ইন্দ্রিয়ের সাধনা বলে কালচারের কেন্দ্র নারী

"নারী" ইস্যুটি দূর অতীত থেকেই খুবই ক্রিটিক্যাল। ইন্দ্রিয়পূজারী সমাজ ব্যবস্থা তথা আধুনিক কালচারের অন্যতম বিনোদনের টুল নারী। কয়েকদিন আগে মোতাহার হোসেন চৌধুরীর একটা বই পড়ছিলাম। অত্যন্ত গর্ব ও আনন্দের সাথে তিনি লিখলেন-

"ইন্দ্রিয়ের সাধনা বলে কালচারের কেন্দ্র নারী"

সত্যটা স্বীকার করে নেয়ার জন্য তার ধন্যবাদ প্রাপ্য। আমাদের সমাজের ছুপা নাস্তিক,চেতনা ধারীরা সে কথাও স্বীকার করতে চায় না। নারী স্বাধীনতা,আর নারী অধিকারের এম্বাসেডর হিসেবে নিজেদের জাহিরে ব্যস্ত এসকল ধান্দাবাজরা নারীদেরকে তাদের স্বীয় ধান্দাসাধনে ব্যবহার করছে।

পুরুষালী কাজকর্মকে স্বাধীনতা ও যোগ্যতার স্ট্যান্ডার্ড বানালো কে? আধুনিকতার স্ট্যান্ডার্ড হিসেবে পুরুষদের কাজগুলোকেই কেন নিতে হবে? জনৈক বাম রাজনীতির সাথে যুক্ত এক আপুকে দেখতাম বব কাট দিয়ে ঘুরছে। রজনীগন্ধা গোলাপের মত হতে গেলে ইনডিরেক্টলি গোলাপকে শ্রেষ্ঠত্ব দেয়া হয় না? রজনীগন্ধার স্বাতন্ত্র আর থাকলো কই? বাইরের কাজকরাকেই যদি প্রকৃত স্বাধীনতা আর এবসোলিউট কন্ট্রিবিঊশান হিসেবে দেখা হয় আমার আম্মা যে সারাজীবন সংসারে কাজ করে গেলেন, আমাদের মানুষ করলেন সবই 'জিরো'?

এবারের ওইমেন্স ডে'র থিম "Equality for Women is Progress for All"

ইসলামে Equality শব্দটার পরিবর্তে আরেকটা শব্দ ইউজ করে যার ভাবার্থ অনেক ডীপ। সেটা হল "ইনসাফ", যা্র অর্থ করলে "জাস্টিস" বলা যায়।

ইসলাম আজাইরা ইকুয়েলিটি আইডিডেন্টিকেলিটিতে বিশ্বাসী নয় বরং ইনসাফে বিশ্বাসী যা মূলত "Rights" & "Responsiblity" দুটোর মধ্যে প্রপার ইন্টিগ্রেশান করে।

বিঃদ্রঃ RIP Women's day... প্রতিটি দিনই হোক সকল জীবের জন্য ইনসাফ প্রতিষ্ঠার দিন।

-- মুজাহিদ রাসেল

No comments:

Post a Comment