আসলে আমাদের অভিভাবকরা কতটুকু ম্যাচিউরড?

আব্বু আম্মুর কাছে বিয়ের কথাটা বলা মহা অপরাধ কিন্তু গার্ল ফ্রেন্ডদের (এখন আর সিঙ্গুলার নাম্বারে চলে না) নিয়া মানসিক থেকে শারীরিক রিলেশনে জড়িয়ে মৌজ করে ধরা খেলে তখন ছেলের মা-বাবা ছেলে কে রক্ষা করার জন্য উঠে পড়ে লাগেন আর মেয়ের মা বাবা মেয়ের রেপুটেশন রক্ষার জন্য উঠে পড়ে লাগেন। এক পর্যায়ে মামলা হামলায় পর্যন্ত গড়ায় ব্যাপারটা। দুই পক্ষের অভিভাবকদেরই একটাই অজুহাত, তাদের সন্তান বয়সে ছোট, না বুঝে এসব করে ফেলেছে, অপর পক্ষের লোকেরা তাকে ফাঁদে ফেলেছে। 

কিন্তু কথা হল, ছেলে মেয়ে কে দেখে ফিদা হয়ে গেছে, একে অপরকে কাছে পাবার জন্য যে কৌশল গুলো তারা অবলম্বন করেছে সেগুলো কোনটাই অবুঝ সন্তানের পক্ষে সম্ভব না। শারীরিক সম্পর্ক গড়ার আগে একে অপরকে নিভৃতে কাছে পাওয়ার যে তুমুল বাসনা, সেই বাসনা থেকে যে সুযোগ তৈরি করার ফন্দি ফিকির এবং কাছে পাওয়ার পর তাদের যে পশু সুলভ প্রবৃত্তির তুমুল লালসা এবং সেটাকে কর্মে পরিণত করার যে তৃপ্তিদায়ক সফলতা এগুলো কি প্রমাণ করে যে তাদের সন্তানরা অবুঝ, বয়সে ছোট এবং না বুঝেই এসব করে ফেলেছে? এগুলো কি অবুঝের লক্ষণ নাকি বুঝদার ব্যক্তির লক্ষণ? 

এগুলো ভাবার পরে আমার সন্দেহ জাগে যে "আসলে আমাদের অভিভাবকরা কতটুকু ম্যাচিউরড?" 

Early Marriage Campaign : https://www.facebook.com/earlymcpage

No comments:

Post a Comment