস্তে অভ্যস্ত করে তুলছি পর্নোগ্রাফিতে ; তাদের কাছ থেকে একটি সুস্থ সুন্দর পরিবার চাওয়াটা বাড়াবাড়ি নয়?

আল্লাহ্‌ আমাদের সমাজকে প্রকাশ্য অপ্রকাশ্য সকল নোংরামি থেকে রক্ষা করুন। আমাদের পরিবারগুলোর (অধিকাংশ) হারিয়ে যাওয়া লজ্জাশীলতা আবার ফিরিয়ে দিন।

-- তাহমিনা মারিয়াম

শত হতাশার মাঝে থেকেও মুসলিমদের ভুলে যাওয়া উচিত নয়

শত হতাশার মাঝে থেকেও মুসলিমদের ভুলে যাওয়া উচিত নয় জান্নাতে প্রবেশ করতে না পারার চেয়ে বড় আফসোস আর কিছু হতে পারে না।

-- নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক

* *

পরীক্ষার হলে শেষ মুহূর্তে এক মিনিট অতিরিক্ত সময় দেয়া হয় তখন অনুধাবণ করতে পারি সময় কত মূল্যবান অথচ প্রতিদিন আমাদের একটি করে নতুন দিন দেয়া হচ্ছে জীবন নামের এই আসল পরীক্ষায় কিন্তু আমরা কি পারছি এই সময়টার মূল্যায়ন করতে ভাল কাজ করে আল্লাহর সন্তুষ্টির আশায় এবং তওবা করে গুনাহ্ মাফের আশায়?

--- নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক

ভণ্ডামি বুঝতে চাইলে প্রথম আলো পড়ুন

​"নকশা" বিশ্লেষণ করে দেখিয়ে দেবে কতটুকু চাপা জিন্স পরলে একটা মেয়েকে সবচেয়ে আবেদনময়ী দেখায়, শরীরের ভাঁজ কীভাবে ফুটিয়ে তুলে শৈল্পিকতার নৈপুণ্য তুলে ধরা যায়, ভেতরের পাতায় থাকবে মেহতাব খানমের লিভ টুগেদারের গুরুত্বের বিবরণ, "স্বপ্ন নিয়ে" তে শরীর বেচে সেলিব্রিটি হওয়া মডেল-অভিনেত্রীদের 'সাফল্যের' রহস্য নিয়ে ফিচার থাকবে, বিনোদন পাতায় থাকবে পর্নস্টারদের আপডেট। আর প্রথম পাতার শিরোনাম করবে "ধর্ষণের হার বৃদ্ধি নিয়ে উদ্বিগ্ন জনগণ।"

ভণ্ডামি অ্যাট ইটস পিক পজিশন কাকে বলে বুঝতে চাইলে প্রথম আলো পড়ুন।

-- Brother Jubaer Hossain

মেয়ের কাছে কোনো বেগানা পুরুষের আগমন বা বন্ধুত্বের অধিকার

ইদানীং অনেক শিক্ষিত পরিবারই মেয়ের কাছে কোনো বেগানা পুরুষের আগমন বা বন্ধুত্বের অধিকার নিয়ে মেলামেশাকে দোষণীয় মনে করছে না। তাদের দৃষ্টিতে তারা কেউ তার 'বয়ফ্রেন্ড', কেউবা তথাকথিত 'ভাইয়া'। বাবা-মায়েরাও এতে দোষের কিছু দেখেন না। বেগানা আবার কিসের? ওসব সেকেলে শব্দ! এই হলো পাশ্চাত্য সভ্যতার আগ্রাসন। অথচ মাত্র এক শতাব্দী আগেই এ দৃশ্য একটি হিন্দু পরিবারেও বেমানান ছিল। শরৎচন্দ্রের উপন্যাস পড়েননি এমন শিক্ষিত বাঙালী কমই পাওয়া যাবে। তার এক উপন্যাসে পড়েছিলাম যখন ছেলে পড়ানোর জন্য পণ্ডিত মশাই বাড়িতে প্রবেশ করলেন, মা অন্দরমহলে চলে গেলেন। প্রয়োজনে যখন মাস্টারের সামনে আসতে হয় তিনি মুখে লম্বা ঘোমটা টেনে সামনে আসেন।

আজো কিন্তু মুসলিম সভ্যতার বিলীয়মান নিদর্শন হিসেবে ভারতের গ্রামাঞ্চলের হিন্দু মহিলারা ফুলহাতা ব্লাউজ পরেন। অথচ পাশ্চাত্য সভ্যতার সবক আমরা এতোটা রপ্ত করেছি যে, নিজেদের গৌরবোজ্জ্বল সামাজিক মূল্যবোধ আর আমাদের কাছে ভালো লাগে না। ভালো লাগে স্বাধীনতার নামে গোলামীর জিঞ্জিরে হাঁপিয়ে ওঠা পাশ্চাত্য মূল্যবোধ। তৃতীয় বৃহত্তম মুসলিম দেশে আজ বিশ্ববিদালয়ের ক্লাসে পর্দাকে উপহাস করা হয়। ক্লাসে নগ্নতার সবক দিলে দোষ হয় না। দোষ হয় শালীনতার সবক দিলে। টুপি আর বোরকা দেখলে শুধু ফ্রি সেক্সের দেশ ফ্রান্সেই নয়; ইদানীং বাংলাদেশেও অনেকের গা চুলকাতে শুরু করে।

প্রথম আলোর সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন ছুটির দিনে শাবিপ্রবির অধ্যাপক মুহাম্মদ জাফর ইকবালের একটি সাক্ষাৎকার পড়েছিলাম। তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, 'আপনাদের সময় আর এখনকার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে কী পার্থক্য দেখতে পান? একটি অনুষ্ঠানে নিজের ছাত্রীদের সঙ্গে বল্গাহীন ড্যান্স দিয়ে সমালোচিত হওয়া এ কাল্পনিক জগতের লেখক উত্তর দেন, 'তখনকার দিনে বিশ্ববিদ্যালয়ে এত বোরকা দেখা যেত না। বর্তমানের মতো মৌলবাদীদের এত উৎপাত ছিল না বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে।'

হ্যা, এরা কিন্তু পাশ্চাত্যের কেউ নন। এরা পাশ্চাত্য সভ্যতার গর্বিত আমদানিকারক। এদের সম্পর্কে দুঃখ করতে গিয়ে গত শতাব্দীর অন্যতম বিশ্বখ্যাত ইসলামী চিন্তাবিদ শায়খ আবুল হাসান আলী নদভী বলেন, 'আজ আমরা এমন এক মুসলিম প্রজন্ম দেখতে পাচ্ছি, যাদের কাছে পশ্চিমের সবই সুন্দর। সবই অনুকরণীয়। এদের কাছে যেন পশ্চিমের অন্ধ অনুকরণই সব সমস্যার সমাধান। পশ্চিমেও যে অশান্তি আছে, পশ্চিমারাও যে জীবনের নানা ক্ষেত্রে ব্যর্থ- এরা তা কিছুতেই মানতে রাজি নয়। (cOlLeCtEd)

টিভির ভয়াবহ অ্যাড যা ধ্বংস করছে আপনার ভবিষ্যত

​​
​​
​কিছুদিন আগে এয়ারটেল 3G এর একটা অ্যাড দেখে রীতিমত বেকুব হয়ে গেলাম। অ্যাডে দেখা গেল ছেলে মাকে ফোনে বলছে মা আমি গ্রুপ স্টাডিতে। কিন্তু আসলে সেই গুণধর পুত্র দুই-তিনটা মেয়ে নিয়ে নাচন-কুঁদন করছে। একটা সময় 3G দিয়ে ভিডিওতে মা-বাবা ছেলের কুকর্ম দেখে ফেললো। ছেলে আবার বেশ চৌকশ! সুকৌশলে মিথ্যে বলে বাবা-মাকে বেকুব বানিয়ে বনে গেলো হিরো। সেই লেভেলের ভাবজ নিয়ে তিন পাশ থেকে তিনটা মেয়েকে জড়িয়ে ধরে গুণধর পুত্রের তখন ডায়লগ ,''3g আসছে বস,চাপাবাজি এখন অন্য লেভেলে! '' বাহ! কি চমৎকার রঙচঙে মোড়কে আমাদের সামনে মিথ্যা নামক জিনিসটাকে আকর্ষণীয় একটি বিষয় হিসেবে উপস্থাপন করা হল। আমরা দেখলাম,খুশি হলাম, হাততালি দিলাম এর পেছনের ভয়াবহতায় আমাদের ভ্রু একটুও কুঞ্চিত হলো না। এর কিছুদিন আগে এটম ক্যন্ডিরও প্রায় একই থিমের একটা অ্যাড দেখেছিলাম। আর গায়ের চামড়া সাদা করার বিজ্ঞাপনগুলোর কথা না হয় বাদ-ই দিলাম। কি অবলীলায় দেখানো হচ্ছে কালো হওয়ার কারণে কারো বিয়ে হচ্ছে না তো কারো আবার চাকরি হচ্ছে না। অতি সুকৌশলে আমাদের মাথায় ঢোকানো হচ্ছে কালো মেয়েরা সমাজের ফেলনা। তাদের দিয়ে কিছুই হয় না। অনেকেই হয়তো এখন বলতে পারেন এগুলো তো শুধুমাত্র মজা করার উদ্দ্যেশ্যে। এগুলো থেকে শিক্ষা নেবে কোন ছাগল? আমাদের ভাবা উচিত, আজকের বাস্তবতায় একটু নজর দেওয়া উচিত। আজ আমাদের কোটি টাকার ফ্ল্যাটে বাবা-মায়েদের দু' দণ্ড সময় নেই তার সন্তানের জন্য। শৈশব থেকেই তার মা বলুন অথবা খেলার সাথীই বলুন তা হচ্ছে ড্রয়িং রুমের কোনায় ঠায় দাড়িয়ে থাকা একটা ৫২'' ইঞ্চির টিভি সেট। আচ্ছা,একটাবারও কি আমরা কখনো ভেবে দেখেছি এধরনের জিনিস দিনের পর দিন হজম করে বেড়ে ওঠা একটি শিশুর মানসিকতাটা কেমন হবে? তার কাছে মিথ্যা বলাটা কতটা আধুনিক কিংবা রঙচঙে,উত্তেজনাপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়াবে? আজ টেলিভিশন নামক মা শিশুদের শিক্ষা দেয় সিগারেটের ধোঁয়া কিভাবে কায়দা করে ছাড়লে দেখতে কেউকেটা লাগে, Dexter টাইপ সিরিয়াল শিক্ষা দেয় কিভাবে খুন করেও ধরা না খেয়ে বাঁচা যায়,IPL শিক্ষা দেয় কি করে নারীকে ভোগ্যপণ্য করে মাঠের বাউন্ডারি লাইনে নাচানো যায়,শিশুটির প্রিমিয়ার লীগের 'আইডল' খেলোয়াড়দের নিজ স্ত্রী রেখে পরনারীগমনের মত মুখরোচক গল্পগুলো তাকে শিক্ষা দেয় তার আইডলের অনুসরণ কিভাবে করতে হয়। আর উপড়ে বর্ণিত সবকিছু একসাথে ঘুটা দিয়ে যে জিনিসটা তৈরি হয় তা হল হিন্দি সিরিয়াল। পুরো একটা কমপ্লিট প্যাকেজ পেয়ে যাবে তাতে। কি নেই? সেক্স,পরকীয়া,মদ,জুয়া, নারী, মিথ্যা,কুটনামি,পরনিন্দা। কোনটা লাগবে? কি পরিমাণে লাগবে? জাস্ট হাত বাড়ান পেয়ে যাবেন। সত্যি বলতে কি দেশি- বিদেশি সব মিডিয়াই এখন ভয়ংকর ! মারাত্মক ভয়ংকর ! অনেক ক্ষেত্রে ব্যপারটা প্রাণঘাতীও হতে পারে। এর প্রমান হরহামেশাই ক্রাইম পেট্রোল দেখে বাবা-মাকে হত্যা করা ঐশী কিংবা কিশোরগঞ্জে পাখি ড্রেস না পেয়ে আত্মহত্যা করা সেই কিশোরী মেয়েটি আমাদের দিয়ে যাচ্ছেন। হায়রে মিডিয়া! আর কত নিচে নামাবে এই সমাজটা? আর কতো? একটাকা দামের একটা লজেন্স বিক্রির জন্য ছোট্ট নিষ্পাপ শিশুগুলোকে মিথ্যা শেখানোটা কি খুব,খু-উ-ব বেশি প্রয়োজন? কিংবা খুব বেশী কী প্রয়োজন শেভিং ক্রীম বিক্রির জন্য কিছু মেয়েকে রাস্তায় নাচানোর? মেয়েরা কি আদৌ কোনদিন ওই জিনিসটা ব্যবহার করবে? নারীকে প্রতিনিয়ত পণ্য বানানোটা কি খুব বেশী প্রয়োজন? সমাজটাকে আপনি নিচে নামাতে থাকুন। আপনাকে জাহান্নামের নিচে; অনেক নিচে নামিয়ে দেওয়া হবে। জাহান্নামের গভীরতা ঠিক কতটুকু জানা আছে ভাই?

-- আরমান ইবনে সোলায়মান

গুনাহও তেমনি নামাজ থেকে বিরত রাখে

​​
​​ নামাজ যেমন গুনাহ থেকে বিরত রাখে, গুনাহও তেমনি নামাজ থেকে বিরত রাখে! এই বক্তব্যটা শাইখ সলেহ আল মুনাজ্জিদের, একটি ক্লাসে শুনছিলাম। সত্যিই, এটা বুঝতে গুনাহ পর্যন্ত ভাবারও দরকার নাই! একটু বেশী অযথা কথা বললে, বা মার্কেটে বেশী ঘুরলেই প্রথম যেই জিনিসটা উলটাপালটা হয় তা হল নামাজের সময়। "সময় তো আছে, পরে দেখা যাবে..." তাই না? ব্যাপারটা তাই এমন না যে তাহাজ্জুদে উঠতে পারি না, সময় মত নামাজ পড়ার উপায় নাই, জামাত ধরার সময় নাই, ঘুম ভাঙ্গে না অথবা আরও কিছু। গুনাহ এবং অযথা কাজ নামাজকে ভালবাসার থেকে আমাদের দূরে সরিয়ে রাখে... আর নামাজই যার জন্য ভারী, সে আর সব বিষয়ে কিভাবে কী করবে?? একটু সিনেমা... একটা দুইটা গান... একটু গীবত... সামান্য একটু নন মাহরামের সাথে আড্ডা দেয়া... সামান্য একটু এটা... একটু সেটা... শয়তান এসব দিয়ে আমাদের বোকা বানিয়েই চলেছে... এদিকে তছনছ হয়ে যাচ্ছে নামাজের মত একদম বেসিক জিনিস... আর আমরা বোকার মত ভাবি, একটু ওসব করলেই বা কী হয়??? অনেক কিছু হয়! অ-নে-ক কিছু!!!

---collected from
Sister Nayla Nuzhat

আমাদের কুরআনের কাছে ফিরতেই হবে

​​
​​
আমাদের আদাবের ঘাটতির (আমার নিজেরও) একটি বড় কারণ হোলো তাদাব্বুর বা কনটেমপ্লেশানের সাথে কুরআন না পড়া। এটি একটি অবাক করার মতো ব্যাপার যে আমরা এত বড় একটা ফ্র্যাটারনিটি কুরআনের সাথে এতো লুজ কানেকশান রাখি! যে বইয়ের রচয়িতা স্বয়ং আল্লাহ্‌ যেই বইটির ব্যাপারে এত কম আগ্রহ থাকা একটা অদ্ভুত ফেনোমেনন। যারা আল্লাহ্‌কে মানেন না বা কুরআনের আল্লাহ্‌র ব্যাপারে যাদের ঈমান দুর্বল, তাদের অনীহা বোঝা সম্ভব, কিন্তু আমরা যারা দাবী করি যে আমরা এই আল্লাহ্‌কেই মানি তাদের অনীহা আশ্চর্যজনক।

আল্লাহ্‌র রাসূল (সা:) বলেছেন যে নিশ্চয়ই তাকে পাঠানো হয়েছে কেবল উত্তম চরিত্রকে পূর্ণতা দিতে। অপরদিকে 'আইশা (রা:)-কে যখন জিজ্ঞেস করা হোলো আল্লাহ্‌র রাসূল (সা:) কেমন ছিলেন সে ব্যাপারে - তিনি উত্তর দিলেন যে তার চরিত্র ছিলো কুরআন। এ দুটি তথ্যকে আমরা এক করলে বুঝতে পারব যে উত্তম বা সচ্চরিত্রের গুরুত্ব কতটুকু এবং এর সাথে কুরআনের কীভাবে ওতপ্রোত ভাবে জড়িত।

আমাদের কুরআনের কাছে ফিরতেই হবে।

Courtesy: Asif Shibgat Bhuiyan

তাজওয়ীদ এর পড়াশুনা

পাকিস্তানের একজন ইসলামিক স্টাডিজের শিক্ষক অফিসিয়াল ট্যুরে ভ্যাটিকান গিয়েছিলেন। তারা সেখানে উচ্চতর একদল পাদ্রীর সাথে সাক্ষাত করেছিলেন।

ওই শিক্ষক একজন পাদ্রীকে জিজ্ঞেস করলেন: "তোমাদের কি এমন কোন উক্তি জানা আছে যা শতভাগ ঈসা আলাইহিস সালাম বলেছেন তাতে নিশ্চিত?"

পাদ্রী ঈষৎ লজ্জিত বোধ করলেন কিন্তু সততার সাথে উত্তর দিলেন যে, "এমন কোন উক্তি জানা নেই যা পরিপূর্ণভাবে যাচাই করা যায়- কেননা তিনি যে ভাষায় কথা বলতেন তা হারিয়ে গেছে।"

এরপর পাদ্রী জিজ্ঞেস করলেন, "মুসলিমদের আছে কি"?

"তোমাদের কি এমন উক্তি জানা আছে যা শতভাগ মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] বলেছেন নিশ্চিত?"

ওই শিক্ষক মৃদু হাসলেন। আর বললেন, "আমাদের কেবল আমাদের কেবল নবীর [সাল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] সুনিশ্চিত আর সন্দেহাতীত কথা সম্বলিত বইয়ের সংগ্রহশালাই রয়েছে তা নয়, আমাদের একটি বিজ্ঞান [science] রয়েছে, যার নাম 'তাজওয়ীদ' [Tazweed]"। তাজওয়ীদ এর পড়াশুনা হচ্ছে, প্রত্যেকটি ধ্বনি আর বর্ণ যেভাবে নবী [সাল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] উচ্চারণ করতেন তদানুযায়ী শিক্ষা দেয়া !"

সকল প্রশংসা আল্লাহ্ তা'আলার, যিনি আমাদের দ্বীনকে এভাবে হিফাজত করেছেন।

Collected From
Brother
Sayyid Mahmud Gaznabi

মুসলিমদের বিরুদ্ধে হিন্দু-খৃষ্টান বৌদ্ধ ঐক্য

অন্য ধর্মাবলম্বীদের সাথে মুসলিমরা যে জায়গাটিতে পিছিয়ে আছে, তা হল একতা।অথচ ইসলামেই ভ্রাতৃত্বকে সবচেয়ে বেশি জোর দেয়া হয়েছে!

ইহুদীদের কথা না-ই বা বললাম।বাংলাদেশের হিন্দু, বৌদ্ধ বা খ্রিষ্টানরা কিন্তু কম একতাবদ্ধ নয়।ক্লোজ-আপ ওয়ান তোমাকেই খুজছে বাংলাদেশ সঙ্গীত প্রতিযোগিতায় নিশিতা বড়ুয়া নামে এক হেড়ে গলার মেয়ে বহু মেধাবী প্রতিযোগীকে টপকে তৃতীয় হয়েছিল কেবল বড়ুয়া বলে।বৌদ্ধরা নিজেরা তো ভোট করেছেই এমনকি তাদের অধীনস্ত কর্মচারী, সিএ ফার্মের ছাত্রদেরও ভোট করতে বলেছিল।মজার ব্যাপার হল, আমরা মুসলিমরাই দেশপ্রেম ঈমানের অঙ্গ মেনে নিয়ে হিন্দু বৌদ্ধ সকলকে আপন করে নেই।ওরা কিন্তু ধর্মকে দেশের উপরে স্থান দেয়।
#supportgaza হ্যাশট্যাগ এ আমার লেখাগুলোতে এক বাংলাদেশি খ্রিষ্টান খুব বাজে মন্তব্য করেছিল।তারমানে সে বাঙালী, আমরাও বাঙালী-এই মর্মে সে একমত হতে পারেনি বরং সে খ্রিষ্টান, আমরা মুসলিম এতে তারকাছে ইহুদীরা বাঙালী মুসলিমের থেকে আপন মনে হয়েছে! হোক সে পাপী, তবুও!

ঢাকায় অনেক এলাকাতেই cp chicken নামে ফাস্টফুডের দোকান আছে।আমি এর মালিককে চিনি। তিনি একজন বৌদ্ধ।প্রতিটি দোকানের খাবার তার ওখান থেকেই সাপ্লাই হয়।বাবুর্চীও বৌদ্ধ।এবং তারা আল্লাহু আকবার বলা দূরে থাক, মুরগী মেশিনে প্রসেস করে যা কিনা একেবারেই হারাম আমাদের জন্য।

আমাদের অনেকেই বিধর্মী বন্ধুবান্ধব রয়েছে।এদের সাথে মেশার সময় একটা কথা মাথায় রাখা সবার আগে প্রয়োজন, এরা পথভ্রষ্ট।যাদের মত না হওয়া থেকে আমরা দিনে কমপক্ষে আঠারোবার সূরা ফাতিহায় আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাই, তাদেরকে জানি দোস্ত বানানো কি করে সম্ভব!হয়ত সে খুব ভাল।একজন মুসলিমের থেকেও ভাল।
মাদার তেরেসাও কিন্তু ভাল ছিলেন!

এর নামই ইবাদাত, এটাই দাসত্ব।আমার কাছে সে যত ভালই হোক না কেন, আল্লাহর কাছে সে বিপথগামী।আর তাই আমাদের কর্তব্য হল তাদের পুজোর প্রসাদ না খেয়ে তাদের সঠিক পথে আহবান করা।তাদের সাথে ভাল ব্যবহার করা, আন্তরিক ব্যবহার নয়। আর তাদের সাথে দূরত্ব বজায় রাখা।

-- ফারিজা বিনতে বুলবুল

ঘরে থাকা কি নারীর জন্য অপমানের? আপনি কি ভাবছেন?

আমার মা একজন গৃহিণী। আমার ২১ বছরের জীবনে খুব কমই তাঁকে বিশ্রামরত অবস্থায় দেখেছি। সেই ভোরবেলা থেকে তাঁর সংগ্রাম শুরু হয়, যা গভীররাতে গিয়ে থামে। আমাদের চার ভাইবোনকে বলতে গেলে তিনি একা হাতে মানুষ করেছেন। বাবা অফিস করতেন, আর বাসায় বিশ্রাম করতেন। ছেলেমেয়ের পড়াশোনা এবং অন্যান্য বিষয়াদি সম্পর্কে তিনি খুব বেশি ওয়াকিবহাল ছিলেন না। এ ব্যাপারে বলতে গেলে পুরো দায়িত্বই ছিল মায়ের উপর। আমি জোর গলায় বলতে পারি সন্তানদের প্রতি তিনি যতটা কেয়ার নিয়েছেন এবং সময় দিয়েছেন খুব কম মা ই এতটা শ্রম দিতে পারেন। প্রায় সারাটা জীবন তিনি সংসারের পেছনে এতটা শ্রম দেওয়ার পরও রোকেয়া প্রাচীদের ভাষায় তিনি কোন কাজ করেননি, 'ঘরে বসে ছিলেন'। কেন? কারণ তাঁর শ্রমের বিনিময়রূপ তিনি কোন অর্থ পান নি। কর্পোরেট দুনিয়া আমাদের আজ শেখায়, সেটাই হল "কাজ" যার দ্বারা অর্থ উপার্জন করা যাবে। কাজেই নারীদের "ঘরে বসে থাকা" দূর করতে তারা শেখালো পুরুষের মত মেয়েরাও বাইরে কাজ না করলে তাদের মর্যাদা নেই। তাই আমার মা'র সারাজীবনের পরিশ্রম এদের কাছে মূল্যহীন, কিন্তু যে নারীরা পণ্যের মডেল হয়ে দুটো টাকার বিনিময়ে শরীর দেখায়, তারা "কর্মজীবী" নারী !! একজন নারী নিজ সংসারের দায়িত্ব পালন করলে সেটা 'শ্রম' না, কিন্তু অন্যের বাড়িতে ক'টা টাকার বিনিময়ে কাজ করে বাড়ির মালিকের গালি শুনলে সেটা হয় "শ্রম" !! সমাজের ভারসাম্য সেইদিন নষ্ট হয়েছে, যেদিন মেয়েদের মাথায় ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে যে পুরুষের সঙ্গে তার সম্পর্ক সহযোগিতার নয়, প্রতিযোগিতার। মেয়েদের শেখানো হল তাদের "পুরুষ" হওয়ার চেষ্টা করতে হবে, নইলে কোন দাম নেই। নারীর সম্মান "নারীত্বে" নয়, "পুরুষত্বে", পুরুষের অনুকরণ করার মধ্যেই নারীর সম্মান। পুরুষের সাথে প্রতিযোগিতা না করলে নাকি সমাজে টেকা যাবে না। সেই প্রতিযোগিতার নাম দিয়ে মেয়েদের রাস্তায় নামিয়ে পণ্য বানানো হল। বিজ্ঞাপনের মডেল বানিয়ে ভোগের বিপনন হল। পুরুষের শেভিং ক্রিমের বিজ্ঞাপনে অপ্রাসঙ্গিকভাবে স্বল্পবসনা নারীর উপস্থিতি কীভাবে নারীর সম্মান বৃদ্ধি করে, আমার মাথায় ঢুকে না। তীব্র শীতের মধ্যেও পুরুষের চোখে কমনীয় হতে কাপড় না খুললে নারীরা যেখানে দাম পায় না, সেই পাশ্চাত্য সমাজ যখন মেয়েদের অধিকার আর মর্যাদার মাপকাঠি নির্ধারণ করে দেয়, তখন এমনটা হওয়াই স্বাভাবিক। মুখে 'আত্মনির্ভরশীলতার' বুলি ফুটিয়ে পুরুষের "কামনা পূরণের ম্যাটেরিয়াল" হিসেবে ধরিয়ে দিয়ে এরা নিজেদের ব্যবসার মূলধন যোগাড়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। ইসলাম নারীদের মর্যাদা নির্ধারণ করেছে স্ত্রীত্বে, মাতৃত্বে; পুরুষের অনুকরণ করার মধ্যে নয়। ইসলামে নারী ও পুরুষ পরস্পরের পরিপূরক, প্রতিযোগী নয়। একে অন্যের উপর নির্ভরশীল। দুজনের ক্ষেত্র পৃথক, সম্মানের মানদণ্ডটাও পৃথক। সমানাধিকারের নামে নারী-পুরুষ উভয়কে অপমান করার প্রথার এখানে জায়গা নেই। ইসলাম নারীদের হিজাব পালন করে হালাল রুজি অনুসন্ধানে বাধা দেয় না। কিন্তু ইসলাম নারীবাদীদের মত কখনোই বলে না, বাইরে কাজ করার মধ্যেই মেয়েদের সম্মান নিহিত। ইসলামে সর্বোচ্চ সম্মানিত চারজন নারীর কেউই ব্যবসা বা আউটডোর ওয়ার্কের জন্য এ মর্যাদা পান নি, বরং একজন মা হিসেবে, স্ত্রী হিসেবে বা কন্যা হিসেবে পূর্ণরূপে দায়িত্ব পালনেই এ সম্মানের অধিকারিণী হয়েছেন। সমাজে পুরুষ আর নারীর রোলের তুলনাটা Nazmus Sakib ভাই চমৎকারভাবে তুলে ধরেছেন ফুটবল দলের মাধ্যমে। একটা ফুটবল দলে গোলকিপার, ডিফেন্ডার, স্ট্রাইকার সবাই থাকে এবং সবার আলাদা আলাদা দায়িত্ব আছে। এখন আপনি বলতে পারবেন না কার কাজটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ, আর কারটা কম। এখন আপনি গোলকিপারকে স্ট্রাইকারের জায়গায় বসিয়ে স্ট্রাইকারকে গোলকিপিং করতে দিয়ে কি জেতার আশা করতে পারেন? কিংবা স্ট্রাইকার যদি বলে-"আমাকে গোলকিপিং করতে না দিয়ে আমার অধিকার ক্ষুণ্ণ করা হয়েছে" তাহলে কি যুক্তসংগত দাবি হবে? তেমনি নারী-পুরুষের স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য থাকা সত্ত্বেও তাদের সকল দিক থেকে "সমান" বানানোর প্রচেষ্টা কি সমর্থনযোগ্য? এতে কি উভয়কেই অসম্মান করা হচ্ছে না? একজন মা তার সন্তানকে একজন আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার মাধ্যমে আল্লাহ্‌র কাছে যে সম্মানের অধিকারিণী হন, বাইরে চাকরি করে কস্মিনকালেও সেটা পাবেন না। আবার বাইরে কাজে বেশি সময় দেওয়ায় যদি সন্তান তার হক্ব থেকে বঞ্চিত হয়, তবে তাকে জবাবদিহি করতে হবে আল্লাহ্‌র দরবারে। বাইরে কাজ করতে নিষেধ নেই বটে, কিন্তু সেটার প্রতিই বেশি জোর দেওয়ায় যে আমাদের সমাজের কত নারী নিজ পরিবারের প্রতি দায়িত্বে অবহেলা করে গুনাহগার হচ্ছেন, তা আমরা হিসাব করে দেখছি কি? অনেকে আপত্তি জানিয়ে বলবেন, কিন্তু এমন অনেক ক্ষেত্র আছে, যেখানে মেয়েদের কাজ করা আবশ্যক। যেমন গাইনির ডাক্তার, নার্স, শিক্ষকতা ইত্যাদি। কথাটা অবশ্যই সত্য এবং আমি তা বিশ্বাসও করি। আমি এক্ষেত্রেও ফুটবলের উদাহরণটা টানব। একজন ডিফেন্ডারের প্রধান কাজ গোল বাঁচানো এবং স্ট্রাইকারের কাজ গোল দেওয়া, তার মানে কি এমন যে স্ট্রাইকার গোল সেভ করতে বা ডিফেন্ডার গোল দিতে পারবেন না? বরং অনেকসময় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় যে এটাই আবশ্যক হয়ে পড়ে। যেমন একজন ডিফেন্ডার যদি প্রতিপক্ষের গোলমুখে বল পেয়ে যান, তখন কি তিনি স্ট্রাইকারকে বল দেওয়ার অপেক্ষা করবেন? তাহলে তো গোল মিস হয়ে যাবে। আবার একজন স্ট্রাইকার যদি নিজের দলের ডি বক্সে থাকেন আর তখন প্রতিপক্ষ আক্রমণ করে, তিনি কি সেভ করার চেষ্টা করবেন না? বরং সেটা না করলেই বিপদ। কিংবদন্তি ডিফেন্ডার রবার্তো কার্লোস বেশকিছু গোল করেছেন আবার মেসিও অনেক সেভ করেছে। তারমানে কিন্তু এই না যে আমরা কার্লোসকে গোল করা বা মেসিকে গোল সেভের জন্য মনে রাখব। তেমনি অনেক পেশায় নারীদের অংশগ্রহণ আবশ্যক বটে, কিন্তু তার মানে এই না যে ঐসকল পেশাই নারীদের প্রকৃত মর্যাদার জায়গা। আসলে সেক্যুলার সমাজ পরিবারের প্রতি নারীদের পবিত্র দায়িত্ব পালনকে কোন কাজ হিসেবে গণ্য করে না, নারীরা যেন তাদের কথামত চলে এই আশায়। নারীদেরকে পুরুষের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে উপস্থাপন করে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করে নিচ্ছে, আর আমরাও নিজেদের বিবেক-বুদ্ধিকে কাফিরদের কাছে বন্ধক রেখে মেয়েদের সম্মান দেওয়ার নামে নারী-ব্যবসায়ীদের হাতের পুতুল করে ছেড়ে দিচ্ছি। আল্লাহ্‌ আমাদের মাফ করুন এবং নিজ নিজ সম্মানের প্রকৃত ক্ষেত্র উপলব্ধির সামর্থ্য দান করুন।

-- জুবায়ের হোসেন

কেন ইসরাইলি পন‍্য বর্জন করবেন?

কেন ইসরাইলি পন‍্য বর্জন করবেন? করে কতটুকুই বা ওদের প্রতিরোধ করতে পারবেন? ইসরাইলি রা ব‍্যবসা বানিজ‍্য আর বুদ্ধির জোরে আজ এই অবস্থানে।অযোগ্য মুসলিম নেতৃত্ব ও কম দায়ী নয়। পন‍্য বর্জন করতে গিয়ে দেখলাম খাবার নুডলস,দুধ, কফি থেকে শুরু করে দেখলাম চুলের শ‍্যাম্পু,প্রসাধনী, সবরকম আইটি পন‍্যের বাজার ইসরাইল এর দখলে! মানুষও দেদার কেনে, পন‍্যের কোয়ালিটি ভাল। ওরা সর্বক্ষেত্রে ব‍্যবসা করছে, অর্থনীতি শক্তিশালী করছে। আর এসব অর্থ ব‍্যায় করছে আধিপত্য বিস্তার আর মুসলিম নিধনের জন‍্য। যার হাতে টাকা আছে, সব কিছুই তার,পূজিবাদী দুনিয়া। পন‍্য বর্জন হলে ব‍্যাবসায় ধ্বস নামবে,অর্থনীতি দূর্বল হবে, আধিপত্য ও কমবে, তবে এতো সহজে না। কোকের বাজারে অলরেডি ধ্বস নেমেছে! আর দেখুন ইসরাইলি রাও করিৎকর্মা। তারা তাদের পন‍্যের বার কোড ৭২৯ চেন্জ করেছে খুব দ্রুত, আমাদের অলস সৌদি বাদশার মতো ২৭ দিন পর একটা বিবৃতি দিয়ে দায়মুক্ত হয়নি। হোক না পন‍্য বর্জনের ডাক একটা ছোট একটা উদ‍্যোগ,কিন্তু একটা মেসেজ তো গেল মুসলিমদের পক্ষ থেকে! যতদিন মার খেয়ে প্রতিবাদ করবেন না, ততদিন আপনি মার খেতেই থাকবেন! আমরা তো খালি অসাম্প্রদায়িক এই কথা বলতে বলতে মুখে ফেনা তুলে ফেল্লাম, কিন্তু ওরা তো ঠিকই সাম্প্রদায়িক, মুসলমান মহিলার দুনিয়া না দেখা গর্ভের শিশুটাকে বুলেটে গেথে পরপারে পাঠিয়ে দিচ্ছে। অসাম্প্রদায়িক আমেরিকা- জাতিসংঘ ও এই সাম্প্রদায়িক মুসলমান খুনের নারকীয় তান্ডবে ক্রমাগত ইসরাইলিদের সমর্থন দিচ্ছে। আর কতো?আর কতো মুসলিমের রক্ত হলে তোরা মাসুম বাচ্চাটাকে মেরে ফেলবি না? বউঝিদের ইজ্জত কেড়ে নিবি না? আর কতো রক্ত হলে প্রেয়সী স্ত্রী র বুক থেকে স্বামী কেড়ে নিবি না? আর কতো রক্তের সাগর হলে তোরা সন্তানদের এতিম বানিয়ে দিবি না? মা বাবার বুক খালি করবি না? কতো? কতো? কতো? বহু ঘুমিয়েছেন,এবার জেগে উঠুন। আজকে মনে করছেন আপনি তো সেইফ,ইসরাইল --আমেরিকা কিছু করবেনা আপনাকে! আফসোস বড়ই ভুলের মধ‍্যে আছেন, চোখ মেলে পাকিস্তানের দিকে দেখুন। ওদের তো পারমাণবিক বোমা আছে, তাও তারা ড্রোনের আঘাতে ছাতু হচ্ছে প্রতিদিন। নেক্সট হতে পারেন আপনি...... জাস্ট উঠে দাড়ান, ঘুরে দাড়িয়ে প্রতিবাদ করুন, দারুন কিছু হয় কিনা দেখুন!

-- মারিয়া কিবতিয়া

শর্ত হৈল নর পাজামা পরিধান করিবে টাখনুর ঊর্ধ্বে এবং নারী পরিধান করিবে পদযুগল ঢাকিয়া

​​
শর্ত হৈল নর পাজামা পরিধান করিবে টাখনুর ঊর্ধ্বে এবং নারী পরিধান করিবে পদযুগল ঢাকিয়া... তবে বাঙালি নর নারীর অবস্থা দৃষ্টে বোধ আসিল, একে অপরের আমলখানা অত্যন্ত দায়িত্বশীলতার সহিত তাহারা পালন করিতে আগ্রহী! নরের পাজামা পাদুকার তলে নামিয়া সড়ক সাফে ব্যস্ত এবং নারীর পাজামা রীতিমত সহীহ্ তরিকায় টাখনু হৈতে ঊর্ধ্বমুখে যোজন দূরত্বে অবস্থানরত! বড্ড বিচিত্র এ জনতা..

-- নাজমুস সাকিব

ফেইসবুকের শস্তা জনপ্রিয়তা আপনার কাজের মূল প্রেরণা যেন না হয়

"এরিক হবস্‌বম তার "How to Change the World: Tales of Marx and Marxism" গ্রন্থটিতে একটা সুন্দর তুলনামূলক আলোচনা করেছেন হারবার্ট স্পেনসার ও কার্ল মার্ক্স-এর মাঝে। দুজনেই সমসাময়িক ছিলেন। জীবদ্দশায় স্পেনসারকে তার সময়ের অ্যারিস্টটল মনে করা হোত। জনপ্রিয়তা ছিলো তুঙ্গে। অপরদিকে মার্ক্সের মোটামুটি নুন আনতে পান্তা ফুরায় টাইপের অবস্থা। কেউই তেমন একটা চেনে না। বন্ধু এঙ্গেলসের সাহায্যে চলতেন। অথচ মৃত্যুর পর কার্ল মার্ক্সের কাজ নিয়ে যে আলোড়ন তৈরি হোলো তা এখনও জারি রয়েছে। স্রেফ গুগ্‌ল সার্চ দিলে যে কয়জন গ্রেটদের নাম আগে আসে তাদের মাঝে কেবল ডারউইন আর আইনস্টাইনই তার আগে। কম্যুনিজ্‌মের আপাত মৃত্যু হলেও মার্ক্সের তাৎপর্য এখনও ফুরায়নি বরং তার কাজ নিয়ে স্টাডি নতুন করে আবার চাঙা হচ্ছে (ইন ফ্যাক্ট হবস্‌বমের বইটি এই বিষয়েই)। অপরদিকে স্পেনসারের ব্যাপারে যা কিছু কথা এখন হয় তার সবই অ্যাকাডেমিক। তার কাজের কোনও প্র্যাকটিকাল সিগনিফিকেন্স আর নেই। একই গোরস্তানে দুজনের কবর। একজনের কবরে ভারত বা চায়না থেকে ভক্তরা রেগুলার জিয়ারত করে যায়। আরেকজনের কবর যে ওখানে সেটাই মানুষ জানে না।

যেসব মুসলিম ইসলাম নিয়ে কাজ করছেন তাদের এখান থেকে আসলে লেসন নেয়া উচিৎ। ফেইসবুকের শস্তা জনপ্রিয়তা আপনার কাজের মূল প্রেরণা যেন না হয়। মানুষকে যথেচ্ছ লাইক বা শেয়ার পেতে দেখে বিভ্রান্ত হবেন না। এসবের আবেদন ক্ষণস্থায়ী। ইসলামের কাজে গভীর অধ্যবসায় করুন। মানুষের অলক্ষ্যেও যদি থেকে যান তাতে কোনও সমস্যা নেই, ক্ষতি নেই। আপনার সারা জীবনের কষ্টার্জিত জ্ঞান ও কর্ম দিয়ে আল্লাহ্‌ কখন মানুষকে উপকৃত করবেন তার কোনও ঠিক নেই। শস্তা জনপ্রিয়তার লোভে স্ট্যাটাস প্রসব করার চেয়ে সেই কাজ ঢের ভালো হবে। আল্লাহ্‌র সুন্নাহ হচ্ছে যে তিনি দুনিয়াতে অমুসলিমদের কাজেও পরিশ্রম ও অধ্যবসায়ের মূল্যায়ণ করেন। সেখানে মুসলিমদের ক্ষেত্রে এর অন্যথা হওয়ার প্রশ্নই আসে না।"

-- আসিফ সিবগাত ভূঞা