যখন কোনও মেয়ের নীরবে অত্যাচার সহ্য করার প্রয়োজন ছিল না

একটা সময়ের কথা মনে পড়ছে, প্রায়ই মনে পড়ে। যখন কোনও মেয়ের নীরবে অত্যাচার সহ্য করার প্রয়োজন ছিল না। মাস্টার্স ডিগ্রী না থাকলেও কোনও বিধবা অথবা ডিভোর্সি মহিলাকে অসহায় হতে হয়নি। স্বামী সন্তানের কাছে সম্মান পাওয়ার জন্য তার সুচরিত্রের অধিকারিণী এবং দ্বীনদার হওয়াই যথেষ্ট ছিল-- পড়ালেখা তাঁরাও জানতেন, কিন্তু সেটা তাদের সম্মানের সিঁড়ি ছিল না যা না থাকলে তাঁরা নিজেদের মুল্যহীন ভাববেন! মেয়ে তো মেয়ে, একটা ছেলেও সে যুগে ডিগ্রীর মাঝে পরম সম্মান হাতড়ে মরেনি, মরতে হয়নি! অথচ তখন যে তাঁরা কেবল শিক্ষিত ছিলেন তাই না, আমাদের কল্পনার বাইরে ছিল তাঁদের বোধ বুদ্ধি, মনের জোর আর পারসোনালিটি!!!এই আলোকিত সময়টা ছিল ১৪০০ বছর আগের সেই যুগে, যেই যুগকে কিনা আজকের মানুষেরা অন্ধকার যুগ বলে। 
আমি মানি পড়ালেখা না জানলে মেয়েরা এসময় অনেক অসহায়। তবে সমাধানটা আমরা ইসলামের ওপর জীবন যাপন করার বদলে খুঁজি হল মাস্টার্স ডিগ্রীর মাঝে আর চাকরির মাঝে। আল্লাহও তাই আজকে আমাদের সম্মানকে সেসবেরই মুখাপেক্ষী করে দিয়েছেন। তাই বাধ্য হয়ে, সব বুঝেও আমাদের বলতে হয় "এই যুগে একটা ডিগ্রী না হলে চলে না।" আসলেও চলে না। এও এক প্রকার শাস্তি। ভুল জায়গায় সম্মান হাতড়ে বেড়ানোর মানসিক যন্ত্রণা। আর শাস্তি অনুভব করতে না পারাটাও আরেক শাস্তি!
-- নায়লা নুযহাত

No comments:

Post a Comment