সহজ সরল মনের লাল শাড়ি পড়া নববধূরা আজ এতটা কঠিন মনের কি করে হয়ে গেল?

সহজ সরল মনের লাল শাড়ি পড়া নববধূরা আজ এতটা কঠিন মনের কি করে হয়ে গেল?

স্বামী স্ত্রীর সম্পর্কতো জান্নাতি সম্পর্ক,এই কথাটি কত জন স্বামী বুঝতে পারে?যেখানে ঘৃণা,লোভ,চাওয়া পাওয়ার হিসাব করাটা বোকামি ছাড়া কিছুই না।

আর একটি মেয়ে সেতো কত আশা কত স্বপ্ন নিয়ে বিয়ের দিন মেহেদি দিয়ে হাত রঙিন করে,বিয়ের সাজে সজ্জিত হয় বুকের মাঝে এক বুক আশা নিয়ে স্বামীর সাথে জীবন সাজাবে বলে।

বাসরঘরে সে অপেক্ষা করে কখন তার প্রাণ প্রিয় স্বামী তার জীবনের সকল দায়িত্ব গুলো বুঝে নিবে।

দুজনের গভীর ভালবাসার বন্ধনকে আরো মজবুত করে তুলতে কোল জুড়ে আসে ফুটফুটে সন্তান।কত স্বপ্ন আর আশা নিয়ে থাকে একজন বধূ,বাবা মায়ের ভালবাসা দিয়ে তার সন্তানটিকে বড় করে তুলবে।পিতৃত্বেরস্নেহে তার সন্তানটি মানুষের মত মানুষ হবে।আদর্শ সন্তান হবে।

একজন নারী তার স্বামীর সহযোগীতা ও ভালবাসা ছাড়া এত বড় দায়িত্ব,সন্তান প্রতিপালন কিভাবে করবে?

কারণ একটি মেয়ে তারতো ইতিপূর্বে কোন অভিজ্ঞতা থাকেনা সংসার,সন্তান লালন পালন নিঁখুত ভাবে আন্জাম দেওয়ার।সেখানে যদি একজন স্বামী তার স্ত্রীকে সাহায্য করে তখন তার জন্য কত সহজ হয় সকল দায়িত্ব ও কর্তব্যকে সুন্দর ভাবে পালন করার।

কিন্তু কতজন স্বামী সাংসারিক কাজে,সংসার লালন পালনের কাজে ভালবাসার আড়াল দিয়ে স্ত্রীর দিকে সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দেয়?

একজন নারী সারাদিন সংসারের কাজ কর্ম নিয়ে ব্যস্ত থাকে।সন্তানকে কষ্ট করে লালন পালন করে,তারপরেও একটু ভুল হলেই বকা শুনতে হয়,গালি শুনতে হয়,তখন স্ত্রীর মনে অনেক কষ্ট লাগে ,যা স্বামীরা মূল্য ই দেয়না।

মনের অজান্তেই সেই স্ত্রীর চোখ বেয়ে অশ্রু ঝড়ে পড়ে।

স্ত্রীর সাথে বন্ধুর মত আচরণ করা উচিত্।তাকে বুঝতে দেওয়া দরকার তুমি আমার বন্ধু।তোমার শত ভুল হোক তবুও তুমি আমার,আমার ভালবাসা,আমার স্ত্রী।

বাহিরে বন্ধুদের সাথে যে ভালো ব্যবহারটুকু করা হয়,যে সময়টুকু কাটানো হয় হাসি খুশীতে,তার থেকে একটু ভালো ব্যবহার কি স্ত্রীর সাথে করা যায়না? স্ত্রী কি বন্ধু বান্ধবের চেয়ে অতি মূল্যবান না?

যে স্ত্রী স্বারা দিন প্রচেষ্টা চালিয়ে যান তার স্বামীকে সন্তুষ্ট করার,বন্ধু বান্ধবের চেয়ে সময় কাটানোর চেয়ে মূল্যবান একটু সময় কি হাসিমুখে স্ত্রীর সাথে কাটানো যায়না?

একজন স্ত্রী চান তার স্বামী হোক আদর্শবান ও দায়িত্বশীল।যিনিকখনো কঠোর হবেন,কখনো দয়ালু হবেন,আবার কখনো হবেন অনেক ভালবাসার কেউ।স্ত্রী চায় তার স্বামী হবে রাসূল সাঃ এর আদর্শে আদর্শিত একজন সুপুরুষ।এতটুকু চাওয়া কি খুব বেশি কিছু?

স্বামী যদি উত্তম আদর্শে আদর্শিত না হয় তাহলে কি করে সে সন্তানকে শিখাবে কি করে উত্তম আদর্শের হওয়া যায়?

একজন নেককার সন্তানের জন্য রাসূল সাঃ এর আদর্শে জীবন সাজানো স্বামীর কাছে স্ত্রীর এই দাবিটুকু করা কি অন্যায়?

যদি এতটুকু দাবি মেনে নেওয়া না যায় তাহলে দুজনে মিলে জান্নাতের পথে পাড়ি দেওয়া কি করে সম্ভব?

আল্লাহ সারা জাহানের সকল মুসলিম পরিবারকে রাসূল সাঃ এর দেখানো সুন্নতি পথ অনুযায়ী চলে,সকল দাম্পত্ব পরিবারকে সুখি করুন।আমীন।

--- মাবরুরার আম্মু

No comments:

Post a Comment