ফেসবুকে প্রেম করে বিয়ে?

প্রেম-টেম করার সৌভাগ্য/দুর্ভাগ্য হয় নাই কোনদিন। জীবনের শুরু থেকেই আগাগোড়া প্রচন্ড বোরিং কিসিমের আর গোঁড়া টাইপের থাকায় হয়ত কোন মেয়েও কোনদিন আমার কাছে এসে একটা নোটপত্রও চায় নাই, হৃদয়-মনের অন্য কিছু তো দূরে থাক। জীবনের তৃতীয় দশকের শেষদিকে এসে বিয়ে বিলম্বের কারণ হিসেবে মূল হয়ে আছে কন্যা। আমার এক শুভাকাঙ্খী আমাকে বললেন, 'ফেসবুক আইডি' থেকে যেন মেয়ে খুঁজি।

দুঃখের বিষয়, অনলাইন/ফেসবুকে আসার পর থেকে আমি আন্তরিকভাবে এই বিষয়টার বিরোধী ও সমালোচক ছিলাম। আইডির পেছনে ঘুরা মানে নিজের ব্যক্তিত্ব বিসর্জন দিয়ে অন্য কোন এক মেয়ের জীবনকে যন্ত্রণাময় করে দেয়া। কোন বোনের দু'চার কথা ভালো লাগলেও তাদের পেছনে লাগতে চাই নাই, অযথা দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টাও করতে চাই নাই। জীবনটা ফেসবুকের পোস্টের চাইতে শত-কোটিগুণ বড় ব্যাপার। এই প্রোফাইল প্রদর্শনী দেখা আর পোস্ট শেয়ার করার সাথে গোটা জীবন শেয়ার করার বিষয়টার পার্থক্য আকাশ-পাতাল। 

আমার গোঁড়ামি আমাকে ভোগাচ্ছে। বন্ধুরা ফেসবুকে প্রেম করে বউ ঘরে নিয়ে চলে আসছে অনেকেই। সবে তাদের যাত্রা শুরু, কারণ বাবা-মায়েরা খুব বেশি অমত করেন না ইদানিং, ইসলামিক পরিবারে অবশ্য করেন এখনো। তবে, যে জিনিস যত সস্তায় অর্জন হয়, তার ব্যবহারিক অভিজ্ঞতা সুখকর হয় না এটা সবাই জানে।যা হোক, আজকে আমিও একই প্রেসক্রিপশন খাইলাম, হাহাহা। বিবাহের এই বিলম্বে ভালো কিছু হয়ত নাই। তাও, সারাজীবনে সৎভাবে গড়ে ওঠা এই ব্যক্তিগত দর্শনের সাথে কম্প্রোমাইজ করা মানে আমার নিজস্বতাকে ধ্বসিয়ে ফেলা, নিজের ফেলে আসা জীবনের বোধ ও উপলব্ধিকে অস্বীকার করা। পরম করুণাময় আল্লাহর দয়ার উপরে নির্ভর করে শক্ত থাকার প্রত্যয় করছি। 

--- জনৈক অবিবাহিত ভাই 

No comments:

Post a Comment