ইয়ে করে বিয়ে, নাকি বিয়ে করে ইয়ে?

ইয়ে করে বিয়ে, নাকি বিয়ে করে ইয়ে?

বিখ্যাত বিজ্ঞানী ড্রোনাচার্য জাফর ইকবাল বলেছিলেন "বিয়ের আগে অন্তত তিন বছর প্রেম করে পরস্পরকে চিনে নেওয়া দরকার।"

প্রেম করে একে-অপরকে কেমন চেনা হয় তা নিয়ে একটি বাস্তব ঘটনা----
"আমার এক বন্ধু ক্লাস টেন থেকে প্রেম করতো। তারা প্রায় প্রতিদিনই দেখা করতো, বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াত। তাদের মধ্যে আন্ডারস্ট্যান্ডিং ছিল চমৎকার। দীর্ঘ ৭ বছর প্রেম করার পর তারা ফ্যামিলির সম্মতিতে বিয়ে করে।

বিয়ের পর কিছুদিন ভালই কাটছিল তাদের সংসার। কিছুদিন যাবার পর শুরু হলো খুঁটিনাটি বিষয়ে মনোমালিন্য ও একে অপরের দোষ ধরা। বিয়ের আগে তারা একে অপরকে যেমন দেখেছিল বিয়ের পর সেই হিসাব মিলছিল না। পরিণতিতে বিয়ের মাত্র দেড় বছর পর তারা ডিভোর্স দেয়। শেষ হয়ে যায় দীর্ঘ ৭বছরের প্রেম।"

আসলে প্রেমের সময়টাতে প্রেমিক-প্রেমিকা নিজেকে সর্বোচ্চ সুন্দরভাবে প্রকাশ করতে চায়। এসময় তারা নিজের নেতিবাচক দিকগুলি যথাসাধ্য গোপন করে। তাদের সময় কাটে ফ্যান্টাসির ভিতর দিয়ে।

বিয়ের পর চাকরি-সংসার নিয়ে ঝামেলার পর আবেগ এমনিতেই কমে যায়। তখন আবেগের চেয়ে বাস্তবতা বড় হয়ে দেখা দেয়। প্রিয়ার চপল চোখের মায়াবী বাঁধন বা প্রেমিকের সর্বগ্রাসী ভালোবাসা তখন ধূসর হয়ে যায়। সংসার জীবনে ভালোবাসার পাশাপাশি পারস্পরিক শ্রদ্ধা, ধৈর্য, দায়িত্ববোধ ও ত্যাগের অনুশীলন দাম্পত্যের বাঁধন অটুট রাখে।

বিবাহ বহির্ভূত অবৈধ সম্পর্কে শয়তান পরস্পরকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করে। জৈবিক মোহে তাদের আসল রূপ ঢাকা পড়ে থাকে। তাই বিয়ের পর সেই বহু চেনা মানুষটিকে অচেনা লাগে। বিয়ের পূর্বে প্রমের সময়টাতে বিপরীত লিঙ্গের প্রতি সহজাত প্রবল আকর্ষণ ও ফ্যান্টাসির ভিতর দিয়ে একে-অপরকে চেনা অসম্ভব।

বিয়ের মাধ্যমে শ্রদ্ধা, দায়িত্ববোধ, ত্যাগ ও পবিত্র প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। দ্বীনদার স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কে আল্লাহর রহমত থাকে। তাদের মাঝে বিলাস থাকেনা, বাহুল্য থাকেনা, কৃত্রিমতা থাকেনা। যেটা থাকে তা হচ্ছে শান্তি।

যদি প্রেম করে বিয়ে করলেই সুখী হওয়া যেত তাহলে পাশ্চাত্যের সংসার তাসের ঘরের মতো ভেঙ্গে যেত না। বরং ইসলাম না মেনে অবৈধ সম্পর্কের কারনে পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে আজ এতো অশান্তি।
তাই অবৈধ প্রেম থেকে দূরে থাকুন, পবিত্র থাকুন, সুখী হোন।

Ahsan Sabbir

No comments:

Post a Comment