ধাক্কা

আমরা প্র্যাক্টিকাল লাইফে 'ধাক্কা' জিনিসটাকে খুব ভালোভাবে নিতে পারি না। যে কোন লক্ষ্যে পৌঁছাতে গিয়ে যখন পদে পদে ধাক্কা খেতে হয়, তখন হতাশা আমাদের আষ্টেপৃষ্ঠে চেপে ধরে। অনেক ক্ষেত্রে ধাক্কার বল এতই প্রবল হয়, যে তা লক্ষ্য থেকে সরিয়ে বহু দূরে গিয়ে নিক্ষেপ করে আমাদের।

তবে এই ধাক্কার মাঝেও রয়েছে কল্যাণ। অনেক দ্বীনী ভাই দেখেছি, যারা জীবনে নানা ক্ষেত্রে প্রকান্ড একটা শক খেয়ে জীবনকে চিনেছেন। বুঝেছেন জীবনের সত্যিকারের অর্থ। চিনেছেন তার রব্ব কে।

ক্রিকেটার আশরাফুল ম্যাচ গড়াপেটা কেলেঙ্কারিতে পড়ে গোটা জাতির সামনে কেঁদেছিলেন। এখন গ্ল্যামারাস খেলা থেকে বহু দূরে তিনি। শুনেছি নামায কালাম পড়ছেন। দাড়ি রেখেছেন।

একসময়কার বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান আফতাব আহমেদ। আইসিএলে গিয়ে ক্যারিয়ারের ১২ টা বাজিয়ে এখন নিতান্তই একজন ফ্যামিলি ম্যান। প্রায়ই দেখা হয় পাড়ার মাসজিদে। বেশ কিছুদিন নিয়মিত মাসজিদে আসছেন। মুখে ঘন দাড়ির আস্তরণ দেখে জিজ্ঞেস করলাম, "রেখে দিবেন নাকি?", সন্তুষ্টির হাসি মুখে ঝুলিয়ে জবাব দিলেন "ইনশাআল্লাহ"।

কিছু কিছু ধাক্কা, আল্লাহর নিয়ামত সহ আসে। আমরা অনুধাবন করি তো?

--- Nazmus Sakib

আমরা সবাই আসলে অকৃতজ্ঞ

১) মেয়েটি তার ওয়্যারড্রোব খুলল; দুই ডজনের অধিক পোশাক লাল, হলুদ, কমলা, পিঙ্কসহ আরো হরেক রং সেখানে ঝুলছে। দ্রুত এক নজর দেখে নিয়ে সপাটে দরজা লাগিয়ে দিল।

"মা আমার পার্টিতে পরার মত কিছুই নেই, কতদিন ধরে বলছি শপিংয়ে চল, তুমি তো আমার কথা শোনই না, এখন আমি কি পরে যাব?"

২) ছেলেটি চতুর্থ বারের মত ফ্রিজে কিছু খুঁজছিল; পিৎজা, চকলেট, আইসক্রিম, ফল-মুল আর জুস থরে থরে সাজানো রয়েছে। সে হতাশ হয়ে ফ্রিজের দরজা বন্ধ করল আর রান্নাঘর ছাড়তে ছাড়তে বলছিল, " এখানে খাওয়ার মত তেমন কিছুই নাই, চল কোন ক্যাফেতে যাই আর ভাল-মন্দ কিছু খাই।"

৩) সে নিত্যদিনের মত বিষণ্ণতা আর ভয় নিয়ে ঘুম থেকে জেগে উঠল; যা প্রতিদিন সকালের রোজনামচা। সুইসাইডের প্রবণতা তার মাথায় আবার চড়তে শুরু করেছে। তার বিয়ে হয়েছে এক সুদর্শন পুরুষের সাথে, রয়েছে দুটো ফুটফুটে বাচ্চা, বাড়ি আর গাড়ি; একজন নারী যার স্বপ্ন বুনে তার সবি। আপাতদৃষ্টিতে, জীবন খুবই পারফেক্ট মনে হলেও কিসের যেন শুন্যতা। কেন জানি সে তার স্বপ্নের পুরুষের সন্ধান পায় নি।

৪) সতের বছরের টিনএজার ছেলেটির আই-ফোন, কোর আই-৭ ডেল, ১০০০ ডলার পকেটমানি পাওয়া সত্ত্বেও তার মতে জীবন খুবি ম্যাড়ম্যাড়ে। সে কিছুতেই টেক্সটে মনোযোগ দিতে পারছে না। সে বই নিক্ষেপ করার মত করে বন্ধ করল আর ভাবছে, "আমার বন্ধুর জাগুয়ার (গাড়ির ব্রান্ড) থাকতে পারলে, আমার কেন থাকবে না?"

এই দৃশ্যপটগুলো কি পরিচিত ঠেকছে?

অকৃতজ্ঞতাবোধের স্বভাব। আমাদের বেড়ে উঠার প্রক্রিয়ায় উথপ্রোতভাবে যেন জড়িয়ে আছে অকৃতজ্ঞতা আর আল্লাহ্‌র অসংখ্য নিয়ামতের প্রতি অন্ধত্ব! আমরা আমাদের সর্বশক্তি ব্যয় করি আমাদের জীবনে কি নেই তারই সালতামামিতে। এটা খুবই বিদ্রূপাত্মক, এই হাপিত্যেশ আমাদের কেবলি কষ্ট বাড়ায়।

এই সকল নেতিবাচক চিন্তা আমাদের হতাশার কৃষ্ণগহ্বরে পরিণত করে। তাই আমাদের উচিত আমাদের চিন্তা-চেতনাকে সতর্কতা আর সজ্ঞানের সহিত দিকনির্দেশনা দেয়া।

ইতিবাচক চিন্তাকে এর সমাধান হিসেবে আধুনিক মনস্তত্ত্ববিদরা সাম্প্রতিককালে প্রাকৃতিক নিয়ম হিসেবে উদ্ভাবন করতে সক্ষম হলেও কুরআন এই সমস্যার স্বরূপ আর সমাধান দিয়েছে ১৪০০ বছর আগেই:

"এবং যে আমার স্মরণ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে, তার জীবিকা সংকীর্ণ হবে এবং আমি তাকে কেয়ামতের দিন অন্ধ অবস্থায় উত্থিত করব।" [সুরা ত্ব-হাঃ ১২৪]

"যখন তোমাদের পালনকর্তা ঘোষণা করলেন যে, যদি কৃতজ্ঞতা স্বীকার কর, তবে তোমাদেরকে আরও দেব এবং যদি অকৃতজ্ঞ হও তবে নিশ্চয়ই আমার শাস্তি হবে কঠোর।" [সুরা ইব্রাহীম: ০৭]

Collected From
Brother
Sayyid Mahmud Gaznabi

আধুনিকতা ও নষ্টামো কি একই জিনিস? এই লেখাটি না পড়লে মিস করবেন

মুরুব্বীদেরকে বলতে শুনেছি যত দিন যাবে তত মানুষজন থেকে লজ্জা কমে যাবে।
.

আমি বিষয়টাকে একটু অন্যভাবে দেখি।

আমার মতে, আমরা জাতিগতভাবে যে দুইশ' বছর ওয়েষ্টের গোলাম/দাস ছিলাম, সে দুইশ বছরে আমাদের জাতীয় রক্তে-চিন্তায়-ব্রেনে-শরীরের প্রতিটা সেলের ডিএনএ'র ভিতর দুইশ' বছর আমাদেরকে যারা শাসন করেছে সেই সাহেবদের মত হওয়ার একটা সুপ্ত বাসনা ভীষন শক্তভাবে ঢুকে গেছে।
.

আমরা তাই 'স্বাধীন' হয়েছি ঠিকই, কিন্তু আমাদের মন-মানসিকতা-চিন্তা-ভাবনা এখনো কলোনাইজড।
.

তারই ফসল, সাহেবদের নির্লজ্জ্বতার সাথে প্রতিযোগীতা দিয়ে ডেকচির চে' ঢাকনা গরমের মত সাহেবদেরকে টেক্কা দিয়ে তাদের চে'ও বেশী নির্লজ্জ্ব হওয়ার চেষ্টা!
.

আমাদের কাছে তাই 'মডার্ণ' হওয়ার সংজ্ঞা হলো ওয়েষ্টের কালচার/ড্রেসাপ কে adopt করে নেয়া।
.

উদাহরণ- যখন কোনো মেয়ে খোলা-মেলা কাপড় পড়ে, তখন আমরা বলিনা 'মেয়েটা বেহায়া হয়ে গেছে', উলটা বলি 'বেশী মডার্ণ হয়ে গেছে'!

যখন কেউ ফেইসবুকে নিজেদের অন্তরংগ ছবি দিচ্ছে, আমরা বলিনা 'এ বেয়াদব হয়ে গেছে', উলটা বলি 'আজকালকার ছেলেমেয়েরা বেশী ফাষ্ট হয়ে গেছে'!
.

ফাষ্ট হওয়া, মডার্ণ হওয়া, আধুনিক হওয়ার সংজ্ঞা আমাদের কাছে 'ওয়েষ্টের মত হওয়া'!

(দুঃখজনক হলো, ওয়েষ্টের ভাল জিনিষ না নিয়ে আমরা তাদের খারাপগুলোই নেই আর সেই খারাপ দিকগুলোকেই মডার্ণ/আধুনিক বলি!)
.

ওয়েষ্টের কালচারে লজ্জা-শরমের জায়গা বলতে গেলে নেইই।

মা-বাবা'র সামনেই ছেলে তার গার্লফ্রেন্ডকে চুমু খাচ্ছে, বা মেয়ে তার বয়ফ্রেন্ডের কোলে উঠে যাচ্ছে, কেউ কেয়ার করেনা।
.

দুঃখ লাগে যখন ওয়েষ্টকে ফলো করতে করতে তথাকথিত 'মডার্ণ' হতে গিয়ে আমাদের সমাজের মানুষজনকেও দেখি prototyped আচড়ণ করতে।

আর তাই করতে গিয়ে, ডেকচির চেয়ে ঢাকনা গরমের মত, ওয়েষ্টেও মানুষজনও যা করেনা, এখানে তারা তাও করতে ছাড়েনা!
.

মা-বাবা'র সামনেই নিজের জামাই বা বউ'র সাথে গা ঘেষাঘেষি করে বসে থাকা।
মুরুব্বীদের সামনেই একজন আরেকজনকে জড়ায়ে ধরে ছবি তোলা।
এসব দেখলাম একদম কমন বিষয়!
.

এবার বাংলাদেশে একটা ঘটনা চোখের সামনে দেখে একদম stunned হয়ে গিয়েছিলাম।
ঢাকার বসুন্ধরা মার্কেটে একটা ছেলে একটা মেয়ে মারামারি করছে!
ছেলেটা মেয়েটার হাত মুচড়ে ধরেছে, মেয়েটা বাকী খোলা হাতটা দিয়ে ঠাস করে ছেলেটাকে ভীষন একটা চড় লাগিয়ে দিলো!

আমি হতভম্ব।

জীবনে এরকম প্রকাশ্যে ছেলে-মেয়ের মারামারি দেখিনি, তাড়াতাড়ি থামাতে যাবো ভাবছি, তখন শুনলাম, মেয়েটা বলছে, তোর প্রেমের থোড়াই কেয়ার করি! ছাড় শালা!

আর ছেলেটাও সাথে সাথে চড়া গলায় বললো, তোকে যদি আর কোনোদিন অমুকের সাথে দেখছি, একদম হাত ভেংগে দিবো।

আমি হতভম্ব হয়ে এক্সসেলেটরের নীচে দাঁড়িয়ে আছি।
পিছন থেকে একজন বললেন 'আপু, রাস্তা ছাড়েন। এসব নাটক সস্তা হয়ে গেছে। দেখার কিছু নেই'!

আমি অবাক হয়ে বললাম, তাই বলে ছেলেটা মেয়েটার এভাবে হাত মুচড়ে দেবে?

নির্লিপ্ত কমেন্ট শুনলাম, মেয়েটাও তো ছেলেটাকে চড় মেরেছে!

ভাবলাম, আরে, তাইতো!

এক্সসেলেটর দিয়ে উঠে এসেও কৌতুহলে একটু দূরে দাঁড়িয়ে রইলাম, দেখি এরা কী করে।

ওম্মা, একটু পরেই দেখি আরেক জোড়া ছেলে মেয়ে আসলো।
চারজন মিলে কিছুক্ষন চরম হাউকাউ করলো।

দূর থেকে কথা বুঝতে পারছিলাম না।

মিনিট খানেক পরেই আমাকে অবাক করে দিয়ে চারজন একসাথে এক টেবিলে খেতে বসলো, যেন একটু আগে কিছুই হয়নি!!

পরে কাছের মানুষদের কাছ থেকে জানলাম, এখন এমন মারামারি করাটাই প্রেম!! যারা মারামারি করেনা, তারা আবার কীসের প্রেম করে?

প্রেম এখন ঝাল-মিষ্টি-টক-টক!
.

অবাক হয়ে ভাবছিলাম, ডেকচির চেয়ে আসলেই দেখি ঢাকনা গরম!

অস্ট্রেলিয়ায় প্রকাশ্যে এমন মারামারি করলে আশেপাশের মানুষজন সোজা পুলিশকে ফোন করে দিবে, বলবে একজন আরেকজনকে এবিউজ করছে!
.

ডেকচির চেয়ে ঢাকনা গরমের আরেক নমুনা ইদানিং দেখছি ফেইসবুকে।

নিজেদের অন্তরংগ ছবি আপলোডানো তো আছেই, এসব ছবি, স্ট্যাটাস রোমান্টিকতার সীমানা পেরিয়ে যে vulgar হয়ে যাচ্ছে, অশ্লীল দেখাচ্ছে, তার কারো কোনো হুঁশ নেই।
.

মানুষজনের প্রেম আর ভালবাসা হয়ে গেছে এখন দেখানোর প্রতিযোগীতা।
কে কত দেখাতে পারে!
.

নতুন আরেকটা যে জিনিষটা এবার দেখলাম, তা হলো, একজন আরেকজনকে সবার সামনেই, এমনকি মুরুব্বেদের সামনেও, বে-ই-ই-বী, বাবুসোনা, গুড্ডু সোনা এসব ডাকা!
.

এক পরিচিত মেয়ে অনেকের সামনেই, যেখানে আমিও ছিলাম, তার বয়ফ্রেন্ডকে যখন বাবুসোনা বলছিলো, মেজাজ আর সামলাতে পারলাম না।
বললাম, 'তুমি কি জানো, গ্রাম-গঞ্জে সোনা কাকে বলে?'
মেয়েটা চোখ কুঁচকে জিজ্ঞেস করলো 'কাকে?'
বললাম, ছোট মেয়েদের শরীরের প্রাইভেট পার্টকে গ্রামে আদর করে বাবা-মা বা মুরুব্বীরা সোনা বলে। তোমার বয়ফ্রেন্ড কী তোমার শরীরের প্রাইভেট পার্ট?

এরপর ওখানে কী হয়েছিলো তা আর নাইই বলি।
.

ক'দিন দেশে থেকে যা বুঝেছি, তা হলো, মানুষজনের এ ধরনের ব্যবহার, আচার-আচড়ন মূলতঃ দু'টো কারণের ফসল।
.

এক- কলোনাইজড মন মানসিকতা- যা থেকে এসেছে ওয়েষ্টের লোকজনের চেয়েও বেশী ওয়েষ্টার্ণ হওয়ার চেষ্টা!

আর দুঃখজনক হলো, নতুন জেনারেশনের ছেলেমেয়েরা তাদের আগের জেনারেশনের চেয়ে আরো বেশী কলোনাইজড।

আগের জেনারেশনে তাও কিছুটা হলেও একটা নিজস্ব সেন্স ছিলো, নিজস্ব বোধ ছিলো।

এখনকার ছেলে-মেয়েদেরকে তিনটা 'S' দিয়ে ডিফাইন করা যায়।
Show off
Shallow
Sense-less

এরা না বাংলাদেশী, না বিদেশী! জীবনে বিদেশে না গিয়েও এরা বিদেশীদের চেয়ে দশগুন বেশী বিদেশী!
.

দুই- অজ্ঞতা।

আধুনিকতা কাকে বলে এটাই তেমন কেউ জানেনা!

আধুনিকতার সাথে modesty'র যে অন্তরংগ সম্পর্ক- তার কোনো আইডিয়াই নাই বাংলাদেশীদের সো-কল্ড 'আধুনিকতা'য়।

এরা আধুনিকতা মানেই মনে করে বলিউড আর হলিউডের মুভিতে যা দেখে তা।

অথচ এদের কোনো ধারণাই নাই যে এমনকি খোদ এমেরিকার মেইনস্ট্রীম সোসাইটির সাথে হলিউডে যা দেখায় তার সাথে তেমন কোনো মিলই নেই।
.

একেকটা কালচারের একেক রকম দিক থাকে যেগুলো সে কালচারের সৌন্দর্য্যের মত, সেগুলো তার নিজস্ব unique বৈশিষ্ট।

মানুষ হোক বা কালচার, কেউ যখন নিজস্বতা ছেড়ে দিয়ে হুবুহু অন্যের মত হয়ে যেতে চেষ্টা করে তখন বার বার কেনো যে কাকের ময়ূর-পুচ্ছ লাগিয়ে ময়ূর হতে চেষ্টা করার গল্পের কথা মনে পড়ে যায়!
.

আপনি যখন লজ্জা-শরমকে জলাঞ্জলি দিয়ে অন্যের সামনে আপনার জামাই বা বউ'র সাথে লাগালাগি করছেন,
গা ঘেষাঘেষি করছেন,
জড়ায়ে ধরে খুব রোমান্টিকলি ছবি তোলে ফেইসবুকে দিচ্ছেন,
জ্বী না, আপনি মডার্ণ হননি,
আপনি যা হয়েছেন তার নাম বেহায়া হওয়া।
তার নাম বেলাজ হওয়া।
তার নাম কাকের ময়ূর হতে চেষ্টা করা।
.

কখনো কী ভেবে দেখেছেন, আপনার আমার সবার শরীর একইরকম হওয়ার পরও আমরা কাপড় পড়ি কেনো?
সব মেয়ের শরীরই তো একই, আবার সব ছেলের শরীরইতো একই, তারপরও কেনো আমরা শরীর ঢেকে রাখি?

কারন,
কিছু জিনিষ ঢেকে রাখাতেই সৌন্দর্য্য।
কিছু কিছু ব্যবহার/আচার-আচড়নও তেমন প্রাইভেট রাখাতেই সৌন্দর্য্য।
.

কাকের মত পুচ্ছ-লাগানো কুৎসিত ময়ূর হতে চেষ্টা না করে নিজে একজন আসল ময়ূর হন।

তখন এত কষ্ট করে ফেইসবুকে ছবির পর ছবি দিয়ে, স্ট্যাটাসের পর স্ট্যাটাস দিয়ে আপনাকে বলতে হবেনা দেখো দেখো আমি কত সুন্দর! দেখো দেখো আমরা কত রোমান্টিক!
.

এন্ড বাই দ্য ওয়ে, মানুষ আপনাকে সুন্দর বললো কিনা, মানুষের কাছে আপনি রোমান্টিক কিনা তা প্রমাণ করে কী লাভ শুনি?

যে পরিমাণ effort আপনারা নিজেদেরকে অন্য মানুষের কাছে সুন্দর প্রমাণ করতে, রোমান্টিক প্রমান করতে ব্যয় করেন, তার সিকিভাগও যদি আপনি আর আপনার পার্টনার একজন আরেকজনকে প্রমান করতে ব্যয় করতেন, আপনাদের চে' সুখী আর কেউ হতো না!- এটা আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি

[Collected from sister Farjana, শিরোনাম সম্পাদক কর্তৃক প্রদত্ত]

আমার এক বন্ধুর সংসার ভাংতে চলেছে

আমার এক বন্ধুর সংসার ভাংতে চলেছে ।

... প্রায় দুই বছর চুটিয়ে প্রেম করার পর মাস ছয়েক আগে যখন তারা দুই পরিবারের সম্মতিতে বিয়ে করলো আমরা বেশ এনজয় করেছিলাম । বন্ধুটি ACCA করে বেশ ভালো বেতনেই একটা কর্পোরেট জব করছে । মেয়েটি গ্রাজুয়েশনের শেষ পর্যায়ে ।

দুই পরিবারের আর্থিক-সামাজিক অবস্থান, তাদের উপার্জন মিলিয়ে বেশ স্বাচ্ছন্দে কেটে যাবার কথা । বিয়ের কয়েক মাস পর্যন্ত বেশ আমোদেই কেটেছে ..... কিন্তু ইদানিং নাকি সম্পর্কটা সুতোর উপর ঝুলছে ।

কারণ .......... মেয়েটি 'এ্যাডজাস্ট' করতে পারছেনা !!!!!!!

বন্ধুটি বেশ আক্ষেপ করে বলছিল, 'কোনদিন এই দিনটার কথা কল্পনাও করিনি । প্রেম করার দিনগুলোতে মনে হতো সারাজীবন একে অপরকে সহ্য করবার মত ভালোবাসাটুকু দু'জনার আছে । কিন্তু ... আজ মনে হচ্ছে আসলেই ''প্রেমের বিয়ে বেশিদিন টেকেনা" ..

....'প্রেম'টা যতই গাঢ় হোক না কেন , তাতে একটা ফাঁক সবসময়ই থাকে । সেটা 'দেখনদারী' দিয়ে ঢেকে রাখা হয় । কৃত্রিমতা দিয়ে 'বাস্তবতা' আড়াল করার চেষ্টা ।

মেয়েটা কড়া মেকাপে সদ্য গজিয়ে ওঠা ব্রণগুলো ঢাকে । স্কিনের কালার উজ্জ্বল করে । বেছে বেছে সবচেয়ে ভালো জামাটা গায়ে দিয়ে ডেটিং এ যায় । খাবারে বাছ-বিছার করে... গুছিয়ে কথা বলা.. আসল 'আমি'কে গোপন করে আরেকটা ''আমি''র খোলস !!!

বিয়ের পর খোলস ছাড়া সেই মেয়েটাকে দেখে ছেলেটার মনে 'দ্বিধা' তৈরী হওয়াটা অমূলক নয় ।

বিয়ের আগে ছেলেটি মেয়েটির জন্য দামী গিফট কেনে । দামী রেষ্টুরেন্টের 'দামী বিল'' বেয়ার করে । হাঁটাদুরত্বেও সিএনজি/রিকশা লাগে । রাত জেগে ক্লান্তিহীন ফোনালাপ ... টেক কেয়ার করার পাগলামি ... একনজর দেখার অপেক্ষা .... 'পাগল প্রেমিক' বাস্তবতাকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে যায় ।

বিয়ের পর কোথাও যেতে সিএনজি তো দূর কি বাত পারলে লোকাল বাসই ভরসা । রেষ্টুরেন্টে মাসে একবার যাওয়াটাও বিলাসিতা । ফোনালাপ...টেক কেয়ার ... অপেক্ষা ... ধুর, ওসব তো ছেলেমানুষী !!!

মেয়েটি এই রুক্ষতার আড়ালেই তার 'পাগল প্রেমিকটিকে' হাতরে খুঁজে । ...কেবল দীর্ঘশ্বাস জমে বুক ভরাট হয় ।

'প্রেম'টা ঘাসফুল হয়ে ফোটে ..... ঘাসফড়িং হয়ে উড়ে যায় !!!

(Collected)

১৮ বছরের এক ছেলে "শিশু"

**নির্মম জোক্স**

১৮ বছরের এক ছেলে "শিশু" তার আম্মুকে বলছেঃ

ছেলেঃ আম্মু আমার বিয়ে করা প্রয়োজন, আমি বিয়ে করতে চাই।
আম্মুঃ ছিঃ বাবা, এসব কথা বলেনা, তোমার তো এখনো বয়স হয়নি, বিয়ে কেমন করে করবে?

ছেলে তখন একটু মন খারাপ করে বাইরে যাবার জন্য দরজার দিকে গেলো। তখন তার আম্মু ডাক দিল

আম্মুঃ কোথায় যাওয়া হচ্ছে?
ছেলেঃ সোনিয়ার বাসায় যাচ্ছি।
আম্মুঃ কেন সোনিয়ার বাসায় যাচ্ছ?
ছেলেঃ তার সাথে খেলবো।
আম্মুঃ চুপ বেয়াদব ছেলে, সোনিয়ার সাথে কিসের খেলা? লাগবেনা এত খেলা, তোমার বয়স হইসে না?!!

[ সংগৃহীত ]